৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১:২৫ পিএম
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার হিসেবে অনেকেরই রয়েছে বিশেষ পরিচিতি। তবে স্রেফ টি-টোয়েন্টি ধারাভাষ্যকার হিসেবে যদি একজনের নাম বলতে বলা হয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেটা হবে ড্যানি মরিসন। নিউজিল্যান্ডের সাবেক এই ক্রিকেটার খেলোয়াড় থাকা অবস্থায় যা জনপ্রিয়তা পেয়েছেন, খেলা ছাড়ার পর মাইক হাতে তার চেয়ে কয়েক গুন বেশি জনপ্রিয় হয়ে গেছেন বিশ্বজুড়ে। মজার ছলে কথা বলা, অদ্ভুত বাচনভঙ্গি আর হাস্যকর সব অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে ধারাভাষ্যকে তিনি দেন ভিন্ন মাত্রা। চলতি বিপিএলেও ধারাভাষ্য দিচ্ছেন মরিসন।
টি-স্পোর্টসকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার মরিসন কথা বলেছেন ধারাভাষ্য, এই পেশায় ভালো করার উপায়, বিপিএল, সাকিব আল হাসান সহ নানা বিষয়ে।
পাঠকদের জন্য মরিসনের সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হল :
প্রশ্ন : প্রথমেই ধন্যবাদ আরও একবার বাংলাদেশে আসার জন্য। নিশ্চয়ই দেখতে পাচ্ছেন মানুষ এখানে আপনাকে কতোটা আন্তরিকভাবে ভালোবাসে?
মরিসন : তা আর বলতে! ওদের ভালোবাসা আর সেলফির সিরিয়াল দেখে আমার তো মনে হয় এবারের বিপিএলের সবচেয়ে বড় তারকা বুঝি আমিই (হাসি)। সত্যি বলতে, আমি কৃতজ্ঞ সবার প্রতি। আগেও লোকেদের ভালোবাসা পেয়েছি বাংলাদেশে, তবে এবার কিছুটা আবেগী হয়ে যাচ্ছি। ধন্যবাদ বাংলাদেশ।
প্রশ্ন : আবেগের কথা বললেন। মাইক হাতে আপনি পুরোটা সময় ধরেই যেভাবে হাসি-ঠাট্টা করে যান, মজার মজার সব কথা বলেন… পেশাদার জায়গা থেকেও যদি বলি, বছরের পর বছর প্রতিদিন এই একটা কঠিন কাজ করে যাওয়া নিশ্চয় চ্যালেঞ্জিং লাগে? কারণ, লোক হাসানো দুনিয়ার সবচেয়ে কঠিন কাজের একটি বলেই মনে করা হয়।
মরিসন : নো মাই ফ্রেন্ড। দেখুন, আপনি যখন নিজের কাজটাকে ভালোবাসবেন, তখন সবকিছু স্বাভাবিকভাবেই হয়ে যাবে। বাড়তি কিছু আর চেষ্টা করা লাগে না তখন। তবে এটাও ঠিক, আমাকে দেখলেই সবাই ধরেই নেয়, এই লোকটা এখন আমাদের হাসাবে। এই প্রত্যাশার চাপটা মাঝে মধ্যেই টের পাই।
প্রশ্ন : আপনার ইউনিক একটা ডায়লগ ডেলিভারি স্টাইল তো আছেই, সাথে এইযে একটু ভ্রু কুচকে, অঙ্গভঙ্গি দিয়ে দর্শকদের বাড়তি বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা করেন, এক্ষেত্রে কি কিংবদন্তি চার্লি চ্যাপলিনের সাথে নিজের কোনো মিল পান?
মরিসন : ইউ মিন চার্লি মরিসন? (হাসি)। আমি আসলে ওভাবে দেখিনি কখনও বিষয়টা। গ্রেট চার্লি চ্যাপলিনের কথা বললেন। তার কাজের সাথে আসলে তুলনা চলে না কারোরই। ডায়লগ ছাড়া স্রেফ অঙ্গভঙ্গি দিয়েই তো তাকে আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে হত। সেদিক থেকে আমার কাজ তো অনেক সহজ। যখন ইচ্ছা, কথা তো বলতে পারি। এই যেমন এখন আপনার সাথে কথা বলছি কোনো অঙ্গভঙ্গি ছাড়াই।
প্রশ্ন : একজন ধারাভাষ্যকারের জন্য মৌখিক অঙ্গভঙ্গি জানাটা কতোটা গুরুত্বপূর্ণ?
