১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০৩ এম
আয়োজক না হলেও নিজেদের কন্ডিশনে খেলা। আরব আমিরাতের অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম তাই আত্মবিশ্বাসী, এবার এশিয়া কাপে দারুণ কিছুই করবে তাঁর দল। সুপার ফোরে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন তিনি।
‘এ’ গ্রুপে থাকা আমিরাতের জন্য শেষ চার জায়গা করা সহজ হওয়ার কথা নয়। তাদের গ্রুপে আছে ভারত, পাকিস্তান ও ওমানের মতো দল। সেমিফাইনালে যেতে হলো তুলনামূলক দুর্বল দল ওমানের সঙ্গে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের একটি জিতত হবে। তবে ওয়াসিম সেই হুঙ্কারই দিয়ে রাখলেন। ক্রিকইনফোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ভারত বা পাকিস্তানের মধ্যে যেকোনো একটি দল হারানোর সমার্থ্য রয়েছে তাঁর দলের।
আরও পড়ুন
এসএটোয়েন্টিতে ৩৫ লাখে দল পেলেন তাইজুল, অবিক্রিত বাকিরা |
![]() |
এশিয়া কাপের আয়োজক ভারত হলেও খেলা হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। হোমে কতটা সাফল্য পাবে আমিরাত? দৃঢ় আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে ওয়াসিম বললেন,
‘আমরা গত দুই-তিন মাস ধরে কঠোর পরিশ্রম করছি এবং এই ফরম্যাটে যেকোনো দলকে হারাতে সক্ষম। সবকিছু নির্ভর করছে ম্যাচের দিনে আমরা কেমন ক্রিকেট খেলি এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী নিজেদের প্রয়োগ করতে পারি কি না, তার উপর।’
এশিয়া কাপে অঘটন ঘটাতে চায় আমিরাত। ওয়াসিম বলেন,
‘ভারত বা পাকিস্তানের মধ্যে যেকোনো একটিকে হারানোর মতো সামর্থ্য আমাদের আছে। ওমানকে হারিয়ে আমরা সুপার ফোরে যাওয়ার জন্য বড় দলের বিপক্ষে অঘটনের দিকেই নজর দেব।’
আরও পড়ুন
কাকা-রোনালদিনিয়োদের সাথে খেলবেন বেল |
![]() |
বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছিলি আমিরাত। তবে এন্টেবেতে বহু দলের টুর্নামেন্টে উগান্ডার কাছে হেরে দ্বিতীয় হয়েছিল তারা। বড় দলগুলোর সঙ্গে নিজেদের ব্যবধান কতটা বড়? ওয়াসিম বললেন,
‘আমাদের দলেও দক্ষতা আছে। তবে অভিজ্ঞতার ঘাটতি আছে, আর পরিকল্পনা ধারাবাহিকভাবে বাস্তবায়নের সক্ষমতাও কম। সবকিছু ঠিকঠাক মিললে আমরা যেকোনো দলকে কঠিন চ্যালেঞ্জে ফেলতে পারি। উগান্ডায় আমরা নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স দেখাতে পারিনি—এটা সত্যি। সেখানে আমরা কিছুটা হালকা মনোভাব নিয়েছিলাম। আমি চাইব, সেই অভিজ্ঞতা ভুলে যাই এবং ভবিষ্যতে যেন সেই ভুল আর না করি।’
No posts available.
