৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩:২০ পিএম
নিউক্যাসলের স্টেডিয়াম সেন্ট জেমস পার্কে রাতে যে ম্যাচ হলো, সেটা এক কথায় বললে–পয়সা উসুল। সেটা নিয়ে গুটিকতক নিউক্যাসল ভক্ত আপত্তি জানালেও খুব একটা দ্বিমত পোষণ করবেন না। ছয় গোলের থ্রিলারে একদম শেষ মুহূর্তে ফাবিয়েন শেরের একটা আচমকা গোল থেকে উড়তে থাকা স্লটের লিভারপুলের কাছ থেকে একটা পয়েন্ট বাগিয়ে নেওয়া গেছে–সেটা লিগ টেবিলের দশম স্থানে বসে থাকা নিউক্যাসলের জন্য স্বস্তির বটে। তবে একটা বিষয়ে সবাই একমত হতে বাধ্য, যে নিউক্যাসল-লিভারপুলের ৩-৩ গোলে ড্র হওয়ার ম্যাচের রাতের ‘সুপারস্টার’ ছিলেন মোহামেদ সালাহই। যিনি এই মৌসুমেও প্রতি ম্যাচের পারফরম্যান্সে তীব্রভাবে দেখিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন, কেন প্রিমিয়ার লিগের অবিসংবাদিত ‘রাজা’ এই মিশরের ৩২ বছর বয়সী তারকা।
বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধটা পুরোটাই ছিল একটা ‘মোহামেদ সালাহ ম্যাটিনি শো’। লিভারপুলের সমতায় ফেরা ম্যাচে কার্টিস জোনসের গোলে বড় অবদান তার বাঁ পায়ের হালকা এক ফ্লিক থ্রু বল। দ্বিতীয় আর তৃতীয় গোল করে নিজেকে নিয়ে গেছেন আরেক উচ্চতায়। বিশেষ করে তৃতীয় গোলটার কথা আলাদা করে বলতেই হয়। মিনিটখানেক আগেই ক্রসবারে লেগে ফিরে এসেছিল তার নেওয়া শট। এরপর আলেক্সান্ডার আরনল্ডের পা থেকে পাওয়া বলটা তিন ডিফেন্ডারের মাঝে দাঁড়িয়ে রিসিভ করলেন ডান পায়ে। কোমরের হালকা মোচড়ে বাম পায়ের সঙ্গে সংযোগ ঘটালেন নিক পোপের দিকে না তাকিয়েই। এদিকে ডিফেন্ডাররা আরো কাছে চলে এসেছেন। কিন্তু তাতে কী! চোখের আর গোলপোস্টের সংযোগ একই লাইনে না থাকলেও মোহামেদ সালাহ’র ‘নো লুক ফিনিশ’ আরেকবার মুগ্ধতা ছড়িয়েছে সেন্ট জেমস পার্কে।
আরও পড়ুন
রুনির রেকর্ডে ভাগ বসালেন সালাহ |
এই ম্যাচে দুটো গোল আর এক অ্যাসিস্ট– সব কম্পিটিশনে ডিসেম্বরের মাঝেই গোল করে ফেলেছেন ১৫ টা। প্রিমিয়ার লিগে ১৩ গোল করে সর্বোচ্চ গোলস্কোরারের শীর্ষস্থানে বসেছেন হলান্ডকে টপকে। নামের পাশে আছে ১২ টা অ্যাসিস্ট, সেটাও সব প্রতিযোগিতা মেলালে। সঙ্গে রেকর্ডবুকে আরেকবার নিজের নাম লিখিয়েছেন ‘দ্য ইজিপশিয়ান কিং অব প্রিমিয়ার লিগ’। একই ম্যাচে গোল এবং অ্যাসিস্ট করার সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি গোল কন্ট্রিবিউশন এর আগে ছিল ওয়েইন রুনির, সবমিলিয়ে ৩৬ টা আলাদা আলাদা ম্যাচে গোল এবং অ্যাসিস্ট করেছিলেন সাবেক এভারটন ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা। সে রেকর্ডটা ভেঙে সালাহ এখন ৩৭ টি ম্যাচে গোল এবং অ্যাসিস্ট–দুটোই করেছেন।
