লম্বা সময় পর আর্জেন্টিনার জার্সিতে মাঠে নামলেন, তাও দ্বিতীয়ার্ধে হুলিয়ান আলভারেজের বদলি হিসেবে। তবে জালের দেখা পেতে বেশি দেরি হয়নি। ৭২ মিনিটে নেমে তিন মিনিট পরই লক্ষ্যভেদ করেন লাউতারো। মেসির ফ্রি কিক থেকে লেফট ইউং থেকে ক্রস করেন নিকো গঞ্জালেস। ডাইভিং হেডারে দুর্দান্ত গোল ইন্টার মিলান ফরোয়ার্ডের।
নজরকাড়া গোলটির সৌজন্যে আর্জেন্টিনার সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় পাঁচ নম্বরে উঠে এসেছেন লাউতারো। আর ছাড়িয়ে গেছেন কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনাকে। জাতীয় দলের হয়ে লাউতারোর গোলসংখ্যা এখন ৩৩। ম্যারাডোনার গোল ছিল ৩২টি। লাউতারো অবশ্য ১৩ ম্যাচ কম খেলেছেন ম্যারাডোনার চেয়ে।
আরও পড়ুন
মায়ের দেশকে বিশ্বকাপে তুলতে অবসর ভাঙলেন টেলর |
![]() |
আর্জেন্টিনার সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতাদের তালিকায় লাউতারো এখন পঞ্চম। তাঁর ওপরে আছেন শুধু লিওনেল মেসি (১১৪), গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা (৫৫), সার্জিও আগুয়েরো (৪১) ও হার্নান ক্রেসপো (৩৫)। নয় মাসের বেশি সময় পর সাদা-আকাশি জার্সি গায়ে মাঠে নামেন লউতারো। চিলি ও কলম্বিয়ার বিপক্ষে ছিলেন বেঞ্চে। তার আগে উরুগুয়ে-ব্রাজিল ম্যাচে পেশির চোটে দলে ছিলেন না।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে আজ ৩-০ গোলের দারুণ জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা। লাউতারো ছাড়াও ম্যাচে জোড়া গোল করেন মেসি। জাতীয় দলের হয়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোল স্কোরারদের তালিকায় মেসি আছেন ২ নম্বরে। ১৯৪ ম্যাচে ১১৪ গোল তাঁর। ২২১ ম্যাচে পর্তুগাল কিংবদন্তি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর গোল ১৩৮টি।
No posts available.
৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭:২৬ পিএম
আন্তর্জাতিক ফুটবলের ইতিহাসে আবারও জায়গা করে নিলেন লিওনেল মেসি। ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে জোড়া গোল করে আর্জেন্টিনাকে ৩-০ গোলের জয়ে নেতৃত্ব দিলেন তিনি। আর সেই সঙ্গে নাম লেখালেন এক বিশেষ রেকর্ডে।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে মেসির গোলসংখ্যা এখন ৩৬। সমানসংখ্যক গোল রয়েছে তাঁর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোরও। দুজন এখন ভাগ করে নিচ্ছেন বাছাইপর্বের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতার আসন।
তবে মেসি-রোনালদোর চেয়েও বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে এগিয়ে আছেন এক ফুটবলার। যিনি গুয়াতেমালার কিংবদন্তি কার্লোস রুইজ, যিনি করেছেন ৩৯ গোল। মেসি–রোনালদো তাঁর থেকে মাত্র তিন গোল পিছিয়ে।
আরও পড়ুন
থুথু মেরে সুয়ারেজের দুঃখ প্রকাশ |
![]() |
পার্থক্য হলো- ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ছিল মেসির শেষ বাছাইপর্বের ম্যাচ। তাই আর রুইজকে ছোঁয়া হলো না আর্জেন্টাইন জাদুকরের। অন্যদিকে রোনালদোর সামনে এখনও আছে অন্তত ছয়টি ম্যাচ। ফলে সুযোগ রয়েছে রুইজকে পেছনে ফেলে শীর্ষ ওঠার। ২০১৬ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন রুইজ। ১৩৩ ম্যাচে করেছেনে ৬৮ গোল।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সর্বোচ্চ গোলদাতা- গুয়াতেমালার কার্লোস রুইজ (৩৯), মেসি (৩৬), রোনালদো (৩৬), ইরানের আলী দাই (৩৫), পোল্যান্ডের রবার্ট লেভানদোভস্কি (৩১)।
