১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭:৪৭ পিএম
কয়েক বছর আগেও চিত্রটা বেশ মলিন হলেও এই মূহুর্তে বাংলাদেশের ঘরোয়া লিগ বেশ ভালো অবস্থাতেই আছে। জাতীয় ক্রিকেট লিগ, যেটিকে একসময় 'পিকনিক লিগ' বলা হত, সেটিও সামগ্রিকভাবে অনেক উন্নতি করেছে। তবে এই লিগকে যে তকমাটা দেওয়া হয়েছিল একটা সময়ে, তা এখনও পোড়ায় জাকের আলি অনিককে। প্রতিটি রানের জন্য সংগ্রাম করা এই প্রতিযোগিতায় ক্রিকেটারদের নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা তাকে ভীষণ কষ্ট দেয় বলেও জানিয়েছেন তরুণ এই কিপার-ব্যাটার। তবে প্রশ্ন তো থেকেই যায়, ঘরোয়াতে ভালো করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তা প্রতিফলিত করতে পারবেন জাকেররা?
একটা সময় ধরে জাতীয় লিগকে পিকনিক লিগ বলার কারণ ছিল কয়েকটিই৷ এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ক্রিকেটের মান, প্রতিদ্বন্দ্বিতার অভাব, কম পারিশ্রমিক, অস্বাস্থ্যকর খাবার ও কিছু ক্ষেত্রে খেলোয়াড়দের নিবেদনের ঘাটতির মত গুরুতর কিছু বিষয়। একবার এমন খবরও এসেছিল যে, ম্যাচ চলাকালীন খেলোয়াড়রা নাকি বিরিয়ানি খান! স্বাভাবিকভাবেই এসব ব্যাপার যখন সামনে চলে আসে, সেই লিগকে মজা করে কেউ কেউ এটিকে পিকনিক লিগ নাম দিয়ে দেন। পরে সেটাই পেয়ে যায় ব্যাপ্তি।
এখন অবশ্য জাতীয় লিগকে নিয়ে কেউ আর এসব বলেন না। তবে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট দলে ডাক পাওয়া জাকের আলি হুট করেই সেই পিকনিক লিগ নামকরণ নিয়ে একরাশ হতাশা প্রকাশ করে ফিরিয়ে এনেছেন পুরনো স্মৃতি৷ “প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমার খুবই কষ্ট লাগে যখন দেখি অনেকে বলে যে, এটা পিকনিক ক্রিকেট। এই জিনিসটা খুব কষ্ট লাগে। আমরা জানি, আমরা ক্রিকেটার হিসেবে কতোটা কষ্ট করে খেলি। তাই দয়া করে এই কথাগুলো বলবেন না। আমি এই কথায় খুব দুঃখ পাই। আমি ২০১৭ সাল থেকে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলি। আমি জানি, আমার কতটা কষ্ট হয়। একেকটা রান করতে আমার কতটা কষ্ট হয়েছে। সবার কাছে অনুরোধ থাকবে। ক্রিকেটার হিসেবে আমরা অনেক কষ্ট করি।”
জাকেরের হতাশ হওয়াটা অবশ্য যৌক্তিকও বটে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দিয়ে রাতারাতি দেশের ক্রিকেটে সেনসেশন হয়ে গেলেও লাল বলের ক্রিকেটে তিনি বেশ সফল। ২০১৬-১৭ মৌসুমে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় তার। তবে আলো ছড়াচ্ছেন মূলত গত কয়েক বছর ধরে। ২০২২ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) টানা তিন ইনিংসে সেঞ্চুরি করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন।
২০২১ সালের শুরু করে এখন পর্যন্ত প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ৪৮ ইনিংসে ব্যাট করেছেন জাকের। চার সেঞ্চুরি ও ১৩ ফিফটিতে ৪৬.৭৯ গড়ে করেছে ১ হাজার ৯৬৫ রান। বাংলাদেশের বাস্তবতায় একজন কিপার-ব্যাটার হিসেবে পরিসংখ্যানটা ঈর্ষণীয়ই। সেই ধারায় গত মাসে বাংলাদেশ 'এ' দলের হয়ে পাকিস্তান ‘এ’ দলের বিপক্ষে ক্যারিয়ার সেরা ১৭২ রানের ইনিংস খেলে এবার ডাক পেয়েছেন ভারত সিরিজের টেস্ট দলে।
