দুই দলই মাঠে নেমেছিল বাছাইয়ে অপরাজিত থেকে। আর্জেন্টিনা অবশ্য ছিল শতভাগ জয়ের রেকর্ড নিয়ে। তবে লাতিন ফুটবলে প্রতিপক্ষ হিসেবে কলম্বিয়া যে এখন কতোটা কঠিন প্রতিপক্ষ, সেটা আরও একবার দলটি প্রমাণ করেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের প্রথম হারের স্বাদ উপহার দিয়ে। প্রতিপক্ষের প্রতি সম্মান থাকলেও এই পরাজয়ে ক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়াই জানিয়েছেন লিওনেল স্কালোনি। আর্জেন্টিনা কোচ স্পষ্ট বলেছেন, রেফারির একতরফা সিদ্ধান্ত তাদের বিপক্ষে গেছে আর সেটাই ম্যাচের পার্থক্য গড়েছে।
১-১ সমতা থাকা অবস্থায় ৬০তম মিনিটে বক্সের ভেতর দানিয়েল মুনোজকে ফাউল করে বসেন নিকোলাস ওতামেন্দি। প্রথমে রেফারি সেটি এড়িয়ে গেলেও এরপর সময় নিয়ে ভিএআরে চেকে সিদ্ধান্ত বদলে পেনাল্টি দেন। আর সেখান থেকেই জয়সূচক গোলটি করে হামেস রদ্রিগেজ আর্জেন্টিনাকে প্রায় ভুলতে বসা হারের তেতো স্বাদ দেয়।
আরও পড়ুন: ‘দরিভাল সেরা ফুটবলের সন্ধানে আছেন, ফলাফলে এর প্রভাব পড়ছে’
ম্যাচের পর রেফারির ওই সিদ্ধান্ত প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন স্কালোনি। তার মতে, কোনোভাবেই এটা পেনাল্টি ছিল না। “একটি ম্যাচে যখন খুব কাছাকাছি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়, তখন মাঝে মাঝে এই ধরণের সিদ্ধান্ত ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয় এবং সেটাই হয়েছে। সেই পেনাল্টিটাই ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণ করে দিয়েছে। শুধু তিনি (রেফারি) ও পাঁচজন ভিএআর কর্মকর্তাই পেনাল্টিটি দেখেছেন, বাকিরা নয়। তবে ফুটবল এমন একটি খেলা, যেখানে আপনাকে আপনার চারপাশে যা যা হচ্ছে তা দেখতে হবে। আর মুনোজ যা করেছে, সেটাই তো আপনাকে সব বলে দেয়। তিনি কোনো রকম প্রতিবাদও করেননি। মনস্তাত্ত্বিক জায়গায় এটি তাদের এগিয়ে দিয়েছে এবং আমাদের নার্ভাস করেছে।”
যে পেনাল্টি নিয়ে স্কালোনির এত ক্ষোভ, সেটার প্রেক্ষাপটে তিনি যা বলেছেন, তা অবশ্য ভুল বলেননি। ভিএআর চেকে রেফারি যেসব পজিশন থেকে ফাউলটি দেখেছেন, সেখান থেকে স্পষ্টভাবে পেনাল্টি পাওয়ার মত ফাউল ছিল কিনা, তা নিয়েও রয়েছে ধোঁয়াশা। তাছাড়া ওতামেন্দির ফাউলের শিকার হওয়ার পর মুনোজ রেফারির কাছে পেনাল্টির আবেদনই জানাননি। এছাড়া
স্কালোনির হতাশাও ঠিক এখানেই। “আমি তাকে (রেফারি) আর মুনোজকে একটাই কথা বলেছিলাম যে, পুরো মাঠে সেই ছিল একমাত্র খেলোয়াড়, যে ফাউলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেননি। যারা পেনাল্টি দিয়েছেন, তাদের স্বাগত জানাই এবং এটা নিয়ে আর কিছু বলার নেই। হতাশাজনক ব্যাপার এবং পরিতাপের বিষয় হল যে, সেই পেনাল্টির পরে খেলাটি কার্যত শেষ হয়ে যায়, এটিই আমাকে বিরক্ত করেছে।”
এই হারের পরও লাতিন অঞ্চলের বাছাইয়ে ৭ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে সবার ওপরে আছে আর্জেন্টিনা।
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:৫২ পিএম
