এক দল লড়ছে শিরোপার জন্য, আর অন্য দল রেলিগেশন এড়াতে। তবে রিয়াল মাদ্রিদ ও লেগানেসের ম্যাচে প্রতিফলন ঘটেনি দুই দলের এই অবস্থানের। দুর্বল প্রতিপক্ষকে হারাতে রীতিমতো ঘাম ছুটে কার্লো আনচেলত্তির দলের। জোড়া গোলে জয়ের নায়ক কিলিয়ান এমবাপের কাছে সব ছাপিয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ঠেকছে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়তে পারাটাই।
লা লিগার শনিবারের ম্যাচে লেগানেসকে কোনোমতে ৩-২ গোলে হারিয়েছে রিয়াল। মলিন ফুটবল খেলা রিয়াল বিরতির আগে পিছিয়ে গিয়েছিল ২-১ গোলে। তবে এমবাপের দুই গোলের সাথে মিডফিল্ডার জুড বেলিংহামের গোলে ঘুরে দাঁড়িয়ে বেশ লড়াই করেই জয়ের দেখা পায় রিয়াল। এই জয়ে ২৯ ম্যাচে শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার সমান ৬৩ পয়েন্ট এখন স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের।
ম্যাচের পর এমবাপে আরএমটিভিকে বলেন, এই ম্যাচে সহজ জয়ের আশা করেননি তারাও।
“এটা কঠিন একটা ম্যাচ ছিল। আন্তর্জাতিক বিরতির পরে এটা সবসময়ই কঠিন হয়। আমরা প্রতিপক্ষের সীমানায় ভাল শুরু করেছি, এবং আমরা একটি গোল করেছি। এরপরে আমরা ২০ মিনিটের জন্য ভালো খেলিনি আর দুটি গোল হজম করে ফেলি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আমরা দুটি গোল করেছি। আমরা ম্যাচটা জিতেছি, এটা নিয়ে আমরা খুব খুশি।”
৩২তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে রিয়ালকে লিড এনে দিয়েছিলেন এমবাপে। তবে ৮ মিনিটের মধ্যে দুই গোল দিয়ে ম্যাচ জমিয়ে তোলে লেগানেস। বিরতির পর বেলিংহাম সমতা টানার পর রিয়ালের জয় নিশ্চিত করা গোলটি করেন ফরাসি তারকা। আর সেটা আসে দর্শনীয় এক ফ্রি-কিক থেকে।
এই গোলের পেছনের গল্পটা বলেছেন এমবাপে।
“আমরা কয়েক সপ্তাহ আগে কোচদের সাথে সেট পিস নিয়ে কাজ করেছি। আমি জানতাম যে আমি এইভাবে শট নিয়ে পারি। আমি আগে জায়গাটা দেখেছি। আমি অন্যদের বলেছি আমাকে শট নিতে দিতে। শেষ পর্যন্ত এটা কাজে দিয়েছে।”
১ এপ্রিল ২০২৫, ৭:২২ পিএম
চোটের কারণে আছেন মাঠের বাইরে। এরপরও থেমে নেই লিভারপুল ডিফেন্ডার ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের ক্লাব ছাড়ার গুঞ্জনের। বারবার উঠে আসছে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার খবর। তবে সেটা উড়িয়েই দিয়েছেন আর্নে স্লট। লিভারপুল কোচ মনে করেন, ইংলিশ ফুটবলারের সব মনোযোগ কেবল মাঠে ফেরার দিকেই।
গত মাসে পিএসজির বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ম্যাচে গোড়ালির চোটের থেকেই মাঠের বাইরে আছেন আলেকজান্ডার-আর্নল্ড। মিস করেছেন আলবেনিয়া এবং লাটভিয়ার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দুটি ম্যাচও। তবে চলতি মৌসুম শেষেই এই ফুলব্যাকের লিভারপুলের সাথে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় বাতাসে ভাসছে তার ক্লাব ছাড়া নিয়ে নানা খবর।
তবে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে স্লট বলেছেন, এসব বিষয় নিয়ে ভাবছেন না ২৬ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়। “তার অবস্থা হল, দুর্ভাগ্যবশত এখন সে আহত। আর নাহলে লোকেরা সম্ভবত ইংল্যান্ড দলের হয়ে তার এক বা দুটি দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স নিয়েই কথা বলত। কিন্তু সে চোটের কারণে মাঠের বাইরে, সেজন্য সে তার পুনরুদ্ধারের জন্য সম্পূর্ণ মনোযোগী। আমরা তাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মাঠে ফিরে আসতে সাহায্য করার চেষ্টা করছি।”