মরিসন : এটা আসলে নির্ভর করে একেকজনের ব্যক্তিত্বের ওপর। এটা যে থাকতেই হবে, তা নয়। কিংবদন্তি রিচি বেনোর কথাই যদি বলেন, আমরা তো রেডিওতে তার ওই ধারাভাষ্যই মন্ত্রমুগ্ধের মত শুনতাম। আমি এই পেশায় যখন আসি, তখন ভেবেছিলাম অন্যদের চেয়ে ভিন্ন কিছু না করতে পারলে হয়ত বেশিদিন টিকতে পারব না।
প্রশ্ন : এটা নিছকই আপনার বিনয়…
মরিসন : নো মাই ফ্রেন্ড। দেখুন, আমি পুরো ব্যাপারটাকে আপনাদের সামনে প্যাকেজ হিসেবে তুলে ধরি বলেই হয়ত আপনারা আমাকে পছন্দ করেন। আপনি আমাকে যদি মাইকেল হোল্ডিংয়ের মত ক্রিকেট নিয়ে বিশ্লেষণ করতে দশ মিনিট দাঁড় করিয়ে দেন, লোকেরা তাহলে টিভি বন্ধ করে দেবে। আমাকে এখনও প্রতিদিন পড়ালেখা করতে হয় এই কাজে সেরাটা দেওয়ার জন্য। সব নোট করে রেখেও প্রায়ই তালগোল পাকিয়ে ফেলি। তখনই আপনাদের বোকা বানাতে মুখের একটা অদ্ভুত অঙ্গভঙ্গি করে বসি।
প্রশ্ন : ধারাভাষ্যকারদের জন্য ইম্প্রোভাইজেশনের গুরুত্ব কতটুকু তাহলে?
মরিসন : অনেক। আপনি সব প্রস্তুতি নিয়েও সব পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবেন না। একটা খেলায় চার হবে, ছয় হবে, আউট হবে - এসব তো আমরা জানিই৷ তবে ক্রিকেট খেলায় প্রতিটি বলই একটা নতুন ইভেন্ট, আর তাই আপনাকে মানসিকভাবে নিজেকে সবসময় প্রস্তুত রাখতেই হবে একটা চটকদার শব্দ বা পাঞ্চ লাইন বলে পরিস্থিতিটা তুলে ধরার জন্য। আপনাকে দর্শকদের এই ধারণা দিতে হবে যে আপনি এই ইভেন্টের জন্য শতভাগ প্রস্তুত ছিলেন। কারণ, মাঠে কী হচ্ছে সেটা তারা খালি চোখেই দেখছেন। আপনার কাজ সেখানে বাড়তি কিছু যোগ করে ইভেন্টটিকে আকর্ষণীয় করে তোলা।
প্রশ্ন : হার্ষা ভোগলে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, একজন ধারাভাষ্যকারের জন্য ভুল স্বীকার করে নেওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি এতে একমত হবেন?
মরিসন : অবশ্যই। দেখুন, এআইও কিন্তু হরদম ভুল করছে আজকল। সেখানে একটা মানুষ তো ভুল করবেই। আপনি ধারাভাষ্য দিচ্ছেন বলেই তো আপনি সবজান্তা হয়ে গেছেন বা আপনাকে সবজান্তা হতে হবে, ব্যাপারটা এমন নয়। খেলোয়াড়ের নাম ভুল হবে, শটের নাম ভুল বলবেন - এসব তো হবেই। আপনি ভুল করলে লোকেরা কিন্তু তা নিয়ে হাসাহাসি করবে না, যদি আপনি সেটা শুধরে নেন। ভুল করেও সেটাকে ঠিক প্রমাণের চেষ্টা করলে সেটা হাস্যরসের জন্ম তো দেবেই।
প্রশ্ন : হার্ষা ভোগলের কথা আসায় প্রশ্নটা প্রাসঙ্গিক মনে হল। সাবেক খেলোয়াড় না হলে ধারাভাষ্যকার হওয়া যাবে না, বা তিনি ভালো করতে পারবেন না, বর্তমানে এমন চর্চা দেখা যাচ্ছে বেশ। অথচ হার্ষা ভোগলেই কিন্তু প্রমাণ, খেলাটির প্রতি নিখাদ ভালোবাসা থাকলে এই পেশায় চূড়ান্ত সফল হওয়া সম্ভব। আপনার কী মনে হয়?
