এমন লজ্জা সান্তিয়াগো বার্নাব্যু-তে শেষ কবে পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ তা মনে করাই দুষ্কর। ঘরের মাঠে রিয়ালকে নিয়ে তারুণ্য নির্ভর বার্সেলোনা রীতিমত ছেলে-খেলাই করেছে। উড়িয়ে দিয়েছে ৪-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে। তাতে রিয়ালের টানা ৪২ ম্যাচ ধরে লা লিগায় অপরাজিত থাকার রেকর্ডটাও ভেঙেছে হান্সি ফ্লিকের দল। সে সাথে অক্ষত রেখেছে নিজেদের সর্বোচ্চ ৪৩ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড।
এদিন দুই অর্ধে দেখা মিলেছে দুই দলের দাপট। প্রথমার্ধে রিয়াল দাপট দেখালেও পায়নি গোলের দেখা, অন্যদিকে বার্সেলোনা দ্বিতীয়ার্ধে সবগুলো সুযোগই লুফে নিয়েছে। সেই সাথে বার্নাব্যু-তে রিয়ালকে দিয়েছে অস্বস্তিকর এক অভিজ্ঞতাই।
আরও পড়ুন
রিয়ালের রেকর্ড নাকি বার্সার চমক? |
ম্যাচ শুরুর আগেই এদিন আলোচনায় ছিল বার্সেলোনার হাই লাইন ডিফেন্স। রিয়ালের সাথে সেটা কতটা কার্যকর হয় তা নিয়ে ছিল শঙ্কা। তবে এমবাপে, ভিনিসিয়ুসদের বারবার অফ সাইডের ফাঁদে ফেলে ফ্লিকের শিষ্যরা প্রমাণ করেছেন এই ট্যাকটিক্সে তাদের পক্ষে সম্ভব সফল হওয়া। সব মিলিয়ে ম্যাচে রিয়ালকে ১২ বার অফসাইডে ফেলেছে কুবরাসি, ইনিগো মার্তিনেজরা।
ম্যাচের ৫৮ শতাংশ বলই ছিল রিয়ালের দখলে। এক্সপেক্টেড গোল রেশিও কিংবা অন টার্গেট শট সব কিছুতেই এগিয়ে ছিল কার্লো আনচেলত্তির দল। ৭ অন টার্গেট শট নিয়েও গোলের খাতা খুলতে পারেনি লা লিগার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
প্রথমার্ধে দাপট দেখিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। একের পর এক আক্রমণে তারা বারবারই পরীক্ষা নিয়েছে বার্সেলোনা রক্ষণের। যদিও শেষ পর্যন্ত তাদের আটকে যেতে হয়েছে বার্সার হাই লাইন ডিফেন্সের সামনে। প্রথম ৪৫ মিনিটে এমবাপে, ভিনিসিয়ুসদের ৯ বার অফ সাইডের কাটায় ফেলেছে হান্সি ফ্লিকের দল। যেখানে বাতিল হয়েছে ৩০ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপের করা দারুণ গোলও।
আরও পড়ুন
মেসিদের শহরে লা লিগার ম্যাচ খেলবে বার্সা? |
বল দখল, কিংবা সুযোগ তৈরিতে এগিয়েছিল ছিল রিয়াল। তবে এর মাঝেও গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল বার্সেলোনা। লামিন ইয়ামাল, রাফিনিয়াদের দুর্বল ফিনিশিংয়ের গোল পাওয়া হয়নি কাতালানদের। অন্যদিকে রিয়ালের হয়ে বেশ কিছু সহজ সুযোগ মিস করেন এমবাপে, ভিনিসিয়ুস ও বেলিংহাম। তাতে প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্যতে।
বিরতি থেকে ফিরেই বদলে যায় বার্সেলোনা। বাড়ায় আক্রমণের ধার। তাতে সফল্য মিলতে খুব একটা অপেক্ষা করতে হয়নি বার্সাকে। ৫৪ মিনিটে কাসাদোর দারুণ এক পাস থেকে বার্সেলোনাকে এগিয়ে দেন রবার্ট লেভানদফস্কি। মিনিট দুয়েক বাদে বালদের করা ক্রস থেকে লাফিয়ে উঠে হেডে আবারও বল জালে জড়ান পোলিশ স্ট্রাইকার।
দুই মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল হজম করে আক্রমণের ধার বাড়ায় রিয়াল। ৬৪ মিনিটে মদ্রিচের পাস থেকে সহজ সুযোগ হাতছেড়া করেন এমবাপে। ৬৬ মিনিটে এমবাপে গোলের দেখা পেলেও সেটা আবারও কাঁটা পড়ে অফ সাইডে। এর মিনিট দুয়েক বাদে দুটি সহজ সুযোগ মিস করে বার্সেলোনার লিড বাড়ানোর সুযোগ হাতছাড়া করেন জোড়া গোল করা লেভানদফস্কি।
