৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৫ পিএম

দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সৌম্য সরকার পারলেন না বড় স্কোর গড়তে। তবে আগ্রাসী এক ফিফটিতে সুর বেধে দিলেন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। দারুণ এক ইনিংসে অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ ধরলেন মাঝের সময়টার হাল। শেষের দিকে প্রয়োজনীয় ঝড়ো দুই ইনিংসে প্রয়োজনীয় ফিনিশিং এনে দিলেন মাহমুদউল্লাহ ও জাকের আলি অনিক। বাংলাদেশ পেল চ্যালেঞ্জ জানানোর মত একটা স্কোর।
সেন্ট কিটসে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে আগে ব্যাটিং নেওয়া বাংলাদেশের ইনিংস থেমেছে ৬ উইকেটে ২৯৪ রানে৷
গত শনিবার শেষ হওয়া গ্লোবাল সুপার লিগে সর্বোচ্চ রান করা সৌম্য ফাইনালে করেছিলেন ৮৬ রান। তবে পরদিনই মাঠে নেমে পারেননি ফর্মটা ধরে রাখতে। শুরুটা ধীর হওয়ার পর দুই চারে কিছুটা ছন্দ ফিরে পাওয়ার আভাস ছিল। তবে আলজারি জোসেফের প্রথম শিকার হওয়ার আগে করতে পারেন মোটে তিন বাউন্ডারিতে ১৮ রান।
তিনে নামা লিটন দাস ফেরেন স্রেফ দুই রান করেই। অন্যপ্রান্তে তানজিদ অবশ্য শুরু থেকেই ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে রানের চাকা সচল রাখেন। সেই তুলনায় চারে নামা মিরাজ ছিলেন কিছুটা স্থির। আর এই দুইয়ের সম্মিলনেই জমে যায় জুটি।
জাস্টিন গ্রিভসের করা ১৩তম ওভারে একটি চার মারার পর ডাউন দ্য উইকেটে এসে ছক্কা মারেন তানজিদ। ব্যাটে আত্মবিশ্বাসের ছাপ ছিল স্পষ্ট, সেঞ্চুরি করাটা ওই সময়েই সহজ বলেই মনে হচ্ছিল তার জন্য। ইনিংসের ১৮তম ওভারে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটির দেখা পান তরুণ এই ব্যাটার, আর বাংলাদেশ স্কোর পার করে একশ।
প্রথম ৩৭ বলে ২৩ রান করা মিরাজ জেডেন সিলকে ছক্কা মেরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসার আভাস দেন। ৩১ রানে থাকা অবস্থায় ক্যাচ ড্রপে পান নতুন জীবন, যা বাংলাদেশ অধিনায়ক কাজে লাগান দুহাতে।
জুটি যখন পুরোপুরি সেট, তখনই বিপত্তি। ম্যাচের ধারার বিপরীতে আলজারিকে কাট করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন তানজিদ। শেষ হয় ৬টি চার ও ৩ ছক্কায় তার ৬০ বলে ৬০ রানের সম্ভাবনাময় ইনিংসের।
আফিফ হোসেনের সাথে এরপর আরেকটি ভালো জুটি হয় মিরাজের। ৭১ বলে পঞ্চাশ পূর্ণ হয় অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডারের। ক্রিজে গিয়ে কয়েকটি চার মেরে আফিফ ধরে রাখেন ইনিংসের গতি। গ্রিভসকে টানা দুই চার মেরে জুটির ফিফটি আসে আফিদের ব্যাট থেকে। ছন্দে থাকা ইনিংসটি শেষ হয় রোমারিও শেফার্ডকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে। তার আগে ২৯ বলে করেন ২৮।
চার মেরে রানের খাতা খোলেন মাহমুদউল্লাহ। খানিক বাদে বড় শট খেলার প্রচেষ্টায় শেষ হয় মিরাজের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংসটি। ৬ চার ও এক ছক্কায় ডানহাতি এই ব্যাটারের অবদান ছিল ৭১। টেস্ট সিরিজে ম্যাচ জয়ী এক ইনিংস খেলা জাকের আলি শুরুটা করেন সিলসের এক ওভারে দুই চার মেরে। ৪৩ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ২২৩।
এরপর শুরু হয় জাকের ও মাহমুদউল্লাহর মারমুখী ব্যাটিং। প্রতি ওভারে চার-ছক্কার মারে দ্রুতই রান বাড়তে থেকে। ২৮০ ছাড়িয়ে তাতে আশা জাগে ৩০০ রানেরও। শেষ পর্যন্ত অল্পের জন্য তা না হলেও দলকে দুর্দান্ত পজিশনে নিয়ে গেছেন এই দুজন মিলে।
শেষ ওভারে পঞ্চাশে পা রাখেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ। তবে পারেননি জাকের। সমান ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৪০ বলে ৪৮ রানে থামে তার পথচলা। ষষ্ঠ উইকেটে ৯৬ রান করেন তারা। মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত থাকেন ৫০ রানে। ৫১ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন শেফার্ড।
No posts available.
