সান্তোস নামটি শুনলে ফুটবলপ্রেমীদের মনে সবার আগে ভেসে ওঠে একটি নাম - পেলে। সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবলারের কল্যাণে বিশ্ব মানচিত্রে পরিচিতি পাওয়া ব্রাজিলের এই ক্লাবটিতে তার পরবর্তী সময়ের সেরা প্রতিভাবানদের একজন নেইমার। পেশাদার ক্যারিয়ার এখানে শুরু করার পর ছেড়েছেন ঠিকানা। তবে এক বছর বাদে দেশটির শীর্ষ লিগে ফিরে সাবেক বার্সেলোনা তারকাকে ক্লাবে টানার জন্য বেশ আশাবাদী হয়ে উঠছে সান্তোস।
২০২৩ সালে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ব্রাজিলের শীর্ষ লিগ থেকে রেলিগেটেড হয় সান্তোস। তবে গত সোমবার রাতে সেরি বি-এর ম্যাচে করিতিবাতেকে ২-০ গোলে হারিয়ে ব্রাজিলের সেরি আ-তে তার স্থান নিশ্চিত করেছে আবার।
আরও পড়ুন
নেইমারের চুক্তি বাতিলের ‘চিন্তা করছে’ আল হিলাল! |
![]() |
২০১১ সালে নেইমারের হাত ধরেই সান্তোস তাদের প্রথম কোপা লিবার্তাদোরেস শিরোপা জিতেছিল। ২০১৩ সালে যোগ দেন বার্সেলোনায়। এরপর সেখান থেকে পিএসজি ঘুরে এখন আছেন সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলালে, যেখানে তার চুক্তি শেষ আগামী বছরের জুনে।
গত মঙ্গলবার সান্তোসের সভাপতি মার্সেলো তেক্সেইরা বলেছেন, তিনি নেইমারকে ফেরানোর আশা ছাড়ছেন না-
“আমরা নিজেদের লক্ষ্যের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট আছি। তার (নেইমারের) বাবা এবং তার কর্মীরাও এটা জানেন। তারা আমাকে চেনেন, তারা সান্তোসকেও ভালোভাবে জানেম। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে, কারণ (আল হিলালে) তার একটি চুক্তি আছে।"
তেক্সেইরা আরও বলেছেন, আগামী রোববার সান্তোস ও সিআরবির ম্যাচে নেইমারকে তাদের স্টেডিয়ামে স্বাগত জানানো হবে। এই ম্যাচে জয় পেলে তা সান্তোসের সেরি বি শিরোপা নিশ্চিত করবে।
আরও পড়ুন
মাঠে ফিরে আনন্দের সীমা নেই নেইমারের, ব্রাজিলের জার্সিতে ফিরবেন কবে? |
![]() |
গত বছরের অক্টোবরে এসিএল চোটের শিকার হন নেইমার। সেরে উঠে মাঠে ফেরেন গত মাসে। তবে মাত্র দুটি ম্যাচ বদলি হিসেবে খেলার পর আবার পেশীতে চোট পেয়েছেন। ডিসেম্বরের আগে তার আর মাঠে ফেরার সম্ভাবনা নেই।
দুই বছরের চুক্তির একটা বড় সময় নেইমার চোটের কারণে খেলতে না পারায় আল হিলালের মালিকপক্ষ তাকে আগেই ছেড়ে দিতে চান বলে খবর। গুঞ্জন রয়েছে, আগামী জানুয়ারিতে দুই পক্ষের সম্মতিতে বাতিল হতে পারে ৩২ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডের চুক্তি।
আরও পড়ুন
১ বছর পর প্রস্তুত নেইমারের ফেরার মঞ্চ |
![]() |
আর এই কারণেই উঠে আসছে সান্তোসের নাম। কারণ, এসিএল চোট থেকে সেরে ওঠার পর নেইমার বারবার সান্তোসের ম্যাচ দেখার এবং দলের খেলোয়াড়দের সাথে কথা বলার ছবি এবং ভিডিও পোস্ট করেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যে। সব দিক মিলিয়ে তাই বাস্তবিকভাবেই তার আগামী বছর সান্তোসে ফেরার সম্ভাবনা জোড়াল বলেই ধরা হচ্ছে।
No posts available.
