১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৪ পিএম
টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যর্থ হলেন সৌম্য সরকার ও লিটন দাস। শুরুটা আগ্রাসী হলেও তানজিদ হাসান তামিম পারলেন না ইনিংস বড় করতে। সাথে অন্য ব্যাটারদের ব্যর্থতায় এক পর্যায়ে দুইশ রানই মনে হচ্ছিল পাহাড়সম লক্ষ্য। তবে বহু যুদ্ধের পোড় খাওয়া যোদ্ধা মাহমুদউল্লাহ আরও একবার দাঁড়িয়ে গেলেন দলের বিপদে। শেষ পর্যন্ত একাই লড়ে গেলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। নয় নম্বরে নামা তানজিম হাসান সাকিব খেললেন গুরুত্বপূর্ণ এক ইনিংস। এই দুজনের কল্যাণে একটা ফাইট দেওয়ার মত পুঁজি পেল বাংলাদেশ।
সেন্ট কিটসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আগে ব্যাটিং করা বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ৪৫.৫ ওভারে ২২৭ রানে।
অথচ টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামার পর বাংলাদেশের শুরুটা ছিল ভালোই। প্রথম বলেই বাউন্ডারি আসে আগের ম্যাচে ফিফটি করা তানজিদের ব্যাট থেকে। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে চড়াও হন মারকুইনো মিন্ডলের ওপর দিয়ে। মিড উইকেট দিয়ে প্রথমে চার মারার পরের বলে ওড়ান ছক্কায়। ওভারের শেষ বলে আরও একটি ছক্কা মেরে ওভার থেকে আদায় করেন ১৮ রান।
আরও পড়ুন
তানজিদ-মিরাজ-মাহমুদউল্লাহর ফিফটিতে বাংলাদেশের ২৯৪ |
![]() |
তবে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন অভিজ্ঞ সৌম্য সরকার। জেডেন সিলসের লেন্থ ডেলিভারিতে টাইমিং গড়বর করে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মাত্র ২ রানে। এই ম্যাচের আগে চলতি বছর খেলা তিন ওয়ানডে মিলিয়ে ১০ রানেরও কম করা লিটন দাস এদিন শুরু থেকেই ছিলেন নড়বড়ে। তার সাবধানী ব্যাটিংয়ে কমে যায় রানের গতি। সেটা পুষিয়ে দেওয়ার আগে সাজঘরের পথ ধরেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
তার আগে ১৯ বলে করতে পারেন মাত্র ৪ রান। ছন্দময় এক স্পেলে এরপর মেহেদি হাসান মিরাজকেও শিকার বানান সিলস। শট খেলবেন, না ছেড়ে দেবেন এই দ্বিধায় থেকে শেষ পর্যন্ত ইনসাইড-এজ হয়ে মাত্র ১ রানে বোল্ড হন আগের ম্যাচে ৭৪ করা বাংলাদেশ অধিনায়ক।
অন্যপ্রান্তে ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে রানের চাকা সচল রাখছিলেন তানজিদ। এগিয়ে যাচ্ছিলেন টানা দ্বিতীয় ফিফটির পথে। তবে অতি আগ্রাসী হতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। জাস্টিন গ্রিভসকে টানা দুই বাউন্ডারি মারার পর সেই ওভারেই লুজ শটে বিলিয়ে দিয়ে আসেন উইকেট। ৪টি চার ও ২ ছক্কায় মাত্র ৩৩ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৬ রান।
আরও পড়ুন
গুরবাজের সেঞ্চুরিতে ম্লান মাহমুদউল্লাহ বীরত্ব, সিরিজ হার বাংলাদেশের |
![]() |
রোমারিও শেফার্ডের এক ওভারে দুই চার মেরে ভালো কিছুর আভাস ছিল আফিফ হোসেনের ব্যাটে। একই বোলারকে এরপর হাঁকান আরও দুটি বাউন্ডারি। তবে ঠিক আগের ম্যাচের মতই সেট হয়ে ব্যর্থ হন ইনিংস লম্বা করতে। গুদাকেশ মোটির প্রথম শিকারের পরিণত হওয়ার আগে তার অবদান ছিল ২৪ রান।
প্রথম ম্যাচে চাপের মুখে ৪৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলা জাকের আলি অনিক পারেননি এবার পরিস্থিতির চাহিদা মেটাতে। একপ্রান্ত আগলে থাকা মাহমুদউল্লাহ নিজের প্রথম ৪১ বলে করেন মাত্র ১১ রান। তবে ওই সময়ে ক্রিজে একজন ব্যাটারের টিকে থাকাটাই ছিল বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
মোটিকে ছক্কা মেরে হাত খোলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। তবে উইকেট পতন চলতেই থাকে। রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনও। ২৬ ওভারে মাত্র ১১৫ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপের মুখ পড়ে যাওয়া বাংলাদেশের সামনে তখন ৫০ ওভার খেলা বা ২০০ রান করাটাই হয়ে দাঁড়ায় বিশাল চ্যালেঞ্জ।
তবে আরও একবার ‘ক্রাইসিস ম্যান’ হিসেবে আবির্ভূত হন মাহমুদউল্লাহ। পেস বোলিং অলরাউন্ডার তানজিমকে নিয়ে গড়ে তোলেন মহাগুরুত্বপূর্ণ এক জুটি। প্রথম দিকে একটু দেখে খেলার পর দুজনই প্রয়োজন মত খেলেছেন বড় শটও। দুজনের ব্যাট থেকেই আসে কয়েকটি ছক্কা। জুটিতে হয়ে যায় ফিফটি।
