খুলনার বোলাররাই মূল কাজটা করে দিয়েছিলেন। দুর্দান্ত ঢাকার ব্যাটারদের তারা আটকে রেখেছেন অল্প রানে। পরে চট্টগ্রামের ব্যাটিং উইকেটে বাকি কাজটা সহজেই করেছেন খুলনার ব্যাটাররা। আফিফ-পারভেজ ইমনদের ব্যাটে চড়ে বড় জয় খুলনা টাইগার্সের।
টানা পাঁচ ম্যাচ হারের পর অবশেষে জয়ের দেখা পেল খুলনা। ঢাকাকে তারা হারিয়েছে ২৮ বল হাতে রেখেই। আর এই ম্যাচ নিয়ে টানা দশ পরাজয় দেখলো দুর্দান্ত ঢাকা।
১২৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি খুলনা। দুই ওপেনারই আউট হয়েছে অল্প রানে। এভিন লুইস ৩ বল থেকে করেছেন ৪ রান। আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয় আউট হয়েছেন প্রথম বলেই।
আরও পড়ুন: টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে ঢাকা
মাত্র ১৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে একটু চাপে পড়েছিল খুলনা। তবে সেটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি পারভেজ হোসেন ইমন। এই ব্যাটার ৩০ বল থেকে করেছেন ৪০ রান। ব্যাটিং করেছেন ১৩৩.৩৩ স্ট্রাইকরেটে।
এরপরের কাজটা করেছেন শাই হোপ ও আফিফ হোসেন মিলে। দুজনে মিলে দলকে নিয়ে যেতে থাকেন জয়ের দিকে। তবে হোপ আউট হলে হিংস্র হয়ে উঠেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছেড়েছেন এই ব্যাটার।
আফিফ ২১ বল থেকে করেছেন ৪৩ রান। ব্যাটিং করেছেন দুইশোর বেশি স্ট্রাইকরেট নিয়ে। তার ব্যাট থেকে এসেছে ২ টি চার ও ৪ টি ছয়।
আর আগে ব্যাট করা ঢাকার ব্যাটাররা ছিলেন এদিনও ব্যর্থ। দলটার হয়ে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। বাকি কেউই খেলতে পারেননি ভালো ইনিংস। অ্যালেক্স রস, ইরফান শুক্কুরদের ধীরস্থীর ইনিংসে স্কোরও বড় হয়নি খুলনার।
আরও পড়ুন: বরিশালকে গুড়িয়ে খুলনার দুইয়ে দুই
২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে করেছিল মাত্র ১২৮ রান। খুলনার হয়ে ৩ টি করে উইকেট নিয়েছিলেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ও ওয়েইন পারনেল। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার পারনেল চার ওভার বল করে খরচ করেছেন মাত্র ১৯ রান। তুলে নিয়েছেন ঢাকার ৩ উইকেট।
বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন বাংলাদেশের পেসার মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধও। তিন উইকেট নিতে চার ওভার বল করে মুগ্ধ দিয়েছেন ১৮ রান। ক্যারিবীয় পেসার ওশান থমাসও বল হাতে ছিলেন বেশ হিসেবি। উইকেট না পেলেও চার ওভারে তিনি খরচ করেছেন মোটে ১৮ রান।
৬ জানুয়ারি ২০২৫, ৮:৪৪ পিএম
৬ জানুয়ারি ২০২৫, ৩:২৫ পিএম
৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৩৬ পিএম
বড় শট যে খেলতে পারেন, বয়সভিত্তিক দল থেকেই সেটা সাইফ হাসান দেখিয়ে আসছেন। তবে গ্লোবাল সুপার লিগের পর চলতি বিপিএলে নিজেকে নতুন করে চেনাচ্ছেন রংপুর রাইডার্স ব্যাটার। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে করেছেন ফিফটি। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে আশা জেগেছিল সেঞ্চুরিরও। সেটা না হওয়ায় অবশ্য হতাশা নেই সাইফের। বরং তার চাওয়া আরও ভালো করার।