বলার অপেক্ষা রাখে না, সাড়ে সাড়ে সাত বছরের বেশি সময় প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে খেলে, যথেষ্ট অভিজ্ঞতা অর্জন করেই টেস্ট দলে এসেছেন জাকের। তবে তিনি যে বিষয়টি নিয়ে আক্ষেপ করলেন, তা নিয়ে বিস্তর আলোচনার আগে জাকেরদের তো এটাও মনে রাখা উচিত, কেন জাতীয় লিগকে এই নাম দেওয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে জাকেরের চেয়েও বেশি সময় খেলে, অভিজ্ঞ হয়ে, প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে রানের পর রান করে জাতীয় দলে এসেছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। ছিলেন ২০১৯ বিশ্বকাপের দলেও। খেলেছেন অন্য দুই ফরম্যাটেও। বিক্ষিপ্ত কিছু ইনিংস ছাড়া সেভাবে কখনই ধারাবাহিক হতে পারেননি। এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সাথে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার অনেক তফাৎ। এই পর্যায়ে রান করা কঠিন, কারণ বোলাররা বাজে বল কম দেন।
মিঠুনের সেই সরল স্বীকারোক্তি নিয়ে সেই সময়ে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। তবে সাহসী সেই মন্ত্যবের জন্য তাকে বরং বাহবা দেওয়া উচিত। কারণ, মিঠুন বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটের কঠিন বাস্তবতাই তুলে ধরেছেন। যা বলে দেয়, ঘরোয়াতে নিজেকে প্রমাণ করে জাতীয় দলে খেলোয়াড়দের প্রবেশের যে চর্চিত কথা আমরা বলি, সেখানে শুভঙ্করের ফাঁকি থেকেই যায়।
মিঠুন ছাড়াও বার বার তার প্রমাণ দেখিয়েছেন আরও অনেকেই। যেমন ফজলে হক রাব্বি। তিনিও ঘরোয়াতে নিজেকে প্রমাণ করেই এসেছিলেন জাতীয় দলে। তবে জিম্বাবুয়ের সাথে একটি সিরিজে তার নিদারুণ ব্যর্থতা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের দুর্বলতার দিকগুলো।
জাতীয় লিগ বাদে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের কথাও যদি ধরা হয়, চিত্রটা একই। আনামুল হক বিজয় বা নাঈম শেখরা রানের ফোয়ারা বইয়ে দেন রীতিমত। তবে সেই ফর্ম দেখে জাতীয় দলে যখনই তাদের ডাকা হয়, তখন ফুটে ওঠে তাদের নানা দুর্বলতা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চতুর বোলাররা সেট-আপ করে অনায়াসেই তাদের ফেলে দেন। যেহেতু ঘরোয়াতে বোলাররা এমন কিছু করেননা, ফলে শীর্ষ বোলারদের স্কিলের পাশাপাশি মানসিক লড়াইয়েও আমাদের ঘরোয়ার পরীক্ষিত ব্যাটাররা খাবি খান।
তবে প্রসঙ্গ যেহেতু চারদিনের ম্যাচ, তাই জাকের আলি যে আক্ষেপ করেছেন সেই পিকনিক লিগ নামকরণ নিয়ে, তাই সেই কষ্ট নিজের পাশাপাশি সবাইকে ভুলিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব এখন তারই। আজ হোক বা কাল, জাকের যখনই টেস্ট খেলার সুযোগ পাবেন, তাকে মাঠের পারফরম্যান্স দিয়েই প্রমাণ করতে হবে যে তিনি ঘরোয়াতে পিকনিক লিগে রান করেননি। প্রমাণ করতে হবে তিনি শতভাগ সিরিয়াস লিগে রান করেছেন, নিজেকে নিঙরে দিয়েছেন, নিবেদনের কোনো ঘাটতি রাখেনি। সংবাদ সম্মেলনে মুখের কথা নয়, ব্যাটে রান দিয়ে তখন এক ফুঁৎকারে সব উড়িয়ে দিতে পারবেন জাকের। সুযোগ ভারত সিরিজে না এলেও পরবর্তীতে পাবেন অবশ্যই। তখন ব্যাট হাতে জাতীয় লিগের মান উজ্জ্বল করতে পারবেন তো জাকের?
