১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫:৫৯ পিএম
প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের আগে ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র কিছুটা বিস্ময়ের জন্ম দিয়েই ঘোষণা দেন, ২০২৬ বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলবে তার দল। তবে বাছাইয়ে ধুঁকতে থাকা দলটির মাঠের খেলায় এর নেই কোনো প্রভাব। প্যারাগুয়ের কাছেও হেরে যাওয়ার পর অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার মারকুইনহোস বলেছেন, দল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন কোচ আর সেটার প্রভাবই দেখা যাচ্ছে তাদের খেলায়।
সেই কাতার বিশ্বকাপ থেকেই কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ব্রাজিল। বিশ্ব ফুটবলের সমীহ জাগানিয়ে দলটি ক্রমেই যেন নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে। নেই কোনো ধারাভিকতা। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের শুরু থেকে বাজে পারফরম্যান্স উপহার দেওয়া দলটি কোপা আমেরিকায় বিদায় নেয় শেষ আট থেকে। বাছাইয়ে কয়েকদিন আগে ইকুয়েডরকে হারালেও প্যারাগুয়ের কাছে ১-০ গোলে হেরে গেছে দরিভালের দল।
আরও পড়ুন: ১৬ বছর পর প্যারাগুয়ের কাছে হারলো ব্রাজিল
ম্যাচের পর ব্রাজিলিয়ান টিভি গ্লোবোর সাথে আলাপচারিতায় মারকুইনহোস চাপে থাকা কোচের পক্ষে ঢাল ধরেন। “কোচ এখনও আমাদের সেরা ফুটবল খেলার উপায় খুঁজে বের করছেন। ফলাফলে সেটাই প্রতিফলিত হয়েছে। দলে অনেক নতুন খেলোয়াড় আছে, আমাদের মাঝে আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে। (বিশ্বকাপে খেলার) যোগ্যতা অর্জন করা সহজ কাজ নয়, এটা একটা কঠিন সময় এবং কীভাবে এটা পার করতে হবে আমাদের তা জানতে হবে। এটি একটি উত্তরণের সময়, আমরা মোটেও আত্মবিশ্বাসী নই। আমরা কঠোর পরিশ্রম করতে যাচ্ছি, যাতে মাঠের ফলাফল দিয়ে সবকিছুর উত্তর দেওয়ার যায়।”
ম্যাচের ২০তম মিনিটে একমাত্র গোলটি করেন দিয়েগো গোমেজ, যা প্যারাগুয়েকে এনে দেয় ১৪ বছর পর ব্রাজিলের বিপক্ষে প্রথম জয়। আর বাছাইয়ে টেনেটুনে এগিয়ে যাওয়া পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের এটি নিজেদের শেষ চার ম্যাচে তৃতীয় পরাজয়। ম্যাচে হতশ্রী ফুটবল খেলা ব্রাজিল প্রথমার্ধে গোলের জন্য একটি শটও নিতে পারেনি।
এই ম্যাচের পর সাত ম্যাচে তিন জয়, এক ড্র ও তিন হারে ১০ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকা অঞ্চল থেকে বাছাইয়ের শীর্ষ ছয়টি দল সরাসরি জায়গা পাবে ২০২৬ বিশ্বকাপে।
২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১:২৪ পিএম
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩:৪৬ পিএম
গেল অক্টোবরে চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরেছিলেন নেইমার। তবে দুই ম্যাচ খেলে আবারও চোটের হানায় ছিটকে যান আল হিলাল তারকা। যাচ্ছেন পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে। এমন কঠিন সময়ে ব্রাজিলিয়ান তারকা অবশ্য পেয়েছেন খুশির খবর। বুধবার নেইমারের সঙ্গী ব্রুনা বিয়ানকারদি জানান দিয়েছেন আবারও বাবা হতে চলছেন আল হিলাল তারকা।
সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় ব্রুনা নিশ্চিত করেন এই দম্পতির অনাগত সন্তানের খবর। জানিয়েছেন, তাদের কোল আলো করে আসছে একটি মেয়ে সন্তান। এটি এই দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান।
আরও পড়ুন
সংশয়ের মেঘ সরিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান নেইমার |
২০২২ সালে ব্রুনার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন নেইমার। নতুন সন্তানের সুখবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ব্রুনা,
“আমরা বেশ দারুণ একটা সময় পার করছি। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ তিনি আমাদের আবারও এমন আনন্দের মুহূর্ত এনে দিয়েছেন। স্বাগতম কন্যা! ঈশ্বর তোমাকে সব সব ধরনের খারাপ দৃষ্টি থেকে রক্ষা করুক।”
নেইমার এই নিয়ে চতুর্থ বারের মত বাবা হতে যাচ্ছেন। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই প্রথমবার বাবা হন সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড। নেইমারের প্রথম ছেলে ডেভিড লুকার বয়স ১৩। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেইমারের সাথে নিয়মিতই দেখা যায় লুকাকে।
আরও পড়ুন
নেইমারের সান্তোসে যাওয়ার গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন এজেন্ট |
অন্যদিকে ব্রুনার সাথে তার প্রথম সন্তান মাভির বয়স দেড় বছর। আর আমান্দা কিমবার্লির সাথে তার মেয়ে হেলেনের বয়স পাঁচ মাস। তার মধ্যে আবারও ব্রুনার সাথে নতুন সন্তানের সুখবর পেলেন নেইমার।
শেষ ১২ ম্যাচের মধ্যে নয় ম্যাচেই হার দেখেছে ম্যানচেস্টার সিটি। নেমে গেছে পয়েন্ট টেবিলের সাত নম্বরে। পড়তি ফর্মে তৈরি হয়েছে সিটিজেনদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলা নিয়ে শঙ্কা। যা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন খোদ পেপ গার্দিওলা। বলছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে টানা জয়ের বিকল্প নেই।
গেল ১৪ মৌসুম টানা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলে গেছে সিটি। শেষ সাত মৌসুমের মধ্যে ছয়বারই তারা জিতেছে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা। তবে গার্দিওলার দল এবার নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে। পয়েন্ট টেবিলে অবস্থানটা সাতে হলেও পেছনে থাকা ক্লাবগুলোর সাথে পয়েন্টের ব্যবধানটা খুব একটা বেশি না। তাতে এক হারে পয়েন্ট টেবিলে আরও পিছিয়ে যাওয়ার শঙ্কা আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।
আরও পড়ুন
কঠিন সময়েও গার্দিওলার উপর আস্থা হারাচ্ছেন না হলান্ড |
সিটিকে সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছানো গার্দিওলাও মানছেন তা। এভারটনের সাথে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করেছেন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা পাওয়া নিয়ে শঙ্কার কথা,
