২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৮:১৯ পিএম
বিসিবির সর্বশেষ তিন মেয়াদের পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন এক প্রকার পানসে ছিল। ক্যাটাগরি-থ্রি ছাড়া নির্বাচনের উত্তাপ দেখা যায়নি তেমন একটা। ওই তিন মেয়াদের নির্বাচনে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের আশির্বাদপুষ্ট প্যানেলের অধিকাংশ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তবে এবার ক্যাটাগরি-থ্রি-তে শুধু নয়, ক্যাটাগরি-২ এর নির্বাচনের উত্তাপ লেগেছে।
সমঝোতার মাধ্যমে ঢাকার ক্লাব ক্যাটাগরির ১২ পরিচালক পদে নির্বাচন যুদ্ধে অবতীর্ন হতে অলিখিত প্যানেলে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে, তাদেরকে বিনা বাধায় নির্বাচণের বৈতরনী পার হতে দেয়ার পক্ষে নন একদল তরুণ কাউন্সিলররা। ক্যাটাগরি-২ এ শনিবার ৩২ জন মনোনয়ন ফরম তুলে জমজমাট নির্বাচন যুদ্ধের আভাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন
বাদ পড়া ১৫ ক্লাব এবং ৫ জেলা ফিরে পেলো ভোটাধিকার |
![]() |
মনোনয়নপত্র বিক্রির শুরুতে বিসিবির সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদের পক্ষে এক প্রতিনিধি কিনেছেন ক্যাটাগরি-২ থেকে মনোনয়নপত্র। প্রতিনিধি পাঠিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটে পোষ্টার বয়খ্যাত ক্রিকেটারর তামিম ইকবাল। রফিকুল ইসলাম বাবু, ফাহিম সিনহা, মনজুর আলম, মাসুদুজ্জামান, ইশতিয়াক সাদেক, সানিয়ান তানিম, মীর্জা ইয়াসির আব্বাস, ইস্রাফিল খসরু, ওমর শরীফ মোহাম্মদ ইমরান, আমজাদ হোসেন কিনেছেণ মনোনয়নপত্র।
অলিখিত প্যানেলের বাইরে থেকে নির্বাচনী লড়াইয়ে অংশ নিতে বিসিবির বর্তমান পরিচালনা পরিষদের সদস্য ইফতেখার রহমান মিঠু, সিসিডিএম-এর সদস্য সচিব আদনান রহমান দীপন, গ্র্যাউন্ডস কমিটির সদস্য সৈয়দ বোরহানুল ইসলাম পাপ্পু, সিসিডিএম-এর সাবেক সদস্য সচিব ফৈয়াজুর রহমান মিতু, প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের কো অর্ডিনেটর সাব্বির আহমেদ রুবেল ছাড়াও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের মালিক লুৎফর রহমান বাদল, প্রাইম দোলেশ্বরের সত্বাধিকারী আবুল বাশার শিপলু, ইয়ং পেগাসাস-'এ' এর আহসানুর রহমান মল্লিক রনি, গোপীবাগ ফ্রেন্ডসের সাইফুল ইসলাম সপুও কিনেছেন মনোনয়নপত্র। আজ তারা মনোনয়নপত্র জমা দিলে নির্বাচন যুদ্ধ উঠবে জমে।
আরও পড়ুন
১৫ ক্লাবের পক্ষে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন তামিম |
![]() |
১৯২ ভোটারের অংশগ্রহনে বিসিবির আসন্ন নির্বাচনে আগ্রহী প্রার্থীর সংখ্যা ৬০-এ দাঁড়িয়েছে। শনিবার ক্যাটাগরি-১ এ ১০টি পদের বিপরীতে ২৫টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে। ক্যাটাগরি-২ এ ১২টি পরিচালক পদের বিপরীতে মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে ৩২টি। ক্যাটাগরি-৩ তে ৩টি মনোনয়নপত্র বিক্রি হয়েছে। এই ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন বিসিবির সাবেক পরিচালক সিরাজউদ্দিন মোহাম্মদ আলমগীর, বাংলাদেশ দলের সাবেক খালেদ মাসুদ পাইলট এবং সাবেক প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটার এবং ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পাল।
ক্যাটাগরি-১ এ বরিশাল বিভাগের ১টি পরিচালক কোটায় মাত্র ১ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করায় ভোলা জেলা ক্রীড়া সংস্থার শাখাওয়াত হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। রোববার নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র দাখিল করলে যাচাই-বাছাইয়ে টিকে গেলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়ে যাবেন তিনি।
আরও পড়ুন
নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম অস্বচ্ছ, ফারুক-তামিমকে নিয়ে আপত্তি |
![]() |
এদিকে নাইমুর রহমান দুর্জয় এবং আকরাম খানের পথ অনুসরন করেছেন নির্বাচক আবদুর রাজ্জাক রাজ। বাংলাদেশ জাতীয় দলের নির্বাচক পদ থেকে বিসিবি পরিচালক হওয়ার পথে এখন সাবেক বাঁ হাতি স্পিনার আবদুর রাজ্জাক রাজ। ২০২১০সালে ক্রিকেট ক্যারিয়ারকে গুডবাই জানিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের নির্বাচকের চাকরি নিয়ে ৫ বছর সুনামের সঙ্গে কাটিয়ে বিসিবির পরিচালক পদে নির্বাচনের ইচ্ছা পোষণ করেছেন রাজ। সে কারণেই নির্বাচকের চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে মনোনয়নপত্র কিনেছেন।
