
সাইমন হার্মারের বলে সুইপ করে বাউন্ডারি মারতে গিয়ে পাওয়া চোটে কলকাতা টেস্টই শেষ হয়ে গেল শুবমান গিলের। এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছেন তিনি। তাই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে আর খেলা হবে না ভারত অধিনায়কের।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রোববার সকালে এই খবর জানিয়েছে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
“আপাতত হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে আছেন গিল। এই টেস্ট ম্যাচে তিনি আর খেলবেন না। সার্বক্ষণিক বিসিসিআই মেডিকেল টিমের পর্যবেক্ষণে থাকবেন তিনি।”
ইডেন গার্ডেনসে শনিবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিন ভারতের ইনিংসে ৩৫তম ওভারে ক্রিজে যান গিল। দুই বল খেলে তৃতীয় বলে সুইপ মারেন তিনি। বল চলে যায় সীমানায় আর ঘাড়ে চেপে অস্বস্তি প্রকাশ করতে দেখা যায় গিলকে।
আরও পড়ুন
| ‘২০০ করলেও বাবা তৃপ্ত হন না’ |
|
সঙ্গে সঙ্গে ছুটে আসেন ফিজিও। কিছুক্ষণ শুশ্রূষা নেওয়ার পর ঘাড় চেপেই মাঠ ছেড়ে যান গিল। পরে ভারতের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নামেননি তিনি। এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে ফিল্ডিং করতেও নামেননি ২৬ বছর বয়সি ক্রিকেটার।
পরে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হলে হাসপাতালে নেওয়া হয় গিলকে। সেখানেই আপাতত পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। গিলের অনুপস্থিতিতে ম্যাচের বাকি সময়ে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন রিশাভ পান্ত।
এর আগে গত বছরের অক্টোবরেও ঘাড়ের সমস্যায় নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি টেস্ট ম্যাচ খেলতে পারেননি গিল।
No posts available.
১৬ নভেম্বর ২০২৫, ৩:০৩ পিএম
১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১:০৫ পিএম

চার দিন পর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) পাঠানো চিঠির উত্তর দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ফুটবল ও ফুটবলাদের নিয়ে আসিফ আকবরের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যে দুঃখ প্রকাশ করেছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটি।
গত ৯ নভেম্বর ক্রিকেট কনফারেন্সে ফুটবলারদের ব্যবহার খারাপসহ আরও মাঠ দখলের মতো বিষয়ে মন্তব্য করে আলোচনায় আসেন বিসিবির পরিচালক আসিফ।
বিসিবির আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে আসিফের ফুটবল নিয়ে মন্তব্যের প্রতিবাদ জানান বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল। তিনি বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বরাবর চিঠি দেন। ফিরতি চিঠি গতকাল পেয়েছে বাফুফে।
আরও পড়ুন
| ২৪ ইনিংস পর ঘরের মাঠে জয়সওয়ালের শূন্য |
|
আসিফের মন্তব্যে ফুটবলাঙ্গন ব্যথিত ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তাঁকে সেই বক্তব্য প্রত্যাহার ও ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন ফুটবলাররা। যদিও তিনি ক্ষমা চাওয়ার পথে হাটেননি। এমনকি ৯ নভেম্বর ওই বক্তব্য প্রদানের পরের দিন নিজের করা মন্তব্য সঠিক বলেই জানিয়েছেন আসিফ।
তবে বিসিবি সভাপতি আমিনুল চিঠিতে দুঃখ প্রকাশ করেছেন, ‘যদি উক্ত বক্তব্যের কারণে ফুটবল পরিবার বা ভক্তদের মনে কোনো ধরনের আঘাত কিংবা বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়ে থাকে, তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’
এদিকে, আসিফের মন্তব্য ঘিরে আজ সন্ধ্যায় সাবেক ফুটবলারদের সংগঠন সোনালী অতীত ক্লাবে সভা রয়েছে। সেখানে আসিফের বিরুদ্ধে কঠোর ঘোষণা আসতে পারে বলে জানা গেছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট জিততে বোলিং সহায়ক উইকেট বানিয়ে সফল হলো না ভারত। উল্টো নিজেদের তৈরি করা ফাঁদেই ধরা পড়া গেল তারা। সাইমন হার্মার, কেশব মহারাজদের স্পিনে কাবু হয়ে মাত্র ৯৩ রানে গুটিয়ে হেরে গেল ম্যাচ।
কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে প্রথম টেস্টে ভারতকে ৩০ রানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। মাত্র আড়াই দিনের মধ্যেই জিতে গেছে তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১২৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯৩ রানে শেষ হয়ে গেছে ভারতের ইনিংস।
ভারতের মাঠে এর চেয়ে কম রান তাড়ায় হেরে যাওয়ার ঘটনা আছে আর মাত্র একটি। ২০০৪ সালে মুম্বাইয়ে ১০৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ভারতের বিপক্ষে ৯৩ রানেই অলআউট হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।
আরও পড়ুন
| ২৪ ইনিংস পর ঘরের মাঠে জয়সওয়ালের শূন্য |
|
নিজেদের ইতিহাসেও এর চেয়ে কম তাড়া করে একবারই হেরেছে ভারত। ১৯৯৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বার্বাডোজ টেস্টে ১২০ রানের লক্ষ্য ছুঁতে পারেনি তারা।
ঘাড়ের চোটে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামতে পারেননি শুভমান গিল। তাই ৯ উইকেট পড়ার পরই শেষ হয়ে তাদের ইনিংস।
এই জয়ে ১৫ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটাল দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের মাঠে তাদের সবশেষ টেস্ট জয় ছিল ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ১৫ বছরের বেশি সময় পর পাওয়া জয়ে দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল প্রোটিয়ারা।
বোলারদের একচ্ছত্র দাপট থাকা ম্যাচে চার ইনিংসের একটিতে ২০০ রান হয়নি। ১৯৫৯ সালের পর এই প্রথম কোনো ম্যাচে এক ইনিংসেও হয়নি ২০০ রান।
ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ১৫৯ রানে অল আউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ১৮৯ রান করে ৩০ রানের লিড পায় স্বাগতিক ভারত।
দ্বিতীয় ইনিংসে টেম্বা বাভুমার লড়াকু ৫৫ রানের ইনিংসে ভর করে ১৫৩ রান করে প্রোটিয়ারা। ভারতের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৪ রানের। কিন্তু হার্মার, মহারাজদের স্পিনে ধরা পড়ে নিজেদের চেনা আঙিনায় একশ রানও করতে পারেনি ভারত।
৭ উইকেটে ৯৩ রান নিয়ে রোববার খেলতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাভুমার সৌজন্যে আরও ৬০ রান যোগ করে তারা। ৪ চারে ১৩৭ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন প্রোটিয়া অধিনায়ক। এছাড়া করবিন বশের ব্যাট থেকে আসে মহামূল্যবান ২৫ রান।
ভারতের পক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট নেন রবীন্দ্র জাদেজা। এছাড়া কুলদিপ যাদব ও মোহাম্মদ সিরাজ নেন ২টি করে উইকেট।
রান তাড়ায় প্রথম ওভারেই খালি হাতে ফেরেন যশসবি জয়সওয়াল। পরের ওভারে লোকেশ রাহুলকেও আউট করেন মার্কো ইয়ানসেন। এরপর প্রতিরোধের চেষ্টা করেও পারেননি ধ্রুব জুরেল। ৩৪ বলে ১৩ রান করে আউট হন তিনি।
টিকতে পারেননি রিশাভ পান্ত। মাত্র ৩৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারত। এরপর ২৬ রানের জুটি গড়েন ওয়াশিংটন সুন্দর ও জাদেজা। হার্মারের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ২৬ বলে ১৮ রান করা জাদেজা। পরে ওয়াশিংটন সুন্দরকে ফেরান এইডেন মার্করাম।
শেষ দিকে মহারাজের বলে ২ ছক্কা ও ১ চার মেরে পাল্টা আক্রমণের আভাস দেন অক্ষর প্যাটেল। কিন্তু তাকে বেশি দূর যেতে দেননি বাঁহাতি স্পিনার। চমৎকার ক্যাচ নেন বাভুমা। ১৭ বলে ২৬ রান করে ফেরেন অক্ষর। পরের বলে সিরাজকেও আউট করে ম্যাচ শেষ করেন মহারাজ।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে শূন্য রানে আউট হওয়ায় থেমে গেল যসশ্বি জয়সওয়ালের অবিশ্বাস্য রানের গতি। রোববার সফরকারীদের বিপক্ষে কলকাতায় দ্বিতীয় ইনিংসে মাঠের নামার আগের ঘরের মাঠের ২৪ ইনিংসে ৫৭.৪৭ ব্যাটিং গড়ে ১৩২২ রান করেছেন বাঁহাতি ব্যাটার।
এ সময় তিনটা শতক এবং সাতটি অর্ধশতকের ইনিংস আছে জয়সওয়ালের। ঘরের মাঠে কখনও দুই অঙ্কের কোটায় যাওয়ার আগে আউট হননি। তবে আজ প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ৪ বলেই থামলেন জয়সওয়াল।
ঘরের মাঠে এটিই জয়সওয়ালের প্রথমবার ব্যর্থ হওয়া। এই টেস্টের প্রথম ইনিংসেও বেশিদূর যেতে পারেননি তিনি। ১২ রানের পথে মার্কো জ্যানসেন বোল্ড আউট করেন তাঁকে। দ্বিতীয় ইনিংসেও এই পেসারকে উইকেট দেন জয়সওয়াল। কোনো টেস্টের দুই ইনিংস মিলিয়ে এটি সর্বনিম্ন রান ২৩ বছর বয়সি ব্যাটারের।
এর আগে দুই ইনিংস মিলিয়ে জয়সওয়ালের সর্বনিম্ন রান ছিল ১৩, লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। এদিন ১২৪ রানের লক্ষ্যে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে লোকেশ রাহুল ফিরেছেন স্রেফ এক রানে। টেস্ট ক্রিকেটে গত এক দশকে কোনো ভারতীয় ওপেনিং জুটি এতো কম রান করেনি।

দুই দিনে পড়েছে ২৬ উইকেট। প্রথম দুই ইনিংসে ৪০ রানও করতে পারেননি দুই দলের কোনো ব্যাটার। কলকাতার ইডেন গার্ডেনসের এমন পিচকে তাই ধুয়ে দিলেন হরভজন সিং। একজন স্পিনার হয়েও টেস্টে এমন পিচ দেখতে চান ভারতের সাবেক ক্রিকেটার।
ম্যাচের তৃতীয় দিন সকালে ১৫৩ রানে অল আউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে প্রথম ইনিংসে তারা করতে পারে মাত্র ১৫৯ রান। স্বাগতিক ভারতও যে ভালো কিছু করতে পেরেছে তা নয়। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৮৯ রানে গুটিয়ে যায় তারা।
কলকাতায় এই ম্যাচের শুরু থেকেই বাড়তি সুবিধা পান বোলাররা। ব্যাটারদের জন্য ছিল কঠিন চ্যালেঞ্জ। যা উৎরাতে পারেননি দুই দলের। তৃতীয় ইনিংসে ম্যাচের প্রথম ফিফটিটি করেন টেম্বা বাভুমা। বাকি ব্যাটাররা তেমন সাফল্য পাননি।
আরও পড়ুন
| আইসিইউতে শুভমান গিল |
|
এমন বোলিংবান্ধব উইকেট মানতে পারছেন না হরভজন। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া ভিডিওতে সমালোচনায় মুখ ভারতের সাবেক অফ স্পিনার।
“মাত্র দুই দিনেই বোঝা যাচ্ছে ম্যাচ কোন দিকে যাচ্ছে। তারা যেন টেস্ট ক্রিকেটের উপর আরআইপি (রেস্ট ইন পিস) লিখে দিয়েছে। আমার মনে হয় টেস্ট ক্রিকেটের আর কোনও মূল্য নেই।”
“সম্প্রতি ইংল্যান্ডে গিয়ে ভারত অসাধারণ ক্রিকেট খেলেছে, সবাই তাদের প্রশংসা করেছে। যে ধরনের উইকেটে তারা খেলেছে, যেভাবে লড়াই করে জিতেছে- ওটাই টেস্ট ক্রিকেট, ওটাই আসল মজা।”
হরভজনের মতে, এই ধরনের উইকেটে শচীন টেন্ডুলকার বা বিরাট কোহলির মতো ব্যাটাররাও রান করতে পারতেন না।
“এই উইকেটে আপনি এক জায়গায় বল ফেলবেন, আর সেটা অন্যদিকে ঘুরে যাবে। ব্যাটসম্যানরা বুঝে উঠতেই পারে না কী করতে হবে।”
