এশিয়া কাপে হংকংয়ের বিপক্ষে উড়ন্ত শুরু। উড়তে থাকা বাংলাদেশ মাটিতে পড়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে লঙ্কানদের বিপক্ষে মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখেন লিটন দাসরা। ফলে র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা আফগানিস্তানের বিপক্ষে লাল সবুজ দলের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ পরিণত হয়েছে বাঁচা-মরা। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটিতে জিতলেও যদি কিন্তুর অপেক্ষা করতে হবে বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশ আদৌ হারাতে পারবে রশিদ খানদের? কারণ, নিকট অতীতে বেশ ডোমেনেটিং করেই লিটনদের রুখে দিয়েছে আফগানরা। আগামীকাল আবুধাবিতে ডু অর ডাই ম্যাচের আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছেন জাতীয় দলের স্পিন কোচ মুশতাক আহমেদ। পাকিস্তানের সাবেক এই স্পিনারের বিশ্বাস, এখনো বাংলাদেশের সম্ভবনা রয়েছে সুপার ফোর নিশ্চিত করার।
আরও পড়ুন
বাটলারকে টপকে আমিরাত অধিনায়কের বিশ্ব রেকর্ড |
![]() |
মুশতাককে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ‘দল কি এখনো সুপার ফোরে কোয়ালিফাই করার বিশ্বাস ধরে রেখেছে? আর সেটা কতটা কঠিন?’ প্রতিউত্তরে তিনি বলেন,
‘হ্যাঁ, আমাদের বিশ্বাস রয়েছে। কোচিং স্টাফ এবং ম্যানেজমেন্ট সবসময় খেলোয়াড়দের এটা বোঝানোর চেষ্টা করছে যে, এই বিশ্বাসটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমি বিশ্বাস করি, কোচিং দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের নিজেদেরও এটা বিশ্বাস করতে হবে যে আমরা কোয়ালিফাই করতে পারি।’’
আরও পড়ুন
বেনেট ঝড়ে হেসে খেলে জিতল জিম্বাবুয়ে |
![]() |
বাংলাদেশ যে অবস্থানে দাঁড়িয়ে সেখান থেকে এই এতটা দৃঢ়তার সঙ্গে কথা বলাটা একটু অযৌক্তিক বটে। মুশতাক মাটিতেই রাখছেন,
‘‘অবশ্যই এটা (কোয়ালিফাই করা) কঠিন, কারণ এখন কিছুটা “যদি–কিন্তু”র ওপর নির্ভর করছে। আপনি 'যদি-কিন্তু' ভাবেন, তাহলে এখন যা সবচেয়ে দরকার, সেটা হলো আগামী ম্যাচে পুরোপুরি মনোযোগ এবং সেই ম্যাচটা জিততে হবে। যখন আপনি মানসিকভাবে দৃঢ় থাকেন এবং বিশ্বাস রাখেন, তখন ইনশাআল্লাহ সবই সম্ভব। আমি বিশ্বাস করি, এখনও সুযোগ আছে।’’
কোচ আরও বলেন, দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে মিডলের ওভারগুলো পারফরম্যান্স। তিনি বলেন,
‘‘স্পিন আক্রমণ দারুণ শক্তিশালী। বিশেষ করে মিডল ওভারে প্রতিপক্ষের স্পিন আক্রমণ সামলানোই হবে চ্যালেঞ্জ। যদি সেটা ভালোভাবে সামাল দিতে পারি এবং একটা ভালো সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারি, তাহলে আমাদের বোলিং ইউনিট দিয়েও আমরা জবাব দিতে পারব।’’
No posts available.
ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের অপসারণ দাবি করেছিলেন এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) প্রধান ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। যদিও তার অনুরোধের বিষয়ে এখন পর্যন্ত প্রতিক্রিয়া জানায়নি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।
পিসিবি চেয়ারম্যান মোহসিন নাকভি যেভাবে এশিয়া কাপে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটকে পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন, সেটি মানার সম্ভাবনা খুবই কম—এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ক্রিকেট বিষয়ক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ।
জানা গেছে, এখন পর্যন্ত নাকভির মেইলের উত্তর দেয়নি আইসিসি। ধারণা করা হচ্ছে, পিসিবির ম্যাচ রেফারি পরিবর্তনের অনুরোধ মানার মতো পর্যাপ্ত কারণ আইসিসির কাছে নেই। যদি এখনো কোনো অফিসিয়াল উত্তর দেয়নি ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা। আশা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই আইসিসি এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাবে।
আরও পড়ুন
সুপার ফোরে ভারত, চিন্তায় পাকিস্তান |
![]() |
পাকিস্তানের অভিযোগ, টসের সময় ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটই দুই অধিনায়ককে হাত মেলাতে মানা করেছিলেন। যা কিনা খেলাধুলার স্পিরিটের সরাসরি বিরোধী। তাই পাইক্রফটকে দায়ী করে এক টুইট বার্তায় তার অপসারণ দাবি করেন নাকভি।
“পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) আইসিসির কাছে অভিযোগ জানিয়েছে যে, ম্যাচ রেফারি আইসিসি কোড অব কন্ডাক্ট এবং এমসিসি'র স্পিরিট অব ক্রিকেটসংক্রান্ত আইন ভঙ্গ করেছেন। এই কারণে এশিয়া কাপ থেকে ওই ম্যাচ রেফারিকে অবিলম্বে অপসারণের দাবি জানিয়েছে পিসিবি।”
খেলল সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান। জিতল স্বাগতিক দল। আর আখের লাভ ভারতের। অর্থাৎ আজ আবু ধাবির শেখ আবু জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের দিনের প্রথম ম্যাচে মোহাম্মদ ওয়াসিমদের জয়ে সবার আগে এশিয়া কাপের সুপার ফোর নিশ্চিত হয়েছে সূর্যকুমার যাদবদের। আর পরপর দুই ম্যাচ হেরে সবার আগে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে ওমান।
আরও পড়ুন
আফগানিস্তানকে এগিয়ে রাখছেন মুশতাক |
![]() |
১৭তম আসরে এখন পর্যন্ত ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষে ভারত। সাবেক চ্যাম্পিয়নদের রানরেট ৪.৭৯৩। দ্বিতীয় পাকিস্তান। সমান ম্যাচে এক জয় ও এক হার তাদের। দলটির রান রেট ১.৬৪৯। রানরেটে আরব আমিরাতের (–২.০৩০) চেয়ে এগিয়ে পাকিস্তান। ২ ম্যাচে কোনো পয়েন্ট না পাওয়া ওমান আগামী শুক্রবার নিজেদের শেষ ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে। সে ম্যাচের ফল যা–ই হোক, এই গ্রুপ থেকে ভারতের সুপার ফোরে ওঠা নিশ্চিত।
আমিরাত আজ প্রথম জয় পেয়েছে। তাদের পরবর্তী ম্যাচ আগামী বুধবার। পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচে চমক দেখাতে পারলেই সুপার ফোরের টিকিট নিশ্চিত হবে ওয়াসিমদের। অর্থাৎ শেষ ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে হারের পর আরেকটি কঠিন পরীক্ষায় পড়তে পারেন সালমান আগারা। হাতের তালুর মতো চেনা ঘরের মাঠে জায়ান্ট কিলিংয়ের ঘটনা ঘটলে খেরোখাতায় লেখা হবে ইতিহাস।
২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবশেষ কুড়ি কুড়ি ফরম্যাটে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। সুপার এইটের গুরুত্বপূর্ণ সেই ম্যাচে ৮ উইকেটে জয় পায় আফগানিস্তান। সার্বিক দিক থেকেও লিটন দাসদের চেয়ে এগিয়ে রশিদ খানরা। ক্রিকেটের স্বল্প ওভারের খেলায় ১২ বারের দেখায় ৭বার জয় আনন্দ উপভোগ করেছে আফগানরা। আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় জয় কঠিন হলে আত্মবিশ্বাস মুশতাক।
তিনি বলেন,
‘‘আফগানদের বিপক্ষে জয় তোলা কঠিন। রশিদদের মতো স্পিনাররা ১৫–২০ বছর ধরে খেলছে, অভিজ্ঞতায় তারা এগিয়ে। তার মানে এই নয় আমরা পিছিয়ে। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশের স্পিনাররাই মাঝের ওভারে বেশি ম্যাচ জিতিয়েছে এবং আমাদের ইকোনমি রেটে সেরা এক বা দুইয়ের মধ্যে। আমাদের শক্তি মাঝের ওভারের স্পিন আক্রমণ, সেটিই কাজে লাগাতে হবে।’’
আরও পড়ুন
রিশাদের ‘বাজে ফর্ম’ নিয়ে মুশতাকের ব্যাখ্যা |
![]() |
এসময় আফগানদের বিদেশি ফ্রাঞ্চাইজিতে খেলার ব্যাপারটিও সামনে আনলেন মুশতাক। ফ্রাঞ্চাইজিতে খেলার কারণে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের চেয়ে বেশি অভিজ্ঞ আফগানরা। মুশতাক বলেন,
