অ্যাবসুলেট সিনেমা….বার্সেলোনা ইন্তারের ম্যাচের পারফেক্ট হেডলাইন। যেন দম ফেলার নেই ফুসরত। যার শুরু প্রথম মিনিটে, চলেছে ৯০ মিনিট পর্যন্ত। নান্দনিক ফুটবল, ৬ গোলের মোহারণ, আর ১৭ বছর বয়সী এক তরুণের সব আলো কেড়ে নেওয়া। ক্লাসিক চ্যাম্পিয়নস লিগ নাইট যেমন হয় আর কী। যেই রাত ফুটবল সমর্থকদের মনে দাগ কেটে যাবে লম্বা সময়।
দিয়ারিও স্পোর্টসের ফ্রন্ট পেইজ বলছে, সব কিছুই সম্ভব ইয়ামালকে নিয়ে… নিজের শততম ম্যাচটাকে এতটাই রাঙিয়েছেন এই তরুণ। দারুণ একটা গোল, আর তার বা পায়ের জাদুতে ক্ষণে ক্ষণে সমর্থকদের ভাসিয়েছেন উচ্ছ্বাসে, আর নিয়েছেন ইন্তার ডিফেন্ডারদের কঠিন পরীক্ষা। এমনকি ইংল্যান্ডে বসা আর্লিং হলান্ডকে পর্যন্ত বাধ্য করেছেন তাকে নিয়ে পোস্ট দিতে।
এই ম্যাচে নায়ক আছে আরও একজন…ডেঞ্জেল ডামপ্রিস। দুই গোলের সঙ্গে, এক অ্যাসিস্ট সেই সাথে রক্ষণ সামলানোর ধকল তো ছিলই। এত সব তারকার ভিড়ে ডাচ ডিফেন্ডার নিজেকে চিনিয়েছেন নতুন করেই।
আরও পড়ুন
নিষেধাজ্ঞা কাজে লাগিয়ে রুডিগারের অস্ত্রোপচার, শাস্তি এড়ালেন বেলিংহাম |
![]() |
বল দখলের লড়াই, শট অন টার্গেট কিংবা পাস সব খানেই ইন্তার থেকে বেশ এগিয়ে ছিল বার্সা। বার্সার অল অ্যাটাকের জবাবে ইন্তারের অস্ত্র ছিল কাউন্টার অ্যাটাক। যেখানে দলটা ছিল বেশ সফল।
এদিন খেলার বয়স ৩০ সেকেন্ড না হতেই বার্সাকে চমকে দেয় ইন্তার। ডামপ্রিসের পাস থেকে দারুণ এক ব্যাকহিলে বল জালে জড়ান থুরাম। যা আবার চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম গোল, বার্সার বিপদ বাড়ে ২১ মিনিটে, এবার গোলের খাতায় নাম তোলেন ডামপ্রিস নিজেই। চোখ ধাঁধানো এক ওভারহেড কিকে স্তব্ধ করে দেন অলিম্পিক স্টেডিয়ামকে।
স্তব্ধ অলিম্পিক স্টিডিয়ামকে জাগিয়ে তুলতে ইয়ামাল সময় নিয়েছে মোটে তিন মিনিট। ২৪ মিনিটের মাথায় পাঁচ ইন্তার ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে বা পায়ের আড়াআড়ি এক শটে বল জড়ান জালে। বার্সেলোনা সমর্থকেরা এমন একটা গোল নিশ্চিতই বারেবারে খুঁজে ফিরে দেখবেন।
৩৮ মিনিটে বার্সাকে সমতায় ফেরায় ফেরান তোরেস। যার পেছনের কারিগর পেদ্রি ও রাফিনিয়া। স্প্যানিশ মিডফিল্ডারের মাপা ক্রস খুঁজে নেয় রাফিনিয়াকে, ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড হেডে সেটা বাডিয়ে দেন ফাঁকা জায়গায় দাঁড়ানো তোরসের দিকে। সহজ কাজটুকু করতে ভুল করেননি তোরস। তাতে ২-২ এর সমতায় থেকে বিরতিতে যায় দুই দল।
আরও পড়ুন
কোপা দেল রের ফাইনালে ‘অনিশ্চিত’ লেভানদভস্কি |
![]() |
