২২ অক্টোবর ২০২৪, ৫:৫২ পিএম
ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র পৃষ্ঠপোষকতায় ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউর আয়োজনে চলছে ‘ওয়ালটন-ডিআরইউ ক্রীড়া উৎসব-২০২৪।’ আজ মঙ্গলবার রাজধানীর হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামের আউটারে ক্রীড়া উৎসবের শ্যুটিং ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই ইভেন্টের নারী বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন সমকালের সাজিদা ইসলাম পারুল। তিনি ৩ শ্যুটে অর্জন করেন ২৩ পয়েন্ট। তিন শ্যুটে ২০ পয়েন্ট অর্জন করে রানার্সআপ হয়েছেন একাত্তর টিভির নাদিয়া শারমিন। আর ১৯ পয়েন্ট অর্জন করে তৃতীয় হয়েছেন নিউজ নাউ বাংলার নাজনিন আক্তার লাকী।
পুরুষ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন খবরের কাগজের মাহমুদুন্নবী চঞ্চল। তিনি তিন শ্যুটে অর্জন করেন ২৫ পয়েন্ট। ২৪ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ হয়েছেন দেশ রুপান্তরের তারেক ইমন। আর ২৩ পয়েন্ট অর্জন করে তৃতীয় হয়েছেন বাংলানিউজের তানভীর আহমেদ।
উপস্থিত থেকে এই ইভেন্ট উপভোগ করেন ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর ইমরান আল বারী, সাজ্জাদ হোসেন শাকিল, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউর অর্থ সম্পাদক জাকির হুসাইন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুশান্ত কুমার সাহা, কল্যাণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ, কার্যনির্বাহী সদস্য সাঈদ শিপন, দেলোয়ার হোসেন মহিন ও মো. শরীফুল ইসলাম।
এবারের আয়োজনে পুরুষ সদস্যদের জন্য ১০টি ইভেন্ট রয়েছে। সেগুলো হলো - দাবা, ক্যারম (একক), অকশন ব্রিজ, কলব্রিজ, রামি, অ্যাথলেটিকস (২০০ মিটার), গোলক নিক্ষেপ, সাঁতার, আর্চারি ও শ্যুটিং। নারী সদস্যদের জন্য রয়েছে ৫টি ইভেন্ট। সেগুলো হলো- অ্যাথলেটিকস (১০০ মিটার), ক্যারম (একক), লুডু, শ্যুটিং ও সাঁতার।
প্রতি বছরের মতো এবারও বর্ষসেরা পুরুষ ও নারী ক্রীড়াবিদকে আর্থিক পুরস্কার প্রদান করা হবে। এই আয়োজনের সহযোগিতায় রয়েছে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড মার্সেল।
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২:৪৫ পিএম
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭:৩৬ পিএম
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭:২১ পিএম
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:২৫ পিএম
বড় বড় সব ইভেন্ট মিলিয়ে ২০২৪ সালটা সমর্থকদের জন্য ছিল স্মরণীয় একটি বছর। ক্রিকেট কিংবা ফুটবল সবখানেই ছিল বড় বড় টুর্নামেন্ট। ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আর ফুটবলে চারটি মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট সমর্থকদের যুগিয়েছে বিনোদনের খোরাক। সেদিক থেকে ২০২৫ সালটা ফুটবল সমর্থকদের জন্য কিছুটা হতাশ জাগানিয়াই। কারণ, এই নতুন বছরে নেই কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। ক্রিকেট অবশ্য সমর্থকদের সুযোগ মিলছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দিকে নজর রাখার।
ফুটবলে যা যা থাকছে :
আগামী বছর আন্তর্জাতিক ফুটবলে নেই বড় আসর। তবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দলগুলোকে পার করতে হবে ব্যস্ত সময়। মার্চ, জুন, অক্টোবর, নভেম্বরে চলবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে প্রস্তুতি। এছাড়াও সুযোগ মিলবে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ কিংবা মহাদেশীয় টুর্নামেন্টগুলোর বাছাই পর্বের জমজমাট লড়াই দেখারও।
