১১ মে ২০২৫, ১০:৩২ পিএম
ম্যাচের শুরুটা দেখে মনে হচ্ছিল, মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে ভিন্ন ছন্দেই হাজির রিয়াল মাদ্রিদ। প্রথম দিকে এলেমেলো ফুটবল খেলা বার্সেলোনা খুব দ্রুতই নিজেদের গুছিয়ে নিল। বিরতির আগেই চার গোল খেয়ে বসা রিয়ালের হয়ে একাই লড়ে গেলেন কিলিয়ান এমবাপে, করলেন দারুণ এক হ্যাটট্রিক। তবে কার্লো আনচেলত্তির দলের রক্ষণভাগের ভুলে যাওয়ার মত এক ম্যাচে শেষ হাসি হাসল ইয়ামাল-রাফিনিয়ারাই। আর তাতে চলে গেল লা লিগা জয়ের আরও কাছে।
লা লিগায় রোববারের এল ক্লাসিকোর মহারণে আরও একবার বার্সেলোনার কাছে হেরেছে রিয়াল। ৪-৩ গোলে দুর্দান্ত জয়ে মৌসুমে রিয়ালকে টানা চার ম্যাচে হারের তেতো স্বাদ উপহার দিল ফ্লিকের দল।
আরও পড়ুন
‘ইয়ামাল বাচ্চা না, এমন পারফরম্যান্সই চায় বার্সা’ |
![]() |
এই জয়ে বার্সেলোনার লিগ জয়ও প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। তিন ম্যাচ হাতে রেখে ৮২ পয়েন্ট কাতালান ক্লাবটির। আর দুইয়ে থাকা রিয়ালের অর্জন ৭৫ পয়েন্ট।
লা লিগায় বড় ধরণের নাটকীয়তা না দেখা দিলে এই হারে নিশ্চিত হয়ে গেছে রিয়ালের শিরোপাহীন মৌসুম। দুই দফায় রিয়ালকে অসাধারণ সব সাফল্য এনে দেওয়া আনচেলত্তির জন্য শেষটা হতে যাচ্ছে ভুলে যাওয়ার মতোই।
ম্যাচে রিয়ালের শুরুটা অবশ্য হয় স্বপ্নময়। পাউ কুবার্সির দুর্বল ব্যাকপাস থেকে বল পেয়ে গতিতে বক্সের ভেতর প্রবেশ করেন এমবাপে। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে তাকে ফাউল করে বসেন গোলকিপার ওয়েজেচ সেজনি। পেনাল্টির বাঁশি সাথে সাথেই বাজিয়ে দেন রেফারি। ফরাসি তারকার বাঁদিকে নেওয়া নিচু শটে হাত লাগালেও আটকাতে পারেননি সেজনি।
এটি ছিল চলতি মৌসুমে লিগে এমবাপের ২৫তম গোল। লিড নিয়ে রিয়াল অব্যাহত রাখে ইতিবাচক ফুটবল। একের পর পর আক্রমণ শানায় দলটি। বিপরীতে ফ্লিকের দল গুছিয়ে নিতেই নষ্ট করে কিছুটা সময়।
নবম মিনিটে বলার মত প্রথম আক্রমণে বক্সের ভেতর কঠিন এঙ্গেল থেকে শট নিয়েছিলেন এরিক গার্সিয়া, তবে রিয়ালের জন্য তা বিপদের কারণ হয়নি।
১৪তম মিনিটে ফের বার্সেলোনার জালে বল, আর এবারও স্কোরার সেই এমবাপেই। তবে বল বানিয়ে দেওয়ার একটা বড় কৃতিত্ব পাবেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। প্রায় মাঝমাঠ থেকে দারুণ এক ডিফেন্সচেড়া পাসে খুঁজে নেন ফ্রানের বিশ্বকাপ জয়ী তারকাকে। বল রিসিভ করে জায়গা বানিয়ে সেজনিকে পরাস্ত করে রিয়ালের লিড বড় করেন এমবাপে।
গোলের লক্ষ্যে প্রথম দুই শট থেকেই জালের দেখা পাওয়া রিয়ালের আক্রমণের সামনে সেই সময়ে বেকায়দায় ছিল বার্সেলোনা। ১৮তম মিনিটে বক্সের একটু বাইরে থেকে লামিন ইয়ামালের কার্লিং শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ব্লক করেন থিবো কোর্তোয়া।
