১০ বছর পর পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের উৎসবকে হোয়াইট ওয়াশের উৎসবে রূপ দেয়ার অপেক্ষায় ছিলেন বাংলাদেশ সমর্থকরা। ভেন্যুটা মিরপুর বলেই এমন স্বপ্ন দেখেছে দর্শক। টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচকে সামনে রেখে ১০ বছর আগে এই ভেন্যুতে পাকিস্তানকে ওডিআই সিরিজে হোয়াইট ওয়াশের ছবিটাও ভেসে উঠেছে বাংলাদেশ সমর্থকদের চোখে। তবে সিরিজ জয়ের উৎসব শেষ ম্যাচে ম্লান করেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড সভাপতির উপস্থিতিতে ৭৪ রানের সান্ত্বনা নিয়ে দেশে ফেরার উপলক্ষ্য পেয়েছে পাকিস্তান।
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ছিল না টি-টোয়েন্টির উত্তাপ। প্রথম ম্যাচে ইনিংস টেনেটুনে ১১০ পর্যন্ত নিতে পেরেছে সফরকারী দলটি। দ্বিতীয় ম্যাচে ১৩৪ রানের চ্যালেঞ্জে থেমেছে পাকিস্তান ১২৫-এ। উইকেট নিয়ে পাকিস্তান কোচ মাইক হেসনের অসন্তুষ্টি প্রকাশের কোনো সুযোগ শেষ ম্যাচে দেননি কিউরেটর গামিনি সিলভা। ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি পিচ উপহার পেয়ে সিরিজের শেষ ম্যাচে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) সভাপতি স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকায় তাকে সন্তুষ্ট করতে প্রানান্ত চেষ্টা করেছে পাকিস্তান টপ অর্ডাররা। টি-টোয়েন্টির উত্তাপ দিয়ে স্কোর টেনে নিয়েছে ১৭৮/৭ পর্যন্ত।
টানা দুই জয়ে সিরিজের ট্রফি নিশ্চিত করেই যেনো মহাখুশি বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। সাইড বেঞ্চের শক্তি এদিন পরখ করতে সিরিজের শেষ ম্যাচে ৫ পরিবর্তনে প্রকারান্তরে তা জানিয়ে দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। মিরাজকে ফিরিয়ে আনার সুফল এদিন বোলিংয়ে পাওয়া যায়নি। শ্রীলঙ্কা সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে মিতব্যয়ী বোলিং থেকে এদিন টনিক নিতে পারেননি। এক ওভারে (১-০-১৪-০) থেমেছে তার বোলিং। আর এক অফ স্পিনার শেখ মেহেদীও এদিন ছিলেন অকার্যকর (৩-০-৩৬-০)। সাইফউদ্দিনের প্রত্যবর্তনটা এদিন ছিল চোখে পড়ার মতো। ১ ওভারের শেষ স্পেলটি ছিল খরুচে (১-০-১৯-০)। তবে তার প্রথম তিন স্পেল (১-০-৬-০, ১-০-২-০ ও ১-০-১-১) ছিল দারুণ মিতব্যয়ী। দুই বছর পর টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন ম্যাচে দারুণ বোলিং করেছেন বাঁ হাতি স্পিনার নাসুম (৪-০-২২-২)। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩ উইকেট পাওয়ার পর (৩/২২) এক ম্যাচ বিশ্রামে ছিলেন তাসকিন। ফিরেই নামতা গুনে তিন উইকেট শিকার করেছেন (৩/৩৮)। তার দ্বিতীয় স্পেলটি ছিল খরুচে (১-০-১৫-০)। এই ম্যাচে মার খেয়েছেন বাঁ হাতি পেসার শরিফুল (৪-০-৩৯-১)।
ব্যাটিং পাওয়ার প্লে'র প্রথম ৬ ওভারে এদিন একটু বেশিই অমিতব্যয়ী বোলিং করেছে বাংলাদেশ বোলাররা। শেখ মেহেদী-শরিফুল-তাসকিনের অমিতব্যয়ী প্রথম স্পেলে ওই ৬ ওভারে উইকেটহীন ৫৭ করেছে পাকিস্তান। শাহিবজাদা ফারহান-সাইম আইয়ুব ওপেনিং পার্টনারশিপে ৪৭ বলে ৮২ রান যোগ করে বাংলাদেশ দলকে রান পাহাড়ে চাপা দেয়ার আভাস দিয়েছিলেন। ৮২ রানে এই পার্টনারশিপ থামিয়েছেন বাঁ হাতি স্পিনার নাসুম। ২ বছর পর টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন ম্যাচে প্রথম ওভারেই পেয়েছেন উইকেটের দেখা। ডিপ স্কোয়ার লেগে সাইম আইয়ুব (১৫ বলে ২ চার, ১ ছক্কায় ২১) দিয়েছেন ক্যাচ। মিরাজকে মিড উইকেটের উপর দিয়ে ছক্কার চুমোয় ২৮ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় ফিফটিতে ভয়ংকর রূপ ছড়িয়েছেন শাহিবজাদা ফারহান। তার উইকেটটিও পেয়েছেন নাসুম। নাসুমের লেগ স্ট্যাম্পে পিচিং ডেলিভারিতে সুইপ করতে যেয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন শাহিবজাদা ফারহান (৪১ বলে ৬ চার ৫ ছক্কায় ৬৩)।
