কনমেবল অঞ্চলের বাছাইয়ে নিজেদের শেষ ম্যাচে ইকুয়েডরের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধে যোগ করা সময়ের ১৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে স্বাগতিকদের লিড এনে দেন এনের ভ্যালেন্সিয়া। ৩৫ বর্ষী ফরোয়ার্ডের গোল এবং রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আর্জেন্টাইন গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। এ নিয়ে কোচ লিওনেল স্কালোনিও কথা বলেছেন।
প্রথমার্ধে যোগ করা সময়ের ৫ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে ভেসে আসা বল লাফিয়ে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালান ইকুয়েডরের রাইটব্যাক অ্যাঞ্জেলো প্রিসিয়াদো। একই রকম চেষ্টা অব্যাহত রাখেন আর্জেন্টিনার লেফটব্যাক নিকোলাস তালিয়াফিকো। তখনই তালিয়াফিকোর ডান হাতের কনুই লাগে প্রিসিয়াদোর মুখে। মুহূর্তেই মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ে কাতরাতে থাকেন প্রিসিয়াদো। প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়া হয়। তখনও রেফারি রোলদান ফাউলের বাঁশি বাজাননি।
প্রিসিয়াদো প্রাথমিক চিকিৎসাকালে ভিএআর মনিটরে মুহূর্তটি পর্যালোচনার ডাকা হয় রেফারি রোলদানকে। কিছুক্ষণ পর্যালোচনার পর তিনি বাঁশি বাজান আর্জেন্টিনার বিপক্ষে। আর সেখান থেকে গোল আদায় করেন ভ্যালেন্সিয়া।
ম্যাচ শেষে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মার্তিনেজ। মিক্সড জোনে বলেন, ‘‘পেনাল্টির সিদ্ধান্ত অন্যায্য। রেফারির এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্কের জায়গা আছে। এই পেনাল্টি ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। ঘরের বাইরে রেফারিরা আমাদের জন্য সবকিছু কঠিন করে তোলেন।’’
তবে মার্তিনেজ বলেন, ‘‘মিশ্র অনুভূতি হচ্ছে, কারণ আমরা দারুণ একটা বাছাইপর্ব পেরিয়েছি। আর অনেক আগেই বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছি। সার্বিক ফলাফলের জন্য গর্বিত।’’
প্রথমার্ধে পেনাল্টি ও ওতামেন্ডির লাল কার্ড দ্বিতীয়ার্ধে ভুগিয়েছে আর্জেন্টিনাকে। ম্যাচ শেষে সেটা স্বীকার করেছেন লিওনেল স্কালোনি। আর্জেন্টাইন মাস্টারমাইন্ড বলেছেন, ‘‘আমরা দ্বিতীয়ার্ধে নেমেছিলাম আরেকটা লাল কার্ডের ভয়ে, আর তখনই খেলাটা এলোমেলো হয়ে যায়। আমার মনে হয়, দ্বিতীয়ার্ধটা আমাদেরই ছিল। আরও কিছু করা যেত, কিন্তু হয়নি, পারেনি আমরা। আমরা জিততে চেয়েছিলাম, কিন্তু পারিনি। আমরা তো জেতায় অভ্যস্ত, কিন্তু কখনো কখনো তা হয় না।’’
No posts available.
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২:৪৭ পিএম
নেপালে সরকারবিরোধী আন্দোলনে একরকম অবরুদ্ধ অবস্থায় পড়ে গেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। কাঠমান্ডুর বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় তাদের দেশে ফেরা নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। তবে এর মাঝেও নিজেদের ফিটনেসের টুকটাক কাজ করেছেন ফুটবলাররা।
ফুটবলারদের সবশেষ অবস্থার তথ্য জানিয়ে ছোট্ট এক বার্তা দিয়েছেন বার্তা দিয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের মিডিয়া ম্যানেজার সাদমান সাকিব।
“বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল আজ সকাল ১১টা থেকে টিম হোটেলে জিম সেশন সম্পন্ন করেছে। নেপালের বর্তমান পরিস্থিতিতেও পুরো দল নিরাপদে রয়েছে। টিম বাংলাদেশ শারীরিকভাবে সুস্থ এবং মানসিকভাবে ভালো আছে।”
আরও পড়ুন
রেফারির সিদ্ধান্তে খুশি নন মার্তিনেজ |
![]() |
শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার কথা বলা হলেও, দেশে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যেই রয়েছেন জামাল ভূঁইয়া, রাকিব হোসেনরা। বাফুফের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে দেশে ফেরার ব্যবস্থা নিতে।
