২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৪ পিএম
লম্বা সময় ধরেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ধুঁকছে। তাদের ব্যর্থতার সময়টা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। প্রিমিয়ার লিগে সিটিজেনরা গেল দশকে দেখিয়েছে এক চেটিয়া দাপট। তাতে ম্যানচেস্টারের রঙ লাল থেকে বদলে পরিণত হয়েছে নীলে। চলতি মৌসুমে দুই দলই হাঁটছে একই পথে। দুই নগর প্রতিদ্বন্দ্বীর ছন্নছাড়া পারফরম্যান্সে ম্যানচেস্টার যেন রঙ হারিয়ে অন্ধকারে।
বৃহস্পতিবার বক্সিং ডে-তে দুই দল আরও একবার হতাশ করেছে সমর্থকদের। ঘরের মাঠে এভারটনের সাথে এগিয়ে গিয়েও ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে সিটি। ইউনাইটেডের ভাগ্যে অবশ্য তাও জোটেনি। উলভসের মাঠে গিয়ে ২-০ গোলের হার নিয়ে ফিরেছে রেড ডেভিলরা।
তাতে পয়েন্ট টেবিলে ইউনাইটেডকে খুঁজে পেতে সমর্থকরা কিছুটা বেগই পাবে। অবশ্য অবনমনের দিক থেকে খোঁজা শুরু করলে কাজটা সহজ হয়ে যাওয়ার কথা। নতুন কোচ রুবেন আমোরিমের অধীনে শেষ পাঁচ প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচে তারা দেখেছে চার হার। সব মিলিয়ে ১৮ ম্যাচ খেলে তারা জয়ের চেয়ে হারই দেখেছে বেশি। ৬ জয়ের বিপরীতে ৮ হারে ২২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১৪ নম্বরে আছে ইউনাইটেড।
অবনমনে থাকা দলগুলোর সাথে ইউনাইটেডের ব্যবধানটা ৮ এখন পয়েন্টের। তাতে আমোরিম কোনোমতে টিকে থাকাটাকেই দিচ্ছেন প্রাধান্য,
“আমাদের এখন কোনো মতে টিকে থাকতে হবে। জেতার জন্য কাজ চালিয়ে যেতে হবে। আমাদের লম্বা পথ পাড়ি দিতে হবে এবং এই বাজে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে লড়াই করে যেতে হবে।”
অন্যদিকে সিটি আছে পয়েন্ট টেবিলের সাত নম্বরে। পেপ গার্দিওলার দল গেল পাঁচ ম্যাচ ধরেই জয়হীন। সব মিলিয়ে শেষ ১৩ ম্যাচে তারা জয় পেয়েছে মোটে তিনটা। একের পর এক চোট আর ছন্দহীন ফুটবলে সিটি যেন বড্ড অচেনা। তৈরি হয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা পাওয়া নিয়েও শঙ্কা।
সর্বশেষ সাত মৌসুমের মধ্যে ছয়বার প্রিমিয়ার লিগ জেতা সিটির আত্মবিশ্বাস পৌঁছেছে তলানিতে। এভারটন ম্যাচ শেষে তাই দলের আত্মবিশ্বাস ফেরানোর কথাই বলেছেন সিটি কোচ,
“ আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। ম্যাচ জিতলে আত্ববিশ্বাস এমনিতেই আসবে। এভারটনের সাথে আমরা ভালোই খেলেছি। অনেক সুযোগ তৈরি করেছি,তবে ফলাফল আমাদের পক্ষে আসেনি।”
৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৭:৪৮ পিএম
৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৪:৩৩ পিএম
বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার পর ডাচ মিডফিল্ডার ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং জানিয়েছিলেন জিততে চান অনেক শিরোপা। বছর পাঁচেক পেরিয়ে যাওয়ার পর সেই শিরোপার সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে মোটে তিনে। ক্লাবের সমর্থকদের মত স্বাভাবিকভাবেই যা বেশ হতাশই করেছে সাবেক আয়াক্স তারকাকে। আক্ষেপ না লুকিয়ে তাই বলেই দিয়েছেন, শিরোপা জেতার দিক থেকে বার্সেলোনায় যোগ দিয়ে হতাশই হতে হয়েছে তাকে।