এই জুটিতে তানজিম যেবাবে মাহমুদউল্লাকে সঙ্গ দিয়েছেন এবং স্পেশালিস্ট ব্যাটারদের মত ভালো ডেলিভারিকে সম্মান দেখিয়ে বাজে বল পেলেই মেরেছেন, তা ছিল প্রশংসনীয়। আর সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৮৪ বলে ওয়ানডেতে নিজের ৩১তম ফিফটি তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ।
জমে ওঠা এই জুটির শতক থেকে মাত্র ৮ রান দূরে থাকতে নিজের বলে রোস্টন চেজের নেওয়া দারুণ এক ক্যাচে শেষ হয় তানজিমের লড়াকু ইনিংস। ফিফটি মিস করলেও ৪টি চার ও ২ ছক্কায় ৪৫ রানের চমৎকার এক ইনিংস খেলে দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেন তানজিম।
আরও পড়ুন
মাহমুদউল্লাহ ৯৮, মিরাজ ৬৬, বাংলাদেশ ২৪৪ |
![]() |
এরপরই মাহমুদউল্লাহর হাত ধরে আশা ছিল ২৩০-২৪০ রানের। তবে ঠিক এর পরের ওভারে সিলসের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের লড়াই। ৪টি ছক্কা ও ২ চারে সাজান ৬২ রানের ইনিংস।
ক্রিজে গিয়েই দুই পেসার শরিফুল ইসলাম ও নাহিদ রানা আগ্রাসন দেখান। হাঁকান কয়েকটি বাউন্ডারি। তাতে যোগ হয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ রান। মাত্র ২২ রানে ৪ উইকেট নেন সিলস।
২৪ মার্চ ২০২৫, ৫:১৭ পিএম
বসুন্ধরা ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) ম্যাচ খেলতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া তামিম ইকবাল দিনের এই পর্যায়ে এসে আছেন ভালো অবস্থায়। বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া জাতীয় দলের সাবেক ওপেনারের সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
সোমবার বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে মোহামেডান এবং শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচের টসের পর প্রথমবার বুকে হালকা ব্যথা অনুভব করেন তামিম। ফিল্ডিংয়ের সময় আবারও বুকে ব্যথা অনুভব করলে সাথে সাথেই মাঠ ছাড়েন তিনি। ঢাকায় এসে চিকিৎসার জন্য এয়ার এম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও করা হয় দ্রুত।
তবে তামিমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ডাক্তাররা ভ্রমণ করার মত অবস্থানে নেই বলে জানান। এরপর তামিমকে সাভার বিকেএসপির নিকটবর্তী কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পর তাৎক্ষণিক জরুরি চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে তার হৃদপিণ্ডের একটি ব্লকেজ দূর করার জন্য তার সফল এনজিওগ্রাম করা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
বিবৃতিতে বিসিবি দেশবাসীর কাছে তামিমের আরোগ্য লাভের জন্য আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি এটাও বলা হয়েছে, তামিমের ভক্তরা তামিমের অবস্থা জানার জন্য হাসপাতালে ভিড় করা থেকে যেন বিরত থাকুন, যাতে এটা হাসপাতালের চিকিৎসা এবং পরিষেবাগুলিকে ব্যাহত না করে।
বিবৃতিতে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বিকেএসপি এবং কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালের মেডিকেল টিমদের সময়োপযোগী এবং বিশেষজ্ঞ হস্তক্ষেপের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। “এই সংকটময় পরিস্থিতিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমরা সকল চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তামিমের জন্য সবার উদ্বেগই বলে দেয় যে তিনি জাতির কাছে কতটা ভালোবাসা এবং প্রশংসার পাত্র।”
ফারুক আহমেদ আরও বলেছেন, তাদের ও সরকারের তরফ থেকেও সব তামিমের সুস্থতার জন্য সব রকম সাহায্য করা হবে। “প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আমাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করছে এবং তাদের কাছে তামিমের অবস্থা সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট পাচ্ছে। বিসিবি তামিমের স্বাস্থ্যের দিকে নিবিড় নজর রাখছে এবং হাসপাতালের মেডিকেল টিমের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে। তামিমের দ্রুত আরোগ্য নিশ্চিত করতে বোর্ড সকল ধরণের সহায়তা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