বিসিবির বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের সমর্থন নিয়ে খুলনা বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলরশিপ পেয়ে এখন বিসিবির ক্যাটাগরি-১ থেকে নির্বাচনে প্রার্থী তিনি। খুলনা বিভাগীয় কোটায় ২ পরিচালক পদে আবদুর রাজ্জাক রাজসহ ৩ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
আরও পড়ুন
বিসিবির ভোটার তালিকায় নেই ১৫ ক্লাব, ৬ জেলা |
![]() |
বিসিবির নির্বাচনে রাজ্জাক রাজ অংশ নিচ্ছেন সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে। মনোনয়নপত্র কিনে গণমাধ্যমকে তা বলেছেন তিনি-
‘আমি ১৪ বছর জাতীয় দলে খেলেছি। চার বছরেরও বেশি সময় জাতীয় নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমি বিশ্বাস করি এখনই নির্বাচকের দায়িত্ব থেকে সময় সরে দাঁড়ানোর সময়। এখন আমার লক্ষ্য দেশের ক্রিকেটে অন্যভাবে অবদান রাখা। আমি চাই যেন জেলা ও বিভাগ থেকে যারা উঠে আসে তারা যেন কিছু শিখে আসে। সেই জায়গায় কাজ করতে চাই।’
এদিকে নির্বাচক প্যানেল থেকে আবদুর রাজ্জাক পদত্যাগ করে বিসিবির পরিচালনা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নেয়ায় তার জন্য শুভ কামনা করেছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু-
‘প্যানেলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন রাজ্জাক। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় তার অভিজ্ঞতা এবং দৃষ্টিভঙ্গি অবদান রেখেছে। আমরা তার অবদানের জন্য তাকে ধন্যবাদ এবং ভবিষ্যতের জন্য তাকে শুভকামনা জানাই। ’
No posts available.
১৮ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪৫ পিএম
পাকিস্তানের বিমান হামলায় পাকতিকা প্রদেশে তিন তরুণ ক্রিকেটারের মৃত্যুর পর ক্ষোভে ফুঁসছে আফগানিস্তানের ক্রিকেট অঙ্গন। প্রথমে পাকিস্তান সফরে ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে সরে দাঁড়ায় তারা।
এবার জাতীয় দলের অধিনায়ক রশিদ খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন—আর তাঁর সাম্প্রতিক পদক্ষেপ যেন ইঙ্গিত দিচ্ছে, তিনি এবার পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) খেলতে চান না!
রশিদ নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) প্রোফাইল থেকে পিএসএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি লাহোর কালান্দার্সের নাম মুছে ফেলেছেন। তিন আফগান ক্রিকেটার- কবির, সিবঘাতুল্লাহ ও হারুনের মৃত্যুতে নীরব প্রতিবাদ জানালেন এই লেগ স্পিনার।
রশিদ লিখেছেন,
‘সাম্প্রতিক পাকিস্তানি বিমান হামলায় আফগানিস্তানে নারী, শিশু ও তরুণ ক্রিকেটারসহ বহু মানুষের প্রাণহানি গভীরভাবে দুঃখজনক। যারা একদিন দেশের হয়ে মাঠে নামার স্বপ্ন দেখত, তাদের জীবন এভাবে শেষ হয়ে গেল— এ এক অপূরণীয় ক্ষতি।’
এর আগে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি) ঘোষণা দিয়েছে, পাকিস্তানে হতে যাওয়া ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে তারা সরিয়ে নিচ্ছে নিজেদের নাম। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানকে নিয়ে এই সিরিজ হওয়ার কথা ছিল, আফগানিস্তানের জায়গায় এখন অংশ নেবে জিম্বাবুয়ে।
সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী ও অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইবও রশিদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। নাইব লিখেছেন,
‘পাকিস্তানি সেনাদের এই বর্বরতা আমাদের জাতির মর্যাদা ও স্বাধীনতার ওপর আঘাত, কিন্তু এটি আমাদের ভাঙতে পারবে না।’
নবীর ভাষায়,
‘উরগুনে তরুণ ক্রিকেটারদের শাহাদত হৃদয়বিদারক। এই নৃশংস হামলা আমাদের আরও ঐক্যবদ্ধ করবে।’
রশিদ খান এখন পর্যন্ত লাহোর কালান্দার্সের হয়ে তিন মৌসুমে খেলেছেন। ৪৪ উইকেট নিয়েছেন ১৫.৪৭ গড় ও ৬.১৩ ইকোনমি রেটে। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনার পর তাঁর সামনের পিএসএলে অংশগ্রহণ এখন বড় প্রশ্নের মুখে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলমান ওয়ানডে সিরিজে দলে ফিরলেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। আজ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
