ফেদে ভালভের্দে যখন রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন, তার বেশ আগেই থেকেই ক্লাবটিতে খেলছিলেন টনি ক্রুস। সময়ের পরিক্রমায় দুজন একসাথে খেলেছেন অসংখ্য ম্যাচ, জিতেছেন অনেক শিরোপা। জার্মান তারকাকে বিভিন্ন সময়ে আদর্শ মানা ভালভের্দের জন্য তাই ক্রুসের আচমকা অবসরের ঘোষণা বড় এক ধাক্কা হয়ে এসেছে। উরুগুয়ে মিডফিল্ডারের আক্ষেপ, আরও কয়েকটা বছর যদি একসাথে খেলতে পারতেন তারা।
গত মঙ্গলবার বিস্ময়ের জন্ম দিয়ে সব ধরনের ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দেন ক্রুস। আসছে ইউরো ২০২৪ খেলেই বুটজোড়া তুলে রাখবেন তিনি। আর রিয়ালের হয়ে শেষ ম্যাচ আগামী ১ জুন, বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল। অভিজ্ঞ এই ফুটবলারের আচমকা বিদায়ের সিদ্ধান্ত মানতে কষ্টই হচ্ছে ভালভের্দের।
আরও পড়ুন: ইউরোর পর অবসরে ক্রুস
ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে সেটাই তুলে ধরেছেন ভালভের্দে। যেখানে ফুটে উঠেছে ক্রুসের প্রতি তার সম্মান ও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। “আমার মনে হয় আমরা যখন শিশু থাকি, তখন আমাদের সবারই একজন আইডল থাকে। যাকে দেখে আমরা প্রশংসা করতাম, যাকে আমরা টিভিতে দেখেতাম এবং ভাবতাম ‘আমিও এমন হতে চাই।’ আর আমরা যদি অনেক স্বপ্নাতুর হতাম, তাহলে কল্পনা করতাম যে আমরা সেই আইডলের সাথে খেলছি, যা অস্পৃশ্য, যেখানে পৌঁছানো কঠিন। আমি সেই ছেলেটি ছিলাম। সেই ছেলেটি তার স্বপ্ন পূরণ করেছে এবং সেই খেলোয়াড়ের সাথে খেলেছে যে তার আইডক ছিল।”
২০১৪ সালে রিয়ালে যোগ দেন ক্রুস। আর ২০১৭ সালে ক্লাবটির সিনিয়র দলে অভিষেক হয় ভালভের্দের। দুজনের পজিশন ও ভিন্ন ভিন্ন ফরমেশনের কারণে মিডফিল্ডে দুজন একসাথে অনেক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। তাছাড়া প্রায়ই দুজন মাঠে নেমেছেন একে অন্যের বদলি হয়েও। তবে যতটুকুই একসাথে খেলেছেন তারা, উভয়ই সেরা পারফর্মই করেছেন।
ক্রুসের সাথে সাত বছর খেলার পরও ভালভের্দের কাছে অনূভুতিটা রয়ে গেছে ঠিক যেন ছোটবেলার মতোই। “আজ এক অদ্ভুত অনুভূতি এবং আবেগ নিয়ে বলছি, আমি জানি যে সেই শিশুটি আপনার সাথে আরও দশ বছর খেলতে পছন্দ করত, আমিও তাই করতাম টনি। কারণ আমি সেই শিশুটি হওয়া বন্ধ করে দেইনি, যে কিনা সবসময় আপনাকে শ্রদ্ধা করত।”
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৯ পিএম
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬:৩০ পিএম
টানা খেলার ধকল নিয়ে দিন দুয়েক আগেই কড়া হুশিয়ারি দিয়েছিলেন ম্যানচেস্টার সিটি মিডফিল্ডার রদ্রি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফুটবলাররা ধর্মঘাটের যাওয়ার কাছাকাছি আছে বলেও জানিয়েছিলেন এই স্প্যানিয়ার্ড। এবার তার সাথে সুর মিলিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়াও। এমন চলতে থাকলে খেলার মান কমবে বলেই ধারণা করছেন তিনি।