“আমি যখন বলেছিলাম চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা পাওয়াটা বড় অর্জন, তখন লোকজন হেসেছিল। এখন তারা বুঝতে পারছে। কিন্তু আমি জানি এই লিগে এমনটা হয়। লম্বা সময় আধিপত্য ধরে রাখলেও পরে তারা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা পাতেই কষ্ট করতে হয়। অনেক বছর আমরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দাপট দেখিয়েছি, এখন আমাদের জায়গা পাওয়া নিয়েই শঙ্কা।”
অর্ধেক মৌসুম প্রায় শেষ। তাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা পাকা করতে হলে টানা জয়ের বিকল্প নেই বলেই মানছেন গার্দিওলা,
“চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা পাওয়া নিয়ে এখানে প্রতিযোগী অনেক। প্রতিটা দলের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ। যদি আমরা ম্যাচ না জিতি, তাহলে এই দৌড় থেকে অনেকটাই ছিটকে যাবো। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে না পারলে, মানতে হবে আমরা সেটার প্রাপ্য না। বুঝতে হবে নিজেদের সমস্যার সমাধান আমরা খুঁজে পাইনি।”
সিটিতে চুক্তি নবায়ন নিয়ে আক্ষেপ নেই গার্দিওলার |
অর্ধেক মৌসুম প্রায় শেষ। বছরের প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে নিজ নিজ দলের হয়ে ছন্দে আছেন ইউরোপের শীর্ষ পাঁচটি লিগের তারকা ফরোয়ার্ডরা। লিভারপুলের হয়ে অদম্য গতিতে ছুটছেন মোহামেদ সালাহ, বার্সেলোনার হয়ে ফর্মে আছেন রাফিনিয়া-রবার্ট লেভানদফস্কিরা। বুন্দেসলিগায় রাজত্ব চলছে হ্যারি কেইনের। সাম্প্রতিক সময়ে ছন্দ ফিরে পেয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা কিলিয়ান এমবাপেও। সব মিলিয়ে এবারে গোল্ডেন বুট জেতার লড়াইটা তাই বেশ জমে উঠেছে।
চলুন দেখে নেওয়া যাক, বক্সিং ডে-এর আগে ইউরোপিয়ান গোল্ডেন বুট জেতার দৌড়ে যারা এগিয়ে আছেন, তাদের তালিকা।
রবার্ট লেভানদফস্কি - ১৬
চলতি মৌসুমে উড়ন্ত শুরু পেয়েছেন লেভানদফস্কি। বার্সেলোনার মত শুরুটা ভালো করলেও শেষ চার ম্যাচে পাননি কোনো গোলের দেখা। বরং সহজ সব সুযোগ হাতপছাড়া করে হচ্ছেন সমালোচিত।
আরও পড়ুন
গোল্ডেন বুট জিতলেন ফাইনালের নায়ক লাউতারো, সেরা খেলোয়াড় হামেস |
সমালোচনা ঝেঁকে ধরলেও অর্ধেক মৌসুম শেষে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা পোলিশ এই স্ট্রাইকার। লা লিগায় ১৮ ম্যাচ খেলে করেছেন ১৬ গোল। নামের পাশে আছে দুই অ্যাসিস্ট। তাতে অর্ধেক মৌসুম শেষে গোল্ডেন বুট জেতার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে ৩৬ বছর বয়সী এই তারকা।
মোহাম্মেদ সালাহ - ১৫
লিভারপুলের সাথে এই মৌসুমে চুক্তিটা শেষ হওয়ার কথা মোহামেদ সালাহর। চুক্তির মেয়াদ কয়েক মাস বাকি থাকলেও এখনো নতুন চুক্তির প্রস্তাব মেলেনি। তবে প্রতিটা ম্যাচেই মিশরীয় তারকা মনে করিয়ে দিচ্ছেন নতুন চুক্তিটা তার প্রাপ্য।
সালাহ ৩২ বছর বয়সে ছুটছেন দুর্বার গতিতে। এরই মধ্যে প্রিমিয়ার লিগে ১৬ ম্যাচে করে ফেলেছেন ১৫ গোল। নামের সাথে আছে ১১ অ্যাসিস্ট। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সালাহ গোল্ডেন বুট জেতার দৌড়ে আছেন বেশ ভালোভাবেই।
