রোহিত শর্মার টস ভাগ্য অনেকটা সময় ধরেই ভালো যাচ্ছে না। টানা ১৪ ম্যাচ টস হারা ভারত অধিনায়ক আরও একবার হারলেন টসে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের এই ম্যাচে নিউজিল্যান্ড বড় একটা ধাক্কা খেয়েছে ম্যাট হেনরিকে হারিয়ে। সেমিফাইনালে চোটের কারণে এই ম্যাচ মিস করছেন গ্রুপ পর্বে ভারতের বিপক্ষে ৫ উইকেট সহ আসরে মোট ১০ উইকেট নেওয়া এই পেসার।
ফলে তার জায়গায় একাদশে [পেসার ন্যাথান স্মিথকে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ভারত নেমেছে আগের দুই ম্যাচের অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই।
ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টায়, ম্যাচটি সরাসরি দেখতে চোখ রাখুন টি স্পোর্টসের পর্দায়।
ভারত একাদশ :
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুবমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়া, আকসার প্যাটেল, রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ ইয়াদাভ, মোহাম্মদ শামি, ভারুণ চক্রবর্তী।
নিউজিল্যান্ড একাদশ :
উইল ইয়ং, রাচিন রবীন্দ্র, কেন উইলিয়ামসন, টম লাথাম, ড্যারিল মিচেল, গ্লেন ফিলিপস, মাইকেল ব্রেসওয়েল, মিচেল স্যান্টনার (অধিনায়ক), কাইল জেমিসন, উইলিয়াম ও’রউর্কে, ন্যাথান স্মিথ
৯ মার্চ ২০২৫, ১১:৩৮ পিএম
গত বছরও ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) শুরুর ঠিক আগে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। টানা দ্বিতীয় বছর একই কাজ করলেন হ্যারি ব্রুক। ইংল্যান্ডের এই তরুণ ব্যাটার এই বছরের আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর এটি তাকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে আইপিএলে অংশ নেওয়া থেকে ভবিষ্যৎ নিষেধাজ্ঞার দিকে।
আইপিএল বা দিল্লি ফ্র্যাঞ্চাইজির পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। তবে রোববার রাতে এক্স প্ল্যাটফর্মে বিবৃতি দিয়ে ব্রুক জানিয়ে দেন তার না খেলার বিষয়টি। ফলে সম্ভাবনা জেগেছে ইংলিশ ক্রিকেটারের নিষিদ্ধ হওয়ার।
গত বছরের মেগা নিলামের সময় বিদেশী খেলোয়াড়দের ব্যাপারে নিজেদের শক্ত অবস্থান জানিয়ে দিয়েছিল আইপিএল। তাতে নিলামে দল পাওয়া খেলোয়াড়দের মধ্যে কেউ যদি আসর শুরুর আগে নিজেকে সরিয়ে নেন, তাহলে তাকে দুই বছরের জন্য নিলামে অংশ নেওয়া বা খেলা থেকে নিষিদ্ধ করার নিয়ম জারি করা হয়।
ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো তাদের প্রতিবেদনে দাবি করেছে, ব্রুকের আসছে আসর থেকে নিজের নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তটি গত সপ্তাহে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে জানানো হয়েছিল। এরপর সেটা তার দল দিল্লি ক্যাপিটালসকে বলা হয়েছে, যারা গত নভেম্বরে আইপিএল মেগা নিলামে ব্রুককে ৬.২৫ কোটি রুপি দিয়ে কিনেছিল।
বিবৃতিতে ব্রুক বলেছেন, তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ব্যস্ততম সময় পার করার পর প্রাণশক্তি ফিরে পাওয়ার জন্য তার সময় প্রয়োজন।
“আমি আসছে আইপিএল থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করার খুব কঠিন একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি দিল্লি ক্যাপিটালস এবং তাদের সমর্থকদের কাছে নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চাইছি।”