এছাড়া ফুটবলারদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
নেপাল থেকে টি স্পোর্টসের প্রতিনিধি মোমিন রোহন জানিয়েছেন, অনেকটাই জনমানবশূন্য হয়ে পড়েছে কাঠমাণ্ডু। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বাইরে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। কেউ বের হলেও যথাযথ প্রমাণ দেখিয়ে তবেই মুভমেন্ট করতে পারছেন।
এমতাবস্থায় বুধবার বাংলাদেশ দলের ফুটবলার বা সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের দেশে ফেরার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। বিমানবন্দরের কার্যক্রম শুরু হওয়া মাত্রই দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন
ব্রাজিল সঠিক পথেই আছে, দাবি আনচেলত্তির |
![]() |
এর আগে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে নেপাল-বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচটি স্থগিত করা হয়। সামাজিক যোগযোগমাধ্যম বন্ধের প্রতিবাদ ও দুর্নীতিবিরোধী আন্দালনে উত্তপ্ত নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারফিউ জারি করে নেপাল সরকার। প্রথম প্রীতি ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছিল।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪ হাজার ১৫০ মিটার উঁচুতে ম্যাচ। একটু ভয়, একটু শঙ্কা থাকবেই; উঁচুস্থানে খেলতে গেলে একটু আধটু সব দলেরই মনে সংকোচ কাজ করে। তাই বলে বলিভিয়ার বিপক্ষে এতটাই খেই হারা হয়ে পড়বে ব্রাজিল, প্রশ্ন কিন্তু রয়েই যায়। আজ (বুধবার) বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে পাঁচটায় ঘরের মাঠ এল আলতো স্টেডিয়ামে ব্রাজিলের বিপক্ষে বলিভিয়ার জয় তুলেছে ১-০ গোলে। এই জয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ খেলার আশাও বাঁচিয়ে রাখল লস ভার্দেসরা। সে সঙ্গে ইন্টার-কনফেডারেশন প্লে-অফে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে দলটি।
কনমেবল বাছাইয়ে নিজেদের শেষ ম্যাচে ব্রাজিলের খেলায় না ছিল চেনা ধার, গতি কিংবা ছন্দ। এল আলতোর উচ্চতার জন্য নিজেদের স্বাভাবিক ফুটবল খেলতে পারেনি কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। ৫৮ শতাংশ বল নিজেদের দখলে রাখলেও গোলের জন্য শট নিতে পেরেছে ৩টি। যেখানে বলিভিয়ার টার্গেট শট ছিল ১০টি। তারপরও ব্রাজিল কোচ জানিয়েছেন, তাদের দল সঠিক পথেই রয়েছে। ম্যাচ শেষে সম্প্রচার চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই দাবি তার।
রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে পাঁচবারের বিশ্বকাপজয়ী দলে যোগ দেওয়া ইতালির এই কোচ জানালেন, ‘ব্রাজিল বিশ্বকাপে ভালো পারফর্ম করার সঠিক পথেই আছে। দল ও খেলোয়াড়দের প্রতি তার পূর্ণ আস্থা রয়েছে।
আরও পড়ুন
বলিভিয়ার কাছে হারল ব্রাজিল |
![]() |
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে রেস শেষ করেছে ব্রাজিল। পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থান পঞ্চমে। নম্বর ওয়ানে তাদেরই প্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনা। এছাড়া উরুগুয়ে ও কলম্বিয়াও তাদের উপরে। এ নিয়ে মোটেও ভীত নন আনচেলত্তি। বরং বিশ্বকাপ নিয়ে পূর্বাভাস দিয়ে রাখলেন, ‘আমরা বিশ্বকাপে সফল হবো, তার জন্য লড়াই করবো।’
এদিন প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে বলিভিয়াকে পেনাল্টি উপহার দিয়ে পিছিয়ে পড়ে হলুদ জার্সিধারীরা। বল দখলের লড়াইয়ে বক্সের ভেতর বলিভিয়ার ফার্নান্দেজকে ব্রুনো গিমারেস ফাউল করলে পেনাল্টি পায় স্বাগতিকেরা। শুরুতে অবশ্য রেফারি পেনাল্টি দেননি, কিন্তু ভিএআর যাচাইয়ের পর সিদ্ধান্ত বদলান। পেনাল্টিতে গোল করেন মিডফিল্ডার মিগুয়েল তেরকোরেস।
