বারবার খুব কাছে গেলেও এখন পর্যন্ত এশিয়া কাপের শিরোপা জেতা হয়নি বাংলাদেশ দলের। সামনে আরেকটি এশিয়া কাপের আসর। এই টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই যাওয়ার কথা বললেন জাকের আলি অনিক।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর শুরু হবে এশিয়া কাপের নতুন আসর। এই টুর্নামেন্টের গত দুই আসরে প্রত্যাশানুযায়ী ফলাফল পায়নি বাংলাদেশ। ২০২৩ সালের আসরে সুপার ফোরে থামে বাংলাদেশের যাত্রা। এর আগের বছর গ্রুপ পর্বই পেরোতে পারেনি তারা।
তবে ২০১২ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত সেরা সময় কাটায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এই সময়ে চার আসরের মধ্যে তিনটিতে ফাইনাল খেলে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচেই অল্পের জন্য ট্রফি ঘরে তোলা হয়নি মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসানদের।
এবার লিটন কুমার দাসের নেতৃত্বে তুলনামূলক নতুনদের নিয়ে গড়া দল যাবে এশিয়া কাপ খেলতে। তবে এখনও স্কোয়াড অবশ্য ঘোষণা করেনি বাংলাদেশ। আপাতত চলছে ঘরের মাঠে নেদারল্যান্ডস সিরিজ ও পরের এশিয়া কাপের প্রস্তুতি।
অনুশীলন ক্যাম্পের মাঝে সংবাদ সম্মেলনে এসে এশিয়া কাপে নিজেদের লক্ষ্যের কথা জানালেন জাকের।
“ইনশাআল্লাহ আমরা এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যেই যাচ্ছি। এটা ব্যক্তিগতভাবে বলতে পারি যে, আমি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য যাচ্ছি। আর এটা ড্রেসিং রুমের সবাই বিশ্বাস করে। এখন আমাদের দলের যেমন পরিবেশ আছে, সবাই যেভাবে চেষ্টা করছে, আমরা বিশ্বাস করি, এবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই যাব।”
এশিয়া কাপের ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গী শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও হংকং। আগামী ১১ তারিখ হংকং ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে তাদের যাত্রা। এরপর ১৩ তারিখ শ্রীলঙ্কা ও ১৬ তারিখ আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে লিটনের দল। সবগুলো ম্যাচই হবে আবুধাবিতে।
গ্রুপ পর্ব থেকে সেরা দুটি দল পাবে সুপার ফোরের টিকেট। তাই তিন ম্যাচের মধ্যে অন্তত দুটি জেতার বিকল্প নেই বাংলাদেশের।
এশিয়া কাপ খেলতে যাওয়ার আগে ঘরের মাঠে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগামী ৩০ আগস্ট শুরু হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক তারকা পেসার মিচেল জনসন তীব্র সমালোচনা করেছেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) প্রধান টড গ্রিনবার্গের সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়ে। গ্রিনবার্গ বলেছিলেন, টেস্ট ক্রিকেট শুধু কিছু নির্দিষ্ট দেশের মধ্যে সীমিত করা উচিত, ছোট বোর্ডগুলো এ সংস্করণ অর্থনৈতিকভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম নয়। এ প্রসঙ্গে জনসনের অবস্থান ঠিক বিপরীত, ‘এ ধারণা একেবারেই ভুল, বরং ছোট দলগুলোকেই সহায়তা করে এগিয়ে নিতে হবে।’