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৫৬ এম
৪৮ ঘন্টা পর এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে অবতীর্ন হবে বাংলাদেশ। সে কারণেই অজানা এই প্রতিপক্ষ সম্পর্কে ধারণা নিতে আবুধাবিতে আফগানিস্তান-হংকং ম্যাচে চোখ রাখতে হয়েছে লিটনদের। আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশের ক্রিকেট দলটি অভিবাসী ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া, অপেশাদার ক্রিকেটারদের সহজেই কাবু করা যাবে-এমনটা নিশ্চিত করে বলতে পারবে না কেউ। কারণ, ১১ বছর আগে এই হংকংই কিন্তু চট্টগ্রামে আইসিসির মেগা আসর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে দিয়েছে হারিয়ে। সে কারণেই দলটি সম্পর্কে প্রাক ধারণা নেয়াটা ছিল জরুরী। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে এক বছর পর ফিরেছে টি-টোয়েন্টি। এই মাঠের উইকেট এবং ফ্লাড লাইটের আলোয় পিচের বৈশিষ্ট্যটাও জানা ছিল দরকার।
এই স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দল সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছে ৪ বছর আগে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই দুটি ম্যাচে যাচ্ছেতাই ভাবে হারের অতীত আছে বাংলাদেশ দলের। আগামী ১১ সেপ্টেম্বর হংকংয়ের বিপক্ষে অবতীর্ন হওয়ার আগে এই ভেন্যুতে বাংলাদেশ দলের অগৌরবের রেকর্ডটাও মনে করিয়ে দিতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন
হংকংকে গুঁড়িয়ে এশিয়া কাপে যাত্রা শুরু আফগানিস্তানের |
![]() |
এই মাঠে টস জিতলে চোখ বুজে আগে ব্যাটিং নেয়াটা মঙ্গল। এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে আফগান ক্রিকেট দল তা জানিয়ে দিয়েছে। শুরুটা করেছে তারা ৯৪ রানের বিশাল জয় দিয়ে। আইসিসির পূর্ণ এবং সহযোগী সদস্য দেশের ক্রিকেট দলের মধ্যে ব্যবধান কতোটা, মঙ্গলবার রাতে তা হংকং হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে।
নতুন বলের শুরুটা ছিল ভালই। এক পর্যায়ে স্কোরশিটে ২৬ উঠতে ২ উইকেট ফেলে দিয়ে কী আত্মতুষ্ঠিতেই না ভুগেছে হংকং। সংযুক্ত আরব আমিরাতে সম্প্রতি ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলে কন্ডিশনের সঙ্গে অভ্যস্ত আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের গায়ে টি-টোয়েন্টিতে বড় দলের তকমাটা আছে, ব্যাটিংয়ে তা জানিয়ে দিতে সাধ্যমত চেষ্টা করেছে। ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-তে স্কোর যাদের ৪১/২, তারাই স্কোরটা টেনে নিয়েছে ১৮৮/৬ পর্যন্ত। আবুধাবিতে কষ্ট করে রান করতে হবে। সিঙ্গল-ডাবলে মনযোগ দেয়াটা জরুরী, এ কথা মাথায় রেখে বল কম ডট করেছে আফগানিস্তান। ৩৯টি ডট বলের পাশে ১১টি চার, ১০টি ছক্কা মেরেছে আফগান ব্যাটাররা।
আরও পড়ুন
ভারত-পাকিস্তানকে অঘটনের হুঙ্কার আমিরাত অধিনায়কের |
![]() |
আফগানিস্তান শ্লগের ৩০ বলকে একটু বেশিই শাস্তি দিয়েছে। ওই ৩০ বলে যোগ করেছে আফগানিস্তান ২ উইকেট হারিয়ে ৭৮ রান। কৃতিত্বটা দিতে হবে ওপেনার সাদিকুল অটল এবং লোয়ার অর্ডার আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে। ৫ম উইকেট জুটিতে তারা ৩৫ বলে ৮২ রান যোগ করেছেন। সারজায় সর্বশেষ ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫৪ এবং ৬৪ রানের দুটি তরতাজা ইনিংসের সুখস্মৃতি থেকে টনিক নিয়ে মঙ্গলবার পুঁচকে হংকংয়ের বিপক্ষে করেছেন ৫২ বলে ৬ চার, ৩ ছক্কায় হার না মানা ৭৩। ফিফটিতে লেগেছে তার ৪১টি বল, অবশিষ্ট ১১ বলে করেছেন ২৩! আজমতউল্লাহ ওমরজাই-এর টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস ছিল ৩৪, তা ছাপিয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথম ফিফটিটা উদযাপন করেছেন তিনি মঙ্গলবার (২১ বলে ২ চার, ৫ ছক্কায় ৫৩)।