দ্বিতীয় পাওয়ার প্লে'র ৯ ওভারে ৬৫'র বেশি রান নিতে দেয়নি বাংলাদেশ বোলাররা। শেষ পাওয়ার প্লে'র ৩০ বলে ৪৬ রানে ফেলে দিয়েছে ৩ উইকেট। মাঝে ২৬টি বলের একটিতেও পাকিস্তান ব্যাটারদের বাউন্ডারি মারতে দেয়নি বোলাররা। পুরো ইনিংসে ১২০টি বৈধ ডেলিভারির মধ্যে ৫৩টি ডট। তারপরও বাউন্ডারি এবং ছক্কার সংখ্যা কম নয়। ১২টি বাউন্ডারির পাশে সমসংখ্যক ছক্কা! তাতেই বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জটা কঠিন করে দিতে পেরেছে পাকিস্তান।
১৭৯ রানের চ্যালেঞ্জ নিতে এসে ব্যাটিং পাওয়ার প্লে-তে ব্যাকফুটে নেমে গেছে বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে সালমান মীর্জাকে তানজিদ হাসান তামিম কাট করতে যেয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে (২ বলে ০) হতাশ করেছেন। ফাহিম আশরাফের ৪র্থ ডেলিভারিতে অধিনায়ক লিটন ফ্লিক করতে যেয়ে বোল্ড হয়েছেন (৮ বলে ৮)। ফাহিম আশরাফ নিজের দ্বিতীয় ওভারের ৪র্থ বলে মিরাজ মিড অফে দিয়েছেন ক্যাচ (৮ বলে ৯)। সালমান মীর্জার ৩য় ওভারে লো বাউন্সি ডেলিভারিতে জাকের আলী অনিক বোল্ড (২ বলে ১) এবং শেখ মেহেদী সুইংয়ে বোল্ড হলে বড় হারের শঙ্কা দেখা দেয়।
সালমান মীর্জা (৩-০-১৫-৩) এবং ফাহিম আশরাফের (২-০-১৩-২) প্রথম স্পেলে স্কোরশিটে ২৯ উঠতে ৫ উইকেট হারালে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন স্কোরের শঙ্কা পর্যন্ত দেখেছে সমর্থকরা। তবে ২০১৬ সালে ইডেন গার্ডেনসে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৭০ রানে অল আউট হওয়ার সে লজ্জা পেতে হয়নি। ৮ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সাইফউদ্দিনের ব্যাটিংয়ে ( ৩৪ বলে ২ চার, ২ ছক্কায় ৩৫* ) বড় লজ্জা থেকে বেঁচে গেছে বাংলাদেশ।
অবশ্য সংক্ষিপ্ত সংস্করনের ক্রিকেটে পাকিস্তানের বিপক্ষে সর্বনিম্ন স্কোরের অপবাদ নিয়ে শেষ হয়েছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ২০১১ সালে মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮৫/৯ ছিল এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সর্বনিম্ন স্কোর। সেই স্কোর টপকে গেছে বাংলাদেশ। ২০০৮ সালে করাচিতে ২০৪ রান তাড়া করতে যেয়ে ১০২ রানে হার ছিল এতোদিন এই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় হার। ১৭ বছর আগের সেই হারকেও উপরে রেখেছে বাংলাদেশ।
এদিন বিরক্তিকর ব্যাটিং করেছেন নাঈম শেখ। ১৭ বলে করেছেন মাত্র ১০ রান এই ওপেনার। আহমেদ দানিয়েলকে সিলি মিড অফে ক্যাচ দিয়ে তার আউটটিও দৃষ্টিকটু লেগেছে।
বাংলাদেশের ইনিংসের স্থায়ীত্ব ১০০ বল। এই ১০০ বলের ইনিংসে ৫০ টি ডট। ৮টি বাউন্ডারির পাশে ৩টি ছক্কা। তিনটি ছক্কার তিনটিতে বেছে নিয়েছেন বাংলাদেশের ২ টেল এন্ডার সাইফউদ্দিন-শরিফুল। সাইফউদ্দিন পর পর দুটি ছক্কা মেরেছেন এক্সট্রা কভার এবং লং অনের উপর দিয়ে। শরিফুল মেরেছেন লং অনের উপর দিয়ে।