রেফারি ক্রিস্টিয়ান গারাইয়ের এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন আনচেলত্তি। বলেছেন, ‘এসব বিষয় স্পষ্টতই উন্নত করা যায়।’
দুর্দান্ত এক পথচলার শেষটা হয়েছে কেবলই অসুন্দর, তিক্ত হারের অভিজ্ঞতার সম্ভার। কনমেবল বাছাইয়ে নিজেদের শেষ ম্যাচে ইকুয়েডরের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে লিওনেল স্কালোনির দল। বুধবার গুয়াইয়াকিলে মেসিবিহীন এই ম্যাচে মধুর চেয়ে অম্লটাই বেশি হজম করেছে আলবিসেলেস্তারা। এই হারে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে চিন্তা নেই বটে। ১৮ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলের তালিকায় শীর্ষে থেকে এবারের বিশ্বকাপ বাছাই শেষ করল তারা। সমান ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় আগেই বিশ্বকাপে খেলার টিকিট পাওয়া ইকুয়েডর।
লাল কার্ড ও পেনাল্টি থেকে গোল হজমের ম্যাচে লিওনেল মেসিকে পায়নি আর্জেন্টিনা। তাকে বিশ্রাম দিয়েছেন আর্জেন্টিনা স্কালোনি। সর্বশেষ ভেনেজুয়েলা ম্যাচের একাদশে পাঁচ পরিবর্তন এনে শেষটা ভালো করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু ৩১ মিনিটে নিকোলাস ওতামেন্ডির লাল কার্ড দেখা এবং প্রথমার্ধে যোগ করা সময়ের ১৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ইকুয়েডর ফরোয়ার্ড এনের ভ্যালেন্সিয়ার গোলে হারের তেতো স্বাদ নিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে আর্জেন্টিনাকে।
শেষ ম্যাচে দলের হার নিয়ে মোটেও হতাশ নন আর্জেন্টাইন মাস্টারমাইন্ড স্কালোনি। বরং ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘আমি সবসময় ইতিবাচকভাবে ভাবি, কারণ দলগতভাবে তারা চেষ্টা করে এবং নিজস্ব উপায়ে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। আমাদের নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখা উচিত। তাতে দলের মঙ্গল, ভালো করা সম্ভব।’
তিনি বলেন, ‘আর্জেন্টিনার বর্তমান দলটি সবসময়ই চেষ্টার মধ্য দিয়ে থাকে, ছেলেরা পরিশ্রমী। তবে যখনই প্রতিপক্ষ ভালো খেলে , তখন মাঝে মধ্যে ভুগতে হয়।’
প্রথমার্ধের চেয়ে দ্বিতীয়ার্ধে খেলা সুসংহত রাখে আর্জেন্টিনা। এই সময়ে তারা ৬৯ শতাংশ বল দখলে রাখে। অথচ প্রথমার্ধে বল দখলের দৌড়ে পিছিয়ে ছিল সফরকারীরা। তারপরও গোল শোধ কিংবা এগিয়ে যেতে পারেনি। কারণ হিসেবে স্কালোনি বলেছেন, ‘আমরা দ্বিতীয়ার্ধে নেমেছিলাম আরেকটা লাল কার্ডের ভয়ে, আর তখনই খেলাটা এলোমেলো হয়ে যায়। আমার মনে হয়, দ্বিতীয়ার্ধটা আমাদেরই ছিল। আরও কিছু করা যেত, কিন্তু হয়নি, পারেনি আমরা। আমরা জিততে চেয়েছিলাম, কিন্তু পারিনি। আমরা তো জেতায় অভ্যস্ত, কিন্তু কখনো কখনো তা হয় না।’
প্রেস কনফারেন্সে সবশেষ মেসি নিয়ে কথা বলেছেন স্কালোনি। এমএলটেনের অনুপস্থিতি নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘মেসিকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল, কারণ সে ক্লান্ত। চোট সামলাচ্ছিল বলে তাকে নতুন করে ঝুঁকি না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে জয়ের পর আর তার সঙ্গে কথা হয়নি। আশা করি, সে ভালো আছে।’
দলের হারের পর ইকুয়েডরের যারপরনাই প্রশংসা করেছেন স্কালোনি, ‘যখন প্রতিপক্ষ খেলতে শুরু করে, তখন কখনো কখনো কষ্ট সহ্য করতেই হয়। সেবাস্তিয়ান (ইকুয়েডর কোচ) দারুণ কাজ করছে, তাকে অভিনন্দন জানাতেই হয়।
৭০ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য ২৪টি শট। যার ১২টিই ছিল লক্ষ্যে। এতেই স্পষ্ট, মঙ্গলবার রাতে বিশ্বকাপের টিকিটের দৌড়ে ইংল্যান্ডের চেয়ে কতটা পিছিয়ে ছিল সার্বিয়া। এই রাতে টমাস টুখেলের শিষ্যদের সঙ্গে ন্যূনতম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি স্বাগতিকরা। ফলস্বরূপ ৫-০ গোল হজম করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে স্টোজকোভিচদের।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের একপেশে ম্যাচে সার্বিয়ার জালে একবার করে বল জড়িয়েছেন হ্যারি কেইন, ননি মাদুয়েকে, এজরি কোনসা, মার্ক গুইহে ও মার্কাস রাশফোর্ড। এই জয়ে ‘কে’ গ্রুপে শীর্ষস্থান আরও সুসংহত করেছে ইংল্যান্ড। পাঁচ ম্যাচে পাঁচ জয় তাদের।