আরও পড়ুন
বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগে শাস্তির কবলে বার্সা সমর্থকরা |
অবশ্য লেভানদফস্কি সুযোগ মিস করলেও লামিন ইয়ামাল ঠিকই ৭৭ মিনিটে জাল খুঁজে নিয়েছেন। ৮৪ মিনিটে ব্যবধান ৪-০ করেন উড়ন্ত ফর্মে থাকা রাফিনিয়া। তাতে বার্নাব্যু থেকে তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।
এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলে রিয়ালের সাথে ব্যবধানটা আরও বাড়িয়ে নিয়েছে বার্সেলোনা। ১১ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৩০, সমান ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট ২৪।
২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৬:২০ পিএম
২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ৪:৫২ পিএম
জিতলেই গ্রুপ সেরা হওয়ার হাতছানি ছিল বসুন্ধরা কিংসের সামনে। সেই সুযোগটা তারা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে তারা। ভেলেরি তিতার দল ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ঢাকা ওয়ান্ডারার্সকে। তাতে গ্রুপ সেরা হয়ে ফেডারেশন কাপের নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে বসুন্ধরা কিংস। অন্যদিকে পুলিশের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেও হেড টু হেডে এগিয়ে থাকায় নকআউট পর্বের টিকেট কেটেছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন, তাতে কোপাল পুড়েছে ফর্টিসের।
কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকে নিয়ন্ত্রণ ছিল বসুন্ধরার কাছে। প্রথম গোলের দেখা পেতে তাদের অপেক্ষা করতে হয়নি বেশিক্ষণ। ১৮ মিনিটে মিগেল দামাসেনোর গোলে এগিয়ে যায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। অবশ্য সেখানে ওয়ান্ডারার্সের ডিফেন্ডারের ভুলই ছিল গোলের মূল উৎস।
বিরতিতে যাওয়ার ঠিক ৫ মিনিট আগে দলের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সোহেল রানা সিনিয়র। ৪০ মিনিটে মিডফিল্ডারের করা গোলটি ছিল দেখার মতো। ডি বক্সের বাইরে থেকে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে নিচু শটে পরাস্ত করেন।
দ্বিতীয়ার্ধেও কিংস ধরে রাখে আক্রমণের গতি। তা সামলাতে গিয়ে ৫৫ মিনিটে কিংসকে আত্মঘাতী গোল উপহার দেন রাসেল। ৭০ মিনিটে গোলের দেখা পান সোহেল রাজা সিনিয়র, আর ম্যাচের শেষ গোলটা আসে ডিফেন্ডার তপু বর্মর্ণের কাছ থেকে।
এই জয়ে চার ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থেকেই পরের পর্ব নিশ্চিত করেছে বসুন্ধরা।
অন্যদিকে ময়মনসিংহে বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেও করেছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। অবশ্য তাদের সামনে সুযোগ ছিল জয় পাওয়ার। কিন্তু পেনাল্টি শট নিয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন এলিটা কিংসলে। তার নেওয়া স্পটকিক ঠেকিয়ে দেন পুলিশের গোলরক্ষক রাকিবুল হাসান তুষার।
তবে ড্র করলেও ঠিকই পরের পর্বে জায়গা করে নিয়েছে ব্রাদার্স। পয়েন্ট কিংবা গোল ব্যবধান দুটিতেই দুই দলের অবস্থান ছিল সমানে সমান। নিয়ম অনুযায়ী তাই তাকাতে হয়েছে হেড টু হেড লড়াইয়ের দিকে। যেখানে জয়টা ছিল ব্রাদার্সের। তাতেই পরের পর্ব নিশ্চিত হয়েছে তাদের।