মরিসন : আপনি তো উত্তরটা দিয়েই দিলেন। খেলাটির প্রতি ভালোবাসা, হ্যাঁ, এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি যদি ক্রিকেট খেলাটা বোঝেন, বিশ্লেষণ করতে জানেন আর নিজের মত করে সেটা উপস্থাপন করতে পারেন, তাহলে আপনি পেশাদার ক্রিকেটার না হয়েও এই পেশায় স্বাগতম।
প্রশ্ন : আপনার সমসাময়িক অনেকেই তিন ফরম্যাটে ধারাভাষ্য দিচ্ছেন। কিন্তু আপনি বলা যায় একরকম টি-টোয়েন্টি স্পেশালিষ্ট হয়ে গেছেন। অনেকেই মজার ছলে বলেন, এই ফরম্যাটটির আবিষ্কার হয়েছে আপনি ধারাভাষ্য দেবেন বলেই। টেস্ট ক্রিকেটকে মিস করেন?
মরিসন : দেখুন, জীবনের একটা পর্যায়ে এসে আপনাকে কিছু জিনিস বেছে নিতেই হবে। আপনি চাইলেও সব জায়গায় নিজের সেরাটা দিতে পারবেন না। সীমাবদ্ধতার ব্যাপার আছে। তাছাড়া টেস্ট ক্রিকেটে কিন্তু আমার ধারাভাষ্য আপনার ভালো নাও লাগতে পারে। কুড়ি ওভারের ক্রিকেট আর পাঁচ দিন ধরে চলা একটা ম্যাচের যে বিস্তর ব্যবধান, সেটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। নিজের সীমাবদ্ধতা বোঝাটাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। একবার ভাবুন, প্যাট কামিন্স সারাদিন বল করে পাঁচ উইকেট নিয়ে ড্রেসিংরুমের দিকে যাচ্ছে, তার আগে তাকে দাঁড় করিয়ে আমি মজার মজার প্রশ্ন করা শুরু করলাম। খেলোয়াড় বা দর্শক, কারো কাছেই এটা ভালো লাগবে না।
প্রশ্ন : বিপিএলে ফেরা যাক। আগেও এসেছেন এই টুর্নামেন্টে। সব মিলিয়ে কেমন লাগে বিপিএল?
মরিসন : আমার কাছে তো দুর্দান্ত লাগে। এজন্যই তো অন্যদের ডাক উপেক্ষা করে চলে এলাম বাংলাদেশে। এটা অন্যদের আবার বলবেন না (হাসি)। বাংলাদেশের যে ভেন্যুতেই যাবেন, দর্শকদের যে উদ্দীপনা দেখবেন আপনি, এটা অবিশ্বাস্য। এই দেশের মানুষ ক্রিকেটকে ভীষণ ভালোবাসে। আর তাই এখানে কাজ করার সুযোগ পেলেই সেটা লুফে নিতে চাই। এখানকার লোকেদের সরল ভালোবাসা আমাকে ভীষণচ ছুঁয়ে যায়।
প্রশ্ন : আপনার জন্মদিন উদযাপন দেখে সেটা কিছুটা আন্দাজ করা যায়। এই বিপিএলে কোনো খেলোয়াড়ের জন্মদিন নিয়েও এত মাতামাতি দেখা যায়নি।
মরিসন : যেমনটা আগেই বললাম, নিজেকে এই বিপিএলের সবচেয়ে বড় তারকা মনে হচ্ছে (হাসি)। হ্যাঁ, যেটা বললেন, এত মানুষ আমার জন্মদিন মনে রাখবে, স্টেডিয়ামে কেকও কাটবে… ভাবা যায় না আসলে। বাংলাদেশের মানুষের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। কৃতজ্ঞ বিসিবির প্রতিও, তারা আমাকে সুযোগ করে দিয়েছে আবার বিপিএলে আসার জন্য।
প্রশ্ন : বিসিবির প্রতি আপনি কৃতজ্ঞতা জানালেন, তবে তাদেরও কী আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিত? কারণ, প্রায় একই সময়ে চারটা টি-টোয়েন্টি লিগের মধ্যেও আপনি বিপিএলকে বেছে নিয়েছেন?
