দানি ওলমোকে মৌসুমের প্রথম ভাগের জন্য রেজিস্টার করলেও দ্বিতীয় ভাগে এখনো তাকে খেলানোর অনুমতি পায়নি বার্সেলোনা। তাতে আর্থিক জটিলতা কাটিয়ে নতুন উপায় খুঁজে বের করতে হতো কাতালান ক্লাবটির। স্প্যানিশ গণমাধ্যমগুলো দাবি করছে, সেই উপায় খুঁজে পেয়েছে বার্সেলোনা। ক্যাম্প ন্যু-তে ভিআইপি বক্সের স্বত্ত্ব বিক্রি করার পথে হাঁটছে ক্লাব। যেখান থেকে বড় অঙ্কের অর্থ আয়ের সুযোগ মিলছে বার্সেলোনার।
মার্কা দাবি করছে, ক্যাম্প ন্যু -এর ভিআইপি বক্স স্বত্ত্বের জন্য প্রায় ১০০ মিলিয়ন ইউরো আয় করতে যাচ্ছে বার্সেলোনা। নাম প্রকাশ না করলেও মধ্যপ্রাচ্যের এক কোম্পানি এই বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কা। এছাড়া আরেক স্প্যানিশ গণমাধ্যম স্পোর্ত দাবি করছে ১০০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ২০ বছরের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের কোম্পানিটি ক্যাম্প ন্যু-এর ভিআইপি বক্সের স্বত্ত্ব চাইছে। গণমাধ্যমগুলোর দাবি, বার্সা বোর্ড এই চুক্তি নিয়ে বেশ আগ্রহী। আর এমনটা হলে ওলমোর রেজিস্ট্রেশন নিয়ে বার্সেলোনার দুশ্চিন্তা দূর হবে।
গেল গ্রীষ্মে আরবি লাইপজিগ থেকে বার্সেলোনায় যোগ দেন ওলমো। আর্থিক জটিলতায় স্প্যানিশ মিডফিল্ডারকে রেজিস্টার করতে তখন ভালো বিপদে পড়তে হয় বার্সাকে। তবে আন্দ্রেয়াস ক্রিশ্চেনসেনের ইনজুরির কারণে লা লিগার নিয়মের সুবিধা নিয়ে সে দফায় স্প্যানিশ মিডফিল্ডারকে রেজিস্ট্রেশন করানো গিয়েছিল। তবে এই ডিফেন্ডার চোট কাটিয়ে ফিরেছেন দলে। তাতে ওলমোকে রেজিস্ট্রেশন করতে বার্সাকে খুঁজে বের করতে হতো নতুন উপায়। তবে ভিআইপি বক্স বিক্রি নিয়ে একটা কূলকিনারা হলে সুসংবাদ অপেক্ষা করছে ব্লাউগ্রানাদের জন্য।
৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২:২২ পিএম
৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৭:৪৮ পিএম
৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৪:৩৩ পিএম
প্রস্তুতিটা নিচ্ছেন মোহাম্মেদ সালাহ। তবে সেটা ক্লাব ছাড়ার। গেল কিছু দিন থেকেই সেই ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। শুক্রবার স্কাই স্পোর্টসের সাথে খোলাখুলিই বলে দিয়েছেন, এটাই তার শেষ বছর হতে যাচ্ছে অ্যানফিল্ডে।
চলতি মৌসুম শেষে সালাহ’র চুক্তি শেষ হওয়ার কথা লিভারপুলের সঙ্গে। তবে এখন পর্যন্ত দুই পক্ষ যে বেশ দুরত্বে দাঁড়িয়ে আছেন সেটা সালাহ বেশ কয়েকবারই জানিয়েছেন। স্কাই স্পোর্টসের সাথে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই ধারাটাই ধরে রেখেছেন মিশরীয় তারকা।
স্কাই স্পোর্টস থেকে সালাহ’র কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, লিভারপুলে এটাই তাঁর শেষ মৌসুম কি না। লিভারপুল তারকা উত্তরে ইঙ্গিত দিয়েছেন বিচ্ছেদেরই, “এখন পর্যন্ত? হ্যাঁ। আর মাত্র ছয় মাস বাকি আছে, কিন্তু চুক্তির দিক থেকে এখনো কোনো অগ্রগতি হয়নি।। বলা যায় অনেক দূরে রয়েছি দুই পক্ষ। তাই আমাদের অপেক্ষা করতে হবে সামনে কী হয় তা দেখতে।”