গ্রিনবার্গ বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, টেস্টখেলুড়ে দেশের সংখ্যা বাড়ানো ক্রিকেটের ভবিষ্যতের জন্য কার্যকর নয়। অ্যাশেজের মতো মর্যাদাপূর্ণ ও লাভজনক পাঁচ ম্যাচের সিরিজগুলোকেই গুরুত্ব দেওয়া উচিত। তাঁর দাবি, ‘সব দেশকে টেস্ট খেলতে বাধ্য করলে তাদের আর্থিক দিক থেকে ভেঙে পড়তে হবে। টেস্ট ক্রিকেটে কম দেশই ভালো, বেশি নয়।’
আরও পড়ুন
প্রথম ম্যাচে নিগারের ৭৮, মারুফা-ফাহিমার ৪ উইকেট |
![]() |
৭৩ টেস্টে ৩১৩ উইকেট নেওয়া জনসন গ্রিনবার্গের সঙ্গে একমত নন। তাঁর মতে, টেস্ট ক্রিকেট বাঁচানোর সমাধান সীমিত করে দেওয়া নয়, বরং বাকি দেশগুলোকে আরও উন্নত করা।
জনসন দ্য ওয়েস্ট অস্ট্রেলিয়ানে লিখেছেন,‘সমস্যার সমাধান তিন-চারটা ধনী দেশের মধ্যে টেস্ট সীমাবদ্ধ রাখা নয়। সমাধান হলো বাকিদের উঠিয়ে আনা, সহায়তা করা, খেলা ছড়িয়ে দেওয়া। এই দেশগুলোও টেস্ট খেলতে চায়, খেলোয়াড়েরা চায়, ভক্তরাও চায়। তাহলে কেন এত কঠিন করে তুলছি? আমি এমন দেশ দেখেছি যেখানে কোটি টাকার টিভি ডিল নেই, কিন্তু ক্রিকেটের প্রতি দারুণ আবেগ আছে।’
‘বিগ থ্রি’র প্রতি জনসনের আহ্বান, ‘শুধু আর্থিক সহায়তা যথেষ্ট নয়। ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মতো বিগ থ্রি দেশগুলোকে সরাসরি মাঠে নেমে অন্য বোর্ডগুলোর পাশে দাঁড়াতে হবে। এর ফলে তৃণমূল থেকে ক্রিকেট বাড়বে, নতুন দর্শক যুক্ত হবে, আর দীর্ঘমেয়াদে টেস্ট ক্রিকেট বাঁচবে।’
আরও পড়ুন
লিটন-মিরাজদের শটের দূরত্ব ৫-৬ মিটার বাড়াতে চান উড |
![]() |
ধনী দেশেই সীমাবদ্ধ হলে টেস্ট ক্রিকেটের ধীরে ধীরে মৃত্যু হবে বলে সতর্ক করলেন জনসন, ‘টেস্ট ক্রিকেট কেবল ধনী দেশগুলোয় সীমাবদ্ধ করলে, এটা ধীরে ধীরে মরে যাবে। তখন ভক্তরা মুখ ফিরিয়ে নেবে, খেলোয়াড়রা হতাশ হবে, আর দলগুলো একে একে ছোট সংস্করণে চলে যাবে, যেমনটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্ষেত্রে ঘটেছে।’
তিন দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ করতে পরামর্শ জনসনের, ‘টেস্ট ক্রিকেট আসলেই কষ্টের খেলা। ঘামে, আঘাতে, দ্বিতীয় ইনিংসে ৪০ ডিগ্রি গরমে বোলিং করতে করতে অর্জিত কিছু। ব্যাগি গ্রিন বা টেস্ট ক্যাপ পাওয়া যায় বছরের পর বছর লড়াই করে, কেবল চার ওভার বোলিং করে নয়। আর এই অনুভূতি শুধু অস্ট্রেলিয়া, ভারত বা ইংল্যান্ডে সীমাবদ্ধ নয়, বিশ্বের প্রতিটি তরুণ ক্রিকেটারের মাঝেই আছে। পার্থক্য শুধু সুযোগের।’
উইমেন'স চ্যালেঞ্জ কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে দেখা গেল রান খরা। নিগার সুলতানা জ্যোতি ছাড়া আর কোনো ব্যাটার পারেননি বড় ইনিংস খেলতে। জাতীয় দলের অধিনায়ক করেন ৭৮ রান। পরে তার দলেরই মারুফা আক্তার ও ফাহিম খাতুনরা নেন ৪টি করে উইকেট।
সামনের বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য তিন দলের চ্যালেঞ্জ কাপ আয়োজন করেছে বিসিবি। বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে সোমবার মুখোমুখি হয়েছে বিসিবি লাল ও বিসিবি সবুজ দল। টুর্নামেন্টের তৃতীয় দল বিসিবি অনূর্ধ্ব-১৫ দল।
উদ্বোধনী ম্যাচে নিগারের নেতৃত্বাধীন লাল দল জিতেছে ৩২ রানে। নিগারের ৭৮ রানের পরও ৪৭.৪ ওভারে ১৪৪ রানে গুটিয়ে যায় তারা। লক্ষ্য তেমন বড় না হলেও, ৪০.১ ওভারে মাত্র ১১২ রানে অল আউট হয়ে যায় নাহিদা আক্তারের নেতৃত্বাধীন সবুজ দল।
ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ২ উইকেট হারায় লাল দল। শারমিন সুলতানা, মুর্শিদা খাতুন, রিতু মনির মতো অভিজ্ঞ ব্যাটাররাও অল্পে আউট হয়ে গেলে ৪২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে নিগারের দল।
আরও পড়ুন
লিটন-মিরাজদের শটের দূরত্ব ৫-৬ মিটার বাড়াতে চান উড |
![]() |
চার নম্বরে নেমে এক পাশ আগলে রেখে দলকে এগিয়ে নেন নিগার। শেষ পর্যন্ত আউটই হননি অভিজ্ঞ কিপার-ব্যাটসম্যান। ৬ চারে ১৩১ বলে ৭৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান আসে ফাহিমার ব্যাট থেকে।
সবুজ দলের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন নাহিদা ও স্বর্ণা আক্তার।
রান তাড়ায় সবুজ দলের পাঁচ ব্যাটার দুই অঙ্ক স্পর্শ করলেও, কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। দলের সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন অভিজ্ঞ ফারজানা হক পিঙ্কি। এছাড়া নাহিদা করেন ২০ রান।
৬ ওভারে ২ মেডেনসহ ১৩ রানে ৪ উইকেট নেন মারুফা। লেগ স্পিনার মারুফা ২০ রানে নেন ৪ উইকেট।
ওপেনিংয়ে তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন আর শেষ দিকে জাকের আলি অনিক ও শামীম হোসেন- বাংলাদেশ দলে পাওয়ার হিটার মূলত তারাই। তবে পাওয়ার হিটিং কোচ হিসেবে আসা জুলিয়ান উড কাজ করছেন দলের সবাইকে নিয়ে।
তাহলে কি লিটন কুমার দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাওহিদ হৃদয়ের মতো টাইমিং নির্ভর ব্যাটাররাও এখন থেকে পাওয়ার হিটিং করবেন। উডের কোচিংয়ে তারাও কি এখন থেকে তেড়েফুড়ে খেলবেন? উত্তর হলো- না!
টাইমিং নির্ভর ব্যাটারদের জন্য ভিন্ন পদ্ধতিতে এগোচ্ছেন উড। তাদেরকে পাওয়ার হিটার না বানিয়ে বরং শটের দূরত্ব বাড়াতে চান ইংলিশ এই কোচ। জাতীয় দলের অনুশীলন ক্যাম্পের মাঝে সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানিয়েছেন জাকের।
আরও পড়ুন
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই এশিয়া কাপে যাব: জাকের |
![]() |
টানা ক্যাম্পের মাঝে সোমবার ছিল ক্রিকেটারদের বিশ্রাম। সংবাদ সম্মেলনের জন্য মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হাজির হন জাকের। সেখানে জুলিয়ান উডের কাজের ধরন নিয়ে ধারণা দেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান।
“আমাদের পাওয়ার হিটিংয়ের কিছু স্কিল নিয়ে কাজ করছে জুলিয়ান। কীভাবে আরও উন্নতি করা যায়। যারা জেনেটিক্যালি ভালো আছে, তারা কীভাবে আরও ভালো করতে পারে। যারা টাইমার, তাদেরকে কীভাবে আরও ২-৩ মিটার ভালো দূরত্ব দেওয়া যায়, ওই জিনিসগুলো নিয়ে কাজ হচ্ছে।”
এসময় প্রশ্ন আসে, লিটন-মিরাজ বা তাওহিদ হৃদয়ের মতো ব্যাটারদের জন্য কীভাবে কাজ করছেন উড? উত্তর দিলেন জাকের।
“লিটন, মিরাজের মতো) যারা টাইমার, তাদের কীভাবে আরও ৪-৫ মিটার উন্নতি করা যায়, সেটা নিয়ে কাজ করার কথা বলেছে। টাইমারদের কিন্তু পাওয়ার হিটার হতে বলেনি, টাইমাররা টাইমারই থাকবে।”
“তারা কীভাবে শটের দূরত্ব আরও ৪-৫ বা ৬ মিটার বাড়াতে পারে... এটা হলে যা হবে, আগে যেটা আউট হতো, সেটা এখন ছক্কা হবে। আউট হলে তো লাভ নেই। ছক্কা হলে আরেকটা সুযোগ আসবে। বড় রানের সুযোগ থাকবে। তো এই জিনিসগুলোই...”