পরের মিনিটে আরেকটি ভালো সেভ দিলেও শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয় কোর্তোয়াকে। ফেররান তরেসের কর্নার কিক থেকে হেডারে জাল খুঁজে নেন এরিক গার্সিয়া, যিনি কোপা দেল রের ফাইনালেও রিয়ালের বিপক্ষে গোল করেছিলেন।
আরও পড়ুন
আবেগে ভেসে, চোখের জলে বায়ার্নকে বিদায় জানালেন কিংবদন্তি মুলার |
![]() |
এক গোল শোধ দিয়ে ক্রমেই রিয়ালকে চেপে ধরে বার্সেলোনা। খেই হারিয়ে ফেলা রিয়ালের খর্বশক্তির রক্ষণের জন্য গতিময় ইয়ামালকে সামলানো শুরু থেকেই ছিল কঠিন। ৩২তম মিনিটে তরেসের পাস থেকে কাট করে বক্সের ভেতর বাঁদিক থেকে বা পায়ের কোনাকুনি এক শটে গোল করেন স্প্যানিশ এই উইঙ্গার, লা লিগায় এটি এই মৌসুমে ইয়ামালের সপ্তম গোল।
পরপর দুই গোলের ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগে ফের গোল হজম করে বসে রিয়াল, যেখানে ফুটে ওঠে তাদের ছন্দপতন। বল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন এমবাপে, তবে ঠিক তার সামনে দাঁড়িয়ে যান সতীর্থ লুকাস ভাজকেস। দুজনের ভুল বোঝাবুঝি থেকে পাল্টা আক্রমণে বল পেয়ে যান রাফিনিয়া। নিখুঁত ফিনিশিংয়ে প্রথমবারের মত বার্সেলোনাকে লিড এনে দেন ব্রাজিল ফরোয়ার্ড।
শুরুতে ঝলক দেখানো রিয়াল এরপর আশা জাগিয়েছিল সমতা টানার। পেনাল্টি আদায় করেছিলেন এমবাপে। তবে তিনি নিজেই অফসাইড থাকায় সেটা আর মেলেনি।
উল্টো ৪৫তম মিনিটে আরেক গোল খেয়ে বসে রিয়াল। এবারও কেন্দ্রবিন্দু সেই ভাজকেসই। রিয়াল অধিনায়কের কাছ থেকে বক্সের বাইরে বল কেড়ে রাফিনিয়াকে পাস বাড়ান তরেস, ফাঁকায় থাকা দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই উইঙ্গারের সমস্যা হয়নি জালের দেখা পেতে। লা লিগায় এটি মৌসুমে রাফিনিয়ার ১৮তম গোল ছিল।
অবিশ্বাস্য এক প্রথমার্ধে রিয়াল শুরুর দুই গোলের পর লক্ষ্যেই আর শটই রাখতে পারেনি। বিপরীতে ১১টি শট নিয়ে ৭টি লক্ষ্যে রাখে বার্সেলোনা।
বিরতির পরও একই ছন্দ ধরে রাখে বার্সেলোনা। রিয়ালের জোড়াতালি দেওয়া রক্ষণভাগকে আরও একবার বিপদে ফেলেই দিচ্ছিলেন রাফিনিয়া। ৫৩তম মিনিটে বাঁদিক থেকে তার পাস থেকে ফাঁকায় দাঁড়ানো ইয়ামাল টোকা দিয়ে বল জালে পাঠালেও অফসাইডের কারণে আর মেলেনি গোল।
ম্যাচের ধারার বিপরীতে এর তিন মিনিট পর একটা সুযোগ পেয়েছিলেন এমবাপে, তবে শট উঁচিয়ে মেরে হতাশ করেন রিয়ালকে। পাল্টা আক্রমণ থেকে এরপর দুরন্ত গতিতে এগিয়ে ডান দিক থেকে ক্রস বাড়ানোর চেষ্টা করেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, তবে সেটা বাধাপ্রাপ্ত হয় আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেনের ক্লিয়ারিংয়ে।