সকালের দিকে এসেছিল দুঃসংবাদটি। তবে বেলা গড়ানোর সাথে সাথে এসেছে ভালো খবর। বিকেএসপিতে বসুন্ধরা ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) ম্যাচ খেলতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া তামিম ইকবালের শারীরিক অবস্থা এখন উন্নতির দিকে।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব এবং শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচের টসের পর বুকে হালকা ব্যথা অনুভব অনুভব করেন তামিম৷ এরপর ফিল্ডিংয়ের সময় আবারও বুকে ব্যথা অনুভব করলে সাথে সাথেই মাঠ ছাড়েন অভিজ্ঞ এই ওপেনার।
তামিমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দ্রুত একটি হেলিকপ্টারও আনা হয় বিকেএসপিতে, যাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যাওয়া যায়। তবে ডাক্তাররা জানান, হেলিকপ্টার ভ্রমণে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে পারে।
এরপর দেরি না করে বিকেএসপির নিকটস্থ কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে ভর্তি করা হয় তামিমকে।
হাসপাতালের সূত্রের বরাত দিয়ে বিসিবির মেডিকেল বিভাগের প্রধান দেবাশিষ চৌধুরী নিশ্চিত করেন, তামিমের দুই বার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল এবং তার অবস্থা এখন উন্নতির দিকে।
তামিমের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এডমিন প্যানেল থেকে একটি দীর্ঘ পোস্টে তুলে ধরা হয়েছে পুরো ঘটনাটি।
“সকালে টসের পর হালকা বুকে ব্যথা অনুভব করলে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড় (তামিম ইকবাল) বিষয়টি দ্রুত দলের ফিজিও ও ট্রেইনারকে জানান। প্রাথমিকভাবে গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যা মনে হওয়ায় তিনি গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ গ্রহণ করেন। তবে কিছুক্ষণ পরও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সতর্কতার অংশ হিসেবে নিকটতম হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং চিকিৎসা শেষে তিনি বিকেএসপিতে ফিরে আসেন।”
“এরপর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবা হয়। দলের ম্যানেজার শিপন ভাইয়ের সঙ্গে আলোচনা করে হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা হয়, যাতে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা সম্ভব হয়। তবে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়লে তাকে ফের নিকটতম কেপিজে হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে নেওয়া হয়। সেখানে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার হার্টে ব্লক ধরা পড়ে। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী দ্রুত এনজিওগ্রাম করা হয় এবং রিং পরানো হয়। বর্তমানে তিনি কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।”
তামিমের অসুস্থতার খবরে বিসিবি শেষ মূহুর্তে বাতিল করেছে পূর্ব ঘোষিত বোর্ড মিটিং। দুপুরে ১২টায় এটি হওয়ার কথা ছিল। সেটা না হওয়ায় তামিমকের দেখতে বিসিবি পরিচালক সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা ছুটে গেছেন হাসপাতালে।
সেখানে পৌঁছে গেছেন তামিমের পরিবারের সদস্যরাও, যেখানে আছেন তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা, বড় ভাই ও সাবেক ক্রিকেটার নাফিস ইকবালরা।
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব এবং শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের মধ্যকার বসুন্ধরা ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) ম্যাচ চলাকালীন গুরুতর অসুস্থ বোধ করায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ককে।
বিকেএসপির ৩ নম্বর চলমান ম্যাচের টসের পরই অসুস্থতা দেখা দেয় তামিমের। এরপর ফিল্ডিংয়ের সময় বুকে ব্যথা অনুভব করার সাথে সাথেই মাঠ ছাড়েন অভিজ্ঞ এই ওপেনার।
তামিমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় দ্রুত একটি হেলিকপ্টারও চলে আসে বিকেএসপিতে, যাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকায় নিয়ে আসা যায়। তবে ডাক্তাররা জানান, হেলিকপ্টার ভ্রমণে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে পারে।
এরপর তামিমের অসুস্থতার তীব্রতা দেখে দেরি না করে বিকেএসপির নিকটস্থ কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগ পর্যন্ত বিকেএসপির মেডিকেল সেন্টারে দেওয়া হয় প্রাথমিক চিকিৎসা।
হাসপাতালে মোহামেডানের কর্মকর্তারা আছেন তামিমের সাথে। অন্যদিকে মিরপুরে হতে যাওয়া বিসিবির আজকের বোর্ড মিটিং বাতিল করা হয়েছে।
গ্লোবাল সুপার লিগের (জিএসএল) প্রথম আসর বিশ্ব জুড়ে সাড়া ফেলেছিল ভালোই। সেই রেশ না কাটতেই ঘোষণা আসে দ্বিতীয় আসরের। সব ঠিক থাকলে এবারও এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স। বিপিএলে দলটিতে না থাকলেও এই প্রতিযোগিতায় ফ্র্যাঞ্চাইজিটির হয়ে খেলার কথা নিশ্চিত করেছেন জাতীয় দলের মিডল অর্ডার ব্যাটার শামিম হোসেন পাটোয়ারী।
গত বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে পাঁচ দেশের পাঁচ ক্লাব নিয়ে আয়োজিত হয় জিএসএল। বাংলাদেশ থেকে আমন্ত্রণ পেয়ে সেখানে অংশ নেয় একবারের বিপিএল চ্যাম্পিয়ন রংপুর। ফাইলালে ইংলিশ ক্লাব ভিক্টোরিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশের দলটি।
আরও পড়ুন
পাকিস্তানের বিপক্ষে পুরো সিরিজেই ছিটকে গেলেন হেনরি |
![]() |
টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার পরই ঘোষণা আসে দ্বিতীয় আসরের, যা শুরু হবে আগামী জুনে। এবার কোন কোন দল অংশ নেবে, তা এখনও জানানো হয়নি। তবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রংপুরের খেলার বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত বলেই এখন থেকে ঘর গোছানোর কাজ শুরু করেছে তারা।
সেই ধারায় রংপুরের সাথে আলোচনা সেরে ফেলেছেন শামিম। বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি দলের নিয়মিত এই সদস্য ২০২৪ বিপিএলে খেলেছিলেন দলটির হয়ে। তবে সবশেষ আসরে তিনি খেলেন চিটাগং কিংসের হয়ে। তবে জিএসএল দিয়ে আবারও রংপুরের ডেরায় ফিরছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার, টি স্পোর্টসকে নিশ্চিত করেছেন নিজেই।
ম্যাচের আগেরদিন শুক্রবার দুই দলের কেউই অনুশীলন করতে পারেনি ঠিকমত। আইপিএল ২০২৫ এর প্রথম ম্যাচের ভেন্যু কোলকাতার ইডেন গার্ডেনসে রাতভর হয়েছে বৃষ্টিপাত। ম্যাচের দিনও আছে একই সম্ভাবনা। ফলে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও কলকাতা নাইট রাইডার্সের ম্যাচ ঠিকঠাক হয় কিনা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চিয়তার।
গত শুক্রবার ভারতীয় মেট বিভাগের একটি বুলেটিন জানিয়েছে যে, এই অঞ্চলের জন্য একটি ‘অরেঞ্জ এলার্ট’ জারি করা হয়েছে।
দিনের বেলায় কিছুটা সূর্যের হাসি নিরবচ্ছিন্ন ম্যাচের আশা বাড়ালেও আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, দিনের বাকি অংশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। বৃষ্টি বা বজ্রপাতও হতে পারে ম্যাচের সময়ে।
আরও পড়ুন
আইপিএলে স্লো-ওভার রেটের শাস্তি থেকে অধিনায়কের মুক্তি |
![]() |
বৃষ্টির কারণে গত শুক্রবার দুই দলই অনুশীলন করতে পারে অল্প সময়ের জন্য। যদিও ভারি বৃষ্টিপাত ছিল না। এর আগে সপ্তাহের প্রথম দিকে, একটি কলকাতার ইন্ট্রা-স্কোয়াড অনুশীলন ম্যাচটি কেবল একটি ইনিংসের পরই পরিত্যক্ত হয় বিরুপ আবহাওয়ার কারণে। বৃহস্পতিবারও শহরটিতে হালকা বৃষ্টি শহরে আঘাত হানে।
বেঙ্গালুরু ও কলকাতার ম্যাচটি রাত ৮টায় শুরু করার জন্য নির্ধারিত রয়েছে। আইপিএলের লিগ স্টেজের ম্যাচগুলোতে ম্যাচ আয়োজনে অতিরিক্ত সময় বাড়ানোর অনুমতি দেয়। ফলে মধ্যরাত পর্যন্ত সুযোগ থাকে ৫ ওভারের ম্যাচ খেলানোর। সেটাও না হলে দুই দল পয়েন্ট ভাগাভাগি করবে।
উল্লেখ্য, রাত ৭:৩০ মিনিটে টসের আগে একটি আইপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেরও পরিকল্পনা করা হয়েছে। আবহাওয়া সেটাও ফেলে দিয়েছে অনিশ্চয়তার মুখে।
২ দিন আগে
২ দিন আগে
১৫ দিন আগে
২০ দিন আগে
২০ দিন আগে
২০ দিন আগে
২১ দিন আগে
২২ দিন আগে
২৬ দিন আগে
২৬ দিন আগে
৩০ দিন আগে