শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে ঘাসের ওপর বসে পড়লেন নেইমার জুনিয়র। দুই হাঁটুর মাঝে মুখ লুকিয়ে শুরু করলেন অঝোরে কান্না। সতীর্থ ফুটবলাররা কাছে এসে সান্ত্বনা দিতে চাইলেও সরিয়ে দিলেন তাদের। বেশ কিছুক্ষণ পর সবার শেষে মাঠ ছাড়লেন ব্রাজিলিয়ান তারকা।
নেইমারের এমন ভেঙে পড়ার কারণ সান্তোসের বড় পরাজয়। ব্রাজিলিয়ান সিরি আ’র ম্যাচে বাংলাদেশ সময় রোববার রাতে ভাস্কো ডা গামার বিপক্ষে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে নেইমারের সান্তোস। অথচ ম্যাচটি ছিল ক্লাবের জার্সিতে নেইমারের ২৫০তম ম্যাচ।
খেলা শুরুর আগে মাইলফলক ছোঁয়ার উপলক্ষ্যে নেইমারকে উপহার দেওয়া হয় ‘২৫০’ লেখা বিশেষ জার্সি। একইসঙ্গে তার হাতে তুলে দেওয়া হয় বিশেষ এক স্মারকলিপি। ম্যাচের আগে সব মিলিয়ে এক রকম উৎসবের আবহেই ছিলেন নেইমার।
কিন্তু খেলা শুরুর বাঁশি বাজতেই বদলে যায় সব। ঘরের মাঠে প্রায় ৫০ হাজার দর্শকের সামনে নাস্তানাবুদ হয় নেইমারের সান্তোস। প্রথমার্ধে অবশ্য শুধু একটি গোল হজম করে তারা। দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে তাদের জালে আরও ৫ বার বল ঢোকায় ভাস্কো ডা গামা।
নেইমারের ব্রাজিলিয়ান সতীর্থ ফিলিপ কৌতিনহো করেন জোড়া গোল। বাকি ৪ জন একবার করে নাম তোলেন স্কোর শিটে।
আরও পড়ুন
জয়ে শুরু আর্সেনালের, সেঞ্চুরির অপেক্ষা বাড়ল ইউনাইটেডের |
![]() |
এমন পরাজয়ের পর ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের ব্যর্থতা মেনে নেন নেইমার।
“আমি লজ্জিত। আমাদের পারফরম্যান্সে আমি সম্পূর্ণভাবে হতাশ। এমন ফলাফলের পর সমর্থকদের প্রতিবাদের পুরো অধিকার আছে, অবশ্যই সহিংসতা ছাড়া... তারা যদি গালি দিতে বা অপমান করতে চান, সেটাও তাদের অধিকার।”
লিগের ১৯ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে ১৫ নম্বরে আছে সান্তোস। টানা বাজে ফলাফলের ধারাবাহিকতা ৬ গোলে হারের পর দলের প্রধান কোচ ক্লেভার জাভিয়েরকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছে তারা।
১৭ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শেষ দুই ম্যাচের জন্য প্রাথমিক দল ঘোষণা করেছে আর্জেন্টিনা। কোচ লিওনেল স্কালোনির দলে লিওনেল মেসি, হুলিয়ান আলভারেজ, লাউতারো মার্তিনেজদের মতো নিয়মিত তারকা খেলোয়াড়েরা রয়েছেন।
আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে নিজেদের মাঠে খেলবে আর্জেন্টিনা। ১০ সেপ্টেম্বর ইকুয়েডরের আতিথেয়তা নেবে আলবিসেলেস্তেরা।
প্রাথমিক দলে সুযোগ পেয়েছেন অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা পালমেইরাস স্ট্রাইকার হোসে ম্যানুয়েল লোপেজ। পোর্তোর তরুণ মিডফিল্ডার অ্যালান ভারেলা ও বোর্নমাউথের ডিফেন্ডার জুলিও সোলারকে ডেকেছেন স্কালোনি।