বেশ বড় স্বপ্ন নিয়েই বার্সেলোনায় যোগ দিয়েছিলেন ডি ইয়ং। বার্সেলোনা সমর্থকরাও তাকে নিয়ে অনেক আশাবাদী ছিল। অবশ্য সময়ের সাথে সাথে দুই পক্ষেরই জুটেছে হতাশা। কাতালান ক্লাবটিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে কেবল এক লা লিগা, এক স্প্যানিশ সুপার কাপ এবং এক কোপা দেল রে জেতাই ডি ইয়ংয়ের সাফল্য। যা বেশ নিরাশই করেছে ডাচ মিডফিল্ডারকে।
সম্প্রতি ভোয়েটবল ইন্টারন্যাশনালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিরোপা জেতা নিয়ে নিজের হতাশার কথা তুলে ধরেছেন ডি ইয়ং।
“বার্সেলোনার হয়ে খেলা ছোটো থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল। আমি এখনো এই ক্লাবের হয়ে খেলাটা উপভোগ করি, তবে বাস্তবতা বেশ কঠিন আমরা যেমনটা কল্পনা করি তার চেয়ে। আমি যখন ক্লাবের হয়ে সই করি তখন অনেক শিরোপা জেতার স্বপ্ন দেখেছিলাম। তখন চিন্তা করিনি পাঁচ বছর পর আমি শুধু তিনটা শিরোপা জিতবো। আমি এর চেয়ে দ্বিগুণের কথা ভেবেছিলাম। শিরোপার দিক থেকে তাই ব্যপারটা হতাশাজনকই। তবে এমন অনেক কিছুই আছে যা আমরা আগে থেকে আন্দাজ করতে পারি না।”
শিরোপা কম জেতার হতাশার সাথে যোগ হয়েছে আবার ডি ইয়ংয়ের চোট আর অফ ফর্মও। পারফরম্যান্সের গ্রাফও দিনকে দিন নামছে নিচের দিকে। গেল দুই মৌসুম থেকেই চোটের হানায় ডি ইয়ংয়ের পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়েছে বেশ। গেল অক্টোবরে চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরলেও মূল একাদশে খুব একটা সুযোগ মিলছে না। সমালোচোনাও জেঁকে বসেছে তাকে।
তাতে ক্লাব ছাড়তে পারেন বলেও ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন।
“সবাই ভাবে আমি সবসময়ই বার্সেলোনায় থাকতে চাই, কারণ ফুটবলের বাইরে এখানে আমার জীবনটা বেশ ভালো। যা সত্য, তবে মাঠে আমি কী করছে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। যদি আমার মনে হয় দলের জন্য তেমন কিছু করতি পারছি না, দলের হয়ে কিছু জিততে পারছি না তখন আমি এখানে আর থাকবো না।”
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ডি ইয়ং চলতি মৌসুমে ম্যাচ খেলেছেন ১৩টি। অধিকাংশ ম্যাচই খেলেছেন বদলি হিসেবে নেমে। এখন পর্যন্ত এক গোলের পাশাপাশি করেছেন মাত্র এক অ্যাসিস্ট।
দিন তিনেক আগেই ফেডারেশন কাপে পুলিশ এফসিকে হারিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। শুক্রবার আবারও দুই দল মুখোমুখি হয়েছে প্রিমিয়ার লিগে। এদিন অবশ্য পুলিশকে পাত্তাই দেয়নি বসুন্ধরা। জয় পেয়েছে ৫-০ গোলের বড় ব্যবধানে। অন্যদিকে দিনের অন্য ম্যাচে আবাহনীকে গোলশূন্য ড্র–তে আটকে দিয়েছে ফর্টিস এফসি আর ব্রাদার্স ইউনিয়ন ৩-০ গোলে হারিয়েছে ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্সকে।
কিংসের হয়ে জোড়া গোল করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড জোনাথন ফার্নান্দেস। একটি করে গোল করেন মজিবুর রহমান জনি, রাকিব হোসেন ও মিগেল দামাসেনো।
ময়মনসিংহের রফিকউদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট ধরে রাখে বসুন্ধরা। যার ফল পেতে তাদের অপেক্ষা করতে হয়নি বেশিক্ষণ। ১০ মিনিটের মাথায় কিংসকে এগিয়ে দেন জনাথন ফার্নান্দেস। মিগেল দামাসেনোর দারুণ এক থ্রু বল গড়ে দেয় গোলের ভীত। ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডারের বাড়ানো বল খুঁজে নেয় ফয়সাল আহমেদ ফাহিমকে। বসুন্ধরা ফরোয়ার্ড বাম প্রান্ত থেকে আড়াআড়ি ক্রস বাড়ান বক্সে। সেখানে অরক্ষিত ফার্নান্দেস দারুণ প্লেসিংয়ে খুঁজে নেন জাল।