বিরতি থেকে ফিরেও খেলা চলে একই তালে। ৬৪ মিনিটে আবারও সেই ডামপ্রিস হৃদয় ভাঙে বার্সার। কর্নার থেকে ভেসে আসা বল এবার হেডে জালে জড়ান ডাচ ডিফেন্ডার। তবে সেই লিড টেকে মোটে ১২০ সেকেন্ট। ইন্তারের সেট পিসের জবাব বার্সাও দিয়েছে সেট পিস থেকেই। কর্নার থেকে আসা বল ইয়ামাল ‘ডামি’ করে ছেড়ে দিলে ফাঁকায় পেয়ে যান রাফিনিয়া। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড বুলেট গতির শটে বল পাঠান জালের দিকে। তবে নিজেকে কিছুটা হতভাগা ভাবতেই পারেন রাফিনিয়া। ইয়ান সোমারের পিঠে লেগে বল জালে প্রবেশ করায় গোলটা কাউন্ট হয়েছে আত্মঘাতী গোল হিসেবেl হিসেবে।
৭২ মিনিটে অবশ্য আরও একবার গোলের দেখা পায় ইন্তার। তবে মেখেতেরিয়ানের গোল কাটা পড়ে অফ সাইডে। শেষ দিকে ইয়ামালও দারুণ একটা গোল করেই ফেলছিলেন, তবে পোস্টের বাঁধায় তা শেষ হয়নি। তাতে ৩-৩ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে দুই দল। আর অ্যাবসুলেট সিনেমার পরের পর্বের অ্যাকশন তোলা থাকে সান সিরোর জন্য।
১ জুলাই ২০২৫, ১১:০৩ এম
৩০ জুন ২০২৫, ৭:০১ পিএম
৩০ জুন ২০২৫, ৫:৪৫ পিএম
৩০ জুন ২০২৫, ৪:৫৬ পিএম
৩০ জুন ২০২৫, ২:১৫ পিএম
দিনের শুরুতে ইন্টার মিলানকে বিদায় করে চমক দিয়েছিল ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্স। তবে দিনের সবচেয়ে বড় চমকটা তুলে রেখেছিল সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল। ফ্লোরিডায় ম্যানচেস্টার সিটিকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেছে দলটা।
শুরু থেকেই ম্যাচে গোলের লড়াই জমে ওঠে। যা স্থায়ী ছিল অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচের শেষ বাঁশির আগ পর্যন্ত। বল দখল কিংবা আক্রমণ সব দিক থেকে সিটিজেনরা এগিয়ে থাকলেও জয়ের হাসি হেসেছে সিমন ইনজাগির দল।
আরও পড়ুন
৭ গোলের মারদাঙ্গা লড়াইয়ে সিটিকে বিদায় করে শেষ আটে আল হিলাল |
![]() |
এই জয়ে ইউরোপীয় দলের বিপক্ষে এশিয়ান ক্লাবগুলোর টানা ২০ ম্যাচের জয়খরা কাটিয়েছে সৌদি প্রো লিগের দলটি। এমনকি আল হিলাল প্রথম কোনো এশিয়ান ক্লাব হিসেবে ফিফার আনুষ্ঠানিক কোনো টুর্নামেন্টে ইউরোপীয় দলের বিপক্ষে জয় পেল।
মঙ্গলবার সকালে অর্লান্ড সিটির ক্যাম্পিং ওয়ার্ল্ড স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৯ মিনিটে প্রথম লিড নেয় ম্যানসিটি। ওই গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে সিটিজেনরা। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটে গোল করে আল হিলালকে সমতায় ফেরান লিওনার্দো।
পরেই আরেক ব্রাজিলিয়ান ম্যালকমের গোলে ২-১ গোলের লিড নেয় আল হিলাল। সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড ৫২ মিনিটে জালে বল পাঠান। ৫৫ মিনিটে আর্লিং হালান্ড শোধ করে দেন ওই গোল। ম্যাচ ২-২ সমতায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে গড়ায়।
