২৯ অক্টোবর ২০২৪, ৫:৪৪ পিএম
টেস্ট ক্রিকেটে ভালো করার পেছনে সবসময় গুরুত্বপূর্ণ সেশন বাই সেশন ভালো খেলার। চট্রগ্রাম টেস্টে সেদিক থেকে বিবেচনা করলে তিন সেশনেই বাংলাদেশকে পেছনে ফেলে লাগাম নিয়ে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রাপ্তি কেবল তাইজুল ইসলামের দুই উইকেট। অন্য বোলারদের নির্বিষ বোলিংয়ের দিনে সফরকারীদের শক্ত অবস্থানে নিয়ে গেলেন ডি জর্জি ও ট্রিস্টান স্টাবস। দুজনের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহের ভিত গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর দাঁড়িয়েছে ২ উইকেটে ৩০৭। ক্রিজে আছেন টনি ডি জর্জি (১৪১*) ও বেডিংহাম (১৮*)।
মিরপুরের তুলনায় এই ভেন্যুতে উইকেটে তুলনামূলক ব্যাটিং সহায়ক হওয়ায় একজন স্পিনার কমিয়ে বাড়তি পেসার নিয়ে নামে বাংলাদেশ। নাঈম হাসানের জায়গায় একাদশে আসেন তরুণ পেসার নাহিদ রানা। জাকের আলি অনিকের চোটের কারণে আগেরদিন স্কোয়াডে যুক্ত হওয়া কিপার-ব্যাটার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন পেয়ে যান অভিষেক ক্যাপ। আর শেষ মুহূর্তে লিটন দাস অসুস্থ হয়ে ছিটকে যান। তার বদলি হিসেবে দলে আসেন টপ অর্ডার ব্যাটার জাকির হাসান।
একাদশে বেশ কিছু পরিবর্তন আনলেও সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে এর প্রভাব পড়েছে সামান্যই। ব্যাটারদের জন্য বেশ ভালো উইকেটে পুরো দিনেই ভুগতে হয়েছে বোলারদের। বাজে বলে ব্যাটারদের জন্য কাজটা আরও সহজ করে দিয়েছেন তারা। এক তাইজুল বাদে অন্যরা কেউই পারেননি সেভাবে চ্যালেঞ্জ জানাতে। কয়েকটি ক্যাচ মিসে ফিল্ডাররাও দলের হতাশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন।
উইকেটে বোলারদের জন্য নেই বাড়তি কিছু, উইকেট পেতে তাই করতে হত বিশেষ কিছু, উপহার দিতে আগুনে স্পেল। বাংলাদেশের পেসাররা প্রথম ঘণ্টায় সেটা করতে পারেননি। তাতে ক্রমেই বাড়তে থাকে প্রোটিয়াসদের রানের চাকা। সপ্তম ওভারে হাসান মাহমুদ অবশ্য প্রায় উইকেট পেয়েই যাচ্ছিলেন, তবে কিপার অঙ্কনের ব্যর্থতায় সেটা আর হয়নি। শুরুতেই জীবন পাওয়া জর্জি শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকে এর চড়া মাশুলই দেন।
জীবন পেয়েও ইতিবাচক ব্যাটিং করতে থাকা জর্জি পরপর দুই ওভারে ছক্কা ও চার মারেন তাইজুল ও হাসানকে। অন্যপ্রান্তে এইডেন মার্করামও ভালোই ব্যাটিং করছিলেন। জুটিতে হয়ে যায় ফিফটি। ব্রেকথ্রুটা শেষ পর্যন্ত আসে প্রথম টেস্টে ৮ উইকেট পাওয়া তাইজুলের হাত ধরেই। ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান।
প্রথম সেশনে বাংলাদেশের সাফল্যের শেষ এখানেই। দ্বিতীয় সেশনে চিত্রটা হয়ে যায় আরও বাজে। প্রতি ওভারেই এক-দুটি করে বাজে বল হওয়ায় সেভাবে ব্যাটারদের ওপর চাপ বাড়ানো আর সম্ভব হয়নি। প্রথম ওভারেই অবশ্য আশা জাগিয়েছিলেন নাহিদ। তবে তাকে হতাশ হতে হয় লেগ বিফোরের আবেদন ব্যর্থ হওয়ায়। দ্বিতীয় উইকেটেও দ্রুত হয়ে যায় ফিফটি।
