ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই বিভিন্ন সময়ে স্মরণীয় কিছু ইয়র্কার ডেলিভারি উপহার দিয়েছেন জাসপ্রিত বুমরাহ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে সেখানে যোগ হয়েছে আরও দুটি উইকেট, যা ম্যাচের প্রেক্ষাপটে ছিল ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ৷ ‘আনপ্লেয়বল’ এসবের রহস্য কী? ভারতের তারকা পেসার সেখানে তুলে আনলেন স্বদেশী জহীর খান ও দুই পাকিস্তান কিংবদন্তি ওয়াকার ইউনুস ও ওয়াসিম আকরামের নাম।
বুমরাহর তুনে অস্ত্র আছে বেশ, তবে সবচেয়ে ধারাল সম্ভবত ইয়র্কারই। নিখুঁত ও ধারাবাহিকভাবে তার মত আর কেউই এই সময়ে ডেলিভারিটি দিতে পারেন না। সীমিত ওভারে ক্রিকেটেই বোলাররা ইয়র্কার বেশি করলেও ডানহাতি এই পেসার টেস্টে করেন এর সমান ব্যবহার।
আরও পড়ুন: সকালে জয়সওয়ালের ডাবল সেঞ্চুরির পর, বুমরাহ’র ৬ উইকেট
ভিজাগে ম্যাচ সেরা হয়ে বুমরাহ জানালেন ইয়র্কার ডেলিভারির প্রতি তার আলাদা দুর্বলতার বিষয়টি। “আগেও বলেছি, আমি সংখ্যার দিকে তাকাই না। তরুণ থাকতে আমি এটা করেছি এবং তা আমাকে রোমাঞ্চিত করেছে। কিন্তু এখন এটা একটি অতিরিক্ত বোঝা। একজন তরুণ হিসেবে এটাই (ইয়র্কার) প্রথম ডেলিভারি হিসেবে আমি শিখেছি। আমি কিংবদন্তিদের খেলা দেখেছি, ওয়াকার ইউনুস, ওয়াসিম আকরাম এমনকি জহির খানও।”
প্রথম ইনিংসে ভারত ৩৯৬ রান করার পর ইংল্যান্ড গুটিয়ে যায় ২৫৩ রানে৷ মাত্র ৪৫ রানে ৬ উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষকে অল্পেই আটকে দেন বুমরাহ। চোখজুড়ানো এক ইনসুইং ইয়র্কারে ক্লিন বোল্ড করেন আগের টেস্টে ১৯৬ রান করা অলি পোপকে।
রান তাড়ায় দ্বিতীয় ইনিংসে অষ্টম উইকেটে ৫৫ রানে জুটিতে ইংল্যান্ডকে জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন বেন ফোকস। দারুণ এক স্লোয়ারে তাকে ফিরিয়ে ভারতকে ১০৬ রানের জয়ে সাহায্য করেন সেই বুমরাহ। এই দফায় ৪৬ রানে তার শিকার ৩ উইকেট।
৭ জানুয়ারি ২০২৫, ৩:০৩ পিএম
৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১:২৩ পিএম
গতির জন্যই তার পরিচিতি বিশ্ব জুড়ে। বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের জন্য তো নাহিদ রানার বোলিং দেখাটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন বিশেষ এক উপলক্ষ্য। বিপিএলের শুরু থেকে সেটা দেখাচ্ছেনও বেশ। তবে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে রংপুর রাইডার্সের তরুণ এই পেসার গতির চেয়ে বেশি মনোযোগ দিয়েছেন লাইন-লেন্থের দিকেই। ম্যাচ সেরা হলেও তাই একটু কম গতি অনেকের মনেই জাগাতে পারে প্রশ্ন। তবে নির্ভার নাহিদ বললেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী বোলিং করার স্কিল রপ্ত করছেন তিনি।