মিনিট তিনেক বাদে আবারও গোলের গোলের দেখা পায় কিংস। রক্ষণ থেকে ইসা ইজেহ লম্বা বল বাড়ান জনির উদ্দেশ্যে। কিংস মিডফিল্ডার বক্সে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে জোরালো এক শটে বল জড়ান জালে। ৩৭তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ফার্নান্দেস। ফাহিমের শট গোলরক্ষকের গ্লাভস ছুঁয়ে ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হওয়ার পর বল যায় ফের্নান্দেসের কাছে। জটলার ভেতর থেকে প্রথমে হেডের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর কোনোমতে শট নেন এই ব্রাজিলিয়ান, তাতেই বল জালে।
দ্বিতীয়ার্ধেও কিংস ধরে রাখে দাপট। ম্যাচের ৫০ মিনিটে আবারও মেলে গোলের দেখা। এবার স্কোরশিটে নাম তোলেন রাকিব হোসেন। মিগেলের বুদ্ধিদ্বীপ্ত ফ্রি কিকে ফাঁকা জায়গায় বল পান জনি। এই মিডফিল্ডার শট না নিয়ে ক্রস বাড়ান বক্সে, যেখানে ফাঁকা পোস্টে রাকিব বাকি কাজটা করতে ভুল করেননি।
শেষ দিকে মোহাম্মদ রফিককে ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন পুলিশের মোরেনো গুইতো। এরপর যোগ করা সময়ে পুরো ম্যাচ জুড়ে দুর্দান্ত খেলা মিগেল খুঁজে নেন জাল, তাতে ৫-০ গোলের বড় ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কিংস।
বড় ব্যবধানে জয় পেলেও পয়েন্ট টেবিলে বসুন্ধরা আছে পাঁচ নম্বরেই। ৬ ম্যাচ শেষে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের পয়েন্ট ১০।
অন্যদিকে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় ফর্টিস আটকে দিয়েছে আবাহনীকে। গোলশূন্য ড্র তে পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে উঠে এসেছে আবাহনী। ৬ ম্যাচের তাদের পয়েন্ট ১৩। এক ম্যাচ কম খেলা রহমতগঞ্জের পয়েন্ট ১২।
দিনের আরেক ম্যাচে, মুন্সীগঞ্জে বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ফকিরেরপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। ৬ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে চতুর্থ স্থানে।
ঠোঁটকাটা হিসেবে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর জুরি মেলা ভার। যা মনে আসে, সেটা খোলাখুলি বলতে খুব একটা চিন্তা করেন আল নাসর তারকার। তারই ধারায় সম্প্রতি পর্তুগাল তারকা প্রশ্ন তোলেন ব্যালন ডি’অর-এর স্বচ্ছতা নিয়ে। যা জন্ম দিয়েছে নতুন বিতর্কের। রোনালদোর সেই মন্তব্যের জবাব কয়েক দিন দেরিতে হলেও দিয়েছেন বর্তমান ব্যালন ডি’অর জয়ী রদ্রি। রীতিমত রোনালদোকে সরাসরিই আক্রমণ করেছেন ম্যানচেস্টার সিটি মিডফিল্ডার।
গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডে রদ্রিকে যোগ্য হিসেবে মানলেও ব্যালন ডি’অর প্রাপ্য ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ছিল বলেই মন্তব্য করেছিলেন রোনালদো। এমনকি ভিনিসিয়ুসের সাথে অন্যায় হয়েছে বলেও দাবি করেন সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড। যা মোটেও ভালো লাগেনি রদ্রির। সম্প্রতি স্প্যানিশ গণমাধ্যম ‘এএস’ কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোনালদোকে কড়া ভাষায়ই জবাবটা দিয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটি মিডফিল্ডার।