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯:১৯ পিএম
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই দুর্ধর্ষ চেহারায় পর্তুগাল। আর্মেনিয়ার মাঠে একের পর এক আক্রমণ সাজিয়ে ৫-০ গোলের বড় জয় তুলে নিল রবের্তো মার্তিনেসের দল। দলের হয়ে জোড়া গোল করেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও জোয়াও ফেলিক্স। বাকি গোলটি করেছেন জোয়াও কানসেলো।
প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই পর্তুগাল দেখিয়েছে একতরফা আধিপত্য। প্রথম ২১ মিনিটেই দুই গোল করে আর্মেনিয়াকে চাপে ফেলে দেয় তারা। ১০ মিনিটে হেডে গোল করে এগিয়ে দেন ফেলিক্স। ২১ মিনিটে পেদ্রো নেতোর ক্রসে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে স্কোরশিটে নাম তোলেন রোনালদো। জাতীয় দলের হয়ে টানা চার ম্যাচে গোল করার কৃতিত্ব গড়লেন এই মহাতরকা।
আরও পড়ুন
মেসির বিদায়ের পর আর্জেন্টিনার অধিনায়ক হবেন কে |
![]() |
৩২ মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ায় কানসেলো। ডানদিক থেকে শট ফিরলেও গোলরক্ষকের হাত এড়িয়ে বল চলে যায় তার সামনে, সেখান থেকেই সহজ ফিনিশিং। গোলের পর প্রয়াত সতীর্থ দিয়োগো জটার স্মরণে বসে পড়ে বিশেষ ভঙ্গিতে উদযাপন করেন তিনি।
বিরতির পর আরও প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে পর্তুগিজরা। ৪৬ সেকেন্ডের মাথায় প্রায় ২২ গজ দূর থেকে দুর্দান্ত শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন রোনালদো। আন্তর্জাতিক ফুটবলে তাঁর গোলসংখ্যা দাঁড়াল ১৪০, খেলেছেন ২২২ ম্যাচ। ২০১৫ সালে আর্মেনিয়ার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি।
রোনালদো বদলি হয়ে উঠে যাওয়ার পর আক্রমণের ধারা কিছুটা কমে যায়, তবে ৬১ মিনিটে সৌভাগ্যের ছোঁয়ায় দ্বিতীয় গোলটি পান ফেলিক্স। শেষ দিকে আর্মেনিয়া পাল্টা আক্রমণে চেষ্টা চালালেও গোলের দেখা পায়নি।
নেপালের বিপক্ষে প্রথম প্রীতি ম্যাচে শনিবার গোলশূন্য ড্র করেছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেন সুমন রেজা। তবে শেষ পর্যন্ত সেগুলো গোলে রূপান্তর করা যায়নি। ম্যাচ শেষে কোচ হাভিয়ের কাবরেরা প্রশংসায় ভাসিয়েছেন মোহামেডান ফরোয়ার্ডের; একই সঙ্গে বলেছেন- ‘এই ম্যাচে ড্র-ই ছিল ন্যায্য ফল।’
খেলার দশম মিনিটেই প্রতিপক্ষের জালে বল ঠেলে দেন সুমন রেজা। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় গোলের উৎযাপন শুরুর আগেই অবশ্য তাকে থামিয়ে দেন রেফারি। সঙ্কেত দেওয়া হয় অফসাইডের। পুরো ম্যাচেই দারুণ খেলেছেন ৩০ বছর বয়সি তারকা।
পোস্ট ম্যাচ কনফারেন্সে কোচ কাবরেরা আলাদা করে টাঙ্গাইল থেকে উঠে আসা ফুটবলারকে নিয়ে বলেন,
‘সুমন সেটাই করেছে, যেটা সে ভালোভাবে করতে পারে- অবিরাম লড়াই আর ভরপুর প্রাণশক্তি নিয়ে খেলা। আজকের ম্যাচে সেটাই দরকার ছিল আমাদের। প্রথমার্ধে সে একটা দারুণ সুযোগ তৈরি করেছে। দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের যে বড় সুযোগটা এসেছিল লং থ্রো থেকে; সেখানে দারুণ হেডটা সে-ই দিয়েছে।’
নেপালের বিপক্ষে ম্যাচে ছিলেন না সর্বশেষ সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে খেলা হামজা চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন তারকা ফুটবলার। তাদের অনুপুস্থিতি নিয়ে দেশ ছাড়ার আগেই কাবরেরা বলেছিলেন এটা অন্যদের জন্য সুযোগ। সুমন সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে বলে মনে করেন স্প্যানিশ কোচ,
