২ নভেম্বর ২০২৪, ৭:৫৮ পিএম
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ থেকেই বাতাসে চাউর হচ্ছিল একটি খবর যে, তিন ফরম্যাটের অধিনায়কত্বই নাকি ছেড়ে দিতে চান নাজমুল হোসেন শান্ত। স্বাভাবিকভাবে তাতে ঘুরেফুরে আসছে ভবিষ্যৎ অধিনায়ক কে হবেন, সেই প্রশ্নটি। আর এই আলোচনায় সাদা বলের অধিনায়ক হিসেবে অনেকেই বিবেচনা করতে চাচ্ছেন তাওহীদ হৃদয়কে। তিনি নিজে কী ভাবছেন? তরুণ এই ব্যাটার বল তুলে দিয়েছেন নির্বাচক ও টিম ম্যানেজম্যান্টের হাতে।
টেস্ট ক্রিকেটে না হলেও বাংলাদেশের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলে বেশ কিছুটা সময় ধরেই নিয়মিত মুখ তাওহীদ। সাদা বলের ক্রিকেটে জাতীয় দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ও তিনি। শান্ত যদি শেষ পর্যন্ত সব বা এক-দুটি ফরম্যাটের দায়িত্ব ছেড়ে দেন, তাই সেখানে ভালোভাবেই আসবে তাওহীদের নাম। আপাতত সংযুক্ত আরব আমিরাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের অধিনায়ক থাকছেন শান্তই।
এই সিরিজ খেলতে দলের একাংশ আজ শনিবার দেশ ছেড়েছে। তার আগে মিরপুর শের-বাংলা-স্টেডিয়ামে কথা বলেন তাওহীদ। সম্ভাব্য অধিনায়ক হিসেবে নিজের নাম প্রসঙ্গে তুলে ধরেন নিজ অবস্থান। “টি-টোয়েন্টির অধিনায়কের ব্যাপারে বিসিবি সিদ্ধান্ত নেবে। এটা আমার বিষয় নয়। তবে আমি মনে করি, এটা শুধু আমার বা দু-একজন দিয়ে হবে না। বিসিবি বা যারা দায়িত্বে আছেন, তারা ভালো জানেন। আমার মনে হয় দলের ভালোর জন্য যার কাছে যাওয়া উচিত, তাকেই অধিনায়কত্ব দেওয়া উচিত। আর যার কাছে যাবে, তার জন্য শুভকামনা।”
ঘরোয়া ক্রিকেটেও তাওহীদের নেই বলার মত অধিনায়কত্ব করার মত অবস্থা। তাছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে দলের পারফরম্যান্সও খুব ভালো নয়। সামগ্রিকভাবে তাই অধিনায়ক কে হবেন, বা কে হতে পারেন সেই ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হলেন না এই ডানহাতি ব্যাটার। “আমি এই ব্যাপারে এখন কথা বলতে চাচ্ছি না। সামনে যেহেতু একটা সিরিজ আছে, সেখানেই মনোযোগ দিচ্ছি।”
গত ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর এক বছরে এই ফরম্যাটে বাংলাদেশ ম্যাচ খেলেছে বেশ কম। শেষ সিরিজে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় ধরা দিয়েছিল ২-১ ব্যবধানে। তবে এরপর কেটে গেছে সাত মাস। তাছাড়া অন্য দুই ফরম্যাটে গত কয়েক মাসে যায়নি ধারাবাহিক ভালো সময়। দুই ফরম্যাট মিলে টানা সাত ম্যাচ হারের মুখ দেখেছে বাংলাদেশ। আর এই কারণেই ওয়ানডে সিরিজ হলেও কিছুটা চাপ থাকবে শান্তর দলের ওপর।
তাওহীদ অবশ্য এই সিরিজ নিয়ে বেশ ইতিবাচক। “আশা করি, ভালোভাবে শুরু করতে পারবো। এই সংস্করণে যেহেতু ভালো খেলি, এবার অবশ্যই ভালোভাবে শুরু করতে চাই। আমাদের যে সামর্থ্য সে অনুযায়ী খেলতে পারলে ভালো কিছু হবে ইনশাআল্লাহ।”
বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের তিন ম্যাচের ওয়ানডে শুরু হবে আগামী ৬ নভেম্বর। পরের দুই ম্যাচ ৯ ও ১১ নভেম্বর। সবগুলো ম্যাচ দেখা যাবে টি-স্পোর্টস নেটওয়ার্কে।
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮:৫০ পিএম
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৫:৩৮ পিএম