৩০ বছর বয়সী নাসুম শেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে- নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এখন পর্যন্ত ১৮ ম্যাচে ৪.৪৮ ইকোনমি রেটে নিয়েছেন ১৬ উইকেট। মিরপুর শেরে-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।
একই ভেন্যুতে আগামী ২১ ও ২৩ অক্টোবর হবে সিরিজের বাকি দুটি ওয়ানডে। তবে প্রথম ওয়ানডেতে দেখে গেছে উইকেটে ঘূর্ণির নাচন। উইন্ডিজের ৮টি উইকেটই নিয়েছেন বাংলাদেশের স্পিনাররা। ৬ উইকেট নিয়েছেন রিশাদ হোসেন। একটি করে উইকেটে নেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তানভীর ইসলাম।
তবে বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ছিলেন কিছুটা খরচে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৩৩ রানে গুটিয়ে গেছে প্রথম ওয়ানডেতে। ১০ ওভারে ৪৬ রান দিয়েছেন তানভীর। পরের ওয়ানডেতে আরেকজন বাঁহাতি হিসেবে নাসুমকে যুক্ত করল বিসিবি।
সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ ও এনসিএলে ছন্দে ছিলেন নাসুম। সরাসরি ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা করতে এই সিরিজ গুরুত্বপূর্ণ মিরাজদের জন্য।
বাংলাদেশ ওয়ানডে দল:
মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, জাকার আলী অনিক, শামিম হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, রিশাদ হোসেন, তানভীর ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব, হাসান মাহমুদ ও নাসুম আহমেদ।
টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা হারানোর পর এবার প্রশ্নের মুখে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ওয়ানডে অধিনায়কত্ব। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের জন্য এখনও অধিনায়ক চূড়ান্ত করেনি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি রিজওয়ানকে আর নেতৃত্বে রাখা হবে না? নতুন অধিনায়ক ঘোষণার জন্যই দল ঘোষণায় দেরি? এসব প্রশ্নের উত্তর জানা যাবে সোমবার।
সাদা বলের কোচ মাইক হেসনকে নিয়ে আলোচনায় বসবে পিসিবি। সেখানেই নির্ধারণ হবে রিজওয়ানের ভাগ্য।
অনিশ্চয়তার জন্মটা দিয়েছে পিসিবিই। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের অধিনায়ক এখনও চূড়ান্ত হয়নি। অথচ ওয়ানডেতে গত কয়েক সিরিজ ধরে রিজওয়ানই দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
এমনকি অধিনায়ক হিসেবে খুব একটা খারাপও করছেন না অভিজ্ঞ উইকেটকিপার-ব্যাটার। গত বছরে দায়িত্ব পাওয়ার পর তার নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া, জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে পাকিস্তান।
তবে চলতি বছর নিম্নমুখী। ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে নিউ জিল্যান্ডের কাছে হেরেছে তারা। পরে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও মেলেনি সাফল্য। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়েও মিলেছে হতাশা।
রিজওয়ানের পারফরম্যান্স নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন তোলার সুযোগ কম। চলতি বছর ৩৬-র বেশি গড়ে ৩৬১ রান করে ওয়ানডেতে পাকিস্তানের দ্বিতীয় সর্বোচ রান সংগ্রাহক তিনি। এছাড়া প্রোটিয়াদের বিপক্ষে চলতি টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচেও ৭৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন।
তবু ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকে রিজওয়ানকে সরিয়ে দেওয়া হবে কিনা, সেটি জানা যাবে খুব শিগগিরই। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। এরপর ৪ নভেম্বর শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজ।
এর আগে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে শাহিন শাহ আফ্রিদিরও একই ভাগ্যবরণ করতে হয়। পিসিবি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই আফ্রিদিকে রহস্যজনকভাবে সরিয়ে দেন মহসিন নাকভি। তখন মাত্র এক সিরিজে অধিনায়কত্ব করেছিলেন আফ্রিদি।
পার্থের গরম সকালে যেন আগুন ছুড়লেন মিচেল স্টার্ক। ভারতের টপ অর্ডারের সামনে ছুড়ে দিলেন গতি, আগ্রাসন আর নিখুঁত সুইংয়ের মিশেলে তৈরি এক জাদু মন্ত্র। কিন্তু আলোচনার কেন্দ্রে তাঁর উইকেট নয়, বরং একটি ডেলিভারি—যার গতি দেখিয়ে স্পিড গান যেন নিজের চোখকেও বিশ্বাস করতে পারেনি!
