২৯ অক্টোবর ২০২৪, ৮:৫৯ পিএম
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোরের যে চিত্র, সেটা বলে দিচ্ছে বিশেষ কিছু না ঘটলে প্রথম ইনিংসে তারা পাচ্ছে বড় স্কোর। সেটা হতে পারে ৪০০ এমনকি ৫০০ রানেরও বেশি। এই রান পাহাড়ে পিষ্ট হয়েও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বাংলাদেশ? প্রধান কোচ ফিল সিমন্স মনে করেন, ভালোভাবেই এখনও ম্যাচে টিকে আছেন তারা।
মিরপুর টেস্টে প্রথম ইনিংস মাত্র ১০৬ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০০ পার করলেও তাতে বড় অবদান ছিল সাত ও আট নম্বর ব্যাটারের। সেখানে চলমান টেস্টে এরই মধ্যে দুই উইকেটে ৩০৭ রান করে ফেলেছে প্রোটিয়াসরা। টনি ডি জর্জি (১৪১*) যেভাবে ব্যাট করছেন, তাতে তিনি ও অন্যরা স্বাভাবিক ব্যাটিই করলেই তারা বিশাল স্কোর পেয়ে যেতেই পারে। আর সেটা মিরপুর টেস্টের মত গড়ে দিতে পারে ব্যবধান।
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে সিমন্স বলেছেন, পাকিস্তান সিরিজের অনুপ্রেরণায় তারা এই ম্যাচে আশা হারাচ্ছেন না তারা। “এখন দলের ভাবনা হলো কাল সকালে এসে যত দ্রুত সম্ভব কিছু উইকেট নিতে হবে। তাদের দ্রুত অলআউট করতে হবে। পাকিস্তানে আমরা ভালো ফলাফল পেয়েছি, প্রতিপক্ষ ৪০০-৫০০ রান করলেও আমরা ম্যাচ জিতেছি। তাই জয়ের ভাবনা আছেই। দেখা যাক কাল সকালে আমরা কী করতে পারি। সবসময় প্রথমে ম্যাচ জেতার কথাটাই আগে ভাবতে হবে, এরপর ভিন্ন কিছু।”
দিনের শুরুতেই হাসান মাহমুদের বলে ক্যাচ দিয়ে অভিষিক্ত কিপার মাহিদুল ইসলামের ব্যর্থতায় জীবন পান জর্জি। পরে তিনি করেছেন শতক। তিনি সহ আরেক সেঞ্চুরিয়ান ক্রিস্টাম স্তাবসও ক্যাচ দিয়ে জীবন পেয়েছেন ফিল্ডারদের মিসে।
সিমন্স তাই ফিল্ডিং নিয়ে হতাশা লুকাননি। “এটা কিছুটা হতাশাজনক তো বটেই। তবে এটা ব্যাটিংয়ের জন্য দারুণ উইকেট। বোলাররা ভালোই করেছে। কিছু সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে, যা কাজে লাগাতে পারলে চার-পাঁচ উইকেট পড়ে যেতে পারত। দিনটা কঠিন ছিল। অবশ্যই হতাশাজনক।”
৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫০ পিএম
৩১ অক্টোবর ২০২৪, ৭:৩১ পিএম
বাংলাদেশের সাথে রেকর্ড ব্যবধানে জিতেছে সাউথ আফ্রিকা। এক ইনিংস আর ২৭৩ রান ব্যবধানে জয় দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ইতিহাসেরই সবচেয়ে বড় জয়। বাংলাদেশের সাথে ঢাকায় আর চট্টগ্রামে দুই ম্যাচেই দাপুটে ক্রিকেট খেলেছে সাউথ আফ্রিকা।
প্রোটিয়াসের এমন জয়ে দারুণ খুশি দলটার সাবেক অধিনায়ক ডি ভিলিয়ার্স। ওয়ানডের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান টুইট করে জানান, “প্রোটিয়াস দারুণ বার্তা দিয়েছে। দারুণ জয় এটা। ওখানে (বাংলাদেশ) জয় সহজ না। নজরকাড়া পারফরম্যান্স দলের।”
বাংলাদেশের সাথে প্রথম টেস্টে ৭ উইকেটে জয়ের পর আরেক বড় জয় প্রোটিয়াসের। ম্যাচ সেরা টনি ডি জর্জির ১৭৭ রানে আগে ব্যাট করে সাউথ আফ্রিকা চট্টগ্রামে তোলে ৫ উইকেটে ৫৭৫ রান। বোলিংয়ে সিরিজ সেরা কাগিসো রাবাদার দারুণ বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে ১৫৯ রানে অল-আউট হওয়া টাইগাররা দ্বিতীয় ইনিংসে থামে ১৪৩ রানে।
গেল কয়েক দিন ধরেই আলোচনায় নাজমুল হাসান শান্তর অধিনায়কত্ব। আলোচনায় ছিল সাউথ আফ্রিকা সিরিজ শেষে শান্ত আর অধিনায়কত্ব করতে চান না। যদিও এই নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড কিংবা শান্ত কেউই মুখ খুলেননি। দ্বিতীয় টেস্ট শেষে শান্ত জানিয়েছেন বোর্ড থেকেই খুব শীঘ্রই এই নিয়ে আসবে সিদ্ধান্ত।
এ বছরের শুরুতে তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়েছে শান্তকে। তার অধীনে পাকিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। তবে শেষ দুই সিরিজে সাউথ আফ্রিকা ও ভারতের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি টাইগাররা। শান্ত নিজেও নেই রানের মধ্যে। তাতেও পড়ছেন সমালোচনায়।
আরও পড়ুন
‘হঠাৎ করে স্টিভ ওয়াহ-ইমরান খান-ধোনি হওয়া যায় না’, অধিনায়ক শান্তকে নিয়ে বললেন ফাহিম |
চটটগ্রাম টেস্ট শেষে সাংবাদ সম্মেলনে তাই ঘুরেফিরে এসেছে সেই প্রসঙ্গ। যার জবাবে শান্ত ছিলেন চুপ, “অধিনায়কত্বের ব্যাপারে সভাপতি কথা বলেছেন আপনাদের সঙ্গে। এ ব্যাপারে এখানে আমি আর কোনো মন্তব্য না করি। হয়তো ক্রিকেট বোর্ড থেকেই এই নিয়ে একটা কিছু জানতে পাবেন।”
বয়সভিত্তিক দল থেকেই অধিনায়কত্বের দায়িত্ব সামলে আসছেন শান্ত। কাজটা যে তিনি উপভোগ করেন সেটাও জানিয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার, “বয়সভিত্তিক থেকেই অনেক জায়গায় বলে আসছি, ক্যাপ্টেন্সি আমি সবসময় উপভোগ করি। গত কয়েকটা সিরিজও মাঠের ভেতরে আমি উপভোগ করেছি। এটা সবসময়ই আমার ভালো লাগার জায়গা।”
গেল কিছু দিন থেকে দলের ব্যর্থতার সাথে তার ব্যাটেও রান নেই। অধিনায়কত্বের চাপে এমনটা হচ্ছে কিনা সে প্রশ্নও উঠেছে সংবাদ সম্মেলনে। তবে সেটা উড়িয়ে দিয়েছেন শান্ত, “আমার কাছে একবারও মনে হয়নি আমি ক্যাপ্টেন। ক্যাপ্টেন তাই সব আমাকে একা করতে হবে এমন মনে হয় না। বল দেখি ব্যাটিং করি, ব্যাটিং উপভোগ করি। ব্যাটিং করতে সবারই ভালো লাগে। চিন্তা থাকে একটাই কীভাবে বড় রান করতে পারব। এখন পর্যন্ত (চাপ) হয়নি আলহামদুলিল্লাহ।”