ক্যাচ প্রেকটিসটা বেশ মনোযোগ দিয়েই করছিলেন সাদমান ইসলাম। একহাত দিয়ে রোদ আঁটকে বলটাকে দেখার চেষ্টা করলেন শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। ক্যাচটা ধরার পর কোচের প্রশংসাও পেলেন। আস্থা রেখেছেন সাদমান। তবে নিজের ব্যাটিং দিয়ে আস্থার প্রতিদান দেয়া আরও বেশি জরুরি সাদমানের জন্য।
সাদমান নিজেকে প্রমাণ করেছেন এবারের এনসিএলে। এই আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান স্কোরার সাদমান ইসলাম। মুমিনুল হকের পর তার ব্যাটেই এসেছে সবচেয়ে বেশি রান। ৫৬.৬২ গড়ে করেছেন ৪৫৩ রান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে ওপেনিং পজিশনে সুযোগ পেলে ধারাবাহিকতাটা ধরে রাখতে চাইবেন সাদমান।
তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশ ভরসা রাখতে পারে জাকির হাসানের ওপরও। এই ব্যাটার টেস্ট ক্রিকেটে শুরুটা করেছেন দুর্দান্ত। নিজের টেস্ট অভিষেকেই ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছেন এই ওপেনার। আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ টেস্টেও খেলেছেন ৭১ রানের ইনিংস।
সবমিলিয়ে মোটে ৩ টেস্ট খেলা জাকির করেছেন ২৫৮ রান। ব্যাটিং করেছেন ৪৩ গড়ে। সেই ধারাবাহিকতা সিলেট টেস্টেও জাকিরের কাছে আশা করবে বাংলাদেশ দল। টেস্ট ক্রিকেটে নিজের শুরুটা তো জাকিরের আশা জাগানীয়াই বটে।
জাকিরের সাথে ওপেনিং পজিশনে দেখা যেতে পারে মাহমুদুল হাসান জয়কে। ডানহাতি এই ওপেনারও টেস্ট ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করেছেন আগেই। আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ টেস্টেও জয়ের ব্যাট থেকে এসেছিল ৭৬ রানের ইনিংস।
ওপেনিং পজিশন নিয়ে খানিকটা দুশ্চিন্তা আছে টিম ম্যানেজম্যান্টেরও। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও উইকেটের সামনে দাঁড়িয়ে কোচের সঙ্গে আলোচনা করলেন লম্বা সময়। সেই আলোচনার বড় অংশ হয়তো ছিল ওপেনিং পজিশনই।