২২ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৫৩ এম
আগের মৌসুমে এল ক্লাসিকোর মধুর স্মৃতি কি আর সহজে ভুলা যায়। একবার দু’বার নয় গুনে গুনে টানা চারবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিদের হারায় বার্সেলোনায়। এবারও কি আগের মৌসুমের পুনরাবৃ্ত্তি দেখা যাবে? নাকি জাবি আলোনসোর নতুন রিয়াল মাদ্রিদ পাল্টা আক্রমণে পরাস্ত করবে বার্সাকে ?
বার্সেলোনার ডিফেন্ডার আলেক্সান্দ্রো বালদে এবারও রিয়ালকে উড়িয়ে দিতে আত্মবিশ্বাসী। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গতকাল রাতে গ্রিসের ক্লাব অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে ৬-১ গোলের জয় স্বাভাবিকভাবেই আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে কাতালান ক্লাবটির। এল ক্লাসিকোয় রিয়ালকে আগের মৌসুমের মতোই উড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বালদে।
অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে বার্সা ডিফেন্ডার বলেন, ‘আশা করছি আমরা আবার সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে মাদ্রিদকে হারাতে পারব, তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো তিন পয়েন্ট কে অর্জন করে।’
আরও পড়ুন
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোল বৃষ্টির রাতে পিএসজি-আর্সেনাল-ইন্টারের ‘ভূমিধস’ জয় |
![]() |
বার্সার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি রিয়ালও আছে দারুণ ছন্দে। লা লিগায় পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আছে কিলিয়ান এমবাপে-ভিনিসিয়াস জুনিয়রের দল। চ্যাম্পিয়নস লিগেও দুই ম্যাচের দু’টিতেই জিতেছে এই প্রতিযোগিতার সবচেয়ে সফল ক্লাবটি। আজ রাতে ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্যের প্রতিযোগিতায় তাদের প্রতিপক্ষ জুভেন্টাস। এরপর লা লিগায় আগামী রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ১৫ মিনিটে ঘরের মাঠে বার্সেলোনার মুখোমুখি হবে রিয়াল।
সম্প্রতি কোন দল বেশি ছন্দে আছে সেটা এল ক্লাসিকোয় প্রভাব রাখবে না বলে মনে করেন বালদে। ৯০ মিনিটের মহারণে যেকোনো কিছুই হতে পারে বলছেন তিনি, ‘আমার মনে হয়, এল ক্লাসিকোর আগে আমাদের ইতিবাচক অনুভূতি আছে। যদিও কোন দল ভালো ফর্মে আছে তা আসলে কোনো ব্যাপার নয়। এই ম্যাচে যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে।’
বার্সা কোচ হান্সি ফ্লিক অবশ্য গত বছরের এল ক্লাসিকোকে অতীত হিসেবেই মনে রাখছেন। চলতি মৌসুমে দুই দলের পরিস্থিতিই ভিন্ন বলছেন জার্মান কোচ,‘গত বছরটা অসাধারণ ছিল, কিন্তু এখন আমাদের সামনে ভিন্ন পরিস্থিতি। আমি আশাবাদী এবং মনে করি আমরা মাদ্রিদে জিততে পারব। আমাদের একটি ভালো দল আছে এবং হয়তো একটি খেলোয়াড়ও ফিরে আসতে পারে।”
রিয়ালের বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শিষ্যদের সবটুকু নিংড়ে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে রাখলেন বার্সা কোচ ,আমাদের সব খেলোয়াড়কে সর্বোচ্চটা উজাড় করে খেলতে হবে। মাদ্রিদ একটি অসাধারণ দল এবং আমাদের লড়াই করতে হবে।’
No posts available.
২৩ অক্টোবর ২০২৫, ২:২০ পিএম
তারকা ফুটবলার তৈরির আতুঁড়ঘর বলা হয়ে থাকে লা মাসিয়াকে। বার্সেলোনার এই একাডেমির হাত ধরে বহু রথী-মহারথীরা ইতিহাস লিখেছেন। কাতালান ক্লাবটির স্তম্ভের মতো এই একাডেমি।
লিওনেল মেসি, জাভি, ইনিয়েস্তা কিংবা হালের লামিনে ইয়ামাল, গাভি, ফারমিন লোপেজ এই লা মাসিয়ারই সৃষ্টি। অনেকের মতে বার্সার এই একাডেমিই ফুটবলবিশ্বে সেরা। তবে সম্প্রতি এক গবেষণায় লা মাসিয়া নয়, শীর্ষ একডেমি বলা হচ্ছে পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকার একাডেমিকে।
ফুটবলসহ বিভিন্ন খেলার পরিসংখ্যান, বিশ্লেষণ ও গবেষণা সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর স্পোর্ট স্টাডিজ (সিআইইএস)। প্রতিষ্ঠানটি একটি ট্রেনিং ইনডেক্সের ভিত্তিতে একাডেমিগুলোর র্যাংকিং করেছে। এসব একাডেমির খেলোয়াড় তৈরির সংখ্যা, তারা সবশেষ বছর যে ক্লাবগুলোর হয়ে খেলেছে তার মান এবং একই সময়ের মধ্যে খেলানো অফিসিয়াল ম্যাচের মিনিট গণনা করে তৈরি করা হয়েছে এই র্যাংকিং। আর এই র্যাংকিংয়েই বিশ্বের সেরা একাডেমি বেনফিকার `বেনফিকা ক্যাম্পাস দে ফুটবল এম সেক্সাল’।
আরও পড়ুন
অপ্রতিরোধ্য বায়ার্নের টানা ১২ জয় |
![]() |
বার্সেলোনার লা মাসিয়া একাডেমি থেকে ৭৬ জন ফুটবলার বর্তমানে ৪৯টি লিগে খেলছে। গত ১২ মাসে তারা অফিসিয়াল ম্যাচে গড়ে ২,৭৭৩ মিনিট ক্লাবের হয়ে মাঠে ছিলেন। বিপরীতে ৯৩ জন প্রশিক্ষিত খেলোয়াড় নিয়ে বার্সার একাডেমি থেকে এগিয়ে আছে বেনফিকা। গড়ে ২,৫৮২ মিনিট মাঠে সময় কাটিয়েছেন পর্তুগিজ ক্লাবটির একাডেমির ফুটবলাররা।
অবশ্য লা মাসিয়ার অবস্থান যেখানেই থাকুক এই একাডেমি যে বার্সার জন্য কতটা আশীর্বাদ সেটা ক্লাবটির বর্তমান কোচ হান্সি ফ্লিক ভালোভাবেই জানেন। স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবটির অর্থনৈতিক দুর্দশার মধ্যে লা মাসিয়ান গ্র্যাজুয়েটরা ক্লাবের ত্রাতা হিসেবেই যেন আছে।
বার্সার সবশেষ ম্যাচের দিকে লক্ষ্য করলেই টের পাওয়া যায় নিজেদের একাডেমি থেকে কতটা উপকৃত হচ্ছে তারা। চ্যাম্পিয়নস লিগে অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে শুরুর একাদশে ছিলেন ইয়ামাল, ড্রো ফার্নান্দেজ, লোপেজ, পাও কুবার্সি, আলেজান্দ্রো বালদে, এরিক গার্সিয়া এবং মার্ক কাসাডো, সাতজনই লা মাসিয়া থেকে উঠে আসা তরুণ ফুটবলার। এমনকি ৬-১ গোলে জেতা ম্যাচে চারটি গোলই করেন নিজেদের একাডেমির দুই ফুটবলার লোপেজ ও লামিন। ২২ বছর বয়সী মিডফিল্ডার ক্লাবটির ইতিহাসে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম হ্যাটট্রিক করার ইতিহাস লিখেন।
২০২৫-২৬ মৌসুমে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে এখন পর্যন্ত শতভাগ জয় পাওয়া ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ। দুর্দান্ত ছন্দে থাকা জার্মান জায়ান্টরা গতকাল রাতে পেয়েছে আরেকটি বড় জয়।
চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনাতে ক্লাব ব্রুজকে ৪-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে বায়ার্ন। ম্যাচের প্রথম ৩৪ মিনিটেই তিন গোল করে প্রতিপক্ষের ঘুরে দাড়ানোর সব পথ বন্ধ করে দেয় বাভারিয়ানরা। এই জয়ে প্রতিযোগিতার এবারের আসরে লিগ পর্বে টানা তৃতীয় ইউরোপীয় জয় তুলে নিয়েছে।
প্রথমে ১৭ বছর বয়সি লেনার্ট কার্লের গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। জার্মান ফুটবলারদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সবচেয়ে কম বয়সে গোল করার রেকর্ড গড়েন এই উইঙ্গার। এরপর উড়ন্ত ছন্দে থাকা হ্যারি কেইন ব্যবধান ২-০ করেন। মৌসুমে ১২ ম্যাচে ইংলিশ তারকা ফরোয়ার্ডের গোল হলো এখন ২০টি। লুইস দিয়াসের গোলে ৩৪ মিনিটেই আরেক দফা ব্যবধান বাড়ে। শেষ দিকে বদলি হিসেবে নামা নিকোলাস জ্যাকসন চতুর্থ গোলটি করে বায়ার্নের দাপটের রাতটির পূর্ণতা দেন।
আরও পড়ুন
বেলিংহামের গোলে জুভেন্টাসকে হারাল রিয়াল |
![]() |
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত ১২ ম্যাচে ১২ জয়ের শতভাগ রেকর্ড ধরে রেখেছে বায়ার্ন। চ্যাম্পিয়নস লিগে পূর্ণ ৯ পয়েন্ট নিয়ে তারা সরাসরি নকআউট পর্বের টিকিট কাটার দৌড়ে এগিয়ে গেল।
আগামী ৪ নভেম্বর বায়ার্নের প্রতিপক্ষ ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্যের প্রতিযোগিতার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন প্যারিস সেন্ট জার্মেই। আর বেলজিয়ামের ক্লাব ব্রুজ পরের ম্যাচে নিজেদের মাঠে আতিথ্য দেবে বার্সেলোনাকে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অন্য ম্যাচে ফরাসি ক্লাব মোনাকোর বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছে টটেনহ্যাম। পর্তুগিজ ক্লাব স্পোটিং সিপির বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতেছে আরেক ফরাসি ক্লাব মার্শেই। গোলশূন্য ড্র করে ইতালির ক্লাব আটালান্টাকে রুখে দিয়েছে চেক প্রজাতন্ত্রের ক্লাব স্লাভিয়া প্রাহা। তুর্কি ক্লাব গালাতাসারে ৩-০ গোলে জিতেছে নরওয়ের ক্লাব বোডো/গ্লিমটের বিপক্ষে।
স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে স্বরণীয় এক রাতের স্বাক্ষী হলো চেলসি। চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথমবারের মতো একই ম্যাচে তিন ‘টিনএজ’ গোল করল ইংলিশ ক্লাবটির হয়। ১৭ মিনিটেই ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া ডাচ ক্লাব আয়াক্সকে নিয়ে রীতিমতো ছিনিমিনি খেলল লন্ডনের ক্লাবটি।
ইউরোপ সেরা প্রতিযোগিতায় আয়াক্সকে ৫-১ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে চেলসি। ম্যাচের শুরুতেই সফরকারী দলের অধিনায়ক কেনেথ টেইলর লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। সেখানেই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে তারা। এক মিনিটের ব্যবধানেই ১৯ বছর বয়সী মার্ক গুইউ গোল করে চেলসির হয়ে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতার রেকর্ড গড়েন।
অবশ্য তবে সেই রেকর্ড টিকল মাত্র ৩৩ মিনিট। ১৮ বছর বয়সী এস্তেভাও উইলিয়াম স্পট কিক থেকে গোল করে নতুন ইতিহাস লেখেন। তার আগে চেলসির হয়ে এনজো ফার্নান্দেজ আর আয়াক্সের উট ভেগহর্স্ট পেনাল্টি থেকে গোল করেন। তারও আগে ২৭ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে দুর্দান্ত দূরপাল্লার শটে মোইসেস কাইসেডো প্রথমার্ধের গোল উৎসবে যোগ দেন।
৪-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে তিনটি পরিবর্তন আনে চেলসি। মাঠে নামার তিন মিনিটের মধ্যেই গোল করে ম্যাচে তৃতীয় টিনএজ হিসেবে স্কোরবোর্ডে নাম লেখান টাইরিক জর্জ । এরপর ১৭ বছর বয়সী রেজি ওয়ালশ মাঠে নেমে চ্যাম্পিয়নস লিগে চেলসির ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হয়ে যান। ইংলিশ ফুটবলারদের মধ্যে এ প্রতিযোগিতায় তার চেয়ে কম বয়সে খেলার রেকর্ড কেবল জ্যাক উইলশিয়ারের।
তিন ম্যাচে দুই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের ১১ নম্বরে আছে চেলসি। যেখানে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এক সময়ের পরাক্রমশালী আয়াক্স এখন তিন ম্যাচ হেরে ৩৬ দলের তালিকার একেবারে নিচে, আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা চার ম্যাচে জয়হীন ডাচ ক্লাবটি।
'জুড বেলিংহাম বিশ্বের সবচেয়ে পরিপূর্ণ খেলোয়াড়দের একজন।' রিয়াল মাদ্রিদের কোচ জাবি আলোনসো জুভেন্টাসের বিপক্ষে ম্যাচশেষে এভাবেই আরেকবার স্বরণ করিয়ে দিলেন চোট থেকে ফিরে জয়সূচক গোলে এনে দেওয়া বেলিংহামের মূল্য কতটা।
একের পর এক আক্রমণের ঢেউ তোলা রিয়াল আসল কাজটাই করতে পারছিল না। শেষ পর্যন্ত জুড বেলিংহামের মৌসুমের প্রথম গোলে মেলে নিস্তার। ম্যাচজুড়ে জুভেন্টাসের উপর আধিপত্য ধরে রেখে প্রাপ্য জয়টাই তুলে নেয় স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে গতকাল রাতে বেলিংহামের একমাত্র গোলে জুভেন্টাসকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে রিয়াল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ২০২৫-২৬ মৌসুমের তিন ম্যাচের তিনটিতেই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে রিয়াল। জুভেন্টাসের বিপক্ষে এই জয়ে নয় পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে পাঁচে লস ব্লাঙ্কোসরা। তিন ম্যাচে এক হার ও বাকি দু'টিতে ড্র করে ২৫ নম্বরে জুভেন্টাস।
আরও পড়ুন
ফ্রাঙ্কফ্রুটকে উড়িয়ে ভয়ংকর রূপে ফিরল লিভারপুল |
![]() |
নিজেদের ডেরা সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে সব সূচকেই এগিয়ে ছিল রিয়াল। ৬৬ শতাংশ পজেশন রেখে গোলের জন্য ২৮টি শট নিয়ে ১০টি লক্ষ্যে রাখে স্বাগতিকরা। বিপরীতে সফরকারী জুভেন্টাসের ১৩ শটের ৪টি লক্ষ্যে ছিল।
ম্যাচের শুরুতে অবশ্য উজ্জ্বল ছিল জুভেন্টাস। রিয়ালের গোলকিপার থিবো কোর্তোয়া শুরুতেই দুটি দারুণ সেভ করেন। যদিও প্রথমার্ধে ১৪টি শট নিয়ে সফরকারীদের চাপে রাখে রিয়ালই। প্রধামার্ধে ব্রাহিম দিয়াজ ও চুয়ামেনি একাধিকবার গোলের সুযোগ তৈরি করলেও জুভেন্টাস গোলরক্ষক দি গ্রেগোরিও ছিলেন দুর্দান্ত।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার সেরা সুযোগটি পায় জুভেন্টাস। এদার মিলিতাওকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন দুসান ভ্লাহোভিচ। ইতালির ক্লাবটির ফরোয়ার্ডের জোরাল শট এগিয়ে এসে পা দিয়ে রুখে দেন কোর্তোয়া। সেই সেভের পরই ম্যাচের দৃশ্যপট পাল্টে যায়।