২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯:৫৯ পিএম
২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৯:০৮ পিএম

দক্ষিণ আফ্রিকার হাইকোর্ট তাবরাইজ শামসির পক্ষে রায় দিয়েছেন, যা ক্রিকেট জগতে স্বাধীন বা ফ্রিল্যান্স ক্রিকেটারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। আদালত শামসিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইএল টি টোয়েন্টি লিগে খেলতে এবং অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি পেতে সহায়তা করেছে।
চলতি বছরের শুরুতে শামসি দক্ষিণ আফ্রিকার এসএ টোয়েন্টি লিগে এমআই কেপটাউনের সঙ্গে থাকা চুক্তি বাতিল করেন এবং বিদেশের টি-টোয়েন্টি লিগে খেলার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা (সিএসএ) তাকে আইএল টি টোয়েন্টি খেলতে প্রাথমিক ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ (এনওসি) দেয়, যা ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৈধ ছিল। এই মেয়াদ টুর্নামেন্টের মাঝপথে শেষ হয়ে যাওয়ায় শামসির জন্য সমস্যা দেখা দেয়।
নির্ধারিত মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি আলোচনা ব্যর্থ হলে শামসি হাইকোর্টে আবেদন করেন। আদালত তার পক্ষে রায় দেন এবং আইএল টি টোয়েন্টি ফাইনালের দিন ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত এনওসি বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি তার আইনি খরচ সিএসএ বহন করবে।
শামসি তার ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি গ্লোবাল স্পোর্টস ভেঞ্চার্সের মাধ্যমে এক বিবৃতিতে বলেন,
“আমি কৃতজ্ঞ যে আদালত আমার পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝেছে এবং আমাকে সহায়তা করেছে। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত নেওয়ার ব্যাপারে আমি অনিচ্ছুক ছিলাম, তবে এটি অনিবার্য হয়ে দাঁড়ায় কারণ অন্য কোনোভাবে সমস্যার সমাধান সম্ভব ছিল না।”
চলমান আইএল টি টোয়েন্টিতে শামসি গালফ জায়ান্টসের হয়ে চার ম্যাচে চার উইকেট নিয়েছেন। জানুয়ারি মাসে তিনি অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের হয়ে খেলবেন।

ইংল্যান্ডের সাবেক ব্যাটার ও ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তা হিউ মরিস মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ৬২ বছর।
২০২২ সালের জানুয়ারিতে মরিসের অন্ত্রের ক্যানসার ধরা পড়ে। সে বছরের শেষদিকে তিনি আবার কাজে ফেরেন। তবে চিকিৎসা চলাকালীন পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে গ্লামরগানের প্রধান নির্বাহী পদ থেকে সরে দাঁড়ান।
দুর্দান্ত ওপেনিং ব্যাটসম্যান হিসেবে কাউন্টি ক্রিকেটে ব্যাপক পরিচিতি ছিল মরিসের। গ্লামরগানের অধিনায়ক হিসেবে তিনি দু’দফা দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৯৩ সালে তাঁর নেতৃত্বেই দলটি সানডে লিগের শিরোপা জেতে।
খেলোয়াড়ি জীবনে মরিস ইংল্যান্ড ‘এ’ দলের হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কা সফরে নেতৃত্ব দেন। পেশাদার ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি ১৬ বছর ধরে ইসিবিতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। এক পর্যায়ে ইংল্যান্ড মেন্স টেস্ট দলের প্রধান নির্বাহী হিসেবেও কাজ করেন।
