১২ আগস্ট ২০২৫, ১:০৭ পিএম
এক সপ্তাহ ধরে চলমান ফিটনেস ক্যাম্পের মাঝে গত রোববার ক্রিকেটারদের ১৬শ মিটার টাইম ট্রায়াল নিয়েছিলেন জাতীয় দলের স্ট্রেংথ ও কন্ডিশনিং কোচ নাথান কেলি। তবে সেদিন ওই দৌড়ের কোনো ফলাফল জানাননি তিনি।
৪৮ ঘণ্টা পর সংবাদ সম্মেলনে এসে কেলি বললেন, রোববারের টাইম ট্রায়ালে ১২ জন ক্রিকেটার নিজের সেরা টাইমিং করেছিলেন।
গুলিস্তানের জাতীয় স্টেডিয়ামে হওয়া এই টাইম ট্রায়ালে দুই ভাগে ভাগ হয়ে মোট ২৬ জন ক্রিকেটার ১৬শ মিটার দৌড় দেন। প্রথম ভাগে ৫ মিনিট ৩১ সেকেন্ডে ১৬শ মিটার দৌড়ে সবাইকে ছাড়িয়ে যান নাহিদ রানা। দ্বিতীয়ভাগে প্রথম হওয়া তানজিম হাসান সাকিবের লাগে ৫ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বাকিদের অবস্থা নিয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেন কেলি।
“জাতীয় স্টেডিয়ামে কিছু টেস্ট করেছি। সেখানে (৪০ মিটার) স্প্রিন্ট টেস্টিং ও (১৬শ মিটার) টাইম ট্রায়াল করানো হয়েছিল। টাইম ট্রায়ালে আমরা ১২টি ব্যক্তিগত সেরা টাইমিং পেয়েছি। অনেক খেলোয়াড়ই ওই ক্ষেত্রে উন্নতি করেছে। নাহিদের অসাধারণ পারফরম্যান্স ছিল। ১৬শ মিটার টাইম ট্রায়াল শেষ করেছে ৫ মিনিট ৩১ সেকেন্ডে। দল হিসেবে আমরা সম্মিলিতভাবে আরও উন্নতি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”
“আমরা এখানে (মিরপুরে) কিছু স্ট্রেংথ টেস্টিংও করেছি। যখন আমরা সবগুলো স্ট্রেংথ টেস্টের ফলাফল পর্যালোচনা করলাম, তখন দেখা গেল ৫৬টি ব্যক্তিগত সেরা হয়েছে। অর্থাৎ ক্রিকেটাররা দল হিসেবে অনেক উন্নতি করছে।”
গত বছরের এপ্রিলে জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই এসব স্প্রিন্ট টেস্ট, টাইম ট্রায়াল বা স্ট্রেংথ টেস্ট নিয়ে আসছেন কেলি। এর আগে ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরীক্ষা করা হতো শুধু ইয়ো ইয়ো আর বিপ টেস্ট দিয়ে।
এখন টাইম ট্রায়াল বা স্প্রিন্ট টেস্টের ধারাবাহিক তথ্য পর্যালোচনা করে ক্রিকেটারদের ফিটনেস ট্রেনিং সাজানো হয় জানালেন কেলি।
“আমি দেখেছি, কিছু মন্তব্যে বলা হয়েছে যে এই টেস্টগুলো নাকি নতুন। আসলে তা নয়। আমি ২০২৪ সালের এপ্রিলে যোগ দেওয়ার পর থেকে গত ১৮ মাস ধরে আমরা এই টেস্টগুলো চালিয়ে যাচ্ছি। টাইম ট্রায়াল, স্ট্রেংথ টেস্টিং, স্প্রিন্ট টেস্টিং- সব ক্ষেত্রেই আমাদের ধারাবাহিক তথ্য আছে।”
“এর মাধ্যমে আমরা ক্রিকেটারদের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করি। আমি দলের উন্নতিতে সত্যিই খুশি, বিশেষ করে তরুণ খেলোয়াড়দের নিয়ে, যারা প্রচুর টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে ক্রিকেট খেলছে। তারা শুধু ক্রিকেট নয়, নিজেদের আরও ভালো অ্যাথলেট হিসেবে গড়ে তোলার দিকেও মনোযোগী।”
১২ আগস্ট ২০২৫, ৭:০৪ পিএম
১২ আগস্ট ২০২৫, ৫:৩৬ পিএম
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ জয়ের পর ত্রিদেশীয় সিরিজেও সাফল্য। দারুণ অর্জনের লম্বা এক সফর শেষে আজ সন্ধ্যায় ঢাকায় এসে পৌঁছেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। আজিজুল হাকিম তামিমদের স্বাগত জানান বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান হাবিবুল বাশার সুমন। ফুলের শুভেচ্ছায় বরণ করা হয় তাদের।
গত জুলাইয়ে বেননিতে দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ হারায় বাংলাদেশ যুবারা। সেই ছন্দ ধরে রাখে তারা জিম্বাবুয়েতে ত্রিদেশীয় সিরিজেও।
আরও পড়ুন
ব্রেভিসের দ্রুততম সেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকার রানের রেকর্ড |
![]() |
রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতির প্রথম পর্বে নিজেদের ৬ ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতে জেতে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ১০ পয়েন্ট নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল তারা। স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে কোনো ম্যাচ জিতত পারেনি। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালেও প্রোটিয়াদের প্রতিপক্ষ হিসেবে পায় বাংলাদেশ।
হারারে স্পোর্টস ক্লাবে ফাইনালে প্রোটিয়াদের ৩৩ রানে হারান তামিম-রিজানরা। রিজানের সেঞ্চুরি ছুঁই ছুঁই ইনিংস ও কালাম সিদ্দিকির ফিফটিতে আগে ব্যাটিং করে ৫ উইকেটে ২৬৯ রান তোলে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। ২৭০ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৪৮.৪ ওভারে ২৩৬ রানে থেমে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। আগামী বছর জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়াতে হবে যুব বিশ্বকাপ। তার আগে দারুণ এক অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরছে বাংলাদেশ।
নতুন দায়িত্ব নিয়ে বিসিবিতে যোগ দিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছেন জুলিয়ান রস উড। স্থানীয় কোচদের নিয়ে মঙ্গলবার পাওয়ার হিটিংয়ের বিষয়ে বিশেষ এক ওয়ার্কশপ করেছেন বিশ্ব জুড়ে পাওয়ার হিটিংয়ের জন্য বিশেষ পরিচিত এই কোচ।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের জাতীয় একাডেমি ভবনে মঙ্গলবার দুপুরে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্টের অধীনে থাকা কোচদের বেশ লম্বা সময় নিয়ে আধুনিক কোচিং, পাওয়ার হিটিং ও অন্যান্য বিষয়ে ওয়ার্কশপ করান উড।
জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, বাংলা টাইগার্সের প্রধান কোচ সোহেল ইসলাম, অনূর্ধ্ব-১৭ দলের কোচ হান্নান সরকার, বয়সভিত্তিক দলের পেস বোলিং কোচ তালহা জুবায়েরসহ প্রায় ১৫ জন কোচ উপস্থিত ছিলেন এই ওয়ার্কশপে।
আরও পড়ুন
সাইমন টফেলের সম্মানী পুনর্বিবেচনা করছে বিসিবি |
![]() |
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের স্ট্রাইক রেট বাড়ানো, বড় শট খেলার দক্ষতা বৃদ্ধির মিশন নিয়ে এক মাসের জন্য বিসিবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন উড। সেই লক্ষ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে চলে আসেন ৫৬ বছর বয়সী ইংলিশ এই কোচ।
তবে ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ শুরুর আগে স্থানীয় কোচদের সঙ্গে বসেছেন উড। গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান হাবিবুর বাশার বলেন, এতে কোচরাও উপকৃত হবেন।
“আমাদের ক্রিকেটারদের সঙ্গে কাজ করবেন উড। তবে আমাদের মনে হয়েছে, এই ধরনের বিষয়গুলো কোচদেরও জানা উচিত। আমার বিশ্বাস, এতে কোচদেরও দীর্ঘ মেয়াদে উন্নতি হবে। অনেক দিন ধরেই আমরা শীর্ষ পর্যায়ের কোচদের মান আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছি। এটিও সেই প্রক্রিয়ার অংশ।”
জুলাই মাসের আইসিসির ‘মেনস প্লেয়ার অব দ্য মান্থ’নির্বাচিত হয়েছেন শুবমান গিল। নারী বিভাগে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হলেন ইংল্যান্ডের ব্যাটার সোফিয়া ডাঙ্কলি।
ভারতের অধিনায়ক গিলের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার ভিয়ান মুল্ডার ও ইংল্যান্ডের অধিনায়ক বেন স্টোকস। জুলাই মাসে এই তিন ক্রিকেটার টেস্ট ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে মুগ্ধ করেছেন ভক্ত ও বিশ্লেষকদের। তবে দুই তারকা অলরাউন্ডারকে হারিয়ে সেরা হলেন গিল।
আরও পড়ুন
ব্রেভিসের দ্রুততম সেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকার রানের রেকর্ড |
![]() |
ইংল্যান্ড সফরে জুলাই মাসে তিন টেস্টে ব্যাট হাতে রানের ফুলঝুরি ছুটিয়েছেন শুভমান গিল। তিন টেস্টে করেছেন ৫৬৭ রান, গড় ৯৪.৫০। এজবাস্টনে ভারতের রেকর্ড গড়া জয়ে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন গিল, খেলেছেন ২৬৯ ও ১৬১ রানের দুটি ইনিংস। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪৩০ রান—যা টেস্ট ইতিহাসে এক ম্যাচে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান।
চতুর্থ টেস্টে ওল্ড ট্রাফোর্ডে আরেকটি সেঞ্চুরি (১০৩) করে সিরিজে ভারতের সমতা আনতে বড় ভূমিকা রাখেন গিল। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্ট সিরিজেই দেখিয়েছেন দুর্দান্ত ক্রিকেটীয় মেধা ও আত্মবিশ্বাস। বিশেষ করে চাপের মুহূর্তে ইনিংস বড় করার দক্ষতা ভারতকে বারবার ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছে। শেষ পর্যন্ত রোমাঞ্চ ছড়িয়ে সিরিজ শেষ হয় সমতায়।
চতুর্থবারের মতো আইসিসির মাসসেরা হলেন গিল। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেও এ পুরস্কার জেতেন তিনি। এর আগে ২০২৩ সালের জানুয়ারি ও সেপ্টেম্বরে আইসিসির মাসসেরা হয়েছিলেন।
আইসিসির সেরা হয়ে উচ্ছ্বসিত গিল বললেন, ‘আইসিসির মাস সেরা খেলোয়াড় হওয়ার অনুভূতি অসাধারণ। এবারেরটা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ যেহেতু অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্ট সিরিজের পারফরম্যান্সের কারণে এটা আমার পাওয়া।’
ডারউইনে সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ২১৯ রানের বড় লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ডেওয়াল্ড ব্রেভিসের সেঞ্চুরিতে আগে ব্যাটিং করে ৭ উইকেটে ২১৮ রান তোলে সফরকারীরা। ব্রেভিস করেছেন টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণে আফ্রিকার হয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি।
তিন ম্যাচের সিরিজে প্রথম ম্যাচ হেরে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে প্রোটিয়ারা। সিরিজ বাঁচাতে আজ দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প উপায় নেই তাদের। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস জিতে সফরকারীদের ব্যাটিংয়রে আমন্ত্রণ জানান অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক মিচেল মার্শ।
আরও পড়ুন
ব্রেভিসের দ্রুততম সেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকার রানের রেকর্ড |
![]() |
পাওয়ার-প্লেতে ২ উইকেটে ৫০ রান যোগ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৫৭ রানে হারায় তারা তৃতীয় উইকেট। চার নম্বরে নেমে রীতিমতো তাণ্ডব চালান ব্রেভিস। চতুর্থ উইকেটে ট্রিস্টান স্টাবসকে নিয়ে ৫৭ বলে ১২৬ রানের অসাধারণ এক জুটি গড়েন তিনি।
২২ বলে ৩১ রানে ফেরেন স্টাবস। তবে চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়ে ৪২ বলে নিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি তুলে নেন ব্রেভিস। তাঁর চেয়ে কম ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করে সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ডেভিড মিলারের নামের পাশে।
৫৬ বলে ১২৫ রানে অপরাজিত থাকেন ব্রেভিস। ইনংসে ছিল ৮টি ছক্কা ও ১২টি চার। কুড়ি ওভারের সংস্করণে প্রোটিয়াদের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসও এটি। ২০১৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফাফ ডু প্লেসিস করেছিলেন ১১৯ রান। যার সৌজন্যে ২০ ওভারে ২১৮ রান স্কোরে জমা করে প্রোটিয়ারা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এটি দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এর আগে ২০১৬ সালে জোহানেসবার্গে করেছিল ২০৪ রান। এবার সেটি ছাড়য়ে গেল তারা। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও বেন ডারশুইস।
গত জুনে বিশ্ব খ্যাত আম্পায়ার সাইমন টফেলকে আম্পায়ারদের প্রশিক্ষক হিসেবে বাংলাদেশে আনার ঘোষণা দিয়েছিল বিসিবি (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড)। তবে প্রায় দেড় মাস হয়ে গেলেও চূড়ান্ত হয়নি টফেলের বাংলাদেশে আসার সূচি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পারিশ্রমিকের অঙ্ক নিয়ে এখন দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে।
টফেলকে বাংলাদেশে আনার ঘোষণা দেওয়ার কিছু দিন পর দেশের শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি দৈনিক ডেইলি সানে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, তিন বছরের চুক্তিতে টফেল ও তার দলের চাওয়া হলো ৬ লাখ ৮৫ হাজার ডলার। এছাড়া আবাসন, স্থানীয় যোগাযোগ ও অন্যান্য খরচও দিতে হবে বিসিবিকে।
আরও পড়ুন
ব্রেভিসের দ্রুততম সেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকার রানের রেকর্ড |
![]() |
এই তিন বছরের চুক্তিতে প্রথম বছরে ৩ লাখ ৩০ হাজার ডলার, দ্বিতীয় বছরে ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার ও শেষ বছরে ১ লাখ ৭৫ হাজার ডলার দিতে হবে জানিয়ে বিসিবিতে চুক্তিপত্র পাঠান টফেল। তবে এক মাসের বেশি পেরিয়ে গেলেও, দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি সাক্ষর হয়নি।
এর মধ্যেই গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে, শেষ পর্যন্ত হয়তো নাও আসতে পারেন টফেল। এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বিসিবির মিডিয়া বিভাগের প্রধান ইফতেখার রহমান মিঠু টি স্পোর্টসকে বলেন, টফেলের চাওয়া থেকে কিছু টাকা কমানোর চেষ্টা করছে বোর্ড।
“(সাইমন টফেল) আসবে না, এমন কথা কীভাবে ছড়াল জানি না। বিষয়টা হলো, টফেলের চুক্তির যে সম্মানী, সেই অঙ্কটা আমরা পর্যালোচনা করছি। আমাদের মনে হয়েছে, তার চাহিদাটা একটু বেশি। তাই সেটা কমানোর জন্য আমরা আলোচনা করছি। যদি কমানোর সুযোগ থাকে, তাহলে কেন শুধু শুধু বেশি টাকা দিয়ে নেব।”
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৬ লাখ ৮৫ হাজার ডলারের মধ্যে ২ লাখ ৭৫ হাজার ডলার শুধু টফেলের সম্মানী। বাকি অর্থ চাওয়া হয়েছে তার দলের জন্য। তবে বিসিবির পক্ষ থেকে এই অঙ্ক খোলাসা করতে চান না ইফতেখার।
আরও পড়ুন
১৬শ মিটার টাইম ট্রায়ালে ব্যক্তিগত সেরা ১২ ক্রিকেটারের |
![]() |
“চুক্তির পারিশ্রমিকটা কত, সেটা আমি বলতে চাই না। কারও বেতন বলে দেওয়া কি ঠিক? তবু এর মধ্যে একটা সংখ্যা ছড়িয়ে গেছে। সেটা দেখে তো টফেল মনক্ষুণ্ণ। এরই মধ্যে আমাদের মেইল করে জিজ্ঞেস করেছে যে, পারিশ্রমিকের অঙ্ক বাইরে গেল কীভাবে? তাই আগে চুক্তিটা চূড়ান্ত হোক। পরে সম্ভব হলে জানানো হবে কত টাকায় আসছে।”
প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী মাসে শুরু হতে যাওয়া এনসিএল টি-টোয়েন্টি থেকেই টফেলকে পেতে চেয়েছিল বিসিবি। কিন্তু সম্মানীর অঙ্কে দুই পক্ষের আলোচনার কারণে সেটি নিয়ে এখন দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। তবে ইফতেখার রহমান মিঠুর আশা, সব কিছু সমাধান করে এনসিএল থেকেই পাওয়া যাবে টফেলকে।
১ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
১ দিন আগে
২০ দিন আগে
২৭ দিন আগে
২৮ দিন আগে