আইসিসি টেস্ট ফান্ডের রেভিনিউ শেয়ারিং মডেল প্রবর্তিত হওয়ায় ২০১৯ সালের মে থেকে বদলে গেছে আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামের (এফটিপি) সূচি। টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে থাকা শীর্ষ ৯টি দেশকে নিয়ে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ প্রবর্তনের পরিকল্পনা গৃহিত হওয়ায় পর পর দুটি ৪ বছর মেয়াদী এফটিপি চক্রে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের বাইরে থাকা তিনটি দল জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান এবং আয়ারল্যান্ডের সাথে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ৯ টি দলের দ্বি-পাক্ষিক টেস্ট সিরিজ খেলা বাধ্যতামূলক নয়।
মূলত সেই কারণেই এফটিপির সর্বশেষ চক্রে (২০১৯-২০২৩ সালের এপ্রিল) জিম্বাবুয়ে এবং টেস্ট ক্রিকেটের নবাগত আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ডকে টেস্টে এড়িয়ে চলেছে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষস্থানীয় দলগুলো। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চলমান চক্রেও (২০২৩-২৭) একই পথে হাঁটছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হয়ে থাকা দলগুলোর অধিকাংশই।
আইসিসির এফটিপি এখন দ্বি-পাক্ষিক সূচিতে পরিণত হওয়ায়, আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জিম্বাবুয়ে,আয়ারল্যান্ড এবং আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে আগ্রহী নয় অধিকাংশ টেস্ট দল। অথচ, আইসিসির এফটিপির বিগত চক্রের মত চলমান এফটিপিতেও জিম্বাবুয়ের সঙ্গে তিন ফরম্যাটের ম্যাচের সিরিজ খেলতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বিসিবি। চলমান চক্রে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে টেস্ট খেলা থেকে বিরত থেকেছে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
তবে জিম্বাবুয়ের টেস্ট উন্নতিতে সহায়কের ভুমিকায় নিউ জিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। এফটিপির চলমান চক্রের চার বছরে জিম্বাবুয়ে ১৮টি টেস্ট খেলার সুযোগ পাচ্ছে। সেই তালিকায় বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের টেস্ট ম্যাচের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৪টি। এর বাইরে এফটিপির বর্তমান চক্রে বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ে ৮টি ওডিআই এবং ৮টি টি-টোয়েন্টিও খেলার সুযোগ পাচ্ছে।
তিন ফরম্যাটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড তুলনামূলক ভালো। চলমান সিরিজের আগে ১৮টি টেস্টে ৮-৭-এ এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। মুখোমুখি ৮১টি ওডিআই ম্যাচে ৫১টি জয়ের বিপরীতে ৩০টিতে হেরেছে বাংলাদেশ। দুই দলের ২৫টি ওয়ানডে ম্যাচে ১৮-৭-এ এগিয়ে বাংলাদেশ। এ ছাড়া এক সময় বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নতিতে অবদান রাখা জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের দুর্দিনে তাদের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
সেই কারণেই জিম্বাবুয়ে দলকে আতিথ্য দেয়াকে একটা রেওয়াজে পরিণত করেছে বিসিবি।
জিম্বাবুয়ের সঙ্গে টেস্টে জয়-পরাজয় আইসিসির টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকায় অবস্থান নড়চড় করবে না। শুধু তা-ই নয়, জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলকে আতিথ্য দিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনাও নেই। হোমে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ ৩টি দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ আয়োজনে তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে বিসিবি।
অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৮ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে বাংলাদেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ২ টেস্ট এবং ৩ ওডিআই ম্যাচের সিরিজ আয়োজন করে ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭১ হাজার ৩২৫ টাকা ভর্তুকী দিয়েছে বিসিবি। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ২ টেস্ট, ৩ ওডিআই এবং ২ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ আয়োজনে অবশ্য ভর্তুকী গুনতে হয়নি। সেই দ্বি-পাক্ষিক সিরিজে ২০ লাখ ৫২ হাজার ৫৬৭ টাকা মুনাফা করতে পেরেছে বিসিবি। তবে যুক্তরাষ্ট্র-ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ২০২৪ সালের এপ্রিলে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে জিম্বাবুয়েকে আতিথ্য দিয়ে নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন বোর্ড বড় অঙ্ক ভর্তুকী দিয়েছে। প্রচারসত্ব থেকে প্রত্যাশিত অর্থ আয়ের পরও ভর্তুকীর অঙ্ক ছিল ৬ কোটি ১০ লাখ ৮৮ হাজার ৯৫৫ টাকা!
এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রচারসত্ব বিক্রি করতে ব্যর্থ হওয়ায় ভর্তুকীর অঙ্কটা কোথায় দাঁড়ায়, সেই হিসাবটা জানা যাবে সিরিজ শেষেই।
জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলকে আতিথ্য দিয়ে শুধু আর্থিকভাবেই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে না বিসিবি, টেস্টে নীচের সারির দল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পারফরমেন্স নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অভিষেককে স্মরণীয় করতে চেয়ে জিম্বাবুয়েকে আতিথ্য দিয়ে চরম শিক্ষা পেয়েছিল বিসিবি। পূর্ণশক্তির বাংলাদেশ দল ১৫১ রানে হেরেছে সেই টেস্ট। সাড়ে ছয় বছর পর সেই সিলেটে ফিরতি টেস্টেও লজ্জা দিয়েছে জিম্বাবুয়ে। সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ হেরেছে ৩ উইকেটে।
আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রামের (এফটিপি) চলমান চক্রের (২০২৩-২৭) সূচি চূড়ান্ত হয়েছে অনেক আগে। বিসিবির পদচ্যুত সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের আমলে। সে কারণেই এফটিপির পরবর্তী সূচি (২০২৭-৩১) চূড়ান্ত হওয়ার আগে সতর্ক হওয়ার পক্ষে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম, “ওদের সাথে খেলে উন্নতি হবে কিংবা সিরিজ আয়োজন করা লাভজনক হবে, এমন তো নয়। জিম্বাবুয়ের সাথে টেস্ট সিরিজ এড়াতে পারলে ভালো হতো। আইসিসির পরবর্তী এফটিপির আগে কীভাবে প্লান করা যায়, তা নিয়ে ভাবতে হবে।”
১২ জুন ২০২৫, ১:৪১ পিএম
পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি দলের বাইরে আছেন কিছুটা সময় ধরেই। তবে এর মাঝেই পাকিস্তানের তারকা ব্যাটার বাবর আজম পেলেন সুসংবাদ। আসছে বিগ ব্যাশ লিগ (বিবিএল) মৌসুমের জন্য তাকে প্রি-ড্রাফট সাইনিং হিসেবে দলে ভিড়িয়েছে সিডনি সিক্সার্স। এর ফলে প্রথমবারের মত অস্ট্রেলিয়ার এই লিগে খেলবেন সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ক, যা নিয়ে তিনি শুনিয়েছেন গর্বের কথা।
বিবিএলের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি দল ড্রাফটের আগে একজন করে বিদেশি খেলোয়াড়কে সাইন করতে পারে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাবরকে দলে টেনেছে সিক্সার্স। সতীর্থ হিসেবে তিনি পাবেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা ব্যাটার স্টিভেন স্মিথকে।
আরও পড়ুন
১ বছরে ওয়ানডে দলকে গুছিয়ে নিতে চান মিরাজ |
![]() |
সিক্সার্সের মাধ্যমে প্রতিক্রিয়ায় বাবর বলেছেন তার গর্বের কথা।
"বিশ্বের অন্যতম সেরা টি-টোয়েন্টি লিগে খেলার এক দারুণ সুযোগ পাওয়া আমার জন্য বিশেষ কিছু। এমন সফল একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির অংশ হতে পারা গর্বের ব্যাপার। আমি দলের সাফল্যে অবদান রাখতে, ভক্তদের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং পাকিস্তানের সমর্থকদের সাথে এই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি।"
