নতুন মৌসুমে বার্সেলোনার খেলায় আগের মৌসুমের ঝাঁজটা ঠিক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। প্রতিপক্ষকে দুমড়েমুচড়ে দেওয়া সেই বার্সার খোঁজে কপালে দুশ্চিন্তার ভাজ পড়ে কোচ হ্যান্সি ফ্লিকেরও। অবশেষে সব সন্দেহ আর সংশয় উড়িয়ে বার্সা যেন ফিরল তার আসল রূপে।
চোটের কারণে দলের সবচেয়ে বড় তারকা লামিনে ইয়ামালকে ছাড়াই ৬-০ গোলের বিশাল জয় পেয়েছে বার্সা। লা লিগায় গতকাল ৬ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ইয়হান ক্রইফ স্টেডিয়ামে ভ্যালেন্সিয়ার জালে গুনে গুনে হাফ ডজন বল পাঠিয়েছে কাতালান ক্লাবটি। সফরকারীদের গুড়িয়ে দেওয়া ম্যাচে জোড়া গোল করেন ফার্মিন লোপেজ, বদলি নামা রাফিনিয়া ও রবার্ট লেভানোদোভস্কি।
এই জয়ের পর পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে বার্সেলোনা। চার ম্যাচে ৩ জয় ও ১ ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে আছে তারা। আর সমান ম্যাচে শতভাগ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বার্সার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ। ৪ পয়েন্ট নিয়ে ১৫ নম্বরে ভ্যালেন্সিয়া।
আরও পড়ুন
কড়া ট্যাকেলে ম্যাক অ্যালিস্টারকে নিয়ে চিন্তা |
![]() |
ঘরের মাঠে বার্সার আধিপত্য ছিল দেখার মতো। ৭৩ শতাংশ বল দখলে রেখে ২৪টি শট নিয়েছে তারা, যার মধ্যে ১০টি ছিল লক্ষ্যে। যেখানে মাত্র দুটি শট নিয়ে একটি লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে ভ্যালেন্সিয়া।
পেশির চোটে আক্রান্ত ইয়ামালের জায়গায় বাঁ প্রান্তে মার্কাস রাশফোর্ডকে নামান ফ্লিক। আর ডানদিকে শুরুর একাদশে রাফিনহার বদলে অভিষেক হয় রুনি বার্দগজির। ২৯ মিনিটে প্রথম গোলের দেখা মেলে। ফেরান তরেসের ফ্লিক থেকে নিখুঁত শটে বার্সাকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন লোপেজ। প্রথামার্ধে আরো ১১টি শট নিলেও আর গোলের দেখা পায়নি বার্সা।
দ্বিতীয়ার্ধে বার্সার রুদ্র রূপ দেখে ভ্যালেন্সিয়া। বিরতির পর মাত্র ১১ মিনিটের মধ্যে দুইবার বল জালে পাঠিয়ে ব্যবধান ৩-০ করে লা লিগার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ৫৩ মিনিটে বাঁ-দিক থেকে পাঠানো র্যাশফোর্ডের ক্রস দারুণ স্লাইডে লক্ষ্যভেদ করেন বদলি নামা রাফিনিয়া। তিন মিনিট পরই ২৫ গজ দূর থেকে দুর্দান্ত শটে জোড়া গোল পূর্ণ করেন লোপেজ।
এবার জোড়া গোল করেন রাফিনিয়া। ৬৬ মিনিটে লোপেজের ক্রস ভ্যালেন্সিয়ার ডিফেন্ডার ঠিকঠাক ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হয়। তাতে জোরোলো এক ভলিতে জাল কাঁপান ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার। ৪-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর রাশফোর্ড ও তরেসকে তুলে দানি ওলমো ও লেভানদোভস্কিকে নামান বার্সা কোচ।
আরও পড়ুন
ইয়ামালকে নিয়ে দে লা ফুয়েন্তের ওপর চটলেন ফ্লিক |
![]() |
ম্যাচের ১৪ মিনিট বাকি থাকতে দারুণ এক শটে ক্রসবারের নিচ ঘেঁষে গোল করে ব্যবধান ৫-০ করেন লেভানদোভস্কি । শেষ দিকে ১৮ বছর বয়সী বদলি মার্ক বার্নালের পাস থেকে জোড়া গোল পূর্ণ হয় পোলিশ ফরোয়ার্ডেরও।
আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর বার্সালোনার পরের ম্যাচ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে। ইউরোপ সেরার মঞ্চে মাঠে নামার আগে দারুণ এক মহড়াই দিয়ে রাখল ফ্লিক বাহিনী।
No posts available.
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১:১৯ পিএম
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৫৫ পিএম
‘কত পথ পাড়ি দিতে হবে একজন মানুষকে, যতক্ষণ তাকে মানুষ বলা হবে?” বব ডিলানের খুবই বিখ্যাত একটি গানের প্রথম দুটি লাইন। এই গানের প্রথম অংশের সঙ্গে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোথায় জানি মিল পাওয়া যায়। চরম দুর্দশার মধ্য দিয়ে যাওয়া ইংলিশ ক্লাবটিকে আর কত কণ্টকময় পথ পাড়ি দিতে হবে? অন্ধকার টানেলও তো একসময় আলো মুখ দেখে, আর কত বাজে সময় পার করার পর সুদিন ফিরবে ইউরোপের বনেদি এই ক্লাবের?
মৌসুম আসে মৌসুম যায়, ডাগ-আউটে একের পর এক কোচের পা পড়ে। ইউনাইটেডের সুসময়ই শুধু ফিরে না। ম্যান ইউর কিংবদন্তি ওয়েইন রুনি ইংলিশ ক্লাবটিকে নিয়ে আপাতত কোনো আশাও দেখছেন না। ইউনাইটেডের বর্তমান কোচ রুবেন আমোরিমের অধীনে ২০বারের লিগ চ্যাম্পিয়নদের আরো অধঃপতনই হয়েছে বলেই মনে করেন সাবেক এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড।
আরও পড়ুন
চাকরি হারানোর পরোয়া নেই, নিজেকে বদলাবেন না ইউনাইটেড কোচ |
![]() |
ম্যান ইউর ট্র্যাজেডির সবশেষ সংযোজন ‘ম্যানচেস্টার ডার্বিতে’ বড় হার। পেপ গার্দিওলার সিটির বিপক্ষে আমোরিমের দল হেরেছে ৩-০ ব্যবধানে। গত মৌসুম থেকে ধুকতে থাকা সিটিজেনরাও রেড ডেভিলদের পেয়ে যেন ছন্দ ফিরে পায়।
নিজের সাবেক ক্লাব নিয়ে ‘দ্য ওয়েইন রুনি শো’-এর সবশেষ এপিসোডে কথা বলেন রুনি। ম্যান ইউর কোচ আমোরিম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গত বছর যখন টেন হাগকে বরখাস্ত করা হলো এবং রুবেন আসলেন, তখন আমরা শুনছিলাম তারা কিভাবে খেলবে, এবং এটি পরিবর্তন হবে। আমি মনে করি, যদি ম্যানেজার নিজের সঙ্গে সৎ হন, পরিস্থিতি আরও খারাপই হয়েছে।’
গত বছরের নভেম্বরে এরিক টেন হাগের স্থলে আমোরিমকে নিয়োগ দেয় ম্যান ইউ। ২০২৪-২৫ মৌসুমে ইউনাইটেড লিগে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে ১৫ নম্বেরে শেষ করে। ১৯৮৯–৯০ মৌসুমের পর যা ক্লাবটির সর্বনিম্ন অবস্থান। পর্তূগিজ কোচের অধীনে ১০ মাসেরও বেশি সময় চলে গেলেও ইউনাইটেড এখনো উন্নতির মুখ দেখেনি।
রুনিরও কণ্ঠে শোনা যায় সেই আক্ষেপ, ‘আমি যতটা সম্ভব ম্যানেজার এবং খেলোয়াড়দের প্রতি সহযোগিতামূলক ও ইতিবাচক থাকতে চাই। কিন্তু এখানে বসে এটা বলা খুব কঠিন যে আমরা উন্নতি দেখছি, বা অন্তত কিছু দেখছি যা অল্প সময়ে ফলাফল আনবে। আমরা এ ধরনের কিছুই দেখছি না।’
আরও পড়ুন
গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে মেসিকে টেক্কা দিচ্ছেন কে |
![]() |
ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই দর্শকদের স্টেডিয়াম ত্যাগ করতে দেখে চরম হতাশ হয়েছেন রুনি, ‘ কান পাতলে আপনি শুনতে পাবেন সমর্থকরা আমোরিমের নাম ধরে গান গাইছিল, কিন্তু আমার কাছে আরও শক্তিশালী ছবি ছিল এই যে ইউনাইটেডের সমর্থকেরা খেলা ছেড়ে চলে যাচ্ছিল। আপনি জানেন যে, তখনই বোঝা যাচ্ছিল খেলা শেষ। আর আমি মনে করি তারা মাঠে যা দেখছিল তাতে ভীষণ হতাশই হয়েছিল।’
এরপর দলের অনিশ্চিত ভবিষ্যত নিয়ে উদ্মেগ প্রকাশ করেন ইউনাইটেডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা, ‘কোথায় সেই ধরণ বা কাঠামো ? আমরা আসলে এমন কিছু কি দেখছি যা ভবিষ্যতে দলকে উন্নতির পথে নিতে পারে?
শিরোনামে আবারও লিওনেল মেসি, তবে এবার গোলের জন্য নয়! আলোচনায় তাঁর এক দুর্লভ রুকি কার্ড, যেন সময়ের বুক থেকে উঠে আসা এক টুকরো ইতিহাস! এ কার্ডটি সম্প্রতি বিক্রি হয়েছে রেকর্ড মূল্যে ১৫ লাখ মার্কিন ডলার! বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে ১৬ কোটি টাকা।
বিশ্ব ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তি লিওনেল মেসি আবারও শিরোনামে, তবে এবার খেলার মাঠ নয়, বরং তাঁর এক বিরল সংগ্রহযোগ্য কার্ড ঘিরে। সম্প্রতি, তাঁর একটি রুকি কার্ড রেকর্ড দামে বিক্রি হয়েছে ১৫ লাখ মার্কিন ডলারে (প্রায় ১৬ কোটি টাকা)!
এই কার্ডটি ২০০৪-০৫ মৌসুমে প্রকাশিত হয়েছিল স্পেনের বিখ্যাত কার্ড প্রস্তুতকারক পানিনি মেগা ক্র্যাকস সিরিজে। এটি ছিল মেসির প্রথম অফিশিয়াল ট্রেডিং কার্ড, তাঁর বার্সেলোনার হয়ে পেশাদার ক্যারিয়ারের শুরুতে প্রকাশিত হয়।
আরও পড়ুন
গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে মেসিকে টেক্কা দিচ্ছেন কে |
![]() |
কার্ডটি ছিল একেবারে নিখুঁত অবস্থায়। পেশাদার স্পোর্টস অথেনটিকেটর (পিএসএ) নামক আন্তর্জাতিক গ্রেডিং সংস্থা এটিকে দিয়েছে সর্বোচ্চ জেম-মিন্ট ১০ গ্রেডিং, যা খুবই বিরল।
এই দামে বিক্রির মাধ্যমে এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দামী ফুটবল কার্ড হিসেবে রেকর্ড গড়েছে। এর আগে সবচেয়ে দামী ফুটবল কার্ড ছিল পেলের ১৯৫৮ সালের রুকি কার্ড, যা বিক্রি হয়েছিল ১৩ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলারে।
এই দুর্লভ কার্ডটির বিক্রয় সম্পন্ন করেছে একটি নতুন উচ্চমূল্যের সংগ্রহযোগ্য কার্ড বিপণন নেটওয়ার্ক ফ্যানাটিকস কালেক্ট। এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যা ১০ হাজার ডলার বা তার বেশি মূল্যের সংগ্রহযোগ্য জিনিসের প্রাইভেট লেনদেনের ব্যবস্থা করে। কার্ডটির বিক্রেতার পক্ষে কাজ করেছে অ্যাকুইর নামের একটি প্রতিষ্ঠান, যারা দামী সংগ্রহযোগ্য দ্রব্য কেনাবেচায় বিশেষজ্ঞ।
পিএসএর তথ্য অনুযায়ী, মেসির কার্ডের মোট ৮৩৮টি কপি এখন পর্যন্ত গ্রেড করা হয়েছে, যার মধ্যে মাত্র ২০টি পেয়েছে জেম-মিন্ট ১০ রেটিং। অর্থাৎ এমন নিখুঁত অবস্থায় থাকা কার্ড অত্যন্ত দুর্লভ যা এর মূল্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই কার্ডটি পেয়েছে মাইক বেকার অথেনটিকেটেড ডায়মন্ড সার্টিফিকেশন যা সংগ্রাহকদের কাছে এক ধরনের ‘উচ্চতম মানের’ স্বীকৃতি হিসেবে বিবেচিত।
আরও পড়ুন
তিন জোড়ায় ভ্যালেন্সিয়ার জালে হাফ-ডজন গোল বার্সার |
![]() |
রুকি কার্ড কী? রুকি কার্ড হচ্ছে কোনো খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ারের প্রথম অফিশিয়াল ও স্বীকৃত ট্রেডিং কার্ড, যা তাঁর পেশাদার খেলার শুরুর মৌসুমে প্রকাশিত হয়। মেসির এই কার্ডটি ২০০৪ সালে বার্সেলোনার হয়ে তাঁর অভিষেক মৌসুমে প্রকাশিত হয়েছিল, যা এখন ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে।
এ ধরনের রুকি কার্ড শুধুই একটি ছবির টুকরো নয় এটি একজন কিংবদন্তির সূচনার দলিল। আর যখন সেটি হয় নিখুঁত অবস্থায়, তখন তা হয়ে ওঠে এক অসাধারণ সংগ্রহযোগ্য সম্পদ, যার মূল্য কেবল সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তেই থাকে।
চার ম্যাচে একটি করে জয় ও ড্র, পরাজয় বাকি দুইটিতে- গত মৌসুমের বাজে পারফরম্যান্সের ধারাতেই চলছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের নতুন আসরেও বদলায়নি অবস্থা। তবু খেলার ধরন বদলাবেন না দলের কোচ রুবেন আমোরিম। তাতে চাকরি চলে গেলেও সমস্যা নেই তার।
ম্যানচেস্টার ডার্বিতে রোববার রাতে সিটির মাঠে খেলতে গিয়ে ৩-০ গোলে উড়ে গেছে ইউনাইটেড। চার ম্যাচে মাত্র ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ১৪ নম্বরে অবস্থান করছে তারা। নতুন মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচের তিনটিই হেরেছে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।
প্রায় ২৩ বছর আগে সবশেষ প্রিমিয়ার লিগে প্রথম চার ম্যাচে এত কম পয়েন্ট ছিল ইউনাইটেডের। স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের কোচিংয়ে ১৯৯২-৯৩ মৌসুমে প্রথম চার ম্যাচে মাত্র ৪ পয়েন্ট পেয়েছিল ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের দল।
আরও পড়ুন
গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে মেসিকে টেক্কা দিচ্ছেন কে |
![]() |
গত নভেম্বরে ইউনাইটেডের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অবশ্য খুব একটা সাফল্যের মুখ দেখেননি আমোরিম। এই সময়ে প্রিমিয়ার লিগে প্রতিপক্ষের মাঠে খেলা ১৬ ম্যাচে ৮টিই হেরেছে তার দল। মাত্র ৩ জয় ও ৫ ড্রয়ে পেয়েছে ১৪ পয়েন্ট।
ডার্বি ম্যাচে হারের পর তাই আমোরিমের কাছে জানতে চাওয়া হয়, একের পর এক হতাশায় নিজের খেলার ধরন বদলাবেন কিনা তিনি? উত্তরে নিজ থেকেই চাকরি হারানোর প্রসঙ্গ আনেন ইউনাইটেড কোচ।
“দেখুন আমি এটি জানি (ইউনাইটেডের পারফরম্যান্স আশানুরুপ নয়) ও মানি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে এমন রেকর্ড থাকা উচিত নয়। তবে গত তিন মাসে এমন অনেক কিছু হয়েছে, যা সম্পর্কে আপনাদের ধারণা নেই। তবে আমি এটি মেনে নিচ্ছি।”
“তবে আমি বদলাব না। যখন নিজের দর্শন বদলাতে চাইব, নিজেই বদলে যাব। যদি সেটি না হয়, আপনার (আমাকে চাকরিচ্যুত করে) নতুন কাউকে আনতে হবে। হেরে যাওয়া ম্যাচের ব্যাপারে আমরা কথা বলব। তবে আমি আমার মতোই খেলব। নিজে বদলাতে না চাওয়া পর্যন্ত একইভাবে খেলব।”
বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে ভূরিভূরি গোল করে ৬টি গোল্ডেন বুট জিতেছেন লিওনেল মেসি। ক্লাব ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলদাতার এই পুরষ্কার আর্জেন্টাইন মহাতারকা কেবল বার্সেলোনার জার্সিতেই অর্জন করেছেন। সোনালি সেই সময়টায় মেসির সঙ্গে গোল্ডেন বুট জেতার লড়াইয়ে ছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। সাবেক রিয়াল মাদ্রিদের এই ফরোয়ার্ডে ছিলেন মেসির প্রতিদ্বন্দ্বি।
সময় বদলেছে। বদলে গেছে মেসি আর রোনালদোর পথও। তবে বদলায়নি দুই সর্বকালের অন্যতম সেরার গোল্ডেল বুটের ক্ষুধা। সৌদি প্রো লিগে টানা দুই মৌসুম গোল্ডেন বুট জিতেছেন আল নাসর ফরোয়ার্ড রোনালদো। আর এদিকে এমএলএসে (মেজর লিগ সকার) চলতি মৌসুমে গোল্ডেন বুট জয়ের দৌঁড়ে আছেনে ইন্টার মায়ামি তারকা মেসি।
এমএলএসে গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে মেসিকে টেক্কা দিচ্ছেন ন্যাশভিলের ফরোয়ার্ড স্যাম সারিজ। সিনসিন্নাতির বিপক্ষে গতকাল ২-১ গোলে তার ক্লাব ন্যাশভিল হারলেও গোল পান ইংলিশ ক্লাব বোর্নমাউথের সাবেক এই ফুটবলার।
আরও পড়ুন
তিন জোড়ায় ভ্যালেন্সিয়ার জালে হাফ-ডজন গোল বার্সার |
![]() |
এমএলএসে এ নিয়ে সারিজের মোট গোল এখন ২১। অন্যদিকে দুই কম ১৯ গোল নিয়ে গোল্ডেন বুট জয়ের লড়াইয়ে দুইয়ে আছেন মেসি। তবে মায়ামির হয়ে আরো আটটি ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ পাচ্ছেন রেকর্ড আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী।
এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্স থেকে ক্লাবগুলো ৩৪টি ম্যাচ খেলে। সারিজের ক্লাব ন্যাশভিল ইতোমধ্যে ৩০টি ম্যাচ খেলেছে, যেখানে এখন পর্যন্ত ২৬টি ম্যাচ খেলেছে মেসির মায়ামি। তাতে সর্বজয়ী মেসি ফুটবল ক্যারিয়ারে আরো একটি গোল্ডেন বুট যোগ করার দারুণ সুযোগই পাচ্ছেন।
অবশ্য সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় মেসির ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন অনেকে। এর মধ্যে আছেন এলএএফসির দেনিস বুয়াঙ্গা, এখন পর্যন্ত তার গোলসংখ্যা ১৮ গোল। এ ছাড়া ১৭ গোল আছে দু’জনের, ১৬ গোলদাতা তিনজন।
গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে মেসিকে টেক্কা দেওয়া সাবেক ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলের স্ট্রাইকার সারিজ ইংল্যান্ডের একাধিক ক্লাবে খেলে ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এসে থিতু হন। সব মিলিয়ে ন্যাশভিল এসসির হয়ে তার গোলসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৩। দুই মৌসুমেই ক্লাবের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা বনে গেছেন তিনি।
ম্যাচের তখন ১৫ মিনিট। লিভারপুর-বার্নলি একে অন্যের জাল খুঁজাতে ব্যস্ত। তখনই ঘটে অঘটন। বার্নলির ঘরের মাঠ টার্ফ মুরে কড়া ট্যাকেলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার ম্যাক অ্যালিস্টার। ফরাসি সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার লেসলি উগোচুকু ফাউল করে বসেন তাকে। রেফারির কাছ থেকে হলুদ কার্ড দেখলেও ততক্ষণে যা ঘটার ঘটে যায়।
ম্যাক অ্যালেস্টার মাঠ ছাড়লেও জয় পেতে অসুবিধা হয়নি অল রেডসদের। মিশরীয় ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহ’র গোলে প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে জয় ছিনিয়ে এনেছে তারা। প্রিমিয়ার লিগের রবিবার রাতের ম্যাচে পূর্ণ তিন পয়েন্ট জিতে টেবিলে শীর্ষস্থান অক্ষুণ্ন রেখেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
আরও পড়ুন
হালান্ড জাদুতে ম্যানচেস্টার ডার্বি সিটির |
![]() |
ম্যাক অ্যালিস্টারের মাঠ ছাড়া নিয়ে ম্যাচ শেষে লিভারপুল কোচ আর্নে স্লট বলেছেন,
‘‘সে (অ্যালেস্টার) প্রাক-মৌসুমের একটা বড় অংশ মিস করেছে। তাই সে সপ্তাহে একটা খেলার জন্য প্রস্তুত। সে আর্জেন্টিনার হয়ে ৯০ মিনিট খেলেছে এবং খুব ক্লান্ত ছিল। সুতরাং আজ আমি স্পষ্টভাবে বলেছিলাম যে, ৬০ মিনিটের পর তাকে বদলি করাব, যাতে সে বুধবার এবং শনিবার আবার মাঠে ফিরতে পারে।”
স্লট নিশ্চিত করেন অ্যালিস্টার শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকতে চেয়েছিলেন, তবে বড় কোনো সমস্যা এড়াতে তাকে বদলি করার সিদ্ধান্ত নেন কোচ।