হ্যারি কেইন - ১৪
গেল মৌসুমের মত এই মৌসুমেও হ্যারি কেইন ছুটছেন একই ছন্দে। ইংলিশ অধিনায়ক এরই মধ্যে বায়ার্ন মিউনিখে হয়ে করে ফেলেছেন ১৪ গোল। বুন্দেস লিগায় সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় সবার উপরের নামটা ইংল্যান্ড অধিনায়কেরই। আর ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের সর্বোচ্চ গোলের হিসেবে কেইন আছেন তিন নম্বরে।
আর্লিং হলান্ড - ১৩
মৌসুমের শুরুটা দারুণ করেছিলেন আর্লিং হলান্ড। তবে সময় যত গড়িয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি যেমন হোঁচট খেয়েছেন, তেমনি হোঁচট খেয়েছেন হলান্ডও। যদিও গোলের দিক থেকে খুব একটা পিছিয়ে নেই নরওয়ে তারকা। ১৭ ম্যাচ খেলে করেছেন ১৩ গোল। এর মধ্যে প্রথম পাঁচ ম্যাচেই ছিল ১০ গোল। মৌসুমের বাকি সময়ে হলান্ডের সামনে সুযোগ আছে গোল্ডেন বুট জেতার দৌড়ে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।
আরও পড়ুন
ফাইনালে গোল না পেলে এককভাবে গোল্ডেন বুট পাবেন না কেইন-ওলমো |
মার্কস থুরাম - ১২
সেরি আ-তে মার্কাস থুরাম আছেন দারুণ ছন্দে। এরই মধ্যে ১৬ ম্যাচ খেলে করে ফেলেছেন ১২ গোল সেই সাথে আছে ৬ অ্যাসিস্টও। তার সমান সংখ্যক গোল আছে আতালান্তা স্ট্রাইকার মাতেও রেতেগির। আতালান্তার চলন্ত মৌসুমের সাফল্যের অন্যতম কারিগর ইতালিয়ান এই স্ট্রাইকার।
রাফিনিয়া - ১১
চলতি মৌসুমে নিজেকে যেন নতুন করে চিনিয়েছেন রাফিনিয়া। প্রতিটা ম্যাচেই নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। সব মিলিয়ে ১৯ ম্যাচ খেলে করেছেন ১১ গোল, সাথে আছে ৮ অ্যাসিস্ট। তাতে গোল্ডেন বুট জেতার দৌড়ে এগিয়ে আছেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড।
জনাথন ডেভিড - ১১
লিগ আ এবার কিছুটা জৌলুস হারিয়েছে। পিএসজির ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলস্কোরার কিলিয়ান এমবাপের বিদায়ে স্বাভাবিকভাবেই ফ্রান্সের শীর্ষ লিগে এখন নেই শীর্ষ মাপের তারকা। ১৫ ম্যাচে ১১ গোল নিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন লসের স্ট্রাইকার জনাথন ডেভিড।
কিলিয়ান এমবাপে - ১০
পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়ে লা লিগায় এমবাপের শুরুটা হয়েছিল ভুলে যাওয়ার মতই। চোট আর সহজ সব সুযোগ মিসে ফরাসি অধিনায়ক নিয়মিতই ছিলেন শিরোনামে। তবে গেল কয়েক ম্যাচে এমবাপের খেলায় দেখা মিলছে চেনা ছন্দ। সব মিলিয়ে লা লিগায় এমবাপে ১৬ ম্যাচ খেলে ১০ গোলের পাশাপাশি করেছেন ২ অ্যাসিস্টও।
ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে চার লিগেই চলছে শীতকালীন ছুটি। ব্যতিক্রম কেবল প্রিমিয়ার লিগে। বড় দিনের ছুটিতেও প্রিমিয়ার লিগে আছে ব্যস্ত সূচি। অবশ্য এমনটা নতুন। বক্সিং ডে ম্যাচ নিয়ে ইংলিশ সমর্থকদের উন্মাদনা বেশ আগে থেকেই।
দর্শক চাহিদার কথা মাথায় রেখে প্রিমিয়ার লিগ কতৃপক্ষ রাখে বড় দলগুলোর ম্যাচ। ২৬ ডিসেম্বর যার শুরুটা হবে এভারটন ও ম্যানচেস্টার সিটির ম্যাচ দিয়ে। নিজেদের হারিয়ে খোঁজা সিটিজেনদের সুযোগ মিলছে বক্সিং ডে তে নিজেদের খুঁজে পাবার।