গ্লোবাল সুপার লিগে কয়েকটি ভালো ইনিংস খেলা সাইফ বিপিএলে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে দেখা পান আসরে নিজের প্রথম ফিফটির। তবে সিলেটের বিপক্ষে ছাড়িয়ে যান সাম্প্রতিক সব ইনিংসকেই। চার-ছয়ের মিশেলে উপহার দেন ৮০ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস, যা রংপুরকে ২০৫ রান তাড়ায় ৮ উইকেটে জয় পেতে রাখে গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
আরও পড়ুন
হেলস ১১৩, সাইফ ৮০, রংপুরের চারে চার |
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে সাইফ বলেছেন, প্রক্রিয়া মেনেই পাচ্ছেন সাফল্য। “আমার মনে হয় ফ্লোতেই খেলেছি। যে বলটা পেয়েছি, সেটার মেরিট অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করেছি আমরা। তাই যখন যেমন বল ছিল, সেই অনুযায়ী খেলার চেষ্টাটা ছিল। তেমন বিশেষ কিছু ছিল না যেমন এখন আমি মারব, পরে তুমি মারবা। তবে, বলের মেধা অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করেছি।”
সাইফ যখন আউট হন, তখন তিনি ও অ্যালেক্স হেলস দুজনই ছিলেন সেঞ্চুরির পথে। ইংলিশ ব্যাটার শতক তুলতে পারলেও ২০ রান দূরেই থামতে হয় সাইফকে। অমন দারুণ ব্যাটিংয়ের পর একটা সেঞ্চুরির আক্ষেপ হওয়াটাই স্বাভাবিক।
তবে সাইফ এগিয়ে রাখছেন দলের জন্য তার অবদানকেই। “সেঞ্চুরি মিসে কোনো আক্ষেপ নেই৷ দল জিতেছে, এটাই বড় কথা। এমনই খেলার চেষ্টা করব।”
আরও পড়ুন
সিলেটেও জয়ের ধারায় রংপুর? তাসকিন-বিজয়দের ছন্দ ধরে রাখার লড়াই |
এই বিপিএলে সাইফকে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন ছন্দে। শটের পরিধি যেমন বেড়েছে, তেমনই আগের চেয়ে তার মধ্যে পরিস্থিতি বুঝে ব্যাটিং করার পরিণতবোধও চোখে পড়ার মত। হেলসের সাথে ১৮৬ রানের জুটিতে আক্রমণ করেছেন নিজে কখনও, আবার মাঝে মাঝে অভিজ্ঞ ব্যাটারকে দিয়েছেন সেই সুযোগ।
এই উন্নতিতে জাতীয় দলের সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের অবদান দেখছেন সাইফ। “অবশ্যই প্ল্যান ছিল, আমি সালাহউদ্দিন স্যারের সাথে অনেকদিন কাজ করেছি৷ স্যার আমাকে অনেক সমর্থন দিয়েছেন। সাথে টিম ম্যানেজমেন্টও। আমার মনে হয় ভালো হচ্ছে, তবে আরও ভালো করতে হবে।”
সুরটা বেধে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও জর্জ মুন্সি। বাংলাদেশ ব্যাটারের ফিফটির পর দারুণ এক ইনিংস উপহার দিলেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের তরুণ ব্যাটার জাকির হাসানও। সাথে শেষের দিকে অ্যারন জোন্স ও জাকের আলি অনিকের ক্যামিওতে সিলেট পর্বের প্রথম ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে বড় রানই বোর্ডই জমা করল সিলেট।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবারের প্রথম ম্যাচে সিলেটের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২০৫ রান।
আরও পড়ুন
সাকিবের রেকর্ড ভাঙার কথা জানতেন না রনি |
মুন্সিকে নিয়ে ওপেনিং জুটিতে রনি যোগ করেন ৪৭ রান। স্কটিশ ব্যাটার ১৮ রানে ফিরলেও অভিজ্ঞ রনি একপ্রান্ত আগলে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের পসরা সাজিয়ে চাপে রাখেন রংপুরের বোলারদের৷ নবম ওভারে আউট হওয়ার আগে খেলেন মাত্র ৩২ বলে ৫৪ রানের ইনিংস। চারের মার ছিল ৭টি, আর ছক্কা ৩টি।