আলেকজান্ডার-আর্নল্ডের লিভারপুলে ছাড়ার খবর শুরু থেকেই আসছে কেবল আসছে রিয়াল মাদ্রিদের নাম। জোর গুঞ্জন রয়েছে, ইংলিশ ক্লাবটির সাথে চুক্তি নবায়ন করতে রাজি হবেন না তিনি। ফলে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে ঠিকানা পরিবর্তন করতে পারবেন।
আর বিবিসি স্পোর্টসের খবর অনুযায়ী, রিয়ালের সাথে নাকি এরই মধ্যে অগ্রিম আলোচনাও সেরে ফেলেছেন আলেকজান্ডার-আর্নল্ড।
মৌসুম শেষে কেবল আলেকজান্ডার-আর্নল্ডই নন, লিভারপুল ছাড়ার গুঞ্জনের তালিকায় আছেন আরও দুজন হাই-প্রোফাইল খেলোয়াড়। অন্য দুজন অধিনায়ক ভার্জিল ভ্যান ডাইক ও ফরোয়ার্ড মোহামেদ সালাহ। তাদের চুক্তির মেয়াদও শেষ আসছে জুনে।
হামজা চৌধুরী বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন, এটা জানার পর থেকেই বাংলাদেশে ফুটবল নিয়ে তৈরি হয়েছে ভিন্ন এক উন্মাদনা। তাতে জোর সম্ভাবনা জেগেছে আরও দেশের বাইরে থাকা বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের লাল-সবুজের জার্সিতে খেলার। বাংলাদেশ ফুটবল ফুটবল ফেডারেশনও (বাফুফে) এই প্রক্রিয়া জোরদার করতে বেশ আগ্রহী। সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম জানিয়েছেন, কয়েক মাসের মধ্যেই তারা আয়োজন করবেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ফুটবলারদের নিয়ে ওপেন ট্রায়াল।
জামাল ভুঁইয়াকে দিয়ে শুরু, এরপর সবশেষ সেই ধারায় যোগ দিয়েছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ও চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হামজা। বাংলাদেশ জাতীয় দলে এখন আছেন এমন কয়েকজন খেলোয়াড়, যারা দেশের বাইরে বেড়ে উঠলেও জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য বেছে নিয়েছেন বাংলাদেশকে। তাদের অন্তর্ভুক্তি শক্তিশালী করছে বাংলাদেশকে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ফাহাদ করিম বলেছেন, তারা এরই মধ্যে দেশের বাইরে থাকা খেলোয়াড়ের তালিকাও করে ফেলেছেন।
“আমাদের ঘরোয়া ফুটবলের যারা আছেন, অবশ্যই তারা আমাদের সম্পদ। বাংলাদেশের বংশোদ্ভূত যারা আছেন, তারা যদি বাংলাদেশের হয়ে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন, তাহলে আমরা মনে করি আমাদের উচিত তাদের সেই সুযোগ করে দেওয়া উচিত। এটা তাদের অধিকার। সেই সুযোগটা দিতে আমরা যেটা করতে পারি, একটা বড় স্কেলের ট্রায়ালের ব্যবস্থা করা। এটা তাদের জন্য ভালো হবে। এই মুহূর্তে আমাদের একজন এজেন্ট আছেন, তিনি ডেনমার্ক থাকেন, তিনি এটা নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি ৩২ জন খেলোয়াড়ের একটা তালিকা করেছেন। এই ৩২ জনের সাথে দুজন নারী ফুটবলারও আছে। আমাদের ইচ্ছা আছে জুনের শেষ সপ্তাহে তিন থেকে পাঁচ সপ্তাহের একটা ট্রায়াল করার।”
বিশ্বের ভিন্ন ভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা দেশের খেলোয়াড়দের দিয়ে জাতীয় দল সাজানোর কাজটা এই মুহূর্তে সবচেয়ে ভালোভাবে করছে কাতার বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলা মরক্কো। পেশাদার একটা সিস্টেম থাকায় খেলোয়াড়দের নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী যাচাই বাছাই করে নিতে পারে তাড়া। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যারা এসেছেন, তাদের জন্য তেমন প্রক্রিয়া রাখতে পারেনি বাফুফে।