রিয়াল ও সিটি দুই দলই এবার খেলছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই চলতি মৌসুমে আয়োজন হচ্ছে নতুন ফরম্যাটে। তাতে বেড়েছে ম্যাচের সংখ্যা। ফিফাও আগামী বছর থেকে ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে। সেখানেও রিয়াল ও সিটি দু’দলই থাকছে। তার মধ্যে একের পর এক আন্তর্জাতিক ম্যাচের ধকল তো আছেই। সব মিলিয়ে ফুটবলারদের এখন মৌসুমে ৭০ এর বেশি ম্যাচ খেলতে হবে। যা ভীতিকর হিসেবেই দেখছেন কর্তোয়া।
সম্প্রতি জনপ্রিয় স্প্যানিশ স্ট্রিমার ইবাই ল্লানোসের সাথে কথা বলার সময় রদ্রির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন কোর্তোয়া। “রদ্রি ঠিক কথাই বলেছে। প্রচুর ম্যাচ খেলতে হচ্ছে। সমর্থকরা সেরা খেলাটাই দেখতে চায়। আমাদের ভারসাম্য খুঁজে বের করতে হবে, বেশি ম্যাচ খেলার কারণে চোটের সংখ্যাটাও বাড়ছে।”
ম্যাচ যত বেশি, ক্লাব বা আয়োজক, সবারই আয় তত বেশি। যা বুঝতে পারছেন কোর্তোয়া। বেলজিয়ান তারকার আশা একটু সঠিক সমাধানের। “নেশন্স লিগ, ক্লাব বিশ্বকাপের ম্যাচ যুক্ত হয়েছে নতুন করে। মানুষ বলে আমরা অনেক আয় করি, তাই অভিযোগ করতে পারবো না, যেটা সত্য। তাই আমাদের ভারসাম্য খুঁজে নিতে হবে। কারণ এভাবে খেলোয়াড়দের পক্ষে সেরা ফুটবল খেলা সম্ভব নয়।”
এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরুর আগেই অতিরিক্ত ম্যাচ নিয়ে আলিসন বেকার, ম্যানুয়েল আকাঞ্জিরা সমালোচনা করেছিলেন। তাদের সাথে তাল মিলিয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তিও। অবশ্য খেলোয়াড়রা এ নিয়ে অপত্তি তুললেও ফিফা কিংবা ইউয়েফা এখনও নীরব ভূমিকাতেই আছে।
আন্তর্জাতিক বিরতিতে ভুটানের সাথে চলতি মাসেই দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ ফুটবল দল। উদ্দেশ্য ছিল ভুটানকে দুই ম্যাচে হারিয়ে নিজেদের র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করা। কিন্তু বাস্তবে হয়েছে উল্টোটা। ভুটানের সাথে প্রথম ম্যাচ জয় পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচ হার দেখেছিল হাভিয়ের কাবরেরার দল। এতে বাংলাদেশের র্যাঙ্কিংয়েও পড়েছে প্রভাব। দুই ধাপ পিছিয়ে ফিফার সেপ্টেম্বর মাসের র্যাঙ্কিংয়ে ১৮৪ থেকে ১৮৬ তে নেমে গেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের এমন উল্টোপথে যাত্রা হলেও খুব একটা নড়াচড়া নেই র্যাঙ্কিংয়ের সেরা দশে। যথারীতি সবার ওপরের এক নম্বর জায়গাটা পাকাপোক্ত রেখেছে আর্জেন্টিনা। তবে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কলম্বিয়ার সাথে ম্যাচ হেরে যাওয়ার খেসারত আলবিসেলেস্তেদের দিতে হয়েছে পয়েন্ট হারিয়ে । ১৯০১ থেকে ১৮৮৯ তে নেমে এসেছে আর্জেন্টিনার পয়েন্ট।
দুই নম্বর অবস্থান ফ্রান্সের, তিন ও চার নম্বরে আছে যথাক্রমে স্পেন ও ইংল্যান্ড। আর পাঁচ নম্বরে অবস্থান ব্রাজিলের। প্যারাগুয়ের সাথে হারায় র্যাঙ্কিংয়ে পেছনে না গেলেও ব্রাজিলকেও হারাতে হয়েছে পয়েন্ট। ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল আছে ৮ নম্বরে।
সেপ্টেম্বর মাসের হালনাগাদে সবচেয়ে বড় লাফটা দিয়েছে ব্রুনেই। ১০ ধাপ এগিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির বর্তমান অবস্থান ১৮৩ তে। আর সবচেয়ে বেশি পিছিয়েছে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন কাতার। ১০ ধাপ পিছিয়ে কাতারের অবস্থান ৪৪ নম্বরে।