গ্লামরগানের বর্তমান প্রধান নির্বাহী ড্যান চেরি মরিসের স্মৃতিচারণ করে বলেন,
“গ্লামরগান ক্রিকেটের ইতিহাসে হিউ এক অনন্য নাম। মাঠের ভেতরে ও বাইরে তাঁর অবদান ক্লাবের সমর্থকদের হৃদয়ে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে। তিনি ছিলেন অসাধারণ উদ্যমী একজন মানুষ এবং প্রকৃত ভদ্রলোক। তাঁর কীর্তিগুলো ক্লাবের রেকর্ড বইয়ে বহুদিন উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। আমার মনে হয় না, কোনো কাউন্টি দলের কোনো ব্যাটসম্যান কখনও এক মৌসুমে হিউর করা ২,২৭৬টি প্রথম-শ্রেণির রানের রেকর্ড ছুঁতে পারবে।”
ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে হিউ মরিস তিনটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তাঁর ম্যাচ সংখ্যা ২৭৪। এই সংস্করণে তাঁর নামের পাশে রয়েছে ১৪টি সেঞ্চুরি ও ৪৯টি অর্ধশতক।

মাত্র ১৫ বলে ফিফটি করে নারীদের টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্রুততম ফিফটির যৌথ রেকর্ডে নাম লেখালেন লরা হ্যারিস। আজ নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া টুর্নামেন্ট সুপার স্ম্যাশে ওটাগোর হয়ে অভিষেক ম্যাচে এই রেকর্ড গড়েন অস্ট্রেলিয়ান এই নারী ব্যাটার।
এর আগে ২০২২ সালে ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে ১৫ বলে ফিফটি করেছিলেন ইংলিশ ব্যাটার মারি কেলি।
ক্যান্টারবারির বিপক্ষে ১৪৬ রানের লক্ষ্য ছিল ওটাগোর। দলীয় ৪৬ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতনের পর ব্যাটিংয়ে আসেন হ্যারিস। এরপর আক্রমনাত্মক ব্যাটিংয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন তিনি।
হ্যারিসের ১৭ বলে ৫২ রানের ইনিংসে ছিল ৬ টি চার ও ৪টি ছক্কা। গ্যাবি সালিভানের বলে হ্যারিস আউট হওয়ার পর সহজেই লক্ষ্য পেরিয়ে যায় ওটাগো।
হ্যারিসের টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ছয়টি ৫০ এর বেশি ইনিংসই এসেছে ২০ বলের কম সময়ে। এর মধ্যে রয়েছে তিনটি ১৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি, ১৯ বলে একটি এবং দুটি ১৫ ও ১৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি। নারী ক্রিকেটে আর কোনো ব্যাটার একাধিকবার ২০ বলের কম সময়ে এতগুলো হাফসেঞ্চুরি করতে পারেননি।

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) খেলোয়াড়দের আগামী এক বছরের কেন্দ্রীয় চুক্তি ঘোষণা করতে যাচ্ছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন, এবার বেশ কিছু বড় পরিবর্তন আসতে পারে চুক্তিতে। রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির গ্রেড অবনমন হবে এবং শুভমান গিলকে শীর্ষ স্তরে উন্নীত করা হবে।
সাধারণত কেন্দ্রীয় চুক্তি ফেব্রুয়ারি-মার্চে ঘোষণা করা হয়। তবে চলতি মৌসুমে এখনও শেষ না হওয়া সত্ত্বেও এবার বিসিসিআই একটু আগেই চুক্তি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতবার চুক্তি এপ্রিল পর্যন্ত বিলম্বিত হয়েছিল।
রোহিত ও কোহলি যেহেতু টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন, তাঁরা সর্বোচ্চ গ্রেড থেকে নেমে আসতে পারেন। গিলকে মধ্যম গ্রেড থেকে শীর্ষ স্তরে উন্নীত করা হতে পারে। তিনি ইতিমধ্যেই ভারতীয় টেস্ট এবং ওয়ানডে দলের অধিনায়ক। রবীন্দ্র জাদেজা ও জসপ্রিত বুমরাহরও গ্রেড অবনমন হতে পারে। জাদেজাও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন।