তবে এবার পেশাদার প্রক্রিয়া অনুসরণ করার কথাই জানালেন ফাহাদ করিম।
“সাধারণত যা হয়, একটা খেলোয়াড় আসে, একটা সেশন করে আর আমরা সেখান থেকে বেছে নেই। তবে আমরা এবার একটা পেশাদার প্রক্রিয়া মেনে এগিয়ে যেতে চাচ্ছি। যেখানে স্কাউটিং, ভিডিও এনালাইসিস থাকবে, কোচিং টিম থাকবে, টেকনিক্যাল টিম থাকবে। এটা হলে আমাদের কাছে একটা ডাটাবেজ থাকবে। এর পাশাপাশি আমরা এটাও বুঝতে পারব যে কে কোথায় ফিট হবে, কার কী সামর্থ্য আছে। এটা আশা করা ঠিক হবে না ৩০ প্লাস খেলোয়াড়ের সবাই যোগ্য হবে। আমরা এদের থেকে একজন ভালো খেলোয়াড়ও যদি পাই, আমাদের টার্গেট থাকবে আমাদের।”
এর আগে বাংলাদেশের হয়ে যারাই প্রতিনিধিত্ব করতে চেয়েছেন, তারা সবাই মূলত বিবেচনায় ছিলেন সরাসরি জাতীয় দলের জন্য। তবে কাজটা বয়সভিত্তিক দল থেকেই শুরু করবে বাফুফে।
“এখানে কোনো বাধ্যবধকতা নেই। আমাদের এই পুলে বয়সের সীমা রাখা হয়েছে ১৭ থেকে ২২। আমি মনে করি এটা একটা ভালো বয়স। যেহেতু তারা বাইরে পেশাদার বা সেমি-পেশাদার ক্লাবের সাথে আছে, তার মানে তাদের সেই প্রস্তুতিটা থাকবে। আমাদের কাছে ডাটাবেজ থাকবে, আমরা আশা করি সেখান থেকে আমরা কিছু খেলোয়াড় নিতে পারব বয়সভিত্তিক দল ও সেপ্টেম্বরে এএফসি অ-২৩ কাপের জন্য। আর সেখানে পারফর্ম করতে পারলে পরবর্তী লক্ষ্য থাকবে জাতীয় দল।”
বোর্নমাউথের বিপক্ষে ম্যাচে পাওয়া চোট যতোটা ভাবা হয়েছিল, তার চেয়ে গুরুতর হিসেবেই প্রমাণ হয়েছে আর্লিং হলান্ডের। ফলে শঙ্কা জেগেছে তার এই মৌসুমে আর মাঠে না ফেরার। তবে ম্যানচেস্টার সিটি এখনও বেশ আশাবাদী। ক্লাবটির বিশ্বাস, এই মৌসুমে আবারও মাঠ মাতাবেন নরওয়ের এই স্ট্রাইকার।
গত রোববার এফএ কাপে সিটির ২-১ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে গোড়ালিতে আঘাত পান হলান্ড। এরপর মাঠ ছাড়েন প্রতিরক্ষামূলক বুট পরে। এর আগেই অবশ্য দেখা পান গোলের। ম্যাচে সিটি জেতে ২-১ গোলে।
সোমবার সিটি জানিয়েছে, চোট থেকে সুস্থ হওয়ার সময় জানার জন্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন হলান্ড। তবে তাদের আশা, এই মৌসুমের শেষের অংশে মাঠে ফিরবেন ২৪ বছর বয়সী এই ফুটবলার। আর অংশ নেবেন আগামী জুনে হতে যাওয়া ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপেও।
এই মৌসুমে ৪০টি ম্যাচে ৩০ গোল করেছেন হলান্ড। সদ্য পাওয়া এই চোটের ফলে এই সপ্তাহে লেস্টার সিটির বিপক্ষে ম্যাচ ও আগামী রোববার ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ম্যানচেস্টার ডার্বি মিস করার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি এখন।
প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের নয়টি ম্যাচ বাকি থাকা সিটি এখন পয়েন্ট টেবিলে আছে পঞ্চম স্থানে। শেষ চার লিগ ম্যাচে পেপ গার্দিওলার দল জিতেছে মাত্র একটি ম্যাচে।
উল্লেখ্য, আগামী ১৮ জুন মরক্কোর দল ওয়াইদাদ এসির বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে সিটি।
নিজের রিয়াল মাদ্রিদ ক্যারিয়ারে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো নিজেকে নিয়ে গেছেন গ্রেটদের কাতারে। ক্লাবটির ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলস্কোরার তিনি। সময়ের অন্যতম সেরা কিলিয়ান এমবাপের মাঝে অনেকেই দেখেন সেই একই মানের রেকর্ড গড়ার সম্ভাবনা। কার্লো আনচেলত্তিও ব্যতিক্রম নন। রিয়াল কোচ মনে করেন, ফরাসি তারকার পক্ষে সম্ভব রোনালদোর মানে যাওয়ার।
