যার বিয়ে তার খবর নাই, পাড়া পড়শীর ঘুম নেই - বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনেও (বাফুফে) এখন যেনো ঠিক তেমন অবস্থা। নারী জাতীয় ফুটবল দলের চলমান সঙ্কট নিয়ে সরব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ফুটবল পাড়াতেও চলছে নানা রকম আলোচনা-সমালোচনা। বাতাসে ভাসছে নানা গুঞ্জনও। তবে এই বিষয়ে বাফুফে যেনো একেবারেই নিরব।
প্রশ্নটা তাই চলেই আসছে, যে বাফুফে রাখবে কাকে? কোচ পিটার বাটলার, না কি বিদ্রোহী সিনিয়র ফুটবলারদেরদের? নাকি দুই পক্ষকে রেখেই এগুবে সমঝোতার পথে? নারী দলকে ঘিরে এখন এই প্রশ্নগুলোই সবার মুখে মুখে ফিরছে। উত্তর মিলতে পারে একজনের কাছেই। তিনি বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
আরও পড়ুন
প্রথমবারের মত বাংলাদেশ দলে ডাক পেলেন হামজা |
![]() |
নারী ফুটবলের সঙ্কট নিয়ে গঠিত বিশেষ কমিটির রিপোর্ট বাফুফে সভাপতির কাছে এখন। এই বিষয়ে সিদ্ধান্তটাও নেবেন তিনি। রোববার বাফুফে ভবনে থাকলেন ঘন্টা চারেক। তবে বের হয়ে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে কোনো কিছুই বললেন না তাবিথ আউয়াল।
ফেডারেশনে এসেছিলেন নির্বাহী কিমিটির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাও। কোচ-খেলোয়াড় দ্বন্দ্ব নিয়ে যেনো মুখে কুলুপ এটেছেন সবাই। সাফজয়ী খেলোয়াড়রা বাটলারের অধিনে খেলতে নারাজ। প্রয়োজনে গণ অবসরের হুমকিও দিয়ে রেখেছে তারা। এদিকে কোচ পিটার বাটলারও তার পেশাদরিত্বে অটল। বেশ কিছুদিন ধরেই এক রকম অস্থিরতা নারী ফুটবলে। কিন্তু এই বিষয়ে নিয়ে কোনো আলোচনাই নাকি হয়নি মিটিংয়ে।
নানা বিষয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাফুফে সভাপতি। দু-তিন দিনের মধ্যে যাবেন দেশের বাইরে। তাহলে কি নারী ফুটবলের সঙ্কট সমাধানে
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষে থাকা লিভারপুল ও চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলে তলানিতে থাকা প্লিমাউথ আর্গাইলের ম্যাচে শক্তিমত্তায় দুই দলের মাঝে ছিল বিস্তর ফারাক। অবশ্য দিন শেষে গোলের খেলায় এগিয়ে থাকা দলই জেতে। যেটা এফএ কাপে করে দেখিয়ে পুঁচকে প্লিমাউথ। তাতে তারা শুধু অঘটনই ঘটায়নি, ঘড়েছে ইতিহাসও। এমন দিনকে তো দলটার কোচ যাদুকারি দিন হিসেবেই ঘোষণা দিয়েছেন।
এফএ কাপের চতুর্থ রাউন্ডে দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল গত রোববার রাতে। হোম পার্কে ১৯ হাজার ধারণ ক্ষমতার পুরোটাই এদিন হয়েছে পূর্ণ। যার কারণ নিজ দলের চেয়েও লিভারপুল ফুটবলারদের এক নজর দেখা। তাও তাদের অখ্যাত হোম গ্রাউন্ডে। যেখানে শেষ পর্যন্ত তারা ইতিহাসই রচনা করেছে। লিভারপুলকে হারিয়ে দিয়েছে ১-০ গোলে।
আরও পড়ুন
তরুণ বার্সার ‘ম্যাচিউরিটিতে’মুগ্ধ ফ্লিক |
![]() |
এমনটা হয়তো দলটির কল্পনাতেও ছিল না। অবশ্য না থাকারই কথা। চ্যাম্পিয়নশিপে যেই দল কেবল এখন পর্যন্ত জিততে পেরেছে মোটে পাঁচ ম্যাচ। অন্যদিকে তাদের প্রতিপক্ষ চলতি মৌসুমে হেরেছে কেবল দুই ম্যাচই। সেই সংখ্যাটা ম্যাচ শেষে তারা নিয়ে গেছে তিনে। রিয়াল মাদ্রিদ কিংবা ম্যানচেস্টার সিটি ইউরোপের বড় বড় জায়ন্টরা যা করতে পারেনি, তাই করে দেখিয়েছে পুঁচকে প্লিমাউথ।