আরও পড়ুন
ক্লাব বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের পর ‘মানসিক বিশ্রামের’ সন্ধানে গার্দিওলা |
![]() |
সেখানে সাবেক চেলসির ডিফেন্ডার কালিদু কোলিবালির হেড থেকে দারুণ এক গোল করে আল হিলালকে ৩-২ গোলে এগিয়ে নেন। কোয়ার্টার ফাইনালের স্বপ্ন দেখান। কিন্তু ফিল ফোডেন ওই স্বপ্ন স্থায়ী হতে দেননি। ম্যানসিটিতে নতুন যোগ দেওয়া রায়ান ছের্কির অসাধারণ এক পাস থেকে ১০৪ মিনিটে গোল করেন ফোডেন। কিন্তু ১১২ মিনিটে মার্কোস লিওনার্দোর করা গোল শোধ করতে না পেরে বিদায় নিয়েছে পেপ গার্দিওলার ম্যানসিটি।
আগামী শুক্রবার সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে রাত একটায় ফ্লুমিনেন্সের মুখোমুখি হবে আল হিলাল।
অনুমিতভাবেই ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে ফ্লামেঙ্গোকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করেছে বায়ার্ন মিউনিখ। আর এই জয় তাদের দাঁড় করিয়ে দিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী পিএসজির সামনে। তবে এতে মোটেও দমে যাওয়ার পাত্র নন হ্যারি কেইন। বায়ার্ন স্ট্রাইকার বরং হুশিয়ারি দিলেন, সব দলকেই হারানোর ক্ষমতা আছে তাদের।
রোববারের ম্যাচে বায়ার্ন মাত্র দশ মিনিটের মধ্যে দুটি গোল করে অনায়াস জয়ের ভিত রচনা করে। তবে দুই গোল শোধ দিয়ে কিছুটা লড়াই করে ফ্লামেঙ্গো, যা শেষ পর্যন্ত যথেষ্ট হয়নি। ৪-২ গোলে জিতে শেষ আটে চলে যায় বায়ার্ন, যেখানে তাদের লড়তে হবে লুইস এনরিকের পিএসজির সাথে। ইন্টার মায়ামিকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়া আর গত মৌসুমে ট্রেবল জেতা দলটির সাথে লড়াই মোটেও সহজ কাজ হবে না বায়ার্নের জন্য।
আরও পড়ুন
‘ইউরোপিয়ান ফুটবলই অভিজাত শ্রেণি’, বায়ার্নের কাছে হেরে স্বীকারোক্তি ফ্লামেঙ্গো কোচের |
![]() |
তবে ম্যাচে জোড়া গোল করা কেইন মনে করেন, পিএসজিকে বিদায় করার সামর্থ্য তাদের আছে।
“পিএসজি এখন অসাধারণ ফর্মে আছে। আমরা গত মৌসুমে তাদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও হারিয়েছি। আমরা সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নামব। আমরা জানি, সেরা খেলাটা খেলতে পারলে বিশ্বের যেকোনো দলকে হারাতে পারি।”
কেইন নিজেদের সক্ষমতা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হলেও ফ্লামেঙ্গো সাথে শুরুটা ভালোর পর কিছুটা খেই হারায় বায়ার্ন। বিশেষ করে ৫৫তম মিনিটে স্কোরলাইন ৩-২ হওয়ার সময় কিছুটা চাপেই ছিল জার্মান ক্লাবটি। তবে কেইনের দ্বিতীয় গোল নিশ্চিত করে তাদের জয়, যা ছিল চলতি মৌসুমে ইংলিশ তারকার ৪১তম গোল।