চারে নামা পল স্টার্লিং পারেননি চেনা মেজাজে ব্যাটিং করতে। ১৬ বলে সমান ১৬ রানে শেষ হয় তার ইনিংস। তবে বড় সিলেটের স্কোরের আশা জিইয়ে রাখেন জাকির। জাতীয় দলের এই ব্যাটার ইনিংস সাজান স্রেফ ছক্কায়। ফিফটির পরই অবশ্য তাকে থামান মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। চার ছক্কায় তার আগে খেলেন ৩৮ বলে ৫০ রানের বিনোদনকারী এক ইনিংস।
অন্যপ্রান্তে জোন্স শুরু থেকেই চড়াও হন বোলারদের ওপর। আকিফ জাভেদের করা ইনিংসের ২০তম ওভারে চারটি ছক্কা সহ আদায় করেন ২৭ রান, যা তার দলকে পার করায় ২০০ রানের স্কোর। মাত্র ১৯ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের এই ব্যাটার।
আরও পড়ুন
এবারো নিজেকে চেনানোর লক্ষ্যে রনি তালুকদার |
তার পাশাপাশি সিলেটের বড় স্কোরে অবদান রাখেন ঘরের ছেলে জাকের আলি অনিকও। ৪০০ স্ট্রাইক রেটে ৩ ছক্কায় উপহার দেন ২০ রানের ইনিংস। ৩১ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন সাইফউদ্দিন।
গড়নে তিনি ক্যারিবিয়ান ব্যাটারের মতোই। দূর থেকে মনে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের কেউ বুঝি এলেন বিপিএল মাতাতে। অথচ কাছে গেলে ঠিকই চেনা যায়, আরে এতো আমাদেরই জাকের আলি অনিক! যে কিনা গেলো ডিসেম্বরই দারুণ সব ঝড়ো ইনিংস, আর দুর্দান্ত সব ছক্কায় হয়ে উঠেছেন আমাদের সবারই খুব কাছের একজন ক্রিকেটার। বাঙালির কাছে ক্রিকেটটা তো এমনই, দারুণ করা যে কেউ হয়ে যায় বাড়ির কাছের। যার কাছে করা যায় ম্যাচ জেতানোর আবদারও।
জাকেরের উত্থান বিপিএল দিয়েই। ঘরোয়া ক্রিকেটে রান করেও সেভাবে আলোচনায় আসতে পারেননি। তবে বিপিএলটা দিয়েই নিজেকে চেনানোর শুরু। তারপর জাতীয় দলে পারফর্ম করে তো এখন উঠতি তারকাদের একজন হয়ে গেছেন। হয়ে উঠেছেন সিলেটের সবচেয়ে বড় স্ট্রাইকার্স!
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে প্রস্তুতি ম্যাচে অপরাজির ৪৮ দিয়ে শুরু। এরপরে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। গেলো বছরের নভেম্বর আর ডিসেম্বরে যেনো রান বন্যা জাকেরের ব্যাটে। নিজের খেলা সবশেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে করেছিলেন ৪১ বলে ৭২ রান। স্ট্রাইক রেট ১৭৫। ৬টা ছক্কায় চিনিয়েছেন নিজের জাত।
আরও পড়ুন
রনি-জাকিরের ফিফটির পর জোন্সের ক্যামিও, সিলেটের ২০৫ |
ঘরোয়া ক্রিকেটে ছক্কার সাথে জাকেরের সুসম্পর্ক আগেই ছিল। জাতীয় দলের সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন দিয়েছিলেন শান। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে বিপিএলে করেছিলেন পারফর্মও। সালাউদ্দিন আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ছেলেটার চেহারা একটু কালো বলেই হয়তো বোর্ডও তাকে দেখে না। সেই জাকের বছর ঘুরতেই তিন ফরম্যাটে এমন সব কীর্তি গড়েছেন, এখন সবাই যেন তাকেই খুঁজে বেড়াচ্ছে।
সেই খোঁজই যেনো ফিকে করেছে জাকেরকে। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে নাহিদ রানার বলে বারবার ভুগেছেন। খেলেছেন একশর কম স্ট্রাইক রেটে নিজের সাথে বেমানান এক ইনিংস। সিলেটে অনুশীলনে যেনো ছিল সেই ক্ষোভ। বারবার খেলেছেন দ্রুতগতির বল। মিরপুরে এবার জাকের একটা ম্যাচই খেলেছেন। ৪৯ মিনিট উইকেটেও থাকলেও ৩৩ বলে রান করেছেন মোটে ২৪। উইন্ডিজের ১৭০ ব্যাটিং স্ট্রাইক রেটের আশপাশের অনিক এবার ৭২ স্ট্রাইক রেটে। ভাবা যায়?