ম্যাচ আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-লিভারপুলেরও।
বক্সিং ডি তে মাঠে নামছেন যারা
মানচেস্টার সিটি- এভারটন
বার্নমাউথ- ক্রিস্টাল প্যালেস
চেলসি- ফুলহাম
নিউক্যাসেল ইউনাইটেড- অ্যাস্টন ভিলা
নটিংহাম ফরেস্ট- টটেনহাম হটস্পার
সাউদাম্পটন- ওয়েস্ট হাম
উলভস- ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
বছরের এই সময়ে প্রিমিয়ার লিগের দলগুলোর থাকে বাড়তি ব্যস্ততা। বক্সিং ডে ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্স দিয়ে দর্শকদের পাশাপাশি নিজেরাও ক্রিসমাস উদযাপনের দারুণ এক উপলক্ষ্য পান খেলোয়াড়রা। স্বাভাবিকভাবেই একটা আনন্দময় আবহ বিরাজ করে ক্লাবগুলোর মধ্যে। তবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে কঠিন সময় পার করা রুবেন আমোরিমের মনে নেই সেই আনন্দ। পর্তুগিজ কোচ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ক্রিসমাস নিয়ে ভাবার সময় নেই তার।
আমোরিম গত মাসে যখন ইউনাইটেডের দায়িত্ব নেন, তখন প্রিমিয়ার লিগের দলটি ছিল ১৪তম স্থানে। তার কোচিংয়ে ছয় ম্যাচে দুটিতে জয়, তিনটিতে হার এবং একটি ড্র করেছে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের দলটি। ফলে ক্রিসমাস ডে-তে ইউনাইটেড থাকবে ১৩তম স্থানে, যা ১৯৮৬ সালের পর মৌসুমের এই সময়ে দলটির সবচেয়ে বাজে অবস্থান। সবশেষ দুই ম্যাচে টানা হেরে যাওয়ায় বক্সিং ডে-তে উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সের বিপক্ষে ম্যাচে চাপেই থাকবে ইউনাইটেড।
ফলে ক্রিসমাস নিয়ে আলাদাভাবে চিন্তা করার সুযোগ পাচ্ছেন না আমোরিম।
“আমি শুধু জিততে চাই। আমি ক্রিসমাসকে আসলেই পাত্তা দিই না। পরের ম্যাচটা জিততে হবে, আমি শুধু সেদিকেই মনোযোগ দিচ্ছি। এটাই এখন আমার একমাত্র চিন্তা।”
ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোর মধ্যে প্রিমিয়ার লিগেই কেবল বক্সিং ডে ম্যাচ হয়। নিজের মনে খুশির আবহ না থাকলেও এই ম্যাচ জিতে ভক্তদের মাঝে আনন্দ ছড়িয়ে দিতে চান আমোরিম।
“আমরা বক্সিং ডে-তে ভক্তদের কিছু আনন্দ উপহার দিতে আমরা (ইংল্যান্ডে) বিশেষভাবে সৌভাগ্যবান। আমরা যেভাবেই হোক, ম্যাচটা জিততে চাই।”
প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে টানা দুই হারের অভিজ্ঞতা হয়েছে ইউনাইটেডের। এরিক টেন হাগের স্থলাভিষিক্ত হওয়া আমোরিমের জন্য তাই নতুন অধ্যায়ের শুরুটা হয়ে গেছে বেশ কঠিন। রক্ষণ থেকে আক্রমণ, সব জায়গাতেই সংগ্রাম করতে হচ্ছে দলটিকে। তারকা স্ট্রাইকার মার্কাশ রাশফোর্ডও নেই ছন্দে, ফলে তাকে শেষ তিন ম্যাচে স্কোয়াডের বাইরে রেখেছেন আমোরিম।
কী করলে দলের সমস্যার সমাধান হবে, সেটা যেন ধরতে পারছেন না ৩৯ বছর বয়সী এই কোচ নিজেও।
“এটা আমাদের ক্লাবের সবচেয়ে খারাপ সময়ের মধ্যে একটি। আমাদের এটা মোকাবেলা করতে হবে এবং শক্তিশালী হতে হবে। আমার যদি জানা থাকত, তাহলে আমি এই ক্লাবের সব সমস্যার সমাধান করে ফেলতাম।”
৫ দিন আগে
৮ দিন আগে
১৮ দিন আগে
১৯ দিন আগে
২০ দিন আগে
২১ দিন আগে
২২ দিন আগে