বায়ার্ন কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানির মতে, ম্যাচটা তাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিল।
“খেলার শুরুটা বেশ জমজমাট ছিল। আমরা ভেবেছিলাম যে এই গরমে এমন তীব্র গতি ধরে রাখা কঠিন হবে। তবে ধীরে ধীরে আমরা ম্যাচে নিজেদের জায়গা তৈরি করেছি। এখন আমাদের মূল লক্ষ্য হল পূর্ণ বিশ্রাম নেওয়া আর প্রাণশক্তি পুনরুদ্ধার করা। পিএসজির বিপক্ষে ম্যাচটি শীর্ষ পর্যায়ের লড়াই হবে। আমরা সেই চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।”
চলমান ক্লাব বিশ্বকাপে চমকের জন্ম দিয়ে অপরাজিত থেকে গ্রুপ পর্ব পার করেছিল ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলো। সমানে সমান লড়ছিল ইউরোপের শীর্ষ ক্লাবের সাথে। তবে শেষ ১৬-তে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে এর আগে দুর্দান্ত ফুটবল খেলা ফ্লামেঙ্গো। ম্যাচের পর ব্রাজিলের ক্লাবটির কোচ ফিলিপে লুইস অকপটে স্বীকার করলেন, এখনও ফুটবলের অভিজাত শ্রেণি ইউরোপই।
রোববারের ম্যাচে বায়ার্ন মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে দুটি গোল করে চাপে ফেলে দেয় ফ্লামেঙ্গোকে। এরপর ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি দুইবার ব্যবধান কমাতে সক্ষম হলেও পুরো ম্যাচেই আধিপত্য ছিল বুন্দেসলিগা চ্যাম্পিয়নদের। শেষ পর্যন্ত বায়ার্ন জেতে ৪-২ গোলে।
আরও পড়ুন
পিএসজিকে কেইনের হুঁশিয়ারি, ‘যেকোনো দলকেই হারাতে পারে বায়ার্ন’ |
![]() |
ম্যাচের পর সাবেক ব্রাজিল লেফট-ব্যাক লুইস।
“তারা (ইউরোপিয়ান ক্লাব) আপনার ওপর যে পরিমাণ চাপ সৃষ্টি করে, সেটা অসাধারণ। তারা ৮-১০ জন নিয়ে একযোগে আক্রমণে আসে। যোগ্য দল হিসেবে জিতেছে তারা। আমাদের পরিকল্পনা ভালোই ছিল, আমরা সুযোগ তৈরি করেছি, কিন্তু তারা আমাদের চেয়ে ভালো খেলেছে। তবে মনে রাখতে হবে, আমরা খেলছি ফুটবলের অভিজাতদের বিপক্ষে। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র যদি (ফ্লামেঙ্গো থেকে) রিয়াল মাদ্রিদে না যেত, তাহলে হয়ত বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় এখন আমাদের দলেই থাকত।"
প্রথমবারের মতো ৩২ দলের ক্লাব বিশ্বকাপে ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোর আধিপত্য প্রত্যাশিতই ছিল। তবে গ্রুপ পর্বে কিছুটা হোঁচট খায় তারা। অন্যদিকে সবগুলো ব্রাজিলিয়ান ক্লাবই নকআউট পর্বে জায়গা করে নেয় অপরাজিত থেকে, উপহার দেয় উপভোগ্য ফুটবল। তবে ফ্লামেঙ্গোকে বিদায় করে বায়ার্ন আবারও ইউরোপিয়ান ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের বাস্তবতা ফিরিয়ে এনেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
।
আর এই ধারণার সাথে অমত করছেন না ফ্লামেঙ্গো কোচও।