২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত রিয়ালে খেলেন রোনালদো। ব্যক্তিগত অর্জনের পাশাপাশি দলগত অর্জনের দিক থেকেও তিনি ওই সময়ে স্প্যানিশ ক্লাবটিকে দিয়েছিলেন ভিন্ন মাত্রাই। তাকে আইডল মানা এমবাপে রিয়ালে যোগ দিয়ে আছেন দারুণ ছন্দেই। এরই মধ্যে করে ফেলেছেন ৩৩ গোল, যা দলটিতে নিজের প্রথম মৌসুমে রোনালদোর সমান সংখ্যক গোল। তুলনাটা তাই চলেই আসছে।
সোমবার সংবাদ সম্মেলনে এই প্রসঙ্গে প্রশ্নে আনচেলত্তি প্রশংসাই করেছেন এমবাপের। “এমবাপের জন্য রোনালদো জায়গায় যাওয়া একটু কঠিনই হবে। তবে আমি বিশ্বাস করি, দীর্ঘ মেয়াদে সে সেই জায়গায় যেতে পারবে। বলার অপেক্ষা রাখে না, তার সেই সামর্থ্য আছে৷ আমি আশা করি সে যেন এই ক্লাবের কিংবদন্তি হয়ে উঠতে পারেন। সে এখানে এটা করতে পারে। রিয়ালে ক্রিস্তিয়ানো প্রভাব গোলের চেয়েও অনেক বেশি ছিল।”
লেফট উইং পছন্দের পজিশন হলেও রিয়ালে আসার পর থেকে এমবাপেকে খেলতে হচ্ছে স্ট্রাইকার হিসেবে। তিনি সেখানে দারুণভাবে মানিয়ে নেওয়ায় বেঞ্চেই অধিকাংশ সময় পার করতে হচ্ছে ব্রাজিলের তরুণ সেনসেশন এন্দ্রিক। এই মৌসুমে কালেভদ্রে শুরুর একাদশে জায়গা মিলছে তার। বদলি হিসেবেও হতে পারেননি নিয়মিত।
আনচেলত্তি অবশ্য মনে করেন, এই বাস্তবতা মেনেই এন্দ্রিককে এগিয়ে যেতে হবে। “এন্দ্রিক ভালো করছে, সে কোপা দেল রে-তে খেলতে পারে। সবাইকে সমান সুযোগ দেওয়া সম্ভব নয়। কখনও কখনও আপনাকে এটা মেনে নিতে হবে যে, আপনাকে বেঞ্চে থাকতে হবে। কারণ, এই দলটি বিশ্বমানের সব খেলোয়াড় দিয়ে পরিপূর্ণ।”
টানা চার মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ জিতে কাজটা ভীষণ সহজ বানিয়ে ফেলেছিল ম্যানচেস্টার সিটি৷ তবে এই মৌসুমে মুদ্রার ওপর পিঠ দেখতে হচ্ছে পেপ গার্দিওলার দলকে। লড়তে হচ্ছে শীর্ষ চারে থাকার জন্য। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অভিযানও শেষ আগেভাগেই। আর তাই অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার বার্নাদো সিলভা মনে করছেন, এফএ কাপ জিতলেও তাদের উচ্ছ্বসিত হওয়ার কিছু থাকবে না।
প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলে পঞ্চম অবস্থানে থাকা সিটি এরই মধ্যে বাদ পড়েছে কারাবাও কাপ থেকেও। ফলে একমাত্র আশা টিকে আছে এফএ কাপে, যেখানে রোববার রাতে বোর্নমাউথকে ২-১ গোলে হারিয়ে তারা পা রেখেছে সেমিফাইনালে।
এই টুর্নামেন্টে জিতলে সিটির মৌসুম সফল হবে কিনা, সেই প্রশ্নে ম্যাচ শেষে সিলভা বলেছেন আক্ষেপের কথা।
“না, আমাদের লেভেল এর চেয়ে অনেক বেশি উঁচুতে। আর তাই অবশ্যই আমরা এফএ কাপ জিততে পারলে খুশি হব, তবে এটি আমাদের মৌসুমকে ভালো করবে না।”
চলতি মৌসুমে গত বছরের শেষ ভাগে বড় ধাক্কা খায় সিটি। হারে টানা পাঁচ ম্যাচ। গেল বছরের শেষ ম্যাচে লেস্টার সিটির বিপক্ষে জয় ছিল ১৪ ম্যাচের তাদের প্রথম লিগ ম্যাচে জয়। পেপ গার্দিওলার কোচিং ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে মৌসুমও এটাই।
সিলভা মনে করেন, ধারাবাহিকতার অভাবই তাদের ডুবিয়েছে।
“আমাদের যে মাসগুলো খারাপ গেছে, তার দায় আমাদেরই। আমরা অজুহাত দেখাতে পারি না। আমাদের এর চেয়ে অনেক ভাল করা উচিত ছিল। এখন থেকে আমরা কেবল যা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তা হল আমাদের পারফরম্যান্স। আর আজকে দলের কাছ থেকে একটা ভালো পারফরম্যান্স ছিল।”