বাংলাদেশ ফুটবল দল সেই হিসেবে পাবে বেশ কিছু ম্যাচ। যেখানে দেখা মিলবে হামজা চৌধুরীকে। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে যেখানে শুরুটা হবে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। মার্চে ভারতের মাটিতে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে প্রথম ম্যাচ খেলবে হাভিয়ের কাবরেরার দল। দুই মাসের বিরতি দিয়ে জুনে বাংলাদেশে আসবে সিঙ্গাপুর। এরপরের ব্রেকটা তিন মাসের। অক্টোবরে আবারও ঘরের মাঠে খেলবে বাংলাদেশ আর প্রতিপক্ষ হংকং।
একই মাসে বাংলাদেশ আবারও মাঠে নামবে হংকংয়ের বিপক্ষে সেকেন্ড লেগে। সেটা অবশ্য জামাল-তপুদের জন্য হবে অ্যাওয়ে ম্যাচ। আর নভেম্বরে বাংলাদেশ খেলবে বছরের সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচটি। ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে লড়বে লাল-সবুজ বাহিনী।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে ছেলেদের বড় ইভেন্ট না থাকলেও থাকছে মেয়েদের ইউরো। সুইজারল্যান্ডে ১৬ দল নিয়ে জুলাইতে বসার কথা এবারের ইউরো।
আর ক্লাব ফুটবল চলবে যথারীতি একই ছন্দে। জুনে মাঠে গড়াবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল। তবে এবার মৌসুমের শেষ দিকে আয়োজিত হতে যাচ্ছে ক্লাব বিশ্বকাপ। যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বের ৩২ ক্লাব নিয়ে গড়াবে এই টুর্নামেন্ট। ২০২৫ সালে ফুটবল সমর্থকদের জন্য এই টুর্নামেন্ট ছড়াতে পারে রোমাঞ্চ।
ক্রিকেটে যা যা থাকছে :
ক্রিকেট সমর্থকদের জন্য অপেক্ষা করছেন ব্যস্ত একটি বছর। এমনিতেই বছর জুড়ে থাকবে বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের ব্যস্ততা। সাথে থাকছে দুটি আইসিসি ইভেন্টও।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে মাঠে গড়াবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। আট দলের টুর্নামেন্টের মূল আয়োজক দেশ পাকিস্তান। তবে ভারতের ম্যাচগুলো হবে দুবাইতে। দলটি ফাইনালে গেলে সেটাও হবে দুবাইতেও।
এরপর আছে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়ন্স শিপের ফাইনাল। যেটি জুনে সিডনিতে মাঠে গড়ানোর কথা। এছাড়াও রয়েছে এশিয়া কাপ। যেটি আগামী অক্টোবরে ভারত ও দুবাই মিলিয়ে হওয়ার কথা।
২০২৫ সালে বাংলাদেশ দলের জন্য হতে যাচ্ছে আরেকটি ব্যস্ত বছর। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) শেষ হবে ফেব্রুয়ারিতে। এর সপ্তাহ খানেক বাদেই টাইগারদের পাড়ি জমাতে হবে পাকিস্তান। উদ্দেশ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। মার্চে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে ক্রিকেটাররা সুযোগ পাবেন কিছুটা বিশ্রামের।
এরপর এপ্রিলে ঘরের মাঠে এপ্রিলে মুখোমুখি হবে জিম্বাবুয়ের। এরপর এক মাস বিরতি দিয়ে বাংলাদেশ দল আবারও পাড়ি জমাবে পাকিস্তান। জুনে অ্যাওয়ে সিরিজ খেলতে যাবে বাংলাদেশ দল।
পাকিস্তান সফর শেষে জুলাইতে বাংলাদেশের গন্তব্য শ্রীলঙ্কা। দেশে ফিরে আবার মাঠে নামতে হবে টাইগারদের। আগস্টে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ভারত। আগামী সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপে অংশ নিবে বাংলাদেশ।
এরপর অক্টোবরে বাংলাদেশ খেলবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। সেই সিরিজটি হবে অ্যাওয়ে। তবে কোথায় মাঠে গড়াবে, তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। সাধারণত আফগানিস্তান তাদের হোম ম্যাচ খেলে ভারত বা দুবাইয়ে। অক্টোবরেই বাংলাদেশ ঘরের মাঠে খেলবে ওয়েস্ট উইন্ডিজের বিপক্ষে। আর নভেম্বরে ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ড সিরিজ দিয়ে শেষ হবে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ২০২৫।