পাওয়ার হিটিং কোচের দায়িত্বে গত ৭ আগস্ট বাংলাদেশে আসেন উড। এরপর জাতীয় দলের সঙ্গে অল্প কিছু দিন কাজ করেছেন তিনি। জাকের বললেন, আরও কিছু দিন কাজ করার পর ম্যাচ খেললে বোঝা যাবে পাওয়ার হিটিংয়ে কার কতটুকু উন্নতি হয়েছে।
“পরিবর্তনগুলো এত সহজে ম্যাচ ছাড়া বুঝতে পারবেন না। যেহেতু দুই-তিন দিন হলো, স্কিল নিয়ে কাজ হয়েছে বেশি। এই স্কিলগুলাই আবার সামনে হয়তো সিলেটে হবে, ওখানে আরও ভিন্ন কিছু হবে। তো এত তাড়াতাড়ি মন্তব্য করাটা ঠিক হবে না যে কী উন্নতি হয়ে গেল, কি না হলো।”
“আরেকটু আমার মনে হয় সময় লাগবে। বাট আমরা আমাদের ঐ আমাদেরকে যে কাজগুলো দেওয়া হয়েছে, ওই কাজগুলো আমরা করার চেষ্টা করছি। তো এই সুইং প্র্যাকটিসগুলো কিংবা ভিন্ন ড্রিলগুলো, এগুলা অবশ্যই কাজে আসবে।”
পাওয়ার হিটিংয়ের প্রশিক্ষণের জন্য 'প্রো ভেলোসিটি' নামের বিশেষ এক ব্যাট নিয়ে এসেছেন উড। যেটি ব্যবহার করে ব্যাটারদের ব্যাট সুইং বাড়ানোর কাজ করা হয়। এই ব্যাটের শব্দ শুনে ক্রিকেটাররা বুঝতে পারেন, তার শটে কতটুকু পাওয়ার হচ্ছে।
আরও পড়ুন
ফেরার ম্যাচে মুনরোর রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরি |
![]() |
এই ব্যাটের ব্যবহার নিয়েও বিস্তারিত বলেন জাকের।
“উডের ব্যাট? এটা ম্যাটার করে। একেকজনের সুইং একেক রকম। কারও সুইং বেসবল টাইপ, কারও সুইং গলফ টাইপ। তো এটা ডিপেন্ড করে কে কোনটা নেবে। আসলে উড আসার পরেই বলছে, “আমি বেসিকের মধ্যে থেকেই পরিবর্তন আনতে চাইছি।” মানে ও ভিন্ন কিছু দিয়ে দিবে না। যার যার প্যাটার্ন অনুযায়ী ও এই কাজটা দেওয়ার চেষ্টা করতেছে।”
“অবশ্যই (প্রো ভেলোসিটি ব্যাট দিয়ে) ভালো একটা ফিলিংস আসে। যখন যে কয়টা সাউন্ড বের করতে বলে, ওইটা বের করা যায়, তখন ভালো লাগে। কিন্তু অনেক ফোর্স লাগে এটা বের করতে। সাউন্ডটা বের করতে ফোর্স লাগে, আরও এফোর্ট দিতে হয়। তো এই জিনিসগুলো কন্টিনিউয়াসলি কাজ করলে অবশ্যই কাজে দিবে।”
আসন্ন এশিয়া কাপে ভারতের দলে থাকবেন না ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ সিরিজের দুই নায়ক শুবমান গিল ও মোহাম্মদ সিরাজ। তাদের ছাড়াই মঙ্গলবার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এই টুর্নামেন্টের জন্য দল ঘোষণা করতে চলেছেন ভারতের নির্বাচকরা।
জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে জানা গেছে এই খবর। মুম্বাইয়ে মঙ্গলবার এশিয়া কাপের দল সাজাতে আলোচনায় বসবেন নির্বাচকরা। সেখানেই টুর্নামেন্টের দল চূড়ান্ত হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে ক্রিকবাজ।
সবশেষ ইংল্যান্ড সফরের টেস্ট সিরিজে ৪ সেঞ্চুরিতে ৭৫৪ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন গিল। একই সিরিজে ২৩ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার হয়েছিলেন সিরাজ। তবে সেটি ছিল টেস্ট। আর এশিয়া কাপ হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে।
আরও পড়ুন
ফেরার ম্যাচে মুনরোর রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরি |
![]() |
তবে সবশেষ আইপিএলে ৬৫০ রান করেছিলেন গিল। কিন্তু সেটি ছিল আবার ওপেনার হিসেবে। বর্তমান টি-টোয়েন্টি দলে অভিষেক শর্মা ও সাঞ্জু স্যামসনকেই ওপেনার হিসেবে রেখে দিতে চান নির্বাচকরা। আর ব্যাকআপ ওপেনার হিসেবে দৌড়ে এগিয়ে আছেন ইয়াশাসভি জয়সওয়াল।
এছাড়া ব্যাটার হিসেবে স্কোয়াডে সুযোগ পেতে পারেন তিলক ভার্মা, সূর্যকুমার যাদভ ও রিঙ্কু সিং। এর বাইরে ব্যাটিংয়ের আরেকটি জায়গায় ডাক পেতে পারেন শিবাম দুবে বা ওয়াশিংটন সুন্দরের মধ্যে একজন। কিপিংয়ে ব্যাকআপ হিসেবে এগিয়ে জিতেশ শর্মা।
পেস বিভাগে বরাবরের মতো লিডার হিসেবে থাকবেন জাসপ্রিত বুমরাহ। তার সঙ্গে সুযোগ পেতে পারেন আর্শদিপ সিং, প্রাসিধ কৃষ্ণা ও হার্শিত রানা। পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে স্কোয়াডে থাকবেন হার্দিক পান্ডিয়া।
স্পিনের দায়িত্ব থাকবে সহ-অধিনায়ক অক্ষর প্যাটেল, কুলদিপ যাদভ, ভরুন চক্রবর্তী ও রবি বিষ্ণুইয়ের কাঁধে।
প্রায় দুই বছর পর ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) ফেরার ম্যাচটি দারুণ সেঞ্চুরিতে রাঙালেন কলিন মুনরো। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে তিনি গড়লেন ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
সিপিএলের ম্যাচে রোববার রাতে সেইন্ট কিটস এন্ড প্যাট্রিয়টসের বিপক্ষে ১৪ চার ও ৬ ছক্কায় মাত্র ৫৭ বলে ১২০ রানের ইনিংস খেলেন মুনরো। নিউ জিল্যান্ডের সাবেক এই ওপেনারের সেঞ্চুরিতে ২৩১ রানের পুঁজি পায় ত্রিনবাগো।
এই ম্যাচের আগে ২০২৩ সালে সবশেষ সিপিএল খেলেছিলেন মুনরো। সেইন্ট লুসিয়া কিংসের হয়ে ওই আসরে ৬ ম্যাচ মিলিয়ে ১৭২ রান করেছিলেন বাঁহাতি ওপেনার। এবার ফেরার ম্যাচে এক ইনিংসেই এর কাছাকাছি রান করে ফেললেন তিনি।
আরও পড়ুন
‘তরবারি উদযাপন’ নিয়ে জাদেজাকে সতর্ক করলেন ব্রেট লি |
![]() |
ত্রিনবাগোর হয়ে এটিই এখন সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এতদিন রেকর্ডটি ছিল নিকোলাস পুরানের। ২০২৩ সালে বার্বাডোজ রয়্যালসের বিপক্ষে ১০২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন বাঁহাতি মারকুটে ব্যাটসম্যান।
সিপিএল ইতিহাসেই মুনরো ১২০ রানের চেয়ে বড় ইনিংস আছে আর দুইটি- ব্র্যান্ডন কিংয়ের ১৩২* ও আন্দ্রে রাসেলের ১২১* রান। এছাড়া ফাফ দু প্লেসিসও করেছিলেন সমান ১২০ রান।
মুনরোর বিধ্বংসী সেঞ্চুরির পর বিশাল পুঁজি নিয়ে ১২ রানে জেতে ত্রিনবাগো। সেইন্ট কিটসের কেউ ফিফটি করতে না পারলেও, সবার সম্মিলিত অবদানে ৭ উইকেটে ২১৯ রান করে স্বাগতিক দলটি।
১৭ ঘণ্টা আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে
৪ দিন আগে