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪:২২ পিএম
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:৪৬ পিএম
মাত্র ১৯ বছর বয়সে টেস্ট অভিষেক, তাও হাইভোল্টেজ বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের বক্সিং ডে ম্যাচে - স্যাম কনস্টাসের জন্য নার্ভাস হওয়ার যথেষ্ট কারণই রয়েছে। তবে তার চেয়েও কম বয়সে ব্যাগি গ্রিন পেয়েছিলেন যিনি, সেই প্যাট কামিন্স ইতিবাচক বার্তাই দিয়েছেন এই তরুণ ব্যাটারকে। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কের চাওয়া, নিজের স্বাভাবিক খেলাটাই যেন উপহার দেন কনস্টাস।
মাত্র ১১টি প্রথম শ্রেণি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতায় সিরিজের টেস্ট অভিষেক হতে যাচ্ছে কনস্টাসের। তিনি হতে যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের চতুর্থ সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট ক্রিকেটার। তবে তিনি অনুপ্রেরণা নিতে পারেন কামিন্সের কাছ থেকে, যিনি ২০১১ সালে লাল বলের ক্রিকেটে প্রথম ম্যাচ খেলেন ১৮ বছর বয়সে এবং হন ম্যাচ সেরাও।
টেস্টের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে তাই কামিন্স নিজের অভিজ্ঞতা থেকে কনস্টাসকে দিলেন নির্ভার থাকার টোটকা।
“আমি সেদিন স্যামকে বলেছিলাম যে, ‘আমার মনে আছে ১৮ বছর বয়সী হিসেবে মনে হচ্ছিল আমি আমি অনেক বেশি সুযোগ পেয়েছি, কারণ আমি তরুণ ছিলাম। বেশি চিন্তা না করার একটা ভালো দিক আছে। কারণ তখন আপনি শৈশবে বাড়ির উঠোনে যেভাবে খেলেন, সেভাবেই খেলবেন। উপভোগ করো, অতিরিক্ত চিন্তা করো না।’”
চলমান সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদের জন্য চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছেন জাসপ্রিত বুমরাহ। সিরিজে দুইবার ফাইফার পাওয়া এই পেসারের বিপক্ষে এক ট্রাভিস হেড বাদে সবাই বেশ সংগ্রাম করছেন। ফলে ওপেনার হিসেবে খেলা কনস্টাসের জন্য অপেক্ষা করছে কঠিন পরীক্ষাই। ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে তার একটি শতক আছে বটে, তবে সেই ম্যাচ খেলেননি বুমরাহ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজেকে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার পেছনে রেখেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। পুরো সিরিজেই বল হাতে দারুণ ছন্দে থাকা শেখ মাহেদি হাসান পেলেন এর দারুণ স্বীকৃতি। টি-টোয়েন্টির বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে ক্যারিয়ার সেরা অবস্থানে চলে এসেছেন বাংলাদেশের এই অফ স্পিনার। প্রথমবারের মত ১০ নম্বর স্থানে এখন মাহেদি। আর দুর্দান্ত ব্যাটিং করা জাকের আলি অনিক দিয়েছেন বড় লাফ, উন্নতি করেছেন ৮৫ ধাপ, এসেছেন শীর্ষ ১০০ জনের তালিকায়।
বুধবার প্রকাশিত হয়েছে আইসিসির সাপ্তাহিক হালনাগাদ। আর সেখানে ১৩ ধাপ এগিয়ে শীর্ষ দশের মধ্যে চলে এসেছেন মাহেদি। এক্ষেত্রে বিবেচনায় সিরিজের শেষ দুই ম্যাচে পারফরম্যান্স। প্রথম ম্যাচে চার উইকেট নেওয়ার পর এই দুই ম্যাচে আরও চার উইকেট শিকার করেন এই ডানহাতি স্পিনার। মাহেদির রেটিং পয়েন্ট ৬৩৬।
