মুশফিকুর রহিম ৬ রানে অপরাজিত আছেন দুই রাত ধরে, অর্থাৎ এই একই রান নিয়ে তিনি টানা দুই রাতে বিছানায় গেছেন। খেলছেন তাঁর ৯২ নাম্বার টেস্ট, রান ৫৯১৯ (অপরাজিত ৬ সহ)! অর্থাৎ আর ৮১ রান করলেই তিনি হবেন প্রথম বাংলাদেশি যিনি কিনা টেস্টের ছয় হাজারি রান ক্লাবে ঢুকবেন।
পাঁচ হাজার ক্লাবে আছেন আরেক বাংলাদেশি তামিম ইকবাল। ৭০ টেস্ট খেলা এই ওপেনার ১০ সেঞ্চুরিতে করেছেন ৫১৩৪ রান। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে তামিমকে আর কখনোই সাদা পোষাকে দেখা যাবে না জাতীয় দলের হয়ে। আনুষ্ঠানিক অবসর না নিলেও কানপুর টেস্টে ধারাভাষ্য দিচ্ছেন তিনি। কমেন্ট্রি বক্সে বসে তিনিও নিশ্চয় চাইছেন একটা বড় ইনিংস খেলুক মুশফিক।
সাকিব খেলছেন তাঁর ৭১ নাম্বার টেস্ট, তাঁর রান ৪৬০০। তিনি তো অবসরের ঘোষণাই দিয়ে ফেলেছেন। মিরপুরে খেলার সুযোগ না পেলে চলমান কানপুর টেস্টই হয়ে যেতে পারে সাকিবের শেষ টেস্ট। চারে আছেন মুমিনুল হক। ৬৫ টেস্ট খেলা ব্যাটসম্যানের রান ৪১৯৬ (অপরাজিত ৪০ পর্যন্ত)। একমাত্র তাকেই শুধু মনে হচ্ছে মুশফিকের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন, যদিও দু’জনের রানের ব্যবধান এখনও বিস্তর!
ভবিষ্যতে মুশফিক-মুমিনুলকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারেন- এমন ব্যাটার দু’জন- লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত। লিটনের রান এখনও তিন হাজার ছাড়ায়নি, শান্ত পৌঁছাতে পারেননি দু’ হাজারের ক্লাবেও। আর তাইতো আপাতত লড়াইটা মুশফিক আর মুমিনুলের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকছে!
বয়সটা মুশফিকের ৩৭, মুমিনুলের ৩৩। মুশফিকের মূলত অপেক্ষা শত টেস্ট খেলার। তবে মুমিনুলের ক্যারিয়ারটা আরও দীর্ঘ হওয়ার সম্ভাবনা আছে তাঁর বয়সের কারণে।