৮৬ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার। ৫ ফিফটি আর ১২১ স্ট্রাইক রেট জাকেরের সামর্থ্য জানান ঠিক কতোটা দেয়? ২৬ গড়ের জাকের তো আরো ভয়ানক নিজের দিনে। ঢাকা পর্বে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। এবার সিলেটের ঘরের ছেলে ঘরে ফিরেছেন, হয়ত এখানেই দেখা মিলবে চেনা জাকেরের।
প্লেয়ার ড্রাফটের পর সরাসরি চুক্তিতেও দল না পাওয়াটা ছিল চমক জাগানিয়াই। ঘরোয়া ক্রিকেটের পরীক্ষিত মুখ মোসাদ্দেক হোসেন শেষ পর্যন্ত দল পেয়েছেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। বদলি খেলোয়াড় হিসেবে যোগ দিয়েছেন ঢাকা ক্যাপিটালসে।
সোমবার সংবাদ বিবৃতিতে ঢাকা ক্যাপিটালস নিশ্চিত করেছে মোসাদ্দেকের দলভুক্তির বিষয়টি। আসিফ হাসানের বদলি হিসেবে দলে জায়গা পেয়েছেন তিনি।
বিপিএলের পরিচিত মুখ মোসাদ্দেকের রয়েছে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার দীর্ঘ সময়ের অভিজ্ঞতা। মিডল অর্ডারে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি অফ স্পিনেও বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারেন তিনি। সেই আলোকে সম্প্রতি খেলেছেন লঙ্কা টি-টেন লিগেও। এবার দেরিতে হলেও পেলেন বিপিএলে নিজেকে প্রমাণের সুযোগ।
এখন পর্যন্ত স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে মোসাদ্দেক ম্যাচ খেলেছেন ১৫৩টি। ১১২ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ২ হাজার ১০৮ রান। আর বল হাতে ওভার প্রতি ৭.২৮ রান দিয়ে শিকার করেছেন ৬৪ উইকেট। গড় ২৮.১৮।
বিপিএলে ঢাকা ক্যাপিটালস মোসাদ্দকের ছয় নম্বর দল। তার নতুন দলের হাল অবশ্য ভালো নয়। তিন ম্যাচের তিনটিতেই হেরেছে ঢাকা। পরবর্তী ম্যাচ আগামী ৭ জানুয়ারি, প্রতিপক্ষ রংপুর রাইডার্স।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ঢাকা পর্বের প্রথম ধাপ শেষে অপেক্ষা এখন সিলেট পর্ব শুরুর। বরাবরই সিলেট উপহার দিয়ে আসছে বিপিএলের সেরা সব মুহূর্তের। অনেকের কাছেই বিপিএল যেন ভিন্ন মাত্রা হয় সিলেট পর্বেই এসেই। স্টেডিয়ামের চোখ জুড়ানো সৌন্দর্য, দর্শক উন্মাদনা, স্পোর্টিং উইকেট - সব মিলিয়ে সিলেটে বিপিএলে মানেই অন্যরকম একটি আবহ। রাত পোহালেই মাঠে গড়াবে এই পর্বের প্রথম ম্যাচ। তার আগে দেখে নেওয়া যাক, এখন পর্যন্ত পরিসংখ্যানে দল ও খেলোয়াড়দের কার কী অবস্থান।