আরও পড়ুন
মেসির বিশ্বকাপ জয়ের ছবি দিয়ে রোনালদোকে খোঁচা |
যেখানে রোনালদো যে একই প্রক্রিয়ায় অতীতে এই খেতাবটি জিতেছেন, সেদিকে ইঙ্গিত দিয়েছেন রদ্রি। “তার এমন মন্তব্য সত্যিই আমাকে অবাক করেছে। অন্যদের চেয়ে তার ভালো জানার কথা এই পুরস্কার কিভাবে দেওয়া হয়, কিংবা কিভাবে বিজয়ী বেছে নেওয়া হয়। এ বছর ভোট দেওয়া সাংবাদিকদের মনে হয়েছে পুরস্কারটি আমার জেতা উচিত। আমার ধরণা একই সাংবাদিকেরা তাকেও ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন। তখন তো তিনি এটা নিয়ে মোটেও আপত্তি করেননি।”
অবশ্য শুধু রদ্রিই নন, গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডে করা মন্তব্য নিয়ে রোনালদো খোঁচা শুনেছেন লিগ আঁ থেকেও। গ্লোব সকার অ্যাওয়ার্ডে সেই সাক্ষাৎকারে ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলস্কোরার এক পর্যায়ে বলে বসেন, ফরাসি লিগ থেকে এগিয়ে সৌদি প্রো লিগ। যার কারণ হিসেবে পর্তুগাল অধিনায়ক দাঁড় করান আবহাওয়াকে। মধ্য প্রাচ্যের তপ্ত গরমে খেলাটা যে সহজ কাজ নয় সেটাই রোনালদো জানিয়েছেন। সেই সাথে পিএসজির একক আধিপত্যকেও লিগ আঁ-কে পিছিয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী রোনালদো।
আরও পড়ুন
ভিনিসিয়ুসকে ব্যালন ডি’অর না দেওয়াটা অন্যায় হয়েছে বলছেন রোনালদো |
রদ্রির মতো সরাসরি জবাব না দিলেও লিগ আঁ রোনালদোকে জবাব দেওয়ার জন্য বেছে নেয় লিওনেল মেসিকে। রোনালদোর সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষের বিশ্বকাপ জয়ের ছবি দিয়েই রোনালদোকে জবাব দিয়েছে লিগ আঁ। যেখানে লিগ আঁ তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে মেসির বিশ্বকাপ জয়ের ছবি দিয়ে লিখে, “মেসি ৩৮ ডিগ্রি গরমে খেলেছিল।” যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমত রোনালদোকে হাস্যরসের বিসয়বস্তু বানিয়ে ফেলেছিল।
টানা হারে শীতকালীন বিরতির আগে লা লিগার শীর্ষস্থান হারিয়েছে বার্সেলোনা। তারমধ্যে দানি ওলমোর রেজিস্ট্রেশন নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। কঠিন এই সময়ে বার্সেলোনা সমর্থকদের মিলেছে স্বস্তির খবর। চোট কাটিয়ে দলের সাথে অনুশীলনে ফিরেছেন লামিন ইয়ামাল।
লা লিগায় গত ১৬ ডিসেম্বর লেগানেসের বিপক্ষে অ্যাঙ্কেলে চোট পেয়েছিলেন দুর্দান্ত ছন্দে থাকা ইয়ামাল। মাঠে ফিরতে মাস খানেক সময় লাগবে বলে শোনা গিয়েছিল। অবশ্য সময়ের বেশ আগেই সেরে উঠেছেন ১৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। বৃহস্পতিবার করেছেন অনুশীলনও।
আরও পড়ুন
‘ইয়ামালকে দেখে নিজের শুরুর দিনের কথা মনে পড়ে যায়’ |
তাতে বারবাস্ত্রোর সাথে কোপা দেল রের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ দিয়ে মাঠে নামার সুযোগ আছে ইয়ামালের। স্প্যানিশ গণমাধ্যমের খবর, মাত্র চোট কাটিয়ে ফেরায় সেই ম্যাচে ইয়ামালকে ছাড়াই স্কোয়াড ঘোষণা দিতে পারেন হান্সি ফ্লিক।
