
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ মাঠে নামা মানেই যেন চার-ছক্কার বন্যা বয়ে যাওয়া। বিশেষ করে দলটার ওপেনার ট্রাভিস হেডের বিধ্বংসী ব্যাটিং প্রতিপক্ষের বোলারদের অসহায় করে তোলে। আইপিএলে যে দারুণ ছন্দে হেড আছেন ,তাতে বিশ্বকাপেও তার কাছ থেকে বড় প্রত্যাশা থাকবে অস্ট্রেলিয়ার। তবে হেড মনে করছেন, বিশ্বকাপে কাজটা সহজ হবে না।
এখন পর্যন্ত আইপিএলের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান স্কোরার হেড। ১১ ইনিংসে ৫৩৩ রান করেছেন দুইশোরও বেশি স্ট্রাইক রেট নিয়ে। গতকালও লক্ষ্মৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে মাত্র ৩০ বল থেকে করেছেন ৮৯ রান। ব্যাটিং করেছেন ২৯৬.৬৬ স্ট্রাইকরেট নিয়ে।
আরও পড়ুন: কীভাবে এমন তাণ্ডব চালাচ্ছেন ট্রাভিস হেড?
এমন ফর্মে থাকা একজন ব্যাটারের কাছ থেকে বিশ্বকাপেও বড় কিছুই চাইবে দল। তবে সেই প্রত্যাশায় লাগাম টানলেন হেড। “যখনই আমরা খেলি, সবসময়ই চাওয়া থাকে, যতটা সম্ভব ধারাবাহিক যেন হতে পারি। রান যেন করতে পারি। ভালো খেলতে পেরে তাই ভালো লাগছে। তবে এর মানে যে ওয়েস্ট ইন্ডিজেও ভালো করব, সেই নিশ্চয়তা নেই।”
এবারের বিশ্বকাপ হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে। কন্ডিশনের ভিন্নতার কারণেও ব্যাটারদেরও কঠিন সময় আসবে বলেই মত হেডের। “আমার মনে হয়, ক্যারিবিয়ানে বেশ ভালোই স্পিনের মুখোমুখি হতে হবে আমাদের এবং টুর্নামেন্ট যত এগোবে, উইকেট ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠবে।”
No posts available.




৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১২:১৭ পিএম



৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৩৯ পিএম


চলতি বছরের মে মাসে বাংলাদেশ 'এ' দলের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড 'এ' দলের হয়ে খেলতে এসেছিলেন ক্রিস্টিয়ান ক্লার্ক। এবার প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের মূল দলে ডাক পেয়েছেন এই তরুণ পেস বোলিং অলরাউন্ডার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে খেলবেন তিনি। চোটে পড়া ম্যাট হেনরির বদলে ২৪ বছর বয়সী ক্লার্ককে দলে নেওয়া হয়েছে।
কাফ ইনজুরিতে ভুগছেন হেনরি, যার জন্য খেলতে পারেননি দ্বিতীয় ওয়ানডে। তার জায়গায় ডাক পাওয়া ক্লার্ক দারুণ ফর্মে রয়েছেন। গতকাল ফোর্ড ট্রফিতে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টসের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করার পর বল হাতে ৩ উইকেট নেন নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের এই খেলোয়াড়।
২০২২ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা শুরু করেন ক্লার্ক। ৩১টি লিস্ট 'এ' ম্যাচে করেছেন ৩৩২ রান ও নিয়েছেন ৫২ উইকেট। বাংলাদেশ 'এ' দলের বিপক্ষে দেখিয়েছেন অলরাউন্ড নৈপুণ্য। ২০২০ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকায় ভালো পারফরম্যান্সে নজর কাড়েন ক্লার্ক। তিন ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়ে ছিলেন দলের সেরা বোলার।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচ জিতে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ওয়েলিংটনে কাল সিরিজের শেষ ম্যাচে ধবলধোলাইয়ের মিশনে নামবে কিউইরা।