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩:০২ এম
২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১:৫২ এম
প্রথম দিনের প্রথম দুই সেশনে ভারতকে চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ, তাতে এক পর্যায়ে আশা জেগেছিল দলটিকে ২০০ রানের মধ্যেই আটকে দেওয়ার। তবে শেষের দিকের ব্যাটারদের নৈপুণ্যে সেটা আর সম্ভব হয়নি। ভারত পেয়ে যায় বেশ ভালো একটা স্কোর। দ্বিতীয় দিন শেষে ব্যাকফুটে গিয়ে তাসকিন আহমেদের তাই আক্ষেপ, যদি ভারতকে আরও কমে গুটিয়ে দেওয়া যেত।
হাসান মাহমুদের দুর্দান্ত স্পেলে চা বিরতির আগে ভারতের স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ১৪৪। তবে সেই আগ্রাসন আর ধরে রাখতে পারেনি তাসকিন-হাসান-নাহিদরা। আটে নেমে সেঞ্চুরি করে বসেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন। রবীন্দ্র জাদেজা নিয়ে গড়েন ১৯৯ রানের জুটি। যা ভারতকে এনে দেয় ৩৭৬ রানের স্কোর, যা এই উইকেটে বেশ শক্তিশালী রান বলেই প্রমাণিত হচ্ছে।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাসকিন অকপটে স্বীকার করে নেন প্রথম ইনিংসের দ্বিতীয় ভাগে তাদের ব্যর্থতা। “হোম বা অ্যাওয়ে, ভারত কিন্তু সবসময় শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। ঘরের মাঠে সবাই এডভান্টেজ নেয়। সামনে আমাদের হোম সিরিজ আছে, আমরাও হয়ত তখন এভাবে আধিপাত্য দেখাব ইনশাআল্লাহ। আমাদের (প্রথম ইনিংসে) আরও আগে ওদের অলআউট করা উচিৎ ছিল। আমরাও আপ টু দ্যা মার্ক বল করতে পারিনি, বিশেষ করে (প্রথম দিন) চা বিরতির পর। সাড়ে তিনশতে (৩৭৬) আটকে দিয়েছি, আড়াইশতে অলআউট করা উচিৎ ছিল। আমরা মেনে নিচ্ছি, সামর্থ্য অনুযায়ী ভালো করতে পারিনি।”
ভারতের বিপক্ষে এই সিরিজের আগে থেকেই বাংলাদেশ দলে আলোচনায় ছিল এসজি বলে খেলার বিষয়টি। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত অবশ্য স্পষ্ট বলে দিয়েছিলেন, তারা এসজি বলে যে প্রস্তুতি নিয়েছেন সেটাই যথেষ্ট এবং তারা প্রস্তুত। তবে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ দল ভারতের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি। ৪০ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর টেনেটুনে করতে পারে মোটে ১৪৯ রান।
তাসকিন বলেছেন, এসজি বলে নিয়মিত খেলার বাড়তি একটা সুবিধা পেয়েছে ভারত। “পাকিস্তান সিরিজে কিন্তু আমরা ব্যাটিং-বোলিং সব জায়গাতেই ভালো করেই জিতেছি। আসলে টেস্ট ক্রিকেটটাই এমন, সেশন বাই সেশন ভালো করতে হয়। এখানে একটু চ্যালেঞ্জিং কন্ডিশন, আবার এসজি বলে খেলা। বলের কারণে এখানে ওরা একটু বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে। ছোট বেলা থেকে এসজি বলে খেলছে, এই বল নিয়ে তাই ওরা আমাদের চেয়ে ভালো জানে। আমরা প্রথমে সংগ্রাম করেছি, তাও ভালো ব্যাটিং করতে পারতাম। ব্যাটাররাও সেটা মানে। নতুন বলে একটু ভালো খেললে এতগুলো উইকেট যেত না। মিডল অর্ডারের জন্য নতুন বল চ্যালেঞ্জিং এখানে।”