পরের ম্যাচ আতলেতিক বিলবাওয়ের সাথে সুপার কাপের সেমিফাইনাল দিয়ে ইয়ামাল ফিরতে পারেন বলে জানাচ্ছে মার্কা। ম্যাচের শুরু থেকে না খেললেও বদলি হিসেবে মাঠে নামতে পারেন স্প্যানিশ এই তরুণ তুর্কি।
গেল মৌসুমের মতো ইয়ামাল চলতি মৌসুমেও আছেন দারুণ ছন্দে। সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে ২১ ম্যাচ খেলে ছয় গোলের পাশাপাশি করেছেন ১২ অ্যাসিস্ট।
শীতকালীন দলবদল এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। অর্থাৎ, বেশ কিছু তারকা ফুটবলার তাদের বর্তমান ক্লাবের সাথে চুক্তির মেয়াদ শেষের ছয় মাস দূরে আছেন। তাই এখন থেকেই তারা চাইলে অন্য ক্লাবগুলোর সাথে ঠিকানা বদলের জন্য আলোচনা চালাতে পারবেন। এরই মধ্যে তাই চারদিকে ভাসছে নানা ধরনের গুঞ্জন।
দেখে নেওয়া যাক সামনের গ্রীষ্মে কারা হচ্ছেন ফ্রি এজেন্ট।
মোহামেদ সালাহ
চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত সেরা পারফর্মার লিভারপুল ফরোয়ার্ড মোহাম্মেদ সালাহ। এরই মধ্যে ২৬ ম্যাচে ২০ গোলের পাশাপাশি ১৭ গোলে করে ফেলেছেন মিশরীয় তারকা। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সালাহর চলতি মৌসুম শেষেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে লিভারপুলের সাথে। তবে এখন পর্যন্ত অল রেডদের কাছ থেকে মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব মেলেনি তার। তাতে প্রতিটা ম্যাচ শেষেই যেন আক্ষেপের মাত্রাটা বেড়ে চলছে লিভারপুল সমর্থকদের।
গেল মৌসুমে সৌদি আরব থেকে আসা ১৫০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিল লিভারপুল। চারদিকে গুঞ্জন এই মৌসুম শেষে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে সৌদি লিগে যোগ দিতে পারেন ৩২ বছর বয়সী এই তারকা।
নেইমার
পিএসজি থেকে রেকর্ড অর্থের বিনিময়ে ২০২৩ সালে আল হিলালে পাড়ি জমান নেইমার। মহাদেশ বদলালেও চোটের সাথে পেরে উঠছেন না ব্রাজিলিয়ান তারকা। এক চোট কাটিয়ে এক বছর পর ফিরেছিলেন গেল অক্টোবরে। তবে দুই ম্যাচ বাদে আবারও পড়েন চোটের হানায়। আছেন পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায়। বড় অর্থ খরচ করলেও নেইমার কেবল আল হিলালের হয়ে খেলেছেন পাঁচ ম্যাচ।
আরও পড়ুন
চোটের মাঝেই খুশির খবর পেলেন নেইমার |
সামনের জুনে শেষ হওয়ার কথা সৌদি ক্লাবটির সাথে তার চুক্তি। বয়স আর চোটের আশঙ্কায় নেইমারের সাথে আল হিলালের নতুন চুক্তিতে যাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তারমাঝে শোনা যাচ্ছে লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজদের সাথে নেইমার যোগ দিতে পারেন ইন্টার মায়ামিতে। তেমনটা হয় কিনা তা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে আরও মাস ছয়েক।
ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ড
লিভারপুলের ঘরের ছেলে হিসেবে পরিচিত ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ড। ২৬ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডারের চুক্তির মেয়াদও শেষ হতে যাচ্ছে আসছে জুনে। এখন পর্যন্ত আর্নল্ডকেও দেওয়া হয়নি কোনো নতুন প্রস্তাব। তার মাঝে রিয়াল মাদ্রিদের তাকে দলে নেওয়ার আগ্রহের খবর কয়েক দিন ধরেই শিরোনামে রাখছে ইংলিশ ডিফেন্ডারকে।