মরিসন : আপনি চাইলে ওভাবে দেখতে পারেন। তবে আমার কাছে পেশাদারিত্ব সবার আগে। লিগ চারটা হোক বা দশটা, সবার আগে যারা আমার সাথে যোগাযোগ করবে, তাদের সেই সম্মানটা তো আমাকে দিতেই হবে, তাই না? বিসিবির সাথে আমার সবার আগে কথা হয়েছে, তাই আমি তাদেরই প্রাধান্য দিয়েছি।
প্রশ্ন : তাহলে আপনাকে আরও প্রশ্নটা করাই যায় এই সূত্র ধরেই। বর্তমানে হরমেশাই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে খেলোয়াড়দের দেখা যাচ্ছে ছোট ছোট চুক্তি করে একেক দিন একেক লিগে খেলতে। এই বিপিএলেই যদি বলি, আন্দ্রে রাসেল, টিম ডেভিড, জেসন হোল্ডাররা বিপিএল খেলতে এলেন আগেরদিন রাতে আইএলটি২০ খেলে। আবার এই বিপিএলেই কয়েকজন খেলোয়াড়কে দেখা গেল এই লিগে আগে চুক্তিবদ্ধ হয়েও পরে তা বাতিল করে অন্য লিগে খেলতে। খেলোয়াড়দের মাঝে পেশাদারিত্ব কী দিন দিন কমে যাচ্ছে বলে মনে হয়?
মরিসন : ভালো প্রশ্ন। আমি শুধু নিজের জায়গা থেকেই উত্তরটা দিতে পারি। আর সেটা হল, না আপনি দুটোর কোনোটাই করতে পারেন না। নিজে খেলোয়াড় ছিলাম বলে জানি, হোক সেটা টি-টোয়েন্টি বা ওয়ানডে, এরপর রিকভারি টাইম আপনার লাগবেই। পর্যাপ্ত বিশ্রাম, ঘুম এসবের দরকার তো আছেই। আপনি যদি সেটা না করে নিজেকে রোবট ভাবেন আর আগেরদিন রাতে খেলে, বিমান ধরে সকালে আরেক দেশে নেমে জার্সি গায়ে চাপিয়ে নেমে পডেন, সেরাটা কীভাবে দেবেন? ক্লান্তি তো ভর করবেই আপনার ওপর। তাছাড়া দলের অন্যদের সাথে তো মিশতেও পারলেন না ওভাবে। আর চুক্তি বাতিলের ব্যাপারটা একটা দলের জন্য খুব শকিং। আপনি একটা খেলোয়াড়কে নিলেন, তাকে নিয়ে পরিকল্পনা সাজালেন, মাঠে নামার আগে তাকে পেলেন না, এটা হতাশাজনক। তবে যুগ বদলে গেছে, এখন হয়ত এটাই পেশাদারিত্ব।
প্রশ্ন : এই যুগে এসে পেশাদার ক্রিকেটারদের জন্য পেশাদারিত্ব বজায় রাখাটাই কী সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ?
মরিসন : অবশ্যই। একটা সময় ছিল স্রেফ ঘরোয়া, টেস্ট আর ওয়ানডে ক্রিকেটই৷ আর এখন সারা বছরই খেলোয়াড়দের ব্যস্ত থাকতে হয় আন্তর্জাতিক বা ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট নিয়ে। ফিটনেস বজায় রেখে দিনের পর দিন কাজটা চালিয়ে যাওয়া নিশ্চয় সহজ হওয়ার নয়। হয়ত এই কারণেই এখন ফ্রিল্যান্স ক্রিকেটারদের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। আমাদের এটার সাথে মানিয়ে নেওয়া ছাড়া আর উপায় নেই।
প্রশ্ন : এই মানিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে কিন্তু কিছু অনিশ্চয়তাও তৈরি হচ্ছে। আগে বোর্ডের চুক্তিতে থাকলেই মিলত অর্থ। এখন সেটার বাইরে থাকলে, চোট পেলে সেটাও সারাতে হয় নিজের অর্থেই। আবার এই বিপিএলে আমরা দেখলাম, খেলোয়াড়দের পেমেন্ট নিয়ে নানা বিতর্ক। রীতিমত ম্যাচ বয়কট করতে হয়েছে প্রাপ্য পারিশ্রমিক বুঝে পেতে। খেলোয়াড় বা একটা লিগের জন্য এগুলো নিশ্চয় ভালো ব্র্যান্ডিং নয়?