দ্বিতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত করেছে ৩ উইকেটে ৮১ রান, আর লিড ৩০৮ রানের।
প্রথন দিন এক পর্যায়ে বেশ চাপে থাকা ভারত দিনের শেষেই বসেছিল চালকের আসনে। বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতায় দ্বিতীয় দিন শেষেই বড় জয়ের সুবাস পাচ্ছে স্বাগতিকরা। এখনও তিন দিন বাকি থাকায় দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের সামনে রয়েছে লম্বা সময় ব্যাট করার সুযোগ। তবে জাদেজা মনে করেছেন, আরও ১২০ থেকে ১৫০ রান যোগ করতে পারলেই সেটা তাদের জয়ের জন্য যথেষ্ট হবে।
প্রথম দিনে ১৪৪ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা ভারতকে পথে ফেরান জাদেজা ও রবীচন্দ্রন অশ্বিন জুটি। রেকর্ড গড়ে তারা সপ্তম উইকেটে যোগ করেন ১৯৯ রান। এতে ভর করে ভারত প্রথম ইনিংস পায় ৩৭৬ রানের স্কোর। জবাবে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় মাত্র ১৪৯ রানে। দ্বিতীয় দিন শেষে সাত উইকেট হাতে নিয়ে ৮১ করা ভারতের লিড এখন ৩০৮ রানের। প্রথম দুই দিনেই রাজত্ব করেছেন পেসাররা।
দিনের খেলা শেষে জাদেজা বলেছেন, টেস্টের বাকি অংশেও চিত্রটা একই থাকবে। “এখন আমাদের দ্বিতীয় ইনিংসে বোর্ডে ভালো রান রাখতে হবে। প্রথমে আমাদের খুব ভালো ব্যাট করতে হবে, এখান থেকে আর ১২০ থেকে ১৫০ রান করতে হবে। সেটা হলেই আমরা ভালো অবস্থানে থাকব। এরপর বল করব এবং চেষ্টা করব যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের আউট করার। (উইকেট) ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভালো, কিন্তু ফাস্ট বোলারদের জন্য উইকেটে এখনও অনেক কিছুই আছে। ব্যাটারদের জন্য কাজটা এতোটা সহজ নয়। ফাস্ট বোলাররা যদি তাদের সেরাটা উজাড় করে দেয়, তাহলে তারা উইকেটে থেকে কিছু আদায় করে নিতে পারে।”
জাদেজা এই টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন ২৯৪ উইকেট নিয়ে। প্রথম ইনিংসে নিয়েছেন দুই উইকেট। অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার দ্বিতীয় ইনিংসেই ৩০০ উইকেটে শিকার করার ব্যাপারে বেশ আশাবাদী। “আমি আজ যেভাবে বোলিং করেছি, আমি আমার বোলিং নিয়ে খুব খুশি। এই মাঠে ৩০০তম উইকেট নেওয়ার এটি একটি ভালো সুযোগ।”
