৯ নভেম্বর ২০২৪, ৭:৫৫ পিএম
পিচ রিপোর্টে রমিজ রাজা বলেছিলেন, ২৫০ রান লক্ষ্য রেখে ব্যাট করতে হবে। শুরুটা ধীরগতির হলেও অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্তর দায়িত্বশীল ইনিংসে আড়াইশ ছাড়ানো স্কোরে দিকে ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। তবে আরও একবার মিডল অর্ডার ব্যর্থ হওয়ার চাপে পড়ে গিয়েছিল সফরকারীদের। তবে অভিষিক্ত জাকের আলি অনিকের শেষের দিকে খেলা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ক্যামিওতে আফগানিস্তানকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দিতে পারল বাংলাদেশ।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাটিং নেওয়া বাংলাদেশ ৫০ ওভারে বোর্ডে জমা করেছে ৭ উইকেটে ২৫২ রান। সর্বোচ্চ ৭৭ রান করেছেন অধিনায়ক শান্ত।
আরও পড়ুন
এনসিএলে অমিত হাসানের সেঞ্চুরি |
প্রথম ওয়ানডেতে মাত্র ২৩ রানে শেষ ৮ উইকেট হারানো বাংলাদেশ এদিন কিছুটা সাবধানী ব্যাটিংয়েই শুরু করে। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। তিন চার ও এক ছক্কায় আভাস দিচ্ছিলেন দারুণ কিছুর। তবে আগের ম্যাচে ছয় উইকেট নেওয়া আল্লাগ গাজানফারের প্রথম শিকার হয়ে শেষ হয় তার পথচলা। তার আগে করেন ১৭ বলে ২২।
টানা দ্বিতীয় ম্যাচে দ্বিতীয় উইকেটে ফিফটি জুটি উপহার দেন শান্ত ও অভিজ্ঞ সৌম্য সরকার। আফগান বোলারদের খুব ভালোভাবেই সামাল দিয়ে তার ভিত গড়েন বড় স্কোরের। বড় একটি ইনিংস খেলা যখন উচিত, সেই সময়েই সেট হয়ে আউট হয়ে যান সৌম্য, যেখানে তার ও শান্ত দুজনের দায় আছে বেশ। রশিদ খানের যে ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হন সৌম্য, সেখানে বল পিচ করেছিল লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে। রিভিউ নিলেই বেঁচে যেতে তিনি। তবে সেটা না নিয়ে সাজঘরের পথে হাঁটা দেন ৩৫ রানে।
চারে নামা মেহেদি হাসান মিরাজ তার ২২ রানের ইনিংসে কোনো চার বা ছয় না মারলেও শান্তকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন ভালোই। বোল্ড করে তাকে থামান রশিদ। এরপর একটা ছন্দপতন হয় বাংলাদেশের। দারুণ ব্যাটিং করা শান্ত ফিফটি করে এগিয়ে যাচ্ছিলেন শতকের দিকে। তার ব্যাটে বড় রানের দিকেই তাকিয়ে ছিল দলও, কারণ এই উইকেটে নতুন ব্যাটারদের জন্য রান করাটা কঠিন।
আরও পড়ুন
সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে আগে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে নাসুম |
তবে সেঞ্চুরি থেকে ২৩ রান দুরত্বে বিদায় নেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ঠিক তার আগে ও পরে লুজ শট খেলে আউট হয়ে দলকে বিপদেই ফেলে দেন তাওহীদ হৃদয়। ১৮৪ রানে ৬ উইকেট তখন বাংলাদেশের।
তবে সাথে নামা জাকের প্রথমে নাসুমের সাথে জুটিতে ও পরে একাই শেষ পর্যন্ত লড়ে যান একটা ভালো স্কোর এনে দিতে। এই ম্যাচ দিয়ে একাদশে আসা নাসুম ২৪ বলে খেলেন ২৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। তার বিদায়ের পর বাংলাদেশের ২৫০ রান পার করার মূল কৃতিত্ব জাকেরের। ফজলহক ফারুকির এক ওভারে বিশাল দুটি ছক্কা হাঁকানোর পর খেলেন আরও নজরকারড়া কিছু শট। বাঁহাতি এই পেসারের করা ইনিংসের শেষ বলে মারেন আরেকটি ছক্কা।
শেষ পর্যন্ত এই কিপার-ব্যাটার ২৭ বলে অপরাজিত থাকেন ৩৭ রানে। ৩ ছক্কার সাথে চার মারেন একটি।