‘আমার কাছে মনে হয়েছে, ক্যাম্পে সে খুব ভালো করেছে। আজকের সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে এবং ভালো খেলেছে।’
এই ম্যাচে দুই দলই ভালো খেলেছে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ খেলেছে মনে করেন কাবরেরা,
‘খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হয়েছে, সমান লড়াই করেছে দুই দল। শুরুতে তারা (নেপার) আমাদের চেয়ে ভালো খেলেছে। ধীরে ধীরে কিছু সময়ের জন্য ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিই। প্রথমার্ধের শেষ দিকে আবারও ভুগতে হয়েছে। আসলে পুরোটা সময়ই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণটা এদিক-ওদিক হেলেছে। তবে আমি মনে করি, ম্যাচটা সমানে সমান (৫০-৫০)। ড্র-ই এর ন্যায্য ফল।’
শেষে কাবরেরা প্রশংসা করেছেন অভিজ্ঞ তারকা রাকিব হোসেনের। বসুন্ধরা কিংসের উইঙ্গারকে নিয়ে বলেছেন,
‘রাকিবও একইভাবে ভালো খেলেছে। তবে ওর ব্যাপারে প্রতিপক্ষ হয়তো বেশি সাবধানী ছিল, তাই ওর চারপাশে বেশি খেলোয়াড় রেখেছে। তবুও, রাকিব সবসময়ই বিপজ্জনক।’
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে নেপালের বিপক্ষে দ্বিতীয় তথা সফরের শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে হংকং ম্যাচের আগে নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচকে প্রস্তুতির মঞ্চ হিসেবে দেখছিলেন বাংলাদেশ দলের হেড কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। অধিনায়ক জামাল ভূইয়া চেয়েছিলেন প্রস্তুতির পাশাপাশি দুটিতেই জয় নিয়ে দেশে ফিরতে। তবে আজ দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে প্রথম প্রীতি ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছে বাংলাদেশ।
নেপালের বিপক্ষে আগের দেখায় ২০২২ সালে ৩-১ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। প্রায় তিন বছর পর সুযোগ পেয়েছিল প্রতিশোধ নেওয়ার। সে অপেক্ষাও বাড়ল আরও।
ম্যাচের ৩০ মিনিটে মনি কুমার লামার ফ্রি কিক থেকে অনন্ত তামাংয়ের হেড ঠেকিয়ে দেন সুজন হোসেন। ৩৯ মিনিটে কর্নার থেকে আসা বলে সুযোগ পেয়েছিলেন সুমন রেজা। কিন্তু তাঁর শট চলে যায় পোস্টের ওপর দিয়ে। ৫১ মিনিটে রহমত মিয়ার লং থ্রোয়ে সুমন রেজার হেডে বল পান তারিক কাজী। কিন্তু তিনি বল ছোঁয়ার আগেই হেডে তা ক্লিয়ার করেন নেপালের জুং কার্কি।
৬৫ মিনিটে জামালের জায়গায় কাজেম শাহ ও সাদ উদ্দীনের পরিবর্তে নামেন তাজ উদ্দীন। ৬৮ মিনিটে জুং কার্কির শট সহজেই তালুবন্দী করেন সুজন। ৭৬ মিনিটে তাজের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট খানিকটা লাফিয়ে উঠে গ্লাভসবন্দি করেন নেপালের অধিনায়ক কিরণ চেমজং।
৮১ মিনিটে রাকিব হোসেনের বাড়ানো ক্রসে মাথা ছোঁয়াতে পারেননি দূরের পোস্টে থাকা আরিফ হোসেন। ৮৫ মিনিটে সাদের মতো ছোট ভাই তাজও দেখেন হলুদ কার্ড। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্র মেনে মাঠ ছাড়ে দুই দল। ৯ সেপ্টেম্বর কাঠমান্ডুর দশরথেই দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে দুই দল।
আধিপত্য বিস্তার না করা গেলেও বল দখলে নিয়ে খেলছিল বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষের তুলনায় বেশি সুযোগও তৈরি করেছেন আল আমিন-মোরছালিনরা। নিখুঁত ফিনিশিংয়ের অভাবে কেবল জালের দেখা মেলেনি।