শেষ পর্যন্ত এই জুটির হাত ধরেই গোল পায় রিয়াল। আরও একটি কাউন্টার এটাক থেকে বল পেয়ে দুজন এগিয়ে যান বার্সেলোনার বক্সে। নিজের সামনে সুযোগ থাকলেও গোলের সামনে এমবাপেকে দিয়ে হ্যাটট্রিক করান ভিনিসিয়ুস। ২৭তম গোলের মাধ্যমে লা লিগার সর্বোচ্চ গোলস্কোরারের তালিকায় রবার্ট লেভানদভস্কির চেয়ে দুই গোলে এগিয়ে যান ফরাসি ফরোয়ার্ড।
৭৪তম মিনিটে স্কোরলাইন ৫-৩ করার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন রাফিনিয়া। তার সামনেও ছিল হ্যাটট্রিকের আশা। ইয়ামালের ক্রসে ছিলেনও ভালো পজিশনে, তবে ছয় গজের ভেতর থেকে বল পোস্টের ওপর দিয়ে মেরে টিকিয়ে রাখেন রিয়ালের ম্যাচে ফেরার আশা।
আরও পড়ুন
ড্র করে সুযোগ মিসের হতাশায় গার্দিওলা |
![]() |
জমে ওঠা ম্যাচের ৮২তম মিনিটে বার্সেলোনা শিবিরে জোর দাবি ওঠে পেনাল্টির। বক্সের ভেতর অহেলিয়া চুয়ামেনির সম্ভাব্য হ্যান্ডবল সময় নিয়ে স্ক্রিনে দেখে রেফারি নাকচ করেন পেনাল্টির আবেদন। হাফ ছেঁড়ে বাচে রিয়াল।
৮৮তম মিনিটে ভিনিসিয়ুসের বদলি হিসেবে নামা তরুণ ফরোয়ার্ড ভিক্টর মুনজ প্রথম টাচেই পেয়েছিলেন হিরো হওয়ার সুযোগ। তবে লক্ষ্যে শট রাখলেই গোল, এমন পজিশন থেকে তিনি বল মেরে দেন পোস্টের বাইরে।
গোলের জন্য মরিয়া রিয়ালকে আরও একবার পাল্টা আক্রমণে চমকে দেয় বার্সেলোনা। ৯৫তম মিনিটে কাট করে বক্সে ঢুকে কোর্তোয়াকে ফাঁকি দিয়ে বল জালে পাঠান ফেরমিন লোপেজ। তবে হ্যান্ডবল হওয়ায় বাতিল হয় সেই গোল। বাকি সময়ে কোনো দলই পারেনি বলার মত আর সুযোগ তৈরি করতে।
৩০ জুলাই ২০২৫, ২:১০ পিএম
২৯ জুলাই ২০২৫, ৭:৫০ পিএম
এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরার ম্যাচে দলকে জয় উপহার দিয়েছেন লিওনেল মেসি। তাঁর দুই অ্যাসিস্টে মেক্সিকান ক্লাব অ্যাটলাসকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ইন্টার মায়ামি। আর এই জয়ে লিগস কাপে পথচলা শুরু হল যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটির। সবচে বড় কথা জুলাই জুড়ে নিজের অসাধারণ ফর্ম অব্যাহত রাখলেন মেসি। মেজর লিগ সকারে এ মাসে তিনি করেছেন ৮ গোল, পাঁচটি অ্যাসিষ্ট, যেকারণে ইতিমধ্যে মাসসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার উঠেছে মেসির হাতে। এখন উত্তর ও মধ্য আমেরিকার ৩৬ ক্লাবের এই প্রতিযোগিতায় জয়ে মৌসুম শুরু হল মায়ামির।
ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠিত ম্যাচের প্রথমার্ধে কোন গোল হয়নি! ম্যাচের প্রথম গোলটি হয় ৫৮ মিনিটে। সেগোভিয়ারের করা গোলে এসিস্ট করেছিলেন মেসিই। ৮২ মিনিটে লোজানোর গোলে সমতায় ফেরে অ্যাটলাস। ইনজুরি সময়ে মেসির পাস থেকে গোল করে জয় এনে দেন মার্সেলো ভিগান্ট। যদিও অফসাইডের পতাকা উঠেছিল, তবে ভিএআরে বৈধ বলে বিবেচিত হয় গোলটি!