“দক্ষিণ আমেরিকার খেলোয়াড়রা চায় ফুটবলের অভিজাত অংশ হতে, এবং তারা সেটাই করে। তবে বাস্তবতা হলো, ইউরোপেই এখন সেরা খেলোয়াড়েরা খেলে। আমাদের দলেও ব্রাজিলিয়ান তারকা আছে, কিন্তু তাদের দলে সেরা সব ব্রাজিলিয়ানরাই খেলছে। এটাই বাস্তবতা।”
আরও পড়ুন
‘রিইউনিয়ন’ ম্যাচে মেসির জার্সি-বুট পেয়ে উচ্ছ্বসিত দেম্বেলে |
![]() |
তবে বায়ার্ন কোচ ভিনসেন্ট কোম্পানি এই প্রসঙ্গে কিছুটা ভিন্নমত পোষণ করেছেন।
“আমার মনে হয় না এটা এত সরল একটা বিষয়। দক্ষিণ আমেরিকা থেকেই কিন্তু অনেক ভালো ফিনিশার এসেছে। ওদের রক্তেই ফুটবল মিশে আছে। আর ওখান থেকে এসেছে বিশ্বের দারুণ সব কৌশলী কোচ, যেমন মার্সেলো বিয়েলসা…এমনকি ফিলিপে লুইস নিজেও একজন দুর্দান্ত কোচ।”
বাস্তবিকভাবেই পিএসজির সামনে ইন্টার মায়ামির সুযোগ ছিল না বললেই চলে। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই৷ সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে নিজ দলের মত মলিন ছিলেন লিওনেল মেসিও। তবে মাঠের লড়াই শেষে সাবেক সতীর্থদের সাথে আর্জেন্টাইন তারকার আবেগঘন পুনর্মিলনও হয়ে উঠেছিল এই ম্যাচের আলোচিত দিক। আর তাতে মেসির জার্সি-বুট সব বিনিময় করে আনন্দের সীমা নেই উসমান দেম্বেলের।
শেষ ১৬-এর ম্যাচে রোববার পিএসজি জেতে ৪-০ গোলে। কিছু ঝলক দেখালেও মেসি তেমন কিছু করতে পারেননি। তবে দুই মৌসুম খেলার সুবাদে ফরাসি ক্লাবটির অনেকের সাথেই রয়েছে তার সখ্যতা। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো সম্পর্ক দেম্বেলের সাথে, যার সাথে তিনি বার্সেলোনায় খেলেন চারটি বছর।
আরও পড়ুন
‘ইউরোপিয়ান ফুটবলই অভিজাত শ্রেণি’, বায়ার্নের কাছে হেরে স্বীকারোক্তি ফ্লামেঙ্গো কোচের |
![]() |
ম্যাচ শেষে মেসি প্রথমে জার্সি বদল করেন সাবেক পিএসজি সতীর্থ হাকিমির সাথে। আর দেম্বেলের জন্য বরাদ্দ রাখেন তার পরিহিত জার্সি, শর্টস ও বুট, যা পরে তুলে দেন সাবেক বার্সেলোনা সতীর্থের হাতে।
সামাজিক মাধ্যমে মেসির সাথে ছবি পোস্ট করে উচ্ছ্বসিত দেম্বেলে লিখেন,
“আবারও আপনার সাথে দেখা হয়ে ভালো লাগল, মেসি – সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়। আশা করি আপনি ইন্টার মায়ামির হয়ে এই ক্লাব বিশ্বকাপের মতোই ইতিহাস গড়ে যাবেন।”
প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পিএসজি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা। মেসিকে আলিঙ্গন করার একটি আবেগময় ছবি শেয়ার করে ইনস্টাগ্রামে লেখেন, “পুরনো বন্ধুদের দেখা পেলে সবসময় ভালোই লাগে।”
আর লুকাস হার্নান্দেজ ইনস্টাগ্রামে মেসির সাথে একটি ছবি দিয়ে লিখেছেন, “কিংবদন্তি”
