নামে ভারে ম্যাচটায় ফেভারিট ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। শুরু থেকে দেখিয়েছে দাপটও। লম্বা সময় এগিয়ে থেকেও সহজ ম্যাচটা কঠিন করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। আর দারুণ এক রুপকথার গল্প লিখতে লিখতেও লেখা হলো না কভেন্ট্রি সিটির। টাইব্রেকারে গিয়ে শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি ইউনাইটেডের। তবে এতে খুব একটা মন ভরেনি ইউনাইটেড বস টেন হাগের।
ম্যাচের ৭০ মিনিট পর্যন্ত ৩-০ গোলে এগিয়ে ছিল রেড ডেভিলরা। শেষে ২০ মিনিটে খেই হারায় টেন হাগের দল। হজম করে বসে ৩ গোল। আর তাতে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও আলাদা করা যায়নি কোনো দলকে। আর তাতে টাইব্রেকারই হয় এক মাত্র সমাধান। সেখানে চাপ সামলে জয় এনে দেয় ইউনাইটেডের ফুটবলাররা।
আরও পড়ুন: ‘ইউনাইটেডে খেলার চাপ সবাই নিতে পারে না'
তবে এমন জয় খুব একটা মন ভরেনি টেন হাগের। ম্যাচ শেষে শুনিয়েছেন সেই কথাই, “ম্যাচটা আমদের জন্য ভিন্নরকমই ছিল। ভালো যেমন খেলেছি তেমন খারাপও। লম্বা সময় ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখলেও শেষে গিয়ে হারিয়ে বসি। এমনটা কিছুটা অস্বস্তিরই। তবে শেষ পর্যন্ত চাপ সামলে জয় পেয়েছি।”
ম্যাচ শেষের কোচের সাথে তাল মিলিয়েন দলটির মিডফিল্ডার ব্রুনো ফার্নান্দেজও। সেই সাথে ইঙ্গিত দিয়েছেন আরও ভালো করার, “আমরা নিজেরাই ম্যাচটা কঠিন করেছি। আরও আগেই উচিত ছিল ম্যাচটা শেষ করা, কিন্তু আমরা তা করতে পারেনি। আরও অনেক কিছু আমাদের উন্নতি করতে হবে।”
এদিন স্কট ম্যাকটমিনের গোলে ২৩ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে গোলের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হ্যারি ম্যাগুয়ের। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেও ইউনাইটেড ধরে রাখে দাপট। ৫৮ মিনিটে ব্রুনো ফার্নান্দেজের গোলে ইউনাইটেডের জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়।
যখন মনে হচ্ছিল ইউনাইটেড পাচ্ছে সহজ জয়, তখনই জেগে উঠে কভেন্ট্রি সিটি। শেষ ২০ মিনিটে তারা অবিশ্বাস্যভাবে শোধ করে তিনটি গোলই। আর তাতে জমে উঠে ম্যাচ। জেগে উঠে ওয়েম্বলি।
অতিরিক্ত সময়েও দেখা মেলে নাটকীয়তার। ম্যাচ শেষ হওয়ার মিনিট তিনেক আগে বারপোস্টের বাঁধায় গোল পাওয়া হয়নি কভেন্ট্রি সিটির। আর একেবারে শেষ মূহর্তে গোল করেও অফসাইড আটকে দিয়েছে তাদের উল্লাস।
আরও পড়ুন: সিটির সাফল্যে উচ্ছ্বসিত ইউনাইটেড কিংবদন্তি রোনালদো
টাইব্রেকারে গিয়ে প্রথমেই কাসেমিরোর শট ফিরিয়ে দেয় কভেন্ট্রি গোলকিপার। এরপর প্রথম দুই শটেই গোল করে এগিয়েও গিয়েছিল দলটি। কিন্তু পরের দুটি শট ফিরিয়ে দেন আন্দ্রে ওনানা। কভেন্ট্রি গোল করতে পারেনি চতুর্থ শটেও। বেন শিফ বার উঁচিয়ে মারেন সেই শট। আর ওদিকে দিয়োগো দালোত, ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন, ব্রুনো ফার্নান্দেজের পর হইলুনও গোল করে ফাইনালে পৌঁছে দেয় ইউনাইটেডকে।
এই জায়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো এফএ কাপ দেখতে চলছে ম্যানচেস্টার ডার্বি।
৪ জানুয়ারি ২০২৫, ৭:৫৪ পিএম
৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২:২২ পিএম
ফুটবল ক্যারিয়ারে লিওনেল মেসি জিতেছেন সম্ভাব্য সব কিছুই। তার সম্মাননাও আর্জেন্টাইন অধিনায়ক পেয়েছেন নিয়মিত। এবার বিশ্বকাপ জয়ী এই তারকার মুকুটে যুক্ত হচ্ছে নতুন পালক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পেতে চলেছেন মেসি। শনিবার হোয়াইট হাউজ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে এমনটাই।
২০২৩ সালে পিএসজি থেকে ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেন মেসি। তার আগমনে বদলে যায় আমেরিকান ফুটবল। মেলে মিডিয়া কাভারেজ, বাড়ে দর্শকদের আগ্রহ। তবে ফুটবলীয় কারণে মেসি পাচ্ছেন না যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মাননা। বিশেষ এই সম্মাননা মেসি পাবেন শিশু বিষয়ক উন্নতির কাজের খাতিরে।
হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে জানায়, “লিও মেসি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষা কার্যক্রমে সহায়তা করেন তিনি, এবং ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করেন। তাই তাকে এই সম্মননা দেওয়ার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।”
তবে মেসি পুরস্কারটা পাবেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছ থেকে। আগামী ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বসার আগে বাইডেন এই সম্মাননা দিয়ে নিজের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন বলে জানাচ্ছে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো।
মেসি ছাড়াও প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম' পুরস্কারের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে আরও ১৮ জনকে। যেই তালিকায় ক্রীড়াবিদ, ব্যবসায়ীসহ আছেন নানা পেশার মানুষই।
গোল করা যেন সবচেয়ে সহজ কাজই বানিয়ে ফেললেন রহমতগঞ্জ ফরোয়ার্ড স্যামুয়েল বোয়াটেং। ওয়ান্ডারার্সের বিপক্ষে ঘানার এই ফুটবলার একাই করেছেন দলের সবগুলো গোল। তাও সেটা একটা দুটা নয় ছয়-ছয়টা গোল। তাতে তার দল রহমতগঞ্জ মাঠ ছেড়েছে ৬-১ গোলের বিশাল জয় নিয়ে। তাদের মতো বড় জয় পেয়েছে মোহামেডানও। টেবিল টপাররা চট্টগ্রাম আবাহনীকে উড়িয়ে দিয়েছে ৫-১ গোলে।
এর আগে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে একবারই কোনো ফুটবলার এক ম্যাচে ছয় গোল করতে পেরেছিল। তাও সেটা ২০০৭ সালে। সেবার প্রতিপক্ষ ছিল এই রহমতগঞ্জই। মোহামেডানের নোয়ান পল রহমতগঞ্জের জালে গোল উৎসবে মেতেছিল তখন। এবার রহমতগঞ্জের জার্সিতে সেই একই স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছেন বোয়েটেং।
আরও পড়ুন
সৌদিতে খুশি রোনালদো, চোখ শিরোপার দিকে |
মুন্সীগঞ্জের ম্যাচের দুই অর্ধে তিনবার করে বল জালে জড়ান বোয়াটেং। যার শুরুটা করেন ২৩ মিনিট। এরপর ৩৭ মিনিটে দ্বিতীয় এবং ৪৪ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন। বিরতির পর সাইফ শামসুদের গোলে ব্যবধান কমায় ওয়ান্ডারার্স। এর পর আবারও বোয়াটেং ঝলক। ৬৩,৬৬ এবং ৭০ মিনিটে জাল খুঁজে নেন তিনি। তাতে প্রথমবারের মতো প্রিমিয়া লিগে খেলতে এসেই ৬ ম্যাচে ১০ গোল করে গোলদাতার তালিকায় সবাইকে পেছনে ফেলেছেন ২৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
অন্যদিকে এই জয়ে তার দল রহমতগঞ্জ উঠে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে। ৬ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ১৫। আর ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে মোহামেডান।
সাদা কালোরাও শনিবার জয় পেয়েছে ৫-১ গোলের বড় ব্যবধানে। ম্যাচের ২০ মিনিটের মধ্য দশ জনের দলে পরিণীত হলেও জয় পেতে খুব একটা কষ্ট করতে হয়নি আলফাজ আহমেদের দলকে। প্রথমআর্ধে গোলের দেখা না পেলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বেশ কিছু পরিবর্তন করেন আলফাজ আহমেদ। তাতে ফলও পায় তারা।
আরও পড়ুন
লিভারপুলে বিদায়ের দিন গুনছেন সালাহ |
জোড়া গোল করেন সৌরভ দেওয়ান। একটি করে গোল করেন মনজির কৌলিদিয়াতি এবং এমানুয়েল সানডে। তাতে প্রিমিয়ার লিগে শতভাগ জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে মোহামেডান।
দুই বছর সৌদি আরবে পার করে ফেলেছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। চড়াই-উতরাই ভালোই দেখেছেন এই সময়ে। তারমাঝেও নতুন দেশ, নতুন ক্লাবে ভালোভাবেই মানিয়ে নিয়েছেন পর্তুগাল অধিনায়ক। সময়টা মরুর দেশে যে বেশ উপভোগ করছেন সেটা হরহামেশাই বলেন তিনি। তবে শিরোপা জয়ের আক্ষেপটা আছে রোনালদোর। এখন নজরটা সেদিকেই।
এরিক টেন হাগের সাথে দ্বন্দে জড়িয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছাড়েন রোনালদো। পাড়ি জমান সৌদি আরবে। তার এই এক দলবদলে বদলে যায় সৌদি ফুটবল। রোনালদোর দেখাদেখি করিম বেনজেমা, নেইমার, সাদিও মানের মত তারকারাও যোগ দেন সৌদি ক্লাবগুলোতে। তাতে রাতারাতি আলোচনায় চলে আসে সৌদি প্রো লিগ।
আরও পড়ুন
ব্যালন ডি’অর নিয়ে সমালোচনা, রোনালদোকে রদ্রির ‘খোঁচা’ |
গেল দুই বছরে বেশ বদলেছে লিগের মান। দেশটিতে দুই বছর পার করা নিয়ে সম্প্রতি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রোনালদো। যেখানে যেভাবে লিগ এগিয়ে যাচ্ছে তাতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন রোনালদো, “আমার জন্য, এটা সম্মানের যে লিগ দিন দিন উন্নতি করছে এবং অনেক তারকা খেলোয়াড় আসছেন। যা লিগকে আরও ভালো এবং প্রতিযোগিতামূলক করছে। তবে আমি তাকিয়ে আছি সামনের দিকে। শুধু ক্লাব না, একাডেমিগুলোর যাতে উন্নতি হয় সেদিকে নজর থাকবে।”
যদিও ইতিবাচকের সঙ্গে নিতিবাচক খবর দিয়েও সৌদি লিগ শিরোনামে এসেছে বেশ কয়েকবার। সৌদি সংস্কৃতির সাথে মানিয়ে নিতে না পেরে মাত্র ছয় মাসেই ইউরোপে ফিরেছিলেন জর্ডান হেন্ডারসন। আয়মেরিক লাপোর্তাও জানিয়েছিলেন সৌদিতে মানিয়ে নেওয়াটা যে সহজ কাজ না। তবে রোনালদোর ক্ষেত্রে সেটা অনেকটাই বিপরীত। আল নাসর তারকা বেশ উপভোগই করছেন সৌদি আরবে।
“এখানে আমি বেশ খুশি। আমার পরিবারও বেশ উপভোগ করছে। নতুন ভাবে আমরা এখানে জীবন শুরু করেছি। ফুটবল কিংবা জীবন দুটাই দারুণ যাচ্ছে। তবে ব্যক্তিগত কিংবা দলীয় অর্জনে আমরা এখনো উন্নতি করে যাচ্ছি।”
আরও পড়ুন
আল নাসরের পর নতুন ঠিকানার খোঁজে রোনালদো? |
গেল দেড় বছরে রোনালদো নিজে গোলের ফোয়ারা ছুটিয়ে গেলেও তার দল আল নাসরের মেলেনি খুব একটা সাফল্য। এক আরব ক্লাব চ্যাম্পিয়ন কাপই রোনালদোর প্রাপ্তি। তাই এবার শিরোপা জেতার দিকেই নজর রাখছেন ৩৯ বছর বয়সী এই তারকা, “যখন আপনি শিরোপা জেতেন তখন সব কিছুই সহজ হয়ে যায়। এখানে প্রথম শিরোপা জেতাটা দারুণ এক অনুভূতি ছিল। কিন্তু আমি আরও শিরোপা জিততে চাই, আল নাসরকে শিরোপা জিততে সাহায্য করতে চাই। আশা করছি এই বছরটা আল নাসরের দুর্দান্ত কাটবে।”
প্রস্তুতিটা নিচ্ছেন মোহাম্মেদ সালাহ। তবে সেটা ক্লাব ছাড়ার। গেল কিছু দিন থেকেই সেই ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। শুক্রবার স্কাই স্পোর্টসের সাথে খোলাখুলিই বলে দিয়েছেন, এটাই তার শেষ বছর হতে যাচ্ছে অ্যানফিল্ডে।
চলতি মৌসুম শেষে সালাহ’র চুক্তি শেষ হওয়ার কথা লিভারপুলের সঙ্গে। তবে এখন পর্যন্ত দুই পক্ষ যে বেশ দুরত্বে দাঁড়িয়ে আছেন সেটা সালাহ বেশ কয়েকবারই জানিয়েছেন। স্কাই স্পোর্টসের সাথে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সেই ধারাটাই ধরে রেখেছেন মিশরীয় তারকা।
স্কাই স্পোর্টস থেকে সালাহ’র কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, লিভারপুলে এটাই তাঁর শেষ মৌসুম কি না। লিভারপুল তারকা উত্তরে ইঙ্গিত দিয়েছেন বিচ্ছেদেরই, “এখন পর্যন্ত? হ্যাঁ। আর মাত্র ছয় মাস বাকি আছে, কিন্তু চুক্তির দিক থেকে এখনো কোনো অগ্রগতি হয়নি।। বলা যায় অনেক দূরে রয়েছি দুই পক্ষ। তাই আমাদের অপেক্ষা করতে হবে সামনে কী হয় তা দেখতে।”
আরও পড়ুন
ইতিহাস গড়েও লিভারপুলে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চিত সালাহ |
গেল মৌসুমে সৌদি আরব থেকে বড় অর্থের প্রস্তাব আসলেও লিভারপুল ছাড়েননি সালাহকে। এই মৌসুমে দুর্দান্ত ফর্মে থাকলেও নতুন চুক্তির প্রস্তাব এখনো মেলেনি তাঁর। তাতে বিদায় যে হতে যাচ্ছে তা অনেকটাই বুঝে গেছেন সালাহ নিজেই। তাই শেষ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপাটা উঁচিয়ে ধরার ইচ্ছে ব্যক্ত করেছেন স্কাই স্পোর্টসের সাথে সাক্ষাৎকারে।
“এই বছর আমার শিরোপার তালিকায় প্রথমেই রাখবো প্রিমিয়ার লিগকে। গত সাত-আট বছরে যত সাক্ষাৎকার দিয়েছি, সব সময় বলেছিলাম, চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে চাই। কিন্তু এই প্রথমবার আমি লিভারপুলের হয়ে প্রিমিয়ার লিগ জয়ের কথা বলছি।”
অল রেডদের হয়ে এটি সালাহর অষ্টম মৌসুম। এই লম্বা সময়ে কেবল একবারই প্রিমিয়ার লিগের শিরোপাটা জিততে পেরেছেন তিনি। অবশ্য সেই লিগ জেতার মহত্ব অন্য যে কোনো শিরোপার থেকে বেশিই হওয়ার কথা। ত্রিশ বছর পর ২০২০ সালে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপাটা জিতেছিল লিভারপুল। তবে কোভিডের কারণে সেবার শিরোপা জয়ের উদযাপনটা খুব একটা জমিয়ে করতে পারেননি সালাহ। তাই সেই আক্ষেপটা এই মৌসুমে মেটাতে চান তিনি।
“ঠিক জানি না, কী কারণে লিগ জেতার প্রতি প্রাধান্য দিচ্ছি। সম্ভবত আমরা শেষবার যেভাবে উদ্যাপন করতে চেয়েছি, সেটা পারিনি বলে হতে পারে। আরেকটা হচ্ছে, ক্লাবের হয়ে এটা আমার শেষ বছর, তাই এই শহরের জন্য বিশেষ কিছু করতে চাই। এটাই আছে আমার মাথায়।”
আরও পড়ুন
সালাহ’র জাদুর ঝাঁপি থেকে আবারো মুগ্ধতা, গড়েছেন নতুন রেকর্ডও |
সালাহরা প্রিমিয়ার লিগ জেতার স্বপ্নটা পূরণ হওয়ার পথেই আছে অবশ্য। ১৮ ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে সবার উপরে আর্নে স্লটের দল। দুইয়ে থাকা এক ম্যাচ বেশি খেলা আর্সেনাল থেকে ৬ পয়েন্টে এগিয়ে আছে তারা।
লিভারপুলের মতো সালাহও আছেন দারুণ ছন্দে। এরই মধ্যে ২৬ ম্যাচে ২০ গোলের পাশাপাশি করে ফেলেছেন ১৭ অ্যাসিস্ট।
এর চেয়েও কি খারাপভাবে বছর শুরু করা যায়? উত্তরটা না-ই হওয়ার কথা। ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে মেজাজ হারিয়ে বছরের প্রথম ম্যাচেই লাল কার্ড দেখেছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তাইতো ম্যাচ শেষেই রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। তবে তাতে অবশ্য পার পাচ্ছেন না তিনি। পড়তে পারেন চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায়।
লা লিগায় পাঁচ হলুদ কার্ড দেখে শেষ ম্যাচে সেভিয়ার বিপক্ষে খেলা হয়নি ভিনিসিয়ুসের। ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ফিরেই দেখেছেন লাল কার্ড। তাতে কমপক্ষে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা যে ভিনিসিয়ুস পাচ্ছেন তা অনেকটাই নিশ্চিত। তবে শাস্তির পরিমাণ চার ম্যাচও হতে পারে বলে জানাচ্ছে স্প্যানিশ গণমাধ্যমগুলো। ২৪ বছর বয়সী এই তারকা কয় ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় পড়েন তা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে মঙ্গলবার পর্যন্ত।
আরও পড়ুন
শিরোপার লড়াইয়ে ‘পুঁচকে’ পাচুকাকে সমীহ করছেন রিয়াল মাদ্রিদ কোচ |
ভ্যালেন্সিয়ার সাথে ভিনিসিয়ুসের অতীত ইতিহাস খুব একটা সুখকর নয়। বিশেষ করে তাদের ঘরের মাঠে প্রায়ই সমর্থকদের রোষানলে পড়তে হয় তাকে। শুক্রবার রাতেও ব্যতিক্রম হয়নি তার। পুরো ম্যাচজুড়েই ভিনিসিয়ুসকে ক্ষেপিয়ে গেছে ভ্যালেন্সিয়া সমর্থকরা। প্রথমার্ধে মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেও দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিলিয়ান তারকা আর পারেননি সেটা। ৭৯ মিনিটে ভ্যালেন্সিয়া গোলকিপারকে ধাক্কা মেরে বসেন রিয়াল ফরোয়ার্ড। লম্বা সময় ভিএআর চেক করে ভিনিসিয়ুসকে লাল কার্ড দেখানোর সিদ্ধান্ত নেন রেফারি।
লাল কার্ড দেখে ভিনিসিয়ুস তেড়ে আসেন রেফারিদের দিকে। রিয়াল ফুটবলারদের হস্তক্ষেপে তাকে পাঠানো হয় টানেলে। ভিনিসিয়ুসের এমন প্রতিক্রিয়ায় শাস্তির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। অবশ্য ম্যাচ শেষে রিয়াল তারকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের কর্মকাণ্ডের জন্য সমর্থকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এক্স একাউন্টে ম্যাচ শেষে ভিনিসিয়ুস লিখেন, “সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি, আর পুরো দলকে ধন্যবাদ দিচ্ছি।”
তবে রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি আছেন ভিনিসিয়ুসের পাশেই। বলছেন আবেদন করবেন রেফারির সিদ্ধান্তের বিপক্ষে-
“আমরা ভেবেছিলাম এটা লাল কার্ড না। সে (গোলকিপার) ভিনিসিয়ুসকে প্রথমে স্পর্শ করেছিল এরপর ভিনি তাকে ধাক্কা দিয়েছে। দুইজনকে হলুদ কার্ড দিয়ে ব্যাপারটা ওখানেই শেষ করা যেতো। আমরা রেফারির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবেদন করবো। আমাদের কাছে এটা লাল কার্ড মনে হয়নি।”
আরও পড়ুন
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অপেক্ষায় থাকে রিয়াল মাদ্রিদ: আনচেলত্তি |
ভিনিসিয়ুসের লাল কার্ড যেন রিয়ালকে তাতিয়ে দিয়েছে। ব্রাজিলিয়ান তারকার মাঠ ছাড়ার মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই বদলি হিসেবে নামা লুকা মদ্রিচের গোলে সমতায় ফেরে রিয়াল। অতিরিক্ত সময়ে রিয়ালের জয়ের নায়ক বনে যান জুড বেলিংহাম। তাতে লা লিগায় শীর্ষস্থানটা দখল করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এক ম্যাচ কম খেলা সিটি রাইভাল আতলেতিকো মাদ্রিদের সাথে তাদের পয়েন্টের ব্যবধান দুই। আর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার সাথে পয়েন্টের ব্যবধান ঠেকেছে পাঁচে।
৪ দিন আগে
৫ দিন আগে
১৪ দিন আগে
১৭ দিন আগে
২৮ দিন আগে
২৮ দিন আগে