ম্যাচ শেষে দলটির কোচ মিরন মুসলিক এই জয়কে আখ্যা দিয়েছে ঐতিহাসিক জয় হিসেবে। “এটা আমাদের জন্য যাদুকরী দিন। লিভারপুলের সঙ্গে খেলাটাই ছিল আমাদের জন্য বিশাল ব্যাপার। এই জয়টা আমাদের ইতিহাসে সারাজীবন লিখা থাকবে। ছেলেরা এটার প্রাপ্য।”
ম্যাচ হারলেও লিভারপুল কোচ আর্নে স্লট প্লিমাউথকে দিয়েচ্ছে প্রাপ্য মর্যাদা।
“প্লিমাউথের জন্য দিনটা বেশ দারুণ। তাদের পরকিল্পনা বেশ ভালো ছিল এবং এই জয়ের প্রাপ্য তারা। আমরা নিজেদের সেরাটা দিতে পারিনি যার ফল আমরা পেয়েছি হাতেনাতে।”
ম্যাচের ৫৩তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন স্কটিশ ফরোয়ার্ড রায়ান হার্ডি। তাতে ২০১৮ সালের পর প্লিমাউথ প্রিমিয়ার লিগের বাইরের প্রথম দল হিসেবে শীর্ষস্থানীয় দলটিকে বিদায় জানানোর স্মৃতি ফিরিয়ে আনলো।
বাংলাদেশের হয়ে খেলবেন, এটা নিশ্চিত করার পর থেকেই প্রতীক্ষা বাড়ছিল হামজা চৌধুরীকে জাতীয় দলের জার্সিতে দেখার। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে মার্চে বাংলাদেশ দল ভারতের বিপক্ষে খেলবে প্রথম ম্যাচ। সে ম্যাচকে সামনে রেখে প্রাথমিক স্কোয়াড ঘোষণা করেছেন হাভিয়ের কাবরেরা। আর সেখানে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ জাতীয় দলে ডাকা হয়েছে শেফিল্ড ইউনাইটেডে খেলা এই ডিফেন্ডারকে ।
সব মিলিয়ে স্কোয়াডে রাখা হয়েছে ৩৬ জনকে। যদিও সেখান থেকে পরবর্তীতে ছোটো করা হবে স্কোয়াড। তবে তার আগে ডাক পাওয়া দলের সবাইকে নিয়ে সৌদি আরবে ক্যাম্প করবে পুরো দল। সেখানে থাকবেন না হামজা। শেফিল্ডের ম্যাচ থাকায় তার সরাসরি একবারে ভারতেই দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচটি হবে আগামী ২৫ মার্চ।
বাংলাদেশের প্রাথমিক স্কোয়াড:
গোলকিপার: মিতুল মারমা, সুজন হোসাইন, আনিসুর রহমান জিকো, মেহেদী হাসান শ্রাবণ, সাকিব আল হাসান।
ডিফেন্ডার: মুরাদ হাসান, শাকিল আহাদ তপু, মেহেদী হাসান, রহমত মেয়া, শাকিল হোসাইন, ইসা ফয়সাল, তাজ উদ্দিন, তারিক কাজী, তপু বর্মন, সাদ উদ্দিন, সুশান্ত ত্রিপুরা, ইয়াসি খান, জাহিদ হোসাইন শান্ত।
মিডফিল্ডার: মোহাম্মদ হৃদয়, পাপন সিং, সায়েদ শাহ কাজেম, হোমাম্মদ সোহেল রানা, সোহেল রানা, চন্দন রয়, মাহবুবুর রহমান জনি, শেখ মুরসালিন, জামাল ভূঁইয়া, মাহবুবুর রহমান জনি, হামজা চৌধুরী, ফাহমেদুল ইসলাম।
ফরোয়ার্ড: ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, রাকিব হোসাইন, রাব্বি হোসাইন রাহুল, রফিকুল ইসলাম, ইমন শাহরিয়ার, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, আরিফ হোসাইন, আল আমিন, পিয়েস আহমেদ নোভা।
রেফারিং নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে লা লিগা ও রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যে চলছে এক শীতল স্নায়ুযুদ্ধ। যার শুরু গেল সপ্তাহে এস্পানিয়লের বিপক্ষে রিয়ালের হারের পর থেকে। মৌসুমের শুরু থেকেই রেফারিং নিয়ে ক্ষুব্ধ রিয়াল অভিযোগ জানিয়ে দিয়েছে চিঠিও। এসবের মাঝে মাদ্রিদ ডার্বিতে রিয়ালের বিপক্ষে বিতর্কিত এক পেনাল্টিতে সেই আলোচনা পেয়েছে নতুন মাত্রা। ম্যাচ শেষে রিয়াল মাদ্রিদ টিভি সরাসরি বলেছে, শুধু ফুটবলারদের বিপক্ষেই নয়, রেফারির বিপক্ষেও খেলতে হচ্ছে তাদের!