পূর্ব বাংলার দুই পেসার মোহাম্মদ শামি ও মুকেশ কুমারকে এই বছরের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শামি মার্চ থেকে জাতীয় দলের হয়ে ক্রিকেটে খেলেননি, আর মুকেশের শেষ ম্যাচ ছিল ২০২৪ সালের জুলাইয়ে।
তিলক বর্মা, অর্শদীপ সিং, প্রসিধ কৃষ্ণা, ধ্রুব জুরেল ও হারশিত রানা—এই ক্রিকেটাররা সবশেষ চুক্তি থেকে উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখিয়েছেন। তাঁরা দুই বা তিন ফরম্যাটের খেলোয়াড় হিসেবে বিবেচিত হতে পারেন। এখন আর সীমিত দলের খেলোয়াড় নন তাঁরা।

দুই দিনেই শেষ হয়েছে বক্সিং ডে টেস্ট। এত দ্রুত ম্যাচ শেষ হওয়ায় উইকেট নিয়ে বইছে সমালোচনার ঝড়। শনিবার ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনেও মূল আলোচনার বিষয় ছিল পিচের আচরণ। প্রথম দিনেই ২০ উইকেটের পতন দেখে খোদ প্রধান কিউরেটর ম্যাট পেজ নিজেই বিস্মিত।
ম্যাচের শেষ তিন দিনে প্রচণ্ড গরমের পূর্বাভাস থাকায় আর্দ্রতা ধরে রাখতে পিচে ১০ মিলিমিটার ঘাস রাখা হয়েছিল। সেই ঘাসই শেষ পর্যন্ত ব্যাটারদের জন্য মরণ-ফাঁদ হয়ে দাঁড়ায়। বোলাররা পায় অস্বাভাবিক বাউন্স।
পিচ নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে পেজ বলেন, ‘আমি একেবারে শকড ছিলাম। একদিনে ২০ উইকেট- এমন টেস্ট ম্যাচে আগে কখনো জড়িত ছিলাম না, আশা করি ভবিষ্যতেও হতে হবে না।’
আরও পড়ুন
| রানার হ্যাটট্রিকের পরও নোয়াখালীকে কাঁদিয়ে সিলেটের নাটকীয় জয় |
|
এমসিজির প্রধান পিচ কিউরেটর আরও বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য থাকে চার-পাঁচ দিন ধরে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ টেস্ট ক্রিকেট উপহার দেওয়া। ম্যাচটি রোমাঞ্চকর হলেও খুব দ্রুত শেষ হয়ে গেছে। এর দায় আমরা নিচ্ছি এবং এখান থেকে শিক্ষা নেব।’
মেলবোর্ন টেস্টের দুই দিনে মাত্র ১৪২ ওভারেই পড়ে ৩৬ উইকেট। তাতে ২০১১ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথম টেস্ট জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড। সব মিলিয়ে ১৫ বছর পর অস্ট্রেলিয়া সফরে টেস্ট ম্যাচ জিতল ইংলিশরা।
সংবাদ সম্মেলনে পিচ নিয়ে সমালোচনা করে ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস বলেন, ‘বিশ্বের অন্য কোথাও এমন পিচ হলে, আগুন লেগে যেত। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথও পিচ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার ট্রাভিস হেড বলেন, ‘পিচ স্পষ্টই বোলারদের পক্ষে ছিল।’
এখন আইসিসি ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রোর কাছ থেকে পিচের রেটিংয়ের অপেক্ষায় রয়েছে এমসিজি কর্তৃপক্ষ। স্টোকস ইতোমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাঁর রিপোর্ট ভালো হবে না।
এদিকে ম্যাচ দ্রুত শেষ হওয়ায় বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় দিনের প্রায় ৯০ হাজার টিকিট এবং চতুর্থ দিনের আরও কয়েক হাজার টিকিটের অর্থ ফেরত দিতে হয়েছে। এর আগে প্রথম টেস্ট পার্থে দুই দিনে শেষ হওয়ায় ৫ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার ক্ষতির মুখে পড়েছিল বোর্ড।