রেড স্টার স্টেডিয়ামে ম্যাচ ঘড়ির ৩৩তম মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন হ্যারি কেইন। দুই মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মাদুয়েকে। এই অর্ধে গোলের জন্য ১০টি শট নিয়ে ৫টি লক্ষ্যে রাখে অতিথিরা। তবে প্রথমার্ধে ২-০ লিডে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।
আরও পড়ুন
পর্তুগালকে জিতিয়ে রোনালদোর আরেক রেকর্ড |
![]() |
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই লিড বাড়ান কোনসা। রাইস দ্রুত ফ্রি-কিক খেলেন গর্ডনের দিকে। বাঁ দিক দিয়ে কেটে ভেতরে ঢুকে গর্ডন শট নেন ডান দিকের নিচের কোণ লক্ষ্য করে। সার্বিয়ার গোলরক্ষক পেত্রোভিচ তা ঠেকালেও বল গায়ে লাগে গুইহের এবং বল চলে যায় কেনের সামনে। তবে ইংল্যান্ড অধিনায়ক তা স্পর্শ করতে পারেননি। সুযোগ পেয়ে যান কোনসা। সেখান থেকে গোল আদায় করেন। ভিএআরে কেইনের অফসাইড আছে কি না তা পরীক্ষা করা হয়, তবে শেষ পর্যন্ত গোলটি বহাল থাকে।
৫২ মিনিটে স্কোর লাইন ৪-০ করে ফেলেন গুইহে। ৭২ মিনিটে নিকোলা মিলেনকোভিচ লাল কার্ড দেখলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় সার্বিয়া। ৯০তম মিনিটে সফল স্পট কিকে দলের পঞ্চম গোলটি করনে রাশফোর্ড।
গ্রুপের শীর্ষ দল সরাসরি খেলবে ২০২৬ বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে। আর পাঁচ পয়েন্ট পেলে নিশ্চিতভাবেই সবাইকে ছাড়িয়ে যাবে ইংল্যান্ড। গোল পার্থক্যে অনেক এগিয়ে থাকায় ৪ পয়েন্ট হলেও ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসরে জায়গা করে নিতে পারে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
নতুন দিন, নতুন ম্যাচ। তবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো যেন সবসময়ের মতোই ছন্দময়। আরেকটি ম্যাচে আরেকটি গোল করে তিনি এবার গড়লেন নতুন আরেকটি রেকর্ড।
ইউরোপিয়ান অঞ্চলের বাছাইয়ে মঙ্গলবার রাতে হাঙ্গেরির বিপক্ষে ৩-২ গোলে জিতেছে পর্তুগাল। দলের দ্বিতীয় গোলটি করে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে গেছেন রোনালদো।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য করা রোনালদোর শট গিয়ে লাগে হাঙ্গেরির লোইক নিগোর হাতে। তাই পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। আর স্পট কিক থেকে কোনো ভুল করেননি রোনালদো।
এটি নিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পর্তুগিজ সুপারস্টারের গোল হলো মোট ৩৯টি। তার সমান ৩৯ গোল আছে গুয়েতেমালার সাবেক তারকা কার্লোস রুইজের। সামনে আরও ম্যাচ থাকায় রেকর্ডটি এককভাবে নিজের করা রোনালদোর জন্য সময়ের ব্যাপার মাত্র।
গত ফেব্রুয়ারিতে বয়স ৪০ পেরিয়ে যাওয়া রোনালদো এ নিয়ে জাতীয় দলের হয়ে টানা ৫ ম্যাচে পেলেন গোলের দেখা। সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার গোল এখন ২২৩ ম্যাচে ১৪১টি।
রোনালদোর রেকর্ড ছোঁয়ার দিনে ২১ মিনিটে গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে পর্তুগাল। তবে ৩৬ মিনিটে বার্নান্দো সিলভার গোলে সমতা ফেরায় তারা। দ্বিতীয়ার্ধে রোনালদোর গোলে এগিয়ে যায় পর্তুগিজরা।
এরপর ৮৪ মিনিটে আবার গোল করেন হাঙ্গেরির বার্নাবাস ভার্গা। ফলে সমতা ফিরে আসে ম্যাচ। কিন্তু দুই মিনিটের মধ্যে জোয়াও ক্যান্সেলো গোল করে পর্তুগালের জয় নিশ্চিত করে দেন।
বাছাইয়ের 'এফ' গ্রুপে দুই ম্যাচে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে পর্তুগাল। সমান ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে চার দলের মধ্যে তিনে হাঙ্গেরি।