আতলেতিকোর বিপক্ষে রোববারের ম্যাচের ৩২ মিনিটের মাথায় বক্সে ভেসে আসা বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে অহেলিয়া চুয়ামেনি ফাউল করে বসেন প্রতিপক্ষের মিডফিল্ডার স্যামুয়েল লিনোকে। যদিও চুয়ামেনির ফাউলটা যে ইচ্ছেকৃত ছিল না, তা রিপ্লেতে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছিল। এমনকি যখন তিনি লিনোর পা স্পর্শ করেন, তার আগেই বল সরে গেছে সেখান থেকে। রেফারি সেটিকে প্রথমে কোনো কল না করলেও, ভিএরআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন তিনি।
যা নিয়ে রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি কথা না বললেও রিয়াল মাদ্রিদ টিভি সমালোচনার ঝড় বইয়ে দিচ্ছে। সোমবার ‘এএএ’ প্রকাশ করেছে রিয়াল মাদ্রিদ টিভির করা অভিযোগের একাংশ। “পেনাল্টিটা হাস্যকর ছিল। আমাদের রেফারির বিপক্ষে খেলতে হচ্ছে, ফুটবলারদের বিপক্ষে নয়। যদি এটা আমাদের উপর নির্ভর করত, তাহলে আমরা মাঠ ছেড়ে চলে যেতাম এবং নোংরা নেগ্রেইরা লীগে খেলা বন্ধ করে দিতাম।এটা জঘন্য!”
এস্পানিয়ল ডিফেন্ডার কার্লোস রোমেরো গেল সপ্তহে এমবাপেকে মারাত্মক ফাউল করেও লাল কার্ড না দেখায় স্প্যানিশ ফেডারেশনের কাছে এরই মধ্যে অভিযোগ জানিয়েছে রিয়াল। এর জবাবে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লা লিগা সভাপতি হাভিয়ের তেবাস বলেছিলেন, রিয়াল ভুক্তভোগী সাজার নাটক করছে। এও বলেন, রিয়ালের সবার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। সেই রেশ না কাটতেই মাদ্রিদ ডার্বির এই কাণ্ডের পর রেফারিং নিয়ে রিয়ালের সিদ্ধান্ত কী হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
‘ইউ উউল বি স্যাক ইন দ্য মর্নিং’ - চলতি মৌসুমে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে গেলে হরহামেশাই পেপ গার্দিওলাকে এমন কুটুক্তি শুনতে হচ্ছে প্রতিপক্ষ সমর্থকদের কাছ থেকে। যার কারণ অবশ্য দলের অধারাবাহিক পারফরম্যান্স। সবশেষ এফএ কাপের ম্যাচে লেইটন অরিয়েন্টের বিপক্ষেও দেখা মিলেছ একই চিত্রের। তৃতীয় স্তরের দলটির বিপক্ষে হারের মুখ থেকে জয় নিয়ে ফিরেছে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা। তাতে স্বস্তি পাচ্ছেন গার্দিওলা। ম্যাচ শেষে মজার ছলে বললেন, কোনোমতে চাকরিটা বাঁচাতে পেরেছেন এবার।
কথাটা অবশ্য গার্দিওলা মজার করা বললেও লেইটন অরিয়েন্টের বিপক্ষে ম্যাচটা হারলে বিপাকেই পড়তে হতো এই স্প্যানিয়ার্ডকে। এমনিতেই তার দলের পারফরম্যান্সের অবস্থা নাজেহাল, তার মধ্যে প্রতিপক্ষ এমন এক দল, যারা কিনা লিগ ওয়ানে (ইংলিশ লিগ) আছে পয়েন্ট টেবিলের নয় নম্বরে। তাদের বিপক্ষে হারলে ইংলিশ মিডিয়া মন্ডুপাতই করতো গার্দিওলার।
যা ভালো করেই জানেন গার্দিওলা। ২-১ গোলে জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে মজা করতে ভোলেননি।
“যখন তারা বলে তোমাকে সকালে বরখাস্ত করা হবে, তখন খুব বেশি কিছু হয় না। কিন্তু এখন সব স্টেডিয়ামেই এটা একটা রুটিন হয়ে গেছে। ভাগ্যিস জয়টা পেয়েছি! এই ফলাফল এখন আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছে, আমার চেয়ারম্যান মনে হয় না আগামীকাল আমাকে বরখাস্ত করবেন (হাসি)।”
এদিন ঘাম ঝরিয়ে জয় পেলেও চোটে পড়ে ছিটকে গেছেন সিটির নতুন সিইনিং নিকোলাজ গঞ্জালেজ। তাতে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচের আগে নতুন দুশ্চিন্তা যুক্ত হয়েছে গার্দিওলার কপালে।