আরও পড়ুন
ইতিহাস গড়েও লিভারপুলে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চিত সালাহ |
গেল মৌসুমে সৌদি আরব থেকে বড় অর্থের প্রস্তাব আসলেও লিভারপুল ছাড়েননি সালাহকে। এই মৌসুমে দুর্দান্ত ফর্মে থাকলেও নতুন চুক্তির প্রস্তাব এখনো মেলেনি তাঁর। তাতে বিদায় যে হতে যাচ্ছে তা অনেকটাই বুঝে গেছেন সালাহ নিজেই। তাই শেষ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপাটা উঁচিয়ে ধরার ইচ্ছে ব্যক্ত করেছেন স্কাই স্পোর্টসের সাথে সাক্ষাৎকারে।
“এই বছর আমার শিরোপার তালিকায় প্রথমেই রাখবো প্রিমিয়ার লিগকে। গত সাত-আট বছরে যত সাক্ষাৎকার দিয়েছি, সব সময় বলেছিলাম, চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে চাই। কিন্তু এই প্রথমবার আমি লিভারপুলের হয়ে প্রিমিয়ার লিগ জয়ের কথা বলছি।”
অল রেডদের হয়ে এটি সালাহর অষ্টম মৌসুম। এই লম্বা সময়ে কেবল একবারই প্রিমিয়ার লিগের শিরোপাটা জিততে পেরেছেন তিনি। অবশ্য সেই লিগ জেতার মহত্ব অন্য যে কোনো শিরোপার থেকে বেশিই হওয়ার কথা। ত্রিশ বছর পর ২০২০ সালে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপাটা জিতেছিল লিভারপুল। তবে কোভিডের কারণে সেবার শিরোপা জয়ের উদযাপনটা খুব একটা জমিয়ে করতে পারেননি সালাহ। তাই সেই আক্ষেপটা এই মৌসুমে মেটাতে চান তিনি।
“ঠিক জানি না, কী কারণে লিগ জেতার প্রতি প্রাধান্য দিচ্ছি। সম্ভবত আমরা শেষবার যেভাবে উদ্যাপন করতে চেয়েছি, সেটা পারিনি বলে হতে পারে। আরেকটা হচ্ছে, ক্লাবের হয়ে এটা আমার শেষ বছর, তাই এই শহরের জন্য বিশেষ কিছু করতে চাই। এটাই আছে আমার মাথায়।”
আরও পড়ুন
সালাহ’র জাদুর ঝাঁপি থেকে আবারো মুগ্ধতা, গড়েছেন নতুন রেকর্ডও |
সালাহরা প্রিমিয়ার লিগ জেতার স্বপ্নটা পূরণ হওয়ার পথেই আছে অবশ্য। ১৮ ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে সবার উপরে আর্নে স্লটের দল। দুইয়ে থাকা এক ম্যাচ বেশি খেলা আর্সেনাল থেকে ৬ পয়েন্টে এগিয়ে আছে তারা।
লিভারপুলের মতো সালাহও আছেন দারুণ ছন্দে। এরই মধ্যে ২৬ ম্যাচে ২০ গোলের পাশাপাশি করে ফেলেছেন ১৭ অ্যাসিস্ট।
এর চেয়েও কি খারাপভাবে বছর শুরু করা যায়? উত্তরটা না-ই হওয়ার কথা। ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে মেজাজ হারিয়ে বছরের প্রথম ম্যাচেই লাল কার্ড দেখেছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তাইতো ম্যাচ শেষেই রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। তবে তাতে অবশ্য পার পাচ্ছেন না তিনি। পড়তে পারেন চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায়।
লা লিগায় পাঁচ হলুদ কার্ড দেখে শেষ ম্যাচে সেভিয়ার বিপক্ষে খেলা হয়নি ভিনিসিয়ুসের। ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ফিরেই দেখেছেন লাল কার্ড। তাতে কমপক্ষে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা যে ভিনিসিয়ুস পাচ্ছেন তা অনেকটাই নিশ্চিত। তবে শাস্তির পরিমাণ চার ম্যাচও হতে পারে বলে জানাচ্ছে স্প্যানিশ গণমাধ্যমগুলো। ২৪ বছর বয়সী এই তারকা কয় ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় পড়েন তা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে মঙ্গলবার পর্যন্ত।