খবরটা চমক জাগানিয়াই। ওয়ার্ল্ড র্যাপিড চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যাগনাস কার্লসেন বাদ পড়েছেন অষ্টম রাউন্ড থেকে। তাও সেটা ড্রেসকোডের নিয়ম ভেঙে। শুক্রবার একই কারণে তাঁকে সতর্ক করার পাশাপাশি জরিমানা করলেও শনিবার আবারও তিনি নিয়ম ভাঙেন। ফলে শনিবার কার্লসেনকে নিউইয়র্কে ওয়ার্ল্ড র্যাপিড চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।
সপ্তম রাউন্ড শেষে জিনস পরে খেলায় কার্লসেনকে ২০০ ডলার জরিমানা করা হয়, কারণ টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী এই ধরনের পোশাক পরে খেলা নিষিদ্ধ। অষ্টম রাউন্ডে আরিয়ান তারির বিপক্ষে জয়ের পর নবম রাউন্ডের জন্য তাকে পোশাক পাল্টানোর জন্য বলা হলেও তিনি রাজি হননি। তাই ওই রাউন্ডের খেলায় তাকে রাখা হয়নি এবং এই কার্লসেনও সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন।
দাবায় পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন কার্লসনের এমন বাদ পড়া বেশ সাড়া ফেলেছে। যা নিয়ে শনিবার বিবৃতি প্রকাশ করেছে দাবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিদে। যেখানে তারা কার্লসনের নিয়মের তোয়াক্কা না করাটাকেই দায়ী করেছে।
“কার্লসেন পোশাকের নীতিমালা ভেঙেছেন, যেটা এই ইভেন্টে লম্বা সময় ধরেই আছে। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আই নিয়মগুলো নিয়ে সবাইকেই ধারণা দেওয়া হয়। প্রধান বিচারক কার্লসেনকে এই নিয়ম ভাঙার বিষয়ে জানিয়েছেন, ২০০ ডলার জরিমানাও করেছেন এবং পোশাক পাল্টানোর অনুরোধ করেছেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে কার্লসেন তা করতে রাজি হনিনি, যার ফলে নবম রাউন্ডে তাকে নেওয়া হয়নি। এই সিদ্ধান্ত সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য।”
৩৪ বছর বয়সী নরওয়ের এই গ্র্যান্ডমাস্টার অবশ্য থেমে নেই। সমালোচনা করেছেন ফিদের এই নিয়মের। নরওয়ের গণমাধ্যম এনআরকে-কে কার্লসেন বলেছেন,
‘আমি ফিদের ওপর খুব বিরক্ত। তাই ওদের সঙ্গে আর কোনো কিছুই করতে চাই না। সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি, হয়তো এটা বোকামিসুলভ নীতি, কিন্তু ব্যাপারটা একদমই বিরক্তিকর।”
যাদের হাতে দেশের ফুটবলের ভবিষ্যত, বিশ্বদরবারে যারা বাংলাদেশের ফুটবলকে তুলে ধরবেন, সেই কিশলয়ের জন্যেই এই আয়োজন। টি স্পোর্টস প্রেজেন্টস ঢাকা ইয়ুথ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ পাওয়ার্ড বাই এইস। শুরুর আসরে শিরোপাটা জিতে স্বভাবতই তাই উল্লাসে মেতেছে ধানমন্ডি স্পোর্টস একাডেমি। ৮ দলের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টের শেষ হাসিটা হাসলো তারাই।
গেল ১৮ই নভেম্বর অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায়ে ঢাকার ৮টি একাডেমি দলের অংশগ্রহণে পর্দা ওঠে এই টুর্নামেন্টের। ঢাকার আনাচে কানাচে নানা একাডেমি ফুটবলের প্রসারে কাজ করে গেলেও, এমন টুর্নামেন্টের আয়োজন একেবারেই নজিরবিহীন। ফুটবলের বিকাশে এ ধরণের টুর্নামেন্ট নিয়মিতভাবেই আয়োজিত হবে বলে আশাবাদ সবার। ফাইনালের প্রধান অতিথি ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার জাহিদ হাসান এমিলি বলেন,
