ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের সোনালি যুগের শেষ যে কয়েকজন প্রতিনিধি নিজের সময়ে দেখিয়েছেন দাপট, তিনি তাদের মধ্যে সেরাদের কাতারেই থাকবেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ গ্রেট কার্টলি অ্যামব্রোসকে আধুনিক যুগের অনেক পেসাররাই তাদের আইডলও মানেন। ইতিহাদের স্মরণীয় কিছু স্পেল উপহার দেওয়া সাবেক এই পেসার নিজের দিনে ব্যাটারদের জন্য ছিলেন এক বিভীষিকার নাম। কোর্টনি ওয়ালসের সাথে নব্বইয়ে গড়েছিলেন ভয়ংকর এক পেস জুটি, যা আজও হয়ে আছে রুপকথার গল্প।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৬৪০ উইকেট নেওয়া সেই অ্যামব্রোস এবারের বিপিএলেও এসেছিলেন ধারাভাষ্য দিতে। দেশে ফেরার আগে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের এই কিংবদন্তি টি স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন নিজের খেলোয়াড়ি জীবন থেকে শুরু করে পেস বোলিংয়ের খুটিনাটি সহ নানা বিষয়ে।
পাঠকদের জন্য অ্যামব্রোসের সেই সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হল :
প্রশ্ন : শুরুতেই জানতে চাই, বাংলাদেশে আবার আসা এবং বিপিএলে ধারাভাষ্য দেওয়ার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
অ্যামব্রোস : অসাধারণ অভিজ্ঞতা। বাংলাদেশে যতবারই আসি, যেখানেই যাই, মানুষের যে ভালোবাসা পাই, সেটা দুর্দান্ত। দুই যুগ আগে অবসরে যাওয়া সাবেক এক পেসারকে এই দেশের মানুষ যে সম্মান দেয়, আমার কাছে সেটা অবিশ্বাস্যই লাগে। আর ধারাভাষ্য দিতে তো ভালোই লাগে। এখানে আমার পুরনো বন্ধু আতাহারের সাথে দেখা হয়, আবার অন্যদের সাথেও বোঝাপড়াটা বেশ ভালো আমার আগে কাজ করার সুবাদে। সব মিলিয়ে উপভোগ করছি।
প্রশ্ন : এই প্রশ্নটা এল আপনার কথা থেকেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইতিহাসের অন্যতম গ্রেট পেসার আপনি। আরও যদি বলি, ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা কয়েকজন পেসারদের একজন হিসেবে ধরা হয় আপনাকে। সেই আপনি নিজেকে যেভাবে স্রেফ সাবেক একজন পেসার হিসেবে উল্লেখ করলেন, এটা আপনার বোলিংয়ের একজন ভক্তের জন্য মেনে নেওয়া কঠিন নয় কি?
অ্যামব্রোস : দেখুন, কার কী মনে হবে সেটা ভেবে তো আপনি জীবন চালাতে পারবেন না। নাকি? আমি নিজেকে যেভাবে দেখি, সেটাই বলি। আমরা যখন খেলেছি, সেই সময়ের দর্শকদের কাছে হয়ত আমার পরিচিত ছিল, হয়ত খেলাও দেখেছে। কিন্তু নতুন প্রজন্মের কাছে আমার পরিচয় স্রেফ একটা নাম দিয়ে, পরিসংখ্যান আর ইউটিউব ভিডিও দেখেই। আমি ধারাভাষ্যকার হিসেবে যখন থেকে কাজ করছি, তখন থেকে আমি নিজের খেলোয়াড় জীবনকে একপাশে সরিয়ে রাখি। দুটি জিনিস একসাথে মিলিয়ে ফেললে সেটা খুব ভালো কিছু বয়ে আনবে না।
প্রশ্ন : জীবনকে এত সরলভাবে দেখার শিক্ষাটা কি পরিবার দেখেই পাওয়া?