আরও পড়ুন
শিরোপার লড়াইয়ে ‘পুঁচকে’ পাচুকাকে সমীহ করছেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ |
ভ্যালেন্সিয়ার সাথে ভিনিসিয়ুসের অতীত ইতিহাস খুব একটা সুখকর নয়। বিশেষ করে তাদের ঘরের মাঠে প্রায়ই সমর্থকদের রোষানলে পড়তে হয় তাকে। শুক্রবার রাতেও ব্যতিক্রম হয়নি তার। পুরো ম্যাচজুড়েই ভিনিসিয়ুসকে ক্ষেপিয়ে গেছে ভ্যালেন্সিয়া সমর্থকরা। প্রথমার্ধে মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেও দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিলিয়ান তারকা আর পারেননি সেটা। ৭৯ মিনিটে ভ্যালেন্সিয়া গোলকিপারকে ধাক্কা মেরে বসেন রিয়াল ফরোয়ার্ড। লম্বা সময় ভিএআর চেক করে ভিনিসিয়ুসকে লাল কার্ড দেখানোর সিদ্ধান্ত নেন রেফারি।
লাল কার্ড দেখে ভিনিসিয়ুস তেড়ে আসেন রেফারিদের দিকে। রিয়াল ফুটবলারদের হস্তক্ষেপে তাকে পাঠানো হয় টানেলে। ভিনিসিয়ুসের এমন প্রতিক্রিয়ায় শাস্তির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। অবশ্য ম্যাচ শেষে রিয়াল তারকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের কর্মকাণ্ডের জন্য সমর্থকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এক্স একাউন্টে ম্যাচ শেষে ভিনিসিয়ুস লিখেন, “সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি, আর পুরো দলকে ধন্যবাদ দিচ্ছি।”
তবে রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি আছেন ভিনিসিয়ুসের পাশেই। বলছেন আবেদন করবেন রেফারির সিদ্ধান্তের বিপক্ষে-
“আমরা ভেবেছিলাম এটা লাল কার্ড না। সে (গোলকিপার) ভিনিসিয়ুসকে প্রথমে স্পর্শ করেছিল এরপর ভিনি তাকে ধাক্কা দিয়েছে। দুইজনকে হলুদ কার্ড দিয়ে ব্যাপারটা ওখানেই শেষ করা যেতো। আমরা রেফারির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবেদন করবো। আমাদের কাছে এটা লাল কার্ড মনে হয়নি।”
আরও পড়ুন
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অপেক্ষায় থাকে রিয়াল মাদ্রিদ: আনচেলত্তি |
ভিনিসিয়ুসের লাল কার্ড যেন রিয়ালকে তাতিয়ে দিয়েছে। ব্রাজিলিয়ান তারকার মাঠ ছাড়ার মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই বদলি হিসেবে নামা লুকা মদ্রিচের গোলে সমতায় ফেরে রিয়াল। অতিরিক্ত সময়ে রিয়ালের জয়ের নায়ক বনে যান জুড বেলিংহাম। তাতে লা লিগায় শীর্ষস্থানটা দখল করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এক ম্যাচ কম খেলা সিটি রাইভাল আতলেতিকো মাদ্রিদের সাথে তাদের পয়েন্টের ব্যবধান দুই। আর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার সাথে পয়েন্টের ব্যবধান ঠেকেছে পাঁচে।
বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার পর ডাচ মিডফিল্ডার ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং জানিয়েছিলেন জিততে চান অনেক শিরোপা। বছর পাঁচেক পেরিয়ে যাওয়ার পর সেই শিরোপার সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে মোটে তিনে। ক্লাবের সমর্থকদের মত স্বাভাবিকভাবেই যা বেশ হতাশই করেছে সাবেক আয়াক্স তারকাকে। আক্ষেপ না লুকিয়ে তাই বলেই দিয়েছেন, শিরোপা জেতার দিক থেকে বার্সেলোনায় যোগ দিয়ে হতাশই হতে হয়েছে তাকে।
বেশ বড় স্বপ্ন নিয়েই বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছিলেন ডি ইয়ং। বার্সেলোনা সমর্থকরাও তাকে নিয়ে অনেক আশাবাদী ছিল। অবশ্য সময়ের সাথে সাথে দুই পক্ষেরই জুটেছে হতাশা। কাতালান ক্লাবটিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে কেবল এক লা লিগা, এক স্প্যানিশ সুপার কাপ এবং এক কোপা দেল রে জেতাই ডি ইয়ংয়ের সাফল্য। যা বেশ নিরাশই করেছে ডাচ মিডফিল্ডারকে।
সম্প্রতি ভোয়েটবল ইন্টারন্যাশনালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিরোপা জেতা নিয়ে নিজের হতাশার কথা তুলে ধরেছেন ডি ইয়ং।
“বার্সেলোনার হয়ে খেলা ছোটো থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল। আমি এখনো এই ক্লাবের হয়ে খেলাটা উপভোগ করি, তবে বাস্তবতা বেশ কঠিন আমরা যেমনটা কল্পনা করি তার চেয়ে। আমি যখন ক্লাবের হয়ে সই করি তখন অনেক শিরোপা জেতার স্বপ্ন দেখেছিলাম। তখন চিন্তা করিনি পাঁচ বছর পর আমি শুধু তিনটা শিরোপা জিতবো। আমি এর চেয়ে দ্বিগুণের কথা ভেবেছিলাম। শিরোপার দিক থেকে তাই ব্যপারটা হতাশাজনকই। তবে এমন অনেক কিছুই আছে যা আমরা আগে থেকে আন্দাজ করতে পারি না।”
শিরোপা কম জেতার হতাশার সাথে যোগ হয়েছে আবার ডি ইয়ংয়ের চোট আর অফ ফর্মও। পারফরম্যান্সের গ্রাফও দিনকে দিন নামছে নিচের দিকে। গেল দুই মৌসুম থেকেই চোটের হানায় ডি ইয়ংয়ের পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়েছে বেশ। গেল অক্টোবরে চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরলেও মূল একাদশে খুব একটা সুযোগ মিলছে না। সমালোচোনাও জেঁকে বসেছে তাকে।
তাতে ক্লাব ছাড়তে পারেন বলেও ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন।
“সবাই ভাবে আমি সবসময়ই বার্সেলোনায় থাকতে চাই, কারণ ফুটবলের বাইরে এখানে আমার জীবনটা বেশ ভালো। যা সত্য, তবে মাঠে আমি কী করছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। যদি আমার মনে হয় দলের জন্য তেমন কিছু করতি পারছি না, দলের হয়ে কিছু জিততে পারছি না তখন আমি এখানে আর থাকবো না।”
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ডি ইয়ং চলতি মৌসুমে ম্যাচ খেলেছেন ১৩টি। অধিকাংশ ম্যাচই খেলেছেন বদলি হিসেবে নেমে। এখন পর্যন্ত এক গোলের পাশাপাশি করেছেন মাত্র এক অ্যাসিস্ট।
দিন তিনেক আগেই ফেডারেশন কাপে পুলিশ এফসিকে হারিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। শুক্রবার আবারও দুই দল মুখোমুখি হয়েছে প্রিমিয়ার লিগে। এদিন অবশ্য পুলিশকে পাত্তাই দেয়নি বসুন্ধরা। জয় পেয়েছে ৫-০ গোলের বড় ব্যবধানে। অন্যদিকে দিনের অন্য ম্যাচে আবাহনীকে গোলশূন্য ড্র–তে আটকে দিয়েছে ফর্টিস এফসি আর ব্রাদার্স ইউনিয়ন ৩-০ গোলে হারিয়েছে ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্সকে।
