১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৬:০০ পিএম

এশিয়া কাপের প্রায় চার দশকের ইতিহাসে একবারও হয়নি ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল। অনেক জল্পনা-কল্পনা শেষে এবারে আশা জেগেছিলো, এশিয়াসেরার লড়াইয়ের ফাইনালটায় এবারে অবশেষে দেখা যাবে এই দুইয়ের মহারণ। তবে সে স্বপ্নকে ধূলিস্যাৎ করে উত্তেজনার চূড়ান্ত শেষে ফাইনালের টিকেট মিললো শ্রীলঙ্কারই।
বৃষ্টির বাগড়ায় ৪৫ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে টস জিতে ক্যাপ্টেন বাবর আজমের সোজাসাপ্টা ব্যাটিং-এর সিদ্ধান্ত। প্রেমাদাসায় রান তাড়া করে ম্যাচ জেতাটা একটু কঠিন বলেই হয়তো এমন সিদ্ধান্ত। তবে শুরুটা অবশ্য বলে ভিন্ন কথাই। ধীরলয়ের ব্যাটিং-এও রক্ষা হলো না। প্রামোদ মাদুশানের বলে উদ্বোধনী জুটি ভাঙলো ৯ রানেই। ফখর জামান আউট মাত্র চারে।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপের সুপার ফোরে গেল এশিয়ার টপ ফোরই
শুরুর ধকল অবশ্য সামাল দিয়েছে আরেক ওপেনার আব্দুল্লাহ শাফিক আর বাবর আজম। ৬৪ রানের জুটি ভাঙেন আগের ম্যাচে ফাইফার নিয়ে বাজিমাত করা ওয়েলালাগে। সেট হয়ে ২৯-এই কাটা পড়েন বাবর।
৩ চার আর ২ ছয়ে ভালোই এগুচ্ছিলেন এশিয়া কাপে এ ম্যাচেই প্রথম সুযোগ পাওয়া আব্দুল্লাহ শফিক। তবে হাফ সেঞ্চুরির কোটা পূরণ করতে না করতেই ফেরেন পাথিরানার বলে প্রমোদ মাদুশানকে ক্যাচ দিয়ে। নিজের পরের ওভারেই মোহাম্মদ হ্যারিসের উইকেটটাও তড়িঘড়ি করে তুলে নেন পাথিরানা।
আশা জাগানিয়া শুরুর পর ১২ বলে ১২ করেই আউট মোহাম্মদ নাওয়াজ। ২৭ ওভার ৪ বল শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে পাকিদের সংগ্রহ তখন ১৩০। বড় সংগ্রহ না পাবার শঙ্কাকেও অবশ্য ছাড়িয়ে গেলো বৃষ্টির আগমণ। পৌনে এক ঘণ্টার বৃষ্টি গিলে নিলো তিনটা ওভার।
ফিরে এসে অবশ্য অন্য রূপে পাকিস্তান। মোহাম্মদ রিজওয়ান আর ইফতিখার আহমেদের একশো পেরোনো জুটিতে একটা ভালো সংগ্রহই খুঁজে পায় পাকিস্তান। ১০৮ রানের জুটিটা ভাঙেন পাথিরানাই। ৪৭ বলে ৪০ করে ইফতিখার ফিরলেও, ৭৩ বলে ৮৬ রানে অপরাজিত থেকে ইনিংস শেষ করেন রিজওয়ান। ৪২ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৫২।
ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন মেথডের মারপ্যাঁচে শ্রীলঙ্কার টার্গেটটা দাঁড়ালো সমান ২৫২তেই। ইনজুরি ছোবলে হারিস রউফ-নাসিম শাহরা নেই, তবু শুরুর জুটি ভাঙতে সময় লাগেনি পাকিস্তানের। কোভিড ধকল কাটিয়ে ফিরে আসা কুশাল পেরেরা শুরুতে খেললেন বেশ আক্রমণাত্মক ভঙ্গিমায়। তবে দম ফুরালো ৮ বলে ১৭ করেই ।
অন্য ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে একট শক্ত জুটির খোঁজে কুশাল মেন্ডিস। তবে সে আশায় গুড়েবালি ২৯ রানে শাদাব খানের বলে কট অ্যান্ড বোল্ড নিসাঙ্কা। তবে তাতে অবশ্য থামেনি লঙ্কানদের রানের গতি। সামারাউইকরামাকে নিয়ে কুশাল মেন্ডিস গড়ে তুলেন শতরানের জুটি। এশিয়া কাপের এবারের আসরে মেন্ডিস তুলে নেন নিজের তৃতীয় অর্ধশতক।
১০০ রানের জুটি ভেঙে সাদিরা সামারাউইক্রামা ফেরেন ৪৮-এ। সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপে পুড়ে কুশাল মেন্ডিসও আউট ৮৭ বলে ৯১ রানের চমৎকার নকে। ক্যাপ্টেন শানাকাও আউট দুই রান যোগ করেই। তিনজনই ধারাশায়ী ইফতিখার আহমেদের স্পিনে।