নারী ফুটবলে নতুন ইতিহাস গড়লেন ফ্রান্সের তারকা মিডফিল্ডার গ্রেস জেওরো। ইংল্যান্ডের ক্লাব লন্ডন সিটি লায়নেসেস তাঁকে ফরাসি জায়ান্ট প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) থেকে দলে ভিড়িয়েছে রেকর্ড ১.৪ মিলিয়ন পাউন্ডে। এই অঙ্কই এখন নারী ফুটবলের ট্রান্সফারের সর্বোচ্চ মূল্য।
এর আগে নারী ফুটবলে সবচেয়ে বড় ট্রান্সফার ছিল ১.১ মিলিয়ন পাউন্ডে। সেই দামে মেক্সিকোর উইঙ্গার লিজবেথ ওভালকে টিগ্রেস থেকে দলে ভিড়িয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব অরল্যান্ডো প্রাইড। মাত্র কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে তৃতীয়বারের মতো নারী ফুটবলের ট্রান্সফার রেকর্ড ভাঙলো চলতি গ্রীষ্মে।
আরও পড়ুন
ফাইনালে সাবালেঙ্কার মুখোমুখি আনিসিমোভা |
![]() |
২৮ বছর বয়সী জেওরো দীর্ঘদিন ধরেই ফ্রান্স জাতীয় দলের নির্ভরযোগ্য মিডফিল্ডার। দেশটির হয়ে খেলেছেন ১০৩ ম্যাচে, করেছেন ২২ গোল। খেলেছেন দুটি বিশ্বকাপ, দুটি ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ এবং সবশেষ ২০২৪ সালের অলিম্পিক গেমসেও ছিলেন দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।
ক্লাব ক্যারিয়ারেও জেওরোর যাত্রা দারুণ সমৃদ্ধ। মাত্র ১৫ বছর বয়সে পিএসজিতে যোগ দেন তিনি। প্রায় ১১ বছরের ক্যারিয়ারে ক্লাবটির হয়ে খেলেছেন ২৭০টিরও বেশি ম্যাচ, গোল করেছেন ৫৪টি। এ সময় তিনি তিনবার ফরাসি কাপ জিতেছেন, এ ছাড়া দুবার উয়েফা উইমেন্স চ্যাম্পিয়নস লিগে রানার্সআপ হয়েছেন।
নতুন ক্লাব লন্ডন সিটি লায়নেসেসে যোগ দিয়ে জেওরো শুধু নিজের ক্যারিয়ারকেই নতুন উচ্চতায় নিলেন না, বরং নারী ফুটবলের ট্রান্সফার বাজারকেও এক নতুন মাত্রায় নিয়ে গেলেন। ফুটবল বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ট্রান্সফার দেখিয়ে দিল নারী ফুটবলেও এখন বিনিয়োগ ও প্রতিযোগিতা দ্রুত বাড়ছে, যা ভবিষ্যতে আরও বড় অঙ্কের ট্রান্সফারের পথ খুলে দিতে পারে।
বিভিন্ন সময় বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দিয়ে আলোচনায় আসেন লুইস সুয়ারেজ। বিশেষ করে উরুগুয়ান ফরোয়ার্ড একাধিকবার ‘কামড় কাণ্ডের’ জন্য তীব্র সমালোচনার মুখেও পড়েন। ২০১৪ বিশ্বকাপে ইতালির ডিফেন্ডার জর্জো কিয়েলিনিকে কামড়ে দেওয়ার ঘটনা তো অনেকদিন মনে থাকবে ফুটবল ভক্তদের।
এবার অবশ্য কামড় নয়, থুথু নিক্ষেপের কারণে সংবাদের শিরোনাম হলেন সুয়ারেজ। সিয়াটল সাউন্ডার্সের বিপক্ষে লিগস কাপের ফাইনালে ৩-০ গোলে হারের পর ক্লাবটির এক কর্মকর্তার গায়ে থুতু নিক্ষেপ করেন ইন্টার মায়ামি স্ট্রাইকার। গত বুধবারের অপ্রত্যাশিত ওই ঘটনায় এক বিবৃতিতে নিজের দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন
ম্যারাডোনাকে ছাড়িয়ে গেলেন লাউতারো |
![]() |
ফাইনাল হারের পর হতাশ হয়ে এমন অনাকাঙ্খিত কাণ্ড ঘটান সুয়ারেজ। দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন,