বিবিএলের এবারের আসরে প্লেয়ার ড্রাফটে অংশ নিচ্ছেন আরও কয়েকজন পাকিস্তানি তারকা। যাদের মধ্যে আছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি, শাদাব খান, হারিস রউফ ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের মত শীর্ষ নাম।
তাদের আগে দল পেয়ে যাওয়া বাবরের টি-টোয়েন্টিতে বাবরের রয়েছে বিশাল অভিজ্ঞতা। ৩২০টি কুড়ি ওভারের ম্যাচ খেলেছেন তিনি এখন পর্যন্ত। সবশেষ খেলেছেন পাকিস্তান সুপার লিগে, যেখানে পেশোয়ার জালমির অধিনায়ক ছিলেন তিনি। দলটি পয়েন্ট টেবিলের নিচের দিকে থেকে আসর শেষ করলেও ব্যাট হাতে বাবর ছিলেন উজ্জ্বল। ১০ ইনিংসে ১২৮.৫৭ স্ট্রাইক রেটে ২৮৮ রান করে দলের সর্বোচ্চ রানস্কোরার ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন
টেস্টে আরও উন্নতির আশায় শান্ত, ভবিষ্যতে খেলতে চান ফাইনাল |
![]() |
এবার বাবর ঝলক দেখাতে চাইবেন বিবিএলের। বিদেশী ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে তিনি আগে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল), ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল), লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল) ও ইংল্যান্ডের ভাইটালিটি ব্লাস্টে।
খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, যখন ওয়ানডেই ছিল বাংলাদেশের প্রিয় ফরম্যাট। তবে সময়ের বাকে এখন ৫০ ওভারের ক্রিকেটেই ভীষণ অধারাবাহিক দলটি। কঠিন এই সময়ে অধিনায়কত্ব পেয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ, যার সামনে চ্যালেঞ্জ থাকবে তরুণদের নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর। অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার মনে করেন, তার নেতৃত্বে দল হিসেনে গুছিয়ে নিতে পারবে বাংলাদেশ।
মিরাজ জাতীয় দলের হয়ে প্রথম অধিনায়কত্ব করেন ২০২৪ সালের নভেম্বরে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি ওয়ানডেতে। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তর চোটের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ছিলেন টেস্ট ও ওয়ানডের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। টেস্ট সিরিজ ১-১ ড্র করলেও ওয়ানডেতে তিন ম্যাচেই হেরে যায় বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা সফরকে সামনে রেখে আগামী এক বছরের জন্য তাকেই শান্তর স্থলাভিষিক্ত করেছে বিসিবি। সাকিব-তামিমের পাশাপাশি এই সিরিজ দিয়ে বাংলাদেশ নতুন পথচলা শুরু করবে অবসরে যাওয়া আরও দুই অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহকে ছাড়া।
শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ জানালেন, দলকে একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ তার সামনে।
“আমাদের এখন সময় এসেছে ওয়ানডে দলটাকে একটা জায়গায় দাঁড় করানোর। কারণ সম্প্রতি আমাদের দুইজন সিনিয়র ক্রিকেটার রিয়াদ ভাই, মুশফিক ভাই কিন্তু ওয়ানডে থেকে অবসর নিয়েছে। অধিনায়ক কে, সেটা এখানে বিষয় না। দল হিসেবে খেলার গুরুত্ব সবচেয়ে বড়। আমাদের লক্ষ্য একটাই, আগামী এক বছরের মধ্যেই ওয়ানডে দলকে একটি নির্ভরযোগ্য ও শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করানো। অনেক সময় কঠিন পরিস্থিতিতে শক্ত সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সেটা কিন্তু সবসময় পক্ষে যাবে না, আবার বিপক্ষে নাওয় যেতে পারে। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ধরনটাই এখানে আসল। আমার আগে যারা আগে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়া আমি অনুসরণ করব।”
কদিন আগেও ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্ব নিয়ে ছিল না তেমন প্রশ্ন। তবে শ্রীলঙ্কা সফরের ঠিক আগে আচমকাই শান্তকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি যে বিষয়টি নিয়ে অবগত ছিলেন না আগে থেকে, সেটা তার টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে করা একদিন আগের সংবাদ সম্মেলনেই স্পষ্ট।
তবে মিরাজের বিশ্বাস, পূর্বসূরি ও পুরনো বন্ধুর কাছ থেকে পূর্ণ সহায়তাই পাবেন তিনি।
“শান্ত আর আমার মধ্যে এই ব্যাপারগুলো কখনোই কাজ করবে না। ও যখন ক্যাপ্টেন্সি করেছে, তখন আমি ওকে অনেক সাহায্য করেছি। আশা করি সেও আমাকে সেভাবেই সাহায্য করবে। ওর সাথে আমার এমন কথাই হয়েছে।”
মিরাজ জাতীয় দলে এসে ওয়ানডেতে অধিনায়ক হিসেবে পান মাশরাফি বিন মোর্তোজাকে। আর টেস্টে পান মুশফিকুরকে। এরপর নানা সময়ে খেলেছেন সাকিব, তামিমদের নেতৃত্বেও। এছাড়া নিজেরও রয়েছে বয়সভিত্তিক দল থেকে অধিনায়কত্ব করার সহজাত দক্ষতা।
এবার নেতা হিসেবে সব অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান মিরাজ।
“বাংলাদেশ দলে আমার ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল মাশরাফি ভাইয়ের অধীনে। এরপর অনেক নেতার সাথে কাজ করার সুযোগ হয়েছে। সবার কাছ থেকেই কিছু না কিছু শিখেছি, যা এখন কাজে লাগানোর সময় এসেছে। যারা জুনিয়র, তাদের পারফর্ম করতেই হবে। পাশাপাশি অভিজ্ঞ হিসেবে আমি চেষ্টা করবো ড্রেসিংরুমের পরিবেশটাকে এমনভাবে রাখতে, যাতে সবাই একসঙ্গে মিলেমিশে থাকে। আমরা যখন দলে এসেছিলাম, বড় ভাইয়েরা যেভাবে পাশে থেকেছেন, সেটাই অনুসরণ করব।”
ওয়ানডেতে সাম্প্রতিক ফর্ম খারাপ হলেও দল নিয়ে আশাবাদী মিরাজ। “আমি এই দলের ওপর সম্পূর্ণ বিশ্বাস রাখি। আমাদের দলে প্রতিভার কোনো ঘাটতি নেই। আমরা সাহস নিয়ে, আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলতে চাই। ইনশাআল্লাহ, দেশের জন্য সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।”
অধিনায়ক হিসেবে মিরাজের প্রথম পরীক্ষা শুরু জুলাইয়ে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে আগামী ২, ৫ ও ৮ জুলাই।