সবশেষ কলম্বিয়া ও চিলির বিপক্ষে খেলা দল থেকে বাদ পড়েছেন তিন ডিফেন্ডার ভ্যালেন্টিন বারকো, কেভিন লোমোনাকো, মারিয়ানো ত্রইলো, মিডফিল্ডার এনজো বারেনেচিয়া ও এনজো ফার্নান্দেজ। দলে ফিরেছেন লিভারপুল মিডফিল্ডার ম্যাক আলিস্টার. ক্লাদিও এচেভেরি ও গঞ্জালো মন্টিয়েল।
আর্জেন্টিনা ইতিমধ্যে ২০২৬ বিশ্বকাপের মূলপর্ব নিশ্চিত করেছে। ১৬ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে লাতিন আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে টেবিলের শীর্ষে তারা।
আর্জেন্টিনার প্রাথমিক দল
গোলরক্ষক:
এমিলিয়ানো মার্তিনেজ, হেরেনিমো রুলি, ওয়াল্টার বেনিতেজ।
ডিফেন্ডার:
ক্রিস্টিয়ান রোমেরো, নিকোলাস ওতামেন্দি, নাহুয়েল মলিনা, হুয়ান ফয়েথ, লিওনার্দো বালের্দি, ফাকুন্দো মেদিনা, নিকোলাস তাগলিয়াফিকো, মার্কাস আকুনিয়া, জুলিও সোলার, গঞ্জালো মন্টিয়েল,
মিডফিল্ডার:
লেয়ান্দ্রো পারেদেস, নিকোলাস পাজ, এজেকিয়েল পালাসিওস, রদ্রিগো দি পল, থিয়াগো আলমাদা, জিওভানি লো সেলসো, ক্লাদিও এচেভেরি, ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুনো, ভ্যালেন্টাইন কার্বোনি, অ্যালান ভারেলা, অ্যালিক্সেস ম্যাক আলস্টিার।
ফরোয়ার্ড:
লিওনেল মেসি, হুলিয়ান আলভারেজ, লাওতারো মার্তিনেজ, নিকোলাস গঞ্জালেস, গিলিয়ানো সিমিওনে, আনহেল কোরেয়া, হোসে ম্যানুয়েল লোপেজ।
একদিন পরই আরেকটি সাফের মঞ্চে মাঠে নামবে বাংলাদেশের মেয়েরা। নেপালে বড়দের সাফের পর ঘরের মাঠে অনূর্ধ্ব-২০ সাফেও চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে এবার মুকুট পরতে চায় অনূর্ধ্ব-১৭ দল।
আগামী পরশু সাফের মঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক ভুটান। এই ম্যাচকে সামনে রেখে সেখানে নিবিড় অনুশীলন করছে মেয়েরা।
আজ ম্যাচ ভেন্যু চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে অনুশীলন সেরেছে মাহবুবুর রহমান লিটুর দল। সেখান থেকে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) পাঠানো ভিডিও বার্তায় দলের গোলরক্ষক ঈশিতা ত্রিপুরা বলেছেন লক্ষ্যের কথা, 'খুব ভালো অনুশীলন হচ্ছে, এখানকার আবহাওয়ার সঙ্গে ধীরে ধীরে মানিয়ে নিয়েছি। আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে চাই এটাই লক্ষ্য।'
আরও পড়ুন
জাতীয় নারী হ্যান্ডবলের সেমিফাইনালে আনসার-পুলিশ |
![]() |
গোলকিপার কোচ ইমনের কণ্ঠেও আত্মবিশ্বাসী সুর, 'আমার দল একটা ভালো অবস্থায় আছে এবং গোলরক্ষকরা খুবই আত্মবিশ্বাসী। অনূর্ধ্ব-১৭ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে আমরা ভালো কিছু করতে চাই।'
ভুটানে এখন বেশ ঠান্ডা। কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে দলকে একটু আগে পাঠানোয় বাফুফেকে ধন্যবাদ দিয়ে ইমন বললেন, 'খেলোয়াড়দের মানিয়ে নিতে সুবিধা হয়েছে। ইতিমধ্যে আমরা দারুণভাবে মানিয়েও নিয়েছি, চেষ্টা করব এর প্রতিফলন ম্যাচে দেখাতে। দলের ট্রেনিং ভালো হয়েছে, যেখানে খেলোয়াড়দের সমস্যা ছিল সেখানে কাজ করেছি এবং খেলোয়াড়েরাও দ্রুত সংশোধন করতে পেরেছে।'
মৌসুমের শুরুতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে জয় যেকোনো দলের জন্যই দারুণ ব্যাপার। আর্সেনাল ঠিক সেই কাজটাই করলেও পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারছেন না কোচ মিকেল আর্তেতা। তার দাবি, ইউনাইটেডের সাথে জয় সহজলভ্য হয়ে যাওয়ার কারণে এখন তারা স্রেফ তিন পয়েন্টেই সন্তুষ্ট হন না।
প্রিমিয়ার লিগের গত রোববার রাতের ম্যাচে ১-০ গোলের জয় পায় আর্সেনাল, যেখানে গোলটি আসে রিকার্ডো কালাফিওরির কাছ থেকে ১৩তম মিনিটে। এই জয়ের মধ্য দিয়ে বড় দলের বিপক্ষে নিজেদের রেকর্ড আরও সুসংহত করেছে দলটি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল, ইউনাইটেডের মাঠে জেতার অভ্যাসটা নিয়মিত করে ফেলেছে আর্তেতার দল।
আরও পড়ুন
ঈশিতারাও সাফ চ্যাম্পিয়ন হতে চান |
![]() |
এই কারণেই আর্তেতা ম্যাচের পর বলেছেন, আরও প্রাধান্য দেখিয়ে জয় না পাওয়ার আক্ষেপ আছে তাদের।
“আগে আমাদের একটা সমস্যা ছিল, সেটা মানতেই হবে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগে এখানে (ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে) প্রায় ১৮ বা ২২ বছর আমাদের কোনো জয় ছিল না। আর এখন এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যে, আমরা এখানে জয় পেলেও খেলোয়াড়রা সম্পূর্ণ খুশি হতে পারে না। এটা দারুণ কিছুর আভাস দেয়।”
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরের আগে বিগ সিক্স (লিভারপুল, ম্যানচেস্টার সিটি, চেলসি, টটেনহ্যাম, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড) ক্লাবের বিপক্ষে আর্সেনাল তাদের শেষ ৪০টি অ্যাওয়ে ম্যাচের মাত্র দুটিতে জয় পেয়েছিল। কিন্তু এখন চিত্রটা একেবারে ভিন্ন। গত দুই মৌসুমে আর্সেনাল এই দলগুলোর বিপক্ষে ২০টি লিগ ম্যাচে অপরাজিত ছিল। রোববারের জয় দিয়ে সেটিকে ২১ ম্যাচে নিয়ে গেছে।
আর্তেতা অবশ্য মনে করেন, এখনও উন্নতির সুযোগ আছে বেশ।
“মৌসুমের প্রথম ম্যাচেই আমাদের জন্য এটা একটা বড় একটি ফলাফল। ইউনাইটেড তাদের নতুন দল গঠনের প্রাথমিক পর্যায়ে ছিল, তারা ভালো সূচনা পেয়েছিল। তাই এখানে এসে জয় তুলে নেওয়া আমাদের জন্য বিশাল এক প্রাপ্তি।”
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট, হাঙ্গেরির বিপক্ষে এক প্রীতি ম্যাচে বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামেন ঝাঁকড়া চুলের এক কিশোর। সে দিনের রোজারিওর ছোট্ট ছেলে লিওনেল মেসির সঙ্গে ২০ বছর পর এখন পার্থক্যটা আকাশ-পাতাল। রূপকথার মতো শুরুর বদলে ঘটেছিল অপ্রত্যাশিত ঘটনা। অভিষেক ম্যাচে নামার মাত্র ৪৭ সেকেন্ডের মাথায় প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে কনুই মেরে দেখেছিলেন লাল কার্ড!