হামজাকে পেয়ে উচ্ছ্বাসিত শেফিল্ড কোচ, বলছেন ‘চ্যাম্পিয়ন’ ফুটবলার
দু’জনের সম্পর্কটা বেশ পুরনো। হামজা চৌধুরী যখন ওয়াটারফোর্ডে ছিলেন তখন দলটার কোচ ছিলেন ক্রিস ওয়াইল্ডার। খুব একটা বেশি দিন দুজনের কাজ করা হয়নি, তবে অল্প সময়ে গড়ে উঠেছিল সখ্যতা। অন্যভাবে বললে অল্প দিনেই হামজা জিতে নিয়েছিলেন ওয়াইল্ডারের মন। তাইতো সুযোগ পেতেই দলে টেনেছেন বাংলাদেশি এই মিডফিল্ডারকে। সেই সাথে তাকে দলে যুক্ত করতে পেরে প্রকাশ করেছেন উচ্ছ্বাসও।
চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিল বলছে শেফিল্ডের অবস্থান টেবিলের দুইয়ে। ২৯ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৫৮। সমান ম্যাচে দুই পয়েন্টে এগিয়ে টেবিলের শীর্ষে লিডস ইউনাইটেড। তিনে থাকা বার্নলির পয়েন্ট ৫৭। শীর্ষে তিন দলের পয়েন্টে নেই তেমন ফারাক। তাই সেরা দুইয়ের লড়াইটা যে জমজমাট হতে চলছে তা অনেকটাই নিশ্চিত।
চ্যাম্পিয়নশিপের সেরা দুই দলই সরাসরি জায়গা করে নেবে প্রিমিয়ার লিগের পরের মৌসুমে। তিন থেকে ছয়ে থাকা দলগুলো খেলতে হবে প্লে অফ। সেখান থেকে চ্যাম্পিয়ন দল জায়গা পাবে প্রিমিয়ার লিগে। গতবার এই চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ জিতেই লেস্টার সিটির সঙ্গে আবারও প্রিমিয়ার লিগে উঠেছিলেন হামজা চৌধুরি। এবারও একই সুযোগ থাকছে তার সামনে।
হিসেব অনুযায়ী প্রিমিয়ার লিগে জায়গা পেতে বেশ শক্ত অবস্থানেই আছে শেফিল্ড। নিজেদের অবস্থান আরও পাকাপোক্ত করতে মৌসুমের মাঝপথে দলে টানা হয়েছে হামজাকে। মিডফিল্ডে হামজার বল কন্ট্রোলের পাশাপাশি রক্ষণে হমজার অভিজ্ঞতা ভালোভাবে কাজে লাগবে বলেই মানছেন শেফিল্ড কোচ। তাই তাকে দলে ভেড়াতে পেরে বেশ উচ্ছ্বাসই প্রকাশ করেছেন তিনি।
“আমরা মাঠের যেই জায়গায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ি, সেখানে হামজা আমাদের সাহায্য করতে পারবে। তার উপস্থিতি আমাদের শক্তি যোগাবে। সেই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল এই পজিশনের জন্য। সে একজন বিজয়ী, লেস্টারে সে অনেক সাফল্য পেয়েছিল। লম্বা সময় সে লেস্টারের মূল দলে খেলেছে। তার অভিজ্ঞতা আমাদের দলের জন্য বেশ দারুণ হবে।”
সব ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারির এক তারিখ ডার্বি কাউন্টির সাথে অভিষেক হতে পারে হামজার।
সৌদি আরব ছেড়ে নেইমার যোগ দিয়েছেন পুরনো ক্লাব সান্তোসে, এটা প্রায় আনুষ্ঠানিক হওয়ার পথে। তাতে সৌদি আরবের ফুটবলের নজর পড়েছে ব্রাজিলিয়ান আরেক তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের দিকে। অবশ্য রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ডের প্রতি সৌদি ক্লাবগুলোর আগ্রহ নতুন নয়। বেশ কয়েকবারই তারা বড় অর্থ নিয়ে হাজির হয়েছিল ভিনিসিয়ুসের কাছে। তবে বারবারই ২৪ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড ফিরিয়ে দিয়েছেন তা। নেইমারের বিদায়ে আবারও নতুন করে সৌদি ক্লাবগুলোর আগ্রহের কেন্দ্রে ভিনিসিয়ুস।
সৌদি প্রো লিগের বেশীরভাগ ক্লাবই পরিচালিত হয় সৌদি সরকারের অর্থায়নে। আল হিলাল, আল নাসর কিংবা আল ইত্তিহাদের মতো ক্লাবগুলো কাড়ি কাড়ি অর্থ খরচ করে এফআইএফের অনুদান থেকে। নেইমারকে আল হিলাল যুক্ত করেছে সেই অর্থায়ন থেকেই। আবার তার সাথে চুক্তিটাও বাতিল হয়েছে এফআইএফের অনুমোদনেই।
ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর পরে সৌদি প্রো লিগের সবচেয়ে বড় তারকা ছিলেন নেইমার। যদিও ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে ক্লাবটিতে যোগ দিলেও খেলেছিলেন মোটে সাত ম্যাচ। তার বিদায়ে নতুন তারকার খোঁজে প্রো লিগ কতৃপক্ষ। আর সেটা তরুণ একজনকে দিয়েই করতে চাইছেন তারা। ব্রাজিলিয়ান গণমাধ্যম ও গ্লোভোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাদের পছেন্দের তালিকায় সবার উপরের নামটা ভিনিসিয়ুসেরই। ২৪ বছর বয়সী তারকার জন্য রিয়ালকে ৩০০ মিলিয়ন ইউরো দিতেও প্রস্তত প্রো লিগ কতৃপক্ষ বলেই জানাচ্ছে ও গ্লোভো।
সংবাদমাধ্যমটির দাবি, তারা ভিনিসিয়ুসকেও দিতে চান চোখ কপালে তোলার মত বেতন। পাঁচ বছরের চুক্তিতে ভিনিসিয়ুসকে তারা দিতে চায় ১ বিলিয়ন ইউরো। যা রিয়াল মাদ্রিদে ভিনিসিয়ুসের প্রাপ্ত বেতনের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। সেই সাথে ২০৩৪ সালে সৌদিতে হতে যাওয়া বিশ্বকাপে ভিনিসিয়ুসকে শুভেচ্ছা দূতও বানাতেও প্রস্তুত তারা।
যদিও তাদের এই চুক্তিতে ভিনিসিয়ুস যে সায় দেবেন না, তা অনেকটাই নিশ্চিত। এরই মধ্যে কয়েকবার ভিনিসিয়ুস তাদের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন। কয়েক দিন আগে নিজেই সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন রিয়ালে গড়তে চান ইতিহাস। আর রিয়াল আগেও জানিয়েছে, ভিনিকে কেউ দলে নিতে চাইলে তাদের দিতে হবে রিলিজ ক্লজের ১ বিলিয়ন ইউরো।
অন্যদিকে ইংলিশ গণমাধ্যমগুলোর খবর, নেইমারের অভাব মেটাতে ভিনিসিয়ুসকে রাজি না করাতে পারলেও লিভারপুল তারকা মোহাম্মেদ সালাহকে সৌদি প্রো লিগে টানতে চায় এফআইএফ। চলতি মৌসুম শেষেই মিশরীয় তারকার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে অল রেডদের। মাস পাঁচেক সময় বাকি থাকলেও নতুন চুক্তির প্রস্তাবও এখনো দেওয়া হয়নি সালাহকে। দুর্দান্ত ছন্দে থাকা এই ফুটবলারের তাই পরবর্তী গন্তব্য তাই আল হিলাল হতে যাচ্ছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
ইতালিয়ান জনপ্রিয় সাংবাদিক ফাব্রিজিও রোমানো গেল রবিবারই জানিয়েছিলেন লেস্টার সিটি ছাড়ছেন হামজা চৌধুরী। বাংলাদেশি এই মিডফিল্ডারের পরবর্তী গন্তব্য যে শেফিল্ড ইউনাইটেড হচ্ছে সেটাও তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার তার কথা রূপ নিয়েছে বাস্তবতায়। শেফিল্ড ইউনাইটেডের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে এক ভিডিও বার্তায় হামজা নিশ্চিত করেন তার নতুন ঠিকানার।
আপতত মৌসুমের বাকি সময়টা হামজা শেফিল্ডে যোগ দিয়েছেন ধারে। তবে চুক্তি অনুযায়ী চ্যাম্পিয়নশিপের এই ক্লাবের সুযোগ আছে হামজাকে স্থায়ীভাবে দলে যোগ করার।
হামজার এই দলবদলের পেছনে বড় অবদান শেফিল্ডের কোচ ক্রিস ওয়াইল্ডারের। ওয়ার্টারফোর্ডে তার অধীনে খেলার অভিজ্ঞতা আছে ২৭ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডারের। দু’জনের যুগলবন্দী আবারও শেফিল্ডে জমে উঠার ভাবনা নিয়েই প্রিমিয়ার লিগ ছেড়ে যোগ দিয়েছেন চ্যাম্পিয়নশিপের দলটাতে।