সেই গত ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে একটা লম্বা সময় সাকিব আল হাসানকে যেতে হয়েছে চোখের সমস্যা নিয়ে। সেটার প্রভাবে নানা সময়েই তাকে ব্যাটিং করতে দেখা গেছে নানা রকম পজিশনে দাঁড়িয়ে। হেড পজিশন ঠিক রাখতেই মূলত সাকিবকে নিতে হয়েছে নানা পদক্ষেপ। চলমান চেন্নাই টেস্টেও দেখা মিলেছে অভিনব এক ঘটনা। হেলমেটের ভেতর একটি স্ট্র্যাপ কামড়ে ব্যাটিং করেন সাকিব। স্বাভাবিকভাবেই তা জন্ম দিচ্ছে নানা প্রশ্নের।
সাকিবের চোখের সমস্যা অনেক আগেই সেরে গেছে বলে তিনি নিজেই জানিয়েছেন। তবে হেড পজিশন নিয়ে সংগ্রাম যেন কোনোভাবেই শেষ হচ্ছে না। অনেকবারই দেখা গেছে, ব্যাটিংয়ের সময় সাকিবের মাথা থাকছে এক জায়গায়, বলের দিকে তাকাচ্ছেন আড়চোখে আর বল আবার পিচ করছে অন্যদিকে। এসবের প্রভাবে গত এক বছর ধরে ব্যাট হাতে সব ফরম্যাটেই সাবেক এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে যেতে হচ্ছে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে।
চেন্নাই টেস্টে সেটা কাটানোর চেষ্টায় সাকিব ব্যাট করতে নামেন নতুন উপায় অবলম্বন করে। হেলমেটের ভেতর থাকা একটি স্ট্র্যাপ কামড়ে পুরো ইনিংস জুড়েই ব্যাটিং চালিয়ে যান তিনি৷ বিস্ময়কর এই ব্যাটিং টেকনিক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভালোই আলোচনা হচ্ছে। এটা নিছকই সাজিবের অভ্যাস নাকি চাপের পরিস্থিতিতে ফোকাসের ধরে রাখার প্রচেষ্টা, তা নিয়েও চলছে চর্চা।
ধারাভাষ্যকারদের মধ্যেও সাকিবের এই স্ট্র্যাপ কামড়ে ব্যাটিং নিয়ে মনে জেগেছে প্রশ্ন। এই সিরিজে ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করা তামিম ইকবালের কাছে এই ব্যাপারে তাই জানতে চেয়েছিলেন সাবেক ভারত উইকেটরক্ষক-ব্যাটার দিনেশ কার্তিক। নিজের জায়গা থেকে তামিম ধারণা দিয়েছেন এই ব্যাপারে।
কার্তিকের মতে, তামিম তাকে বলেছেন এই স্ট্র্যাপটি সাকিবের হেড পজিশন ঠিক রাখতে সাহায্য করছে। এটা সাকিবকে নিশ্চিত করতে সাহায্য করে যে, তার হেড পজিশন ও শটের সময় তার মাথা লেগ সাইডের দিকে না চলে যায়। স্ট্র্যাপটির টান, যা তার হেলমেটে বাঁধা, সাকিবকে একটা ধারণা দেয় যে মাথা খুব বেশি কাত হতে যাচ্ছে। আর এটা তাকে ক্রিজে আরও ভালো ভারসাম্য এবং নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে সাহায্য করে।
সাকিবের অভিনব এই কৌশল বেশ কিছুটা কাজে লেগেছিল তার ব্যাটিংয়েও। ৩৬ রানে চার উইকেট হারানোর পর নেমে চাপের মুখে কয়েকটি ভালো শটে খেলেন ৩২ রানের ইনিংস, যা ১৪৯ রানে অলআউট হওয়া বাংলাদেশের ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোর।
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
১০ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
১০ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
১০ দিন আগে
২ দিন আগে
২ দিন আগে
৩ দিন আগে
৫ দিন আগে
৬ দিন আগে
৮ দিন আগে
১০ দিন আগে