পুরো ইনিংসে মলিন শাহীন শাহ আফ্রিদির ঝুলিতে শেষমেশ মিললো ধনঞ্জয়া ডি সিলভা আর দুনিথ ওয়েল্লালাগের উইকেট। শেষ ওভারে দরকার ৮টা রান। শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনাল ওভারে শেষমেশ নায়কটা বনে গেলেন চারিথ আসালাঙ্কাই! তার ৪৭ বলে ৪৯-এ ভর করে দুই উইকেটের জয় লঙ্কানদের। ১৭ তারিখ ফাইনালের ভারতের প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাই!
No posts available.

প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ দিয়ে আসন্ন ঘরোয়া ক্লাব ক্রিকেট মৌসুম ২০২৫-২৬ শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিশ (সিসিডিএম) ক'দিন আগেই। ৫ এবং ৬ নভেম্বর প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের দলবদল এবং ১৮ নভেম্বর থেকে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ শুরুর ঘোষণা দিয়েছে সিসিডিএম। গত মৌসুমের চেয়ে ক্লাব অনুদান ৫০% বৃদ্ধির ঘোষণাও দিয়েছে সিসিডিএম। ৯ লাখ টাকা থেকে ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায় উন্নীত হয়েছে তাদের অ্যাপিয়ারেন্স মানি। তবে বর্ধিত অনুদানেও বিরোধীরা ক্রিকেটারদের আয়-রুজির পথ রুদ্ধ করতে লিগ বর্জনের ডাক দিয়েছে। প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের দিণক্ষণ ঘোষণা করে বিরোধীতার মুখে পড়েছে সিসিডিএম।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে ক্রিকেট লিগ বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন ক্লাব ক্রিকেট অর্গানাইজার্স এসোসিয়েশনের একটি অংশ। বিসিবির নির্বাচনে অনিয়ম, বিসিবি সভাপতির স্বেচ্ছাচরিতার অভিযোগ এনে গত ৩ নভেম্বর বিসিবির পরিচালনা পরিষদের সভার প্রাক্কালে এই সংগঠক তাদের সেই সিদ্ধান্ত পুনরায় জানিয়ে দিয়েছে বিসিবিকে। বিসিবির পরিচালনা পরিষদ ভেঙ্গে না দিলে ঢাকা ক্রিকেট লিগে অংশ নিবে না, বিসিবির সিইও-কে দেয়া ৪২টি ক্লাবের৪৩ জন কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত চিঠিতে তা উল্লেখ করা হয়েছে।
ক্লাব ক্রিকেট অর্গানাইজার্স এসোসিয়েশনের ওই চিঠিতে বিসিবি নমনীয় হয়নি। বরং কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছে। লিগে অংশ না নিলে বাইলজ অনুযায়ী অবনমন হয়ে যাবে, বিসিবির পরিচালনা পরিষদের সভায় এই অবস্থান নিয়েছে।
বিরোধীতার মুখে বুধবার (৬ নভেম্বর) প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের দলবদলের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিশ (সিসিডিএম)। বিসিবির পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন বর্জন করলেও লিগ বর্জনকারীদের পক্ষে অবস্থান নেননি তামিম ইকবাল। যে ক্লাব থেকে বিসিবির কাউন্সিলরশিপ পেয়েছেন তামিম, সেই ওল্ড ডিওএইচএস ক্লাব দলবদলের প্রথম দিন ৭ ক্রিকেটারকে সাইন করিয়েছে। দলবদলের প্রথম দিন ৯ টি ক্লাবের ৪৭ জন ক্রিকেটার নতুন ঠিকানা খুঁজে নিয়েছেন। তার মধ্যে বিকেএসপিতে ৭ জন, ব্লুজ ক্রিকেটার্সে ৪ জন, বাংলাদেশ পুলিশ ক্রিকেট ক্লাবে ১ জন, তামিমের ক্লাব ওল্ড ডিওএইচএস-এ ৭ জন, প্রাইম দোলেশ্বরে ২ জন, শেখ জামাল ক্রিকেটার্সে ১ জন, খালেদ মাহমুদ সুজনের পরিচালনায় শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবে ১০ জন এবং উত্তরা ক্রিকেট ক্লাবে ১৩ ক্রিকেটার নাম লিখিয়েছেন।
৬ নভেম্বর দলবদলে অংশ নিবে অবশিষ্ট ক্লাবগুলো, এমন আশায় বুক বেধেছেন সিসিডিএম চেয়ারম্যান আদনান রহমান দীপন। প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগের দলবদলে অংশ নিবে না বলে যে ৮টি ক্লাব এখন পর্যন্ত তাদের সিদ্ধান্তে অনঢ়, সেই ৮টি ক্লাবের ২১ ক্রিকেটার টোকেন তুলেছেন বুধবার। ওই দলগুলো অবস্থান পরিবর্তন না করলে এই ২১ ক্রিকেটার অন্য দলগুলোতে যোগ দিবেন।
ইতোমধ্যে প্রথম বিভাগের ২০টি ক্লাবের মধ্যে ১০টি অনুদানের চেক ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে বুঝে নিয়েছে। বাকিরাও চেকগুলো নিয়ে লিগে অংশ নিবে বলে বলে আশা প্রকাশ করছেন সিসিডিএম চেয়ারম্যান।

আয়ারল্যান্ড সিরিজের পর জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোহাম্মদ সালাহউদ্দীন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। অবশ্য এ বিষয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে রাজি নয় বিসিবি। বরং অভ্যন্তরীণভাবে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত জানাবে দেশীয় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ।
বিসিবি আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সালাহউদ্দীনের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ফলে এক বছর পূর্তির আগেই জাতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানছেন এই সিনিয়র সহকারী কোচ।
বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম বলেছেন,
“তিনি (সালাহউদ্দীন) আয়ারল্যান্ড সিরিজের পর পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে আমরা অভ্যন্তরীণভাবে আলোচনা করব। এ বিষয়ে এখন আর কোনো মন্তব্য করব না।”
এর আগে আজ সকালে ক্রিকেটভিত্তিক জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে সালাহউদ্দীনের পদত্যাগের খবর জানা যায়। যদিও এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত কোনো মন্তব্য করেননি। তবে ক্রিকবাজকে তিনি নিশ্চিত করেছেন চাকরি ছাড়ার বিষয়টি—“হ্যাঁ! আমি পদত্যাগ করছি।”
গত বছরের নভেম্বরে দেশের বরেণ্য কোচ সালাহউদ্দীনকে জাতীয় দলে যুক্ত করেছিল বিসিবি। সিনিয়র সহকারী কোচ হিসেবে জাতীয় দলের সঙ্গে তার চুক্তি ছিল ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত। তবে তার অনেক আগেই শেষ হতে চলেছে সেই অধ্যায়।
ডেভিড হেম্পকে সরিয়ে দেওয়ার পর থেকে জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন সালাহউদ্দীন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দলের ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
এরই মধ্যে আয়ারল্যান্ড সিরিজের জন্য বিশেষজ্ঞ ব্যাটিং কোচ হিসেবে মোহাম্মদ আশরাফুলকে নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি। দুই টেস্ট ও তিন টি-টোয়েন্টি খেলতে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে আসবে আয়ারল্যান্ড। সিলেটে প্রথম টেস্ট শুরু হবে ১১ নভেম্বর। এরপর ঢাকায় ১৯ তারিখ থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। পরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে চট্টগ্রাম যাবে দুই দল। ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ও ২৯ নভেম্বর এবং ২ ডিসেম্বর।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় যুব ওয়ানডেতে ১০২ রানের বড় ব্যবধানে হেরে গেল বাংলাদেশ। ব্যাটিং ব্যর্থতার মাশুল দিয়ে মাত্র ১৭৩ রানে থেমে গেল যুবাদের ইনিংস। ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২৭৫ রান করেছিল আফগানিস্তান।
টানা বৃষ্টির কারণে পরিবর্তিত সূচিতে বগুড়ার বদলে রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে বুধবার তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতেছিল স্বাগতিক যুবারা। পরে ভেসে যায় দ্বিতীয় ওয়ানডে।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজে তাই এখন ১-১ সমতা। একই মাঠে শুক্রবার হবে সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডে।
বুধবারের ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১০০ রান করেন তিন নম্বরে নামা ফয়সাল খান শিনোজাদা। ১০৫ বলের ইনিংসে ১৪ চারের সঙ্গে ২টি ছক্কা মারেন তিনি।
এছাড়া পাঁচ নম্বরে নেমে ৫ চারে ৭৮ বলে ৬৮ রানে অপরাজিত থাকেন অধিনায়ক মাহবুব খান।
বাংলাদেশের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন আজিজুল হাকিম তামিম ও আল ফাহাদ।
রান তাড়ায় হতাশ করেন জাওয়াদ আবরার (২৪ বলে ২৫), রিফাত বেগ (২ বলে ০) ও আজিজুল হাকিম তামিম (৩২ বলে ৯)।
চতুর্থ উইকেটে প্রতিরোধ গড়েন কালাম সিদ্দিকি এলিন ও রিজান হোসেন। দুজন মিলে গড়ে তোলেন ৯৩ রানের জুটি। ৩ চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা মেরে ৫০ বলে ৫২ রান করে আউট হন রিজান। কালামের ব্যাট থেকে আসে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৭৯ বলে ৭১ রান।
শেষ দিকে আর কেউ দায়িত্ব নিতে না পারায় ৭৬ বল বাকি থাকতেই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।

‘হংকং সিক্সেসে’ সাত সদস্যের দল ঘোষণা করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। এই টুর্নামেন্টে আফগানিস্তান দলকে নেতৃত্ব দেবেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইব। দলে রয়েছে অভিজ্ঞ ও তরুণ্যের দারুণ মিশ্রণ।
নাইবের নেতৃত্বে দলে আছেন নূর রহমান (উইকেটকিপার), সেদিকউল্লাহ পাচা, ইজাজ আহমদজাই, ফরমানউল্লাহ সফি, শরফউদ্দিন আশরাফ ও করিম জানাত। করিম ও নাইম দুজনই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।
টুর্নামেন্টে আফগানিস্তান পড়েছে ‘পুল–এ’-তে, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ নেপাল ও দক্ষিণ আফ্রিকা। আগামী পরশু হংকংয়ের টিন কুং রোড রিক্রিয়েশন গ্রাউন্ডে হবে ২০২৫ হংকং সিক্সেস। আফগানিস্তান তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে নেপালের বিপক্ষে।
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম এই সংস্করণ খেলোয়াড়দের জন্য যেমন চ্যালেঞ্জিং, তেমনি রোমাঞ্চকরও। আফগানিস্তানের জন্য এটি এক মূল্যবান সুযোগ—যেখানে নবীনরা আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেদের সামর্থ্য দেখানোর পাশাপাশি অভিজ্ঞরা টি–টোয়েন্টির দক্ষতা শানিয়ে নিতে পারবেন।
হংকং সিক্সেসে আফগানিস্তান দল:
গুলবাদিন নাইব (অধিনায়ক), নূর রহমান (উইকেটকিপার), সেদিকউল্লাহ পাচা, ইজাজ আহমদজাই, ফরমানউল্লাহ সফি, শরফউদ্দিন আশরাফ ও করিম জানাত।

ওয়েস্ট
ইন্ডিজের সহজ জয়ের পথে হঠাৎ দেয়াল হয়ে গেলেন মিচেল স্যান্টনার। একের পর এক চার-ছক্কায়
উল্টো নিউ জিল্যান্ডের জয়ের আশা জাগালেন অধিনায়ক। তবে শেষ পর্যন্ত পারলেন না তিনি।
দারুণ জয়ে ১৭ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটাল ক্যারিবিয়ানরা।
অকল্যান্ডে
বুধবার নিউ জিল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৬৫ রানের লক্ষ্যে মাত্র ১০৭
রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। পরে স্যান্টনারের ঝড়ো ফিফটিতে জয়ের আশা জাগালেও
১৫৭ রানের বেশি করতে পারেনি তারা।
টি-টোয়েন্টি
ফরম্যাটে এই প্রথম নিউ জিল্যান্ডের মাঠে মূল ম্যাচে জয় পেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অকল্যান্ডে
২০০৮ সালে কিউইদের বিপক্ষে সুপার ওভারে জিতেছিল ক্যারিবিয়ানরা। প্রায় দেড় যুগ পর আবার
টি-টোয়েন্টি জিতে মাঠ ছাড়ল তারা।
টস
হেরে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা তেমন ভালো হয়নি। হতাশ করেন দুই ওপেনার
আলিক আথানেজ ও ব্রেন্ডন কিং। তিন নম্বরে নেমে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৯ বলে ৫৩ রানের ইনিংস
খেলেন অধিনায়ক শাই হোপ।
পরে
রস্টোন চেজ ২৭ বলে ২৮ ও রভম্যান পাওয়েল ২৩ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেললে কোনোমতে দেড়শ পার
করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
নিউ
জিল্যান্ডের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন জ্যাকব ডাফি ও জ্যাক ফোকস।
রান
তাড়ায় এক পর্যায়ে ৩ উইকেটে ৮৩ রান করে ফেলেছিল নিউ জিল্যান্ড। কিন্তু এরপর হঠাৎ ধসে
মাত্র ২৪ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে বড় পরাজয়ের শঙ্কায় পড়ে যায় স্বাগতিকরা।
সেখান
থেকে দশম উইকেটে একাই লড়াই করেন স্যান্টনার। ডাফির সঙ্গে মাত্র ২০ বলে গড়েন ৫০ রানের
জুটি। ৮ চারের সঙ্গে ২ ছক্কায় ২৮ বলে ৫৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক।
কিন্তু ম্যাচ জেতাতে পারেননি।
ক্যারিবিয়ানদের
পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন চেজ ও জেডেন সিলস।
একই
মাঠে আগামীকাল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে লড়বে দুই দল।
সংক্ষিপ্ত
স্কোর:
ওয়েস্ট
ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ১৬৪/৬
(কিং ৩, আথানেজ ১৬, হোপ ৫৩, ওগিস ২, চেইস ২৮, পাওয়েল ৩৩, হোল্ডার ৫, শেফার্ড ৯; ডাফি
৪-০-১৯-২, জেমিসন ৪-০-৩০-১, ফোকস ৪-০-৩৫-২, নিশাম ৩-০-২৩-১, স্যান্টনার ৪-০-৪০-০, রাভিন্দ্রা
১-০-১১-০)
নিউ
জিল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৫৭/৯ (রবিনসন
২৭, কনওয়ে ১৩, রাভিন্দ্রা ২১, চ্যাপম্যান ৭, মিচেল ১৩, ব্রেসওয়েল ১, নিশাম ১১, স্যান্টনার
৫৫*, ফোকস ১, জেমিসন ২, ডাফি ১*; সিলস ৪-০-৩২-৩, ফোর্ড ৪-০-৩২-১, হোল্ডার ৪-০-৩৫-০,
শেফার্ড ৩-০-২৬-১, চেইস ৪-০-২৬-৩, আকিল ১-০-৪-১)
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ রানে জয়ী