“গেল কিছু দিন থেকেই এটা নিয়ে কথা হচ্ছিল, আমি বেশ খুশি এখানে আসতে পেরে এবং প্রস্তুত নতুন অধ্যায় শুরু করতে। ওয়ার্টারফোর্ডে কোচের সঙ্গে কিছু দিন কাজ করার অভিজ্ঞতা হয়েছিল আমার। সময়টা খুবই কম হলেও আমি বেশ উপভোগ করেছিলাম। সে যখন আমাকে ফোন করেছিলো তখন আমার উত্তর ছিল একটাই। ।”
হামজাকে পেয়ে শেফিল্ডও দারুণ খুশি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে দিচ্ছে একের পর এক পোস্ট। তাকে স্বাগত জানাতে প্রথম পোস্টে শেফিল্ডের জার্সি পরা এক ছবি দিয়ে তারা ক্যাপশনে লিখেছে, “বাংলাদেশি ব্লেড” । ব্লেড যোগ কারণ অবশ্য শেফিল্ড ইউনাইটেডের নিকনেম দ্য ব্লেডস।
এরপর তারা দিয়েছে আরও একটা পোস্ট। যেখানে হামজার হাসিমাখা এক ছবির পেছনে বাংলাদেশের পতাকা দিয়ে তারা ক্যাপশনে লিখেছে, “জয়ের মানসিকতা’।
ফেব্রুয়ারির এক তারিখ ডার্বি কাউন্টির সাথে ম্যাচ শেফিল্ডের। সে ম্যাচ দিয়ে দলটির জার্সিতে হামজার অভিষেক হতে পারে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তার দল শেফিল্ড আছে বেশ ভালো অবস্থানেই। চ্যাম্পিয়নশিপে ২৯ ম্যাচে ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান টেবিলের দুই নম্বরে। সেরা দুইয়ে থেকে শেষ করতে পারলে তাদের সামনে সুযোগ আছে আবারও প্রিমিয়ার লিগে ফেরার।
গেল ডিসেম্বর থেকেই নেইমারের আল হিলাল ছাড়ার গুঞ্জন ক্রমেই জোরাল হচ্ছিল। সৌদি আরবের ক্লাবটিতে যোগ দেওয়ার পরই লম্বা এক চোটে ছিটকে যাওয়া সেভাবে খেলতেই পারেননি দলটির হয়ে। এই কারণেই ব্রাজিল তারকাকে ধরে রাখার পক্ষে আর ছিল না দলটি। অন্যদিকে, নেইমারও চাচ্ছিলেন দেশে ফিরতে। দুইয়ের সম্মিলনে বাতিল করা হয়েছে আল হিলালের সাথে তার চুক্তি। ফলে, শৈশবের ক্লাব সান্তোসে ফেরার এখন কেবল আনুষ্ঠানিকতাটাই বাকি।
সোমবার এক বিবৃতিতে সান্তোস জানায়, আগামী জুন পর্যন্ত মেয়াদ থাকলেও দুই পক্ষের সম্মতিতে বাতিল করা হয়েছে নেইমারের চুক্তি। এর মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে সৌদি ক্লাবটিতে তার হতাশাজনক এক অধ্যায়ের।
২০২৩ সালে রেকর্ড বেতনের চুক্তিতে নেইমারের দলে টানে আল হিলাল। তবে মাত্র পাঁচটি ম্যাচ খেলেই এসিএলে চোটে এক বছরেরও বেশি সময়ের জন্য ছিটকে যান সাবেক বার্সেলোনা তারকা। গত অক্টোবরে ফিরে দুটি ম্যাচ খেলে ফের ছিটকে যান নতুন চোটে। তখন থেকেই আভাস মেলে তার ক্লাব ছাড়ার।
আর সেই কারণেই সৌদি প্রো লিগের বাকি অংশের জন্য নেইমারকে রেজিস্টার করেনি আল হিলাল। ফলে সব মিলিয়ে মাত্র ৭ ম্যাচে ১ গোলেই শেষ হয়েছে তার এশিয়ান ক্লাবটির অধ্যায়। জিতেছেন একটি সৌদি প্রো লিগের শিরোপা।
শুরুতে শোনা যাচ্ছিল যে, নেইমার যোগ দিতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ক্লাবে। তবে গত এক মাসে ঘরের ছেলেকে ফেরানোর জন্য তুমুল প্রচেষ্টা শুরু করে সান্তোস। পেশাদার ফুটবলার হিসেবে নেইমারের শুরুটা হয়েছিল এই ক্লাবটির জার্সিতেই। খুব দ্রুত স্পন্সর জোগাড় করা থেকে শুরু করে তার সাথে আলোচনার কাজটাও সেরে ফেলে সান্তোস।
সেই ধারাবাহিকতায় প্রথম ধাপ হিসেবে আল হিলালের সাথে চুক্তি বাতিল করলেন নেইমার। ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যমের দাবি, আগামী দুই থেকে তিন দিনেই মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রাজিলিয়ান দলটিতে যোগ দেবেন ৩২ বছর বয়সী এই ফুটবলার।