টেস্ট ক্রিকেট, মর্যাদার, আভিজাত্যের। সাদা পোশাকের বনেদি এই ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব করা নিশ্চয়ই আরো বেশি গর্বের। সেই গর্বের সাক্ষী প্রথমবারের মত হলেন নাজমুল্ হোসেন শান্ত। ড্রেসিং রুম থেকে বের হলেন অধিনায়কের কোটটি পরে। কত শত ট্রল, নোংরা সমালোচনার পরেও মাথা উচু করে মাঠে নামা একজন অধিনায়ক।
শান্তর এই অধিনায়কত্ব স্থায়ী নয়। তাতে কীই বা আসে যায়। ভবিষ্যতে নেতৃত্বের পরিকল্পনায় যে শান্ত আছেন সেই বার্তা তো থাকলোই। অথচ বছরখানেক আগেও এই শান্তকে ভাসানো হয়েছে ট্রলের বন্যায়। এই শান্তকেই শিকার হতে হয়েছে ব্যক্তিগত আক্রমণেরও।
একটা সময় বাধ্য হয়ে বলেই ফেলেছিলেন, আমার মনে হয় আমি পুরো একটা দেশের বিপক্ষে খেলি। আর সেই শান্ত সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস করতে নামলেন অধিনায়কের ব্লেজার পরে। শান্তর হাত ধরেই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন সার্কেল শুরু করলো বাংলাদেশ।
সিলেট স্টেডিয়ামের ড্রেসিং রুমটা দুই তলায়। সেখান থেকে টিম লিস্টটা হাতে নিয়ে নামলেন শান্ত। তার সাথে টিম ম্যানেজার নাফিস ইকবাল। পিচ পর্যন্ত যেতে যেতে নানা কিছুই বলছিলেন। পুরোটা পথ নাফিস ইকবালও হয়তো বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন সবকিছু।
যেতে যেতেই শান্তকে অভিনন্দন জানাতে এগিয়ে এলেন পেসার খালেদ আহমেদ। এরপরই অফিশিয়াল ফটোগ্রাফারদের ছবি তোলার জন্য দাঁড়ালেন দুই অধিনায়ক। টিম সাউদির সাথে নাজমুল হোসেন শান্তর ছবিটা তুলে রাখলেন নিউজিল্যান্ডের মিডিয়া ম্যানেজারও।
এরপর দুজনে একসাথে পিচের দিকে এগিয়ে গেলেন টসের জন্য। প্রথমবারের মত সাদা পোশাকের ক্রিকেটে কয়েনটা ছুড়লেন শান্ত। অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম টেস্টে টস ভাগ্যটাও ভালোই ছিল তাঁর। টসে জিতে সিদ্ধান্ত নিলেন আগে ব্যাট করার।
আর দশটা টেস্ট ম্যাচের মতই এই ম্যাচটাও। তবে শান্তর জন্য এই টেস্ট বিশেষ কিছু। এই টেস্ট, এই সিলেট, এই সকাল শান্ত মনে রাখবেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত। এই ছবিগুলো অনুপ্রেরণা জোগাবে শান্তকে, এই ছবি অনুপ্রেরণা জোগাবে পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে লড়াই করতে থাকা মানুষটাকে।
এরপর ব্যাট হাতে নেমেও শুরুটা ভালোই করেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের আক্রমণ করার চেষ্টা চালিয়েছেন শুরু থেকেই। ৩৫ বলে ৩৭ রান করে আউট হয়ে যান এই ব্যাটার।