অপেশাদারী ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া এই দলটির ব্যাটারদের বেসিক ক্রিকেটজ্ঞানে যথেষ্ট ত্রুটি ধরা পড়েছে এদিন। হাফ ভলি, ফুলটস ডেলিভারীতে পর্যন্ত হাফ হার্টেড শট নিয়েছে তাদের ব্যাটাররা। কখনো বল পিচিংয়ের আগে চলে গেছে তাদের ব্যাট। ৯৬ ম্যাচের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বাবর হায়াত দর্শনীয় পুল শটে বর্তমান সময়ে বিশ্বসেরা লেগ স্পিনার রশিদ খানকে ছক্কা মেরে বাহাদুরি দেখালেও গ্র্যাউন্ড শটে তার দুর্বলতা ধরা পড়েছে। বাউন্ডারিহীন ইনিংসে ৩ ছক্কা, ৪৩ বলে ৩৯ রানে থেমেছেন গুলবাদিন নাইবের আউটসাইড অফ ডেলিভারিতে পুল করতে যেয়ে মিড উইকেটে দিয়েছেন ক্যাচ।
আরও পড়ুন
এসএটোয়েন্টিতে ৩৫ লাখে দল পেলেন তাইজুল, অবিক্রিত বাকিরা |
![]() |
ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-তে ২৩ উঠতে ৪ উইকেট হারিয়েও হংকং পুরো ২০ ওভার পার করেছে। আফগানিস্তান এদিন তাদের পূর্ণ বোলিং শক্তি পরখ করে দেখেছে। নিজেসহ ৭ বোলারকে ব্যবহার করেছেন রশিদ খান। গজনফর এবং করিম জানাত ছাড়া অবশিষ্ট ৫ বোলারের সবাই পেয়েছেন উইকেট। আইজাজ খানকে শিকার করতে ২৪ রান খরচ করতে হয়েছে রশিদ খানকে। আজমতউল্লাহ ওমরজাই ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন হংকংকে। সেই আজমতউল্লাহ ওমরজাই বোলিংয়েও ছড়িয়েছেন জুজু (২-০-৪-১)। অথচ কী জানেন, এই আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬টি হেড টু হেড-এ ২টি জয়ের রেকর্ড আছে হংকংয়ের।
'বি' গ্রুপের হার্ডল পেরিয়ে সুপার ফোর-এ খেলতে হলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আগামী ১৬ সেপ্টেম্বরের ম্যাচটার অঙ্কও কিন্তু করতে হবে বাংলাদেশ দলকে।
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৩২ এম
একের পর এক জীবন পেয়ে অপরাজিত ফিফটি করলেন সেদিকউল্লাহ অতল। শেষ দিকে নেমে ঝড় তুললেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই, গড়লেন দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। তাদের দুজনের ব্যাটে বড় পুঁজি পেল আফগানিস্তান। যার কোনো জবাবই দিতে পারল না হংকং।
আবু ধাবির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে হংকংকে ৯৪ রানে হারায় আফগানিস্তান। মঙ্গলবারের ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৮৮ রান করে রশিদ খানের দল। জবাবে ৯ উইকেত হারিয়ে আফগানদের ঠিক অর্ধেক অর্থাৎ ৯৪ রানে থামে হংকং।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এশিয়া কাপে এর চেয়ে বড় জয় আছে আর দুইটি। ২০২২ সালে হংকংকে ১৫৫ রানে হারিয়েছিল পাকিস্তান। একই আসরে ভারতের কাছে ১০১ রান হেরেছিল আফগানিস্তান।
আরও পড়ুন
ভারত-পাকিস্তানকে অঘটনের হুঙ্কার আমিরাত অধিনায়কের |
![]() |