‘আমি একটা ভুল করেছি এবং আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাচ্ছি। এটা সেই ভাবমূর্তি নয়, যা আমার পরিবারের সামনে দেখাতে চাই। যারা আমার ভুলের কারণে কষ্ট পেয়েছেন তাদের এটি মোটেও প্রাপ্য নয়। যা ঘটেছে তার জন্য দুঃখিত। সবার কাছে ক্ষমা চাওয়ার ও স্বীকার করার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি।’
মৌসুমের বাকি সময় ক্লাবকে সাফল্য এনে দেওয়ার কথা বলেন সুয়ারেজ,
‘আমরা জানি এখনও মৌসুমের অনেক ম্যাচ বাকি। আমরা একসঙ্গে চেষ্টা করব ক্লাব ও তার ভক্তদের প্রাপ্য সাফল্য অর্জন করতে।’
আরও পড়ুন
‘নেপাল শক্তিশালী, আমরাও জিততে এসেছি’ |
![]() |
এই ঘটনার পর সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে নিন্দা জানায় সুয়ারেজের ক্লাব ইন্টার মায়ামি। এমএলএসের ক্লাবটি লেখে,
‘ইন্টার মিয়ামি লিগস কাপ ফাইনালের সমাপ্তির পর ঘটে যাওয়া সংঘর্ষের ঘটনাগুলোর নিন্দা জানায়। এই ধরনের কাজ আমাদের খেলার মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে না, এবং আমরা মাঠের ভেতরে ও বাইরে উভয় জায়গায় সর্বোচ্চ ক্রীড়া নৈতিকতা বজায় রাখার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা লিগস কাপ এবং এমএলএস কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি যাতে পরিস্থিতি সঠিকভাবে মোকাবিলা করা যায়।’
সিয়াটলের বিপক্ষে সেই ম্যাচ শেষে সুয়ারেজ ছাড়াও মায়ামিতে লিওনেল মেসির আরেক সতীর্থ সার্জিও বুসকেটসও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। শেষ বাঁশি বাজার পর সিয়াটলের এক খেলোয়াড়কে ঘুষি মারতে দেখা যায় বার্সেলোনার সাবেক এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডারকে।
নেপাল সফরে না থেকেও আছেন হামজা চৌধুরী। ঢাকার পর আজ নেপালে সংবাদ সম্মেলনেও ওঠে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ তারকার প্রসঙ্গ। তেমনি ঘুরে-ফিরে সামনে আসছে নেপালের বিপক্ষে সবশেষ দেখায় ৩-১ ব্যবধানে হারের ব্যাপারটি।
দশরথ স্টেডিয়ামে কাল আবারও নেপালের সঙ্গে দেখা হচ্ছে বাংলাদেশের। অতিথিদের সুযোগ আগে হারের প্রতিশোধ নেওয়ারও। তবে বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া জানিয়েছেন, এই নেপাল আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী হয়েছে। তাদের সতর্কতার সঙ্গে মোকাবিলা এবং জয় নিয়ে ফিরতে চান এই অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১৭৬ নম্বরে নেপাল। এ বছরের মার্চে তারা ১-০ গোলে হারিয়েছে ১৭ ধাপ এগিয়ে থাকা সিঙ্গাপুরকে। তাদের মাঠে গিয়ে হারানো মোটেও সহজ কাজ নয় বলে মনে করেন জামাল। তাঁর মতে নেপাল ধীরে ধীরে অনেক উন্নতি করেছে খেলায়,
‘আমার মনে হয় নেপাল আরও শক্তিশালী হয়েছে। বিশেষ করে, সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ওদের পারফরম্যান্স দেখে বোঝা যায়। সিঙ্গাপুরে গিয়ে খেলাটা সহজ নয়। তাই গত কয়েক মাসে নেপাল আরও শক্তিশালী হয়েছে। আর এখানে (কাঠমান্ডু) খেলতে আসাটাও প্রতিপক্ষের জন্য সব সময় কঠিন। তবে সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে নেপাল দল ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে।’
আরও পড়ুন
অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দলে গতবারের ১০ জন |