আগেই টি-টোয়েন্টি অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো নাজমুল হোসেন শান্তর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন লিটন দাস। ধারণা করা হচ্ছিল, ওয়ানডের দায়িত্ব হয়ত চালিয়ে যাবেন শান্ত। তবে এই ফরম্যাটেই পরিবর্তনের পথে হেঁটেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ৫০ ওভারের নেতৃত্ব পেয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ, যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ পা রাখল তিন ফরম্যাটে ভিন্ন ভিন্ন অধিনায়কের যুগে।
গেল মাসে সংযুক্ত আরব আমিরতের বিপক্ষে সিরিজের আগে টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হন লিটন। এই ফরম্যাটের দায়িত্ব শান্ত নিজেই ছেড়ে দিয়েছিলেন। তবে ওয়ানডে নিয়ে সরাসরি সেভাবে কিছুই বলেননি। সম্প্রতি তাকে আরও এক বছরের জন্য টেস্টে দলের দায়িত্ব দিয়েছে বিসিবি।
তবে ওয়ানডে নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা ছিল, যা কেটেছে বৃহস্পতিবার বিসিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মধ্য দিয়ে। শান্তকে সরিয়ে আগামী এক বছরের জন্য এই ফরম্যাটের নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে মিরাজকে।
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন মিরাজকে বেছে নেওয়ার কারণ।
“বোর্ড মনে করছে যে, ব্যাটে-বলে মিরাজের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স, মাঠে তার নেতৃত্বগুণ আর লড়াইয়ের মানসিকতা তাকে এই ফরম্যাটের জন্য একজন কার্যকর অধিনায়ক করে তুলেছে। আমরা বিশ্বাস করি, ওয়ানডে ফরম্যাটে তার কৌশলগত দক্ষতা দলকে সামনে এগিয়ে নিতে পারবে।”
এর আগে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মিরাজ এবারই প্রথম দীর্ঘ সময়ের জন্য দায়িত্ব পেলেন। ২০১৬ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে অধিনায়ক থাকা মিরাজ জাতীয় দলের হয়ে প্রথম অধিনায়কত্ব করেন ২০২৪ সালের নভেম্বরে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে একটি ওয়ানডেতে।
এরপর শান্তর চোটের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে পালন করেন টেস্ট ও ওয়ানডের দায়িত্ব। লাল বলের সিরিজের ড্র করলেও ওয়ানডেতে তিন ম্যাচেই হেরে যায় বাংলাদেশ।
এবার স্থায়ীভাবে নেতৃত্বের দায়িত্ব পেয়ে উচ্ছ্বসিত মিরাজ।
“দেশের হয়ে অধিনায়কত্ব করা সবসময়ই গর্বের ব্যাপার। বোর্ড আমার ওপর আস্থা রেখেছে, এজন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমি আত্মবিশ্বাসী, এই দল ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে পারবে। আমরা সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবো।”
অধিনায়ক হিসেবে মিরাজের প্রথম পরীক্ষা আসছে জুলাই মাসের শ্রীলঙ্কা সফরে। ওয়ানডে সিরিজের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে আগামী ২, ৫ ও ৮ জুলাই।
লর্ডস টেস্ট মানেই ঐতিহ্য, আর সেখানে অধিনায়ক হিসেবে পাঁচ উইকেট নেওয়া যেকোনো বোলারের জন্যই স্বপ্নের এক অর্জন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলমান টেস্ট চ্যাম্পিয়শিপের ফাইনালের দ্বিতীয় দিন সেই অসাধারণ কীর্তিই গড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। সাথে পূরণ করেছেন ৩০০ উইকেটও, যা তাকে রীতিমতো ঘোরের মধ্যেই ফেলে দিয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে ধস নামানো এক স্পেলে দ্বিতীয় দিনের প্রথম দুই সেশনে আগুনঝরা বোলিং করেন কামিন্স। সর্বোচ্চ ৪৬ রান করা ডেভিড বেডিংহামকে শিকার বানিয়ে পান ফাইফারের দেখা। স্পেল শেষ করেন ১৮.১ ওভারে ৬ মেডেন সহ মাত্র ২৮ রানে ৬ উইকেট নিয়ে।
আরও পড়ুন
টেস্টে আরও উন্নতির আশায় শান্ত, ভবিষ্যতে খেলতে চান ফাইনাল |
![]() |
এর আগে অধিনায়ক হিসেবে লর্ডসে পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন গাবি অ্যালেন (১৯৩৬, উভয় ইনিংসেই ৫ উইকেট), বব উইলিস (১৯৮২), এবং ড্যানিয়েল ভেট্টোরি (২০০৮)। দুর্দান্ত সেই তালিকায় এখন যুক্ত হয়েছে কামিন্সের নামও।
এই ইনিংস দিয়ে ৩০০ টেস্ট উইকেটের মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন কামিন্নস। অস্ট্রেলিয়ার অষ্টম বোলার হিসেবে টেস্টে ৩০০ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করলেন। তার আগে অজিদের হয়ে টেস্টে ৩০০ বা তার বেশি উইকেট নিয়েছেন শেন ওয়ার্ন (৭০৮ উইকেট), গ্লেন ম্যাকগ্রা (৫৬৩ উইকেট), নাথান লায়ন (৫৫৩ উইকেট), মিচেল স্টার্ক (৩৮৪ উইকেট), ডেনিস লিলি (৩৫৫ উইকেট), মিচেল জনসন (৩১৩ উইকেট) ও ব্রেট লি (৩১০ উইকেট)।
টেস্ট ইতিহাসে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ফাইফার নেওয়া বোলারদের তালিকাতেও নাম লিখিয়েছেন কামিন্স। সবার ওপরে আছেন ইমরান খান (১২ বার)। তার পরেই রয়েছেন রিচি বেনো ও কামিন্স, দুজনেই ৯ বার করে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন ইনিংস। এরপর আছেন বিষণ সিং বেদি (৮ বার), কোর্টনি ওয়ালশ ও জেসন হোল্ডার (৭ বার)।
কমপক্ষে ৩০০ টেস্ট উইকেট নেওয়া বোলারদের মধ্যে স্ট্রাইক রেট বিবেচনায় কামিন্স জায়গা করে নিয়েছেন শীর্ষ চারে। তার আগে রয়েছেন কাগিসো রাবাদা (৩৯.১), ডেল স্টেইন (৪২.৩) ও ওয়াকার ইউনিস (৪৩.৪)। আর অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়কের স্ট্রাইক রেট ৪৫.৭। এই তালিকায় ম্যালকম মার্শালের নাম রয়েছে পঞ্চম স্থানে (৪৬.৭)।
আরও পড়ুন
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের পর এমএলসিতে অধিনায়কত্ব পেলেন পুরান |
![]() |
ইনিংস বিরতিতে ৩০০ উইকেটের অনুভূতি জানান কামিন্স।
“দারুণ লাগছে। এখানে পরিবারের কয়েকজনও এসেছে, যা আমার জন্য বেশ স্পেশাল। লাঞ্চের পর যখন বল করছিলাম, তখনই জানতাম ভালো কিছু হতে পারে। আমার জন্য এটা কল্পনার চেয়েও অনেক বেশি কিছু। একজন পেসারের জন্য ৩০০ টেস্ট উইকেট অনেক বড় একটা সংখ্যা। চোট, আঘাত, লম্বা সময় ধরে খেলা – সব মিলিয়ে এটা দারুণ তৃপ্তির ব্যাপার।”
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম চক্রে অবস্থা ছিল বেশ করুণ। সেখান থেকে এবারের চক্রে বাংলাদেশ দলের অবস্থান ভালোই ছিল। ম্যাচ জেতার সংখ্যাও বেড়েছে। ফলে আশা করা যেতে পারে যে, সামনে আরও উন্নতি করে হয়ত ফাইনালে খেলার মত জায়গাতেও চলে যেতে পারে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তবে নতুন চক্র শুরুর আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, ধাপে ধাপে উন্নতি করাই তাদের মূল লক্ষ্য।
এর পেছনে মূল কারণ হতে পারে দল হিসেবে বাংলাদেশের সামর্থ্যের দিক ও বাস্তবতার বিষয়টিও। দুই চক্র মিলিয়ে মাত্র পাঁচটি ম্যাচ জেতা দলটি টেস্টে এখনও হতে পারেনি সমীহ জাগানিয়া কোনো শক্তি। সাথে রয়েছে অধারাহিকতা। গেল বছর পাকিস্তানে গিয়ে সিরিজ জেতার পর ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে টানা দুই সিরিজে হারের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে হয়েছে ড্র। বিস্ময়করভাবে টেস্টে এবারে চক্রেও বাংলাদেশ সেরা সাফল্য পেয়েছে আবার বিদেশের মাটিতে। ফলে ফাইনালে খেলার মত জায়গায় যাওয়াটা বেশ কঠিনই।
আরও পড়ুন
বার্সেলোনায় যোগ দিচ্ছেন পেরিসিচ? |
![]() |
চলতি মাসের শ্রীলঙ্কা সফরকে সামনে রেখে সংবাদ সম্মেলনে শান্ত অকপটেই বলেছেন, এখনই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার স্বপ্ন দেখাটা বাস্তবিক নয়।
“এটা তো অনেক অনেক বড় স্বপ্ন। আমি মনে করি আমরা যদি এখনই এটা নিয়ে চিন্তা করি, তাহলে বোকামি হবে। ছোট ছোট ধাপে যদি আমরা এগিয়ে যেতে পারি, তাহলে খুব ভালো। কারণ আপনি যদি দেখেন, প্রথম চক্রে আমরা মাত্র একটা ম্যাচ জিতেছিলাম। আর এবার আমরা চারটা ম্যাচ জিতেছি। উন্নতি হয়েছে। পরের চক্রে তাই চিন্তা থাকবে কীভাবে আরও এক-দুইটা ম্যাচ বেশি জেতা যায়। এভাবে ছোট ছোট ধাপে যদি চিন্তা করে আমরা এগিয়ে যেতে পারি, তাহলে কেন না। হয়ত বাংলাদেশও একসময় ফাইনালে খেলবে। তবে গুরুত্বপূর্ণ হল যে পরবর্তী দুই বছরে আমরা কতোটা ভালো করতে পারছি।”
শান্ত ভালো করার কথা বললেও টেস্টে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ফর্ম ভালো নয়। দেশের মাটিতে সবশেষ সিরিজে জিম্বাবুয়ের কাছে হারতে হয়েছে এক ম্যাচ। এরপর একটানা ৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন টেস্ট দলের অনেকেই। এরপর ঈদের ছুটি মিলিয়ে লাল বলের ক্রিকেটের প্রস্তুতি বলতে নিজেদের মধ্যে একটি দুই দিনের ম্যাচই। স্বাভাবিকভাবে তাই প্রশ্ন উঠতেই পারে, প্রস্তুতি হয়ত যথেষ্ট হয়নি দলের।
সেটা মেনে নিলেও শান্ত রইলেন ইতিবাচকই।
“প্রস্তুতির কথা যদি বলেন, ভালোই হয়েছে। তবে হ্যাঁ, এটা বলা যায় যে আরেকটু ভালো হতে পারত। পাকিস্তান সিরিজটা একটু পিছিয়ে গেল। এজন্য সময় কম পাওয়া গেছে। তবে এটাকে অজুহাত হিসেবে দেখাতে চাই না। প্রস্ততি ভালো হয়েছে। শ্রীলঙ্কায় টেস্টে আমরা আগে জিতেছি। আশা করি এবার ভালো কিছু হবে।”
শ্রীলঙ্কার মাটিতে টেস্টে বাংলাদেশের সেরা অর্জন এসেছিল নিজেদের ১০০তম টেস্টে জয়ের মাধ্যমে। তবে এর আগে-পরে নেই বলার মত তেমন সাফল্য। ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই দেশটিতে গিয়ে ভালো করলেও লাল বলের ক্রিকেটে দল হিসেবে বাংলাদেশের জন্য এখনও প্রতিবেশী দেশে ভালো করাটা চ্যালেঞ্জেরই।
আরও পড়ুন
নাপোলিতে যোগ দেওয়ার দ্বারপ্রান্তে ডে ব্রুইনা |
![]() |
শান্তর আশা, এবার ভালো কিছু হবে।
“অবশ্যই আমার এই বিশ্বাস আছে, দলের সবার এই বিশ্বাস আছে। বিশেষ করে গত বছর চারটা ম্যাচ জেতার কারণে আমাদের বিশ্বাসটা বেড়ে গেছে, বিশেষ করে বিদেশে গিয়ে। শ্রীলঙ্কা শক্তিশালী দল, তবে আমরা নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে আশা করি এবারের চক্রটা ভালোভাবে শুরু হবে।”
বাংলাদেশ স্কোয়াডে শ্রীলঙ্কার স্পিন সহায়ক কন্ডিশন বিবেচনায় রাখা হয়েছে চার স্পিনার। পেসারাও আছেন সেরাদের মধ্যে তাসকিন আহমেদ বাদে সবাই। তবে লম্বা সময় ধরে ভুগতে থাকা ওপেনিং পজিশনে রাখা হয়নি বিকল্প কাউকে। শাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয় আছেন কেবল। ফলে তাদের কেউ চোটে পড়লে বা খারাপ খেললে সমস্যায় পড়তে পারে দল।
শান্ত অবশ্য বলছেন, দল পরিপূর্ণ।
“দল নিয়ে আমি খুবই খুশি। দলে অধিনায়ক হিসেবে আমি যাদেরই চেয়েছি, তাদের পেয়েছি। আর একটা ওপেনার কম, এটা আমি মানতে নারাজ। এটা যখন খেলা হবে, তখন টিম কম্বিনেশন দেখলে বোঝা যাবে যে কেন একজন ওপেনার কম রাখা হয়েছে। দলে যদি দেখেন, চারটা পেসার আর চারটা স্পিনার আছে। তাই দল নিয়ে আমি খুবই খুশি। ভারসাম্য রয়েছে।”
স্কোয়াডে দুই ওপেনার রাখার আরেকটি কারণ হতে পারে শান্তর ওপেনার হিসেবে খেলার সম্ভাবনা। গুঞ্জন রয়েছে, লিটন দাসকে একাদশে ফিরিয়ে শান্ত চার থেকে উঠে ব্যাট করতে পারেন ওপেনিং পজিশনে। ফলে বাড়তি ওপেনার রাখা হয়নি দলে।
আরও পড়ুন
বার্সেলোনায় যোগ দিচ্ছেন পেরিসিচ? |
![]() |
তবে বাংলাদেশ কাপ্তান বিষয়টি খোলাসা করতে চাইলেন না।
“এটা তো আগে বলে দেওয়ার বিষয় না, প্রতিপক্ষ তাহলে কৌশল নিয়ে জেনে যাবে। তবে দলের প্রয়োজনে আমি টপ অর্ডারে সব পজিশনে ব্যাট করার জন্যই প্রস্তুত।”
সম্প্রতি শান্তকে লম্বা সময়ের জন্য টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে বহাল রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বাঁহাতি এই ব্যাটার বিষয়টি দেখছেন ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে।
“প্রতিটা অধিনায়ক যদি লম্বা সময়ের জন্য দায়িত্ব পায়, ভালো হয়। আমি যেটা পেলাম আগে এক বছরের জন্য, এখন আবার এক-দেড় বছরের জন্য এখন পেলাম। আমি মনে করি যেই অধিনায়ক হোক, একটা বিশ্বকাপ বা টেস্টের চক্র হিসেবে যদি লম্বা সময়ের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়, সেটা তার জন্য ভালো। আমি জানি না ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী, তবে ক্রিকেট বোর্ড আমার সাথে যেভাবে কথা বলেছে, তাতে আমার জন্য প্ল্যান করা সহজ হয়েছে।”