মরিসন : অবশ্যই না। আপনি প্রথমে যেটা বললেন, সেটা একজন খেলোয়াড় জেনেই কিন্তু কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইরে রাখে নিজেকে। তবে বিপিএলে আমি যতটুক শুনেছি, তাতে মনে হয়েছে খেলোয়াড়দের পেমেন্ট নিয়ে যা যা হয়েছে, সেটা বিপিএলের জন্য ভালো বিজ্ঞাপন নয়। এমনিতেই এখন অনেক প্রতিযোগিতা লিগগুলোর মধ্যে, এভাবে চললে ভবিষ্যতে বড় তারকারা বিপিএলের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে।
একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। প্রশ্ন : একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। খেলোয়াড় থাকা অবস্থায় সাকিব আল হাসানের রাজনীতিতে নাম লেখানো বা এর রেশ ধরে তার বাংলাদেশের হয়ে খেলা নিয়ে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, সেটা কীভাবে দেখছেন?
মরিসন : কঠিন প্রশ্ন। সাকিব কেন রাজনীতিতে আসল বা বাংলাদেশে এরপর কী কী হয়েছে, আমি এসবের খুব বেশি জানি না। তবে আমি মনে করি, পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে রাজনীতি করাটা যদি তার খেলায় প্রভাব না ফেলে, তাহলে হয়ত সেটা খুব বড় সমস্যা হওয়ার কথা না। আবারও বলছি, আমি জানি না ঠিক কেন সাকিব বাংলাদেশে তার শেষ ম্যাচটা খেলতে পারল না। তবে বিপিএলে তাকে আমি মিস করেছি। আমি নিশ্চিত সমর্থকরাও তাকে মিস করেছে ভীষণ।
প্রশ্ন : এই বিপিএলে বাংলাদেশের কার খেলা মনে ধরেছে আপনার?
মরিসন : নাঈম শেখ। এবার দেখে মনে হচ্ছে ব্যাটিংয়ে সে অনেক উন্নতি করেছে। বড় বড় ছক্কা মারতে পারে এখন। বোলারদের মধ্যে তাসকিনের কথাই বলব। ওর দল প্লে-অফে খেললে হয়ত (এক আসরে) ৩০ উইকেট নিয়ে ফেলত। তবে আমি তার এই পারফরম্যান্সে অবাক না। সে যথেষ্ট অভিজ্ঞ। ১০ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা একজন বোলারকে আপনি আক্রমণের নেতা হিসেবেই দেখতে চাইবেন।
প্রশ্ন : আরেক অভিজ্ঞ পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে কেমন দেখলেন?
মরিসন : শেষ ম্যাচেও তো দারুণ বোলিং করল ফিজ। তবে পুরো টুর্নামেন্টে যদি বলেন, আমি তার কাছ থেকে তাসকিনের মতোই বিশেষ কিছু আশা করেছিলাম। সামনেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, বাংলাদেশের ভালো করতে হলে ফিজকে জ্বলে উঠতেই হবে।
প্রশ্ন : শেষ প্রশ্নটা এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়েই। কোন দলকে ফেভারিট মনে হচ্ছে আর বাংলাদেশের সম্ভাবনা কেমন দেখেন?