দ্বিতীয়ার্ধেও খেলায় আসেনি পরিবর্তন। ঢিমেতালে শুরুর পর এই অর্ধের খেলায় প্রাণ ফিরে পায় যেন শেষ ১৫ মিনিটে, তবে সেটা ইয়েমেনের দিক থেকে। বাংলাদেশ কোচ হাসান আল মামুনের কয়েকটি বদলির পরই ছন্দ হারিয়ে ফেলে অতিথিরা। অন্তিম মুহূর্তের গোলে বাংলাদেশকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে শেষ হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইয়েমেন।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে (৯০+৪) ইয়েমেনের বদলি খেলোয়াড় মোহাম্মদ এসাম আল আওয়ামি পার্থক্য গড়ে দেওয়া গোলটি করেন।
এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে নিজেদের দুই ম্যাচে জিতে ৬ পয়েন্ট অর্জন ইয়েমেনের। সমানসংখ্যক খেলায় এখনও পয়েন্টের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে সিঙ্গাপুরকে হারালে তিন পয়েন্ট পেতে পারে। তিন পয়েন্টে গ্রুপ রানার্সআপ হওয়ার সুযোগ একেবারে ক্ষীণ। সেখানে এগারো গ্রুপের মধ্যে সেরা চার রানার্সআপ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বলা যায়, এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার আশা প্রায় শেষ বাংলাদেশের।
আরও পড়ুন
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীকে প্রধান করে বিসিবির নির্বাচন কমিশন |
![]() |
ম্যাচের ৩২ মিনিটে প্রায় ৪০ গজ দূর থেকে নেওয়া মোরছালিনের গতিময় শট কর্নারের বিনিময়ে ক্লিয়ার করেন ইয়েমেনের গোলকিপার ওসামা আলী মসরেফ। টানা দুটি কর্নার পায় বাংলাদেশ। মোরছালিনের কর্নারে উড়ে আসা বল লাফিয়ে গ্লাভসবন্দি করতে গিয়ে ফেলে দেন ইয়েমেনের গোলকিপার। বাংলাদেশের কেউ বলের নাগাল পাওয়ার আগে গোলমুখের সামনে থেকে ক্লিয়ার করেন ইমেয়েনের ডিফেন্ডার ফয়সাল মোহাম্মদ মারুফ।
৬৩ মিনিটে ফাহামিদুল ও আল আমিনকে তুলে নেন কোচ। তারপরই যেন ছন্দ হারায় বাংলাদেশ। বদলি হিসেবে নামেন রাব্বি হোসেন রাহুল ও রাজু আহমেদ জিসান। তিন মিনিট পর ভালো একটা আক্রমণ সমাপ্তি ঘটে জিসানের লক্ষ্যহীন শটে। ৭২ মিনিটে মিরাজুল ইসলামকে তুলে মাঠে নামানো হয় আরমান ফয়সাল আকাশকে। কিন্তু আকাশও প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি।
৭৭ মিনিটে ইয়েমন অধিনায়ক ইমাদ হামুদের ফ্রি কিক কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন বাংলাদেশ গোলকিপার মেহেদী হাসান শ্রাবণ। ৮০ মিনিটে ইয়েমেন ফরোয়ার্ড নাসের মোহাম্মদ সালেহের গতিময় নিচু শট বেরিয়ে যায় পোস্ট ঘেঁষে। শেষ দিকে ইয়েমেনের আক্রমণে বেশ চাপে পড়ে বাংলাদেশ। জিসান-রাহুলরাও বল পায়ে ছিলেন এলোমেলো।
আরও পড়ুন
মেসির বিদায়ের পর আর্জেন্টিনার অধিনায়ক হবেন কে |
![]() |
৮৪ মিনিটে বদলি খেলোয়াড় সালেহর আড়াআড়ি শট ঠেকালেও গ্লাভসবন্দি করতে পারেননি শ্রাবণ। কর্নার পায় ইয়েমেন। সেট পিস থেকে উড়ে আসা বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে প্রতিপক্ষকে ফের কর্নার উপহার দেন বদলি খেলোয়াড় আকাশ।
৮৭ মিনিটে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে বাজেভাবে ফাউল করে লাল কার্ড দেখেন মজিবর রহমান জনি। বক্সের সামনে ফ্রি কিক পায় ইয়েমেন। সেখান থেকে গোলই পেয়ে যাচ্ছিলেন ইয়েমেনের বদলি খেলোয়াড় আব্দুল রহমান আল শামি। তবে ডান দিকে ঝাঁপিয়ে গোল সেভ করেন শ্রাবণ। থ্রো থেকে ফিরতি বল তৈরি করে গোলের সুযোগ, এবারও গোলবারের সামনে ভরসা হয়ে দাঁড়ান বসুন্ধরা কিংসের এই গোলকিপার।