শেষ মূর্হুর্তে জয়সূচক গোল পাওয়ার পর মেসির সাথে আনন্দে মেতে ওঠেন প্রথমবার খেলতে নামা রদ্রিগো ডি পল। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ডি পল গত সপ্তাহে মায়ামিতে যোগ দিয়েছেন। মেসি ও ডি পল একসাথে আর্জেন্টিনার হয়ে খেলেছেন ৬২ ম্যাচ।
এই ম্যাচে দারুণ কিছু সেভ করেন মায়ামি গোলরক্ষক রিওস নোভো। লুইস সুয়ারেজের শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে।
লিগস কাপে অদ্ভূত এক নিয়ম আছে, কোন ম্যাচই ড্র হতে পারবে না। ড্র ম্যাচের নিস্পত্তি হবে টাইব্রেকারে। এখানে মেজর লিগ সকারের ক্লাব ৩ টি ম্যাচ খেলবে মেক্সিকোর লিগা এমএক্স’র তিনটি দলের বিপক্ষে। প্রথম ম্যাচের পর গ্রুপ পর্বে আরও দু’টি ম্যাচ বাকি থাকলো ইন্টার মায়ামির।
দিন দুয়েক আগেই প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল লুইস দিয়াজের লিভারপুল ছাড়ার বিষয়টি। প্রশ্নটা ছিল মূলত তিনি কবে যোগ দিচ্ছেন বায়ার্ন মিউনিখে। শেষ পর্যন্ত এসেছে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। জার্মান চ্যাম্পিয়রা নিশ্চিত করেছে কলম্বিয়ান উইঙ্গারকে দলে টানার বিষয়টি।
বিবৃতিতে বায়ার্ন জানিয়েছে, ২০২৯ সাল পর্যন্ত চুক্তি হয়েছে দুই পক্ষের। ট্রান্সফার ফি অবশ্য জানায়নি তারা। তবে ইএসপিএন নিজেদের সূত্রের মাধ্যমে দাবি করেছে, এই চুক্তির মূল্য ৭৫ মিলিয়ন ইউরো, যার মধ্যে অতিরিক্ত বোনাসও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোতে এটি বায়ার্নের এই তৃতীয় সাইনিং। এর আগে বুন্দেসলিগার ক্লাবটি লেভারকুসেনের জোনাথান তাহ এবং হফেনহাইমের মিডফিল্ডার টম বিশোফকে দলে যোগ করেছে।
ঠিকানা বদল করতে চান, এটা আগেই লিভারপুলকে জানিয়ে দেন দিয়াজ। সেই কারণেই গত শনিবার এসি মিলানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে অংশ নেননি তিনি। মূলত তখন থেকেই তার সম্ভাব্য বিদায় নিয়ে জল্পনার শুরু হয়। পরে গত রবিবার তাকে ক্লাবের এশিয়া সফরের স্কোয়াড থেকেও ছেড়ে দেয় আর্নে স্লটের দল।
লিভারপুলের সাথে দিয়াজের চুক্তি ২০২৭ সাল পর্যন্ত ছিল। শুরুতে সেটা নবায়নের চিন্তা থাকলেও পরে সেই চিত্রে বদল আসে। এসবের মাঝেই বার্সেলোনা ও বায়ার্ন উভয় ক্লাবই আগ্রহ দেখালেও, লিভারপুল প্রাথমিকভাবে তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।
চলতি মাসের শুরুতে বায়ার্নের দেওয়া ৬৭.৫ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাবও ফিরিয়ে দেয় লিভারপুল। তাদের প্রত্যাশা ছিল ১১০ মিলিয়ন ইউরোর বেশি। তবে জার্মান ক্লাবটি পরবর্তীতে উন্নত আর্থিক প্রস্তাব দিলে লিভারপুল শেষ পর্যন্ত তাতেই সম্মত হয়।
গত মৌসুমে লিভারপুলের হয়ে দারুণ খেলেছেন দিয়াজ। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৭টি গোল করে দলটির প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয়ে রাখেন ভালো অবদান।