গত বছর ব্রুক আইপিএল শুরুর মাত্র ১০ দিন আগে তার অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান দিল্লিকে। সেবার পারিবারিক কারণ হলেও এবার ধারণা করা হচ্ছে যে, তার ইংল্যান্ডের ওয়ানডে অধিনায়ক হওয়ার সম্ভাবনা এতে ভূমিকা রেখেছে।
অনেকটা সময় ধরেই তিনটি ভিন্ন ভিন্ন ফরম্যাটের জন্য তিনটি প্রায় আলাদা দল তৈরি করতে পারছে ভারত। দেশটির পাইপলাইন এতোটাই সমৃদ্ধ যে, ইয়াশাশভি জয়সওয়ালের মত তরুণ প্রতিভার জায়গাই হয় না ভারতের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে। রিশাভ পান্ত, জাসপ্রিত বুমরাহদের ছাড়াই দলটি জিতেছে শিরোপা। দলে তরুণদের জয়গান দেখে বিরাট কোহলির বিশ্বাস, আরও লম্বা সময় বিশ্ব ক্রিকেটে রাজত্বের জন্য প্রস্তুত ভারত।
কোহলির এমন বিশ্বাসের পেছনে বড় ভিত ভারতের একের পর এক তরুণ প্রজন্মের উঠে আসা। আইপিএলের পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যান্য প্রতিযোগিতা প্রতি বছর উপহার দিচ্ছে দুর্দান্ত সব প্রতিভা। শুবমান গিল, শ্রেয়াস আইয়ার, পান্ত, জয়সওয়াল, আকসার প্যাটেলদের মত তরুণদের সাথে আছেন আরও বেশ কয়েক বছর সার্ভিস দেওয়ার মত ক্রিকেটার লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়ারা।
সব মিলিয়ে তাই ভারতীয় ক্রিকেটের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎই দেখছেন ভারতের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটার কোহলি।
“আপনি যখন চলে যাবেন, তখন আপনি দলকে আরও ভালো জায়গায় রেখে যেতে চাইবেন। আমার মনে হয় আমাদের এমন একটি দল আছে, যারা আগামী আট বছর ধরে বিশ্ব শাসন করার জন্য প্রস্তুত।”
ভারতের এই দলে তরুণদের পথ চেনানোর জন্য আছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা, কোহলি, রবীন্দ্র জাদেজার মত অভিজ্ঞরা। গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর তিনজনই এই ফরম্যাট থেকে অবসর নেন তিনজনই। তবে ওয়ানডেতে সবাই খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন এখনও।
কোহলি মনে করেন, তরুণদের সাথে অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করার কাজটাও তাদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
“ড্রেসিংরুমে অনেক প্রতিভা আছে। তারা নিজেদের খেলাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে এবং আমরা (সিনিয়ররা) তাদের সাহায্য করতে পেরে খুশি। আমাদের তাদের সাথে অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিচ্ছি। আর এটাই এই ভারতীয় দলকে এতোটা শক্তিশালী করে তুলেছে।”
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের আগে জোর গুঞ্জন ছিল, ফাইনালের পর ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিতে পারেন রোহিত শর্মা। তবে ভারতকে শিরোপা জেতানোর পর তেমনন কিছু বলেননি দলটির অধিনায়ক। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার বরং বললেন, অবসর নিয়ে তার কোনো চিন্তাই নেই এখন।
রোহিতের বয়স এখন ৩৭। ২০২৭ বিশ্বকাপের সময় যা দাঁড়াবে ৩৯-এ। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দিয়ে তার এই ফরম্যাটকে বিদায় জানানোর সম্ভাবনা দেখছিলেন অনেকেই। ২০২৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ২০ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান রোহিত। সাম্প্রতিক সময়ে ফর্ম ভালো না থাকায় তাই সম্ভাবনা জেগেছিল ৫০ ওভারের ক্রিকেট থেকে অবসরের।