শুধু ভারতীয় ক্রিকেটই নয় ক্রিকেট ইতিহাসেরই সর্বকালের অন্যতম সেরা একটি জয়ের স্বাক্ষী হলো ক্রিকেটপ্রেমীরা। নারী বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ৩৩৯ রানের পর্বত পাড়ি দিয়ে ফাইনালের টিকিট কাটে স্বাগতিক ভারত। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে স্বরণীয় এই জয়ে ১২৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে নায়ক বনে গেছেন জেমিমাহ রদ্রিগেজ। পুরো ক্রিকেটবিশ্ব এখন ভারতীয় ব্যাটারের বন্দনায় মেতেছে।
সামাজিক মাধ্যমে ভারতের পুরুষ দলের বর্তমান ক্রিকেটার থেকে শুরু করে সাবেক ক্রিকেটার, কোচ সবার প্রশংসা কুড়োচ্ছেন জেমিমাহ। বিরাট কোহলি টুইটারে লিখেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আমাদের দলের কী দারুণ জয়! মেয়েরা দুর্দান্ত রান তাড়া করেছে, আর বড় ম্যাচে জেমিমাহ দেখিয়েছে অসাধারণ পারফরম্যান্স। সত্যিকারের দৃঢ়তা, আত্মবিশ্বাস আর আবেগের এক অনন্য উদাহরণ। দারুণ কাজ করেছ, টিম ইন্ডিয়া!’
আরও পড়ুন
    
| বাংলাদেশ নারী দলের উন্নতিতে মুগ্ধ মিতালি রাজ |   | 
রবীন্দ্রচন্দন আশ্বিন জেমিমাহর প্রত্যাবর্তনের ভূয়সী প্রশংসা করেন, ‘বিশ্বকাপের শুরুতে দল থেকে বাদ পড়া থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত দলকে ফাইনালে তোলা—অভিনন্দন জেমিমাহ!’
জেমিমাহর বন্দনায় মেতেছেন বাংলাদেশের পেসার মারুফা আক্তারও। সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে তিনি লেখেন, ‘জেমি দিদি, তুমি আমাদের এমন এক দুর্দান্ত খেলা উপহার দিয়েছ! সত্যি বলতে, এটা প্রকাশ করার মতো ভাষা আমার নেই। তবে আমি সবসময় তোমার জন্য দোয়া করব। আশা করি তুমি তোমার দলকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং আরও বড় সাফল্য অর্জন করবে। ফাইনাল ম্যাচের আমার শুভকামনা ও প্রার্থনা রইল।’
মারুফার প্রশংসার জবাবও দিয়েছেন জেমিমাহ। বাংলাদেশি ফাস্ট বোলারেরও গুনগান গেয়ে ভারতীয় ব্যাটার বলেন, ‘ধন্যবাদ মারুফা! তুমিও নিজে এক বিশাল অনুপ্রেরণা! তুমি যা করেছ, তা বাংলাদেশের অসংখ্য মেয়ে এবং সারা বিশ্বের মেয়েদের অনুপ্রাণিত করেছে।’
এক জায়গা দু’জনেরই মিল আছে। জেমিমাহ যেমন অনেক মানসিক চ্যালেঞ্জ উতরে সাফল্য পেয়েছেন তেমনি বহু কাঠখড় পুড়িয়ে, সংগ্রাম করে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন মারুফা। আর বাংলাদেশের এই পেসার ২২ গজে কিভাবে ব্যাটারদের নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছেন সেটা তো সবারই জানা।

সব সাফল্যের আড়ালেই লুকিয়ে থাকে অগণিত সংগ্রাম, অশ্রু আর নিঃশব্দ লড়াইয়ের গল্প। সাফল্য ধরা না দিলে সেই সংগ্রামের কথা অজানাই থেকে যায়। নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে মহাকাব্যিক এক সেঞ্চুরি করে ভারতকে ফাইনালে তোলা জেমিমাহ রদ্রিগেস সফল। আর তাঁর এই অর্জনের পেছনের গল্প যে কতটা সংগ্রামময়, আবেগঘন ও অনুপ্রেরণামূলক সেটা ম্যাচশেষে চোখের পানি ফেলেই বললেন জেমিমাহ।
অস্ট্রেলিয়ার ৩৩৯ রানের পাহাড়সম রান তাড়া করতে হলে নারী কিংবা পুরুষ দুই ক্রিকেটেই করতে হতো বিশ্বরেকর্ড। ইতিহাস নাম লিখিয়ে ভারত শেষ পর্যন্ত সেই রান তাড়া করেছে। ১৩৪ বলে ১২৭ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলে ভারতকে বিশ্বকাপের ফাইনালে তোলার কারিগর জেমিমাহ।
ভারতীয় ব্যাটার জেমিমাহ সেমিফাইনালে ম্যাচজয়ী ইনিংস খেলার আগে ভয়ংকর মানসিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন। টুর্নামেন্টের শুরুতে এতটাই দুঃশ্চিন্ত আর উদ্বেগ পেয়ে বসেছিল ২৫ বছর বয়সী ব্যাটারকে , চাপ সামলাতে প্রায়েই মাকে ফোন করে শুধু কাঁদতেন।
আরও পড়ুন
    
| ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারত |   | 
ঐতিহাসকি ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে জেমিমাহ বলেন, “আমি খুব সংবেদনশীলভাবে বলতে যাচ্ছি, কারণ হয়তো কেউ একই পরিস্থিতির মধ্যে আছেন। এটা বলার কারণ হলো, কেউই নিজের দুর্বলতা নিয়ে কথা বলতে চায় না।’
টুর্নামেন্টের শুরুতে উদ্বেগের সময় মা-বাবার সাহায্য মানসিক সমর্থনের পাশাপাশি সতীর্থদেরও পাশে পান জেমিমাহ, ‘আমি ধন্য যে আমার এমন বন্ধু আছে যাদেরকে আমি পরিবার বলতে পারি। তাদের কাছে সাহায্য চাইতে কোনো দ্বিধা নেই আমার।’
জেমিমাহ এবারের বিশ্বকাপ শুরু করেছিলেন ০, ৩২, ০ ও ৩৩ রানে। পরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে দল থেকেই ছিটকে পড়েন। সেই সময়টায় নিজের সক্ষমতা নিয়ে নিয়ে সন্দেহ হয় তার। সত্যিই কি সর্বোচ্চ স্তরের ক্রিকেটে সফল হওয়ার যোগ্য কিনা নিজেকেই প্রশ্ন করেন জেমিমাহ।
কতটা মানসিক চাপের মধ্যে ছিলেন জেমিমাহ সেটা তাঁর মুখেই শোনা যাক, ‘উদ্বেগের কারণে শুরু হয়েছিল। তারপর দলে থাকা বাদ পড়া সত্যিই আমাকে আঘাত করেছিল। দলে না থাকলে দলের জন্য অবদান রাখতে পারি না, যা আমাকে আরও চাপের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। ফিরে আসার পর আরও বেশি চাপ অনুভূত হয়েছিল, কারণ গত মাসে অনেক ঘটনা ঘটেছে।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইনিংস খেলার সময় নিজেকে যেভাবে সামলেছেন জেমিমাহ, ‘আমি জানতাম আমাকে শুধু মাঠে দাঁড়াতে হবে, আর সব কিছুই ঈশ্বর দেখবেন। শুরুতে আমি খেলছিলাম এবং নিজের সঙ্গে কথা বলছিলাম। শেষ দিকে, আমি বাইবেলের একটি শ্লোক মনে পড়ছিল—শুধু স্থির থাকতে হবে এবং ঈশ্বর আমার জন্য লড়বেন। আমি শুধু সেখানে দাঁড়ালাম, আর তিনি আমার জন্য লড়লেন।’

নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে সপ্তম স্থানে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেছে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে একমাত্র জয় পাকিস্তানের বিপক্ষে। বেশ কয়েকটি ম্যাচে সম্ভাবনা তৈরি করেও কূলে এসে তরি ডুবেছেন নিগার সুলতানা জ্যোতিরা। তার পরও বিশ্বকাপের মতো বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস ও দৃঢ়তা দেখে মুগ্ধ ভারতের সাবেক অধিনায়ক মিতালি রাজ। টি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিগারদের বিশ্বকাপ পারফরম্যান্স, ঘাটতি ও সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
বিশ্বকাপে বল হাতে নজর কেড়েছেন পেসার মারুফা আক্তার। তাৎক্ষণিক তাঁর প্রশংসা করেন শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি লাসিথ মালিঙ্গা। মেয়েদের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক মিতালির কণ্ঠেও মারুফা বন্দনা,
‘বাংলাদেশ দল কিছু বড় দলকে সত্যিই চ্যালেঞ্জ করেছে। বিশেষ করে মারুফা আক্তার—তার নতুন বলের সুইং আমাকে মুগ্ধ করেছে। কলম্বোয় ওর কয়েকটি ম্যাচ দেখেছি, মনে হয়েছে বাংলাদেশের হয়ে সে সেরা ফাস্ট বোলারদের একজন হয়ে উঠতে পারে।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাত্র ৭ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। শেষ ১২ বলে ১২ রান প্রয়োজন ছিল লাল-সবুজদের। তবে শেষ পর্যন্ত হিসাব মেলাতে পারেননি নিগাররা। মিতালির মতে, গত বিশ্বকাপের পর থেকেই বাংলাদেশ দলের অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো।
বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগারের নেতৃত্বেরও প্রশংসা করেন ভারতীয় এই কিংবদন্তি,
‘জ্যোতি দারুণভাবে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিল। মাঠে ক্রমাগত পরামর্শ দিচ্ছিল, ফিল্ডিংয়ে উৎসাহ দিচ্ছিল। দলের মধ্যে একধরনের ইতিবাচক শক্তি কাজ করছিল।’
নিগারদের আরও উন্নতির জন্য বড় দলের সঙ্গে নিয়মিত খেলা ও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে অংশগ্রহণ জরুরি বলে মনে করেন মিতালি রাজ,
‘বাংলাদেশ দলকে ভালো দলগুলোর বিপক্ষে আরও বেশি খেলতে হবে। এশিয়া কাপ বা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ ছাড়াও তাদের উচিত ডব্লিউবিবিএল, ডব্লিউপিএল বা দ্য হান্ড্রেড-এর মতো বড় লিগে অংশ নেওয়া। সেরা খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেললে মানসিকতা ও দক্ষতা দুটোই বাড়ে। বোর্ড চাইলে এ দিকটা নিয়ে ভাবতে পারে।’
২০১৮ সালে এশিয়া কাপে ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। তবে মিতালি মনে করেন, টি–টোয়েন্টি ও ওয়ানডে দুই ফরম্যাটের পারফরম্যান্সের মধ্যে পার্থক্য আছে। তিনি বলেন,
‘টি–টোয়েন্টিতে যেকোনো দল অঘটন ঘটাতে পারে। ওয়ানডেতে ধৈর্য ও ধারাবাহিকতা দরকার। বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণ শক্তিশালী, তবে ব্যাটিংয়ে আরও উন্নতি দরকার।’
ছেলেদের মতো মেয়েদের আইপিএলও চালু করেছে ভারত। ২০২৩ সালে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের তিনজন খেলোয়াড়কে নেওয়ার সুযোগ পেলে কাদের নিতেন—এমন প্রশ্নে মিতালি নির্দ্বিধায় জানান মারুফার নাম,
‘আমি সরাসরি মারুফাকে বেছে নিতাম। কারণ দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রতিটি টি–টোয়েন্টি ম্যাচে তাকে খেলতে দেখেছি। তখন সে খুবই তরুণ ছিল, তখনই বোঝা গিয়েছিল তার মধ্যে প্রচুর উদ্যম আছে। এখন সে কিছুটা পরিণত হয়েছে, তবে এমন মানসম্পন্ন লিগগুলোতে খেলতে পারলে তার দক্ষতা আরও বাড়বে।’
একই সঙ্গে অলরাউন্ডার রাবেয়া খাতুন ও অধিনায়ক নিগারকেও আইপিএলে দেখতে চান বলে জানিয়েছেন মিতালি রাজ।

৩৩৯ রান! হ্যাঁ, আজ নারী বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠতে অস্ট্রেলিয়ার ৩৩৮ রান টপকে বিশ্বরেকর্ড গড়তে হতো ভারতকে। যা রীতিমতো অবিশ্বাস্য। কিন্তু সেই অবিশ্বাস্য ও দুঃসাহসিক কাজটাই করে দেখালেন জেমিমা রদ্রিগেজ। ডানহাতি এই ব্যাটারের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে ৫ উইকেটে জয় পেল ভারত।
গতকাল ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে দক্ষিণ আফ্রিকা। ইংলিশ মেয়েদের বিপক্ষে ১২৫ রানের বড় জয় পায় লরা উলভার্টরা। আজ হারমানপ্রীতদের জয় নিশ্চিত হওয়ায় তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠল ‘ব্লুজ’রা। ফলে বিশ্বকাপ দেখবে নতুন চ্যাম্পিয়ন।
নবি মুম্বাইয়ে আজ টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নারী বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। তাদের সেই লক্ষ্য ৯ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়ে যায় ভারত।
ব্যাট করতে নেমে শুরুর দিকেই বিপাকে পড়ে ভারত। সুনিপুণ দক্ষতায় পরিস্থিতি সামাল দেন জেমিমা রদ্রিগেজ ও হারমানপ্রীত কৌর। দু’জন মিলে তৃতীয় উইকেটে ১৬৭ রানের জুটি গড়েন। হারমানপ্রীত ব্যক্তিগত ৮৯ রানে ফিরলে খানিকটা চাপ তৈরি হয়।
 
    লক্ষ্যের পথে রদ্রিগেজ আরও তিনটি গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন — দিপ্তি শর্মার সঙ্গে ৩৮ রানের এবং রিচা ঘোষের সঙ্গে ৪০ রানের। শেষদিকে আমনজোতকৌরের সঙ্গে জুটি গড়ে সব হিসাব চুকিয়ে দেন।
রদ্রিগেজ ১২৭ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ শেষ করেন। প্রায় ২০০ মিনিট ক্রিজে পড়ে থেকে হাঁকান ১৪টি বাউন্ডারি। যদিও ইনিংসে দু’বার ক্যাচের সুযোগ দিয়েও ভাগ্যবানভাবে বেঁচে যান তিনি।
এর আগে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি করে রেকর্ড গড়েন তরুণ ওপেনার ফিবি লিচফিল্ড। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে মাত্র ৭৭ বলে সেঞ্চুরি করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। ভেঙে দেন ভারতের অধিনায়ক হারমানপ্রীত ও ইংল্যান্ডের ন্যাট স্কিভার-ব্রান্টের ৯০ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড।
২২ বছর ১৯৫ দিনে সেঞ্চুরি করে নকআউট পর্বে সবচেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরি করা ক্রিকেটার এখন লিচফিল্ড। অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে দ্বিতীয় কম বয়সী ক্রিকেটার হিসেবে এটি তাঁর প্রথম বিশ্বকাপ সেঞ্চুরি।
অধিনায়ক অ্যালিসা হিলি ও অ্যাশলি গার্ডনার— দুজনই অর্ধশতক করেন। হিলি খেলেন ৭৭ রানের ইনিংস, আর গার্ডনারের ব্যাট থেকে আসে ৬৩ রান। সব মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়া তোলে বিশাল ৩৩৮ রান।