একই ম্যাচে স্কোর এবং অ্যাসিস্টের রেকর্ড
মোহামেদ সালাহ | ৩৭ ম্যাচ |
ওয়েইন রুনি | ৩৬ ম্যাচ |
থিয়েরি অঁরি | ৩২ ম্যাচ |
অ্যালান শিয়েরার | ৩১ ম্যাচ |
অ্যান্ডি কোল | ২৮ ম্যাচ |
প্রিমিয়ার লিগে গোল আর অ্যাসিস্ট মিলিয়ে সালাহর গোল কন্ট্রিবিউশন ২৪৭, যা এই লিগে অষ্টম সর্বোচ্চ। আর তিনটি গোল, অ্যাসিস্ট পেলেই ছাড়িয়ে যাবেন আড়াইশর ঘর।
লিভারপুলের সঙ্গে মোহামেদ সালাহ’র চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে আগামী বছরের জুনে। ক্লাবের সঙ্গে সালাহ’র নতুন চুক্তির সময়সীমা আর বেতন নিয়ে একটা দেনদরবার চলছে, যে ব্যাপারের দীর্ঘসূত্রিতার বিষয়টা একেবারেই পছন্দ হচ্ছে না ৩২ বছর বয়সী তারকার। যদিও সাউদাম্পটনের সঙ্গে ম্যাচের পর সালাহ জানিয়েছেন, তার ইচ্ছা লিভারপুলেই থেকে যাওয়ার এবং প্রয়োজনে এক বছরের জন্য নতুন চুক্তি করতেও রাজি তিনি।
আরও পড়ুন
স্লটের আগমনে লিভারপুলে ইতি ঘটছে সালাহ অধ্যায়ের? |
সালাহর কাছ থেকে এমন পারফরম্যান্সের পর দলের কোচ আর্নে স্লট প্রশংসায় ভাসিয়েছেন প্রেস কনফারেন্সে। সেই সঙ্গে অল রেড ভক্তদের আশা দিয়েছেন সালাহ’র ভবিষ্যতের ব্যাপারে, “যখনই আমাদের ওকে [সালাহ] প্রয়োজন হয়, সে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গোলটা এনে দেয়। আমাদের প্রত্যাশা সে আরো অনেকদিন এই দলে কাজটা করে যেতে পারবে। গোল ছাড়াও সে দলের জন্য স্পেশাল কিছু করে দেখিয়েছে, বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে।”
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২:৪৯ পিএম
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:২৪ পিএম
বছরের শেষটা খুব একটা মন্দ হয়নি, লা লিগা বিরতিতে যাওয়ার আগে রিয়াল মাদ্রিদের প্রেক্ষিতে এমনটা বললে খুব একটা ভুল বলা হবে না। আর প্রেক্ষাপটে যদি বার্সেলোনার তুলনা আনা হয়, তাহলে তো কথাই নেই! বার্সেলোনা যেখানে সাত ম্যাচে সর্বহারা হয়ে নেমে গেছে পয়েন্ট টেবিলের তিনে, সেখানে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা আতলেতিকোর পয়েন্ট ব্যবধান মাত্র এক, দুই দল খেলেছেও একটি করে ম্যাচ কম। কিন্তু নতুন বছর ২০২৫ এ পা রাখার আগ মুহূর্তে আবার ঘুরে ফিরে আসছে পুরোনো আলাপ–শীতে নতুন কোনো মুখ আসবে কী?