“এমনকি বিরাট কোহলি বা শচীন টেন্ডুলকারও এখানে টিকে থাকতে পারতেন না। কোনো না কোনো বল নিচু হয়ে যাবে, হঠাৎ বেশি বাউন্স করবে, অস্বাভাবিক টার্ন নিয়ে উইকেট ফেলে দেবে। এখানে টেকনিকের কোনও ভূমিকা নেই- সবকিছু নির্ভর করছে উইকেটের উপর।”
আরও পড়ুন
| এখনও হাসপাতালে, কলকাতায় ফেরা হবে না গিলের |
|
ভারতের সাবেক এই অফ স্পিনার বলেন, এমন বোলিং সহায়ক উইকেট বানিয়ে খেলাটিকে হাস্যকর করে তোলা হচ্ছে।
“এটা বহু বছর ধরে হচ্ছে। আমি যখন এ নিয়ে কথা বলি, অনেকে বলে কেন তাদের সমালোচনা করি। কিন্তু আমি মনে করি না, আমরা কখনও এমন অপরিণত কন্ডিশন দেখেছি। এটা সঠিক পথে যাচ্ছে না। এটাই সত্যি- একেবারে বাজে, অর্থহীন। তারা পুরো খেলাটাকেই হাস্যকর করে তুলছে।”

কলকাতা টেস্টে মাঠে খেলার চেয়েও সবচেয়ে বেশি আলোচনা ও উৎকণ্ঠা এখন শুভমান গিলকে নিয়ে। গুরুতর ঘাড়ের চোট নিয়ে ভারতের অধিনায়ককে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
এনডিটিভির প্রতিবেদন, কলকাতার উডল্যান্ডস হাসপাতালের আইসিইউতে (ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) ভর্তি এখন গিল। হাসপাতাল সূত্র নিশ্চিত করেছে, গিলকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে অবজারভেশনের জন্য। তাঁর অবস্থার গুরুত্ব বিবেচনায় বিশেষজ্ঞদের একটি পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
চোটের পর মাঠেই ব্যথায় কুঁকড়ে যেতে দেখা যায় গিলকে। সাইমন হারমারের বলে সুইপ করার সময় আচমকা ঘাড়ে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন তিনি। ব্যাটিংয়ের মাত্র তিন বল খেলেই ফিজিও ডাকতে হয়।
হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা দ্রুত স্ক্যান ও প্রাথমিক পরীক্ষা করেন। এরপরই সিদ্ধান্ত হয় তাঁকে আইসিইউতে রাখার। ঘাড়ের স্পাজম তীব্র হওয়া, চলাফেরায় অস্বস্তি ও দ্রুত পর্যবেক্ষণ, চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা— এসব বিবেচনায় সুরক্ষার স্বার্থে নেওয়া হয় সিদ্ধান্তটি।
আরও পড়ুন
| এখনও হাসপাতালে, কলকাতায় ফেরা হবে না গিলের |
|
গিলের আইসিইউ–রুমে সবসময় উপস্থিত থাকছেন সাপোর্ট স্টাফ ও মেডিকেলল টিম। ৪ বিশেষজ্ঞ মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। গিলকে দেখভাল করতে যে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন হয়েছে, সেখানে রয়েছেন— একজন ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ, একজন নিউরোসার্জন, একজন নিউরোলজিস্ট ও একজন কার্ডিওলজিস্ট।
ঘাড়, মাথা, স্নায়ু, হৃদ্যন্ত্র, সব দিক থেকেই নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে তাঁকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অবস্থা স্থিতিশীল হলেও সতর্কতার জন্য আইসিইউ ছাড়া বিকল্প ছিল না।
রাতজুড়েই আইসিইউতে নজরদারিতে ছিলেন গিল। আজ সকালে হাসপাতাল সূত্র জানায়—তাঁর ব্যথা কিছুটা কমেছে। এমআরআই–তে বড় কোনো জটিলতা ধরা পড়েনি, অবস্থাও এখন স্থিতিশীল। নাশতাও করেছেন স্বাভাবিকভাবে।
তবে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এখনই তাঁকে আইসিইউ থেকে সরানো হচ্ছে না। আরও অন্তত কয়েক দফা পর্যবেক্ষণ ও রিপোর্ট দেখে পরে সিদ্ধান্ত হবে।
বিসিসিআই জানিয়েছে, কলকাতা টেস্টের বাকি অংশে আর দেখা যাবে না গিলকে। পরবর্তী গুয়াহাটি টেস্টে তিনি খেলতে পারবেন কি না, তা নির্ভর করবে আইসিইউ–পর্যবেক্ষণ শেষ হওয়ার পর তাঁর সেরে ওঠার গতির ওপর।