এর পরের দুই দশক মেসিকে নিয়ে গেছে হতাশা থেকে মহিমায়, বিতর্ক থেকে অধিনায়কত্বে, অবসর ঘোষণার পথ থেকে ফুটবলের সর্বোচ্চ সাফল্যে। বলা হয়, ‘গ্রেটেস্ট অব অল টাইম’।
আর্জেন্টিনার হয়ে মেসির ক্যারিয়ারের দুই দশক। ছিল কত উত্থান-পতন। আন্তর্জাতিক ফুবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা ফিরে দেখল মেসির অসাধারণ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের মাইলফলক ও গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো।
ভবিষ্যতের আভাস
সিনিয়র দলে নামার এক মাস আগেই, মেসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন নেদারল্যান্ডসে ফিফা অনূর্ধ্ব–২০ বিশ্বকাপে। ৬টি গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন, ফাইনালে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে দুটি গোলও করেছিলেন। টুর্নামেন্টের গোল্ডেন বুট ও গোল্ডেন বল দুটি পুরস্কারই উঠেছিল তাঁর হাতে।
অভিষেকের হতাশা
২০০৫ সালের আগস্টে হাঙ্গেরির বিপক্ষ প্রীতি ম্যাচের দলে ডাক পান মেসি। ১৯৭৭ সালে দিয়েগো ম্যারাডোনার অভিষেকও হয়েছিল হাঙ্গেরির বিপক্ষে। বেশ ঢিলেঢালা জার্সি-শর্ট পরে ১৮ বছর বয়সী মেসি মাঠে নামেন, ৬৩তম মিনিটে লিসান্দ্রো লোপেজের বদলি হিসেবে। অপ্রত্যাশিত অভিষেক। বল পেয়ে হাঙ্গেরির ভিলমস ভানচজাককে কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ান। প্রতিপক্ষের ফুটবলার জার্সি টেনে ধরায় মেসি হাত চালিয়ে দেন, আর সোজা লাল কার্ড! মাত্র ৪৭ সেকেন্ডে খেলেই মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে।
ভানচজাক পরে (২০২২ সালে) বলেছিলেন, ‘আমরা জানতাম আর্জেন্টিনা অনেক শক্তিশালী দল, তবে আমরা এই খেলোয়াড়কে দেখতে চেয়েছিলাম কারণ সবাই বলছিলেন সে একদিন বড় তারকা হবে। হয়তো আমিই তার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলাম!’
প্রথম গোল
প্রথম গোল পেতে ছয় অপেক্ষ করতে হয় মেসিকে। ২০০৬ সালের মার্চে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ, আর নিজের ষষ্ঠ ম্যাচেই প্রথম গোল পান মেসি। কার্লোস তেভেজের সমতাসূচক গোলে সহায়তা করার পর স্টজেপান তোমাসের ভুল পাস কেটে নিয়ে বাঁ পায়ে দুর্দান্ত শটে করেন নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক গোল। সেই ম্যাচেই অভিষেক হয়েছিল ২০ বছর বয়সী লুকা মদ্রিচেরও।
বিশ্বমঞ্চে প্রথমবার
২০০৬ জার্মানি বিশ্বকাপে মেসিকে দলে নেন হোসে পেকেরমান। তারকা ঠাসা আক্রমণভাগে ছিলেন তেভেজ, সাভিওলা, ক্রেসপো। প্রথম ম্যাচে (আইভরি কোস্টের বিপক্ষে) মেসির সুযোগ হয়নি খেলার। কিন্তু সার্বিয়া ও মন্টেনেগ্রোর বিপক্ষে নামেন ৭৪তম মিনিটে, দল তখন ৩-০ গোলে এগিয়ে। নেমে প্রথমেই অ্যাসিস্ট দেন ক্রেসপোকে। তারপর নিজেও করেন বিশ্বকাপে প্রথম গোল।
প্রথম ফাইনালের ব্যথা
২০০৭ সালের কোপা আমেরিকায় দুর্দান্ত খেলেন মেসি, আর্জেন্টিনা ফাইনালে ওঠে। কিন্তু ফাইনালে ব্রাজিলের কাছে ৩-০ গোলে হেরে যান।