চলতি বিপিএলের আগে স্বীকৃত ক্রিকেটে একবারও ম্যাচ সেরা হননি নাহিদ। সেই একই ক্রিকেটার এবার পাঁচ ম্যাচের মধ্যে দুইবার জিতেছেন ম্যাচ সেরার খেতাব। নিয়মিতই ঘণ্টায় ১৪৫ থেকে ১৫০ কি.মি. গতিতে বোলিংয়ে নাহিদের বোলিংয়ের মূল শক্তির জায়গা। তবে ঢাকার বিপক্ষে মঙ্গলবারের ম্যাচে সেটা কিছুটা কম ছিল। অবশ্য তাতেও কমেনি বোলিংয়ের ধার। চার ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
আরও পড়ুন
ব্যাটিং ব্যর্থতায় রংপুরকে মামুলি টার্গেট দিল ঢাকা |
ম্যাচ সেরা হয়ে নাহিদ জানিয়েছেন তুলনামূলক বলের গতি কম হওয়ার কারণ।
“আমি বেশি কিছু চিন্তা করিনি। শুধু চিন্তা করেছি ব্যাটারদের বুঝে, উইকেটের আচরণ অনুযায়ী বোলিং করার চেষ্টা করেছি। যেটা বললাম আগে, যে পরিস্থিতি ছিল, সেই অনুযায়ী বোলিং করার চেষ্টা করছি।”
নাহিদের মত এই বিপিএলের দুর্দান্ত ফর্মে আছে তার দলও। পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিতেই জিতে আছেন পয়েন্ট টেবিলে সবার ওপরে। ঢাকার বিপক্ষে ১১১ রান তাড়া করে জয় ধরা দিয়েছে ৪০ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই। আসরে এখন পর্যন্ত কোনো দলই পারেনি রংপুরকে শক্ত চ্যালেঞ্জ জানাতে।
আরও পড়ুন
ঢাকাকে উড়িয়ে রংপুরের টানা পঞ্চম জয় |
নিজের ও দলের ভালো ফর্মে খুশি নাহিদ।
“অবশ্যই, অনেক ভালো লাগছে। যেহেতু আমার দলের জন্য কিছু অবদান রাখতে পেরেছি। নিজের পারফরম্যান্সের জন্য আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো লাগছে।”
নাহিদ এখন পর্যন্ত এই বিপিএলে উইকেট নিয়েছেন ৯টি। ওভার প্রতি রান দিয়েছেন মাত্র ৭.১৫ করে। গড়টাও দুর্দান্ত, ১৫.১১!
আগের ম্যাচে দুইশ রান তাড়া করে যে দলটি জয় তুলে নিল সহজেই, তাদের সামনে ১২০ রানেরও কম টার্গেট দিয়ে জয়ের আশা করাটা বোকামিই বটে। আর চলতি বিপিএলে রংপুর রাইডার্স যেভাবে ছুটছে, তাতে ঢাকা ক্যাপিটালসের মামুলি স্কোর তাদের জন্য চ্যালেঞ্জের হওয়ার কথা ছিল না। হলোও না সেটা আর। পেশাদার রান তাড়ায় প্রতিপক্ষকে টানা চতুর্থ হার উপহার দিয়ে নুরুল হাসান সোহানের দল তুলে নিয়েছে নিজেদের টানা পঞ্চম জয়।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসরের সিলেট পর্বের দ্বিতীয় দিনের প্রথম ম্যাচে রংপুর জিতেছে ৭ উইকেটে। ঢাকাকে মাত্র ১১১ রানে গুটিয়ে তারা জয় তুলে নিয়েছে ৪০ বল হাতে রেখেই।
আরও পড়ুন
পরিস্থিতি অনুযায়ী বল করেই সফল নাহিদ |
ছোট রান তাড়ায় রংপুরের শুরুটা অবশ্য ধীরগতিরই ছিল। প্রথম তিন ওভারে সেভাবে আসেনি রান। তরুণ ওপেনার আজিজুল হাকিম আরও একবার দলকে হতাশ করেন। রানের জন্য সংগ্রাময় এক ইনিংস শেষ হয় ১৪ বলে মাত্র ৫ রানে। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে আলাউদ্দিন বাবুকে টানা তিন চার সহ এক ছক্কায় ২০ রান আদায় করেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান অ্যালেক্স হেলস।
