মাত্র ৭ সেশন খেলা হয়েছে কানপুরে, তাতেই ভারত টেস্ট জিতে গেছে বেশ সহজেই। বৃষ্টি আর আলোকস্বল্পতা মিলিয়ে ভারতীয় দল ড্রেসিং রুমে বসে ট্যাকটিক্যাল বদল এনেছে খেলায়। সময়ের হিসেব কষে বাংলাদেশ দলকে দুমড়ে-মুচড়ে দিয়েছে রোহিত শর্মার দল।
টেস্ট ম্যাচ জিততে একসময় ১৫ সেশনের হিসেবও মেলাতে পারতো না দলগুলো। আর এখন অতি আক্রমণাত্নক ক্রিকেট খেলে হিসেব বদলে দিচ্ছে বড় দলগুলো। এবছরই এরকম দু’টি দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো ভারত। কানপুরে বাংলাদেশকে হারানোর টেস্টের দৈর্ঘ্য দাঁড়িয়েছে ১৭৩.২ ওভার। ফল হয়েছে এরকম টেস্ট বিবেচনায় নিলে সবচে কম ওভারের ম্যাচগুলোর মাঝে এটি বেশ পেছনেই রয়েছে।
এবছরের জানুয়ারিতে সবচে কম ওভার খেলা ম্যাচ জিতে বিশ্বরেকর্ড গড়েছে এই ভারতই। নিউল্যান্ডসে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তারা জিতেছিল ৭ উইকেটে এবং ঐ ম্যাচের দৈর্ঘ্য ছিল মাত্র ১০৭ ওভার। এই ম্যাচের একদিনে রেকর্ড ২৩ উইকেট পড়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথম ইনিংসে ভারত অলআউট করে মাত্র ৫৫ রানে। ১৫ রান খরচায় ৬ উইকেট নেন মোহাম্মদ সিরাজ। দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসে জাসপ্রীত বুমরাহ নেন ৬ উইকেট। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য এই ম্যাচে সেঞ্চুরিও হয়েছিল, ডিন এলগার করেছিলেন সেই শতক, যেমনটা কানপুর টেস্টে করলেন মুমিনুল হক। মজার ব্যাপার হলো এবছর দু’টি সংক্ষিপ্ততম ম্যাচই ভারত জিতলো ৭ উইকেটে, যার একটির শিকার হলো বাংলাদেশ।
নিউল্যান্ডসের ঐ রেকর্ডের আগেরটি টিকেছিল ৯২ বছর। ১৯৩২ সালে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের আয়ু ছিল ১০৯.২ ওভার। সেই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া জিতেছিল ইনিংস ও ৭২ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ইনিংস শেষ হয়েছিল মাত্র ৩৬ ও ৪৫ রানে।
এই টেস্টেই ইতিহাসের দ্রুতগতির টিম ফিফটি-হান্ড্রেন্ডের সব রেকর্ড গড়েছে ভারত। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের টেবিলের শীর্ষদলটি ইদানিং রেকর্ডবুকে খুব বেশি আঁচড় কাটছে।