তবে নিউজিল্যান্ডকে ফাইনালে হারিয়ে সংবাদ সম্মেলনে রোহিত উড়িয়ে দিয়েছেন সব গুজব। “আমি এই ফরম্যাট থেকে অবসর নিচ্ছি না। গুঞ্জগুলো যেন আরও ছড়িয়ে না পড়ে সেটা নিশ্চিত করতেই এটা বললাম।”
মাহেন্দ্রা সিং ধোনির পর ভারতের ইতিহাসে সাদা বলের ক্রিকেটে এখন সবচেয়ে বেশি সফল অধিনায়ক রোহিতই। তার সময়ে দলটি জিতেছে একটি টি-টোয়েন্টি ও এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। সাথে রয়েছে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে রানার্সআপ হওয়া। এছাড়াও রয়েছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলাও।
রোহিত তাই তার অবসর নিয়ে আপাতত চিন্তার ফুরসত পাচ্ছেন না। “দেখা যাক সামনে কী হয়। অপরাজিত থেকে দুটি আইসিসি ট্রফি জেতা একটি দুর্দান্ত দলগত অর্জন। আমি খুব কম দলই দেখেছি যারা দুটি টুর্নামেন্ট অপরাজিত থেকে জিতেছে। আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল এখানে (দুবাই) এসে প্রস্তুতি নেওয়া এবং প্রতিপক্ষকে মোকাবেলা করা। আমরা ভিন্ন ভিন্ন পরিস্থিতি ভালোভাবে সামলেছি এবং জিতেছি। ভবিষ্যতের পরিকল্পনা... আসলে ভবিষ্যতের কোনো পরিকল্পনা নেই, যেটা যেভাবে চলছে সেভাবেই চলছে।”
সদ্য সমাপ্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পুরো আসরে ফিফটি না পাওয়া রোহিত চেনা ছন্দে হাজির হন ফাইনালে। ২৫২ রান তাড়ায় খেলেন ৭৬ রানের ইনিংস, যা তার দলকে ৪ উইকেটে জিততে রাখে বড় অবদান।
গ্রুপ পর্বে দুই দলের সাক্ষাতে শেষ হাসি ছিল ভারতের। তবে এরপর ফাইনালে দুই দলের লড়াইয়ের আগে নিউজিল্যান্ড পাড়ি দেয় কঠিন সব চ্যালেঞ্জ। সীমিত সামর্থ্য নিয়েই দলটি উপহার দেয় দুর্দান্ত সব পারফরম্যান্স। তবে শিরোপার লড়াইয়ে রোহিত শর্মার দলের সাথে জোর লড়াই করলেও আর পেরে ওঠেনি ব্ল্যাক ক্যাপসরা। হারের হতাশা থাকলেও অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার মেনে নিয়েছেন, যোগ্য দলই জিতেছে ফাইনালে।
গ্রুপ পর্বের ম্যাচে সেভাবে লড়াই জমাতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। ফাইনালে ২৫১ রান করার পরও চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারতের ওপেনিং জুটিতে ১০৫ রানে। তবে ১৫ রানে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচে ফেরার আভাস দেওয়া দলটি ম্যাচে জাগায় বেশ রোমাঞ্চ। তবে শেষ পর্যন্ত নার্ভ ধরে রেখে ৬ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় ভারত।
স্যান্টনারের আক্ষেপ তাই বোর্ডে যথেষ্ট রান থাকার। “এটা একটা ভালো টুর্নামেন্ট ছিল। চলার পথে আমাদের কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। আমরা দল হিসেবে আমরা সেটা সামাল দিয়ে বেড়ে উঠেছি। আজকে আমরা সেরা দলের কাছেই হেরেছি। আমরা যেমনটা চেয়েছিলাম, বোর্ডে তার চেয়ে ২০–২৫ রান কম ছিল।”
অপরাজিত থেকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ভারতের কাছে হেরে রানার্সআপ হলেও দল হিসেবে নিউজিল্যান্ডের রয়েছে ভালো কিছু অর্জন। চার ম্যাচে দুই সেঞ্চুরিতে ২৬৩ রান করা রাচিন রবীন্দ্র হয়েছেন টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের খেতাব। সর্বোচ্চ রানস্কোরারও তিনি। ফাইনাল মিস করা পেসার ম্যাট হেনরি নিয়েছেন আসরের সর্বোচ্চ ১০ উইকেট। আসরে এক ফিফটি ও এক সেঞ্চুরি করেছেন অভিজ্ঞ কেন উইলিয়ামসন।