বড় দলগুলোকে হারানোর বিশ্বাস নিয়ে খেলতে আসা হংকং ম্যাচজুড়ে শুধু ভুলই করে গেছে। ফিল্ডিংয়ে তারা ছেড়েছে ৫টি ক্যাচ। এশিয়া কাপে একই ইনিংসে এটিই সর্বোচ্চ ক্যাচ মিসের রেকর্ড। এর মধ্যে অতল একাই পেয়েছেন তিনবার জীবন।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লের মধ্যে রান আউট হন হংকংয়ের দুই ব্যাটার। এত এত ভুলের মাশুল দিয়ে ম্যাচে তাদের পরাজয়ের ব্যবধানটাও তাই বেশ বড়।
ভুলের সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি অতল, ওমরজাইরা। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খেলে ৫২ বলে ৭৩ রান করেন ২৪ বছর বয়সী ওপেনার। আর ছয় নম্বরে নেমে মাত্র ২১ বলে ৫৩ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন ওমরজাই।
আরও পড়ুন
এসএটোয়েন্টিতে ৩৫ লাখে দল পেলেন তাইজুল, অবিক্রিত বাকিরা |
![]() |
বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ২ চারের সঙ্গে ৫টি ছক্কা মেরে মাত্র ২০ বলে ফিফটি করেন ওমরজাই। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের হয়ে এটি দ্রুততম ফিফটি। গত বছর ভারতের বিপক্ষে গুলবদিন নাইব ও ২০১৭ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মোহাম্মদ নবী ২১ বলে করেছিলেন ফিফটি।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তানের শুরু তেমন ভালো ছিল না। ২৬ রানের মধ্যে ড্রেসিং রুমে ফিরে যান রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। তৃতীয় উইকেটে ৫১ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন নবী ও অতল।
২৬ বলে ৩৩ রান করে আউট হন নবী। নাইবও ফেরেন দ্রুত।
১৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৯৫ রান থাকা অবস্থায় ব্যাটিংয়ে যান ওমরজাই। পঞ্চম উইকেটে অতলকে নিয়ে মাত্র ৩৫ বলে তিনি গড়েন ৮২ রানের জুটি। এশিয়া কাপে পঞ্চম উইকেট বা এর পর এটি সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড।
আরও পড়ুন
কাকা-রোনালদিনিয়োদের সাথে খেলবেন বেল |
![]() |
২০১৬ সালের আসরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭০ রানের জুটি গড়েছিলেন পাকিস্তানের শোয়েব মালিক ও সরফরাজ আহমেদ।
ওমরজাই ও অতলের জুটিতে শেষ ৪ ওভারে ৬৯ রান যোগ করে আফগানিস্তান। যা তাদের নিয়ে যায় হংকংয়ের ধরাছোঁয়ার বাইরে।
হংকংয়ের পক্ষে ২ উইকেট নিতে ৪ ওভারে ৫৪ রান খরচ করেন আয়ুশ শুকলা। কিঞ্চিত শাহ ৩ ওভারে ২৪ রানে নেন ২ উইকেট।
হংকংয়ের পেসারদের ওপরই মূল ঝড় বইয়ে দেন আফগান ব্যাটাররা। পেসারদের ৯ ওভারে ১১২ রান করে তারা। বিপরীতে ১১ ওভারে মাত্র ৭৫ রান খরচ করে স্পিনাররা।
রান তাড়ায় একবারের জন্যও জয়ের কোনো আশা জাগাতে পারেনি হংকং। প্রথম ওভারেই আনশুমান রাঠকে আউট করেন ফজলহক ফারুকি। রিপ্লেতে অবশ্য দেখা যায় আনশুমানের ব্যাটে লাগেনি বল। কিন্ত রিভিউ না নেওয়ায় উইকেট বাঁচাতে পারেননি তিনি।
আরও পড়ুন
এয়ারপোর্ট বন্ধ, তারপরও ফেরার বিমান খুঁজছেন বাংলাদেশ দলের ফুটবলাররা |
![]() |
পরের ওভারে আরেক ওপেনার জিসান আলিকে ফেরান ওমরজাই। হংকংয়ের বিপদ বাড়িয়ে তৃতীয় ওভারে রান আউট হন নিজাকাত খান। কোনো বলই মোকাবিলা করতে পারেননি তিনি।
এশিয়া কাপে শূন্য বলে শূন্য রান করে আউট হওয়া দ্বিতীয় ব্যাটার নিজাকাত। ২০২২ সালের আসরে আফগানিস্তানের বিপক্ষেই একই পরিণতি হয়েছিল শ্রীলঙ্কার মাহিশ থিকশানার।