ব্যস্ত একটি মৌসুম শেষের পর আন্তর্জাতিক বিরতি, ঠিক এরপরই ইউরোপের ক্লাবগুলোকে নেমে পড়তে হয়েছে চলমান ক্লাব বিশ্বকাপে। ফলে খেলোয়াড়দের থাকতে হচ্ছে বিশ্রামহীন, যা বাড়িয়ে দিতে পারে চোটের সম্ভাবনা। এসব নিয়ে সমালোচনায় আপত্তি নেই পেপ গার্দিওলার। তবে ম্যানচেস্টার সিটি কোচ এটাও মনে করেন, যারা এই টুর্নামেন্টে নেই, তারা অন্যদের নিয়ে ঈর্ষান্বিত।
৩২ দলের ক্লাব বিশ্বকাপ এবারই হচ্ছে প্রথমবার। সম্প্রতি এই প্রতিযোগিতা নিয়ে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন সাবেক লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ, যিনি এখন বর্তমানে রেড বুলের গ্লোবাল সকার প্রধানের দায়িত্বে আছেন। তিনি এই টুর্নামেন্টকে ‘অপ্রয়োজনীয় প্রতিযোগিতা’ বলে উল্লেখ করেন, এবং এটির আয়োজনকে বলেন ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন
ক্লাব বিশ্বকাপ থেকে বিদায়েও মায়ামির পারফরম্যান্সে গর্বিত মেসি |
![]() |
রোববার এক সংবাদ সম্মেলন ক্লপের সাথে সুর মেলান গার্দিওলা। এরপর অবশ্য দেন ভিন্নমতও।
“আমি জানি উনি (ক্লপ) কোন চিন্তা থেকে কথাটা বলছেন। আমি তাকে সম্মান করি। তবে সত্যি বলতে, অনেক ক্লাবই এই প্রতিযোগিতা নিয়ে অভিযোগ করছে, কারণ তারা এখানে খেলতে পারছে না। কিন্তু তারা যদি এখানে থাকত, তাহলে তারা হয়তো খুব খুশিই হতো। কারণ এখানে তাদের মিডিয়া থাকত, সমর্থক থাকত, টাকা-পয়সাও পেত।”
গত মৌসুমে শিরোপাহীন সিটি বেশ ভুগেছে চোটের সাথে। ক্লাব বিশ্বকাপে গার্দিওলার দল সোমবার আল হিলালের বিপক্ষে খেলবে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা পাওয়ার জন্য। এরই মধ্যে দুই সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা সিটি যদি ফাইনাল পর্যন্ত যায়, তাহলে তাদের পথচলা চলবে ১৩ জুলাই পর্যন্ত৷ অন্যদিকে প্রিমিয়ার লিগের আগামী মৌসুম শুরু হচ্ছে আগামী ১৫ আগস্ট। প্রস্তুতির জন্য সময় বলতে গেলে পাওয়াই যাবে না।
আরও পড়ুন
অবসর নিয়ে অনিশ্চয়তায় জোকোভিচ |
![]() |
গার্দিওলার আশঙ্কা, ক্লাব বিশ্বকাপের ধকল ভোগাতে পারে মৌসুমের যেকোনো সময়েই।
“এটা তো বলার অপেক্ষা রাখে না যে, কোচ হিসেবে এটা মোটেও আদর্শ পরিস্থিতি নয়। আমি যদি পরের মৌসুমের জন্য দুই মাস প্রস্তুতির সময় পেতাম, সেটা তো দারুণ হতো। আমি ঠিক জানি না খেলোয়াড়দের ওপর এর কেমন প্রভাব পড়বে। এমন হতে পারে যে নভেম্বর-ডিসেম্বরে আমরা শেষ হয়ে যাব। হতে পারে এই বিশ্বকাপই আমাদের ধ্বংস করে দেবে। আমরা সবাই প্রথমবার এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, তাই এখনই কিছু বলা কঠিন।”
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
৭ দিন আগে
১০ দিন আগে
১০ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৭ দিন আগে
২০ দিন আগে