“টি স্পোর্টসকে এমন একটা আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ দিতে চাই। একাডেমিভিত্তিক ফুটবল ঢাকা থেকে বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। টি স্পোর্টস প্রেজেন্টস ঢাকা ইয়ুথ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ পাওয়ার্ড বাই এইসের মধ্য দিয়ে সেটা নতুনভাবে শুরু হলো। দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ একটা ম্যাচ হয়েছে ফাইনালে। পাঁচটা গোল হয়েছে। যারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তাদের অভিনন্দন জানাই। যারা রানার্স-আপ হয়েছে তাদেরও অভিনন্দন জানাতে চাই, কেননা এই বয়সটা ভুল করা আর সেখান থেকে শেখার।”
ফাইনালে শুরুর ভাগে ২ গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে গেলেও, দুর্দান্ত কামব্যাক উপহার দেয় ধানমন্ডি স্পোর্টস একাডেমি। পরপর তিন গোল করে হারিয়ে দেয় ঢাকা গোল্ডেন ফিউচার একাডেমিকে। ৩-২ গোলে ম্যাচটা হারলেও উত্তেজনায় ঠাঁসা একটা ম্যাচ উপহার দিয়েছে তারা। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে গড়া দলটা রানার্স-আপ হলেও নজর কেড়েছে বেশ।
বয়সভিত্তিক ও পেশাদার ফুটবলারদের অনুশীলনের যথাযথ সুযোগ করে দিতে কাজ করে যাচ্ছে একাডেমিগুলো। তবে এমন আয়োজন সেই প্রক্রিয়াকে আরও ত্বরান্বিত করবে বলেই বিশ্বাস সংশ্লিষ্টদের। প্রথমবারের মত মাঠে গড়ানো এ আসর আয়োজনের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রশংসা কুড়িয়েছে টি স্পোর্টসও। তবে ভবিষ্যতে আরও দল বাড়ানোর পাশাপাশি বৃহৎ আকারে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করলে দেশের ফুটবল আরও লাভ কুড়াবে বলেই আশ্বাস সবার।
বিজয় দিবস কাবাডির পুরুষ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ নৌ বাহিনী। আর নারী বিভাগে শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ পুলিশ। পুরুষ ও নারী দুই বিভাগের ফাইনাল ম্যাচ আজ অনুষ্ঠিত হয়। নৌ বাহিনী হারিয়েছে বিমান বাহিনীকে আর পুলিশ জয় পেয়েছে আনসারের বিপক্ষে।
শহীদ (ক্যাপ্টেন) এম মনসুর আলী জাতীয় হ্যান্ডবল স্টেডিশহীদ (ক্যাপ্টেন) এম মনসুর আলী জাতীয় হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে প্রথমে পুরুষ বিভাগের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। টান টান উত্তেজনার ম্যাচে মাত্র দুই পয়েন্টের ব্যবধানে বিমান বাহিনীকে হারিয়েছে নৌ বাহিনী। তুহিন তরফদাররা ফাইনাল জিতেছে ৩৮-৩৬ পয়েন্টে। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধ্য দিয়ে গ্রুপ পর্বে বিমান বাহিনীর কাছে হারের প্রতিশোধ নিল নৌ বাহিনী।
ম্যাচের শুরুতে বিমান বাহিনী কিছুটা এগিয়ে গেলেও আস্তে আস্তে নিজেদের গুছিয়ে নেয় নৌ বাহিনী। ম্যাচে লিড বাড়িয়ে প্রতিপক্ষের উপর প্রাধান্য বিস্তার করতে থাকে তারা। প্রথমার্ধে ১২ পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে যায় নৌ বাহিনী। তাদের সংগ্রহ ছিল ২৬। আর বিমান বাহিনীর ১৪।
আঘাত পেয়ে প্রথমার্ধের শেষ দিকে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়েন বিমান বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় দীপায়ন। এর ফলে শক্তিতে কিছুটা ভাটা পড়ে বিমানের। টানা তিন খেলায় ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন দীপায়ন।
তবে বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচ জমিয়ে তুলে বিমান বাহিনী। পয়েন্টের ব্যবধান কমিয়ে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে তারা। এক সময় দুই দলের পয়েন্ট দাঁড়ায় সমান ৩৪। তবে শেষ দিকে আর কুলিয়ে উঠতে পারেনি বিমান বাহিনী। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার সাথে সাথে বিজয়ের উল্লাসে মেতে উঠে নৌ বাহিনীর খেলোয়াড়রা। ম্যাচে দুই দলই দুইটি করে লোনা পেয়েছে। ফাইনাল ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন নৌ বাহিনীর তুহিন তরফদার। টুর্নামেন্টের সেরা রেইডার বিমান বাহিনীর মিজান আহমেদ। সেরা ক্যাচার নৌ বাহিনীর নাসির উদ্দিন। আর টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন বিমান বাহিনীর দীপায়ন।