মরিসন : কাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়াকেই রাখতাম ফেভারিট হিসেবে। তবে এখন আমি ভারতের সাথে সেখানে পাকিস্তান, ইংল্যান্ডকেই এগিয়ে রাখব। বাংলাদেশ চমকে দিতে পারে, তবে সেজন্য ফিজ, মুশি, রিয়াদের মত অভিজ্ঞদের সেরা ফর্মে থাকতেই হবে।
৩০ জুলাই ২০২৫, ৮:৫৭ পিএম
৩০ জুলাই ২০২৫, ৩:০১ পিএম
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয় জিম্বাবুয়ে। কালে-ভদ্রে পরাশক্তিদের সাথে টেস্ট খেলার সুযোগ পায় দলটি। এতেই বড়দের সাথে ব্যবধান তৈরি হয়ে গেছে। এ মাসের শুরুতে টেস্টের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে ঘরের মাঠে কুলিয়ে উঠতে পারেনি। বুলাওয়েতে দুই টেস্টের দুটিতেই বড় ব্যবধানে হেরেছে। বুলাওয়েতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে বুধবার শুরু হওয়া টেস্টের প্রথম দিনেও শিক্ষানবীশ জিম্বাবুয়েকে দেখেছে দর্শক। টেস্টের প্রথম দিনটি পার করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। টি-ব্রেকের আধ ঘন্টা পর মাত্র ১৪৯ রানে গুটিয়ে নিয়েছে ইনিংস। জবাব দিতে এসে প্রথম দিন শেষে নিউ জিল্যান্ডের স্কোর ৯২/০। সব কটি উইকেট হাতে রেখে পিছিয়ে আছে সফরকারী দলটি মাত্র ৫৭ রানে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে বুলাওয়ে টেস্টের প্রথম দিন কিউই পেসার ম্যাট হেনরির তোপের মুখে মাত্র ৬৯ রানে ৫ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। ৬ষ্ঠ উইকেট জুটির ৫৪ রানে স্কোরটা তিন অঙ্কে টেনে নিতে পেরেছে জিম্বাবুয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেঞ্চুরিয়ান শিন উইলিয়ামস এদিন মাত্র ২ রানের মাথায় পেসার স্মিথের অ্যাঙ্গেল ডেলিভারিতে বোল্ড আউট হলে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং বিপর্যয় ঘনীভূত হয়। ক্রেইগ আরভিন ১০১ মিনিট ব্যাটিং করে ৬টি বাউন্ডারির সাহােয্যে করেছেন সর্বোচ্চ ৩৯ রান। তাফাজা সিগা করেছেন ১১০ মিনিট স্থায়ীত্ব পাওয়া ব্যাটিংয়ে ৩০ রান। যে ইনিংসে মেরেছেন তিনি ৫টি চার।
কিউই পেসার ম্যাট হেনরি ছড়িয়েছেন আতঙ্ক। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো অবতীর্ন হয়ে পেয়েছেন ৬ উইকেট (৬/৩৯)। আর এক পেসার নাথান স্মিথ পেয়েছেন ৩ উইকেট (৩/২০)।
গ্রুপ পর্বের ম্যাচ বাতিল হয়েছিল ভারতের ম্যাচ বয়কটে। তবে এরপর এশিয়া কাপে ভারতের সাথে পাকিস্তানের ম্যাচ নিশ্চিত হওয়ায়, আশা ছিল লেজেন্ডস বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের মধ্যকার ম্যাচ খেলবে দুই দেশ। তবে সেমিফাইনালেও প্রতিবেশী দেশের সাথে ম্যাচ বয়কট করেছে ভারত। ফলে ম্যাচ না খেলেই ফাইনালে চলে গেছে পাকিস্তান।
আগামী বৃহস্পতিবার বার্মিংহ্যামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েনের কারণে গ্রুপ পর্বের পর সেমিতেও পাকিস্তানের সাথে খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ভারত। ফলে সরাসরি ফাইনালে উঠে গেছে পাকিস্তান, যেখানে তারা প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়নস বা দক্ষিণ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়নসকে।
টুর্নামেন্টে ভারত চ্যাম্পিয়নস দলে ছিলেন শিখর ধাওয়ান, সুরেশ রায়না, হরভজন সিং, পিয়ুষ চাওলা, ইরফান পাঠান, ইউসুফ পাঠান ও রবিন উথাপ্পার মতো সাবেক তারকা ক্রিকেটাররা। শুরুতে রাজি হলেও গত ২০ জুলাই শেষ সময়ে গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানান কয়েকজন ক্রিকেটার। এরপর বাতিল হয় ম্যাচটি।
সেই ম্যাচ থেকে উভয় দলই পয়েন্ট ভাগ করে নেয়। গ্রুপ পর্বে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নস সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয়। অন্যদিকে মাত্র ৩ পয়েন্ট পাওয়া ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়নস হয় চতুর্থ।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিলে জম্মু ও কাশ্মীরের পাহালগামে সন্ত্রাসী হামলা ও পরবর্তী সামরিক উত্তেজনার পর দুই দেশের মধ্যকার রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও অবনতির দিকে গেছে। যার প্রভাব পড়ছে ক্রীড়াঙ্গনে।