দারুণ গতিতে এগিয়ে যাওয়া হেলস চল্লিশের ঘরে পা রাখেন মোসাদ্দেককে ছক্কা মেরে। তবে অতি আগ্রাসী হতে গিয়ে ওই ওভারেই বিদায় নিতে হয় তাকে। তার আগে খেলেন ২৭ বলে ৪৪ রানের কার্যকরী ইনিংস। টানা দুই ফিফটি করা সাইফ হাসান এদিন পারেননি ইনিংস বড় করতে।
তবে রান তাড়ায় সেটা সমস্যায় ফেলেনি রংপুরকে। বল হাতে দুই উইকেট নেওয়া খুশদিল (১২ বলে ২৩*) ও ইফতেখার আহমেদ (১১ বলে ৮*) মিলে সারেন জয়ের আনুষ্ঠানিকতা।
একপেশে এই ম্যাচের শুরুটা অবশ্য ব্যাট হাতে ঢাকা আশা জাগিয়েছিল ভালো কিছুর। প্রথমবার এই আসরে খেলা জেসন রয় ওপেন করতে নেমে খেলেন কিছু দারুণ শট। তবে ১৮ রানে তাকে বোল্ড করেন শেখ মাহেদি হাসান। আরেক ওপেনার হাবিবুর রহমান ও তিনে নামা তানজিদ হাসান তামিমও সম্ভাবনাময় ইনিংসকে পারেননি বড় স্কোরে রুপ দিতে।
আরও পড়ুন
ব্যাটিং ব্যর্থতায় রংপুরকে মামুলি টার্গেট দিল ঢাকা |
ফলে ২ উইকেটে ৬২ রানের ভালো একটা অবস্থান থেকে দ্রুতই পথ হারিয়ে ফেলে ঢাকা। ইনিংসের মাঝের এই সময়ে রংপুরের খুশদিল, পেসার নাহিদ রানারা মিলে সাড়াশি আক্রমণে কাজটা আরও কঠিন করে তোলেন ব্যাটারদের জন্য।
ফলে ঢাকার কেউই পারেননি আর লড়াই করতে। টেনেটুনে তাতে পার হয় একশ রান। নাহিদ ২১ রানে শিকার করেন ৩ উইকেট, খুশদিল ও আকিফ জাভেদের নামের পাশে ছিল দুটি করে উইকেট।
একাদশে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন আনা ঢাকা ক্যাপিটালস ব্যাটিং অর্ডার একেবারেই পরিবর্তন করে ফেলল। তবে তাতেও হলো না ভাগ্যের বদল। প্রথম তিন ব্যাটার শুরুটা ভালো পেলেও পারলেন না বড় ইনিংস করতে। রংপুর রাইডার্সের বোলারদের সাড়াশি আক্রমণে পরের ব্যাটারদের কেউই পারলেন না লড়াই করতে। ফর্মের তুঙ্গে থাকা নুরুল হাসান সোহানের দলের সামনে ঢাকা তাই টেনেটুনে দাঁড় করাতে পারল মামুলি এক টার্গেট।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসরের সিলেট পর্বের দ্বিতীয় দিনের প্রথম ম্যাচে ঢাকা ১৬.৩ ওভারে গুটিয়ে গেছে মাত্র ১১১ রানে।
আরও পড়ুন
পরিস্থিতি অনুযায়ী বল করেই সফল নাহিদ |
এই ম্যাচ দিয়ে এই বিপিএলে প্রথমবারের মত খেলতে নামেন ঢাকার জেসন রয়, সাব্বির রহমান ও মোসাদ্দেক হোসেনরা। ওপেন করতে নামেন হাবিবুর রহমান ও রয়। দুজনের শুরুটা মন্দ হয়নি। কয়েকটি বাউন্ডারিতে পাওয়ার প্লেতে রানের গতি ভালোই এগিয়ে নেন তারা। আকিফ জাভেদ হাবিবুরকে ফেরানোর পর তিনে নামা তানজিদ হাসান তামিম শুরু করেন আগ্রাসী ব্যাটিং।
সাথে রয়ও খেলেন কিছু বড় শট। দলীয় ফিফটি হওয়ার পরই বিপদের শুরু ঢাকার। ১২ বলে ১৮ রান করা রয়কে বোল্ড করেন শেখ মাহেদি হাসান। পরের ওভারে সেট ব্যাটার তানজিদকেও ফিরিয়ে দেন ইফিতেখার আহমেদ। তানজিদের করা ২০ রানই হয়ে থাকে ঢাকার ইনিংসের সর্বোচ্চ।
সাব্বির ৭ বলে করেন মাত্র ২ রান। আগের ম্যাচে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করা অধিনায়ক থিসারা পেরেরা মারেন ‘গোল্ডেন ডাক’। ৯ বলে ১২ রানে থামেন মোসাদ্দেক। এরপর ঢাকার ইনিংস ১০০ পার করতে অবদান রাখেন আটে নামা পেসারা আলাউদ্দিন বাবু। ১০০ স্ট্রাইক রেটে তার ব্যাট থেকে আসে ১৬ রান।
আরও পড়ুন
ঢাকাকে উড়িয়ে রংপুরের টানা পঞ্চম জয় |
আরও একবার বল হাতে গতির ঝড় তোলা নাহিদ রানাই রংপুরের সেরা বোলার। চার ওভারে ২১ রানে তার নামের পাশে ৩ উইকেট।
ঢাকা পর্বের পর সিলেট পর্বের শুরুটাও হয়েছে দুর্দান্ত। সেই সুখস্মৃতি নিয়ে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে মাঠে নামছে রংপুর রাইডার্স। সেই লড়াইয়ে টস জিতে/হেরে আগে ব্যাটিংয়ের/ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নুরুল হাসান সোহান। এই ম্যাচ দিয়ে চলতি বিপিএলে প্রথমবার মাঠে নামছেন ঢাকার তারকা ইংলিশ ব্যাটার জেসন রয়, বাংলাদেশ ব্যাটার সাব্বির রহমান ও অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন।
এই ম্যাচের আগে দুই দলের অবস্থান বিপরীতমুখী। ঢাকা পর্ব হ্যাটট্রিক জয় দিয়ে শেষ করা রংপুর সিলেটে প্রথম ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে পাত্তাই দেয়নি। ২০৬ রানের টার্গেটে অ্যালেক্স হেলসের সেঞ্চুরি ও সাইফ হাসানের ৮০ রানে ভর করে ৮ উইকেটের বড় জয় পায় একবারের বিপিএল চ্যাম্পিয়নরা। ওই ম্যাচে বোলাররা সেরা ছন্দে না থাকলেও আগের তিন ম্যাচে রংপুরের বোলাররা প্রায় সবাই উপহার দিয়েছেন ভালো পারফরম্যান্স।
চার ম্যাচে চার জয়ের পয়েন্ট টেবিলে সবার ওপরে আছে রংপুর। আর এবারই প্রথম বিপিএলে অংশ নেওয়া ঢাকা ক্যাপিটালস শুরু থেকেই নেই ছন্দে। তিন ম্যাচের তিনটিতেই হেরে টেবিলে সবার নিচে অবস্থান দলটির। ফর্মে থাকা রংপুরের বিপক্ষে তাই কঠিন পরীক্ষাই অপেক্ষা করছে দলটির জন্য।
রংপুর রাইডার্স একাদশ :
অ্যালেক্স হেলস, আজিজুল হাকিম তামিম, সাইফ হাসান, ইফতিখার আহমেদ, নুরুল হাসান (অধিনায়ক), খুশদিল শাহ, শেখ মাহেদি হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, নাহিদ রানা, আকিফ জাভেদ, কামরুল ইসলাম রাব্বি।
ঢাকা ক্যাপিটালস স্কোয়াড :
জেসন রয়, তানজিদ হাসান, লিটন দাস, স্টিফেন এসকিনাজি, থিসারা পেরেরা (অধিনায়ক), সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন, হাবিবুর রহমান সোহান, আমির হামজা, মুস্তাফিজুর রহমান, মুকিদুল ইসলাম।
এই ম্যাচ ও পুরো বিপিএল দেখতে চোখ রাখুন টি-স্পোর্টস নেটওয়ার্কে।
দুর্বার রাজশাহীর শুরুটা হল দারুণ। তবে ভালো শুরু এনে দিলেও ছন্দে থাকা এনামুল হক বিজয় খেললেন ধীরগতির ইনিংস। অন্য ব্যাটাররাও শেষের ঝড় না তুলতে পারায় বোর্ডে জমা পড়ল কিছু রান কমই। রান তাড়ায় চলতি বিপিএলে প্রথমবারের মত চেনা ছন্দে হাজির হলেন তামিল ইকবাল। অধিনায়কের ম্যাচ জেতানো দুর্দান্ত ফিফটিতে ফরচুন বরিশাল পেল সহজ জয়।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সিলেট পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে বরিশালের জয় ৭ উইকেটের। রাজশাহীর ৪ উইকেটে ১৬৮ রানের জবাবে তামিমের দল জিতেছে ১৫ বল হাতে রেখেই।
বরিশালের শুরুটা অবশ্য ছিল ধীর। তৃতীয় ওভারে তাসকিন আহমেদকে ছক্কা মেরে আগ্রাসন দেখান তামিম। ওপেনার প্রিতম কুমার অল্পে ফিরলেও চাপ বাড়তে দেননি কাইল মায়ার্স। ১১ বলে ২৪ রানে আউট হওয়ার আগে দলের জন্য কাজের কাজটা করে দেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার।
আরও পড়ুন
সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপ নেই সাইফের, আরও ভালো করার প্রত্যয় |
মোহর শেখের দুই বলে মারেন চার ও ছক্কা। রাজশাহীর চাপ বাড়িয়ে শফিউল ইসলামের এক ওভারে চারটি বাউন্ডারি মেরে পাওয়ার প্লেতে বরিশালের অবস্থান আরও শক্তিশালী করেন তামিম। তিনি একপ্রান্ত আগলে রানের চাকা সচল রাখলেও তাল মেলাতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়। ১৪ বলে করতে পারেন মোটে ১৯।
মাত্র ৩০ বলে পঞ্চাশে পা রাখেন বরিশাল অধিনায়ক। সেখান থেকে দলকে জেতানোর পথে মূল কাজটা এগিয়ে নেন তামিমই। মুশফিকুর রহিম একপ্রান্ত আগলে জুটি গড়ে দেন যোগ্য সঙ্গ। শেষের দিকে তিনি খেলেন বড় শট। আর সেঞ্চুরির আশা জাগালেও দলের জয় নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় সেটা আর হয়ে ওঠেনি তামিমের।
তবে লং-অনের ওপর দিয়ে হাসান মুরাদকে ছক্কা মেরে ম্যাচের শেষ শটটি আসে তার ব্যাট থেকেই। ১১ চার ও ৩ ছক্কায় মাত্র ৪৮ বলে ৮৬ রানের মারমুখী ইনিংস খেলেন তামিম। ২৪ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিকুর।
তামিমের তোপের সামনে রাজশাহীর বোলাররা প্রতিরোধ না গড়তে পারলেও কিছুটা দায় ব্যাটারদের দিতেই পারেন তাসকিন-শফিউলরা। দুর্দান্ত একটা শুরুর পর যে আশা ছিল ১৮০ প্লাস স্কোরের।
আরও পড়ুন
চেনা আঙিনায় জাকেরের জ্বলে ওঠার অপেক্ষায়… |
ওপেনার জিসান আলম জ্বলে ওঠেন আসরে প্রথমবারের মত। সাথে মোহাম্মদ হারিসও রান তুলেন ভালো গতিতে। প্রথম দশ ওভারে ওভার প্রতি প্রায় ১০ রান করে নিয়ে ভালো ভিত ছিল রাজশাহীর। তবে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর বিজয়ের ইনিংস গতি কমিয়ে দেয় রানের। অন্যপ্রান্তে ইয়াসির আলির প্রায় ১৬১ স্ট্রাইক রেটে করা ৩৭ রানের ইনিংসও তাই পারেননি চাপ সরাতে।
১৯তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ৩৫ বলে মাত্র ৩৯ রান আসে বিজয়ের ব্যাট থেকে। আকবর আলির ১৫ রানের ক্যামিও টেনেটুনে পার করে ১৬০ রান। তবে দিন শেষে রানটা বড্ড কম বলেই প্রতীয়মান হয়েছে।
১ দিন আগে
১ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
১৭ দিন আগে
২০ দিন আগে