নারী বিভাগের ফাইনালে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। শিরোপার লড়াইয়ে পুলিশ ২৬-১৬ পয়েন্টে হারিয়েছে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপিকে।
এই ম্যাচেও জমজমাট লড়াই হয়েছে। প্রথমার্ধে সমান তালে লড়েছে দুই দল। কেউ কাউকে ছাড় দেয়নি বিন্দুমাত্র। পুলিশ ও আনসারের পয়েন্ট ছিল সমান ১০। দ্বিতীয়ার্ধেও ম্যাচের আকর্ষণের কোন কমতি ছিল না। তবে একটা সময় পুলিশ ব্যবধান কিছুটা বাড়িয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় চলে যায়। আনসার আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি।
ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় পুলিশের ইসরাত জাহান। টুর্নামেন্টের সেরা রেইডার পুলিশের নবর্শি চাকমা। সেরা ক্যাচার আনসারের স্মৃতি খাতুন। আর সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন পুলিশের শ্রাবণী মল্লিক।
ফাইনাল ম্যাচে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাবাডি ফেডারেশনের সভাপতি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ বাহারুল আলম। খেলা শেষে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাবাডি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি আইজিপি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোঃ মোতাহের হোসেন, সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান খান, সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আল নোমান ও সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ।
বিজয় দিবস কাবাডির পুরুষ বিভাগের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বিমান বাহিনী ৩৯-৩৬ পয়েন্টে হারিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশকে। আগামীকাল শিরোপার লড়াইয়ে বিমান বাহিনীর প্রতিপক্ষ নৌ বাহিনী।
এর ফলে 'খ' গ্রুপের দুটি দল ফাইনালে গেল। গ্রুপ পর্বে বিমান বাহিনী ৩৭-৩৪ পয়েন্টে নৌ বাহিনীকে হারিয়েছিল। তাই ফাইনাল ম্যাচ নৌ বাহিনীর জন্য প্রতিশোধেরও।
'খ' গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয় বিমান বাহিনী। আর 'ক' গ্রুপ থেকে রানার্স আপ হয়ে শেষ চারে আসে বাংলাদেশ পুলিশ।
শহীদ (ক্যাপ্টেন) এম মনসুর আলী জাতীয় হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের শুরু থেকে ভাল লড়াই হয়েছে দুই দলের মাঝে। তবে প্রথমার্ধের খেলা শেষে বিমান বাহিনী ২১-১৪ পয়েন্টে এগিয়ে যায়। বিরতির পর আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল ম্যাচে। শেষ দিকে লড়াই জমিয়ে তুলেছিল পুলিশ।
কিন্তু মাত্র তিন পয়েন্টের ব্যবধানে ম্যাচ হারে তারা। বিজয়ের হাসি নিয়ে খেলা শেষ করে বিমান বাহিনী। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন বিজয়ী দলের দীপায়ন।
এর আগে গত রোববার তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রথম সেমিফাইনালে ৩৮-৩৬ পয়েন্টে সেনাবাহিনীকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয় নৌ বাহিনী। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষে দু'দলের সমান ৩২ পয়েন্ট ছিল। এরপর ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয় টাইব্রেকারে।
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
১২ দিন আগে
১৫ দিন আগে
২৬ দিন আগে
২৬ দিন আগে
২৭ দিন আগে
২৮ দিন আগে
২৯ দিন আগে