![]() |
নেপাল উন্নতি করেছে যেমনটা বললেন, আবার নিজেদের উন্নতিও মাঠে প্রমাণ দিতে চান জামাল। তাঁর কণ্ঠে ম্যাচ জয়ের প্রত্যয়,
‘আমাদের প্রত্যাশা একই, আমরা এখানে জিততে এসেছি। আপনি যেকোনো খেলোয়াড়কে জিজ্ঞেস করতে পারেন, সবাই একই উত্তর দেবে। আমরা জিততে এসেছি। একই সঙ্গে চাই ভালো পারফরম্যান্স করতে এবং নিজেদের ও দর্শকদের দেখাতে চাই, আমরা কতটা উন্নতি করছি।’
এই ম্যাচ দুটি জিতে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিতে চায় বাংলাদেশ। আগামী মাসে হংকংযের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাই খেলবে হাভিয়ের কাবরেরা দল। সেই ম্যাচের প্রস্তুতি হিসেবে দেখছে নেপাল ম্যাচকে।
আগামীকাল বিকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ-নেপালের প্রথম প্রীতি ম্যাচটি। সরাসরি দেখাবে চ্যানেল টি-স্পোর্টস। পরের ম্যাচ আগামী ৯ সেপ্টেম্বর, একই মাঠে।
বিশ্বকাপ খেলার স্বাদ প্রায় ভুলতে বসেছিল প্যারাগুয়ে। সবশেষ ২০১০ বিশ্বকাপে স্পেনের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে হারের পর টানা তিন বিশ্বসেরার মঞ্চে দর্শক হয়েছিল তারা। লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আজ ইকুয়েডরের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে ১৬ বছর পর বিশ্বকাপে ফিরল প্যারাগুয়ে। ১৭ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ছয়ে থেকে বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে গুস্তাভো আলফারোর দল।
৪৮ দলের ২০২৬ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আমেরিকা থেকে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত করেছে ছয়টি দেশ। সবার আগে নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা। তারপর বাছাইপর্বের বাধা উতরে যায় ব্রাজিল ও ইকুয়েডর। আজ প্যারাগুয়ে, কলম্বিয়া ও উরুগুয়েও বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে।
২০২২ বিশ্বকাপে খেলতে না পারা কলম্বিয়া আজ ৩-০ গোলে হারায় বলিভিয়াকে। ১৭ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট অর্জন করে টেবিলের পাঁচ নম্বরে তারা। সপ্তমবারের মতো বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে জায়গা করেছে কলম্বিয়া।
বলিভিয়ার বিপক্ষে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মিডফিল্ডার হামেস রদ্রিগেজ। করেছেন একটি গোলও। ম্যাচ শেষে এই তারকা মিডফিল্ডারের উচ্ছ্বসিত কণ্ঠ,
‘এই জার্সিটা আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। আমি কৃতজ্ঞ। সব সময় আমি শতভাগ দিয়েছি আর তেমনটাই দেব।’
দুবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে ৩-০ গোলে পেরুকে উড়িয়ে দিয়েছে। ড্র করলেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত হতো মার্সেলো বিয়েলসার দলের। তবে মন্টেভিডিওতে দারুণ এক জয়ে ১৭ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার তিনে উঠে এসেছে উরুগুয়ে। বাঁচা-মরার ম্যাচে উরুগুয়ের কাছে হেরে বিশ্বকাপের দৌড় থেকেই ছিটকে গেল পেরু। বিশ্বকাপে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখতে শেষ দুটি ম্যাচ জিততেই হতো তাদের।