একবারের বিপিএল চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স এবারের আসলে খেলতে এসেছে গ্লোবাল সুপার লিগে দুর্দান্ত সাফল্যকে সঙ্গী করে। পাঁচ দলের এই টুর্নামেন্টে শিরোপা ঘরে তুলে প্রস্তুতিটা দারুণ হয় দলটির। সেই ধারা বজায় রয়েছে বিপিএলেও। প্রথম তিন ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে সবার ওপরেই আছে নুরুল হাসান সোহানের দল। এর মধ্য উল্লেখযোগ্য শেষ ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে দাপুটে জয়। একপেশে লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসে ৮ উইকেটের জয়ে।
রংপুরের জন্য এই জয়ের ইতিবাচক দিল ছিল টপ অর্ডারের দুই ব্যাটার অ্যালেক্স হেলস ও সাইফ হাসানের ফর্মে ফেরা। প্রথমজন এক রানের জন্য ফিফটি মিস করলেও দ্বিতীয় জন হাঁকান ফিফটি। এর আগে প্রথম দুই ম্যাচে হাল ধরেন দুই পাকিস্তানি ব্যাটার খুশদিল শাহ, ইফতেখার আহমেদ ও অধিনায়ক সোহানরা। দলটির বোলাররাও আছেন ছন্দে।
স্পটলাইট অবশ্য একজনের দিকেই। তিনি গতিময় পেসার নাহিদ রানা। গতির ঝড় তুলে ঢাকা পর্ব মাতিয়েছেন তরুণ এই পেসার। এরই মধ্যে একবার চার উইকেট পেয়ে হয়েছেন প্রথমবার ম্যাচ সেরাও। সিলেট পর্বেও সবার চোখ থাকবে রংপুরের ম্যাচে নাহিদের দিকেই তাই।
নাহিদের মত গতি দিয়ে হয়ত আলোচনায় আসতে পারবেন না তাসকিন আহমেদ, তবে বল হাতে যে স্বপ্নের ফর্মে আছেন, সেটা এড়িয়ে যাওয়া আসলেই অসম্ভব। দুর্বার রাজশাহীর এই পেসার খেলেছেন তিন ম্যাচে। ওভার প্রতি মাত্র ৬ রান দিয়ে মাত্র ৬ গড়ে নিয়েছেন ১২ উইকেট। এর মধ্যে সবচেয়ে স্মরণীয় স্পেল উপহার দেন ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে। মাত্র ১৯ রানে নেন ৭ উইকেট, যা এখন বিপিএলের ইতিহাসের সেরা বোলিং ফিগার। এছাড়াও এটি স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সেরা বোলিং ফিগারও এখন।
১২ উইকেট নিয়ে তাসকিন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীদের তালিকায় আছেন শীর্ষে। দুইয়ে ও তিনে আছেন রংপুরের দুজন খুশদিল (৭ উইকেট) ও নাহিদ (৬ উইকেট)। এছাড়াও ৬ উইকেট রয়েছে যৌথভাবে খুলনা টাইগার্সের আবু হায়দার রনিরও।
ব্যাটারদের মধ্যে ঢাকা পর্বে ধারাবাহিকভাবে আলো ছড়িয়েছেন এনামুল হক বিজয়। রাজশাহীর অধিনায়ক তিন ম্যাচে ১৩৭.৭৩ স্ট্রাইক রেট ও ৭৩ গড়ে করেছেন ১৪৬ রান। সর্বোচ্চ স্কোর অপরাজিত ৭৩। তার পরের চারটি অবস্থান যথাক্রমে চিটাগং কিংসের উসমান খান (২ ম্যাচে ১৪২), ঢাকার থিসারা পেরেরা (৩ ম্যাচে ১৪১) ও ইয়াসির আলি (৩ ম্যাচে ১৩২)।
৭ ঘণ্টা আগে
৭ ঘণ্টা আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৯ দিন আগে