১১ নভেম্বর ২০২৪, ৩:১৪ পিএম
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও আগেই এটা নিশ্চিতই ছিল যে, চোটের কারণে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে মিস করছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এবার জানা গেল, চলতি মাসে ক্যারিবিয়ান সফরে টেস্ট সিরিজেও খেলতে পারবেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সোমবার এক বিবৃতিতে শান্তর চোটের সবশেষ পরিস্থিতি জানিয়েছে।
“গতকাল শারজায় শান্তর এমআরআই করা হয়েছে। আমরা টিম ফিজিওর রিপোর্ট এবং স্ক্যান রিপোর্ট হাতে পেয়েছি, যা তার বাম কুঁচকিতে গ্রেড স্ট্রেন নিশ্চিত করেছে। এজন্য তার বিশ্রাম এবং পুনর্বাসনের পর্যাপ্ত সময় প্রয়োজন হবে। তিনি আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে থেকে বাদ পড়েছেন এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট সিরিজও মিস থাকবেন। আমরা দুই সপ্তাহ পর তার অবস্থা পুনর্বিবেচনা করব। তিনি তার পুনর্বাসন চালিয়ে যেতে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে দেশে ফিরে আসবেন।”
বিসিবির সিনিয়র চিকিৎসক ডাঃ দেবাশিস চৌধুরী সেখানে তুলে ধরেন বাঁহাতি ব্যাটারে চোটের সার্বিক চিত্র।
আরও পড়ুন
নেই অধিনায়ক শান্ত, কেমন হবে বাংলাদেশে একাদশ? |
শান্ত না থাকায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে অধিনায়কত্ব করবেন ওয়ানডে ও টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। লাল বলের ক্রিকেটেও তিনি শান্তর ডেপুটি থাকায় ধারণা করা হচ্ছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেও তিনিই দলকে নেতৃত্ব দেবেন।
২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৩:৪৮ এম
প্রথম ইনিংসে ৮ বলে শূন্য রান করা ইশাসভি জয়সওয়াল ২য় ইনিংসেই গড়লেন রেকর্ড। টেস্ট ক্রিকেটে এক পঞ্জিকাবর্ষে এখন সর্বোচ্চ ছক্কা মারা ব্যাটার ভারতের এই ওপেনার। ভারত-অস্ট্রেলিয়া ৫ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে এই রেকর্ড গড়লেন ইয়াশাসভি।
পার্থ টেস্টের শুরুটা ভালো না হলেও ২য় ইনিংসে তা পুষিয়ে দিয়েছেন জয়সওয়াল। ১৫০ রানে সবকটা উইকেট হারানো ভারত ২য় দিন শেষে ২য় ইনিংসে তুলেছে বিনা উইকেটে ১৭২ রান। ১৯৩ বলে ৯০ রান করেছেন ইয়াশাসভি। অন্য ওপেনার কে এল রাহুল দাঁড়িয়ে ১৫৩ বলে অপরাজিত ৬২ রানে।
জয়সওয়ালের ইনিংসে ৭টি চার ও ২টি ছক্কা রয়েছে। ৪৭তম ওভারের প্রথম বলে প্রথম ছক্কাটি মেরে তিনি ছুঁয়ে ফেলেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে। ইংল্যান্ডের টেস্ট দলের বর্তমান কোচ ম্যাককালাম ২০১৪ সালে ৩৩টি ছক্কা মেরে গড়েছিলেন রেকর্ড।
রেকর্ড ভাঙতে খুব বেশি অপেক্ষা করেননি জয়সওয়াল। ৫২তম ওভারের চতুর্থ বলে অস্ট্রেলিয়ান অফ স্পিনার নাথান লায়নকে ১০০ মিটার দূরত্ব পার করা এক ছক্কায় ছাড়িয়ে যান ম্যাককালামকে।
আগের রেকর্ডধারী ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ৩৩টি ছক্কা মেরেছিলেন মাত্র ৯ টেস্ট খেলে। জয়সোয়াল ৩৪ টি ছক্কায় সে রেকপর্ড ভাঙলেন ১২ টেস্টে।
চলুন দেখে নেওয়া যাক এক পঞ্জিকাবর্ষে সবোঁচ্চ ছক্কার তালিকার সেরা ৫ জনকে।
খেলোয়াড় | ছক্কা |
ইয়াশাসভি জয়সওয়াল | ৩৪ (২০২৪) |
ব্রেন্ডন ম্যাককালাম | ৩৩ (২০১৪) |
বেন স্টোকস | ২৬ (২০২২) |
অ্যাডাম গিলক্রিস্ট | ২২ (২০০৫) |
অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ | ২১ (২০০৪) |
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে এসে পৌছেছে আয়ারল্যান্ড নারী ক্রিকেট দল। সাদা বলের ক্রিকেটের এই চ্যালেঞ্জের আগে নিজেদের প্রস্তুতিও শুরু করেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে দুই দলের আনুষ্ঠানিক অনুশীলন।
সকাল থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে বাংলাদেশের মেয়েরা। মূলত নিজেদের ফিটনেস নিয়েই এদিন বেশি মনোযোগ দিয়েছে নিগার সুলতান জ্যোতিরা। জিমে ট্রেনিং সেশন করে, নেটে করেছে ব্যাট-বলের অনুশীলন।
অন্যদিকে আয়ারল্যান্ডের মেয়েদের অনুশীলন করার কথা ছিল দুপুরে। বাংলাদেশের মাটিতে ৩ টি ওয়ানডে ও ৩ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে আইরিশরা। ওয়ানডে সিরিজের সবগুলো ম্যাচই হবে হোম অব ক্রিকেটে। ২৭ নভেম্বর মাঠে গড়াবে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ। সিরিজের জন্য ইতোমধ্যেই দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচগুলো হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ওয়ানডে সিরিজ শেষ করেই তাই সিলেটে চলে যাবে দুই দল। সেখানেই খেলবে ৩ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। ৫ ডিসেম্বর হবে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
এশিয়া কাপের শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে রোববার সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দ্যেশ্য রওনা দেবে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তার আগে শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হয়েছে যুবাদের আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন। উৎসাহ দিতে ক্রিকেটার-কোচদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদও।
ফটোসেশনের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ নাভিদ নাওয়াজ ও অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। এ সময় তামিম জানান তাদের পরিকল্পনার কথা।
‘আমরা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। আমাদের এই দলে আগের এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়া পাঁচজন ক্রিকেটার আছেন। আমরা দারুণ আশাবাদী এবারও শিরোপা জিততে পারব।‘
গেলবার বাংলাদেশ যুবাদের কোচ ছিলেন স্টুয়ার্ট ল। এবার যুব বিশ্বকাপ জেতানো কোচ নাভিদ নাওয়াজকে পাওয়া দলের জন্য বাড়তি প্রেরণা বলেই মনে করেন এই অধিনায়ক।
‘বিশ্বকাপজয়ী কোচ আছেন আমাদের সঙ্গে। এটা খুবই অনুপ্রেরণাদায়ক। আমরা চাই এশিয়া কাপের পাশাপাশি যেন বিশ্বকাপও জিততে পারি। গত তিন-চার মাস ধরে আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। ঘরের মাঠে আরব আমিরাতের বিপক্ষে দাপুটে সিরিজ জয় দলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। আমাদের দলের বন্ধন অসাধারণ।’
অধিনায়কের মত কোচের কন্ঠেও ঝড়ে আত্মবিশ্বাসের বাণী।
‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর সিলেট ও রাজশাহীতে ক্যাম্প করেছি। দলের জন্য একটি নির্দিষ্ট কৌশল তৈরির চেষ্টা করেছি। ভালো পরিকল্পনা নিয়ে এগোলে বিশ্ব ক্রিকেটে ফলাফল আসবেই। তবে দলটি এখনো নতুন। এশিয়া কাপের পর আরও কিছু সিরিজে আমরা নিজেদের শক্তি-সামর্থ্যের পূর্ণ প্রতিচ্ছবি দেখতে পাব। বিশ্বকাপ জেতার ভাবনা এখন মাথায় নেই, বরং আমি দলের ভিত শক্ত করতেই বেশি মনোযোগী। সেখান থেকেই ক্রিকেটাররা ধারাবাহিকভাবে ভালো করবে।’