তারপরও অবশ্য জয় নিয়ে খুশি গার্দিওলা।
“এখন, অবশ্যই, আমাদের অবস্থান মানসিকভাবে কিছুটা অস্থির, আমাদের অনেক চোটের সমস্যা আছে, এবং সেই কারণেই এই ফলাফলে আমি খুশি।”
ম্যাচে ওর্তেগার আত্মঘাতী গোলে প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়ে সিটি। ৫৬ মিনিটে সিটিকে সমতায় ফেরান খুশানভ, আর ৭৯ মিনিটে সিটির ম্যাচ জয়ী গোলটা করেন কেভিন ডে ব্রুইনা।
লা লিগার ত্রিমুখী লড়াইটা যেন দিনকে দিনকে আরও জমে উঠছে। মাদ্রিদ ডার্বি ড্র হওয়ায় শেষ দিকে রোমাঞ্চের উঁকি দিচ্ছে। একই সাথে এগুচ্ছে রেফারি বিতর্ক। রোববার রাতে মাদ্রিদ ডার্বির ফল ছাপিয়ে আলোচনায় রেফারির পেনাল্টি সিদ্ধান্ত। যেটাকে দুই কোচ দেখছেন দু’রকম ভাবে। রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তির কাছে এমন সিদ্ধান্ত বোধগম্য না হলেও আতলেতিকো মাদ্রিদ কোচ দিয়েগো সিমিওনের কাছে সিদ্ধান্ত সঠিকই মনে হয়েছে।
ম্যাচ শুরুর আগে থেকে রিয়াল অভিযোগ জানাচ্ছিল রেফারিদের সিদ্ধান্ত নিয়ে। অন্যদিকে রিয়ালের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল লা লিগা সভাপতি হাভিয়ের তেবাস। সেই সাথে রিয়ালকে চাপে রাখতে আতলেতিকো থেকেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রিয়ালের বিপক্ষে অভিযোগ তোলা হয়েছিল।
ম্যাচ শুরুর আগে এমন কাণ্ড প্রভাব রেখেছে ম্যাচেও। ৩২ মিনিটের মাথায় বক্সে ভেসে আসা বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে চুয়ামেনি ফাউল করে বসেন আতলেতিকো মিডফিল্ডার স্যামুয়েল লিনোকে। যদিও চুয়ামেনির ফাউলটা যে ইচ্ছেকৃত ছিল না তা রিপ্লেতে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছিল। এমনকি যখন তিনি লিনোর পা ছুঁয়ে ছিলেন তার আগেই বল সরে গেছে সেখান থেকে। রেফারি সেটিকে প্রথমে কোনো কল না করলেও ভিএরআরের সাহায্য নিয়ে পেলান্টির সিদ্ধান্ত দেন তিনি।
যেখান থেকে আতলেতিকোকে এগিয়ে দেন হুলিয়ান আলভারেজ। যা নিয়ে ম্যাচ শেষে দুই কোচকেই কথা বলতে হয়েছে। বিতর্কিত মনে হলেও রিয়াল কোচ জড়াতে চাননি এই ঝামেলায়,
“আমি রেফারিকে নিয়ে কোনো কথাই বলতি চাই না। পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দিয়েছিল ভিএআর। রেফারি খুব কাছেই ছিল তখন। অ্যাথলেটিকো-জিরোনা ম্যাচে এমন আরেকটা পেনাল্টি দেখেছিলাম। মানুষের জন্য এসব সিদ্ধান্ত বোঝা খুবই মুশকিল। যাই হোক আমি এই বিতর্কে জড়াতে চাই না। এমনিতেই অনেক দূর এগিয়ে গেছে এটি।”
অন্যদিকে আতলেতিকো কোচ পেনাল্টিকে দেখছেন সঠিক সিদ্ধান্ত হিসেবেই,
“আমরা জিরোনা-অ্যাথলেটিক বিলবাও ম্যাচে এমন সিদ্ধান্ত দেখেছিলাম। একই ধরনের সিদ্ধান্ত এই ম্যাচেও নেওয়া হয়েছে। তাই এটি নিয়ে খুব বেশি কথা বলার নেই।”
প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়লেও দ্বিতীয়ার্ধে রিয়ালকে ম্যাচে ফেরান কিলিয়ান এমবাপে। শেষ পর্যন্ত দুই দল মাঠ ছেড়েছে ১-১ এর সমতায়। তাতে লাভটা হয়েছে বার্সেলোনার। কাতালান ক্লাবটার সামনে সুযোগ এসেছে টেবিলের শীর্ষ দুই দলের সাথে ব্যবধানটা কমিয়ে আনার।
২৩ ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে এখনো রিয়াল, সমান ম্যাচে এক পয়েন্ট কম নিয়ে আতলেতিকো আছে দুইয়ে। আর এক ম্যাচ কম খেলা বার্সেলোনার পয়েন্ট ৪৫।