শেষ সাত মৌসুমে ছয়বারই প্রিমিয়ার লিগের শিরোপাটা ঘরে তুলেছে ম্যানচেস্টার সিটি। তবে চলতি মৌসুমে সিটিজেনদের বেহাল দশা। শঙ্কা তৈরি হয়েছে সেরা চারে জায়গা পাওয়া নিয়েই। তাতে পেপ গার্দিওলা মৌসুমের মাঝপথে ছেড়ে দিয়েছেন প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন। সেই সাথে জানুয়ারির দলবদলে সাহায্য দরকার বলেও মনে করেছেন সিটি কোচ।
রবিবার রাতে পাঁচ ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেয়েছে সিটি। স্যাভিনিও ও আর্লিং হলান্ডের গোলে লেস্টার সিটির মাঠ থেকে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা ফিরেছে তিন পয়েন্ট নিয়ে। তাতে পয়েন্ট টেবিলে দুই ধাপ এগিয়ে পাঁচ নম্বরে উঠে এসেছে গার্দিওলার দল। তবে শীর্ষে থাকা লিভারপুল থেকে এখনো ১৪ পয়েন্ট পিছিয়ে সিটি। তাতে শিরোপা জয়ের স্বপ্নটা বাদ দিয়েছেন গার্দিওলা।
“প্রিমিয়ার লিগ জেতা থেকে অনেক পিছিয়ে পড়েছি আমরা। এবার আর সুযোগ নেই, সেটা আমরা মেনে নিয়েছি। কিন্তু এফএ কাপ, সেরা চারে থাকা ও ম্যাচ জেতার জন্য দল লড়াই করে যাবে।”
শেষ ১৩ ম্যাচে কেবল এক জয়ই পেয়েছিল সিটি। লেস্টার ম্যাচের আগে তাই চাপ জেঁকে ধরেছিল গার্দিওলার দলকে। ম্যাচটা জিতে সেই চাপ কিছুটা হলেও কমাতে পারেছে তারা,
“এটা আমাদের জন্য স্বস্তি। আমরা অনেক ভালো কিছু করেছিলাম, তবে এখন ম্যাচ জিততেই কষ্ট হচ্ছে, এই জয়টা তাই আমাদের জন্য দারুণ স্বস্তি।”
চোটের হানায় গার্দিওলা মৌসুমের শুরু থেকেই পূর্ণ শক্তির দল পাচ্ছেন না। তাই জানুয়ারির দলবদলে নতুন ফুটবলার দরকার বলেই মানছেন এই স্প্যানিয়ার্ড,
“কয়েকটা জায়গায় আমাদের সাহায্য লাগবে। আমরা সবাই যখন একসাথে থাকি তখন দল হিসেবে খেলতে পারি, তবে গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলাররা লম্বা সময় না থাকলে আমাদের জন্য কাজটা কঠিন হয়ে যায়।”
শুক্রবার দুবাইতে গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডে লিগ আঁ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। ঢিলটা যেহেতু ছুড়েছিলেন, পাটকেলটাও খেতে হলো রোনালদোকে– সেটাও লিগ আঁ’র এক্স হ্যান্ডলের অ্যাডমিনের কাছ থেকে। লিগ আঁ রোনালদোকে জবাব দেওয়ার জন্য বেছে নিয়েছে লিওনেল মেসিকে। রোনালদোর সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষের বিশ্বকাপ জয়ের ছবি দিয়েই রোনালদোকে জবাব দিয়েছে লিগ আঁ।
গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ড শুরুর আগে অতিথি হিসেবে থিবো কোর্তোয়ার সঙ্গে বেশ অনেকক্ষণ কথা বলেন রোনালদো। সেই সাক্ষাৎকারে রোনালদো এক পর্যায়ে বলে বসেন, ফরাসি লিগ থেকে এগিয়ে সৌদি প্রো লিগ। যার কারণ হিসেবে পর্তুগাল অধিনায়ক দাঁড় করান আবহাওয়াকে। মধ্য প্রাচ্যের তপ্ত গরমে খেলাটা যে সহজ কাজ নয় সেটাই রোনালদো জানিয়েছেন। সেই সাথে পিএসজির একক আধিপত্যকেও লিগ আঁ-কে পিছিয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন আল নাসর তারকা।
অবশ্য এবারই প্রথম না, চলতি বছরের জানুয়ারিতেও রোনালদো একই ধরনের মন্তব্য করেন। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সমালোচনাই শুনতে হয়েছে রোনালদোকে। এবার শুধু সমালোচনাই না, লিগ আঁ থেকে জবাবও পেয়েছেন রোনালদো।