এই সেশনে ফিফটির দেখা পান শুরু থেকেই দারুণ ব্যাটিং করা স্টাবস। বাংলাদেশের স্পিনারদের তিনি সামলেছেন দক্ষতার সাথে। অন্যপ্রান্তে জর্জি সুযোগ বুঝে খেলছিলেন বড় শট। পরপর দুই ওভারে তাইজুল ও মেহেদি হাসান মিরাজকে ছক্কা হাঁকান দুই ব্যাটার। তাতে চাপ ক্রমেই বাড়তে থাকে তাদের ওপর।
চা বিরতির আগে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান ইতিবাচক ব্যাটিং করা জর্জি। তৃতীয় সেশনের দ্বিতীয় ওভারে মিরাজকে ছক্কা মারা স্টাবস যেভাবে ব্যাট করছিলেন, তাতে দৃশ্যমান ছিল ভীষণ আত্মবিশ্বাস। ধীরে ধীরে এগিয়ে এরপর তিনিও পেয়ে যান লাল বলের ক্রিকেটে তার প্রথম শতকের দেখা। অক্টোবর মাসটা তাতে স্মরণীয় হয়ে গেছে ডানহাতি ব্যাটারের জন্য। একই মাসে দেখা পেয়েছেন প্রথম ওয়ানডে ও টেস্ট সেঞ্চুরি।
বাংলাদেশের জন্য অবশ্য পুরো দিনে কেউই পারেননি মনে রাখার মত কিছু করতে। নির্বিষ বোলিংয়ের মাঝে যা কিছুটা আলো ছড়িয়েছেন কেবল তাইজুল। বাঁহাতি এই স্পিনারই ভাঙেন দ্বিতীয় উইকেট জুটি। নিচু হয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে ব্যাকফুটে খেলতে গিয়ে বোল্ড হন ১০৮ রানে।
জর্জির সাথে তার ২০১ রানের দ্বিতীয় উইকেটের জুটি এখন উপমহাদেশের মাটিতে টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার তৃতীয় সর্বোচ্চ এখন। ক্রিজে গিয়ে শুরুতেই তাইজুলকে ছক্কা মেরে ডেভিড বেডিংহাম বুঝিয়ে দেন, উইকেট তখনও ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভালো। আলো স্বল্পতায় দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে তাইজুলকে আরও একবার ছক্কা হাঁকান তিনি।
এরপর নতুন বল নেওয়ার এক ওভার বাদেই শেষ হয় প্রথম দিনের খেলা।
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭:৫৫ পিএম
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮:৫০ পিএম
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৫:৩৮ পিএম
মাঠে ও মাঠের বাইরে তাঁকে নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনায় মুখর সবাই। জাতীয় দলে ফিরবেন কিনা, বিপিএলে খেলবেন কিনা এতসব প্রশ্নের ভিড়েই পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ড্রাফটে নাম লিখিয়েছেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। পিএসএল তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে সাকিবের ড্রাফটে নাম তোলার খবর।
বুধবার(২৫ ডিসেম্বর) নিজেদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে পিএসএল বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের ভিডিও পোস্ট করে। “বাংলাদেশের তারকা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসান পিএসএল ড্রাফটে নাম লিখিয়েছেন।”- এই ক্যাপশনে পোস্ট করে পিএসএল।
বেশ কয়েকবারই পিএসএলে অংশগ্রহণ করেছেন সাকিব। পেশোয়ার জালেমি ও লাহোর কালান্দার্সের জার্সিতে মাঠ মাতাতে দেখা গেছে সাকিবকে। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত পিএসএলে সাকিব খেলেছেন ১৩ ম্যাচ। ১৬ গড়ে করেছেন ১৮০ রান। বল হাতে ৭.৩৯ উইকেটে নিয়েছেন ৮ উইকেট।
