৮ জানুয়ারি ২০২৪, ৪:০১ পিএম
ফার্নান্দো দিনিস বরখাস্ত হওয়ার পর থেকে ব্রাজিলের কোচ হওয়ার দৌড়ে একটি নামই ছিল সবচেয়ে এগিয়ে, দরিভাল জুনিয়র। শেষ পর্যন্ত তিনিই রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন, নিশ্চিত করেছে তার ক্লাব সাও পাওলো।
এক বিবৃতিতে সাও পাওলো জানিয়েছে, দলটির কোচের পদ ছেড়ে দিয়েছেন দরিভাল। “সাও পাওলো ফুটবল ক্লাব কোচ দরিভাল জুনিয়রের ক্লাব ছাড়ার ঘোষণা দিচ্ছে, যিনি ব্রাজিল জাতীয় দলের দায়িত্ব নিতে ক্লাব থেকে চলে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।”
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়নস লিগের রাতটা ব্রাজিলিয়ানদের
সেই বিবৃতিতে দরিভাল বলেছেন, “একটা ব্যক্তিগত স্বপ্ন সত্যি হল।” ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন (সিবিএফ) অবশ্য এই ব্যাপারে কিছু বলেনি এখনও।
গত শনিবার অন্তর্বর্তীকালীন কোচ ফার্নান্দো দিনিসকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয় সিবিএফ। তারই স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন দরিভাল।
২০২৩ সালের জুলাইয়ে ব্রাজিলের কোচ হিসেবে এক বছরের চুক্তিতে নিয়োগ পান দিনিস। সিবিএফ একরকম নিশ্চিতই ছিল, এই বছরের মাঝামাঝি ব্রাজিলের কোচ হবেন কার্লো আনচেলত্তি। কিন্তু ইতালিয়ান কোচ রিয়াল মাদ্রিদে ২০২৬ পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন করায় দ্রুতই পাল্টে যায় চিত্র।
দিনিসকে বরখাস্ত করে তাই স্থায়ী একজন কোচের দিকে মনোযোগ দেয় ব্রাজিল। শেষ পর্যন্ত তারা বেছে নিল দরিভালকেই। ফ্ল্যামেঙ্গোকে কোপা লিবার্তাদোরেস ও ব্রাজিলিয়ান কাপ জিতিয়ে ২০২২ সালে সাও পাওলোর দায়িত্বে নেন অভিজ্ঞ এই কোচ।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলের হতাশার অক্টোবরে এবার উরুগুয়ের কাছে হার আর নেইমারের ইনজুরি
নেইমার-ভিনিসিয়ুসদের দায়িত্ব নিয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জই অপেক্ষা করছে দরিভালের জন্য। কারণ, লাতিন আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে একেবারেই ফর্মে নেই সেলেসাওরা। ছয় ম্যাচে মাত্র ৭ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান ছয় নম্বরে। আর কোপা আমেরিকারও বাকি নেই খুব বেশি সময়।
ব্রাজিলের পরবর্তী ম্যাচগুলো হবে আগামী মার্চে। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ সাবেক দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও স্পেন।
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
১৯ দিন আগে
৯ নভেম্বর ২০২৪, ৭:১৭ পিএম
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সবচেয়ে সফল কোচদের একজন তিনি। স্রেফ রিয়াল মাদ্রিদের হয়েই এই শিরোপা জিতেছেন কয়েকবার। ইউরোপের শীর্ষ এই ক্লাব টুর্নামেন্টের ফরম্যাটে এবার এসেছে বড় পরিবর্তন। আগে চ্যাম্পিয়ন হলেও তাই আনচেলত্তির লক্ষ্য এখন অবসরের আগে রিয়ালের কোচ হিসেবে এই ফরম্যাটেও শিরোপার স্বাদ পাওয়া।
২০১৪ সালে প্রথমবার রিয়ালের কোচ হন আনচেলত্তি। প্রথম বছরেই স্বাদ পান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের। এরপর আবার দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব নিয়ে ২০২২ সালে আরও একবার জেতেন এই প্রতিযোগিতায়। আর সবশেষটি ধরা দেয় গত মৌসুম। এবার ৩২ দলের ভিন্ন ফরম্যাটের এই টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত রিয়ালের অবস্থা অবশ্য ভালো নয়। চার ম্যাচের দুটিতেই হেরে চলে গেছে পয়েন্ট টেবিলের মাঝারি অবস্থানে।