অভিজ্ঞ পেসার তাসকিন আহমেদ শেষ দুই ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়ে চলে এসেছেন সেরা বিশের মধ্যে। মাহেদির ঠিক পরের স্থানেই আছেন তিনি। ৭ ধাপ এগিয়েছেন তিনি। রেটিং পয়েন্ট ৬৩০।
আরও পড়ুন
জাকের ঝড়ে ক্যারিবিয়ানদের ধবলধোলাই করল বাংলাদেশ |
২১ ধাপ উন্নতি করে সেরা বিশে এসেছেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনও। ২১ ধাপ উন্নতিতে তার অবস্থান ১৭তম। এই সিরিজ না খেলা মুস্তাফিজুর রহমান ৭ ধাপ পিছিয়ে চলে গেছেন ২৬তম স্থানে।
তবে বড় উন্নতি করেছেন তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ। ২৩ ধাপ এগিয়ে এখন তার অবস্থান ২৪তম। ১৬ ধাপ উন্নতিতে যৌথভাবে ৪৫তম স্থানে এখন পেস বোলিং অলরাউন্ডার তানজিম হাসান সাকিব।
ব্যাটারদের মধ্যে বাংলাদেসের সেরা ছিলেন জাকের। সিরিজে সর্বোচ্চ ১২০ রান করার পথে ঝড় তোলেন শেষ ম্যাচে। খেলেন ক্যারিয়ার সেরা ৭২ রানের ইনিংস। কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে যৌথভাবে ৮৭ নম্বরে আছেন ডানহাতি এই ব্যাটার। দুজনের রেটিং পয়েন্ট ৩৯১।
আরও পড়ুন
শান্তর ফিফটির পর জাকেরের ক্যামিওতে বাংলাদেশের লড়াকু স্কোর |
ব্যাটারদের তালিকায় সেরা ৩০-মধ্যে নেই বাংলাদেশের কোনো ব্যাটার। পুরো ক্যারিবিয়ান সফর মিস করা তরুণ ব্যাটার তাওহিদ হৃদয় দুই ধাপ পিছিয়ে নেমে গেছেন ৩১ নম্বরে। ২০ ওভারে সিরিজে অধিনায়কত্ব করা লিটন দাস তিন ম্যাচেই ছিলেন ব্যর্থ। এক ধাপ পিছিয়ে তার অবস্থান এখন ৪৭তম।
সিরিজে ৮ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতেও অবদান রাখেন মাহেদি। ব্যাট হাতে করেন ৩৭ রান। এতে অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে ১০ ধাপ উন্নতি হয়েছে তার। এখন আছেন ৩০তম স্থানে।
গ্লোবাল সুপার লিগ (জিএসএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট দিয়ে প্রথমবারের মত রংপুর রাইডার্সের স্পন্সর হয়েছিল বাংলাদেশের প্রথম স্বর্ণ কেনার অ্যাপ ‘গোল্ড কিনেন’। সেই ধারায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এবারের আসরের জন্যও রংপুর তাদের অফিসিয়াল স্পন্সরদের মধ্যে একটি হিসেবে ‘গোল্ড কিনেন’-এর নাম ঘোষণা করেছে।
চলতি বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে হওয়া জিএসএলে রংপুরের গর্বিত স্পনসর থেকে গোল্ড কিনেন সঙ্গী হয় দলটির চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরবময় মুহূর্তের।
দারুণ সেই সাফল্যের পর এবার বিপিএলেও রংপুরের স্পন্সর হিসেবে থাকতে পেরে খুশি ‘গোল্ড কিনেন’। চুক্তি সাক্ষরের পর গোল্ড কিনেনের প্রতিষ্ঠাতারা রংপুরের দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন-
“আমরা রংপুর রাইডার্সের সাথে যোগ দিতে পেরে রোমাঞ্চিত। এই অংশীদারিত্ব আমাদের দুই পক্ষের সংকল্প এবং উদ্দীপনার মূল্যবোধকেই প্রতিফলিত করে। আমরা সারা দেশের ক্রিকেট ভক্তদের সাথে বিপিএলের আসছে মৌসুম উদযাপন করার সুযোগ পেয়ে রোমাঞ্চিত।”
রংপুর রাইডার্সের সিইও ইশতিয়াক সাদেক বলেছেন, “গোল্ড কিনেনের সমর্থন মাঠে এবং মাঠের বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই আমাদের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের তাড়নাকে শক্তিশালী করে। একসাথে আমরা আমাদের ভক্তদের জন্য এই মৌসুমটিকে অবিস্মরণীয় করে তুলতে প্রস্তুত।”