দিয়াজ ২০২২ সালের জানুয়ারিতে এফসি পোর্তো থেকে ৪৯ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে লিভারপুলে যোগ দেন। ইংলিশ ক্লাবটির হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৪৮ ম্যাচে করেন ৪১টি গোল। এবার পালা জার্মান ফুটবলে নিজেকে প্রমাণের।
বায়ার্ন মিউনিখ ছাড়ার খবরটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই টমাস মুলারের ভবিষ্যৎ গন্তব্য হিসেবে চলে আসে যুক্তরাষ্ট্রের নাম, যেখানে তাকে নেওয়ার জন্য আগ্রহী ছিল মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) কয়েকটি ক্লাব৷ তবে জার্মান সংবাদমাধ্যম বিল্ড-এর দাবি, শেষ পর্যন্ত লিগ একই থাকলেও বদলে যাচ্ছে ক্লাব। কানাডার ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস ক্লাবে নাম লেখানোর কাছাকাছি চলে গেছেন জার্মানির কিংবদন্তি এই ফরোয়ার্ড।
এর আগে এমএলএসের লস অ্যাঞ্জেলেস এফসি-এর সাথে মুলারের যোগাযোগ হয়েছিল বলে গুঞ্জন ছিল। তবে এখন সেটা বাতিলই হয়ে গেছে বলা যায়। বর্তমানে এমএলসের ওয়েস্টার্ন কনফারেন্সে খেলা ভ্যাঙ্কুভার ক্লাবটির সাথেই চলছে চুক্তির চূড়ান্ত আলোচনা, বিল্ড-এর প্রতিবেদনে দাবি করেছেন সাংবাদিক ক্রিশ্চিয়ান ফাল্ক। সেখানে আরও বলা হয়েছে, কানাডিয়ান ক্লাবটি মুলারকে ২০২৬ সালের শেষ পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ করতে চায়।
তবে এতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এমএলএসের ‘ডিসকভারি রাইটস’ নিয়ম, যেখানে একজন খেলোয়াড়ের সাথে যে ক্লাব ‘ডিসকভারি রাইটস’ দাবি করে, কেবল তারাই প্রাথমিকভাবে তাকে দলে টানার আলোচনায় যেতে পারে। বর্তমানে মুলারের রাইটস রয়েছে এমএলসের ইস্টার্ন কনফারেন্সের ক্লাব এফসি সিনসিন্নাটি-এর কাছে। ফলে ভ্যাঙ্কুভারকে প্রথমে সেই রাইটসটা তাদের কাছ থেকে কিনে নিতে হবে।
তবে মুলার যে এমএলএসে যাচ্ছেন, এটা প্রায় নিশ্চিতই। বাকি শুধু কেবলই আনুষ্ঠানিকতার। আর সেটা হলে আরও সমৃদ্ধ হবে লিগটি, যেখানে আগে থেকেই ইন্টার মায়ামির জার্সিতে আলো ছড়াচ্ছেন লিওনেল মেসি। এবার তার সাথে একই লিগে খেলতে যাচ্ছেন জার্মানির ২০১৪ বিশ্বকাপজয়ী সদস্য মুলার, যিনি সুদীর্ঘ এক ক্যারিয়ারে বায়ার্নের হয়ে একাধিক বুন্দেসলিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন।
২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের আর খুব বেশি বাকি নেই। তিন স্বাগতিক দেশে জোরেশোরেই চলছে প্রস্তুতি। তবে একটি জায়গায় কানাডা ও মেক্সিকোকে পেছনে ফেলে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দুই প্রতিবেশী দেশের কয়েকটি শহরকে পেছনে ফেলে ড্রয়ের আয়োজক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাস, এমনটাই দাবি ইএসপিএনের।
সূত্রের বরাত দিয়ে তারা জানিয়েছে, ড্রয়ের সম্ভাব্য তারিখ হতে পারে ৫ ডিসেম্বর। যদিও ফিফা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ভেন্যু বা ড্রয়ের নির্দিষ্ট তারিখ নিশ্চিত করেনি।