কিংসের হয়ে জোড়া গোল করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড জোনাথন ফার্নান্দেস। একটি করে গোল করেন মজিবুর রহমান জনি, রাকিব হোসেন ও মিগেল দামাসেনো।
ময়মনসিংহের রফিকউদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট ধরে রাখে বসুন্ধরা। যার ফল পেতে তাদের অপেক্ষা করতে হয়নি বেশিক্ষণ। ১০ মিনিটের মাথায় কিংসকে এগিয়ে দেন জনাথন ফার্নান্দেস। মিগেল দামাসেনোর দারুণ এক থ্রু বল গড়ে দেয় গোলের ভীত। ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারের বাড়ানো বল খুঁজে নেয় ফয়সাল আহমেদ ফাহিমকে। বসুন্ধরা ফরোয়ার্ড বাম প্রান্ত থেকে আড়াআড়ি ক্রস বাড়ান বক্সে। সেখানে অরক্ষিত ফার্নান্দেস দারুণ প্লেসিংয়ে খুঁজে নেন জাল।
মিনিট তিনেক বাদে আবারও গোলের গোলের দেখা পায় কিংস। রক্ষণ থেকে ইসা ইজেহ লম্বা বল বাড়ান জনির উদ্দেশ্যে। কিংস মিডফিল্ডার বক্সে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জোরালো এক শটে বল জড়ান জালে। ৩৭তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ফার্নান্দেস। ফাহিমের শট গোলরক্ষকের গ্লাভস ছুঁয়ে ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হওয়ার পর বল যায় ফের্নান্দেসের কাছে। জটলার ভেতর থেকে প্রথমে হেডের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর কোনোমতে শট নেন এই ব্রাজিলিয়ান, তাতেই বল জালে।
দ্বিতীয়ার্ধেও কিংস ধরে রাখে দাপট। ম্যাচের ৫০ মিনিটে আবারও মেলে গোলের দেখা। এবার স্কোরশিটে নাম তোলেন রাকিব হোসেন। মিগেলের বুদ্ধিদ্বীপ্ত ফ্রি কিকে ফাঁকা জায়গায় বল পান জনি। এই মিডফিল্ডার শট না নিয়ে ক্রস বাড়ান বক্সে, যেখানে ফাঁকা পোস্টে রাকিব বাকি কাজটা করতে ভুল করেননি।
শেষ দিকে মোহাম্মদ রফিককে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন পুলিশের মোরেনো গুইতো। এরপর যোগ করা সময়ে পুরো ম্যাচ জুড়ে দুর্দান্ত খেলা মিগেল খুঁজে নেন জাল, তাতে ৫-০ গোলের বড় ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কিংস।
বড় ব্যবধানে জয় পেলেও পয়েন্ট টেবিলে বসুন্ধরা আছে পাঁচ নম্বরেই। ৬ ম্যাচ শেষে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের পয়েন্ট ১০।
অন্যদিকে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ফর্টিস আটকে দিয়েছে আবাহনীকে। গোলশূন্য ড্র তে পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে উঠে এসেছে আবাহনী। ৬ ম্যাচের তাদের পয়েন্ট ১৩। এক ম্যাচ কম খেলা রহমতগঞ্জের পয়েন্ট ১২।
দিনের আরেক ম্যাচে, মুন্সীগঞ্জে বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ৬ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে চতুর্থ স্থানে।