অ্যামব্রোস : হয়ত। আমার পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব একটা স্বচ্ছল ছিল না। বাবা ছিলেন কারপেন্টার। ক্রিকেটের সাথে তিনি বা তার আগের প্রজন্মের কারও সেভাবে আগ্রহ হয়নি খেলোয়াড় হওয়ার। মায়ের উৎসাহে তাই ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখা যখন শুরু করলাম, তখন থেকেই বুঝতে পারছিলাম যে পথটা খুব মসৃণ হবে না। আমাদের পরিবারের ক্রিকেটে কোনো ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল না। বাবা আমার ক্রিকেটার হওয়ার পক্ষে না থাকলেও বাধাও দেননি। তার বলা একটা কথাই মাথায় গেঁথে গিয়েছিল, ‘জীবনে যত বড় যাই কিছু হওনা কেন, কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়।’ তাই পেশাদার জীবনের অর্জন আর ব্যক্তিগত জীবনকে আমি আলাদা রাখতে পারি।
প্রশ্ন : এই যার জীবনবোধ, তার সাথে ১৯৯৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিখ্যাত সেই টেস্টের ঘটনার মিল পাওয়া বেশ কঠিন। ওই ম্যাচে তো আপনার সাথে রীতিমত লেগে গিয়েছিল স্টিভ ওয়াহের। একবার শুনেছিলাম, আপনি নাকি সরাসরি তাকে হুমকিও দিয়েছিলেন মাঠে। হিট অব দ্য মোমেন্ট?
অ্যামব্রোস : বলতে পারেন। এই ব্যাপারে আগেও অনেক কথা বলেছি। তবুও জানতেই যখন চাইলেন, তাই বলি। দেখুন, অজিরা অনেক কঠিন মানসিকতার। মাঠে জেতার জন্য প্রতিপক্ষকে সম্ভাব্য সব উপায়ে গুঁড়িয়ে দিতে চায় ওরা। সেখানে আমি একজন মানুষ, যে আগ্রাসনকে কখনই ব্যক্তিগত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে না। কিন্তু স্টিভ আমাকে উদ্দেশ্য করে এমন কিছু বলেছিল, যা আমাকে সাথে সাথেই তাতিয়ে দেয়। হুমকি কিনা জানিনা, তবে আমি তাকে সরাসরি বলে দিয়েছিলাম, ‘এই ম্যাচের পর হয়ত আমার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে, তবে আমি এটাও নিশ্চিত করে দেব যাতে তোমারটাও শেষ হয়।’
প্রশ্ন : আমি স্টিভ ওয়াহকে যা বলেছেন, সেই ঘটনার সাথে কি আমরা ২০০৬ ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনালে জিনেদিন জিদানের সেই ঘটনার মিল ছিল?
অ্যামব্রোস : আমি এই প্রশ্নের উত্তর দিতে চাচ্ছি না আসলে। তবে খেলোয়াড় হিসেবে স্টিভকে আমি আগেও সম্মান করটাম, এখনও করি। সেদিন সেই ম্যাচে আমি যা বলেছিলাম, তা নিয়ে আমার আক্ষেপ নেই কোনো। তবে অতীত নিয়ে পড়ে থাকার লোকও না আমি।
প্রশ্ন : নব্বইয়ের দশকে যে ম্যাচকে ঘিরে আপনাদের এই ঘটনাটি হল, ঠিক ওই সময়টাকে বলা হয় ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের সূর্যাস্তের সময় আর অস্ট্রেলিয়ার সূর্যোদয়ের। এই হাতবদলটা খুব কাছ থেকে দেখেছেন আপনি। মূল কারণ কি ছিল?
অ্যামব্রোস : এটা বলা আসলে কঠিন। কারণ, এখানে অনেকগুলো বিষয় জড়িত। বোর্ড, সরকার, ক্রিকেট কাঠামো, তারকা খেলোয়াড়ের ইগো সহ আরও অনেক কিছুই। তবে যত্ন না নিলে হীরাও তো কয়লা হয়ে যায়, তাই না? সত্তর দশক থেকে নব্বই পর্যন্ত যে দলটা এত এত গ্রেট ক্রিকেটার উপহার দিল, আধিপত্য বিস্তার করল - এরপর হঠাৎ করে তারা শুধু পতনের দিকেই গেল। এটা তো হতে পারে না। এখন না হয় তরুণরা টি-টোয়েন্টির দিকে ঝুঁকেছে, কিন্তু নব্বই দশক থেকেই ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট পথ হারাল, সেটার পেছনে ক্রিকেটীয় ছাড়াও আছে অনেক বিষয়। আমি সেসব নিয়ে কথা বলতে চাই না।
প্রশ্ন : টি-টোয়েন্টির কথা বললেন, গত এক যুগে এই ফরম্যাটে যে কয়েকজন নিজেদের কিংবদন্তির কাতারে নিয়ে গেছেন, তাদের মধ্যে দুজন ডোয়াইন ব্রাভো ও কিয়েরন পোলার্ড। তবে দুজনের কেউই জাতীয় দলের হয়ে একটা সময়ের পর সেভাবে সার্ভিস দেননি, বা দিতে চাননি বা পারেননি। এই তালিকায় আরও আসতে পারেন সুনিল নারাইন, আন্দ্রে রাসেলরা। হতাশাজনক?
অ্যামব্রোস : একদমই না। যে খেলতে চায় না, আপনি তো তাকে জোর করে খেলাতে পারবেন না। হ্যাঁ, চাইলেই তারা জাতীয় দলের হয়ে লম্বা ক্যারিয়ার গড়তে পারত। কিন্তু তারা সেটা চায়নি। এখানে তো আমি দোষের কিছু দেখি না। আপনি তাদের ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের প্রতি নিবেদনের কমতি নিয়ে কথা বলতে পারেন। তবে কে জাতীয় দলে খেলবে আর কে খেলবে না, এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার তার কাছে।
প্রশ্ন : এটা কি ভালো উদাহারণ? বিশেষ করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য?
অ্যামব্রোস : দেখুন, ভালো উদাহারণ বলতে আপনি কি বোঝেন তা আমার জানা নেই। কিন্তু আমি মনে করি যদি উদাহারণ তৈরি করাই যেত, তাহলে সত্তর থেকে নব্বই দশকের ওই সোনালি সময়ের পর কেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল হিসেবে শুধু পিছিয়েই যাচ্ছে? আগের প্রজন্মের খেলা দেখেই তো ব্রাভো-পোলার্ডরা বড় হয়েছে। তারা সেটাই করেছে, যেটা তাদের কাছে ঠিক লেগেছে। এখানে কে ভুল আর কে ঠিক, সেই বিচার করাটা কঠিন কাজ।
প্রশ্ন : এবার একটু বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে কথা বলি। সাকিব, তামিম, মাশরাফিরা যখন খেলা শুরু করেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট তখনও ছিল পেছনের বেঞ্চের ছাত্র। খুব বড় উন্নতি হয়ত হয়নি, তবে তারা সহ একটা ব্যাচের হাত ধরে বাংলাদেশ দল বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের অবস্থান তৈরি করেছেন। লিগ্যাসির কথা যে বলা হয়, তাদের প্রভাবটা কি বাংলাদেশের ক্রিকেটে সামনে দেখা যেতে পারে?
অ্যামব্রোস : আপনি ভুল মানুষকে প্রশ্নটা করেছেন। আমি এখানে আসি স্রেফ ধারাভাষ্য দিতে। আর দূর থেকে খেলা দেখি মাঝেমধ্যে। এর বাইরে আমি সেভাবে জানি না এখানে ক্রিকেটের উন্নতি নিয়ে কেমন কাজ হচ্ছে বা তরুণরা সাকিব-তামিমের মানে যাওয়ার মত কিনা। তবে এটা তো বলাই যায়, যাদের নাম বললেন, তারা তো বাংলাদেশের কিংবদন্তি। আমি নিশ্চিত তাদের দেখে অনেকেই সাকিব, তামিম হতে চাইবে। সেই অনুপ্রেরণার জায়গাটা অবশ্যই এগিয়ে নেবে বাংলাদেশকে।
প্রশ্ন : বাংলাদেশ আইসিসির পূর্ণ সদস্য হয়েছে ২০০০ সালে। ওয়ানডেতে কিছু বিচ্ছিন্ন সাফল্য থাকলেও এখনও সাদা বলের ক্রিকেটে নেই আইসিসি ইভেন্টে কোনো শিরোপা। টেস্ট ক্রিকেটের চিত্রটা এত বছর পরও আশানরুপ নয়। একজন সাবেক ক্রিকেটার হিসেবে বাংলাদেশের উন্নতির এই ধারা আপনি কীভাবে দেখেন?
অ্যামব্রোস : দেখুন, উন্নতি কে কতটুক করল, সেটা বোঝার আগে তার কাছে উন্নতির সংজ্ঞাটা কেমন। কেউ ক্লাসের ফার্স্ট বয় হতে চাইবে, আবার কেউ পাস করতে পারলেই খুশি। অন্য দেশগুলোকে সরিয়ে রেখে যদি শ্রীলঙ্কার দিকেও তাকান, তারা ১৯৯৬ বিশ্বকাপ জিতেছিল সীমিত সামর্থ্য নিয়েই। অথবা বলা যায় ১৯৯২ বিশ্বকাপের ইমরানের খানের সেই পাকিস্তান দলের কথাও। নিজেদের ওপর বিশ্বাসটাই ওদের সবার চেয়ে এগিয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশ যদি এমন উচ্চতায় যেতে চায়, তাদের সবার আগে নিজেদের সামর্থ্যের ওপর অমন বিশ্বাস আনতে হবে। সাকিব, তামিম, মাশরাফি বা আশরাফুলের মত অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটার প্রায় একই সময়ে এই দলে খেলেছে। সেই অনুযায়ী সাফল্য যে আসেনি, সেটা দৃশ্যমান। তবে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে তারা অন্তত সেই বিশ্বাসটা দিতে পেরেছে যে, তারা বড় দলগুলোর সাথে চোখে চোখ রেখে লড়তে পারে। তরুণ ক্রিকেটারদের দায়িত্ব এখন পরের ধাপে যাওয়ার।
প্রশ্ন : সেই তরুণদের একজন নাহিদ রানার ব্যাপারে আপনার কাছে একটু জানতে চাই। বাংলাদেশ তো বটেই, তরুণ এই গতিময় পেসার এই মুহূর্তে বিশ্ব ক্রিকেটেও অন্যতম আলোচিত এক নাম। বিপিএলে খুব কাছ দেখলেন তাকে। তাকে কি বেছে বেছে খেলানো উচিত বাংলাদেশের?
অ্যামব্রোস : সেই সিদ্ধান্ত বিসিবিকেই নিতে হবে। একজন তরুণ পেসার এত জোরে বল করছে - আপনি চাইবেন যত সম্ভব তাকে খেলাতে। কারণ, এই ধরণের পেসাররা প্রতিপক্ষকে বাড়তি দুর্ভাবনায় ফেলে দেয়। উইকেট যদি নাও পায়, এক-দুইটা স্পেলে ব্যবধান গড়ে দেওয়ার সক্ষমতা থাকে নাহিদের মত বোলারদের। এখন আপনি কীভাবে সেই ভারসাম্যটা রাখবেন, সেটার ওপর নির্ভর করবে সে কততুকু এগিয়ে যেতে পারবে। তার নিজেরও সচেতন হতে হবে। একজন পেসারের জীবন মোটেও সহজ নয়। খাওয়া থেকে শুরু করে ঘুম, সব ব্যাপারেই আপনাকে নিজের যত্ন নিতে হবে। আর এই যুগে এসে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের কাড়াকাড়ি তো আছেই। সেখানেও আপনাকে সচেতন হবে। এবার আসি তার বোলিংয়ের দিকে। নাহিদের বোলিং অ্যাকশন খুব স্মুথ। আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি তার অনুশীলনও। তার রানিং থেকে শুরু করে বোলিং অ্যাকশন সবই একজন ফাস্ট বোলারের জন্য আদর্শ। অনভিজ্ঞতার কারণে প্রায়ই সে খরুচে হবে, তবে তাতে প্রভাবিত হওয়া চলবে না। এই ধরণের বোলাররা যত বেশি খেলবে, তত বেশি নিজেকে গড়বে আর নতুন নতুন স্কিল রপ্ত করবে।
প্রশ্ন : বাংলাদেশ দলের অন্য দুই পেসার হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদদের কেমন দেখলেন?
অ্যামব্রোস : হাসান সত্যি বলতে আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি শুনে অবাক হয়েছি যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে তার জায়গা হয়নি। ডেথ ওভারে টানা ইয়র্কার করে যাওয়া এই যুগে খুব কঠিন। কারণ, ব্যাটাররা এখন অনেক স্কিলড। ইয়র্কারকেও তারা বাজে বল বানিয়ে চার-ছয় মেরে দেয়। আর তাই আপনাকে খুব নিখুঁত হতেই হবে। তাসকিনের ব্যাপারেও একই কথাই বলব। আমি ইম্প্রেসড তার বোলিংয়ে। গত দুই-তিন বছর ধরে তাসকিন খুব ভালো করছে। অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে। যার নামটা বলেননি, সেই খালেদও (আহমেদ) দারুণ বোলার। পেস বোলিংয়ে বাংলাদেশ উজ্জ্বল একটা ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে।
প্রশ্ন : ২০১০ থেকে ২০২০, এই সময়ে ব্যাটারা সব ফরম্যাটেই করেছেন রাজত্ব। বিশেষ করে টেস্টে ফ্যাভ ফোর খ্যাত কোহলি, রুট, উইলিয়ামসন, স্টিভ স্মিথের পাশাপাশি বাবর আজমরাও রান করেছেন অনেক, ছিলেন ভীষণ ধারাবাহিকও। তবে কয়েক বছর ধরেই তাদের বেশ সংগ্রাম করতে হচ্ছে। অন্যদিকে একই সময়ে ক্রমেই আধিপত্য দেখা যাচ্ছে বোলারদের, বিশেষ করে পেস বোলিংয়ে। বাংলাদেশের মত একসময়ের স্পিন নির্ভর দলে পেসারদের একটা বিপ্লব হয়ে গেছে। ব্যাপারটা কীভাবে দেখেন?
অ্যামব্রোস : আসলে যুগে যুগে এভাবেই তো চলে আসছে, তাই না? তবে এটা তো মেনে নিতেই হবে যে মাঝে খেলাটা অতিরিক্ত মাত্রায় ব্যাটারদের জন্য উপযোগী হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে চিন্তা করলে এখন অনেক বদল এসেছে। অস্ট্রেলিয়া বলুন আর বাংলাদেশ, টেস্ট ম্যাচে সবাই এখন নামে প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নেওয়ার মত বোলার নিয়েই। কারণ, সবাই ফলাফল বের করতে চায়। সব দলেই কমবেশি প্রতিভাবান বোলার থাকায় ব্যাটারদের তাই কাজটা একটু কঠিন হয়ে গেছে। বোলারার আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন বেশি আগ্রাসী, ফলে ব্যাটারদের তারা বাড়তি চ্যালেঞ্জ ফেস করতে হচ্ছে। কিন্তু আপনার যদি স্কিল থাকে, আপনি ঠিকই উপায় একটা বের করেই ফেলবেন। যেমনটা আমরা দেখলাম (স্টিভ) স্মিথের ক্ষেত্রে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে। খেলাটির জন্য এই ভারসাম্য খুব জরুরি।
প্রশ্ন : টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাহলে চিন্তার খুব বেশি কিছু নেই?
অ্যামব্রোস : আমি তো এমন কোনো সম্ভাবনাই দেখি না। টেস্ট ক্রিকেট তো এখন ইতিহাসের অন্যতম সেরা সময় পার করছে। কেউই আর ড্রয়ের জন্য খেলতে নামে না। এরচেয়ে ভালো বিজ্ঞাপন আর কী হতে পারে! নেটফ্লিক্স যখন আসল, কিছু লোক বলা শুরু করল যে সিনেমা নাকি আর চলবে না। মানে সিনেমা হলে গিয়ে আর কেউ সিনেমা দেখবে না। কিন্তু আমরা তো দেখছি দুটোই চলছে একসাথে। টেস্ট আর টি-টোয়েন্টির ব্যাপারটা একই। তবে ওয়ানডের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি শতভাগ নিশ্চিত নই।
৩০ জুলাই ২০২৫, ৮:৫৭ পিএম
৩০ জুলাই ২০২৫, ৩:০১ পিএম
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয় জিম্বাবুয়ে। কালে-ভদ্রে পরাশক্তিদের সাথে টেস্ট খেলার সুযোগ পায় দলটি। এতেই বড়দের সাথে ব্যবধান তৈরি হয়ে গেছে। এ মাসের শুরুতে টেস্টের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে ঘরের মাঠে কুলিয়ে উঠতে পারেনি। বুলাওয়েতে দুই টেস্টের দুটিতেই বড় ব্যবধানে হেরেছে। বুলাওয়েতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বুধবার শুরু হওয়া টেস্টের প্রথম দিনেও শিক্ষানবীশ জিম্বাবুয়েকে দেখেছে দর্শক। টেস্টের প্রথম দিনটি পার করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। টি-ব্রেকের আধ ঘন্টা পর মাত্র ১৪৯ রানে গুটিয়ে নিয়েছে ইনিংস। জবাব দিতে এসে প্রথম দিন শেষে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ৯২/০। সব কটি উইকেট হাতে রেখে পিছিয়ে আছে সফরকারী দলটি মাত্র ৫৭ রানে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে বুলাওয়ে টেস্টের প্রথম দিন কিউই পেসার ম্যাট হেনরির তোপের মুখে মাত্র ৬৯ রানে ৫ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ৬ষ্ঠ উইকেট জুটির ৫৪ রানে স্কোরটা তিন অঙ্কে টেনে নিতে পেরেছে জিম্বাবুয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরিয়ান শিন উইলিয়ামস এদিন মাত্র ২ রানের মাথায় পেসার স্মিথের অ্যাঙ্গেল ডেলিভারিতে বোল্ড আউট হলে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং বিপর্যয় ঘনীভূত হয়। ক্রেইগ আরভিন ১০১ মিনিট ব্যাটিং করে ৬টি বাউন্ডারির সাহােয্যে করেছেন সর্বোচ্চ ৩৯ রান। তাফাজা সিগা করেছেন ১১০ মিনিট স্থায়ীত্ব পাওয়া ব্যাটিংয়ে ৩০ রান। যে ইনিংসে মেরেছেন তিনি ৫টি চার।
কিউই পেসার ম্যাট হেনরি ছড়িয়েছেন আতঙ্ক। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো অবতীর্ন হয়ে পেয়েছেন ৬ উইকেট (৬/৩৯)। আর এক পেসার নাথান স্মিথ পেয়েছেন ৩ উইকেট (৩/২০)।
গ্রুপ পর্বের ম্যাচ বাতিল হয়েছিল ভারতের ম্যাচ বয়কটে। তবে এরপর এশিয়া কাপে ভারতের সাথে পাকিস্তানের ম্যাচ নিশ্চিত হওয়ায়, আশা ছিল লেজেন্ডস বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের মধ্যকার ম্যাচ খেলবে দুই দেশ। তবে সেমিফাইনালেও প্রতিবেশী দেশের সাথে ম্যাচ বয়কট করেছে ভারত। ফলে ম্যাচ না খেলেই ফাইনালে চলে গেছে পাকিস্তান।
আগামী বৃহস্পতিবার বার্মিংহ্যামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েনের কারণে গ্রুপ পর্বের পর সেমিতেও পাকিস্তানের সাথে খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ভারত। ফলে সরাসরি ফাইনালে উঠে গেছে পাকিস্তান, যেখানে তারা প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়নস বা দক্ষিণ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়নসকে।
টুর্নামেন্টে ভারত চ্যাম্পিয়নস দলে ছিলেন শিখর ধাওয়ান, সুরেশ রায়না, হরভজন সিং, পিয়ুষ চাওলা, ইরফান পাঠান, ইউসুফ পাঠান ও রবিন উথাপ্পার মতো সাবেক তারকা ক্রিকেটাররা। শুরুতে রাজি হলেও গত ২০ জুলাই শেষ সময়ে গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানান কয়েকজন ক্রিকেটার। এরপর বাতিল হয় ম্যাচটি।
সেই ম্যাচ থেকে উভয় দলই পয়েন্ট ভাগ করে নেয়। গ্রুপ পর্বে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নস সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয়। অন্যদিকে মাত্র ৩ পয়েন্ট পাওয়া ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়নস হয় চতুর্থ।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিলে জম্মু ও কাশ্মীরের পাহালগামে সন্ত্রাসী হামলা ও পরবর্তী সামরিক উত্তেজনার পর দুই দেশের মধ্যকার রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও অবনতির দিকে গেছে। যার প্রভাব পড়ছে ক্রীড়াঙ্গনে।
ওই ঘটনার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারত ও পাকিস্তানের জাতীয় দল এখনও মুখোমুখি হয়নি। সদ্য ঘোষিত এশিয়া কাপের সূচিতে একই গ্রুপে থাকা এই দুই দলের সব মিলিয়ে তিনটি ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা রাখা হয়েছে। তবে লেজেন্ডস বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাল ম্যাচও বাতিল হওয়ায় নতুন করে শঙ্কা জাগতে পারে ভারত-পাকিস্তান মহারণ নিয়ে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞা শেষ হতেই ব্রেন্ডন টেলরের জন্য খুলে যাচ্ছে জাতীয় দলের দরজা। আগামী ৭ আগস্ট বুলাওয়েতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টের স্কোয়াডে তাকে যুক্ত করেছে জিম্বাবুয়ে।
২০২১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে হঠাৎ করেই অবসরের ঘোষণা দেন টেলর। এরপর আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালা ভাঙার কারণে ৩৯ বছর বয়সী এই কিপার-ব্যাটারকে নিষিদ্ধ করা হয়। তিন বছর ছয় মাসের সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ২৫ জুলাই।
নিষেধাজ্ঞার সময় জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক টেলর কোনো জাতীয় দল বা ঘরোয়া ক্লাবের সঙ্গে অনুশীলন করতে পারেননি। তবে হারারের একটি বেসরকারি স্কুলের সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে এই সময়ে তিনি নিজেকে ফিট রাখেন ফের ক্রিকেটে ফেরার আশা নিয়ে।
নিষেধাজ্ঞা শেষের আগে টেলর এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মাদক ও মদাসক্তি কাটিয়ে তিনি আগের চেয়ে অনেক বেশি ফিট অনুভব করছেন।
জিম্বাবুয়ে এরই মধ্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্টের জন্য ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে, যেখানে আছেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার তাফাদজওয়া সিগা। বুধবার থেকে শুরু হওয়া প্রথম টেস্টের একাদশে আছেন তিনি, প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং অর্ডারে তার অবস্থান সাত।
ফলে দ্বিতীয় টেস্টে টেলর যদি দলে আসেন, আর নিজের পুরনো চার নম্বর ব্যাটিং পজিশনে ফেরেন, তাহলে শন উইলিয়ামসসহ অন্যদের এক ধাপ করে নিচে নেমে যেতে হতে পারে।
২০০৪ থেকে ২০২১ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের হয়ে ৩৪টি টেস্ট খেলা টেলর নিষিদ্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত ছিলেন সাদা পোশাকে জিম্বাবুয়ের অন্যতম সেরা ব্যাটার। ৩৬.২৫ গড়ে ৬ সেঞ্চুরি ও ১২ ফিফটিতে করেছেন ২ হাজার ৩২০ রান। শেষবার টেস্ট খেলেছিলেন ২০২১ সালে, ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে।
ভারতের বিপক্ষে চলমান সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্টের আগে বড় ধাক্কাই খেল ইংল্যান্ড। চোটের কারণে শেষ পর্যন্ত ওভাল টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন ব্যাটে-বলে দারুণ ছন্দে থাকা অধিনায়ক বেন স্টোকস। তার পরিবর্তে ওলি পোপ ইংলিশদের নেতৃত্ব দেবেন।
সব মিলিয়ে ম্যানচেস্টারে ড্র হওয়া চতুর্থ টেস্ট থেকে একাদশে মোট চারটি পরিবর্তন এনেছে ইংল্যান্ড। দলে ফিরেছেন ব্যাটিং অলরাউন্ডার জ্যাকব বেথেল এবং তিন পেসার গাস অ্যাটকিনসন, জেমি ওভারটন ও জশ টাং। বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে দুই পেসার জোফরা আর্চার ও ব্রাইডন কার্সকে। আর এক ম্যাচ খেলেই বাদ পড়েছেন জিম্বাবুয়ের বাঁহাতি স্পিনার লিয়াম ডসন।
সিরিজ জুড়ে ইংল্যান্ডের সেরা খেলোয়াড় স্টোকস বল হাতে পার করেছেন দুর্দান্ত সময়। এক সিরিজে করে ফেলেছেন নিজের সর্বোচ্চ ওভার বোলিংয়ের রেকর্ড। ম্যানচেস্টার টেস্টের প্রথম ইনিংসে ফাইফার নেওয়ার পর ব্যাট হাতে করেন শতক। তবে চোট সামলে দ্বিতীয় ইনিংসে করতে পারেন মাত্র ১১ ওভার। সেখানেও কয়েকবার তাকে ব্যাথায় ডান কাঁধ ধরতে দেখা গেছে।
ম্যাচ শেষে অবশ্য জানিয়েছিলেন, ডান হাতের বাইসেপ টেন্ডনে সমস্যা থাকলেও টেস্ট মিস করার সম্ভাবনা খুবই কম। কিন্তু পরে জানা যায়, স্টোকসের চোট গ্রেড থ্রি মাত্রার হওয়ায় পঞ্চম টেস্টে স্পেশালিষ্ট ব্যাটার হিসেবেও খেলা সম্ভব হবে না তার।
স্টোকসের অনুপস্থিতি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা ইংল্যান্ডকে কিছুটা হলেও পিছিয়ে দেবে। সিরিজে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট নিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার। ম্যানচেস্টারে গত দুই বছরে তার প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পাওয়ার পাশাপাশি শেষ দুটি টেস্টেই হয়েছেন ম্যাচ সেরাও। ফলে তাকে ছাড়া একাদশ সাজানো কঠিনই হবে স্বাগতিকদের জন্য।
ডসন বাদ পড়ায় স্টোকসের জায়গায় দলে আসা বেথেল হবেন দলের মূল স্পিনার। আর তার সঙ্গে স্পিন অপশন হিসেবে থাকছেন আরেক ব্যাটার জো রুট। আর পেস আক্রমণের নেতৃত্ব দেবেন অভিজ্ঞ ক্রিস ওকস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেলেন মাইকেল ওয়েন। তরুণ এই ব্যাটার প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া ওয়ানডে দলে। আগামী আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫০ ওভারের সিরিজের দলে রাখা হয়েছে তাকে।
তিন ম্যাচের এই ওয়ানডে সিরিজে আরও একবার মূল অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে ছাড়াই খেলবে অস্ট্রেলিয়া। তিনি ছাড়াও এই সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে আরেক অভিজ্ঞ পেসার মিচেল স্টার্ককে। ফলে ওয়ানডে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালন করবেন অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ।
চলতি মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে আগ্রাসী ব্যাটিং দিয়ে নজর কাড়েন ওয়েন। সিরিজে তিনি ১৯২.৩০ স্ট্রাইক রেটে করেন ১২৫ রান। এর মধ্যে রয়েছে রয়েছে এই ফরম্যাটে নিজের অভিষেক ম্যাচেই হাফ-সেঞ্চুরি। ৫০ ওভারের ক্রিকেটেও যে তিনি তিনি কার্যকর হতে পারেন, তার প্রমাণ দিয়েছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। গত মৌসুমে তাসমানিয়ার হয়ে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেন মাত্র ৬৯ বলে ১৪৯ রানের বিস্ফোরক এক ইনিংস।
কামিন্স ও স্টার্ক না থাকলেও ক্যারিবিয়ানে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্রাম কাটিয়ে ওয়ানডে দলে ফিরেছেন দুই অভিজ্ঞ জশ হ্যাজলউড ও ট্রাভিস হেড। ২০ ওভারের সিরিজের দলেও আছেন তারা। আর সাইড স্ট্রেইনের চোটের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে খেলতে না পারা ব্যাটার ম্যাট শর্টও ফিরেছেন দলে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট দল থেকে বাদ পড়লেও ওয়ানডে দলে জায়গা করে নিয়েছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার মার্নাস লাবুশেন। টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ পড়েছেন জেক ফ্রেজার-মার্কার্ক, অ্যারন হার্ডি, কুপার কনলি ও জেভিয়ার বার্টলেট। অন্যদিকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে থাকা দুই ক্রিকেটার স্টিভ স্মিথ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল অবসর নেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই নেই ওয়ানডের দলে।
অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচগুলো হবে যথাক্রমে আগামী ১০ ও ১২ ও ১৬ আগস্ট। ওয়ানডে সিরিজ চলবে ১৯ আগস্ট থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত।
৮ দিন আগে
১৫ দিন আগে
২৫ দিন আগে
২৬ দিন আগে
২৬ দিন আগে