রংপুরের অফিসিয়াল স্পনসরদের একজন হিসেবে গোল্ড কিনেনের ব্র্যান্ডিং টিমের জার্সি এবং অন্যান্য প্রচারমূলক সামগ্রীতে বিশেষভাবে প্রদর্শিত হবে। এছাড়া গোল্ড কিনেনের কাছ থেকে পুরো বিপিএল জুড়ে ভক্তরা বিভিন্ন উপহার এবং প্রচারণামূলক কার্যক্রমও আশা করতে পারেন।
গোল্ড কিনেন সম্পর্কে: গোল্ড কিনেন তাদের উদ্ভাবনী অ্যাপের মাধ্যমে বাংলাদেশে স্বর্ণের সঞ্চয়ে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। গোল্ড কিনেনের মাধ্যমে এর ব্যবহারকারীদের মাত্র ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে স্বর্ণ কিনতে পারেন। ব্যবহারকারীরা তাদের ১-গ্রাম সোনার বার এবং কয়েন থেকে শুরু করে অ্যাপে সংরক্ষিত স্বর্ণ সংগ্রহ করতে পারেন। গোল্ড কিনেনের লক্ষ্য গোল্ড সঞ্চয় এবং বিনিয়োগকে আরও সাশ্রয়ী, সহজলভ্য এবং বাংলাদেশের সকল শ্রেণীর মানুষের জন্য সুবিধাজনক করে তোলা।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মেগা নিলামে নাম পাননি। সেই সময়টা কাজে লাগাতে এবার পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) আসছে প্লেয়ার্স ড্রাফটে নাম দিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান।
পাকিস্তান ও দুবাইয়ে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হবে ফেব্রুয়ারি-মার্চে। ফলে পিএসএল পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে এপ্রিল-মে মাসে। সেই সময়েই চলবে বিশ্বের শীর্ষ ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ আইপিএল। ফলে এই লিগে যারা দল পাননি, তাদের মধ্যে অনেকেরই জোর সম্ভাবনা রয়েছে পিএসএলে দল পাওয়ার। ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে জনপ্রিয় ও চেনা মুখ মুস্তাফিজুরও নিশ্চিতভাবেই থাকবেন সেই তালিকায়।
পিএসএলে এখন পর্যন্ত একবারই খেলেছেন মুস্তাফিজুর। ২০১৭-১৮ মৌসুমে লাহোর কালান্দার্সের হয়ে পাঁচ ম্যাচে শিকার করেছিলেন ৪ উইকেট। বাঁহাতি এই পেসার ওভার প্রতি দেন মাত্র ৬.৪৩ রান। আর গড় ২৫.৭৫।
বিদেশী ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোর মধ্যে মুস্তাফিজুর সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন আইপিএলেই। পাঁচটি দলের হয়ে ৫৭টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে তার। গত আসরে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে বল হাতে ছিলেন দারুণ ছন্দে। সব মিলিয়ে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ২৬৯ ম্যাচে বাংলাদেশ পেসারের নামের পাশে রয়েছে ৩৩৮ উইকেট। ইকোনমি রেট ৭.৫২।
পিএসএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটে মুস্তাফিজুরের দল পাওয়ার ভালো সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। আগামী ৩০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে এবারের আসর। ছুটি কারণে ক্যারিবিয়ান সফর মিস করার পর এখানে ভালো করতে পারলে পিএসএলের দলগুলোর তার দিকে দিতে পারে বাড়তি নজর।
গত আসর পর্যন্ত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সে খেলা মুস্তাফিজুর এবার বিপিএলে খেলবেন ঢাকা ক্যাপিটালসের হয়ে।