১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৬:৪৩ পিএম
ব্রিসবেনে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২৯ রানে হেরেছে পাকিস্তান । ৭ ওভারের ম্যাচে প্রায় অলআউটই হয়ে যাচ্ছিল রিজওয়ানের দল। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ৬৪ রানে থামে তারা।
বৃষ্টির কারণে ২০ ওভারের ম্যাচটি নেমে আসে ৭ ওভারে। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়া শাহিন শাহ আফ্রিদির প্রথম ওভারেই তোলে ১৬ রান। পরের ওভারে নাসিম শাহর ওভারে আরও ১৭। পুরোদমে ঝড়ো ইনিংস চলছিল দলটার। তবে ৩ ওভারের মাঝেই ২ ওপেনারকে ফেরান হারিস রউফ ও নাসিম শাহ।
আরও পড়ুন
অস্ট্রেলিয়া সিরিজে পাকিস্তান দলে বাবর-শাহিন-নাসিম |
এরপর কাজের কাজটা মূলত করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৫ টি চার ও ৩ টি ছক্কায় ১৯ বলে খেলেন ৪৩ রানের ঝড়ো ইনিংস। তাকে সঙ্গ মার্কাস স্টোইনিস। ৭ বলে করেন ২১। ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বোর্ডে ওঠে ৯৩ রান।
৪২ বলে ৯৪ রানের লক্ষ্যটা পাকিস্তানের জন্য হয়ে পড়ে কঠিন। একের পর এক উইকেট হারিয়ে রিজওয়ানরা পড়েন আরো চাপে। পাকিস্তানের ইনিংসে হাসিবুল্লাহ খানের ১২, আব্বাস আফ্রিদির ২০ ও শাহিন শাহ আফ্রিদির ১১ ছাড়া বাকি সবার রান এক অঙ্কের ঘরে।
৭ ওভারেই ৯ উইকেট হারিয়ে দল থামে ৬৪ রানে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৬টি উইকেট নেন দুই পেসার জাভিয়ের বার্টলেট ও নাথান এলিস। অ্যাডাম জ্যাম্পা ২ টি ও স্পেন্সার জনসন নেন ১ টি উইকেট।
আরও পড়ুন
শাহিন-নাসিম-রউফ তোপে উড়ে গেল অস্ট্রেলিয়া, সিরিজ জয় পাকিস্তানের |
২৯ রানের এই জয়ে ৩ ম্যাচের সিরিজে ১-০–তে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: অস্ট্রেলিয়া বনাম পাকিস্তান
অস্ট্রেলিয়া: ৯৪/৪ (৭); (গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৪৩(১৯), মার্কাস স্টয়নিস ২১(৭)
আব্বাস আফ্রিদি ২/৯, হারিস রউফ ১/২১)
পাকিস্তান: ৬৪/৯ (৭); আব্বাস আফ্রিদি ২০*(১০), হাসিবউল্লাহ খান ১২(৮)
নাথান অ্যালিস ৩/৯, জাভিয়ের বার্টলেট ৩/১৩
পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। এবছরের শেষের দিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের অধীনে এই ট্রফি ঘুরবে একাধিক দেশ। যেখানে থাকবে বাংলাদেশও।
এর আগে ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় একাধিক ট্রফি এসেছে ক্রিকেট জনপ্রিয়তার বাংলাদেশে। এবারও চ্যাম্পিয়ন ট্রফি আসবে বাংলাদেশে।
১০ ডিসেম্বর চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আসবে ঢাকায়। থাকার কথা তিন দিন। ১১ ডিসেম্বর থেকে শুরু ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চ্যাম্পিয়নস ট্রফি বাংলাদেশে থেকে ঘুরবে ঢাকা আর কক্সবাজার। বিসিবি সূত্র নিশ্চিত করেছে টি-স্পোর্টসকে।
৮ বছর পর মাঠে গড়াবে চ্যাম্পিয়নস লিগ। এর আগে সবশেষ ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই টুর্নামেন্ট, যেখানে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান।
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৩ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
৮ দিন আগে
১৯ দিন আগে