আগামী ২৯ নভেম্বর শুরু হবে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের এগারোতম আসর। আরব আমিরাতের আয়োজনে এই আসর শেষ হবে ৮ ডিসেম্বর। দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে এবারের আসরে খেলবে মোট ৮ দল। গ্রপ পর্বে রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে প্রত্যেক দল প্রত্যেকের বিপক্ষে খেলবে। প্রতি গ্রুপের সেরা দুই দল যাবে সেমিফাইনালে। প্রথম সেমি হবে দুবাইয়ে। দ্বিতীয় সেমি শারজায়।
টুর্নামেন্টে বি গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও নেপাল। মূল পর্বের খেলা শুরুর আগে ভারতের বিপক্ষে একটি গা গরমের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ২৬ নভেম্বর ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
এর আগে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের জন্য ১৪ সদস্যের দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ১৪ জনের সঙ্গে এবারের সফরে বাংলাদেশ দলের স্ট্যান্ডবাই হিসেবে যাবেন ৪ জন। ২০২৩ সালে আরব আমিরাতকে ১৯৫ রানে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের একমাত্র শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ।
অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপে বাংলাদেশ স্কোয়াড:
আজিজুল হাকিম তামিম (অধিনায়ক), জাওয়াদ আবরার (সহ অধিনায়ক), রিফাত বেগ, সামিউন বাসির রাতুল, দেবাশীষ সরকার দেবা, রিজান হোসেন, আল ফাহাদ, ইকবাল হাসান ইমন, রাফিউজ্জামান রাফি, ফরিদ হাসান ফয়সাল, মারুফ মৃধা, শিহাব জেমস, আশরাফুজ্জামান, সাদ ইসলাম রাজিন।
তিলক ভার্মা, ভারতের নতুন এই ক্রিকেট সেনসেশন একের পর এক চমক দিয়েই চলেছেন। এবার গড়লেন নতুন বিশ্ব-রেকর্ড, প্রতিযোগিতামূলক আসরে টানা তিন ম্যাচে হ্যাটট্রিক সেঞ্চুরি করলেন নাম্বুরি ঠাকুর তিলক ভার্মা। নামের মতই চওড়া তাঁর ব্যাট, সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে টানা দুই টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরির পর এবার সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে পেলেন তিন অংকের দেখা!
সেঞ্চুরিয়নে খেলেছিলেন ৫১ বল, জোহানেসবার্গে ৪১, আর এবার রাজকোটে খেললেন ৫১ বল। টানা তিন টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তিন অংক স্পর্শ করতে এই হচ্ছে তাঁর খেলা বলের সংখ্যা। তবে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে ঐ দুই ইনিংস ছিল অপরাজিত ১০৭ ও অপরাজিত ১২০। এবার সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে খেলেছেন ৬৬ বলে ১৫১ রানের ইনিংস। এখন স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে টানা ৩ ম্যাচে সেঞ্চুরি করা একমাত্র ক্রিকেটার ভারতের এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
সর্বশেষ ৩ ম্যাচে শুধু ছক্কাই মেরেছেন ২৭টি। রাজকোটে হায়দরাবাদের হয়ে মেঘালয়ের বিপক্ষে তিলক ছক্কা মেরেছেন ১০টি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শেষ ম্যাচেও মেরেছেন ১০টি ছক্কা, আগের ম্যাচে ৭টি। এই ৩ ম্যাচে ১৬৯ বলে করেছেন ৩৭৮ রান, স্ট্রাইকরেট ২২৩!