হাইব্রিড মডেল নিয়ে জটিলতার কারণেই হয়েছিল বিলম্ব। শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত হল আগামী বছরের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি করাচিতে শুরু হয়ে আসরটি চলবে আগামী ৯ মার্চ পর্যন্ত। ‘এ’ গ্রুপে থাকা বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ২০ ফেব্রুয়ারি, প্রতিপক্ষ ভারত।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে আইসিসি প্রকাশ করেছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি। আট দলের এই টুর্নামেন্টের ম্যাচ হবে ১৫টি। মূল আয়োজকের পাশাপাশি ভারতের ম্যাচগুলো হবে দুবাইতে।
১৯ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। পরদিন দুবাই লেগ শুরু হবে ভারতের সাথে বাংলাদেশের ম্যাচ দিয়ে।
বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ২৪ ফেব্রুয়ারি। রাওয়ালপিন্ডিতে হওয়া সেই ম্যাচে প্রতিপক্ষ থাকবে নিউজিল্যান্ড। তিন দিন পর একই ভেন্যুতে স্বাগতিক পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
মূল আয়োজক পাকিস্তানের মাটিতে ম্যাচগুলো হবে রাওয়ালপিন্ডি, লাহোর এবং করাচিতে। গ্রুপ পর্বের তিনটি করে ম্যাচ আয়োজন করবে প্রতিটি ভেন্যু। আর লাহোরে হবে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। ভারতের গ্রুপের তিনটি ম্যাচের পাশাপাশি প্রথম সেমিফাইনাল হবে দুবাইয়ে।
ভারত যদি ফাইনালে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ফাইনাল হবে লাহোরে। আর ভারত ও পাকিস্তান ফাইনালে মুখোমুখি হলে সেটা হবে দুবাইতে। দুই সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল রিজার্ভ ডে থাকবে।
টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ যে ম্যাচটি, ভারত ও পাকিস্তানের লড়াই মাঠে গড়াবে ২৩ ফেব্রুয়ারি।
গ্রুপ এ : বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, নিউজিল্যান্ড
গ্রুপ বি : দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান, ইংল্যান্ড
২০২৪ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময়সূচী:
১৯ ফেব্রুয়ারি : পাকিস্তান বনাম নিউজিল্যান্ড, করাচি
২০ ফেব্রুয়ারি : বাংলাদেশ বনাম ভারত, দুবাই
২১ ফেব্রুয়ারি : আফগানিস্তান বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, করাচি
২২ ফেব্রুয়ারি : অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ড, লাহোর
২৩ ফেব্রুয়ারি : পাকিস্তান বনাম ভারত, দুবাই
২৪ ফেব্রুয়ারি : বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ড, রাওয়ালপিন্ডি
২৫ ফেব্রুয়ারি : অস্ট্রেলিয়া বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা, রাওয়ালপিন্ডি
২৬ ফেব্রুয়ারি : আফগানিস্তান বনাম ইংল্যান্ড, লাহোর
২৭ ফেব্রুয়ারি : পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ, রাওয়ালপিন্ডি
২৮ ফেব্রুয়ারি : আফগানিস্তান বনাম অস্ট্রেলিয়া, লাহোর
১ মার্চ : দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম ইংল্যান্ড, করাচি
২ মার্চ : নিউজিল্যান্ড বনাম ভারত, দুবাই
৪ মার্চ : সেমিফাইনাল ১, দুবাই
৫ মার্চ : সেমিফাইনাল ২, লাহোর
৯ মার্চ : ফাইনাল, লাহোর/দুবাই
১০ মার্চ : রিজার্ভ ডে