আরও পড়ুন
এমবাপের মাঠে ফেরার আভাস দিলেন আনচেলত্তি |
ফরম্যাট নতুন হওয়ায় শিরোপা জেতার বাড়তি অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন আনচেলত্তি। লেকিপে-কে দেওয়া সাক্ষাৎকার বলেছেন সেই কথাই। “অবসরে যাওয়ার আগে আমি নতুন চ্যাম্পিয়ন্স লিগটা একবার জিততে চাই। আমি এমন একজন কোচ, যে সবসময় স্রেফ শীর্ষে যেতে চায়।”
দীর্ঘ এক ক্যারিয়ারে ইউরোপের শীর্ষ সব লিগেই কোচিং করিয়েছেন আনচেলত্তি। শিরোপারও তাই রয়েছে বিশাল তালিকা। সেখান থেকে সেরা কোনগুলো? আনচেলত্তি সেখানেও প্রাধান্য দিলেন রিয়ালকে। “আমার জেতা সেরা শিরোপা ২০০৩ এসি মিলানের সাথে, ২০২৪ সালে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে এবং ২০২২ সালেও (রিয়ালের সাথে)।”
২০১৩ সালে রিয়ালের দায়িত্ব নিয়ে প্রথম বছরেরই দারুণ সাফল্য পাওয়ায় পরও চুক্তির মাঝপথেই তাকে বরখাস্ত করে দলটি। তবে রিয়ালের প্রতি আনচেলত্তির ভালোবাসায় আসেনি কমেনি একটু। বারবার বলে আসছে, এই ক্লাব দিয়েই কোচিং পেশার ইতি টানতে চান তিনি।
আরও পড়ুন
জিতেও রিয়াল নয়, প্রতিপক্ষের জয় প্রাপ্য বলেই মনে হচ্ছে আনচেলত্তির |
আর সেই লক্ষ্যে আগের মত ভুল করতে চান না সাবেক চেলসি, পিএসজি কোচ। “আমি সবচেয়ে খারাপ ভুলটা করেছি ২০১৪ সালে রিয়াল মাদ্রিদে থাকা অবস্থায়। আমি তাদের বেশি বেতনের জন্য চাপ দিয়েছিলাম। তারা আমাকে রাখতে এবং চুক্তি বাড়াতে চেয়েছিল। কিন্তু তারপর তারা সেটা বাতিল করে দেয়। আমি এটা থেকে শিক্ষা নিয়েছি।”
চলতি মৌসুমে নানা কাণ্ডে জোসে মরিনিয়োর নিষেধাজ্ঞা ও জরিমানা চলছেই। রেফারিং ও তুর্কি ফুটবল নিয়ে কটূক্তির কারণে এবার ফেনেরবাচ কোচকে এক ম্যাচের জন্য টাচলাইন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তুর্কি ফুটবল ফেডারেশন। পাশাপাশি করা হয়েছে জরিমানাও।
ফেনেরবাচের সবশেষ ম্যাচের পর রেফারিং নিয়ে তুর্কির ফুটবলকে ধুয়ে দেন মরিনিয়ো। তার দলের বিপক্ষে পক্ষপাতমূলক আচরণ করার অভিযোগ আনেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ ও চেলসি কোচ। তুর্কি ফুটবল ফেডারেশনের ডিসিপ্লিনারি বোর্ড মরিনিয়োর মন্তব্যকে ভালোভাবে নেয়নি। রেফারি এবং অন্যান্য ম্যাচ কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্য তাকে ২৬ হাজার ২০০ ডলার জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
ইউরোপা লিগে মুখোমুখি ইউনাইটেড-মরিনিয়ো |
এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে আগামী রোববার তুর্কি লিগে ফেনারবাচে ও সিভাস্পোরের ম্যচে।
এই মৌসুমে ফেনেরবাচের কোচ হওয়া মরিনিয়ো বলেছিলেন, তুর্কি লিগ ‘দুর্গন্ধময়’ প্রশ্ন তুলেছিলেন, বিশ্বের অন্য দেশের দর্শকরা এই লিগ দেখবে কিনা। এটাও বলেন, তুর্কি লিগ যে এভাবে চলে, সেটা তাকে আগে জানালে তিনি ফেনেরবাচের চাকরি তিনি নিতেন না।
মরিনিয়োর বিতর্কিত সেই মন্তব্য এসেছিল ট্র্যাবজনস্পররের বিপক্ষে ৩-২ গোলে জয়ের ম্যাচের পর। ওই ম্যাচে কয়েকটি পেনাল্টি সিদ্ধান্ত যায় দলের বিরুদ্ধে। বিপরীতে প্রতিপক্ষ দল পায় পেনাল্টি, যা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মরিনিয়ো। এছাড়া তার আপত্তি ছিল একটি লাল কার্ডের সিদ্ধান্ত নিয়েও।
আরও পড়ুন
‘কফি খেতে গিয়ে ভুল সিদ্ধান্ত দিয়েছে রেফারি’, নতুন অভিযোগে আলোচনায় মরিনিয়ো |