আগের মৌসুমে পুরো বছরজুড়ে জোড়াতালি দিয়ে ব্যাকলাইন সাজিয়েছিলেন আনচেলত্তি। ছিলেন না কোর্তোয়া, মিলিতাও, আলাবার কেউই। ভিনিসিয়ুস ভুগেছেন একটা লম্বা সময়ের ইনজুরিতে। তারপরও লা লিগা, সুপারকোপা আর চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা কেউ আটকাতে পারেনি। এবারের ক্যাম্পেইনের গল্পটা ভিন্ন। টনি ক্রুস অবসর নেওয়ায় সেন্ট্রাল মিডফিল্ডের হোল্ডিং রোলটাতে কাউকে সাইন করায়নি মাদ্রিদ বোর্ড। তার ওপর উলটো আবার এসিএল ইনজুরিতে পড়েছেন মিলিতাও, এসিএল ইনজুরিতে মৌসুম শেষ হয়ে গেছে চমৎকার এক মৌসুম কাটানো দানি কারভাহালেরও। চ্যাম্পিয়নস লিগে ছয় ম্যাচে তিন হার, লিগে বার্সার কাছে পর্যদুস্ত হওয়ার আর বিলবাওর কাছে নতি স্বীকার–এসব ঘটনার পর আনচেলত্তি যেমন চাপ বোধ করেছেন, তেমনি মাদ্রিদের ইনজুরিপ্রবণ স্কোয়াডে নতুন সাইনিং ভেড়ানোর ব্যাপারে একটা তোরজোড় শোনা গেছে। কিন্তু স্প্যানিশ গণমাধ্যম এএস জানাচ্ছে, মাদ্রিদ ভক্তরা শীতকালে নতুন কোনো সাইনিংয়ের ব্যাপারে আশা করে বসে থাকলে বরং হতাশই হবেন।
আরও পড়ুন
রিয়ালের হয়ে শিরোপা জেতা সবচেয়ে সহজ কাজ: আনচেলত্তি |
মাদ্রিদ সবশেষ শীতকালের দলবদলে ভিড়িয়েছিল ব্রাহিম দিয়াজকে, সেটা ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে। ২০২৫ এর জানুয়ারিতে সেটা ছয় বছরের পুরোনো ঘটনা হয়ে দাঁড়াবে। শীতের সময়ে ট্রান্সফার মার্কেট বোঝাটাও কঠিন, তাই দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই সমাধানের কথা ভেবে মাদ্রিদের সর্বেসর্বা ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ নতুন সাইনিংয়ের ব্যাপারে তেমন আগ্রহ দেখাননি। এবারও একের পর এক ইনজুরির ভিড়ে দলবদলে সক্রিয় হওয়ার গুঞ্জন উঠলে তিনিই সাফ জানিয়ে দেন, জানুয়ারিতে নতুন কোনো মুখ দেখা যাবে না মাদ্রিদ শিবিরে।
তবে এর পেছনে যৌক্তিক কারণও আছে রিয়াল মাদ্রিদের। ডেভিড আলাবার সেরে ওঠার জন্য অপেক্ষা করছে রিয়াল মাদ্রিদ এবং স্প্যানিশ গণমাধ্যম রেলেভোর ভাষ্যনুযায়ী, জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় থেকেই পূর্ণ দমে ম্যাচ খেলতে পারবেন তিনি। মাদ্রিদের জন্য তাদের ব্যাকলাইনে অবশ্য বড় স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়ে এসেছেন তাদের কাসতিয়া গ্র্যাজুয়েট রাউল আসেনসিও। তার উপস্থিতি, ইমপ্যাক্ট বিচার করে জানুয়ারিতে নতুন কোনো সেন্টার ব্যাকের দিকে ঝোঁকার ইচ্ছা নেই লস মেরেঙ্গেসদের, জানাচ্ছে এএস। তাছাড়াও আলফনসো ডেভিসকে পরবর্তী মৌসুমের গ্রীষ্ম থেকে পাওয়ার ব্যাপারে মাদ্রিদের আশার পারদ অনেক তুঙ্গে। বোর্ডের ধারণা, মাদ্রিদকে দেওয়া ‘জেন্টলম্যানস এগ্রিমেন্ট’ রক্ষা করবেন তিনি।