‘‘একটা জিনিস মনে রাখবেন, আপনি চাইলে বিছানা কিনতে পারবেন কিন্তু ঘুম কিনতে পারবেন না। ঠিক সেভাবে আপনি চাইলেও অভিজ্ঞতা কিনতে পারবেন না। অভিজ্ঞতা আসে খেলার মাধ্যমে। তারা অনেক লিগ খেলে বলে এগিয়ে। তবে বাংলাদেশও কম ভালো করছে না। কিন্তু আইসিসি বা এসিসি টুর্নামেন্টে আরও উন্নতি করতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশ যেকোনো দলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে।’’
ভারতের কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার ধাক্কা কাটিয়ে উঠল সংযুক্ত আরব আমিরাত। গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ওমানকে হারিয়ে দিল এশিয়া কাপের স্বাগতিকরা। টুর্নামেন্টের সুপার ফোরের টিকেটের জন্য শেষ ম্যাচে তারা লড়বে পাকিস্তানের বিপক্ষে।
আবু ধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবারের ম্যাচে ওমানকে ৪২ রানে হারায় আরব আমিরাত। মোহাম্মদ ওয়াসিমের বিশ্ব রেকর্ডের পর আগে ব্যাট করা আমিরাত পায় ১৭২ রানের সংগ্রহ। জবাবে ১৩০ রানে অল আউট হয়ে যায় ওমান।
আরও পড়ুন
রিশাদের ‘বাজে ফর্ম’ নিয়ে মুশতাকের ব্যাখ্যা |
![]() |
দুই ম্যাচে আমিরাতের এটি প্রথম জয়। বুধবার পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচে চমক দেখাতে পারলেই সুপার ফোরের টিকেট পেয়ে যাবে তারা। আর পরপর দুই ম্যাচ হেরে সবার আগে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিলো ওমান।
আমিরাতের জয়ের নায়ক অধিনায়ক ওয়াসিম। বিশ্ব রেকর্ড গড়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে কম বলে ৩ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন ৩১ বছর বয়সী ব্যাটার। তার রেকর্ডের দিনে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে খেলার আশা বাঁচিয়ে রেখেছে আমিরাত।
আরও পড়ুন
‘বাংলাদেশ কখনও এশিয়া কাপ জেতেনি?’ আফগান কোচের বিস্ময় |
![]() |
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আলিশান শারাফুর সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ৮৮ রান যোগ করেন ওয়াসিম। ৩৮ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলে আউট হন শারাফু। এরপর ওয়াসিম ছাড়া আর কেউই তেমন কিছু করতে পারেননি।
শেষ ওভারে রান আউট হওয়ার আগে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৪ বলে ৬৯ রান করেন ওয়াসিম। ৮৪ ম্যাচের ক্যারিয়ারে এটি তার ২৪তম ফিফটি। এছাড়া তিনটি সেঞ্চুরিও আছে আমিরাত অধিনায়কের। শেষ দিনে ৮ বলে ১৯ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন হার্শিত কৌশিক।
ওমানের পক্ষে ৪ ওভারে ২৪ রানে ২ উইকেট নেন জিতেন রমানন্দি।
আরও পড়ুন
এখনো সুপার ফোরের স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ |
![]() |
রান তাড়ায় ওমানের কেউ তেমন বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। পাওয়ার প্লের মধ্যেই তারা ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা।
অধিনায়ক জোতিন্দর সিং ঝড় তোলার আভাস দিয়ে ১০ বলে ২০ রান করে আউট হয়ে যান। ছয় নম্বরে নেমে ২৪ রান করতে ৩২ বল খেলেন আরিয়ান বিশ্ত। অতিরিক্ত থেকে ১৬ রান পায় ওমান।
আরব আমিরাতের পক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ২৩ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন জুনায়েদ সিদ্দিকি। এছাড়া হায়দার আলি, মোহাম্মদ জাওয়াদউল্লাহ নেন ২টি করে উইকেট।
মুশতাক আহমেদ নিজেও একজন কিংবদন্তি লেগ স্পিনার। তারচেয়েও পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটারের বড় পরিচয় তিনি এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের স্পিন কোচ। তাই ইচ্ছাকৃতভাবে ‘রিশাদ হোসেনের ম্যাড়মেড়ে বোলিং’ নিয়ে মুশতাকের দিকে প্রশ্নটা ছোঁড়া।
এমন প্রশ্নের কারণও আছে বৈকি। এশিয়া কাপে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি রিশাদ। ২৩বর্ষী লেগ স্পিনার প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে দুই উইকেট তোলেন। খরচ করেন ৩১ রান। আর দ্বিতীয় ম্যাচে তাকে দিয়ে মাত্র এক ওভার হাত ঘোরান ক্যাপ্টেন লিটন দাস। কারণ, ৬ বলে ১৮ রান খরচ করেন রিশাদ।
আরও পড়ুন
‘বাংলাদেশ কখনও এশিয়া কাপ জেতেনি?’ আফগান কোচের বিস্ময় |
![]() |
মুশতাক বলেন,
‘‘তরুণ লেগ স্পিনাররা অনেক সময় এক ওভারে অতিরিক্ত কিছু করতে গিয়ে লাইন-লেংথ হারিয়ে ফেলে। তাদের শিখতে হবে পরিস্থিতি বুঝে বল করতে হবে।’’
মুশতাক আরও বলেন,
‘‘আমি নেটে তোলেন আগেই ওর (রিশাদ) সঙ্গে কথা বলেছি। ওকে বলেছি—প্রথম তিন বল শুধু ভালো জায়গায় ফেলতে। এতে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া যাবে, তারপর ভ্যারিয়েশন আনা যাবে। ছোট ছোট বিষয় দ্রুত শিখতে হবে। আর পরিস্থিতি বুঝে কোন বল বেশি করা দরকার, সেটিও বুঝতে হবে।‘'