এশিয়ান দেশগুলোর মধ্যে সবার ওপরে আছে জাপান। দুই ধাপ এগিয়ে তাদের অবস্থান ১৬-তে।
ম্যাচ শুরুর আগে একটা পরিসংখ্যান বেশ নজর কেড়েছিল বিশ্লেষকদের মাঝে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জিরোনার সব ফুটবলার মিলিয়ে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে ৬৫ ম্যাচ, যেই অভিজ্ঞতা কিনা আছে পিএসজির মার্কো অ্যাসেনসিওর একারই। এর কারণ অবশ্য জিরোনা প্রথমবারের মত চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে আসাটা। তাদের ফুবলারদের এই ৬৫ ম্যাচের অভিজ্ঞতাও হয়েছে ভিন্ন ক্লাবের হয়ে। তবে অভিজ্ঞতার বিচারে পিছিয়ে থাকলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই পিএসজির কঠিন পরীক্ষা নিয়েছে তারা। শেষ মূহর্তে ম্যাচ হারলেও জিরোনা জিতে নিয়েছে পিএসজি কোচ লুইস এনরিকের মন।
ঘরের মাঠ পার্ক দ্য প্রিন্সেসে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল পিএসজি। একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে গেলেও তারা জিরোনার রক্ষণ টলাতে পারেনি। ম্যাচের একেবারে শেষ মূহর্তে জিরোনা গোলকিপার পাওলো গাযানিগার ভুলে গোল হজম করেছে তারা। তাতে পুরো ম্যাচের কঠিন পরিশ্রমটাই যেন বৃথা গেল দলটার।
অবশ্য পয়েন্ট না পেলেও জিরোনা ঠিকই প্রশংসা কুড়িয়েছেন পিএসজি কোচ এনরিকের। স্প্যানিশ ক্লাবটার বিপক্ষে খেলা কতটা কঠিন সেটাই ম্যাচ শেষে শুনিয়েছেন এই স্প্যানিয়ার্ড। “আমরা তাদের চেয়ে এগিয়ে ছিলাম, তবে রক্ষণে তারা আমাদের আটকে দিয়েছিল বারবারই। খুবই কঠিন ছিল তাদের বিপক্ষে খেলা। সম্মান রেখেই ম্যাচে শেষে ওদের কোচকে বলেছি তাদের বিপক্ষে খেলা বাচ্চা জন্ম দেওয়ার চেয়েও কষ্টকর।”
সব মিলিয়ে এদিন ৬৪ ভাগ বলের দখল আর ২৬ শট নিয়েও গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে পিএসজিকে শেষ মূহর্ত পর্যন্ত। অবশ্য এর মধ্যে তারা অন টার্গেটে শট রাখতে পেরেছে মোটে পাঁচটা। যার বড় কৃতিত্বই জিরোনার। দলের এমন পারফরম্যান্সে গর্বিত জিরোনা কোচ মিচেল।
ম্যাচ শেষে খেলোয়াড়দের ভাসিয়েছেন প্রশংসায়, “ড্রেসিংরুমে ফুটবলাররা এখন কিছুটা হতাশ। তবে আমি ওদের বলেছি যেই পারফরম্যান্স দেখিয়েছি আমরা নিজেদের নিয়ে গর্ব করা উচিত। পিএসজি আমাদের চাপে রেখেছিল, গাযানিগা বেশ কিছু ভালো সেইভ দিয়েছিল। যার মধ্যে দুই তিনটা গোলও হতে পারতো। জয়টা তাদের প্রাপ্য ছিল, তবে আমরা যেই পরিশ্রম করেছি তা নিয়ে নিজেদের গর্ব করা উচিত।”
বুধবার রাতে জয় পেয়েছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড, সেল্টিক এবং স্পার্তা প্রাগও। সর্বশেষ আসরের ফাইনাল খেলা ডর্টমুন্ড ৩-০ গোলে হারিয়েছে ক্লাব ব্রাগাকে। সেল্টিক নিজেদের মাঠে স্লভোন ব্রাতিসলাভাকে উড়িয়ে দিয়েছে ৫-১ গোলে। সালজবুর্গের বিপক্ষে স্পার্তার জয় ৩-০ ব্যবধানে। আর বোলোনিয়া গোলশূন্য ড্র করেছে শাখতারের সাথে।
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে
৯ দিন আগে