সোনালী মুহূর্ত–অলিম্পিক ২০০৮
পরের বছর বেইজিং অলিম্পিকে সোনা জেতেন। ফাইনালে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার একমাত্র গোলে নাইজেরিয়াকে হারায় আর্জেন্টিনা। সেই গোলের পেছনে ছিল মেসির সাহায়তা।
১০ নম্বর জার্সি
২০০৯ সালে হুয়ান রোমান রিকেলমে অবসর নিলে মেসিকে দেওয়া হয় আর্জেন্টিনার ১০ নম্বর জার্সি। আর সেই দায়িত্ব দেন নিজে দিয়েগো ম্যারাডোনা। সে জার্সি পরে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ৪-০ জয়ের ম্যাচেই গোল ও অ্যাসিস্ট দেন মেসি।
অধিনায়কত্ব
২০১০ বিশ্বকাপে (দক্ষিণ আফ্রিকা), গ্রিসের বিপক্ষে ম্যাচে প্রথমবার আর্জেন্টিনার অধিনায়কত্ব পান। এক বছর পর কোপা আমেরিকায় হতাশাজনক বিদায়ের পর নতুন কোচ আলেহান্দ্রো সাবেলা তাঁকে স্থায়ী অধিনায়ক করেন—মাত্র ২৪ বছর বয়সে।
ব্রাজিল ২০১৪ বিশ্বকাপে হৃদয়ভাঙা
অধিনায়ক হিসেবে প্রথম বিশ্বকাপ ছিল ব্রাজিলে। দুর্দান্ত সব গোল ও পারফরম্যান্সে দলকে তুলেছিলেন ফাইনালে। তবে অতিরিক্ত সময়ে মারিও গোটজের গোলে হেরে যায় আর্জেন্টিনা। মেসি পান টুর্নামেন্টের গোল্ডেন বল।
চিলির কাছে টানা দুইবার হার
২০১৫ ও ২০১৬ কোপা আমেরিকার ফাইনালে টাইব্রেকারে চিলির কাছে হারে আর্জেন্টিনা। ২০১৬ সালে অবসর ঘোষণা দেন, তবে মাসখানেক পর ফিরে আসেন আবারও।
রাশিয়া ২০১৮
আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপে তুলেছিলেন একাই! ইকুয়েডরের বিপক্ষে বাছাইপর্বে হ্যাটট্রিক করেছিলেন। বিশ্বকাপে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে গোল ও ফ্রান্সের বিপক্ষে শেষ ষোলোতে দুটো অ্যাসিস্ট করলেও ৪-৩ ব্যবধানে বিদায় নিতে হয়।
আবার হতাশা, আবার লড়াই
রাশিয়ার পর প্রায় নয় মাস দলে ছিলেন না। ২০১৯ কোপা আমেরিকায় ফেরেন, তবে তৃতীয় স্থান নির্ধারণীতে চিলির বিপক্ষে দেখেন দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক লাল কার্ড।
অবশেষে ট্রফি– ২০২১ কোপা আমেরিকা
করোনায় মহামারিতে পিছিয়ে যাওয়া টুর্নামেন্ট বসে ব্রাজিলে। এবার আর ব্যর্থ হননি। চার গোল ও পাঁচ অ্যাসিস্ট দিয়ে দলকে ফাইনালে তুলেন। ফাইনালে ডি মারিয়ার গোলে ব্রাজিলকে হারিয়ে অবশেষে বড় ট্রফি জেতেন। টুর্নামেন্টসেরা হন মেসি।
ওয়েম্বলির জাদু–ফাইনালিসিমা ২০২২
কোপা আমেরিকা জয়ী আর্জেন্টিনা ও ইউরো জয়ী ইতালির লড়াইয়ে ৩-০ জিতে মেসিরা। দুটি অ্যাসিস্ট করেন এই মহাতারকা।
লুসাইলের মহাকাব্য–বিশ্বকাপ ২০২২
‘শেষ বিশ্বকাপ’ বলে মাঠে নেমেছিলেন। গ্রুপ পর্বে সৌদি আরবের কাছে হেরে শুরু হলেও, তারপর একাই দলকে টেনে নেন। ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে করেন দুটি গোল, টাইব্রেকারে করেন প্রথম শট। তারপর হাতে তোলেন সেই অধরা ট্রফি।
শততম গোল– ২০২৩
কুরাসাওয়ের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে ১০০ আন্তর্জাতিক গোল পূর্ণ করেন। এর আগে পানামার বিপক্ষে করেছিলেন ৯৯তম গোল।
কোপা আমেরিকা ২০২৪