পঞ্চম ওভারে চতুর্থ উইকেটটিও রান আউটেই হারায় হংকং। এরপর একপ্রান্ত ধরে রেখে কিছু রান করার চেষ্টা করেন বাবর হায়াত। ৩ নম্বরে নেমে ৩ ছক্কায় ৪৩ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন ৩৩ বছর বয়সী এই ব্যাটার।
এরপর পরাজয়ের ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করেন সাত নম্বরে নামা অধিনায়ক ইয়াসিম মুর্তাজা। অষ্টম ব্যাটার হিসেবে ফেরার আগে ২৬ বলে ১৬ রান করেন তিনি।
আফগানিস্তানের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন ফারুকি ও নাইব। রশিদ, ওমরজাই ও নুর আহমাদের ঝুলিতে যায় ১টি করে উইকেট।
৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪১ পিএম
স্বাভাবিক নিলাম প্রক্রিয়া ততক্ষণে শেষ। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের আগ্রহের ভিত্তিতে শুরু হলো 'এক্সপ্রেস' নিলাম। এতে প্রথমে উঠল তাইজুল ইসলামের নাম। আর প্রথম ডাকেই বাংলাদেশের অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনারকে নিয়ে নিলো ডারবান সুপার জায়ান্টস।
প্রথমবারের মতো দেশের বাইরের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগে খেলার সামনে এখন তাইজুল। দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট এসএটোয়েন্টিতে দল পেলেন ৩৩ বছর বয়সী এই স্পিনার।
আরও পড়ুন
কাকা-রোনালদিনিয়োদের সাথে খেলবেন বেল |
![]() |
নিলামের চূড়ান্ত তালিকায় ছিল বাংলাদেশের ১৪ জন ক্রিকেটারের নাম। কিন্তু মুস্তাফিজুর রহমান ছাড়া আর কারও নামই তোলা হয়নি নিলামে। তবে মার্কি ক্যাটাগরির তিন নম্বর সেটে মুস্তাফিজের নাম উঠলেও তাকে নেয়নি কোনো দল।
পরে নিলামের একদম শেষ দিকে গিয়ে 'এক্সপ্রেস' রাউন্ড শুরু হলে ভিত্তিমূল্য ৫ লাখ দক্ষিণ আফ্রিকান র্যান্ডের বিনিময়ে তাইজুলকে দলে নেয় ডারবান। বাংলাদেশি মুদ্রায় তাইজুলকে পেতে ডারবানের খরচ ৩৪ লাখ ৭২ হাজার টাকার বেশি।
ডারবানের হয়ে খেলতে গেলে সতীর্থ হিসেবে নুর আহমাদ, হেনরিখ ক্লাসেন, সুনিল নারিন, জস বাটলার, এইডেন মার্করামের মতো বিশ্ব তারকাদের পাবেন তাইজুল। আর ওই টুর্নামেন্টে কোনো ম্যাচ খেললে সেটিই হবে তাইজুলের ক্যারিয়ারে বিদেশি লিগে অভিষেক।
আরও পড়ুন
এয়ারপোর্ট বন্ধ, তারপরও ফেরার বিমান খুঁজছেন বাংলাদেশ দলের ফুটবলাররা |
![]() |
অবশ্য দল পেলেও, তাইজুল আদৌ খেলতে যেতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় থাকছেই। কারণ এই টুর্নামেন্টের সূচি সরাসরি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ক্রিকেটের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই নিজ দেশের লিগ বাদ দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় হয়তো নাও দেখা যেতে পারে অভিজ্ঞ স্পিনারকে।
আগামী ২৬ ডিসেম্বর শুরু হবে এসএটোয়েন্টির নতুন আসর। প্রায় এক মাসের টুর্নামেন্টের পর্দা নামবে আগামী বছরের ২৫ জানুয়ারি। একই সময়ে বিপিএলও আয়োজন করতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তাই সময়ের হাতেই থাকছে তাইজুলের এসএটোয়েন্টি খেলার ভবিষ্যত।
আগে থেকেই নিশ্চিত ছিল, ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে ভারত ও শ্রীলঙ্কায়। অপেক্ষা ছিল সময় নির্ধারণের। ইএসপিএন ক্রিকইনফোর প্রতিবেদন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে হবে ছেলেদের কুড়ি ওভারে বিশ্বকাপ। জানা গেছে, ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত চলবে টুর্নামেন্ট।