দেশের হয়ে ২০ টি-টোয়েন্টি খেলেই এখন দুই সেঞ্চুরির মালিক তিলক, অথচ আইপিএলে তিলকের পরিচয় খুব বড় কিছু না! ৩৮ ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৮৪! যদিও ১৪৬ স্ট্রাইক রেট, আর ৪০ গড় বলে দেয় তাঁর সক্ষমতার কথা। ২০২৩ সালের আগস্টে আন্তর্জাতিক অভিষেক হলেও তিলক প্রথম এক বছর দলে থিতুই হতে পারেননি। অক্টোবরে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে শিবম দুবের জায়গায় সুযোগ পেলেও একাদশে খেলার সুযোগ পাননি। এমন পরিস্থিতে সাউথ আফ্রিকা সিরিজ তাঁর ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। তিনে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করে ফেলেছেন।
তবে একদিক দিয়ে দুর্ভাগা তিলক ভার্মা। মুম্বাই ইন্ডিয়ানস আইপিএলে তিলককে ৮ কোটি রুপিতে ধরে রেখেছে। তা না হলে আসন্ন আইপিএল নিলামে দামটা আরও বাড়িয়েই নিতে পারতেন!
আগে বোলিং নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চাপে ফেলতে চেয়েছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। প্রথম সেশনে সেটা হয়েও ছিল। তবে মিকাইল লুইস ও অ্যালিক অ্যাথানাজের এক জুটি ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকেই দিচ্ছিল বাংলাদেশকে। শেষ বেলায় দুজনকেই ফিরিয়ে ম্যাচে শেষ পর্যন্ত সমতা আনলেন বোলাররা। তাতে কিছুটা হলেও তৃপ্তি নিয়েই দিনটা শেষ করতে পারল বাংলাদেশ।
অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্টের প্রথম দিন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ৫ উইকেটে ২৫০।
টস রিপোর্টে সাবকে ক্যারবিয়ান পেসার কার্টলি অ্যামব্রোস বলেছিলেন, উইকেটে ময়েশ্চার থাকবে, সাথে সিম মুভমেন্টও। আর সেই কারণে টসে জিতে আগে বোলিং নেওয়াটা হবে ভালো সিদ্ধান্ত। এই সিরিজের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজও টস জিতে জানান একই ভাবনার কথা। জানান প্রথম ঘণ্টায় বোলারদের সুযোগ কাজে লাগানোর পরিকল্পনার কথা।
প্রথম কয়েক ওভারে আঁটসাঁট বোলিংয়ে দুই পেসারা হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম সেই কাজটা ভালোই করেন। তবে কাজের কাজ, মানে উইকেটের দেখা মিলছিল না। পঞ্চম ওভারে হাসানের অফস্ট্যাম্পের বাইরের ডেলিভারি লুইসের বিরুদ্ধে ছিল কট বিহাইন্ডের জোড়াল আবেদন। তবে আম্পায়ার তাতে সাড়া দেননি।
কয়েক ওভার বাদে হাসানের বলে লেগ বিফোরের আবেদন, ব্যাটার সেই লুইসই। তবে এবারও আম্পায়ারের সাড়া মেলেনি। আক্রমণে এসে প্রথম ওভারে চার হজম করেন তাসকিন। প্রথম ঘণ্টা দেখেশুনে খেলে ভালোভাবেই সামাল দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার।
শেষ পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত ব্রেকথ্রুটা আসে তাসকিনের হাত ধরে। রানের জন্য সংগ্রাম করা ক্রেইগ ব্রাথওয়েটকে দারুণ একটি ভেতরে প্রবেশ করানো ডেলিভারিতে এলবিডব্লিয়ের ফাঁদে ফেলেন ডানহাতি এই পেসার। অভিজ্ঞ এই ওপেনার তার আগে করেন মাত্র ৪ রান, বল খেলেন ৩৮টি।