ইতালিয়ান সাংবাদিক ফাব্রিজিও রোমানোর মতে, রিয়াল এরই মধ্যে একবার প্রস্তাবও পাঠিয়েছে লিভারপুলের কাছে। তবে ২০ মিলিয়ন ইউরোর সেই অফার ফিরিয়ে দিয়েছে ইংলিশ জায়ান্টরা। তাতে রিয়ালের লক্ষ্য নাকি এখন কেবলই গ্রীষ্মের দিকে। দানি কারভাহালের বয়স আর চোট বিবেচনায় রিয়ালের প্রথম পছন্দই এখন ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ড। সেই সাথে বেশ কয়েকটা পজিশনে খেলতে পারাটাকেও রিয়াল ম্যানেজমেন্ট প্রাধান্য দিচ্ছে বেশ। এমন একজনকে বিনা অর্থে দলে ভেড়াতে পারলে রিয়ালের জন্য সেটায় একেবারে সোনায় সোহাগাই বলা চলে।
কেভিন ডি ব্রুইনা
মৌসুমের শুরু থেকেই চোটের সঙ্গে লড়াইটা করে আসছেন কেভিন ডি ব্রুইনা। তাতে ম্যানচেস্টার সিটিতে নিজের সবচেয়ে বাজে মৌসুমটাই পার করছেন বেলজিয়ান মিডফিল্ডার। মৌসুম শেষে সিটির সাথে চুক্তিটাও শেষ হতে চলছে ডি ব্রুইনার। তবে এখনো নতুন চুক্তির প্রস্তাব মেলেনি ৩৪ বছর বয়সী তারকার। বয়স ফর্ম বিবেচনায় নতুন চুক্তি হয়তো পাবেন না ডি ব্রুইনা। তাতে সৌদি লিগই হতে পারে তার নতুন ঠিকানা।
আরও পড়ুন
ডি ব্রুইনাকে দলে পেতে রোনালদোর চাল |
অবশ্য শুধুই সৌদি না এমএলএসেও যাওয়ার সম্ভাবনা আছে ডি ব্রুইনার। এছাড়া নর্থ আমেরিকার বেশ কিছু ক্লাব ডি ব্রুইনার প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে বলে জানাচ্ছে দ্য আথলেটিক।
আলফোন্সো ডেভিস
চুক্তি নবায়ন নিয়ে গেল মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখের সাথে বেশ ঝামেলায় জড়িয়েছেন আলফোন্সো ডেভিস। শেষ পর্যন্ত অবশ্য নিজের সিদ্ধান্ততেই অটল থাকেন ডেভিস। তাতে গ্রীষ্মে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে অন্য ক্লাব হিসেবে যোগ দেওয়ার সুযোগ আছে ডেভিসের।
যেখানে সবচেয়ে বেশি ডেভিসের আলোচিত হচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদের নাম। ডেভিসও রিয়ালে যাওয়ার ব্যপারি বেশ আগ্রহী। অবশ্য ইউরোপের আরও বেশ কিছু ক্লাব ২৪ বছর বয়সী এই তারকাকে দলে ভেড়াতে প্রস্তুত। শেষ পর্যন্ত কানাডিয়ান এই ডিফেন্ডার কোন ক্লাবকে বেছে নেন, সেটা দেখছে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছু দিন।
জশুয়া কিমিখ
চলতি মৌসুম শেষে চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে বায়ার্ন মিউনিখ মিডফিল্ডার জশুয়া কিমিখের। তবে ২৯ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডারের সাথে এখনো নতুন চুক্তি করেনি বায়ার্ন। তাতে গ্রীষ্মে তার দল ছাড়ার গুঞ্জন ভাসছে।
আরও পড়ুন
ডি ব্রুইনাকে দলে পেতে রোনালদোর চাল |
গেল কয়েক মৌসুম ধরেই বার্সেলোনা নজর রাখছে কিমিখের উপর। তবে কিমিখের পড়তি ফর্মের সাথে আর্থিক টানাপোড়েনে বার্সেলোনা আগ্রহ হারিয়েছে। অবশ্য বায়ার্ন নতুন চুক্তি না করলেও ইউরোপিয়ান বেশ কিছু ক্লাব যে জার্মান ডিফেন্ডারকে দলে টানতে আগ্রহ দেখাবে তা নিশ্চিত।
ভার্জিল ফন ডাইক
৩৩ বছরেও প্রিমিয়ার লিগের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার ফন ডাইক। চলতি মৌসুমেও ছুটছেন একই তালে। তবে মৌসুম শেষে শেষ হচ্ছে লিভারপুল অধিনায়কের চুক্তি। নতুন চুক্তির প্রস্তাব এখনো না মিললেও খুব শীঘ্রই সেটা হয়ে যাবে বলেই বিশ্বাস লিভারপুল ম্যানেজমেন্টের।
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৭ দিন আগে
২৮ দিন আগে
২৮ দিন আগে