বাংলাদেশের অন্যতম ক্রীড়াবান্ধব প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি-এর পৃষ্ঠপোষকতায় ও বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজেএ) আয়োজনে গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে ‘ওয়ালটন-বিপিজেএ ক্রীড়া উৎসব-২০২৪’।
এই টুর্নামেন্ট উপলক্ষে অ্যাসোসিয়েশনের নিজস্ব মিলনায়তনে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিপিজেএ-এর সভাপতি ইন্দ্রজিৎ কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে ক্রীড়া উৎসবের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কাজি বোরহান উদ্দিন।
এরপর দাবা খেলার মধ্য দিয়ে প্রতিযোগিতার সূচনা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি-এর সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এফ.এম. ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি-এর এডিশনাল এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রবিউল ইসলাম মিলটন।
বিপিজেএ-এর ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এম খোকন সিকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ সম্পাদক আব্দুল আজিজ ফারুকী, ক্রীড়া উদযাপন আহবায়ক উপকমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান, হারুনর রশীদ রুবেলসহ সংগঠনের সদস্যবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের আয়োজনে পুরুষ সদস্যদের জন্য মোট ৫টি ইভেন্ট রয়েছে। সেগুলো হল : দাবা, শ্যুটিং, ক্যারাম (একক), ম্যারাথন ও টেনিস বল নিক্ষেপ। নারী সদস্যদের জন্য রয়েছে একটি ইভেন্ট, আর সেটি হলো লুডু খেলা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়েছে, প্রতি বছরের মতো এবারও বর্ষসেরা পুরুষ ও নারী ক্রীড়াবিদকে পুরস্কার প্রদান করা হবে।
সময় বদলায়, যুগ পাল্টায় তবে বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশনের আক্ষেপ শেষ হয় না। যুগের পর যুগ চলতে থাকে। সেই আক্ষেপের নাম ইলেক্ট্রনিক স্কোরবোর্ড। ৩৩তম জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগীতা শুরু হচ্ছে শনিবার, তবে ইলেক্ট্রনিক স্কোরবোর্ড সচল না থাকায় এবারও প্রতিযোগীতা হবে হ্যান্ড টাইমিংয়ে।
সাঁতার ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ সেলিম মিয়া বলেন, ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সচিবকে আমাদের ইলেকট্রনিক স্কোর বোর্ডের বিষয়ে চিঠি দিয়েছি। আপাতত এটা সমাধানের কোনও সম্ভাবনা নেই। তাই আমাদের এবারও হ্যান্ডটাইমিংয়ে সাঁতার আয়োজন করতে হচ্ছে। ইলেকট্রনিক বোর্ড আমাদের দুঃখ হয়ে আছে।’
২০১৯ সালে ৫ কোটি টাকা খরচ করে ইলক্ট্রনিক স্কোরবোর্ড বসানো হলেও, সেটা পড়ে আছে অচলাবস্থায়। তাইতো প্রতি বছর জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয় হ্যান্ড টাইমিংয়ে।
মিরপুরের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সুইমিং কমপ্লেক্সে জাতীয় সাঁতারে বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, বিভিন্ন সার্ভিসেস দলসহ মোট ৫২ দলের ৫৫০ জন সাঁতারু অংশ নেবে। পুরুষ ও মেয়েদের ইভেন্ট ৩৮টি। এছাড়া পুরুষ বিভাগে ডাইভিংয়ে ৩টি ও ওয়াটারপোলোর ১টি ইভেন্ট রয়েছে।
দেশের জন্য দারুণ এই গৌরব বয়ে এনেছেন বিকেএসপির এ্যাথলেট তামিম হোসেন। তাইওয়ানে অনুষ্ঠিতব্য ন্যাশনাল স্কুল অ্যাথলেটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪-এ ট্রিপল জ্যাম্পে ১৪.৭৭ মি. লাফিয়ে স্বর্ণ পদক লাভ করেছেন বাংলাদেশের তামিম হোসেন।
এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ ছাড়াও মলয়েশিয়া, শ্রিলংকা, সিঙ্গাপুর ও স্বগতিক তাইওয়ান অংশগ্রহণ করছে। ১০ সদস্য বিশিষ্ট বিকেএসপি দলটি গত ৩ তারিখ রাতে যাত্রা করে।
আরও পড়ুন
আবারও স্বর্ণ জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন ইমরানুর |
প্রতিযোগিতাটি আগামী ৯ নভেম্বর শেষ হবে। বাংলাদেশ দলের আগামী ১১ নভেম্বর দেশে ফেরার কথা রয়েছে। বিকেএসপি দলের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন ফৌজিয়া হুদা জুই ও শাহাদাত হোসেন ভূইয়া।