পরের ওভারে ফের তাসকিনের আঘাত। মিডল লেগ স্ট্যাম্প লাইনে লেন্থ ডেলিভারিতে ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন কেসি কার্টি, তবে ব্যাটে-বলে হয়নি। মিড-অনে সহজ ক্যাচ নেন তাইজুল ইসলাম। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপর কিছুটা চাপ তৈরি হলেও লুইস প্রায় প্রতি ওভারেই বাইন্ডারি হাঁকিয়ে সেটা কমিয়ে আনেন। লাঞ্চ বিরতিতে তাতে স্কোর দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৫০।
দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই রান-আউট হতে পারতেন লুইস, তবে ফিল্ডার সরাসরি থ্রো লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। সেই সময়ে তার রান ছিল ৪১। বাংলাদেশের বোলারদের বিপক্ষে সলিড ডিফেন্স দেখানো লুইস এরপর তুলে নেন ফিফটি। রান আসতে থাকে কাভেম হজের ব্যাট থেকেও।
এর আগে এক দফায় লুইস রান-আউট থেকে রক্ষা হলেও ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়নি হজের। মিরাজের বলে রান-আউটের শিকার হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান। বাংলাদেশের হাসি মিলিয়ে যেতে থাকে এরপরই। অ্যাথানাজেকে নিয়ে লুইস গড়ে তোলেন বিশাল এক জুটি।
দুই ব্যাটারই রয়েসয়ে ব্যাট করে এগিয়ে নেন রানের চাকা। পেস বা স্পিন, বাংলাদেশের সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়ে যায় এই জুটির সামনে। চা বিরতির আগে তাই আর মেলেনি উইকেটের দেখা। জমে ওঠা এই জুটি তৃতীয় সেশনেও বাংলাদেশকে বেশ ভোগান। হাসানের এক ওভারে দুই চার মারেন অ্যাথানাজে।
ক্রমেই বোলারদের ওপর চেপে বসেন দুই ব্যাটার। সেই ধারায় ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে মিরাজকে ছক্কায় ওড়ান লুইস। তবে ৯০ রানে তাকে প্রায় ফিরিয়েই দিচ্ছিলেন তাইজুল। কাট করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন, সহজ ক্যাচ নিতে ব্যর্থ হন অধিনায়ক মিরাজ। খানিক বাদে জুটিতে হয়ে যায় একশ।
ইতিবাচক ব্যাটিংয়ের ধারায় তাসকিনকে টানা দুই চার মেরে অ্যাথানাজে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন আরও। এরপর তাইজুলকে মেরে দেন ছক্কা। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে বেশ খানিকটা সময় ধরেই আটকে যাওয়া লুইস ম্যাচের ধারার বিপরীতে। বাজে শট খেলতে গিয়ে স্লিপে মিরাজের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ৯৭ রানে।
দিনের শেষ বেলায় এসে বাংলাদেশকে ম্যাচে আরেকটু ফেরান তাইজুল। সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাওয়া ডেঞ্জারম্যান অ্যাথানাজে। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৯০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে।
নতুন বল নেওয়ার পর কয়েকটি আগ্রাসী শট খেলেন জোশুয়া দা সিলভা। আলো স্বল্পতার কারণে দিনের খেলা আগেভাগে শেষ হওয়ার আগে তিনি অপরাজিত থাকেন ১৪ রানে। আরেক অপরাজিত ব্যাটার জাস্টিন গ্রিভসের রান ১১।
১ দিন আগে
৪ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
১০ দিন আগে
১০ দিন আগে
১১ দিন আগে
১১ দিন আগে
১১ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৫ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৬ দিন আগে
২৭ দিন আগে