আগামী ৮ এপ্রিল পাকিস্তানে শুরু হবে এবারের পিএসএল। লাহোর কালান্দার্স বনাম ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে পিএসএলের ১০ম আসর। ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ১৯ মে, করাচির ন্যাশনাল ব্যাংক স্টেডিয়ামে।
ফাইনালে লক্ষ্যটা বেশ বড়ই দিয়েছিল করাচি ল’ইয়ার্স। তারপরও অবশ্য হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের। মুহাম্মেদ আবদুল্লাহর কল্যাণে করাচির দেওয়া ১৫৮ রানের লক্ষ্য এক বল আর পাঁচ উইকেট হাতে রেখে জিতে নিয়েছে লাহোর।
পঞ্চম উইকেটে মুজাফ্ফর হুসাইনের সঙ্গে ১০৫ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে ম্যাচ জেতান তিনি। প্রায় ২০০ স্ট্রাইকরেটে সমান ৫ চার ও ছয়ে খেলেন ৭৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস। তার এই বিধ্বংসি ইনিংসই মূলত জয়ের ভীত গড়ে দিয়েছে লাহোরের। আবদুল্লাহকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছিলেন মুজাফ্ফর। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে না পারলেও ঠিকই তুলে নেন অর্ধশতক।
এর আগে বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটি ক্রিকেট গ্রাউন্ডের ফাইনালে টস জিতে ব্যাটিং করে ১৫৭ রান সংগ্রহ করে করাচি।দলের হয়ে দুটি ত্রিশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছেন আসাদ আব্বাসি (৩৩*) ও মুহাম্মেদ উমের (৩৪)।
গত ২০ ডিসেম্বর ছয় দল নিয়ে পর্দা উঠে ল’ইয়ার্স কাপের। যেখানে পাকিস্তানের দল দুটির বাইরে বাংলাদেশ থেকে খেলেছে ৪ দল। তারা হচ্ছে- ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও সিলেট।তবে বাংলাদেশের কোনো দলই পাকিস্তানের দল দুটিকে টপকিয়ে ফাইনালের টিকেট কাটতে পারেনি। তাই বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দর্শক হয়েই ফাইনাল খেলা দেখতে হয়েছে বাংলাদেশের চার দলকে।
টুর্নামেন্টটি আয়োজন করেছে বাংলাদেশ আইনজীবী ক্রিকেট, টি স্পোর্টস এবং এইস যৌথভাবে।
বক্সিং ডে’ টেস্টের আলোয় ঝলমল করছেন ১৯ বছরের তরুণ স্যাম কনস্টাস। তারচেয়ে ১৭ বছরের বড় ভিরাট কোহলি’র ধাক্কা সামলে উজ্জ্বল তিনি এখন। কোহলি সমালোচিত হচ্ছেন, আর কনস্টাস প্রশংসায় ভাসছেন তাঁর অনবদ্য ৬০ রানের ইনিংসের জন্য। এই তরুণ যে আনপ্লেয়বল জাসপ্রীত বুমরাহ’র এক ওভারে নিয়েছেন ১৮ রান। বুমরাহকে টেস্ট ক্রিকেটে প্রায় তিন বছর এবং ৪ হাজার ৪৮৩ বল পর ছয় হজমের তিক্ততা উপহার দিয়েছেন সিডনি থেকে উঠে আসা এই ক্রিকেটার।
ডেভিড ওয়ার্নারের বিদায়ের পর থেকেই অস্ট্রেলিয়া ওপেনিংয়ে ভাল করতে পারছিল না! এমনকি মিডল-অর্ডার স্টিভেন স্মিথকে পর্যন্ত ঐখানে চেষ্টা করা হয়েছিল। ন্যাথান ম্যাকসুয়েইনি যখন ব্যর্থ হয়েছেন তখন স্যাম কনস্টাসের ওপর ভরসা করেছেন নির্বাচকরা, তার প্রতিদান তিনি দারুণ দিয়েছেন। মেলবোর্নে খেলেছেন ৬৫ বলে ৬০ রানের ইনিংস।
আরও পড়ুন
১৬ মাস পর ভিরাট কোহলির টেস্ট সেঞ্চুরি |