বিশ্বকাপে অংশ নেবে মোট ২০ দল। ভারতের অন্তত পাঁচটি ভেন্যু এবং শ্রীলঙ্কার দুটি ভেন্যুতে হবে ম্যাচগুলো। ফাইনাল আয়োজনের জন্য নির্ধারিত হয়েছে আহমেদাবাদ বা কলম্বো। তবে পাকিস্তান ফাইনালে উঠলে খেলা হবে কলম্বোয়।
আরও পড়ুন
গোল করেও খুশি নন ফাহামিদুল |
![]() |
২০২৪ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপের মতোই এবারের ফরম্যাট। চারটি গ্রুপে ভাগ হয়ে মাঠে নামবে ২০ দল। প্রতিটি গ্রুপ থেকে সেরা দুই দল উঠবে সুপার এইটে, সেখান থেকে নির্ধারিত হবে সেমিফাইনাল ও ফাইনালের লাইনআপ। গতবার বার্বাডোসে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত।
এরই মধ্যে ১৫টি দল নিশ্চিত করেছে , ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে। দলগুলো হলো- ভারত, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, যুক্তরাষ্ট্র, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, আয়ারল্যান্ড, কানাডা, নেদারল্যান্ডস ও ইতালি। ইতালি প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবে। বাকি পাঁচটি দল আসবে আঞ্চলিক বাছাইপর্ব থেকে।
এশিয়া কাপ শুরুর আগে সূচি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক চরিত আসালাঙ্কা ও আফগানিস্তান অধিনায়ক রশিদ খান। আজ দুবাইয়ে অধিনায়কদের সংবাদ সম্মেলনে ব্যস্ত সূচি ও ভ্রমণঝক্কির কথা উল্লেখে করে, ‘এটি আদর্শ নয়’ বললেন না তাঁরা।
জিম্বাবুয়েতে টানা দুটি টি-টোয়েন্টি খেলে সরাসরি দুবাইয়ে পৌঁছান আসালাঙ্কা। সংবাদ সম্মেলনে মজা করে তিনি বলেন, 'এখন আমার প্রচণ্ড ঘুম পাচ্ছে। আসলে এই প্রশ্নের উত্তর কাল দেওয়া ভালো হতো। টানা ম্যাচ খেলে সরাসরি ভ্রমণ করা সত্যিই কঠিন। আমাদের অন্তত দুই দিন বিশ্রাম প্রয়োজন। আশা করি কোচ আমাদের ছুটি দেবেন। গরমে সতেজ থাকা এবং প্রথম ম্যাচে শতভাগ দেওয়াই আমার মূল লক্ষ্য।'
অবশ্য প্রথম ম্যাচের আগে চার দিনের বিরতি পাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। পাকিস্তান বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজ শেষ করার পর দুই দিন বিরতি দিয়েই হংকংয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে আজ আফগানিস্তান।
আরও পড়ুন
দেম্বেলের চোটে নিজেদের দায় দেখছেন না ফ্রান্স কোচ |
![]() |
সূচি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে রশিদ খান বলেন,
'এটা মোটেও আদর্শ পরিস্থিতি নয়। আমরা অধিনায়কেরা নিজেদের মধ্যে এ নিয়েই আলোচনা করছিলাম। তবে পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমাদের মানিয়ে নিতে হয়। মাঠে নামার পর অন্য কিছু ভাবা ঠিক নয়। মনে আছে, একবার বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে উড়ে গিয়েই সরাসরি ম্যাচ খেলতে হয়েছিল।'
ব্যস্ত সূচিতে সমস্যা হলেও পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে এই বাস্তবতা মেনে নিতেই হয়। রশিদ বললেন,
'পেশাদার হিসেবে শক্ত মন দরকার। যদি এসব নিয়ে অভিযোগ করি, তাহলে পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়বে। মাঠে নামলে সবকিছু ভুলে শুধু শতভাগ দেওয়ার দিকেই মনোযোগ দিতে হবে।'
এশিয়া কাপে গ্রুপ 'বি' আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে রয়েছে বাংলাদেশ ও হংকং। উদ্বোধনী ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে আজ মাঠে নামবে আফগানরা।