৫৭ মিনিটে জয়সূচক গোলটি পেয়ে যায় রিয়াল। বক্সে প্রতিপক্ষের কয়েকজন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে ভিনিসিউস জুনিয়রের নেওয়া শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে, বল পেয়ে যান বেলিংহাম, কাছ থেকে জাল কাঁপাতে মোটেও ভুল করেননি ইংলিশ মিডফিল্ডার।
এ গোলের পর জুভেন্টাস আক্রমণ বাড়ানোর চেষ্টা করলেও সমতাসূচক গোলের দেখা পায়নি তারা। তাতে মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোর আগে ফুরফুরে মন নিয়েই মাঠে নামবে ভিনিসিয়াস-কিলিয়ান এমবাপেরা।
নামী দামি স্কোয়াড নিয়েও গত কয়েকটি ম্যাচে ছন্নছাড়া ফুটবল খেলায় বাড়ছিল চাপ। টানা চার হারের সুযোগে নিন্দুকরাও সমালোচনার ঝাপি খুলে বসে। অবশেষে হারের বৃত্ত থেকে মুক্তি মিলল লিভারপুলের। জার্মান ক্লাব ফ্রাঙ্কফ্রুটকে উড়িয়ে কি দারুণভাবেই না ফিরল অল রেডরা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গতকাল রাতে ফ্রাঙ্কফ্রুটের জালে গুনে গুনে পাঁচবার বল পাঠিয়েছে লিভারপুল। আর্নে স্লটের দল জিতেছে ৫-১ ব্যবধানে। ইংলিশ জায়ান্টদের ভিন্ন ভিন্ন পাঁচ ফুটবলার গোল পেয়েছেন। উগো একিতিকে, ভার্জিল ফন ডাইক, ইব্রাহিমা কোনাতে, কোডি গাকপো ও ডমিনিক সোবোসলাই।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ২০২৫-২৬ আসরে তিন ম্যাচে দুই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের ১০ নম্বরে আছে লিভারপুল। বিপরীতে এই প্রতিযোগিতার আগের ম্যাচেও ১-৫ গোলের বড় হার হজর করা ফ্রাঙ্কফ্রুট সমান ম্যাচে এক জয়ে ২২ নম্বরে।
ঘরের মাঠ ডয়েচে ব্যাংক পার্কে অবশ্য শুরুটা ভালোই হয়েছিল ফ্রাঙ্কফ্রুটের। ২৬ মিনিটে লক্ষ্যে প্রথম শট নিয়েই এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। মারিও গোটসের পাস ধরে ডি-বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে দলকে লিড এনে দেন গাসমুস ক্রিস্টেনসেন।
এরপরের গল্প শুধু লিভাপুলের গোল উৎসবের। বারবার সুযোগ নষ্টের হতাশা কাটিয়ে ১০ মিনিটের মধ্যে তিনবার জাল কাঁপায় অল রেডরা।
শুরুটা করেন একিটিকে। ৩৫ মিনিটে দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে গতিতে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের পরাস্ত করেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। সমতায় ফেরার চার মিনিট পরই ব্যবধান বাড়ানো গোল পেয়ে যায় লিভারপুল। কোডি গাকপোর কর্নার থেকে হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফন ডাইক। ৪৪ মিনিটে আরেকটি কর্নারের থেকে গোল করার সুযোগ লুফে নেয় তারা। এবার লক্ষ্যভেদ করেন কোনাতে।
দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের পর আক্রমণে ফ্রাঙ্কফ্রুটকে নাকাল করে ছাড়ে লিভারপুল। ৫৫ মিনিটে ফ্লোরিয়ান ভিয়েৎসের বাঁকানো ফ্রি কিক রুখে দেন স্বাগতিকদের গোলকিপার। ৬৬ মিনিটে ভিয়েৎসের অ্যাসিস্ট থেকে ব্যবধান ৪-১ করা গোলটি আসে গাকপোর নৈপুণ্যে। তিন মিনিট পর ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শটে দলের পঞ্চম ও শেষ গোলটি করেন সোবোসলাই।