২০২৬ সালের আসরটি অনেকদিক থেকেই ভিন্ন। প্রথমবারের মতো তিন দেশ ও ৪৮ দলের বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে এটি। ২০২২ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩২টি দল অংশ নিত বিশ্বকাপে।
আর এই বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য ভেন্যুগুলোর তালিকায় শুরুতে ছিল লাস ভেগাসের অ্যালিজেন্ট স্টেডিয়ামের নাম। তবে পরে তা বাতিল হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত শহরটিকে ড্র আয়োজনের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ১১টি শহর হোস্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। অন্যদিকে মেক্সিকো থেকে তিনটি এবং কানাডার দুইটি শহরকেও যুক্ত করা হয়েছে তালিকায়।
বিশ্বকাপের ড্রয়ে থাকবে ১২টি গ্রুপ, যেখানে প্রতিটি গ্রুপে থাকবে ৪টি করে দল। ড্রয়ের আগেই ঠিক করা হয়েছে যে মেক্সিকো থাকবে গ্রুপ ‘এ’ তে, কানাডা থাকবে গ্রুপ ‘বি’ তে, আর যুক্তরাষ্ট্র থাকবে গ্রুপ ‘ডি’ তে।
২০২৬ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল হবে ১৯ জুলাই, নিউ জার্সিতে মেটলাইফ স্টেডিয়ামে।
জেলা প্রশাসন ঢাকা আয়োজিত, ঢাকা জেলা ক্রীড়া অফিসের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসক আন্তঃ উপজেলা ফুটবলের ফাইনালে ধামরাই উপজেলাকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন কেরানীগঞ্জ উপজেলা। মোহাম্মদপুর সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ মাঠে শুরু থেকেই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে জমে উঠে খেলা। প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটা সুযোগ তৈরি করে উভয় দল। ফিনিশিংয়ের অভাবে গোল করতে ব্যর্থ হয় তারা। গোলশূন্য অবস্থায় শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণে ধার বাড়ায় কেরানীগঞ্জ উপজেলা। শুরুতেই নাহিদের গোলে লিড পায় তারা। পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে গোল করে দলকে ২-০তে এগিয়ে দেন শান্ত। গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে উঠে ধামরাই উপজেলা। শেষ মুহূর্তে শান্ত ইসলাম একটি গোল শোধ করলেও হার এড়াতে পারেনি ধামরাই। জয়ের আনন্দ নিয়ে মাঠ ছাড়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা।
খেলা শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খেলোয়াড়দের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ঢাকার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিনাত ফৌজিয়া, ধামরাইয়ের নির্বাহী কর্মকর্তা মামনুন হাসান অনিক, ঢাকার জেলা ক্রীড়া অফিসার সুমন কুমার মিত্রসহ অন্যরা।
চ্যাম্পিয়ন দলকে নগদ ৬০হাজার টাকা ও রানার্স আপ দলকে ৪০ হাজার টাকার প্রাইজ মানিসহ ট্রফি দেয়া হয়।
আগামীতে শুধু ফুটবল নয় নানা ধরনের গ্রামীণ খেলাধুলার আয়োজন করতে চায় ঢাকা জেলা প্রশাসন বলে জানান জেলা প্রশাসক তানভীর আহমেদ।