তবে ফাইনালে ভারতের শক্তিশালী স্পিনের সামনে পেরে ওঠেনি নিউজিল্যান্ড। স্যান্টনারের প্রশংসা তাই পাচ্ছে প্রতিপক্ষ শিবির। “সবাই টুর্নামেন্টে যথাসাধ্য অবদান রেখেছে এবং ভিন্ন ভিন্ন সময়ে জ্বলে উঠেছে। আমাদের বোলিংটা ভালো ছিল। (ব্যাটিংয়ে) আমরা পাওয়ারপ্লের পর আমরা কয়েকটি উইকেট হারিয়েছি, আরা তারা আমাদের চেপে ধরেছে। তাদের স্পিনাররা যেভাবে বোলিং করেছে, তাদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। তারা বিশ্বমানের বোলার।”
সাদা বলের ক্রিকেটে ওপেনার হিসেবে পুরো ক্যারিয়ারে করেছেন এক ধাঁচের ব্যাটিং। সেই রোহিত শর্মা গত কয়েক বছরে নিজের ব্যাটিং বদলে ফেলেছেন একেবারেই। ইনিংসের শুরু থেকেই পিঞ্চ হিটিং করে চাপে ফেলছেন প্রতিপক্ষকে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দলকে শিরোপা জেতানোর পথে ফাইনালে খেলেছেন মারমুখী এক ফিফটি। ভারত অধিনায়ক জানালেন, দলের ভালো জন্যই তার এই বদলে যাওয়া।
আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারত খেলেছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে। সেদিন রান তাড়ায় প্রায় একশ স্ট্রাইক রেটে খেলেন ৪১ রানের ইনিংস। এরপর ফাইনালের আগে উপহার ছোট তবে কার্যকর কয়েকটি ক্যামিও ইনিংস। আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনালে স্লো উইকেটে রান তাড়ায় তার ব্যাট থেকে আসে ৮৩ বলে ৭৬ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস। ভারত ২৫১ রান তাড়ায় ম্যাচ জেতে ৪ উইকেট হাতে রেখেই।
ফাইনালের ম্যাচ সেরার খেতাব জিতে রোহিত বললেন, তার এমন ব্যাটিং দলকে বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে বলেই মনে হচ্ছে তার।
“এটা আমার জন্য স্বাভাবিক ব্যাটিং নয়। তবে এটা এমন কিছু, যা আমি সত্যিই দলের জন্য করতে চেয়েছি। আপনি যখন ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করেন, তখন আপনার দলের সমর্থনের প্রয়োজন হয়। ২০২৩ বিশ্বকাপে রাহুল (দ্রাবিড়) ভাই এবং এখন গৌতি (গৌতম গম্ভীর) ভাইয়ের কাছ থেকে আমি সেটা পেয়েছি। আমি এত বছর ধরে একটা ভিন্ন স্টাইলে খেলেছি। তাই আমি দেখতে চেয়েছিলাম আমরা একটু ভিন্নভাবে খেলে ফলাফল পেতে পারি কিনা।”
রোহিতের এমন ব্যাটিংয়ের পেছনে বড় একটা ফ্যাক্টর হতে পারে ছয় নম্বর পজিশনে লোকেশ রাহুলের উপস্থিতি। ডানহাতি এই ব্যাটার টুর্নামেন্টে খেলেছেন ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ইনিংস। সেমিফাইনালের পর ফাইনালেও মাঠ ছেড়েছেন দলকে জিতিয়েই। এছাড়া ভারতের অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে বড় অবদান রেখেছেন দলটির চার স্পিনাররা।
রাহুলের পাশাপাশি স্পিনারদেরও তাই আলাদা প্রশংসা করেছেন ভারত অধিনায়ক।
“শুধু এই ম্যাচেই নয়, এই ধরণের উইকেটে খেলা হয়েছে বলেই আমাদের স্পিনারদের কাছ থেকে অনেক আশা ছিল আর তারা ডেলিভারও করেছে, আমরা তাদের শক্তির জায়গাকে আমাদের সুবিধা হিসেবে কাজে লাগিয়েছি। রাহুল অনেক স্থির চিন্তার ক্রিকেটার। কখনই চাপের মুখে ভেঙে পড়ে না। আর এই কারণেই আমরা তাকে মিডল অর্ডারে রাখতে চেয়েছি। কারন সে পরিস্থিতি অনুযায়ী সঠিক শট খেলে আর অন্য ব্যাটারদের ওপর চাপও কমিয়ে দেয়।”
১ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৭ দিন আগে
৮ দিন আগে
১২ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৬ দিন আগে
১৭ দিন আগে
১৮ দিন আগে
১৮ দিন আগে
১৯ দিন আগে
১৯ দিন আগে
২৯ দিন আগে
২৯ দিন আগে