মাদ্রিদের এখন সকল মনোযোগ তাই পরবর্তী মৌসুম, অর্থাৎ ২০২৫-২৬ এর গ্রীষ্মের ট্রান্সফার উইন্ডোকে ঘিরে। এবং সেখানে মাদ্রিদের চিন্তা, ধ্যান ধারণা দুটো পজিশন ঘিরে। একজন নতুন রাইট ব্যাক ও সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার সাইন করানো।
নতুন রাইট ব্যাক রোলে এক ট্রেন্ট-আলেক্সান্ডার আরনল্ডকে ছাড়া আর কারো কথা ভাবতে পারছে না মাদ্রিদ বোর্ড। ২৬ বছর বয়সী এই লিভারপুল রাইট ব্যাককে এরই মধ্যে কয়েকবার নতুন চুক্তি সই করার প্রস্তাব দিয়েছে লিভারপুল, যার সবগুলোই প্রত্যাখ্যান করেছেন ট্রেন্ট। আর জুড বেলিংহামের সঙ্গে ভালো সখ্যতা আছে ট্রেন্টের, সেটাও রিয়ালের জন্য বড় অ্যাডভানটেজ। সবকিছু ঠিক থাকলে অল রেডদের লাল ছেড়ে লস মেরেঙ্গেসদের সাদা কালোতে ট্রেন্টকে দেখাটা অসম্ভব কিছু নয়।
আরও পড়ুন
ভিনিসিয়ুস জাদুতে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের শিরোপা রিয়ালের |
সেন্ট্রাল মিডফিল্ডের রোলের জন্য মাদ্রিদের রাডারে আছেন সান সেবাস্তিয়ানের মার্টিন জুবিমেন্দি, যিনি গত গ্রীষ্মেই লিভারপুলের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে থেকে গেছেন রিয়াল সোসিয়েদাদে। আছেন পিএসজির পর্তুগিজ তারকা ভিতিনিয়াও, তবে এখনো কারো প্রতি মনস্থির করেনি মাদ্রিদ বোর্ড। আলেইক্স গার্সিয়ার নামও শোনা গেছে কয়েকবার, কিন্তু মিডফিল্ডের ঘাটতি মেটাতে কার দিকে নজর দিবে রিয়াল মাদ্রিদ, সেটা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরো বেশ কয়েকদিন, কিংবা মাস
চমৎকার এক মৌসুম পার করছেন মোহাম্মেদ সালাহ, প্রিমিয়ার লিগে ছুটছে তার গোল আর অ্যাসিস্ট করার রেকর্ড। মুসলমান ধর্মের অনুসারী হওয়ায় মিশরের এই তারকা লিভারপুলের প্রতি আকৃষ্ট করেছেন বিশ্বজুড়ে অনেক মুসলিম ভক্তকে। কিন্তু খ্রিস্টানদের সবচেয়ে বড় উৎসব ক্রিসমাসের দিন মুদ্রার উল্টো পিঠটাও দেখেন ৩২ বছর বয়সী এই তারকা।
প্রতি বছরের মতো এবারও পরিবারের সঙ্গে ক্রিসমাস, অর্থাৎ বড়দিন উদ্যাপনের ছবি নিজের ৬৩ লাখ ইনস্টাগ্রাম ফলোয়ারদের জন্য পোস্ট করেছেন সালাহ। সেখানে হাস্যোজ্জ্বল সালাহ তার স্ত্রী ম্যাগির সঙ্গে বসে আছেন তার দুই মেয়ে মাক্কা আর কায়ানকে নিয়ে। এমন পোস্টকে ভালোভাবে নেননি সালাহ’র মুসলিম ধর্মাবলম্বী ভক্তরা।
আরও পড়ুন
সালাহ’র জাদুর ঝাঁপি থেকে আবারো মুগ্ধতা, গড়েছেন নতুন রেকর্ডও |
বুধবার রাতে স্ত্রী ও দুই মেয়ের সাথে ক্রিসমাসের জামা গায়ে ইনস্টাগ্রামে ছবি শেয়ার করেন সালাহ।
১৫ ঘণ্টা আগে শেয়ার করা সালাহর সেই পোস্ট এরই মধ্যে দুই মিলয়নের বেশি লাইক পড়েছে। কমেন্ট এসেছে প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার।
কয়েকজন তো লিখেছেন এমনটা সালাহর কাছে তারা প্রত্যাশা করেননি। এরকম একজন লিখেছেন ‘তুমি আমাকে হতাশ করেছো, আরেকজন লিখেছেন,
“এখনি এটা ডিলিট কর। কান্নার ইমোজি দিয়ে আরেকজন লিখেছেন, “মুসলমানরা তোমাকে অনুসরণ করে, আর তুমি বিনিময়ে আমাদের এটা ফিরিয়ে দিলে?”
অবশ্য এই পোস্টে সালাহ সমালোচনা যেমন পেয়েছেন, সৌহার্দ্যও পেয়েছেন অনেকের। জেমসরেডমনড নামের একজন লিখেছেন,
“এই ধরনের বাজে কমেন্টে কান দিয়ো না তুমি, আশা করছি তুমি ও তোমার পরিবার ভালো একটা সময় কাটাতে পারছো।”
মাঠের বাইরে যেমনই মাঠের পারফরম্যান্সে লিভারপুল ফরোয়ার্ড আছেন ফর্মের তুঙ্গে। সব মিলিয়ে ২৪ ম্যাচে ১৮ গোলের পাশাপাশি করেছেন ১৫ অ্যাসিস্ট।
আরও পড়ুন
নিজের লিভারপুল অধ্যায়ের শেষ দেখছেন সালাহ |
কোচ হিসেবে ব্যক্তিগত ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে সময় পার করছেন পেপ গার্দিওলা। টানা চার মৌসুম ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জেতা ম্যানচেস্টার সিটি গত ১২ ম্যাচের ৯টিতেই হেরেছে! উদ্ধার পাওয়ার জন্য এখন পাগলপারা গার্দিওলা। এজন্য আর্জেন্টিনার নতুন সেনসেশন ক্লদিও এচেভেরিকে নিয়ে পরিকল্পনায় বদল এনেছে ম্যানচেস্টার সিটি কর্তৃপক্ষ। জানুয়ারিতেই ক্লদিও এচেভেরি আসবেন ম্যানচেস্টার সিটিতে। ইনজুরি আর অফফর্মে ভুগতে থাকা সিটির জন্য ত্রাতা হবেন এচেভেরি, এমনটাই প্রত্যাশা কোচ পেপ গার্দিওলার।
যদিও বছরখানেক আগেই সাড়ে ১২ মিলিয়ন ইউরোতে ক্লদিও এচেভেরিকে কিনেছিল ম্যানসিটি। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী এক বছরের জন্য তাকে রেখে দেয়া হয় নিজ ক্লাব রিভারপ্লেটে। এরপর তাকে স্প্যানিশ ক্লাব জিরোনায় ধারে পাঠানোর পরিকল্পনাও ছিল সিটি ম্যানেজমেন্টের। তবে এবার বাধ্য হয়ে জিরোনা নয়, ম্যানসিটি’র হয়ে তাকে খেলানোর চিন্তা করেছেন গার্দিওলা।
আরও পড়ুন
‘মেসির মত আর কেউ নেই’, বিশ্বাস এমিলিয়ানোর |
ম্যানসিটি’র সাথে চুক্তি করার পর ২০২৪ সালে রিভারপ্লেটের হয়ে ৪ গোল ও ৬ অ্যাসিস্ট করেছেন এই তরুণ। ১৮ বছর বয়সী এই তরুণের সাফল্যে লিগ টেবিলে পঞ্চম স্থানে ক্লাবটি। তবে ইতিমধ্যে শেষ ম্যাচটি খেলে ফেলেছেন এচেভেরি। এখন শুধুই সিটিজেনদের হয়ে মাঠে নামার অপেক্ষা। ১৭ ম্যাচে মাত্র ২৭ পয়েন্ট চ্যাম্পিয়নদের, লিগ টেবিলে অবস্থান ৭ নাম্বারে। আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলাটাই এখন বড় প্রশ্নের মুখে। ইংলিশ লিগের শিরোপার স্বপ্ন এখন গার্দিওলাও আর দেখছেন না! চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টেবিলেও নেই স্বস্তির খবর। ৬ ম্যাচে মাত্র ৮ পয়েন্ট, টেবিলে অবস্থান ২২ নাম্বারে।
গেল বছর নভেম্বরে ক্লদিও এচেভেরির দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিকে ভর করে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয় তুলে নেয় আর্জেন্টিনা। ট্রান্সফার মার্কেটে আগামীর বড় খেলোয়াড় তিনি। লিওনেল মেসির মতোই খেলার ধরণ। এখন আসছে জানুয়ারিতে মাঠে নেমে কি পরিবর্তন আনতে পারবেন এচেভেরি, সেই প্রশ্ন এখন সিটিজেন ফ্যানদের মনেও!
গেল অক্টোবরে চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরেছিলেন নেইমার। তবে দুই ম্যাচ খেলে আবারও চোটের হানায় ছিটকে যান আল হিলাল তারকা। যাচ্ছেন পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। এমন কঠিন সময়ে ব্রাজিলিয়ান তারকা অবশ্য পেয়েছেন খুশির খবর। বুধবার নেইমারের সঙ্গী ব্রুনা বিয়ানকারদি জানান দিয়েছেন আবারও বাবা হতে চলছেন আল হিলাল তারকা।
সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় ব্রুনা নিশ্চিত করেন এই দম্পতির অনাগত সন্তানের খবর। জানিয়েছেন, তাদের কোল আলো করে আসছে একটি মেয়ে সন্তান। এটি এই দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান।
আরও পড়ুন
সংশয়ের মেঘ সরিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান নেইমার |
২০২২ সালে ব্রুনার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন নেইমার। নতুন সন্তানের সুখবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ব্রুনা,
“আমরা বেশ দারুণ একটা সময় পার করছি। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ তিনি আমাদের আবারও এমন আনন্দের মুহূর্ত এনে দিয়েছেন। স্বাগতম কন্যা! ঈশ্বর তোমাকে সব সব ধরনের খারাপ দৃষ্টি থেকে রক্ষা করুক।”
নেইমার এই নিয়ে চতুর্থ বারের মত বাবা হতে যাচ্ছেন। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই প্রথমবার বাবা হন সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড। নেইমারের প্রথম ছেলে ডেভিড লুকার বয়স ১৩। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেইমারের সাথে নিয়মিতই দেখা যায় লুকাকে।
আরও পড়ুন
নেইমারের সান্তোসে যাওয়ার গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন এজেন্ট |
অন্যদিকে ব্রুনার সাথে তার প্রথম সন্তান মাভির বয়স দেড় বছর। আর আমান্দা কিমবার্লির সাথে তার মেয়ে হেলেনের বয়স পাঁচ মাস। তার মধ্যে আবারও ব্রুনার সাথে নতুন সন্তানের সুখবর পেলেন নেইমার।
শেষ ১২ ম্যাচের মধ্যে নয় ম্যাচেই হার দেখেছে ম্যানচেস্টার সিটি। নেমে গেছে পয়েন্ট টেবিলের সাত নম্বরে। পড়তি ফর্মে তৈরি হয়েছে সিটিজেনদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা নিয়ে শঙ্কা। যা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন খোদ পেপ গার্দিওলা। বলছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে টানা জয়ের বিকল্প নেই।
গেল ১৪ মৌসুম টানা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলে গেছে সিটি। শেষ সাত মৌসুমের মধ্যে ছয়বারই তারা জিতেছে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা। তবে গার্দিওলার দল এবার নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে। পয়েন্ট টেবিলে অবস্থানটা সাতে হলেও পেছনে থাকা ক্লাবগুলোর সাথে পয়েন্টের ব্যবধানটা খুব একটা বেশি না। তাতে এক হারে পয়েন্ট টেবিলে আরও পিছিয়ে যাওয়ার শঙ্কা আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।
আরও পড়ুন
কঠিন সময়েও গার্দিওলার উপর আস্থা হারাচ্ছেন না হলান্ড |
সিটিকে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছানো গার্দিওলাও মানছেন তা। এভারটনের সাথে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা পাওয়া নিয়ে শঙ্কার কথা,
“আমি যখন বলেছিলাম চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা পাওয়াটা বড় অর্জন, তখন লোকজন হেসেছিল। এখন তারা বুঝতে পারছে। কিন্তু আমি জানি এই লিগে এমনটা হয়। লম্বা সময় আধিপত্য ধরে রাখলেও পরে তারা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা পাতেই কষ্ট করতে হয়। অনেক বছর আমরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দাপট দেখিয়েছি, এখন আমাদের জায়গা পাওয়া নিয়েই শঙ্কা।”
অর্ধেক মৌসুম প্রায় শেষ। তাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা পাকা করতে হলে টানা জয়ের বিকল্প নেই বলেই মানছেন গার্দিওলা,
“চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা পাওয়া নিয়ে এখানে প্রতিযোগী অনেক। প্রতিটা দলের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ। যদি আমরা ম্যাচ না জিতি, তাহলে এই দৌড় থেকে অনেকটাই ছিটকে যাবো। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে না পারলে, মানতে হবে আমরা সেটার প্রাপ্য না। বুঝতে হবে নিজেদের সমস্যার সমাধান আমরা খুঁজে পাইনি।”
সিটিতে চুক্তি নবায়ন নিয়ে আক্ষেপ নেই গার্দিওলার |
৫ দিন আগে
৮ দিন আগে
১৯ দিন আগে
১৯ দিন আগে
২০ দিন আগে
২১ দিন আগে
২২ দিন আগে