ঠোঁটকাটা হিসেবে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর জুরি মেলা ভার। যা মনে আসে, সেটা খোলাখুলি বলতে খুব একটা চিন্তা করেন আল নাসর তারকার। তারই ধারায় সম্প্রতি পর্তুগাল তারকা প্রশ্ন তোলেন ব্যালন ডি’অর-এর স্বচ্ছতা নিয়ে। যা জন্ম দিয়েছে নতুন বিতর্কের। রোনালদোর সেই মন্তব্যের জবাব কয়েক দিন দেরিতে হলেও দিয়েছেন বর্তমান ব্যালন ডি’অর জয়ী রদ্রি। রীতিমত রোনালদোকে সরাসরিই আক্রমণ করেছেন ম্যানচেস্টার সিটি মিডফিল্ডার।
গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডে রদ্রিকে যোগ্য হিসেবে মানলেও ব্যালন ডি’অর প্রাপ্য ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ছিল বলেই মন্তব্য করেছিলেন রোনালদো। এমনকি ভিনিসিয়ুসের সাথে অন্যায় হয়েছে বলেও দাবি করেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড। যা মোটেও ভালো লাগেনি রদ্রির। সম্প্রতি স্প্যানিশ গণমাধ্যম ‘এএস’ কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোনালদোকে কড়া ভাষায়ই জবাবটা দিয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটি মিডফিল্ডার।
আরও পড়ুন
মেসির বিশ্বকাপ জয়ের ছবি দিয়ে রোনালদোকে খোঁচা |
যেখানে রোনালদো যে একই প্রক্রিয়ায় অতীতে এই খেতাবটি জিতেছেন, সেদিকে ইঙ্গিত দিয়েছেন রদ্রি। “তার এমন মন্তব্য সত্যিই আমাকে অবাক করেছে। অন্যদের চেয়ে তার ভালো জানার কথা এই পুরস্কার কিভাবে দেওয়া হয়, কিংবা কিভাবে বিজয়ী বেছে নেওয়া হয়। এ বছর ভোট দেওয়া সাংবাদিকদের মনে হয়েছে পুরস্কারটি আমার জেতা উচিত। আমার ধরণা একই সাংবাদিকেরা তাকেও ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন। তখন তো তিনি এটা নিয়ে মোটেও আপত্তি করেননি।”
অবশ্য শুধু রদ্রিই নন, গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডে করা মন্তব্য নিয়ে রোনালদো খোঁচা শুনেছেন লিগ আঁ থেকেও। গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডে সেই সাক্ষাৎকারে ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলস্কোরার এক পর্যায়ে বলে বসেন, ফরাসি লিগ থেকে এগিয়ে সৌদি প্রো লিগ। যার কারণ হিসেবে পর্তুগাল অধিনায়ক দাঁড় করান আবহাওয়াকে। মধ্য প্রাচ্যের তপ্ত গরমে খেলাটা যে সহজ কাজ নয় সেটাই রোনালদো জানিয়েছেন। সেই সাথে পিএসজির একক আধিপত্যকেও লিগ আঁ-কে পিছিয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী রোনালদো।
আরও পড়ুন
ভিনিসিয়ুসকে ব্যালন ডি’অর না দেওয়াটা অন্যায় হয়েছে বলছেন রোনালদো |
রদ্রির মতো সরাসরি জবাব না দিলেও লিগ আঁ রোনালদোকে জবাব দেওয়ার জন্য বেছে নেয় লিওনেল মেসিকে। রোনালদোর সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষের বিশ্বকাপ জয়ের ছবি দিয়েই রোনালদোকে জবাব দিয়েছে লিগ আঁ। যেখানে লিগ আঁ তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে মেসির বিশ্বকাপ জয়ের ছবি দিয়ে লিখে, “মেসি ৩৮ ডিগ্রি গরমে খেলেছিল।” যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমত রোনালদোকে হাস্যরসের বিসয়বস্তু বানিয়ে ফেলেছিল।
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৭ দিন আগে
২৮ দিন আগে
২৮ দিন আগে