ওই ঘটনার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারত ও পাকিস্তানের জাতীয় দল এখনও মুখোমুখি হয়নি। সদ্য ঘোষিত এশিয়া কাপের সূচিতে একই গ্রুপে থাকা এই দুই দলের সব মিলিয়ে তিনটি ম্যাচ হওয়ার সম্ভাবনা রাখা হয়েছে। তবে লেজেন্ডস বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনাল ম্যাচও বাতিল হওয়ায় নতুন করে শঙ্কা জাগতে পারে ভারত-পাকিস্তান মহারণ নিয়ে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞা শেষ হতেই ব্রেন্ডন টেলরের জন্য খুলে যাচ্ছে জাতীয় দলের দরজা। আগামী ৭ আগস্ট বুলাওয়েতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টের স্কোয়াডে তাকে যুক্ত করেছে জিম্বাবুয়ে।
২০২১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে হঠাৎ করেই অবসরের ঘোষণা দেন টেলর। এরপর আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী নীতিমালা ভাঙার কারণে ৩৯ বছর বয়সী এই কিপার-ব্যাটারকে নিষিদ্ধ করা হয়। তিন বছর ছয় মাসের সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ২৫ জুলাই।
নিষেধাজ্ঞার সময় জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক টেলর কোনো জাতীয় দল বা ঘরোয়া ক্লাবের সঙ্গে অনুশীলন করতে পারেননি। তবে হারারের একটি বেসরকারি স্কুলের সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করে এই সময়ে তিনি নিজেকে ফিট রাখেন ফের ক্রিকেটে ফেরার আশা নিয়ে।
নিষেধাজ্ঞা শেষের আগে টেলর এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মাদক ও মদাসক্তি কাটিয়ে তিনি আগের চেয়ে অনেক বেশি ফিট অনুভব করছেন।
জিম্বাবুয়ে এরই মধ্যে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই টেস্টের জন্য ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে, যেখানে আছেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার তাফাদজওয়া সিগা। বুধবার থেকে শুরু হওয়া প্রথম টেস্টের একাদশে আছেন তিনি, প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং অর্ডারে তার অবস্থান সাত।
ফলে দ্বিতীয় টেস্টে টেলর যদি দলে আসেন, আর নিজের পুরনো চার নম্বর ব্যাটিং পজিশনে ফেরেন, তাহলে শন উইলিয়ামসসহ অন্যদের এক ধাপ করে নিচে নেমে যেতে হতে পারে।
২০০৪ থেকে ২০২১ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের হয়ে ৩৪টি টেস্ট খেলা টেলর নিষিদ্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত ছিলেন সাদা পোশাকে জিম্বাবুয়ের অন্যতম সেরা ব্যাটার। ৩৬.২৫ গড়ে ৬ সেঞ্চুরি ও ১২ ফিফটিতে করেছেন ২ হাজার ৩২০ রান। শেষবার টেস্ট খেলেছিলেন ২০২১ সালে, ঘরের মাঠে বাংলাদেশের বিপক্ষে।
ভারতের বিপক্ষে চলমান সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্টের আগে বড় ধাক্কাই খেল ইংল্যান্ড। চোটের কারণে শেষ পর্যন্ত ওভাল টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন ব্যাটে-বলে দারুণ ছন্দে থাকা অধিনায়ক বেন স্টোকস। তার পরিবর্তে ওলি পোপ ইংলিশদের নেতৃত্ব দেবেন।
সব মিলিয়ে ম্যানচেস্টারে ড্র হওয়া চতুর্থ টেস্ট থেকে একাদশে মোট চারটি পরিবর্তন এনেছে ইংল্যান্ড। দলে ফিরেছেন ব্যাটিং অলরাউন্ডার জ্যাকব বেথেল এবং তিন পেসার গাস অ্যাটকিনসন, জেমি ওভারটন ও জশ টাং। বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে দুই পেসার জোফরা আর্চার ও ব্রাইডন কার্সকে। আর এক ম্যাচ খেলেই বাদ পড়েছেন জিম্বাবুয়ের বাঁহাতি স্পিনার লিয়াম ডসন।