শনিবার রাতে লিগ আঁ তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে মেসির বিশ্বকাপ জয়ের ছবি দিয়ে লিখে,
“মেসি ৩৮ ডিগ্রি গরমে খেলেছে।”
লিগ আঁ-র সরাসরি খোঁচা, মেসি এই গরমে খেলেই একটা বিশ্বকাপ জিতেছেন, যেখানে রোনালদোর পর্তুগাল মরক্কোর কাছে হেরে বাদ পড়েছিল কোয়ার্টার ফাইনালে। রোনালদোর যুক্তির বিপরীতে লিগ আঁ’র এমন খোঁচা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাড়া ফেলেছে বেশ।
ডিসেম্বর মাসটা দারুণ কেটেছে জুড বেলিংহামের। গোল করা কিংবা করানো সব দিক থেকেই ইংলিশ মিডফিল্ডার ছিলেন দারুণ ছন্দে। তার পুরস্কারও অবশ্য বেলিংহাম পেয়েছেন। নির্বাচিত হয়েছেন ডিসেম্বরে লা লিগার সেরা ফুটবলার।
নভেম্বরে মাস সেরার খেতাবটা জিতেছিলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ডিসেম্বরে পাঁচ ম্যাচে চার গোলের পাশাপাশি দুই অ্যাসিস্ট করে লা লিগার মাস সেরার মুকুটটা পরেছেন বেলিংহাম। চলতি মৌসুমে প্রথমবারই মাস সেরার পুরস্কার উঠেছে বেলিংহামের হাতে।
এবারের মৌসুমে বেলিংহামের শুরুটা হয়েছে ভিন্নরকম। কিলিয়ান এমবাপের আগমনে কার্লো আনচেলত্তি বদলেছেন তার রোল। তবে যেখানেই খেলেছেন রিয়াল তারকা নিজের সেরাটাই দিয়েছেন। লম্বা সময় গোল খরায় ভুগলেও মিডফিল্ডে নিজের কাজটা ঠিকই করে গেছেন।
গেল মৌসুমে একের পর এক গোল করা বেলিংহাম এবার গোলের দেখা পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে দুই মাসেরও বেশি সময়। ওসাসুনার বিপক্ষে গোল পাওয়ার পর অবশ্য টানা ছয় লা লিগা ম্যাচে গোলের দেখা পেয়েছেন ২১ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার। সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে ২১ ম্যাচে সাত গোলের পাশাপাশি করেছেন ছয় অ্যাসিস্ট।
বছরের শেষটা বার্সেলোনার হয়েছে ভুলে যাওয়ার মতই। আতলেতিকো মাদ্রিদের কাছে হেরে হারিয়েছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান। তারমধ্যে দলের সেরা পারফর্মার লামিন ইয়ামাল চোটের হানায় ছিটকে গেছেন। ফিরতে মাসখানেক লাগার কথা শোনা গেলেও তা কমে আসছে বলেই জানাচ্ছে মার্কা।
স্প্যানিশ গণমাধ্যমটি বলছে পরের সপ্তাহে দলের অনুশীলনে যোগ দিচ্ছেন ইয়ামাল। বারবাস্ত্রোর সাথে কোপা দেল রের কোয়ার্টার ফাইনাল দিয়ে আবারও ম্যাচে ফিরবে বার্সেলোনা। তবে সেই ম্যাচে ইয়ামালকে দেখা না যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
পরের ম্যাচ আতলেতিক বিলবাওয়ের সাথে সুপার কাপের সেমিফাইনাল দিয়ে ইয়ামাল ফিরতে পারেন বলে জানাচ্ছে মার্কা। ম্যাচের শুরু থেকে না খেললেও বদলি হিসেবে মাঠে নামতে পারেন ১৭ বছর বয়সী এই তারকা।
গেল মৌসুমের মতো ইয়ামাল চলতি মৌসুমেও আছেন দারুণ ছন্দে। সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে ২১ ম্যাচ খেলে ছয় গোলের পাশাপাশি করেছেন ১২ অ্যাসিস্ট।
চোটের ধকলের মাঝে ইয়ামাল অবশ্য পেয়েছেন খুশির খবরও। শুক্রবার রাতে গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডে জিতেছেন সেরা উদীয়মান ফুটবলারের পুরস্কার। দুবাইতে পুরস্কার হাতে নিয়ে শুনিয়েছেন চোট কাটিয়ে আর ভালোভাবে ফেরার কথা।
“আমি পুনর্বাসন পক্রিয়ায় আছি, কিন্তু এবার আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরবো। আপনি যখন খেলার বাইরে থাকেন তখন বুঝতে পারবেন যে আপনি যা করছেন তা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ভাগ্য খারাপ চোটে পড়েছি আমি, তবে এমনটা যে কারও সাথেই হতে পারে।”
সময়ের হিসেবে আট মৌসুম ম্যানচেস্টার সিটির ডাগআউটে পার করে ফেলেছেন পেপ গার্দিওলা। রবিবার রাতে লেস্টার সিটির বিপক্ষে ৫০০তম বারের মত দাঁড়াবেন সিটির ডাগআউটে। বিশেষ এই মুহূর্তে গার্দিওলা আছেন বেশ চাপে। দলের পারফরম্যান্সের গ্রাফ দিনকে দিন নমছে নিচের দিকে। তাতে সমালোচনার তীর যেন ছেয়ে যাচ্ছে গার্দিওলাকে। তবে এই স্প্যানিয়ার্ড জানিয়ে দিয়েছেন হাল ছাড়ার পাত্র তিনি নিন। সিটিকে পুরনো রূপে ফেরাতে চালিয়ে যাবেন লড়াই।
লিগে শেষ ১৩ ম্যাচে কেবল একটা জয় পেয়েছে সিটি। আছে পয়েন্ট টেবিলের সাত নম্বরে। তাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা পাওয়া নিয়েই শঙ্কা তৈরি হয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। এমন পরিস্থিতিতেও আস্থা হারাচ্ছেন না গার্দিওলা। লেস্টার ম্যাচের আগে দলকে পুরনো রূপে ফেরাতে কঠিন লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথাই শুনিয়েছেন তিনি।
“আমি চেষ্টা চালিয়ে যাবো। এতো সহজে হাল ছাড়ছি না। আমি এখানেই থাকছি। পরিস্থিতি বদলাতে আমরা একসাথে লড়াই চালিয়ে যাবো। অন্যদের মতো আমিও এই সময়টা বদলাতে চাই। ক্লাবের সমর্থকদের হতাশ করতি চাই না।”
২০১৬-১৭ মৌসুমে গার্দিওলা দায়িত্ব নেন ম্যানচেস্টার সিটির। প্রথম মৌসুমে প্রাপ্তির ঝুলিতে ছিল না কিছুই। লিগে তৃতীয় হয়েই শেষ করেছিল তারা। তবে পরের মৌসুমেই ঝলক দেখানো শুরু করেন গার্দিওলা। সিটিকে জেতান প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি গার্দিওলাকে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সহ গেল আট মৌসুমে সবই জিতিয়েছেন সিটিজেনদের। সব মিলিয়ে এই সময়ে ঘরে তুলেছেন ১৮টি শিরোপা।
শক্তিমত্তার বিচারে সিটিকে গড়ে তোলেন ইউরোপের অন্যতম পরাশক্তি হিসেবে। পরিসংখ্যান প্রমাণ দিচ্ছে তারই। সব মিলিয়ে সিটির ডাগআউটে গার্দিওলা দাঁড়িয়েছেন ৪৯৯ ম্যাচ। যেখানে ৩৫৪ ম্যাচেই জয় পেয়েছে গার্দিওলার দল, ড্র করেছে ৭৩ ম্যাচ, আর তারা হারেছে ৭২ ম্যাচে। ৭০ ভাগের বেশি ম্যাচই জয় পেয়েছে গার্দিওলার দল।
পারসেন্টেজের হিসাব টানলে বার্সেলোনা কিংবা বায়ার্ন মিউনিখে গার্দিওলার জয়ের পাল্লাটা ভারি। তবে ম্যাচের সংখ্যা টানলে সিটির ডাগআউটে গার্দিওলা যা করে দেখিয়েছেন তা অবিশ্বাস্যই বটে। ৫৩ বছর বয়সী এই কোচ বর্তমানে পার করছেন কোচিং ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কঠিন সময়। যেটা কাটিয়ে উঠার দিকেই এখন নজর গার্দিওলার।
“আমাদের সবাইকে নিজেদের কাজটা করতে হবে, সমর্থকদের শান্ত করতে হবে। এটা নিয়ে কোনো সংশয় নেই। এখন আমাদের জন্য সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ফিরে আসা, যেটা আমরা আগেও করেছি।”