গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গত ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ হতে ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’ ঘোষণা করার প্রেক্ষিতে দেশব্যাপী চলছে নানা আয়োজন। তারই একটি হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডাররেশনের ব্যবস্থাপনায় এবং সিরাজগঞ্জ জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায়।
গত ৩১ জানুয়ারি 'সিরাজগঞ্জ ফুটবল উৎসব' অনুষ্ঠিত হয়। সেই ফুটবল উৎসবে যমুনার চর একাদশ ও কাওয়াকোলা চর একাদশের মধ্যে একটি প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ২-১ গোলে জয় লাভ করে যমুনার চর একাদশ।
ফাইনালের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য ও সভাপতি, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি রুমানা মাহমুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জনাব সাইদূর রহমান বাচ্চু, সদস্য বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ও সাধারণ সম্পাদক, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি।
উৎসবের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন-এর কার্যনির্বাহী সদস্য ও সিরাজগঞ্জ জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি কামরুল হাসান হিলটন।
১৩ মার্চ ২০২৫, ৭:৪৮ পিএম
১৩ মার্চ ২০২৫, ২:১৪ পিএম
১৩ মার্চ ২০২৫, ৪:৫৫ এম
বেনফিকাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বার্সেলোনা। প্রথম লেগে দশ জনের দল নিয়েও জয় পেয়েছিল হান্সি ফ্লিকের বার্সা। কঠিন কাজটা মাঠে করে দেখানোর পুরস্কারও অবশ্য পেয়েছিল তারা। প্রথম লেগ শেষ হওয়ার বেশ লম্বা সময় পরই কাতালান রেডিও জানিয়েছে সে ম্যাচ শেষে দল থেকে মিলেছিল যা খুশি তা খাবার সুযোগ। যেখানে ফুটবলাররা বেছে নিয়েছে বার্গারকে। যার দাম আবার চোখ কপালে তোলার মতই।
সাধারণত ম্যাচ ডে-তে ফুটবলারদের থাকে আলাদা রুটিন। তবে বেনফিকাকে দশ জনের দল নিয়ে হারিয়ে সেই রুটিন ভাঙার সুযোগ দেন বার্সা নিউট্রেশনিস্ট। কাতালুনিয়ান রেডিওর তথ্য মতে, ‘সেদিন বার্সা পুষ্টিবিদ ফুটবলারদের যা খুশি তা খাওয়ার সুযোগ দেন।”
আরও পড়ুন
আলভারেজের ‘ডাবল টাচ’ রেফারির নজরে এনেছেন কোর্তোয়া |
![]() |
আর ফুটবলারদের সেখানে নাকি প্রথম পছন্দ ছিল বার্গার। রাফিনিয়া-ইয়ামালরা নাকি লিসবনের বিখ্যাত হ্যামবার্গার অর্ডার করেছিলেন। যার দামই ৭০০ ইউরো। বাংলা টাকায় ৯২ হাজার টাকারও বেশি।
প্রথম লেগের পর দ্বিতীয় লেগেও জয় পেয়েছে বার্সা। ব্যবধানটা ৩-১। জোড়া গোল করেছিলেন রাফিনিয়া আর একটা গোল করেছেন লামিন ইয়ামাল। তাতে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ গোলে কাতালান ক্লাবটা নিশ্চিত করে শেষ আট।
দ্বিতীয় লেগ শেষে বার্সা পাচ্ছে পাঁচ দিনের বিশ্রামও। দলের নজর কাড়া পারফরম্যান্সে কোচ হান্সি ফ্লিক ফুটবলারদের সেই সুযোগটাও করে দিয়েছেন।
“কেউ কিছু দেখেছেন? হাত তুলুন যদি আপনি আলভারেজকে দুই বার বলে পা ছোঁয়াতে দেখে থাকেন।” ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের ঠিক এইভাবেই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলেন আতলেতিকো মাদ্রিদ কোচ দিয়েগো সিমিওনে। সাংবাদিকরা অবশ্য তার উত্তরটা না দিতে পারলেও রিয়াল মাদ্রিদ গোলকিপার থিবো কোর্তোয়া দিয়েছেন ঠিকই। জানিয়েছেন তিনি প্রথম দেখেছেন আলভারেজকে ‘ডাবল টাচ’ নিতে।
আলভারেজ শট নিতে গিয়ে কিছুটা পা পিছলে গিয়েছিলেন। যা রেফারির নজরে খুব একটা আসেনি। তবে গোলপোস্টে থাকা কোর্তোয়ার চোখ এড়ায়নি। আলভারেজ দুইবার বলে পা লাগিয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত না হলেও খটকা জাগে কোর্তোয়ার মনে। যা তিনি দেরি না করেই জানান রেফারিকে। এরপর ভিএআর তো কোর্তোয়ার খটকা দূর করে রায় দিয়েছে তার পক্ষেই।
আরও পড়ুন
শেষ আটে রিয়ালের প্রতিপক্ষ আর্সেনাল, বার্সেলোনা খেলবে কার বিপক্ষে? |
![]() |
ম্যাচ শেষে এই নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। আচমকা ভিএআরের এমন পেনাল্টি চেকের শুরুটা কীভাবে তা নিয়েও উঠেছে কথা। যার জবাব দিয়েছেন রিয়াল গোলকিপার। জানিয়েছেন তিনি মূলত এই ব্যাপারে জানিয়েছেন রেফারিকে,
“আমার মনে হয়েছে সে দুইবার বলে পা ছুঁইয়েছে। তাই আমি গিয়ে রেফারিকে জানাই। যদিও দূর থেকে এমন দেখাটা মোটেও সহজ কাজ না। সত্যি বলতে তাদের কপালটা খারাপ।”
এই পেনাল্টিই মূলত গড়ে দিয়েছে ম্যাচের ভাগ্য। যদিও লুকাস ভাসকেজ মিস করে সুযোগটা এনে দিয়েছিল তাদের সামনে। তবে সেটা কাজে লাগাতে পারেনি তারা মার্কোস ইউরেন্তের মিসে। তাতে আরও একবার রিয়ালের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগে হৃদয় ভাঙলো আতলেতিকোর।
শেষ হয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর হিসেব-নিকেশ। আতলেতিকো মাদ্রিদকে টাইব্রেকারে হারিয়ে শেষ দল হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে রিয়াল মাদ্রিদ। তাতে প্রতিপক্ষ হিসেবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা পেয়েছে আর্সেনালকে। যারা দুই লেগ মিলিয়ে ডাচ ক্লাব পিএসভিকে উড়িয়ে দিয়েছে ৯-৩ গোলের ব্যবধানে।
উনাই এমরির অ্যাস্টন ভিলা ক্লাব ব্রুজকে দুই লেগ মিলিয়ে হারিয়েছে ৬-১ গোলে। তাদের প্রতিপক্ষ পিএসজি। যারা আবার টাইব্রেকারে বিদায়ের ঘণ্টা বাজিয়েছিল ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলের।
বেনফিকাকে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ গোলে হারিয়ে বার্সেলোনা সবার আগে কেটেছিল চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের টিকেট। তাদের প্রতিপক্ষ গেলবারের রানার্সআপ বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। জার্মান ক্লাবটা দুই লেগ মিলিয়ে ফরাসি ক্লাব লিঁলকে হারিয়েছে ৩-২ গোলে।
আরও পড়ুন
শেষ আটে রিয়ালের প্রতিপক্ষ আর্সেনাল, বার্সেলোনা খেলবে কার বিপক্ষে? |
![]() |
অন্যদিকে জার্মান ডার্বিতে লেভারকুসেনকে পাত্তাই দেয়নি বায়ার্ন মিউনিখ। দুই লেগ মিলিয়ে তারা জয় পেয়েছে ৫-০ গোলে। আর প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে ইন্তার মিলানকে। সিমন ইনজাগির দল দুই লেগ মিলিয়ে ফেইনুর্দকে ২-১ গোলে হারিয়ে পা রেখেছে কোয়ার্টার ফাইনালে।
চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনাল:
পিএসজি- অ্যাস্টন ভিল
রিয়াল মাদ্রিদ- আর্সেনাল
ইন্তার মিলান- বায়ার্ন মিউনিখ
বরুসিয়া ডর্টমুন্ড- বার্সেলোনা
বুলেট গতির শটে হুলিয়ান আলভারেজ বোকা বানিয়েছিলেন থিবো কোর্তোয়াকে। টাইব্রেকারে সমতায় ফেরে দুই দল। ফেদেরিকো ভালভের্দে তিন নম্বর শটটা নিতে প্রবেশ করেন বক্সে। তখনই রেফারি ইশারা করেন ভালভের্দেকে অপেক্ষা করতে। যদিও টিভি সেটে সমর্থকদের মনে তখন ধোঁয়াশা কী চেক করছে ভিএআর। যার জবাব মিলেছে এক মিনিট বাদেই। বাতিল করা হয় আলভারেজের গোল।
যার কারণ অবশ্য চোখ কপালে তোলার মতই। আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার শটটা নিয়েছে ডান পায়ে, তবে শট নেওয়ার সময় তার বাঁ পায়ের ছোঁয়া লাগে বলে। যা নজরে পড়ে ভিএআরের। নিয়ম অনুযায়ী ‘ডাবল টাচের’ কারণে রেফারি বাতিল করেন আলভারেজের সেই গোল।
আরও পড়ুন
আলভারেজের ‘ডাবল টাচ’ রেফারির নজরে এনেছেন কোর্তোয়া |
![]() |
এরপর অবশ্য লুকাস ভাসকেজের মিসে আবারও সমতায় ফেরে আতলেতিকো। তবে মার্কোস লরেন্তে মিস করে রিয়ালকে এনে দেয় সুযোগ। আর সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি আন্টোনিও রুডিগার। আরও একবার পেনাল্টি থেকে গোল করে রিয়ালকে জয় এনে দেন জার্মান ডিফেন্ডার। গেল মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালের টাইব্রেকারে রুডিগারের গোলেই জয় পায় কার্লো আনচেলত্তির দল।
প্রথম লেগে রিয়ালের কাছে ২-১ গোলে হার দেখে আতলেতিকো মাদ্রিদ। ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগে ম্যাচে ফিরতে তারা সময় নেয় ২৮ সেকেন্ড। কনর গ্যালাগারের গোলে সমতায় ফেরে তারা। এরপর অবশ্য ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের পেনাল্টি মিসে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও কোনো দল করতে পারেনি গোল। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জিতে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে রিয়াল।
কিছু বুঝে ওঠার আগেই গোল হজম করে বসল রিয়াল মাদ্রিদ। এরপর থেকে গোলের মরিয়া চেষ্টা করেও পারলেন না এমবাপে-ভিনিসিয়ুসরা। উল্টো ম্যাচে স্পষ্ট প্রাধান্য দেখাল আতলেতিকো মাদ্রিদ। তবে দুই দলের আক্রমণের খেলোয়াড়দের ব্যর্থতায় ম্যাচ গড়াল টাইব্রেকারে। আর ১২০ মিনিট দ্বিতীয় সেরা দল হয়ে থাকা রিয়াল করল বাজিমাত। আরও একবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কার্লো আনচেলত্তির দলের কাছে হারল দিয়েগো সিমিওনের আতলেতিকো।
ওয়ান্ডা মেট্রোপ্লিটানো স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফিরতি লেগের ম্যাচটি ১২০ মিনিটে শেষ হয় আতলেতিকোর ১-০ স্কোরলাইনে। তবে প্রথম লেগে রিয়াল ২-১ গোলে জয় পাওয়ায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
স্পট কিকে প্রথম শটে জাল খুঁজে নেন কিলিয়ান এমবাপে। আলেকজান্ডার সারলো সমতা টানেন আতলেতিকোর হয়ে। দুর্দান্ত এক পেনাল্টিতে এরপর রিয়ালকে এগিয়ে দেন জুড বেলিংহাম। হুলিয়ান আলভারেজ এরপর বল জালে পাঠালেও বিপত্তি বাধে এরপর।
আরও পড়ুন
বেনফিকাকে হারিয়ে ৯২ হাজার টাকা দামের বার্গার খেলো রাফিনিয়া-ইয়ামালরা |
![]() |
ভিএআরে দেখা যায়, বল দুইবার টাচ করে কিক নিয়েছেন আর্জেন্টিনার এই স্ট্রাইকার। ফলে বাতিল হয় গোল। ফেদেরিকো ভালভের্দে এরপর স্কোরলাইন ৩-১ করেন। আনহেল কোরেরা লক্ষ্যভেদ করার পর লুকাস ভাজকেসের শট আটকে দেন জন ওবলাক।
তবে এরপরই মার্কাস লরেন্তের শট লাগে পোস্তে। ভাগ্য নির্ধারণী শট নেন আন্টোনিও রুডিগার, যা প্রায় আটকেই দিয়েছিলেন ওবলাক। তবে তার হাতে লেগে বল কোনোমতে জড়ায় জালে। উল্লাসে ফেটে পড়ে রিয়াল।
সিমিওনের আতলেতিকো বরাবরই বিখ্যাত তাদের রক্ষণাত্মক ফুটবলের জন্য। তবে ফিরতি লেগে প্রথম মিনিটেই প্রতিপক্ষকে চমকে দেয় দলটি। ম্যাচের বয়স হয়নি ৩০ সেকেন্ডও, কিক অফ থেকে সরাসরি আক্রমণে যাওয়া আতলেতিকোর হাই প্রেসে অপ্রস্তুত হয়ে যায় রিয়ালের রক্ষণভাগ। রাউল আসেনসিকোর কাছ থেকে বল কেড়ে বক্সের বাইরে ডান দিকে পাস বাড়ান আন্তোনিও গ্রিজমান।
তার কাছ থেকে বল পেয়ে ছয় গজের ভেতর পাস বাড়ান রদ্রিগো দে পল, আসেনসিকোর পেছনে থাকা কনর গ্যালাঘর গতিতে তাকে পেছনে ফেলে আলতো টোকায় বল পাঠান জালে। এগিয়ে এসেও নাগাল পাননি থিবো কোর্তোয়া। আতলেতিকোর জার্সিতে এটি ইংলিশ ফুটবলারের এটি ছিল প্রথম গোল। ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের মধ্যে তার করা গোলটিই এখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে দ্রুততম।
শুরুতেই গোল হজমের পর একের পর এক আক্রমণে আতলেতিকোকে ব্যস্ত রাখে রিয়াল। চার থেকে ১৫ মিনিওতের মধ্যে বলতে গেলে অধিকাংশ সময় বল ছিল সিমিওনের দলের অর্ধেই। আদায় হয় কয়েকটি কর্নারও। তবে প্রতিপক্ষের জমাট রক্ষণের সামনে বারবার আটকে যেতে হয় ভিনিসিয়ুস-এমবাপেদের।
আরও পড়ুন
আলভারেজের ‘ডাবল টাচ’ রেফারির নজরে এনেছেন কোর্তোয়া |
![]() |
২০তম মিনিটে পেনাল্টির আবেদন জানিয়ে ব্যর্থ হন রিয়ালের খেলোয়াড়রা। আতলেতিকোর বক্সের ঠিক বাইরে লুটিয়ে পড়ার পর আলতো পাস বাড়িয়েছিলেন ভিনিসিয়ুস, যা হাতে লাগে গুউলিয়ানো সিমিওনের। তবে রেফারি পেনাল্টির আবেদনে সাড়া দেননি।
পরের মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে হুলিয়ান আলভারেজের নেওয়া শট চলে যায় বক্সের বেশ বাইরে দিয়ে। এই সময় থেকেই কিছুটা খেই হারায় রিয়াল। আর সেটা কাজে লাগিয়ে আক্রমণ শানায় আতলেতিকো।
২৬তম মিনিটে গুউলিয়ানো বাড়ানো বল ধরে বক্সের ভেতর থেকে বাঁ পায়ের কোনাকুনি শট নেন আলভারেজ, যা ঝাঁপিয়ে ফিরিয়ে দেন কোর্তোয়া। এরপর থেকে বিরতির আগ পর্যন্ত অগোছালো ফুটবলে রক্ষণের ওপর চাপ বাড়ে রিয়ালের।
৪০তম মিনিটে রিয়ালের একজন খেলোয়াড়ের কাছ থেকে বল কেড়ে বক্সের ভেতর ক্রস বাড়ান দে পল, ছয় গজের ভেতরে থাকা আলভারেজের শট কোনোমতে ঠেকিয়ে দেন কোর্তোয়া।
মিনিট তিনেক বাদে ম্যাচের ধারার বিপরীতে আন্টোনিও রুডিগারের লম্বা করে বাড়ানো বল রিয়ালের জন্য তৈরি করেছিল দারুণ সুযোগ। তবে দুই মিডফিল্ডার অহেলিয়া চুয়ামেনি ও জুড বেলিংহামের কেউই পারেননি সেটা কাজে লাগাতে।
প্রথম ৪৫ মিনিটে ম্যাচে স্পষ্ট প্রাধান্য দেখায় আতলেতিকো। গোলের জন্য সাতটি শট নিয়ে তিনটি তারা রাখে লক্ষ্যে। অন্যদিকে রিয়ালের নেওয়া মাত্র তিনটি শটের একটি ছিল লক্ষ্যে। যদিও পজেশনের দিক থেকে আনচেলত্তির দল ছিল বেশ এগিয়েই (৬২%-৩৮%)।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আরও একবার দূরপাল্লার শটে কোর্তোয়ার পরীক্ষা নেন আলভারেজ, তবে শটে ছিল না তেমন জোর। ম্যাচের ৫৬তম মিনিটে গিয়ে সেরা সুযোগটা পায় রিয়াল। লুকা মদ্রিচের কাছ থেকে বল নিয়ে বক্সের ডান দিক থেকে নিচু ক্রস বাড়ান রদ্রিগো, তবে ডিফেন্ডারদের বাধায় বেলিংহাম পারেননি গোলে শট নিতে।
৬৭তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে নিজেদের অর্ধ থেকে এমবাপেকে লম্বা করে পাস বাড়ান বেলিংহাম। গতি দিয়ে আতলেতিকোর তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে আতলেতিকোর বক্সে প্রবেশ করে ফেলেছিলেন ফরাসি তারকা। ক্লিমেন্ট লেংলেট ফাউল করলে পেনাল্টি পেতে যায় রিয়াল।
আরও পড়ুন
শেষ আটে রিয়ালের প্রতিপক্ষ আর্সেনাল, বার্সেলোনা খেলবে কার বিপক্ষে? |
![]() |
স্পটকিকের জন্য রিয়াল বেছে নেয় ভিনিসিয়ুসকেই। পেনাল্টি থেকে বেশ ভালো হলেও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রাজিল তারকা নেন বাজে এক পেনাল্টি। পোস্টের বাইরে দিয়ে বল মেরে বসে গ্যালারিতে।
কাউন্টার এটাক থেকে এরপর বক্সের ডান দিক থেকে নেওয়া গুউলিয়ানো শট আটকান ম্যাচ জুড়ে ব্যস্ত সময় পার করা কোর্তোয়া। ৭৫তম মিনিটে রদ্রিগো বল নিয়ে আতলেতিকোর বক্সে প্রবেশ করতেই স্লাইড ট্যাকলে গুউলিয়ানো কেড়ে নেন বল।
৮২তম মিনিটে অভিজ্ঞ লেফট ব্যাক ফেরলদ মন্ডিকে তুলে নিতে বাধ্য হন আনচেলত্তি। হ্যামস্ট্রিংয়ে টান পড়ে তার। তার জায়গায় নামেন এই মৌসুমে ভীষণ অনিয়মত ফ্রান গার্সিয়া।
নির্ধারিত সময়ের বাকি অংশে রিয়ালের আক্রমণ খেই হারায় মাঝপথে বারবার। আর জমাট রক্ষণ বজায় রেখে আতলেতিকো খুব একটা শানায়নি আক্রমণ।
তবে অতিরিক্ত সময়ের শুরু থেকেই চলে আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণ। শেষ মিনিটে ফেদেরিকো ভালভের্দের পাস বাড়ান ছয় গজে, প্রয়োজন ছিল কেবল ট্যাপ ইনের। তবে এমবাপে বা ভিনিসিয়ুস, কেউই ছিলেন না ধারেকাছেও। বিরতির ঠিক আগে ভিনিসিয়ুসের ওপর ক্ষোভ ঝাড়তে দেখা যায় বেলিংহাম ও কোচ আনচেলত্তিকে। কারণটা স্পষ্ট, পুরো ম্যাচে নিজের ছায়া হয়েই ছিলেন তিনি।
অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য দুই দলই মনোযোগ বেশি দেয় রক্ষণের দিকেই। টাইব্রেকারের অপেক্ষাতেই যেন ছিল দুই দল। ফলে ঢিমেতালেই শেষ হয় এই অর্ধ।