যোগ করা সময়ের চার মিনিটের মাথায় গোল করেন এসাম আল আওয়ামি। গোলের সুযোগ তৈরি করেন আব্দুল রহমান আল শামি। বক্সের বাঁ প্রান্তের কোণ দিয়ে রিমনকে বোকা বানিয়ে বল তুলে দেন এসামের পায়ে। নিখুঁত টোকায় ডান প্রান্তের উপরের কোণা দিয়ে বল জালে পাঠান তিনি। সেখানে গোলকিপার শ্রাবণের চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না। ওই সময় বাংলাদেশের পোস্টে ছিলেন ৫-৬ জন খেলোয়াড়। তাঁদের দেখে মনে হচ্ছিল, তাঁরা যেন বেশ ক্লান্ত। ওই গোলের পরই শেষ বাঁশি বাজে রেফারির।
শেষ ম্যাচ আগামী ৯ সেপ্টেম্বর, সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ভেনেজুয়েরার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে জাতীয় দলের হয়ে ঘরের মাঠ থেকে বিদায় নিয়ে ফেলেছেন লিওনেল মেসি। সামনে আর কত দিন খেলবেন আর্জেন্টিনার হয়ে, সেটি নিয়েও তিনি রেখে দিয়েছেন অনিশ্চয়তা। তবে খুব বেশি দিন যে আর খেলবেন না, তা বলে দেয়াই যায়।
এমতাবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই উঠছে প্রশ্ন, মেসির অবসরের পর আর্জেন্টিনার অধিনায়কত্বের 'আর্মব্যান্ড' পরবেন কে? সে দৌড়ে এগিয়ে আছেন কারা?
আর্জেন্টাইন ফুটবলভিত্তিক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশটির নতুন অধিনায়ক হতে পারেন ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো, এমিলিয়ানো মার্তিনেজ, লাউতারো মার্তিনেজ ও নিকোলাস তালিয়াফিকোর মধ্যে একজন।
আরও পড়ুন
‘নিজের জন্য নয়, দেশের জন্য আরও কিছু চান মেসি’ |
![]() |
বর্তমান দলে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক হিসেবে সেরা তিন পছন্দ লিওনেল মেসি, নিকোলাস ওটামেন্ডি, ও ক্রিশ্চিয়ানো রোমেরো। তবে মেসির মতো ওটামেন্ডিও ঘোষণা দিয়েছেন, ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন তিনি।
তাই বলা যায়, মেসির পাশাপাশি দ্বিতীয় পছন্দের ওটামেন্ডিকেও আর বেশি দিন পাবে না আর্জেন্টিনা। তাই থেকে যাবেন শুধু ২৭ বছর বয়সী রোমেরো। তাকে যদি অধিনায়ক হিসেবে রেখে দেন লিওনেল স্কালোনি, তবু নতুন আরও দুজনকে খুঁজতে হবে তার।
নতুন কোনো ঘোষণার আগপর্যন্ত মেসি ও ওটামেন্ডির অনুপস্থিতিতে রোমেরোই থাকবেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক। এরই মধ্যে গত জুনে চিলির বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন টটেনহ্যাম হটস্পারের এই ডিফেন্ডার।
এর বাইরে এমিলিয়ানো মার্তিনেজকে বেছে নিতে পারেন স্কালোনি। অ্যাস্টন ভিলাকে বেশ কিছু ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে এমিলিয়ানোর। পাশাপাশি তার খেলা বা শরীরী ভাষায়ও আছে নেতাসুলভ গুণাবলী। যা তাকে অধিনায়কের দৌড়ে অনেক এগিয়ে রাখছে।
আরও পড়ুন
মেসিকে ছাড়াই আর্জেন্টিনার অনুশীলন |
![]() |
এছাড়া ইন্টার মিলানের অধিনায়ক ও মূল ফুটবলারদের একজন লাউতারো মার্তিনেজও থাকবেন এই দৌড়ে। আর্জেন্টিনা দলেও স্কালোনির মূল ভরসার একজন লাউতারো। তাই তাকে অধিনায়ক হিসেবে বেছে নিলেও অবাক হওয়ার থাকবে না।
সবশেষে আসতে পারে তালিয়াফিকোর নাম। গত পাঁচ বছরে আর্জেন্টিনার চার শিরোপা জয়ের মূল কারিগরদের একজন এই ডিফেন্ডার। ২০১৮ সালে স্কালোনি দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম দুই ম্যাচে অধিনায়ক ছিলেন তালিয়াফিকোই। আবারও তার দায়িত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক।