২৯ জুন ২০২৫, ২:২৯ পিএম
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে যেভাবে চোট পেয়েছিলেন, তাতে দ্রুত মাঠে ফেরা একটু কঠিনই ছিল। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের খেলার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। প্রধান কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড মনে করেন, দ্বিতীয় ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফেরার অবস্থায় আছেন স্মিথ।
চলতি মাসেই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের তৃতীয় দিন স্লিপে ক্যাচ ধরতে গিয়ে আঙুলে গুরুতর চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন স্মিথ। এরপর নিউ ইয়র্কে গত এক সপ্তাহ কাটিয়েছেন তিনি, যেখানে ফিটনেস ফিরে পেতে তিনি টেনিস বল ও সফট ‘ইনক্রেডি বল’ দিয়ে অনুশীলন করেছেন। প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়া তিন দিনের মধ্যেই জয় পাওয়ায় গত শনিবার সন্ধ্যায় বার্বাডোসে দলের সাথে যোগ দিয়েছেন সাবেক অজি অধিনায়ক।
আরও পড়ুন
রংপুর রাইডার্সের পৃষ্ঠপোষক টার্কিশ এয়ারলাইন্স |
![]() |
আর ম্যাচের পর অস্ট্রেলিয়ার কোচ ম্যাকডোনাল্ড জানান, দ্বিতীয় টেস্টেই স্মিথের খেলার ভালো সম্ভাবনাই আছে।
“আসলে এটা (স্মিথের খেলা) নির্ভর করছে তার আঙুলের কার্যকারিতা ঠিকঠাক আছে কিনা, সেটার ওপর। তার দীর্ঘমেয়াদী কোনো স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই। আমরা আশা করছি এই ম্যাচে সে খেলবে। ম্যাচের দুই দিন আগের অনুশীলন আর ম্যাচের আগের দিন হালকা অনুশীলনের পর যদি সব ঠিকঠাক থাকে, তাহলে তাকে চার নম্বরেই খেলতেই দেখা যাবে।”
উল্লেখ্য, চোট পাওয়ার পর চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, স্মিথকে অন্তত আট সপ্তাহ হাতে স্প্লিন্ট পরে থাকতে হবে। তাই স্লিপে ফিল্ডিংয়ের বদলে তাকে হয়ত মাঠের অন্য জায়গায় ফিল্ডিংয়ের দায়িত্ব নিতে হবে। ডানহাতি এই ব্যাটার আগেও কনুইয়ের চোটে ভুগেছেন। এই কারণে এবারের চোটের বিষয়টি তার জন্য ঝুঁকি এড়াতে কিছুটা বাড়তি নজরদারির প্রয়োজন হতে পারে।
প্রথম টেস্টে স্মিথের অনুপস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়া তাদের ব্যাটিং অর্ডারে বড় পরিবর্তন আনেনি। তিনে খেলেন ক্যামেরুন গ্রিনই। স্মিথের চার নম্বর পজিশনে খেলেন জস ইংলিস। ট্রাভিস হেড ছিলেন যথারীতি তার পাঁচ নম্বর পজিশনেই। স্মিথ ফিরলে তাই ইংলিসকে একাদশে জায়গা ছেড়ে দিতে হতে পারে।
আরও পড়ুন
টেস্ট ক্যাপ্টেনসি ছাড়লেন শান্ত, তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক ফর্মূলা নিতে পারেননি |
![]() |
ম্যাকডোনাল্ড বলেছেন, স্মিথ ফিরতে পারেন, এটা জেনেই তারা হেডকে পাঁচ নম্বর থেকে প্রমোশন দেননি।
“আমরা ব্যাটিং অর্ডারে অপ্রয়োজনীয় একটা অস্থিরতা তৈরি করতে চাইনি। আমরা জানতাম যে স্মিথ ফিরে আসবে, তাই হেডের ব্যাটিং পজিশন পরিবর্তন করিনি।”
No posts available.
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫৫ পিএম
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৩১ পিএম
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৯:১১ পিএম
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮:২৩ পিএম
এক ম্যাচ পর জয়ে ফিরল পাকিস্তান। ফাখার জামানের ঝড়ো ফিফটির পর আবরার আহমেদের লেগ স্পিন জাদুতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে উঠে গেল পাকিস্তান।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৩১ রানে হারায় পাকিস্তান। আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৭১ রান করে তারা। জবাবে ৭ উইকেটে ১৪০ রানে থামে স্বাগতিকরা।
চার ম্যাচে তিন জয় নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত হলো পাকিস্তানের। আরব আমিরাত হেরে যাওয়ায় তিন ম্যাচে দুই জয় পাওয়া আফগানিস্তানের ফাইনালের টিকেটও চূড়ান্ত৷ স্বাগতিক দলটি তিন ম্যাচে হেরেছে সবকটি।
প্রথম রাউন্ডের শেষ টি-টোয়েন্টিতে নিয়মরক্ষার ম্যাচে শুক্রবার মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। পরে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের ফাইনাল হবে রোববার।
বৃহস্পতিবার রাতের ম্যাচে টস জিতে শুরুতে তেমন সুবিধা করতে পারেনি পাকিস্তান। ১২ ওভারের মধ্যে ৮০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। তবে একপ্রান্ত আগলে রাখেন ফাখার।
পরে মোহাম্মদ নওয়াজকে নিয়ে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন বাঁহাতি মারকুটে ব্যাটার। অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৫১ বলে ৯১ রান যোগ করেন ফাখার ও নওয়াজ।
১০ চার ও ২ ছক্কায় ৪৪ বলে ৭৭ ইনিংস খেলেন ফাখার। আর নওয়াজের ব্যাট থেকে আসে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২৭ বলে ৩৭ রান।
আমিরাতের পক্ষে ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রানে ২ উইকেট নেন হায়দার আলি।
পরে লেগ স্পিনের জাদু দেখান আবরার। তার ঘূর্ণির কোনো জবাব দিতে পারেননি আমিরাতের ব্যাটারর। আলিশান শারাফু ছাড়া আর কেউ উইকেটে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি।
৪ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন আবরার। এটিই তার ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং।
ওপেনিংয়ে নেমে ১৭তম ওভার পর্যন্ত খেলেন শারাফু। ৪টি করে চার-ছক্কায় ৫১ বলে ৬৮ রান করেন তিনি। শেষ দিকে ধ্রুব পারাশার ১৫ বলে ১৮ ও হায়দার আলি ৯ বলে ১২ রান করে পরাজয়ের ব্যবধান কমান।
ম্যাথু ব্রিটস্কির ওয়ানডে ক্যারিয়ারের শুরুটা স্বপ্নের মতো হয়েছে বললেও হয়তো পুরোপুরি ঠিক হবে না। কারণ এতটা ভালো শুরুর স্বপ্ন হয়তো ব্রিটস্কি নিজেও দেখেননি। অভিষেকের পর থেকে টানা পাঁচ ম্যাচে ফিফটি করে একাধিক বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার।
চোটের কারণে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে খেলতে পারেননি ব্রিটস্কি। দ্বিতীয় ম্যাচে একাদশে ফিরেই তিনি খেললেন ৭৭ বলে ৮৫ রানের ঝকঝকে ইনিংস। তাতেই অনন্য কীর্তিতে নাম উঠে গেছে ২৬ বছর বয়সী ব্যাটারের।
ওয়ানডে ইতিহাসের প্রথম ব্যাটার হিসেবে নিজের প্রথম পাঁচ ইনিংসেই পঞ্চাশ পেরিয়েছেন ব্রিটস্কি। এত দিন ধরে রেকর্ডটি ছিল ভারতের নভোজিত সিং সিধু ও নেদারল্যান্ডসের টম কুপারের। দুজনই নিজেদের প্রথম পাঁচ ম্যাচের চারটিতে খেলেছিলেন পঞ্চাশছোঁয়া ইনিংস।
গত ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ দিয়ে অভিষেক হয় ব্রিটস্কির। প্রথম ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪৮ বলে ১৫০ রান করে তিনি গড়েন ওয়ানডে অভিষেকে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলার রেকর্ড।
এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে করেন ৮৪ বলে ৮৩ রান। এরপর আবার অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে খেলেন দুই ওয়ানডে। ওই দুই ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ৫৬ বলে ৫৭ ও ৭৮ বলে ৮৮ রানের ইনিংস। আর এবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করলেন ৮৫ রান।
সব মিলিয়ে প্রথম পাঁচ ম্যাচে ৯২.৬০ গড় ও ১০৪.৫১ স্ট্রাইক রেটে ব্রিটস্কির সংগ্রহ ৪৬3 রান। ওয়ানডে ইতিহাসে ক্যারিয়ারের প্রথম পাঁচ ম্যাচে এত বেশি রান করতে পারেননি আর কেউ।
এখানেও টম কুপারের রেকর্ড ভেঙেছেন ব্রিটস্কি। নেদারল্যান্ডসের সাবেক তারকা ব্যাটার নিজের প্রথম পাঁচ ম্যাচে করেছিলেন ৩৭৪ রান। এছাড়া তিনশর বেশি রানের নজির আছে আরও ৭ জনের। তবে চারশর বেশি করা একমাত্র ব্যাটার ব্রিটস্কিই।
এছাড়া সব মিলিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে টানা পাঁচ ইনিংসে ফিফটি করা চতুর্থ ব্যাটার ব্রিটস্কি। তার আগে এই কীর্তি গড়েছেন জন্টি রোডস, কুইন্টন ডি কক (দুবার) ও হেনরিখ ক্লাসেন।
ক্রিকেটারদের দেখভাল করা, স্বার্থ সংরক্ষণ করার সংগঠন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)। তা নিশ্চিত করতে মূলত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মুখোমুখি দাঁড়ানোই কোয়াবের মূল কাজ।
কিন্তু গত এক যুগ ধরে হয়ে আসছিল এর উল্টোটা। বিসিবির মুখোমুখি না হয়ে উল্টো বিসিবির একটি অঙ্গ সংগঠনের মতো চলছিল কোয়াব। তবে দীর্ঘ ১১ বছর পর সভাপতি নির্বাচিত নতুন প্রতিশ্রুতি দিলেন মোহাম্মদ মিঠুন।
ক্রিকেটারদের দাবিদাওয়া আদায়ে বিসিবির বিরুদ্ধে দাঁড়াতেও ভাববেন না অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। বৃহস্পতিবার কোয়াবের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেছেন মিঠুন। একনজরে দেখে নেওয়া যাক সংবাদ সম্মেলনের চুম্বকাংশ।
কোয়াবের নির্বাচন প্রসঙ্গে
সুন্দর পরিবেশে সবাই ভোট দিতে পেরেছে। আমি মনে করি, জেতা-হারা বড় বিষয় নয়। ক্রিকেটের জয় হয়েছে। কারণ ক্রিকেটারদের সবাইকে খুব কম সময় এভাবে একসঙ্গে পাই। আমরা যেভাবে এত সুন্দর পরিবেশে ভোট দিতে পেরেছি, সবার সঙ্গে দেখা হয়েছে, অনেক সাবেক ক্রিকেটারের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে যাদের আমরা চিনতাম না।
আরও পড়ুন
এক নজরে দেখে নিন এনসিএল টি-টোয়েন্টির পূর্ণাঙ্গ সূচি |
![]() |
আমি মনে করি, কোয়াবের কার্যক্রম যদি প্রপারলি থাকে, তাহলে এই দূরত্ব আর থাকবে না। সিনিয়র হোক, জুনিয়র হোক- প্রত্যেকটা সেক্টরের, প্রত্যেকটা জায়গা থেকে আমরা ক্রিকেটাররা যদি একত্রিত হতে পারি বিভিন প্রোগ্রামে তাহলে আমাদের একে অন্যের সঙ্গে বোঝাপড়া ভালো থাকবে। ক্রিকেটের সার্কেলটাও বড় হবে।
প্রত্যেক সেক্টরে থাকবে প্রতিনিধি
কারও চাওয়ার প্রয়োজন নেই- এটা ভুল। চাওয়ার প্রয়োজন অবশ্যই আছে। আমি বিপিএল, ডিপিএল বা ন্যাশনাল লিগ খেলি। তাই জাতীয় দল বা এর আশপাশের ঘটনা সম্পর্কে আমি অবগত। এগুলোর সমাধান আমি করতে পারব। তবে নিচে অনেক জায়গা আছে, যে সমস্যাগুলো আমরা জানি না।
আমরা নিজেদের জায়গা থেকে সমস্যা ফিল করছি। তবে নিচে আরও সমস্যা আছে। সেই জিনিসগুলো জানাও আমাদের প্রয়োজন। তাই আমরা ঠিক করেছি, প্রত্যেকটা সেক্টরে আমাদের প্রতিনিধি থাকবে। যে আমাদের সব কিছু জানাবে এবং আমরা সেভাবে কাজ করব।
আরও পড়ুন
মেসির বিদায়ী ম্যাচে বিপদে পড়তে পারেন যারা |
![]() |
বিসিবির কাছ থেকে সমর্থনের আশা
আমি মনে করি, ক্রিকেটাররা বিসিবির, বিসিবিও ক্রিকেটারদের। এটা একটা পরিবার। এখানে কোনো দুরত্ব থাকা উচিত না। বিসিবি আমাদের অভিভাবক। আমরা যে কোনো সমস্যা বিসিবিকে জানাতেই পারি। বিসিবিকে নক করতেই পারি। আমি আশা করব, বিসিবিতে যারা দায়িত্বে আছেন তারা জিনিসগুলো ইতিবাচকভাবে দেখবেন।
আপনারা সবাই একবাক্যে স্বীকার করবেন, ক্রিকেটের মূল স্টেকহোল্ডার ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটারদের কোনোভাবেই বঞ্চিত হওয়া উচিত না। এত দিন হয়তো অনেক কিছু হয়নি। তবে এখন থেকে আশা করব, সবকিছু নতুনভাবে হয়েছে। নতুন ক্রিকেট বোর্ড। আমরাও নতুন। তাই আমরা একটা পরিবার হয়ে যেন কাজ করতে পারি।
সামনের কর্মপরিকল্পনা
আমাদের যেহেতু পূর্ণাঙ্গ কমিটি আছে। সবার সঙ্গে একসঙ্গে বসে মেজর সমস্যাগুলো বের করব। এজন্য আপনাদের অনুরোধ করব, সবাই একটু ধৈর্য ধরবেন। কারণ সব কিছু রাতারাতি পরিবর্তন হয়ে যাবে না। আমরা একসঙ্গে একশ কাজ করতে পারব না।
তবে এতটুকু কথা দিতে পারি, আমরা কখনও বসে থাকব না। আমরা প্রতিনিয়ত সামনের দিকে যাব। সমস্যাগুলো বের করে, সেগুলো নিয়ে কাজ করব। মানুষ মাত্রই ভুল। তবে সেটা কখনও ইচ্ছাকৃত হবে না। আমাদের অজান্তে ভুল হতে পারে। তবে আমরা জেনেশুনে ভুল করব না।
আরও পড়ুন
বিশ্বকাপের টিকেট মাত্র ১৩৮ টাকা, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গাইবেন শ্রেয়া |
![]() |
সবার কাছে ধৈর্যের প্রত্যাশা
প্রত্যেকটা সেক্টরে আমাদের প্রতিনিধি থাকবে। প্রথম বিভাগ বলেন, দ্বিতীয় বিভাগ বলেন। আমরা এরই মধ্যে তাদের সঙ্গে কথা বলে রেখেছি। তারাও অবগত। আমরা এই কমিটি শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক করতে চাই না, দিনে দিনে এটা সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। এজন্যই আপনাদের বলেছি, একটু ধৈর্য ধরতে হবে।
আমার মূল পেশা ক্রিকেট খেলা। আমার প্রথম কাজ মাঠে ক্রিকেট খেলা। এরপর আমি একটা দায়িত্ব পেয়েছি। কোনোভাবেই এই দায়িত্বকে অবহেলা করতে পারব না। আবার ক্রিকেটকেও অবহেলা করা যাবে না। বাকি যারা আছে, তারাও কোনো না কোনো পেশায় আছেন। এটা একটা সেবামূলক জায়গা। সবাই সবার কাজ ঠিক রেখে এখানে এসে কাজ করছেন। তাই আপনাদের একটু ধৈর্য ধরতে হবে। আপনাদের সমর্থন খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনারাও আমাদের পরিবারের অংশ।
প্রয়োজনে বিসিবির বিরুদ্ধে লড়াই
কোনো কিছু দুইভাবে আদায় করা যায়। প্রথমত অনুরোধ করে সুন্দরভাবে প্রেজেন্ট করে। আরেকটা হলো ফাইট করে। আমরা অবশ্যই চেষ্টা করব তাদের সঙ্গে সুন্দরভাবে সমঝোতার মাধ্যমে সব কিছু সমাধান করার। এরপর যদি না হয়, আমি যেহেতু আল্টিমেটলি ক্রিকেটারদের স্বার্থে এখানে এসেছি, তাদের পক্ষেই আমার কথা বলতে হবে। তাতে যদি কেউ অখুশি হয়, তাতে আমার কিছু করার নেই। ক্রিকেটারদের প্রতিনিধি হিসেবে এসেছি, তাদের স্বার্থই আগে দেখতে হবে।
আরও পড়ুন
টি স্পোর্টসে দেখা যাবে বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচ |
![]() |
বিসিবি নির্বাচনে কার পক্ষে কোয়াব
আমরা তাদেরই সমর্থন করব, যারা আমাদের পাশে থাকবে। এখানে (বিসিবি নির্বাচনে) কে প্রার্থী, তা মূখ্য নয়। গুরুত্বপূর্ণ হলো, আমরা কতটা লাভবান হচ্ছি। কার দ্বারা ক্রিকেটাররা উপকৃত হবে, সেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
কোয়াব পুনর্গঠনে তামিম ইকবালের ভূমিকা
দুজনই (তামিম ইকবাল ও আমিনুল ইসলাম বুলবুল) আমাদের লোক। যে-ই বিসিবি সভাপতি হোক, আমরা দুই ক্ষেত্রেই খুশি হবো। এই জায়গায় একটা জিনিস না বললেই নয়, কোয়াবের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ক্রিকেটারদের মধ্যে বিশ্বাস ফিরিয়ে আনা যে কোয়াব ক্রিকেটারদের পাশে থাকতে পারে। কারণ আমাদের বেশিরভাগ ক্রিকেটারের এই বিশ্বাসটা ছিল না।
বর্তমান ক্রিকেটার ও বড় ভাইদের এক করার পেছনে... কোনো কিছু লুকিয়ে রাখতে চাই না। যেটা সত্য সেটা উন্মোচিত হওয়াই ভালো। তো সবাইকে এক করার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন তামিম ভাই। উনি যেভাবে সক্রিয় ছিলেন। উনার এত সক্রিয় না থাকলে কিছু হতো না।
এখন উনি ক্রিকেট খেলেন না। তবু উনি নিজের কাজের পাশাপাশি কোয়াবকে সময় দিয়েছেন এবং প্রত্যেকটা সিনিয়র ক্রিকেটারকে কোয়াবের সঙ্গে সম্পৃক্ত করেছেন। বর্তমান ক্রিকেটাররাও তাকে দেখেই এখানে আসার আত্মবিশ্বাস পেয়েছে। তাই আমি তাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই কোয়াবকে আবার নতুন করে এক করার পেছনে বড় ভূমিকা রাখায়।
সামনের নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ ঘিরে একের পর এক চমক উপহার দিয়ে চলেছে আইসিসি। টুর্নামেন্টে মাঠে বসে খেলা দেখতে সবাইকে আগ্রহী করতে। স্মরণকালের সবচেয়ে কম দামে টিকেট বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা।
এছাড়া ভারত ও শ্রীলঙ্কায় হতে যাওয়া বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গুয়াহাটিতে লাইভ পারফরম্যান্স করবেন ভারতের বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী শ্রেয়া ঘোষাল। বিশ্বকাপের অফিসিয়াল অ্যান্থেম সং 'ব্রিং ইট হোম' গেয়েছেন এই সুরের জাদুকর।
আরও পড়ুন
এক নজরে দেখে নিন এনসিএল টি-টোয়েন্টির পূর্ণাঙ্গ সূচি |
![]() |
আইসিসির যে কোনো বৈশ্বিক আসরের চেয়ে কম দামে পাওয়া যাবে বিশ্বকাপের টিকেট। টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ডের সবগুলো ম্যাচে টিকেটের সর্বনিম্ন মূল্য মাত্র ১০০ ভারতীয় রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩৮ টাকা)।
গুগল পে ব্যবহারকারীরা বৃহস্পতিবার রাত থেকে cricketworldcup ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টিকেট কিনতে পারবেন। তাদের জন্য থাকবে ৪ দিনের এই বিশেষ প্রি সেল সুবিধা। এরপর আগামী ৯ সেপ্টেম্বর রাত থেকে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে টিকেট কাটার ওয়েবসাইট।
এর আগে বিশ্বকাপের প্রাইজমানিতেও চমক দিয়েছিল আইসিসি। চার গুণ বাড়িয়ে টুর্নামেন্টের জন্য ১ কোটি ৩৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার প্রাইজমানির ঘোষণা দিয়েছে তারা। যা কিনা ছেলেদের যে কোনো বিশ্বকাপের চেয়েও বেশি।
বাংলাদেশ জাতীয় দল যখন ব্যস্ত থাকবে এশিয়া কাপের লড়াইয়ে, তখন দেশের মাটিতে ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের উৎসবে মাতবেন স্থানীয় ক্রিকেটাররা। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর শুরু হবে এই টুর্নামেন্ট।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার এনসিএল টি-টোয়েন্টির সূচি ঘোষণা করেছে বিসিবি।
রাজশাহীতে উদ্বোধনী দিনে সকাল সাড়ে ৯টার ম্যাচে স্বাগতিক রাজশাহীর মুখোমুখি হবে গতবারের রানার্স-আপ ঢাকা মেট্রো। বগুড়ার মাঠে একই দিন দুপুর দেড়টায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রংপুরের প্রতিপক্ষ সিলেট।
টুর্নামেন্টের প্রথম ৬ দিনের খেলা হবে রাজশাহী ও বগুড়ায়। এরপর ২১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে সিলেট পর্ব। সেখানেই হবে আসরের বাকি সব ম্যাচ।
আরও পড়ুন
১১ বছর পর কোয়াবের নতুন সভাপতি |
![]() |
৮ দল ও ৩২ ম্যাচের টুর্নামেন্টের প্রথম পর্ব শেষ হবে ২৮ সেপ্টেম্বর। পয়েন্ট টেবিলের ৩ ও ৪ নম্বরে থাকা দলকে নিয়ে এলিমিনেটর ম্যাচ হবে ৩০ তারিখ দুপুর সাড়ে ১২টায়। একই দিন শীর্ষ দুই দল প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলবে বিকেল ৫টায়।
পরে এলিমিনেটর ম্যাচের জয়ী দল ও প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচের পরাজিত দলের মধ্যে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচটি হবে ১ অক্টোবর বিকেল ৫টায়।
প্রায় তিন সপ্তাহের টুর্নামেন্টের পর্দা নামবে ৩ অক্টোবর। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি মাঠে গড়াবে বিকেল ৫টায়।
এনসিএল টি-টোয়েন্টির পূর্ণাঙ্গ সূচি
|
তারিখ |
সময় |
ম্যাচ |
ভেন্যু |
|
১৪ সেপ্টেম্বর |
সকাল ৯:৩০ |
রাজশাহী - ঢাকা মেট্রো |
রাজশাহী |
|
দুপুর ১:৩০ |
সিলেট - রংপুর |
বগুড়া |
|
|
১৫ সেপ্টেম্বর |
দুপুর ১:৩০ |
খুলনা - চট্টগ্রাম |
রাজশাহী |
|
সকাল ৯:৩০ |
ঢাকা - বরিশাল |
বগুড়া |
|
|
১৬ সেপ্টেম্বর |
সকাল ৯:৩০ |
রাজশাহী - খুলনা |
রাজশাহী |
|
দুপুর ১:৩০ |
ঢাকা - রংপুর |
বগুড়া |
|
|
১৭ সেপ্টেম্বর |
দুপুর ১:৩০ |
ঢাকা মেট্রো - চট্টগ্রাম |
রাজশাহী |
|
সকাল ৯:৩০ |
সিলেট - বরিশাল |
বগুড়া |
|
|
১৮ সেপ্টেম্বর |
সকাল ৯:৩০ |
ঢাকা মেট্রো - খুলনা |
রাজশাহী |
|
দুপুর ১:৩০ |
ঢাকা - সিলেট |
বগুড়া |
|
|
১৯ সেপ্টেম্বর |
দুপুর ১:৩০ |
রাজশাহী - চট্টগ্রাম |
রাজশাহী |
|
সকাল ৯:৩০ |
রংপুর - বরিশাল |
বগুড়া |
|
|
২১ সেপ্টেম্বর |
সকাল ১০:০০ |
রাজশাহী - ঢাকা |
সিলেট |
|
দুপুর ২:০০ |
ঢাকা মেট্রো - সিলেট |
সিলেট |
|
|
২২ সেপ্টেম্বর |
দুপুর ২:০০ |
খুলনা - রংপুর |
সিলেট |
|
সকাল ১০:০০ |
চট্টগ্রাম - বরিশাল |
সিলেট |
|
|
২৩ সেপ্টেম্বর |
সকাল ৯:৩০ |
রাজশাহী - সিলেট |
সিলেট |
|
দুপুর ১:৩০ |
ঢাকা – ঢাকা মেট্রো |
সিলেট |
|
|
২৪ সেপ্টেম্বর |
দুপুর ১:৩০ |
খুলনা - বরিশাল |
সিলেট |
|
সকাল ৯.৩০ |
চট্টগ্রাম - রংপুর |
সিলেট |
|
|
২৫ সেপ্টেম্বর |
সকাল ১০:০০ |
রাজশাহী - রংপুর |
সিলেট |
|
দুপুর ২:০০ |
ঢাকা মেট্রো - বরিশাল |
সিলেট |
|
|
২৬ সেপ্টেম্বর |
দুপুর ২:০০ |
খুলনা – ঢাকা |
সিলেট |
|
সকাল ১০:০০ |
চট্টগ্রাম - সিলেট |
সিলেট |
|
|
২৭ সেপ্টেম্বর |
সকাল ৯:৩০ |
রাজশাহী - বরিশাল |
সিলেট |
|
দুপুর ১:৩০ |
ঢাকা মেট্রো - রংপুর |
সিলেট |
|
|
২৮ সেপ্টেম্বর |
দুপুর ১:৩০ |
খুলনা – সিলেট |
সিলেট |
|
সকাল ৯:৩০ |
চট্টগ্রাম – ঢাকা |
সিলেট |
|
|
৩০ সেপ্টেম্বর |
দুপুর ১২:৩০ |
এলিমিনেটর |
সিলেট |
|
বিকেল ৫:০০ |
কোয়ালিফায়ার ১ |
সিলেট |
|
|
১ অক্টোবর |
বিকেল ৫:০০ |
কোয়ালিফায়ার ২ |
সিলেট |
|
৩ অক্টোবর |
বিকেল ৫:০০ |
ফাইনাল |
সিলেট |