১ আগস্ট ২০২৫, ৩:৫৯ পিএম
১ আগস্ট ২০২৫, ১:২৮ পিএম
এ বছরের এপ্রিলে সিলেটে বাংলাদেশকে ৩ উইকেটে হারানোর পরের টেস্ট অধ্যায়টা জিম্বাবুয়ের শুধুই হতাশার। সর্বশেষ ৪ টেস্টের তিনটিতে ইনিংস ব্যবধানে হার, অন্যটি রানের ব্যবধানে। বুলাওয়েতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ইনিংস হারের শঙ্কা ছিল। তবে নবম জুটির ৬৪ রানে সেই লজ্জা এড়াতে পেরেছে জিম্বাবুয়ে। মাত্র ৮ রানের টার্গেট দিয়ে নিউ জিল্যান্ডকে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করতে নামিয়েছে। মাত্র ১৪ বলে এই টার্গেট পাড়ি দিয়ে ৯ উইকেটে জিতে সিরিজ শুরু করেছে সফরকারী দলটি।
প্রথম ইনিংসে ১৫৮ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ব্যবধানে জয়ের টার্গেটে বোলিং করেছে নিউ জিল্যান্ড। টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে জিম্বাবুয়ের স্কোর ৩১/২, ইনিংস হার এড়ানোর জন্য ১২৮ রানের টার্গেটটা বেশ বড়ই তখন মনে হয়েছে। তৃতীয় দিনের শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে এক পর্যায়ে জিম্বাবুয়ের স্কোর ছিল ৫৩/৪। ৫ম উইকেট জুটিতে ৫৭ রা যোগ করেও ইনিংস হারের শঙ্কা ছিল জিম্বাবুয়ের। ১১০ থেকে ১২৬, এই ১৬ রানে জিম্বাবুয়ের ৪ উইকেট পড়ে গেলে ইনিংস হারের চোখ রাঙানি দেখেছে স্বাগতিক দল। তবে ৯ম উইকেট জুটির ৬৪ রানে ইনিংস হার এড়িয়েছে জিম্বাবুয়ে।
মাত্র ১ রানের জন্য শিন উইলিয়ামস ফিফটি হাতছাড়া করেছেন। বাঁ হাতি স্পিনার স্যান্টনারের বলে ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে থেমেছেন শিন উইলিয়ামস (৬৬ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৪৯)। ঠিক তৃতীয় দিনের টি ব্রেকের আগে থেমেছে জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে (১৬৫/১০)।
জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস ছিন্ন ভিন্ন করেছে নিউ জিল্যান্ডের যে পেসার (৬/৩৯), সেই হেনরি দ্বিতীয় ইনিংসেও ছড়ি ঘুরিয়েছেন (৩/৫১)। টেস্ট ক্যারিয়ারে এর আগে দুইবার ম্যাচে ৯ উইকেটের দেখা পেয়েছিলেন। এটা নিয়ে (৯/৯০) সংখ্যাটা তৃতীয়-তে উন্নীত হলো তার। জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংসে স্পিনার স্যান্টনার পেয়েছেন ৪ উইকেট (৪/২৭)।
চোট আর বিশ্রাম মিলিয়ে এমনিতেই ইংল্যান্ড-ভারত চলমান পঞ্চম টেস্টে স্বাগতিকরা খেলছে অনভিজ্ঞ বোলিং লাইনআপ নিয়ে। এবার দলটির জন্য আরেক ধাক্কা হয়ে এসেছে ক্রিস ওকসের চোট। সেটা এতোটাই গুরুতর যে, এই ম্যাচের বাকি অংশ থেকেই ছিটকে গেছেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটে প্রথম দিনের শেষের দিকে। বাউন্ডারির লাইনে একটি বল ধরার চেষ্টায় ভেজা আউটফিল্ডে হাত পিছলে পড়ে যান ওকস। পড়ে যাওয়ার ফলে বাঁ কাঁধে বেশ চোট পান এবং সাথে সাথেই কাঁধ চেপে ধরে শুয়ে পড়েন মাঠে।
এরপর ইংল্যান্ড দলের ফিজিও বেন ডেভিস মাঠে এসে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে ওকস মাঠ ছেড়ে যান। রাতেই অভিজ্ঞ এই পেসারের স্ক্যান করানো হয়। সেই স্ক্যান ও চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণের পর ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) নিশ্চিত করে, ওকস আর এই ম্যাচে অংশ নিতে পারবেন না। এমনি ব্যাট হাতেও দেখা যাবে না তাকে।
তার এই ছিটকে যাওয়া ইংল্যান্ডকে ভালো বিপদেই ফেলে দিতে পারে। কারণ, অধিনায়ক বেন স্টোকস না খেলায় এই ম্যাচে এমনিতেই চারজন স্পেশালিষ্ট পেসার নিয়ে খেলতে নেমেছে দলটি। ওকস আর বোলিং না করতে পারায় ম্যাচের বাকিটা সামাল দিতে হবে তিন পেসার গাস অ্যাটকিনসন, জেমি ওভারটন এবং জশ টাংকে, যারা সম্মিলিতভাবে খেলেছেন মাত্র ১৮ টেস্ট। ফলে চাপ বাড়তে পারে দুই পার্টটাইম স্পিনার বেথেল-রুটের ওপর।
চলমান টেস্টের ভারতের প্রথম ইনিংসে ওকস ১৪ ওভার বল করে ১ উইকেট নেন। সিরিজে তিনি মোট ১৮১ ওভার বোলিং করেছেন। ৫২.১৮ গড়ে নিয়েছেন ১১ উইকেট। ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের জন্য এই সিরিজে ইংল্যান্ডের একমাত্র পেসার হিসেবে খেলেছেন পাঁচ টেস্টেই। তবে শেষটা হল হতাশার মধ্য দিয়েই।
ইংল্যান্ড-ভারতের মধ্যকার চতুর্থ টেস্টে পাকিস্তানের জার্সি পরা এক দর্শককে মাঠ থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনার জল এরই মধ্যে গড়িয়েছে অনেকদূর। এবার সেই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছে ল্যাঙ্কাশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাব।
ওল্ড ট্রাফোর্ডে টেস্টে চলাকালীন এই ঘটনাটি ফারুক নাজার নামের ভুক্তভোগী দর্শক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও পোস্টের মাধ্যমে তুলে ধরেন। এরপর থেকেই এটি নিয়ে শুরু হয় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা।
সেই ভিডিওতে দেখা যায়, পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের সবুজ রঙের জার্সি পরে ভারত ও ইংল্যান্ডের ম্যাচ দেখতে গ্যালারিতে হাজির হয়েছেন নাজার। এক পর্যায়ে একজন নিরাপত্তাকর্মী এসে তাকে পাকিস্তানের জার্সি ঢেকে ফেলতে বলেন। এই সময়ে সেই নিরাপত্তাকর্মী নিজেকে ল্যাঙ্কাশায়ারের একজন স্টাফ হিসেবে পরিচয় দেন। সাথে জানান, পাকিস্তানের জার্সি ঢাকার জন্য বলার জন্য কন্ট্রোল রুম থেকে নির্দেশ পেয়েই তিনি এটি বলতে এসেছেন। তবে তার সেই অনুরোধ নাজার মানতে অস্বীকৃতি জানান। এই ঘটনার জেরে শেষ পর্যন্ত পুলিশ এসে তাকে মাঠ থেকেই বের করে দেয়।
ঘটনার পর এক বিবৃতিতে ল্যাঙ্কাশায়ার জানায়, দর্শকদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে তাদের নিরাপত্তা দল কাজ করে আর এটা তারই অংশ ছিল। তবে নাজারকে মাঠ থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনায় যদি কোনো দর্শক কষ্ট পেয়ে থাকেন, সেজন্য তারা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
এরপর কাউন্টি ক্লাবটি বিবৃতিতে আরও দাবি করে, ওই ঘটনার একদিন আগে মাঠের ভেতর ভারতীয় ও পাকিস্তানি সমর্থকদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছিল। আর সেই প্রেক্ষিতেই তাদের নিরাপত্তা দল সতর্ক অবস্থানে ছিল এবং তারই ধারাবাহিকতা তারা নাজারকে পাকিস্তানের জার্সি ঢেকে ফেলতে বলেছিলেন।
অন্যদিকে যাকে নিয়ে এত আলোচনা, সেই নাজার এক্স প্ল্যাটফর্মে (সাবেক টুইটার) জানান,
“আমি তো সেখানে কোনো আপত্তিকর আচরণ করিনি। আমি শুধু পাকিস্তানের জার্সি পরেই খেলা দেখতে গিয়েছিলাম। এটা তো দোষের কিছু না। আমাদের মনে রাখতে হবে এটা ক্রিকেট, এখানে জাতীয়তাবাদের ঊর্ধ্বে উঠে আমাদের সবারই স্রেফ খেলাটিকেই উদযাপন করা উচিত।”
আগামী সেপ্টেম্বরে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপকে সামনে রেখে বাড়তি প্রস্তুতির সুযোগ তৈরি হল অংশগ্রহণকারী তিন দেশের সামনে। চলতি মাসে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে অংশ নিতে যাচ্ছে পাকিস্তান আফগানিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করবে ইমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। সবগুলো ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে বিখ্যাত শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। আসর চলবে আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের শুরুতে।
ত্রিদেশীয় এই টুর্নামেন্টে প্রত্যেক দল একে অপরের বিপক্ষে দুটি করে ম্যাচ খেলবে। রাউন্ড-রবিন পদ্ধতিতে সব মিলিয়ে মোট ৬টি ম্যাচ হবে। এরপর পয়েন্ট টেবিলের সেরা দুই দল ফাইনালে মুখোমুখি হবে।
এবারের এশিয়া কাপ হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে, যা শুরু হবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর, আর চলবে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই টুর্নামেন্টও হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতেই।
ত্রিদেশীয় সিরিজের তিন দলের মধ্যে আইসিসির সবশেষ টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে পাকিস্তান সবার চেয়ে এগিয়ে আছে, তাদের অবস্থান ৮ নম্বরে। আফগানিস্তান আছে ৯ নম্বরে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত রয়েছে ১৪ নম্বরে।
বুলাওয়ে টেস্টে প্রথম দিনের হতাশা কাটিয়ে দ্বিতীয় দিন ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্ঠা করেছে জিম্বাবুয়ে। নিউ জিল্যান্ডকে প্রথম ইনিংসে ১৫৮'র বেশি লিড নিতে দেয়নি স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় দিন শেষে জিম্বাবুয়ে ইনিংস হার এড়ানো থেকে ১২৬ রানে পিছিয়ে।
প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে মাত্র ১৪৯ রানে অল আউট করে দিন শেষে উইকেটহীন ৯২ স্কোরে স্বাগতিক দলকে রান পাহাড়ে চাপা দেয়ার আভাস দিয়েছিল নিউ জিল্যান্ড। তবে দিনের প্রথম বলে ওপেনিং জুটি বিচ্ছিন্ন করেছেন জিম্বাবুয়ে পেসার মুজারাবানি। তার শর্ট বলে শর্ট লেগে উইল ইয়ং দিয়ে এসেছেন ক্যাচ (৪১)।
দ্বিতীয় উইকেট জুটির ৬৬ রানে স্বাগতিক দলকে হতাশায় ফেলে দিয়েছিলেন ডেভন কনওয়ে-হেনরি নিকোলাস। তবে মুজারাবানির বলে গালিতে নিকোলাম (৩৪) ক্যাচ দেয়ার মধ্য দিয়ে বড় একটা দমকা হাওয়া বয়ে যায় নিউ জিল্যান্ডের ইনিংসের উপর দিয়ে। মাত্র ৪৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপদের মুখে পড়ে নিউ জিল্যান্ড।
সেখান থেকে দলের স্কোর তিনশ' ছাড়িয়ে নিয়েছেন ড্যারেল মিচেল। নিয়াম্বুরির ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে থেমেছেন মিচেল ৮০ রানে। ২২৪ মিনিটের যে ইনিংসে ১৫টি চার এর পাশে ছিল একটি ছক্কা। তবে অবধারিত সেঞ্চুরি মিস করেছেন ডেভন কনওয়ে। চিভাঙ্গার আউট সাইড অফ ডেলিভারিতে ডেভন কনওয়ে গালিতে ক্যাচ দিয়ে হাতছাড়া করেছেন ৫ম টেস্ট সেঞ্চুরি।
জিম্বাবুয়ে পেসার মুজারাবানি পেয়েছেন ৩ উইকেট (৩/৭৩)। চিভাঙ্গা পেয়েছেন ২ উইকেট (২/৫১)। প্রথম ইনিংসে ১৫৮ রানে পিছিয়ে পড়া জিম্বাবুয়ে লড়ছে ইনিংস হার এড়াতে। তবে হেনরি (১/১১) এবং ও রোর্কের (১/১৬) বোলিংয়ে স্কোরশিটে ৩১ উঠতে হারিয়েছে জিম্বাবুয়ে ২ উইকেট।
৯ দিন আগে
১৬ দিন আগে
২৬ দিন আগে
২৭ দিন আগে
২৭ দিন আগে