সিরিজ জুড়ে ইংল্যান্ডের সেরা খেলোয়াড় স্টোকস বল হাতে পার করেছেন দুর্দান্ত সময়। এক সিরিজে করে ফেলেছেন নিজের সর্বোচ্চ ওভার বোলিংয়ের রেকর্ড। ম্যানচেস্টার টেস্টের প্রথম ইনিংসে ফাইফার নেওয়ার পর ব্যাট হাতে করেন শতক। তবে চোট সামলে দ্বিতীয় ইনিংসে করতে পারেন মাত্র ১১ ওভার। সেখানেও কয়েকবার তাকে ব্যাথায় ডান কাঁধ ধরতে দেখা গেছে।
ম্যাচ শেষে অবশ্য জানিয়েছিলেন, ডান হাতের বাইসেপ টেন্ডনে সমস্যা থাকলেও টেস্ট মিস করার সম্ভাবনা খুবই কম। কিন্তু পরে জানা যায়, স্টোকসের চোট গ্রেড থ্রি মাত্রার হওয়ায় পঞ্চম টেস্টে স্পেশালিষ্ট ব্যাটার হিসেবেও খেলা সম্ভব হবে না তার।
স্টোকসের অনুপস্থিতি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা ইংল্যান্ডকে কিছুটা হলেও পিছিয়ে দেবে। সিরিজে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট নিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার। ম্যানচেস্টারে গত দুই বছরে তার প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পাওয়ার পাশাপাশি শেষ দুটি টেস্টেই হয়েছেন ম্যাচ সেরাও। ফলে তাকে ছাড়া একাদশ সাজানো কঠিনই হবে স্বাগতিকদের জন্য।
ডসন বাদ পড়ায় স্টোকসের জায়গায় দলে আসা বেথেল হবেন দলের মূল স্পিনার। আর তার সঙ্গে স্পিন অপশন হিসেবে থাকছেন আরেক ব্যাটার জো রুট। আর পেস আক্রমণের নেতৃত্ব দেবেন অভিজ্ঞ ক্রিস ওকস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেলেন মাইকেল ওয়েন। তরুণ এই ব্যাটার প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া ওয়ানডে দলে। আগামী আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৫০ ওভারের সিরিজের দলে রাখা হয়েছে তাকে।
তিন ম্যাচের এই ওয়ানডে সিরিজে আরও একবার মূল অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে ছাড়াই খেলবে অস্ট্রেলিয়া। তিনি ছাড়াও এই সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে আরেক অভিজ্ঞ পেসার মিচেল স্টার্ককে। ফলে ওয়ানডে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পালন করবেন অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ।
চলতি মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে আগ্রাসী ব্যাটিং দিয়ে নজর কাড়েন ওয়েন। সিরিজে তিনি ১৯২.৩০ স্ট্রাইক রেটে করেন ১২৫ রান। এর মধ্যে রয়েছে রয়েছে এই ফরম্যাটে নিজের অভিষেক ম্যাচেই হাফ-সেঞ্চুরি। ৫০ ওভারের ক্রিকেটেও যে তিনি তিনি কার্যকর হতে পারেন, তার প্রমাণ দিয়েছেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। গত মৌসুমে তাসমানিয়ার হয়ে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেন মাত্র ৬৯ বলে ১৪৯ রানের বিস্ফোরক এক ইনিংস।
কামিন্স ও স্টার্ক না থাকলেও ক্যারিবিয়ানে টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্রাম কাটিয়ে ওয়ানডে দলে ফিরেছেন দুই অভিজ্ঞ জশ হ্যাজলউড ও ট্রাভিস হেড। ২০ ওভারের সিরিজের দলেও আছেন তারা। আর সাইড স্ট্রেইনের চোটের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে খেলতে না পারা ব্যাটার ম্যাট শর্টও ফিরেছেন দলে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট দল থেকে বাদ পড়লেও ওয়ানডে দলে জায়গা করে নিয়েছেন অভিজ্ঞ ব্যাটার মার্নাস লাবুশেন। টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ পড়েছেন জেক ফ্রেজার-মার্কার্ক, অ্যারন হার্ডি, কুপার কনলি ও জেভিয়ার বার্টলেট। অন্যদিকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে থাকা দুই ক্রিকেটার স্টিভ স্মিথ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল অবসর নেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই নেই ওয়ানডের দলে।
অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার টি-টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচগুলো হবে যথাক্রমে আগামী ১০ ও ১২ ও ১৬ আগস্ট। ওয়ানডে সিরিজ চলবে ১৯ আগস্ট থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত।
৮ দিন আগে
১৫ দিন আগে
২৫ দিন আগে
২৬ দিন আগে
২৬ দিন আগে