মাঠে নেমেই অস্ট্রেলিয়ার হয়ে একটা রেকর্ড গড়েছেন কনস্টাস। মাত্র ১৯ বছর ৮৫ দিন বয়সে টেস্ট খেলতে নেমে হয়ে গিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ ওপেনিং ব্যাটার। এরপর তো রীতিমত এক স্বপ্নের ইনিংস খেলেছেন তিনি। টেস্টে জাসপ্রীত বুমরাহকে সবচেয়ে ব্যয়বহুল ওভার উপহার দিয়েছেন। ১ ছক্কা ও ২ চারে নিয়েছেন ১৮ রান। টেস্ট অভিষেকে কোনো অস্ট্রেলিয়ানের তৃতীয় দ্রুততম অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন মাত্র ৫২ বলে।
তবে সাফল্যের কারণেই হোক, আর তাঁর তারুণ্যের কারণে হোক প্রথম সেশনের খেলা শেষে টিভিতে সাক্ষাৎকার দেন কনস্টাস। কোহলি তাঁর প্রিয় ক্রিকেটার, কেন হঠাৎই মাঠের মাঝে তাঁর সাথে ঝগড়া লাগলো? কেন সে তাকে ধাক্কা দিল? উত্তরে কনস্টাসকে দারুণ হিসেবি মনে হয়েছে,
‘আসলে আমরা দু’জনেই তখন আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। আমি ঠিক জানি না কি হয়েছিল! তখন নিজের গ্লাভস ঠিক করছিলাম। তার পরেই কাঁধে ধাক্কা খেলাম। তবে এ রকম হতেই পারে। এটাই ক্রিকেট।’
আরও পড়ুন
কোহলির সাথে পাল্লা দেয়া ঠিক হবে না, অস্ট্রেলিয়ানদের সতর্ক করলেন ক্লার্ক! |
এই ঘটনায় সুনীল গাভাস্কার দু’জনের দায় দেখলেও, রিকি পন্টিং মনে করছেন ভিরাট কোহলি ইচ্ছা করেই ধাক্কাটা দিয়েছেন কনস্টাসকে। বিশেষ করে যেভাবে কোহলি পিচের দিকে হেঁটে আসছিলেন তাতে দায়টা তাকেই নিতে হবে বলে মনে করেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক।
মাত্র ১৯ বছর বয়সে টেস্ট অভিষেক, তাও হাইভোল্টেজ বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের বক্সিং ডে ম্যাচে - স্যাম কনস্টাসের জন্য নার্ভাস হওয়ার যথেষ্ট কারণই রয়েছে। তবে তার চেয়েও কম বয়সে ব্যাগি গ্রিন পেয়েছিলেন যিনি, সেই প্যাট কামিন্স ইতিবাচক বার্তাই দিয়েছেন এই তরুণ ব্যাটারকে। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কের চাওয়া, নিজের স্বাভাবিক খেলাটাই যেন উপহার দেন কনস্টাস।
মাত্র ১১টি প্রথম শ্রেণি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতায় সিরিজের টেস্ট অভিষেক হতে যাচ্ছে কনস্টাসের। তিনি হতে যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের চতুর্থ সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট ক্রিকেটার। তবে তিনি অনুপ্রেরণা নিতে পারেন কামিন্সের কাছ থেকে, যিনি ২০১১ সালে লাল বলের ক্রিকেটে প্রথম ম্যাচ খেলেন ১৮ বছর বয়সে এবং হন ম্যাচ সেরাও।
টেস্টের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে তাই কামিন্স নিজের অভিজ্ঞতা থেকে কনস্টাসকে দিলেন নির্ভার থাকার টোটকা।
“আমি সেদিন স্যামকে বলেছিলাম যে, ‘আমার মনে আছে ১৮ বছর বয়সী হিসেবে মনে হচ্ছিল আমি আমি অনেক বেশি সুযোগ পেয়েছি, কারণ আমি তরুণ ছিলাম। বেশি চিন্তা না করার একটা ভালো দিক আছে। কারণ তখন আপনি শৈশবে বাড়ির উঠোনে যেভাবে খেলেন, সেভাবেই খেলবেন। উপভোগ করো, অতিরিক্ত চিন্তা করো না।’”
চলমান সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছেন জাসপ্রিত বুমরাহ। সিরিজে দুইবার ফাইফার পাওয়া এই পেসারের বিপক্ষে এক ট্রাভিস হেড বাদে সবাই বেশ সংগ্রাম করছেন। ফলে ওপেনার হিসেবে খেলা কনস্টাসের জন্য অপেক্ষা করছে কঠিন পরীক্ষাই। ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে তার একটি শতক আছে বটে, তবে সেই ম্যাচ খেলেননি বুমরাহ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজেকে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার পেছনে রেখেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। পুরো সিরিজেই বল হাতে দারুণ ছন্দে থাকা শেখ মাহেদি হাসান পেলেন এর দারুণ স্বীকৃতি। টি-টোয়েন্টির বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিয়ার সেরা অবস্থানে চলে এসেছেন বাংলাদেশের এই অফ স্পিনার। প্রথমবারের মত ১০ নম্বর স্থানে এখন মাহেদি। আর দুর্দান্ত ব্যাটিং করা জাকের আলি অনিক দিয়েছেন বড় লাফ, উন্নতি করেছেন ৮৫ ধাপ, এসেছেন শীর্ষ ১০০ জনের তালিকায়।
বুধবার প্রকাশিত হয়েছে আইসিসির সাপ্তাহিক হালনাগাদ। আর সেখানে ১৩ ধাপ এগিয়ে শীর্ষ দশের মধ্যে চলে এসেছেন মাহেদি। এক্ষেত্রে বিবেচনায় সিরিজের শেষ দুই ম্যাচে পারফরম্যান্স। প্রথম ম্যাচে চার উইকেট নেওয়ার পর এই দুই ম্যাচে আরও চার উইকেট শিকার করেন এই ডানহাতি স্পিনার। মাহেদির রেটিং পয়েন্ট ৬৩৬।
অভিজ্ঞ পেসার তাসকিন আহমেদ শেষ দুই ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে চলে এসেছেন সেরা বিশের মধ্যে। মাহেদির ঠিক পরের স্থানেই আছেন তিনি। ৭ ধাপ এগিয়েছেন তিনি। রেটিং পয়েন্ট ৬৩০।
আরও পড়ুন
জাকের ঝড়ে ক্যারিবিয়ানদের ধবলধোলাই করল বাংলাদেশ |
২১ ধাপ উন্নতি করে সেরা বিশে এসেছেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনও। ২১ ধাপ উন্নতিতে তার অবস্থান ১৭তম। এই সিরিজ না খেলা মুস্তাফিজুর রহমান ৭ ধাপ পিছিয়ে চলে গেছেন ২৬তম স্থানে।
তবে বড় উন্নতি করেছেন তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ। ২৩ ধাপ এগিয়ে এখন তার অবস্থান ২৪তম। ১৬ ধাপ উন্নতিতে যৌথভাবে ৪৫তম স্থানে এখন পেস বোলিং অলরাউন্ডার তানজিম হাসান সাকিব।
ব্যাটারদের মধ্যে বাংলাদেসের সেরা ছিলেন জাকের। সিরিজে সর্বোচ্চ ১২০ রান করার পথে ঝড় তোলেন শেষ ম্যাচে। খেলেন ক্যারিয়ার সেরা ৭২ রানের ইনিংস। কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে যৌথভাবে ৮৭ নম্বরে আছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। দুজনের রেটিং পয়েন্ট ৩৯১।
আরও পড়ুন
শান্তর ফিফটির পর জাকেরের ক্যামিওতে বাংলাদেশের লড়াকু স্কোর |
ব্যাটারদের তালিকায় সেরা ৩০-মধ্যে নেই বাংলাদেশের কোনো ব্যাটার। পুরো ক্যারিবিয়ান সফর মিস করা তরুণ ব্যাটার তাওহিদ হৃদয় দুই ধাপ পিছিয়ে নেমে গেছেন ৩১ নম্বরে। ২০ ওভারে সিরিজে অধিনায়কত্ব করা লিটন দাস তিন ম্যাচেই ছিলেন ব্যর্থ। এক ধাপ পিছিয়ে তার অবস্থান এখন ৪৭তম।
সিরিজে ৮ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতেও অবদান রাখেন মাহেদি। ব্যাট হাতে করেন ৩৭ রান। এতে অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে ১০ ধাপ উন্নতি হয়েছে তার। এখন আছেন ৩০তম স্থানে।
৬ দিন আগে
৯ দিন আগে
২০ দিন আগে
২০ দিন আগে
২১ দিন আগে
২২ দিন আগে
২৩ দিন আগে