ইন্টার মায়ামিতে খেলার প্রায় এক বছর পর নিজের শহরেই আর্জেন্টিনাকে কোপা আমেরিকার ১৬তম শিরোপা এনে দেন, যদিও ফাইনালে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
মেসির আর্জেন্টিনা রেকর্ড
সর্বোচ্চ ম্যাচ: ১৯৩
সর্বোচ্চ গোল: ১১২
বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোল: ১৩
এক বছরে সর্বোচ্চ গোল: ১৮ (২০২২ সালে ১৪ ম্যাচে)
সর্বোচ্চ হ্যাটট্রিক: ১০
সবচেয়ে কম বয়সে বিশ্বকাপ অধিনায়ক: ২২ বছর ৩৬৩ দিন
মেসির বিশ্বকাপ রেকর্ড
সর্বোচ্চ ম্যাচ: ২৬
অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ ম্যাচ: ১৯
সর্বোচ্চ মিনিট খেলা: ২,৩১৪
নকআউট পর্বে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট: ৬ (পেলের সঙ্গে যৌথ)
পাঁচটি বিশ্বকাপে অ্যাসিস্ট
সর্বোচ্চ ম্যাচসেরা: ১১
এক বিশ্বকাপের প্রতিটি নকআউট ধাপে গোল (কাতার ২০২২)
প্রথম ও সবশেষ গোলের ব্যবধান: ১৬ বছর ১৮৪ দিন
দুবার গোল্ডেন বল জয়ী একমাত্র খেলোয়াড়
কনমেবল বাছাইপর্বে সর্বোচ্চ গোল: ৩৪
তিন ভিন্ন দশকে বিশ্বকাপে গোল
মেসির কোপা আমেরিকা রেকর্ড
সর্বোচ্চ ম্যাচ: ৩৯
সর্বোচ্চ জয়: ২৫
সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট: ১৮
সাত টুর্নামেন্টে গোল করা প্রথম আর্জেন্টাইন
পাঁচটি ফাইনালে খেলা একমাত্র খেলোয়াড়
১৮ আগস্ট ২০২৫, ১২:৪৯ পিএম
ঘরের মাঠে আর্সেনালের কাছে হেরে হতাশায় নতুন মৌসুম শুরু করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবু পরাজয়ের মাঝেও আশার আলো দেখছেন দলের কোচ রুবেন আমোরি। তার মতে, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে যে কোনো দলকে হারানোর মতো খেলোয়াড় আছে দলে।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে রোববার রাতের ম্যাচে ইউনাইটেডের পরাজয়ের ব্যবধান অবশ্য বেশি বড় ছিল না। ১৩ মিনিটে রিকার্ডো কালাফিওরির করা একমাত্র গোলে জয় পায় আর্সেনাল। যার সুবাদে প্রিমিয়ার লিগে ইউনাইটেডের বিপক্ষে টানা ৬ ম্যাচে অপরাজিত থাকে তারা।
ম্যাচ না জিতলেও পুরো ম্যাচে দাপট দেখায় ইউনাইটেড। ম্যাচে ৬২ শতাংশ বল দখলে রাখে তারা। গোলের জন্য ২২টি শট করে ৭টিই লক্ষ্য বরাবর রাখে তারা। কিন্তু জালে প্রবেশ করেনি একটিও।
আরও পড়ুন
মাইলফলকের ম্যাচে বড় পরাজয়, কাঁদলেন নেইমার |
![]() |
অন্য দিকে গোলের জন্য ৯টি শট করে ৩টি লক্ষ্যে রাখে আর্সেনাল। এতেই একটি লক্ষ্যভেদ করে জয় তুলে নেয় সফরকারীরা। ম্যাচে তাদের ৪ ফুটবলার দেখেন হলুদ কার্ড। বিপরীতে ইউনাইটেডের হলুদ কার্ড দেখেন ১ জন।
এমন পারফরম্যান্সের পর ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আশার কথাই শোনান ইউনাইটেড কোচ।
“প্রিমিয়ার লিগে যে কোনো ম্যাচ জেতার মতো ফুটবলার আছে আমাদের। ম্যাচে আমরা গত মৌসুমের চেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক ছিলাম। পুরো ম্যাচে আমরা ওয়ান-অন-ওয়ান খেলেছি, হাই-প্রেস করেছি। বল ধরে রাখার দিকেও আমাদের কার্যকারিতা ছিল।”
আগামী রোববার রাতে ফুলহ্যামের মাঠে নিজেদের পরের ম্যাচ খেলবে ইউনাইটেড।