ইনিংসের প্রথম বল। রোহিত শর্মার উদ্দেশে ছোড়া বলটি স্পিড গান দেখায় ১৭৬.৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতি। ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম বলই হয়ে যেত! সেই ডেলিভারি নিয়ে রীতিমতো নেটিজেনরা হইচই শুরু করেছেন।
তবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন, মেশিনের ভুলে বলের স্পিড এত বেশি দেখিয়েছে। বাস্তবে স্টার্কের বলটির গতি ছিল ঘন্টায় ১৪০ কিলোমিটার। আর তাঁর সবচেয়ে দ্রুত বৈধ ডেলিভারিটিও রোহিতের বিপক্ষেই আসে প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার গতিতে।
প্রথম স্পেলে স্টার্ক ছিলেন বেশ ভয়ংকর। প্রথম পাঁচ ওভারেই ১ মেডেনসহ মাত্র ২০ রান দিয়ে তুলে নেন ১ উইকেট। তাঁর আগুনঝরা স্পেলের শিকার হন বিরাট কোহলি। ৮ বলে রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
এর আগেই রোহিত শর্মাকে ভুগিয়েছেন স্টার্ক। পার্থের বাউন্সি উইকেটে বলের গতি আর উচ্চতা মিলিয়ে একের পর এক ব্যাটারকে নাচিয়ে ছাড়েন তিনি। রোহিত শুরুতেই চাপে পড়ে যান, ১৪ বলে করেন মাত্র ৮ রান। শেষ পর্যন্ত জশ হ্যাজলউডের বলে স্লিপে ক্যাচ তুলে ফিরে যান ভারতের সাবেক অধিনায়ক।
ভারতের ইনিংসের চিত্রটা বলছিল সবকিছু—পাওয়ার প্লেতে মাত্র ২৭ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। ২০২৩ সালের পর ওয়ানডেতে ভারতের সবচেয়ে বাজে শুরুর একটি এটি।
যদিও ১৭৬.৫ কিমি/ঘণ্টা গতির সেই বল বাস্তবে মানবসম্ভব নয়। তবে ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে এর চেয়েও স্টার্কের স্পেলটি ছিল বেশি রোমাঞ্চকর।
আফগানিস্তানের আরগুন জেলায় হামলায় তিন স্থানীয় ক্রিকেটার নিহত হওয়ায় আগামী মাসে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে সরে দাঁড়ায় আফগানিস্তান। রশিদ খানের দল সিরিজ বয়কট করায় তাদের জায়গা নিচ্ছে জিম্বাবুয়ে। পাকিস্তানে হতে যাওয়া তিন জাতির সিরিজে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তৃতীয় দল হিসেবে যোগ দিবে জিম্বাবুয়ে।
আজ আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি) এক সিরিজ থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে। কারণ হিসেবে তারা দাবি করে, দেশটির উরগুন জেলায় একটি সীমান্ত-পারাপারের হামলায় তিনজন স্থানীয় ক্রিকেটার নিহত হয়েছেন।
এক্স ( টুইটার)-এ দেওয়া এক পোস্টে এসিবি জানায়, ‘এই হামলায় একাধিক প্রাণহানি হয়েছে, যাদের মধ্যে ছিলেন তিনজন স্থানীয় ক্রিকেটার, যারা পাকতিকা প্রদেশের রাজধানী শারানায় একটি প্রীতি ম্যাচ খেলে বাড়ি ফিরছিলেন।’
এসিবি আরও জানায়, ‘এই ঘটনা আফগান ক্রীড়া সমাজ, ক্রীড়াবিদ এবং ক্রিকেট পরিবারের জন্য এক বড় ক্ষতি।’
আফগানিস্তানের বিবৃতির পর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না বললেও ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে জানিয়েছে, সিরিজটি নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে, এবং আফগানিস্তানের পরিবর্তে অন্য একটি দল অংশ নেবে। জিম্বাবুয়ের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে দেওয়া বিবৃতিতে পিসিবি জানিয়েছে, তারা আগেই আফগানিস্তানের ‘অংশগ্রহণে অক্ষমতা’ সম্পর্কে অবহিত ছিল।
আগামী ১৭ নভেম্বর শুরু হয়ে ২৯ নভেম্বর শেষ হবে ত্রিদেশীয় সিরিজ। পাকিস্তানের লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডিতে হবে সিরিজটি। রাওয়ালপিন্ডিতে স্বাগতিক পাকিস্তান মুখোমুখি হবে জিম্বাবুয়ের। দুই দিন পর একই মাঠে জিম্বাবুয়ে খেলবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সিরিজের বাকি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে।